তোর আসক্তি পাগল করেছে আমায় পর্ব-২৬+২৭

0
2970

#তোর_আসক্তি_পাগল_করেছে_আমায়
#Sabiya_Sabu_Sultana(Saba)
#পর্ব_২৬
…বেলা কে বাড়ি আনা হয়েছে। সারাদিন সে বসে বসে কাটিয়ে দিচ্ছে। পায়ে হাঁটতে পারছে না। অনেক খানি পুড়ে যাওয়ার ফলে । পায়ে আর হাতে এখনও ব্যান্ডেজ করা আছে। তার যাবতীয় কাজ সাঁঝ করে দেয়। এক প্রকার ধরতে গেলে এখন দুই বছরের বাচ্চা সমান কোনো কাজ নিজে হাতে করতে হচ্ছে না। সব কিছুই সাঁঝ করে দেয়। তাকে খাওয়ানো থেকে গোসল পর্যন্ত। বাচ্চাদের মত তাকে কোলে নিয়ে সারা বাড়ি ঘুরে বেড়ায়। যাতে সে মন খারাপ না করে। অফিসে বা কোনো মিটিং কোনো কাজে যায় না বাড়িতে আছে বেলার কাছে। আর যতো কাজ ওদিকে সব আকাশ আর সারিফ হ্যান্ডেল করছে। বেলা তো মাঝে মাঝে বিরক্ত হয়ে যাচ্ছে সাঁঝ এর অতিরিক্ত কেয়ার দেখে। সব কিছু টাইম টু টাইম। একটু ও নড়চড় হবে না। আর ওদিকে ও রয়েছে তার সাঙ্গ পাঙ্গরা। তাঁরাও রয়েছে সব সময়ে তাকে নিয়ে মেতে থাকে। সব কষ্ট ভুলিয়ে দেয়।
.
. বেলা নিচে ড্রইং রুমে বসে বসে টিভি দেখছে। সাঁঝ তাকে কোলে তুলে এনে বসিয়ে দিয়েছে। কি আর করার সে চুপচাপ বসে বসে টিভি এর দিকে চোখ দিয়ে আছে। কিন্তু মনটা পড়ে আছে কিচেনে দিকে। সাঁঝ কিচেনে আছে। সেই আজকে খাবারের দায়িত্ব নিয়েছে। বেলা ও বলেছিলো ওখানে নিয়ে যেতে তাকে। কিন্তু না তাকে নিয়ে যায় নি। যখন থেকে শুনেছে তার আগুনে ফোবিয়া আছে তারপর থেকেই কিচেন এর নাম ও মুখে আনতে বারণ করেছে। আর তাছাড়া এই অবস্থায় গরমে ওকে ওখানে নেবে না। বেলা বলেছিল সে তাকে কোম্পানী দেবে। তার প্রতি উত্তরে বলে ওঠে।
.
–“তোমাকে কোম্পানী দিতে হবে না। দেখো আমি খুব কষ্টে নিজেকে সামলে রেখেছি এর তার ওপরে যদি তুমি আমার চোখের সামনে থাকো তখন আমি আর রান্না করাতে মন দিতে পারবো না। তখন তোমার মাঝে ডুব দেয়া যায় কি ভাবে সেদিকে মন দেবো।
.
. সাঁঝ এর এই কথার জন্য বেলা ও আর কোনও কথা বলেনি জানে এই লোক হাই লেভেল এর অসভ্য। তাই এখানে বসে থাকা ভালো। এই সব ভাবছে আর টিভি দিকে মনোযোগ দেয়ার চেষ্টা করছে।
.
.হটাৎ করে পাশে ঝুপ করে এসে বসে পড়ে সাঁঝ। কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমে আছে কিছু চুল কপালে পড়ে আছে যেগুলো ওই ঘামে এর সাথে লেপ্টে আছে। গাল দুটো আর নাক পুরো লাল লাল হয়ে আছে পুরো স্ট্রবেরী। বেলা মাঝে মাঝে বোঝে না। এই লোক এত সুন্দর কি করে হয়। আর মেয়েদের থেকেও বেশি বেশি রূপ যেনো গলে গলে পড়ছে। বেলা এক দৃষ্টিতে সাঁঝ এর দিকে তাকিয়ে আছে । বুকের কাছে টা পুরো দৃশ্য মান হয়ে আছে। বুকের পেশী গুলো আর কলার বন পুরো স্পষ্ট হয়ে আছে। আগুনের সামনে থাকার জন্য পুরোই ঘেমে গেছে। শার্ট টা ও ভিজে চুপ চুপে হয়ে আছে। শার্ট এর কিছু বোতাম খোলা নিচের দিকে থেকে মনে দুটো কি তিনটে লাগানো। না হলে পুরো হওয়া হওয়া করছে। এর জন্য শরীরের প্রতিটা ভাঁজ বোঝা যাচ্ছে। সিক্স প্যাক অ্যাবস গুলো যেনো চকচক করছে ঘামে ভিজে গিয়ে। বেলা সেদিকে ঘোর লাগা দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। শরীরের মধ্যে হাল্কা শিহরন বয়ে যায়।
.
. সাঁঝ বেলার পাশে বসে বেলার কাঁধে মুখ গুঁজে দেয়। বেলার দৃষ্টি তার চোখে পড়েছে। সে এসে পাশে বসতেই বেলা তার দিকে ঘোর লাগা দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিল। তাই সে বেলার দিকে সরে গিয়ে বেলার কাঁধে মুখ গুঁজে দেয়। বেলা সাঁঝ এর এমন কাণ্ডে হকচকিয়ে যায়। সাঁঝ এর স্পর্শে শরীরে ঠান্ডা স্রোত বয়ে যায়।চোখ মুখ চেপে বন্ধ করে নেয় বেলা। হাত দুটো সাঁঝ এর হাতে চেপে খামছি দিয়ে রেখেছে। সে নড়তে ও পারছে না। সাঁঝ দু হাত বেলার কোমরের দু দিকে দিয়ে নিজের কাছে টেনে নিয়েছে। আরো গভীর ভাবে বেলার কাঁধে মুখ ডুবিয়ে দেয়। বেলার শার্ট কাঁধের থেকে সরিয়ে দিয়ে মেতে ওঠে। আসতে আসতে ভিজে যাচ্ছে বেলার কাঁধ সাঁঝ এর চুমু খাওয়ার অত্যাচার এর জন্য। বেলা না পারছে বাধা দিতে আর না পারছে নড়তে। সে এখন না পারে হাঁটতে ঠিক করে আর না পারে হাত দিয়ে কিছু করতে। পুড়ে যাওয়ার জন্য হাত পায়ে অবস্থা খারাপ। তাই এখন অসহায় হয়ে বসে আছে। সাঁঝ এর এই লাভ টর্চার গুলো মেনে নিচ্ছে। যদিও এতে তার এমনিতেও বাঁধা দেয়ার কোনো ইচ্ছা নেই। কিন্তু সাঁঝ এর স্পর্শে তার দম আটকে আশার জোগাড় হয়েছে নিজের অনুভূতি গুলো দমিয়ে রাখতে পারছে না।
.
.
–“বেলা ।বেলা ।
.
. বাইরে থেকে সব পাজি গুলো আসছে। বেলা বুঝতে পেরে সাঁঝ কে দূরে সরানোর চেষ্টা করছে কিন্তু পারছে না। সাঁঝ আরো বেশি করে আকড়ে ধরে তাকে। ছাড়াতে গেলে আরো বেশি করে মুখ ডুবিয়ে দিচ্ছে।
.
–” আরে কি করছো ছাড়ো আমাকে । ওরা সবাই আসছে। বেলা নিজেকে ছাড়াতে ছাড়াতে বলে ওঠে।
.
–” উম। আই ডোন্ট কেয়ার। সাঁঝ বেলার গলায় মুখ রেখে বলে ওঠে।
.
–“আরে ধুর বাবা ছাড়তো। সুযোগ পেলেই চম্বুক এর মত চিপকে যায় শুধু। বেলা বিরক্তি নিয়ে বলে ওঠে।
.
–” বেলা । সব ঢুকতে ঢুকতে বলে ওঠে।
.
. সাঁঝ বেলার গলায় কয়েকটা কামড় বসিয়ে ছেড়ে দেয়। নিজেকে সংযত করে নেয়। বেলা কে ঠিক ঠাক করে বসিয়ে রেখে উঠে চলে যায়। সাঁঝ জানে এই অবস্থায় তাঁকে কেউ এই ভাবে কেউ দেখুক সেটা বেলা চায় না। আর সাঁঝ নিজেও পছন্দ করে না শরীর প্রদর্শনীতে।
.
.
–“বেলা মেরি জান । চিৎকার করে বলে এসে জড়িয়ে ধরে শান্তা।
.
. পিছে পিছে বাকিরা ও আসছে। সারা ওম বেদ নিশান রুহি জাকিয়া সারিফ আলিয়া আছে। সবাই মিলে বাইরে থেকে চর্কি দিয়ে আসছে।
.
–” মেরি জান এটা তোর জন্য। শান্তা বেলা কে জড়িয়ে গালে একটা চুমু দিয়ে হাতের সামনে ছোলে ভাটরে এনে রাখে।
.
. এদিকে বেলার চোখ চকচক করে উঠছে। হাত দুটো কষ্ট করে উঠিয়ে ধরতে নিলেই রাম বকা পড়ে একটা।
.
–“ওটা একদম ধরবে না তুমি। সিঁড়ি দিয়ে নামতে নামতে সাঁঝ এক চিৎকার দিয়ে বলে ওঠে।
.
. সাথে সাথে বেলার মুখ টা কালো হয়ে যায়। আর সাথে বাকিরা ও অবাক হয়ে যায়। বেলা তো পারেনা উঠে পালায় এই ছোলে ভাটরে।
.
–” এই সব বাইরের খাবার খেতে হবে না। একে শরীর খারাপ তার ওপরে আবার বাইরের খাবার একদম নয়। সাঁঝ বেলার পাশে বসে বলে ওঠে।
.
. বেলা একবার সাঁঝ এর দিকে অগ্নি চোখে তাকায়। এই জন্য তাকে খেতে দিতে চায় না। বাইরের খাবার বলে। বেলা রেগে গিয়ে হাত উঠিয়ে শান্তার হাত থেকে খাবার টা নিয়ে খেতে থাকে। সাঁঝ এর দিকে চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে। এদিকে হঠাৎ করে বেলার এমন করাতে সবাই অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে। আর সাঁঝ তো হতভম্ব হয়ে তাকিয়ে আছে বেলার দিকে। সাঁঝ হাত বাড়িয়ে নিয়ে নিতে গেলে বেলা দূরে সরিয়ে নেয়।এদিকে প্রিয় খাবার আর তারপরও ঝাল ঝাল খাবার এর জন্য চোখ ছলছল করছে তারপরও বেলা খেয়ে যাচ্ছে। চোখ মুখ পুরো লাল হয়ে গেছে। আর বাকিরা সব দেখছে আর মিট মিট করে হাসছে ।কারণ তারা জানে বেলা এমনই ঝাল ঝাল খাবার খাবে আর তার পর চোখ মুখ লাল করে চোখ দিয়ে পানি ফেলবে। আর তারপরেই পাগলামি শুরু হবে।
.
. এদিকে সাঁঝ বেলার এই অবস্থা দেখে আর সহ্য করতে না পেরে রাগী চোখে এক টান মেরে বেলার থেকে খাবার এর প্লেট টা কেড়ে নেয়। বেলা এদিকে হু হা করে যাচ্ছে চোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়ছে।
.
–“আরো খাও। এখন হু হা করছ কেনো? হ্যাঁ? তখন তো বারণ করেছিলাম নাকি। সাঁঝ চিৎকার করে বলে ওঠে।
.
–” উফ আমার ঝাল লেগেছেরে। তুই চুপ কর এখন। ঝাল। ঝাল। আমি আইসক্রিম খাব। আর এই হূলোবেড়ালটা এদিকে বকে যাচ্ছে আমাকে। বেলা হু হা করতে করতে হাত পা নাড়া দিতে থাকে।
.
. আর এদিকে সবাই হাসতে শুরু করেছে। বেলার পাগলামি দেখে। আর সাঁঝ তো বেলার কথা শুনে পাগল হব হব ভাব। বেলা আর না পেরে সাঁঝ কে এক হাত দিয়ে টেনে কামড় দিতে শুরু করে। কাঁধে মুখ গুঁজে কামড় দিয়ে নিজের ঝাল মেটাতে আছে। বেলার এই দৃশ্য দেখে বাকি গুলো মুখ লুকিয়ে হাসতে হাসতে থাকে। সাঁঝ বাকি গুলোর দিকে তাকিয়ে ইশারা করতে সব গুলো পিছনে মুড়ে যায়।
.
. সাঁঝ বেলার মুখ নিজের কাঁধের থেকে তুলে নিয়ে নিজের ঠোঁট দ্বারা বেলার ঠোঁট আটকে দেয়। আসতে আসতে শুষে নিতে থাকে সমস্ত ঝাল। বেলা ও ঝাল এর জন্য আরো বেশি করে সাঁঝ কে আকড়ে ধরে সাঁঝ এর ঠোঁটে ওপরে সব ঝাল মেটাতে থাকে। এখন তার মাথায় ও নেই যে তাদের আশে পাশে কেউ আছে। বেলা সাঁঝ এর ঠোঁটের মধ্যে নিজের সব ঝাল মিটিয়ে নিয়ে সরে আসতে নিলেই সাঁঝ বেলার ঠোঁটে জোরে একটা কামড় বসিয়ে দেয়। বেলা সাঁঝ এর বুকে খামচি দিয়ে সরে এসে বড় বড় করে শ্বাস নিতে থাকে।
.
–“বলছিলাম কি বেলা জিজ তোমাদের হল ঝাল মিষ্টি এর আদান প্রদান। রুহি দুষ্টু হেসে বলে ওঠে।
.
–” একদম ।সাঁঝ বাঁকা হেসে নিজের ঠোঁট মুছে বলে ওঠে।
.
. আর এদিকে বেলার চোখ গুলো বড় বড় হয়ে গেছে। সে ভুলেই গেছিল যে শয়তান গুলো এখানে হাজির ছিল। এখন তার মনে সাঁঝ কে ইচ্ছা মত কামড় আর খামচি দিতে। সাঁঝ বেলার দিকে তাকিয়ে এক চোখ টিপে দেয়। মুখে রয়েছে বাঁকা হাসি।
.
–“বলছি যে বেলা তোর ঝাল কমেছে তো নাকি? রুহি চোখে মুখে দুষ্টুমি নিয়ে বলে ওঠে।
.
–” আরে রু কি যে বলিস না আমাদের বেলা এমন মিষ্টি খেয়েছে যে ঝাল আপনাআপনি পালিয়ে গেছে এখন শুধু মিষ্টি মিষ্টি। শান্তা হেসে বলে ওঠে।
.
–“টুসুন । চোখ গরম করে বলে ওঠে বেলা।
.
–” আরে মিষ্টি তোমার গাল গুলো পুরো লাল লাল হয়ে গেছে দেখো আবার কেউ স্ট্রবেরী ভেবে কামড় না বসিয়ে দেয়। জাকিয়া হেসে বলে ওঠে।
.
–“আচ্ছা তাই না। এখন আমাকে নিয়ে পড়েছ। বলব নাকি তোমাদের কেস গুলো হুম হুম। বেলা চোখ পাকিয়ে বলে ওঠে।
.
–“আরে না না আমরা তো কিছুই বলছি না। রুহি হাসার চেষ্টা করে বলে ওঠে।
.
. এদিকে সাঁঝ এতক্ষণ বসে বসে মজা দেখছিল। আর দেখছিল বেলার লজ্জা পাওয়া মুখ। গাল দুটো পুরোই লাল লাল হয়ে গিয়েছিলো। নাকে জমে ছিল বিন্দু বিন্দু ঘাম। যা দেখে সাঁঝ এর দম আটকে আসার উপায় হয়েছিল। শরীরে রক্ত চলাচল দ্রুত গতিতে ছুটছে। সবার চোখের আড়ালে বেলার দিকে চেপে বসে বেলার কোমর জড়িয়ে নেয়। বেলার কোমরে হাত চেপে রেখে নিজেকে কন্ট্রোল করার চেষ্টা করতে থাকে।
.
. আর এদিকে সব কোটা কোনা চোখে একে অপরের দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছে। আর ছেলে গুলো তো দুষ্টুমি চোখে তাকাচ্ছে। আর এদিকে সাঁঝ ও বেলার সাথে দুষ্টুমিতে মেতে আছে সবার চোখের আড়ালে। মাঝে মাঝে বাঁকা চোখে তাকাচ্ছে। আর বেলা আগুন চোখ নিয়ে তাকিয়ে আছে।
.
.
.
. 💝💝💝
.
.চলবে….

#তোর_আসক্তি_পাগল_করেছে_আমায়
#Sabiya_Sabu_Sultana(Saba)
#পর্ব_২৭
.রুফটফে বসে আছে সবাই। পুরোটাই সুন্দর করে ডেকরেট করা হয়েছে। চারিদিকে মোমবাতি আলো ও চাঁদের আলোয় পরিবেশ আরো মোহনীয় করে তুলছে। মাথার ওপরে ফাঁকা আকাশ আর রাতের অন্ধকার এর মাঝে মৃদু আলো সব মিলিয়ে একদম নেশা নেশা ভাব আছে। এক সাথে বারবিকিউব অ্যারেঞ্জ করা হয়েছে। অন্য পাশে টেবিলের এর ওপরে শ্যাংপেন রাখা আছে। আর বাকি গুলো সবাই সবার মত মজা করছে। এগুলো করেছে বাকিরা শুধুমাত্র বেলার জন্য কোথাও যেতে পারছে না বাইরে সেই জন্য সবাই মিলে আনন্দ এর একটা উপায় মাত্র।
.
. এদিকে সারা একটু একটু করে সরে যাচ্ছে আর কোনা চোখে পাশে তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছে আর সাথে সাথে মুচকি মুচকি হাসছে। বেদ তো সারার এই হাসিতে জান কবুল হয়ে যাচ্ছে। সারা যতো সরে যাচ্ছে বেদ ও ততই এগোচ্ছে সারা এর দিকে। বেদ আসতে আসতে হাত এগিয়ে নিয়ে সারার কোমরে রাখে। আর সাথে সাথেই সারা কেঁপে উঠে পাশে তাকায়। বেদ তার দিকে ঘোর লাগা দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।
.
. বেলা মুখ গোমরামুখো করে বসে আছে। কিন্তু মনে মনে ফুলে উঠছে। সাঁঝ এর কাজ কারবার দেখে। একটু আগে নিচে সবার সামনে তাকে চুমু খেয়েছিল। আর তারপরেই সব কটা তাকে ক্ষেপাতে ছিল। তাই জন্য বেলা মুখ ফুলিয়ে ছিল সাঁঝ এর সাথে কথা তো দূরে থাক তাকাচ্ছিল না পর্যন্ত। তাই সাঁঝ বেলা কে কোলে তুলে রুফটফে নিয়ে আসে। বেলার মান ভাঙানোর জন্য বেলার দিকে চেপে বসে বেলার দিকে তাকিয়ে গান শুরু করে।

.🎶 জিন্দেগানি কে লামহো কো
তেরে নাম কার দিয়া

জিন্দেগানি কে লামহো কো
তেরে নাম কার দিয়া
খুদকো তেরে হি খাতির
বাদনাম কার দিয়া
বাদনামিয়া মিলি তানহায়িয়া বাড়ি
বাদনামিয়া মিলি তানহায়িয়া বাড়ি

জিন্দেগানি কে লামহো কো
তেরে নাম কার দিয়া

জিন্দেগানি কে লামহো কো
তেরে নাম কার দিয়া
খুদকো তেরে হি খাতির
বাদনাম কার দিয়া
বাদনামিয়া মিলি তানহায়িয়া বাড়ি
বাদনামিয়া মিলি তানহায়িয়া বাড়ি 🎶
.
. এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে বেলা সাঁঝ এর দিকে ।ঘোর লাগা দৃষ্টি। চোখ সরিয়ে নিতে চেয়ে ও পারছে না। তার দিকে কেমন ঘোর লাগা চোখে সাঁঝ তাকিয়ে আছে। এই দৃষ্টিতে বেলা দেখতে পায় কতটা নেশা আর আসক্তি ভরা আছে। মনে হচ্ছে এক্ষুনি তার মাঝেই ডুব দেবে। সাঁঝ ভ্রু উচু করে তার দিকে ইশারা করছে। কিন্তু বেলা তো বেলা এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে সাঁঝ এর দিকে। সাঁঝ ও বেলার দৃষ্টি দেখে বাঁকা হাসছে। আরো একটু চেপে এসে বসে বেলার দিকে। বেলার চোখের দিকে তাকিয়ে এক হাত দিয়ে বেলার কোমর জড়িয়ে ধরে।
.
. এদিকে ওদের সামনে বসে সব কটা মিট মিটিয়ে হাসছে। আর বেলা তো চোখ গরম করে ইশারা করলেও সরে না সাঁঝ। আরো বেশি বেশি করে বেলার দিকে সরে যাচ্ছে। বেলা পারে না উঠে চলে যায়। কিন্তু কপাল সেটাও করতে পারে না।
.
. 🎶 হার পাল এ দিল ইয়াদ
তুঝে কারতে রেহতা হে
হার পাল তেরে স্বপ্নে
এ দেখা কারতা হে
মানা তুমনে রাস্তে আপনে বাদাল দিয়ে
এ বেচারা বিতে কাল মে হি রেহতা হে
আখরি সাঁস কো তেরে নাম কার দিয়া
আখরি সাঁস কো তেরে নাম কার দিয়া
খুদকো তেরে হি খাতির নাকাম কার দিয়া
বাদনামিয়া মিলি তানহায়িয়া বাড়ি
বাদনামিয়া মিলি তানহায়িয়া বাড়ি 🎶
.
. নিশান উঠে দাঁড়িয়ে হাত বাড়িয়ে শান্তা কে টেনে তুলে নিয়ে মাঝখানে দাঁড়িয়ে যায়। শান্তা হঠাৎ এমন হওয়াতে হকচকিয়ে গিয়েছে চোখ বড় বড় করে দেখছে। আর এদিকে সবাই সিটি দিয়ে ওঠে। হাত তালি দিয়ে ওদের এপ্রিসিয়েট করে। নিশান শান্তার কোমর টেনে নিজের বুকের ওপরে ফেলে। দু হাত দিয়ে কোমরে ধরে উপরে উচু করে তুলে ধরে। শান্তা ভয় মুচকি হেসে নিশান এর গলা জড়িয়ে নেয়। শান্তা যেহেতু বিদেশী কালচার এর মধ্যে বড় হয়েছে তাই লজ্জা টা ঠিক নেই। আর এদিকে সবাই দেখছে ওদের দুজন এর জুটি টা। সাঁঝ বেলার কোমরে নিজের হাত দিয়ে স্লাইড করতে করতে ওদের দিকে দেখছে। আর বেলা তো সাঁঝ এর স্পর্শে বরাবর কেঁপে ওঠে।
.
. শান্তার কোমরে হাত রেখে স্লাইড করে যাচ্ছে নিশান। শান্তার হাত নিশান এর গলা জড়িয়ে রেখেছে। কোমর থেকে বডি টা পিছনের দিকে হেলিয়ে রেখেছে পিছনের দিকে। নিশানা এর মাথা টা ঠিক শান্তার গলায় আটকে আছে। সাঁঝ এর রোমান্টিক গান এর সাথে নিশান শান্তার রোমান্টিক ডান্স । পরিবেশ টা আরো বেশি নেশায় আর আসক্তি ভরা করে তুলেছে। সাঁঝ এর গানের প্রতি টা লাইন ছিল বেলার জন্য। আর ঠিক তাদের সামনে নিশান শান্তা তাদের প্রেম ভালোবাসা দিয়ে মুহূর্ত টা কে আরো ফুটিয়ে তুলেছে। ঠিক সাঁঝ এর মনের মত। সাঁঝ ওদের দিকে না তাকিয়ে শুধু মাত্র বেলার দিকে ঘোর লাগা দৃষ্টি দিয়ে তাকিয়ে আছে। নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখছে। নিশান শান্তার গলায় থেকে আসতে আসতে নিচের দিকে নেমে আসছে। শান্তা কে কোলে নিয়ে উঁচু করে ঘুরিয়ে নেয়। শান্তার দুই পা নিশান এর কোমর জড়িয়ে আছে। আর এক হাত গলায়।।
.
. ওদের মাঝেই ওম উঠে দাঁড়িয়ে জাকিয়া কে টেনে নিয়ে যায় ফ্লোরে। জাকিয়া কে ঘুরিয়ে নিয়ে পিছন দিকে থেকে জড়িয়ে নেয়। আর বাকিরা ও সিটি আর হাত তালি দিয়ে ওঠে। জাকিয়া কে পিছন থেকে জড়িয়ে নিয়ে কোমরে হাত রাখে ওম। কাঁধে মুখ রেখে নিজের সাথে নিয়ে আসতে আসতে ঘুরতে থাকে। জাকিয়া কে হাত ধরে ঘুরিয়ে ছেড়ে দেয়। আর তারপরেই হাঁটু গেড়ে বসে পড়ে ফ্লোরে। নিজের গলার হারের থেকে একটা রিং বের করে ওম। একটা জাকিয়ার হাতে পরিয়ে দেয়। হাত টেনে মুখের কাছে একটা উষ্ণ ঠোঁটের স্পর্শ দেয়। আর সাথে হাত তালি আর সিটি বেজে ওঠে। আর জাকিয়া মুখে হাত দিয়ে লাফিয়ে ওঠে। তারপরেই লাফিয়ে উঠে ঝাঁপিয়ে পড়ে ওম ওপরে। আর ওম ও দু হাতে জড়িয়ে উঁচু করে তোলে ওপরের দিকে।
.
. এবারে সাঁঝ এর গানের সাথে ওম জাকিয়া আর নিশান শান্তা জমিয়ে ডান্স দিতে থাকে। তাদের এই রোমান্টিক ডান্স এর সাথে সবাই সবার দিকে তাকিয়ে মুচকি মুচকি হাসছে।
.
. 🎶 মে তেরি আঁখো মে দেখতা হু খুদকো
মে তেরি আঁখো মে দেখতা হু খুদকো
তুমকো কেয়া দিখতা হে
মেরি নাজরো মে কাহো
দেখতে চাহতে সুবহা কো সাম কার দিয়া
দেখতে চাহতে সুবহা কো সাম কার দিয়া
খুদকো তেরে হি খাতির কুরবা কার দিয়া
বাদনামিয়া মিলি তানহায়িয়া বাড়ি
বাদনামিয়া মিলি তানহায়িয়া বাড়ি 🎶
.
. সারিফ কোনো কথা না বলে আসতে আসতে পিছন থেকে এসে রুহি টেনে তুলে নিয়ে যায়। সবাই এখন ডান্স আর গানে মত্ত হওয়ার জন্য বুঝতে পারিনি। সারিফ রুহি এনে এক কোণের দেয়ালের সাথে চেপে ধরে। একটু একটু করে রুহি এর গায়ের সাথে লেগে দাঁড়ায়। আসতে আসতে হাত উঠিয়ে রুহির পুরো মুখে স্লাইড করতে থাকে। মুখের ওপরে আশা ছোটো ছোটো চুল গুলো কে ফু দিয়ে উড়িয়ে দেয়। সারিফ এর ফু দেয়ার জন্য রুহি কেঁপে ওঠে। চোখ চেপে বন্ধ করে নেয় রুহি। সারিফ ঘোর লাগা দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে রুহির দিকে। তার পুরো নেশা লেগে যাচ্ছে। নিজেকে আর আটকে রাখতে পারে না। মুখ নামিয়ে রুহির পুরো মুখে চুমু খেতে শুরু করে। আর এক হাত দিয়ে গলায় স্লাইড করতে থাকে। মুখ নামিয়ে এনে গলায় মুখ ডুবিয়ে দেয়। আসতে আসতে ভিজে যেতে থাকে রুহির গলা।
.
. 🎶 জিন্দেগানি কে লামহো কো
তেরে নাম কার দিয়া

জিন্দেগানি কে লামহো কো
তেরে নাম কার দিয়া
খুদকো তেরে হি খাতির
বাদনাম কার দিয়া
বাদনামিয়া মিলি তানহায়িয়া বাড়ি
বাদনামিয়া মিলি তানহায়িয়া বাড়ি 🎶
.
.গান শেষ হতে সাঁঝ বেলা কোলে তুলে নিয়ে নেয়। সবার দিকে একবার তাকিয়ে নিয়ে সবাই কে চোখের ইশারায় রোম্যান্স করার অনুমতি দিয়ে বেলা কে নিচে নেমে যায়। ওদের চলে যেতেই এবার বেদ এসে সারা কে টেনে নিয়ে যায় অন্য দিকে। সাথে টেবিলে থাকা শ্যাংপেন এর গ্লাস হাতে নিয়ে। বেদ সারা কে ওখানে থাকা টেবিলের ওপরে তুলে বসিয়ে দেয়। বেদ সারা কোমরে হাত রেখে নিজের দিকে টেনে নেয়। সারা ও তার হাত দিয়ে বেদ এর কোমর জড়িয়ে নেয়। হাতে থাকা গ্লাস টা নিয়ে সারার মুখের সামনে ধরে। চোখের ইশারায় এক সিপ নিতে বলে। সারা মুখে নিতেই বেদ দু হাতে মুখ তুলে ধরে তার মুখ বসিয়ে দেয় সারার ঠোঁটে। গিলে নেয় সবটুকু সারার মুখে থাকা পানীয়। তার পরেই শুষে নিতে থাকে একে অপরের ঠোঁট। এতক্ষণ সাঁঝ বসে ছিল বলে বেদ শুধু চোখে চোখে হাতে হাত রেখে বসে ছিল। আর সাঁঝ চলে যেতেই এতক্ষণ এর জমে থাকা রোম্যান্স টা উজাড় করে দেয় সারার ওপরে।
.
. এদিকে রেলিং ধরে দাঁড়িয়ে আছে শান্তা আর ঠিক তার পিছনে দাঁড়িয়ে আছে নিশান। হাত তার শান্তার কোমরে জড়িয়ে রাখা। মুখ নামিয়ে ডুবিয়ে রেখেছে শান্তার কাঁধে। চুল গুলো এক পাশে রেখে চুমু খেয়ে যাচ্ছে। আর শান্তা চোখ বন্ধ করে বড় বড় নিশ্বাস নিচ্ছে।
.
–“প্রথম দিন তুমি আমাকে চুমু দিয়েছিলে। তখন আমি তোমাকে রিটার্ন করতে পারিনি তাই আজ সুদে আসলে ফেরত দিচ্ছি। আমি আবার উধার রাখি না। নিশান কাঁধে চুমু খেতে বলে ওঠে ফিস ফিস করে।
.
. নিশান এর ওই ফিসফিসানো আর তার সাথে ঠোঁটের স্পর্শ পাগল করে দিচ্ছে শান্তা কে। নিশান কে সে ভেবেছিল অন্য রকম। কিন্তু এখন বুঝতে পারছে পুরো তার উল্টো এত পুরো রোম্যান্স এর মধ্যে ডুবে যাচ্ছে। শান্তা কে ঘুরিয়ে নিজের দিকে করে নেয় নিশান। গলায় থেকে মুখ তুলছে ওপরের দিকে। আর এর জন্য ঠোঁট দুটো শান্তার গলায় ঘষা খেয়ে যাচ্ছে। শান্তা দু হাত দিয়ে আকড়ে ধরে নিশান কে পিঠে বসে যায় নখ। নিশান আসতে আসতে শান্তার কাঁপতে থাকা ঠোঁট দুটোর মাঝে নিজের ঠোঁট ডুবিয়ে দেয়। আসতে আসতে শুষে নিতে থাকে একে অপরের ঠোঁটের রস। দুজনেই মেতে ওঠে একে অপরের মাঝে।
.
. ওম এর কোলে বসে আছে জাকিয়া। হাতে থাকা রিং টা ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখছে। মুখে রয়েছে মিষ্টি হাসি। সে ভাবতেই পারিনি সবার সামনে এই ভাবে তাকে রিং পরাবে ওম। ওম এতক্ষণ বসে বসে জাকিয়ার মুচকি মুচকি হাসি দেখেছিল। এখন সে হাত বাড়িয়ে পায়ে আলতো করে স্লাইড করতে থাকে। পায়ের পাতা থেকে হাঁটু পর্যন্ত। হঠাৎ করে এমন স্পর্শ পেয়ে জাকিয়া কেঁপে ওঠে। মুখ দিয়ে কোনো আওয়াজ বেরোচ্ছে না। চোখ বড় বড় করে জোরে জোরে নিশ্বাস নিচ্ছে। বুকের ওঠানামা শুরু হয়ে গেছে। ওম মুখ এগিয়ে এনে জাকিয়ার চুলের মাঝে মুখ ডুবিয়ে দেয়। আর এক হাত দিয়ে কোমরে চেপে ধরে। এদিকে জাকিয়ার অবস্থা কঠিন থেকে কঠিন হতে চলেছে। পায়ের থেকে হাত স্লাইড করতে করতে ওপরে দিকে ওঠে। মুখের কাছে এনে থেমে যায়। ঠোঁটের ওপরে আঙুল দিয়ে বুলিয়ে দিচ্ছে। সারা মুখে ওম এর হাত ঘুরে বেড়াচ্ছে। সাথে কেঁপে ওঠে দ্বিগুণ হতে চলেছে। কাঁধের থেকে জামা নামিয়ে আসতে আসতে চুমু খেতে থাকে মাঝে মাঝে চুমু থেকে বাইট ও পড়ছে।
.
. পুরো রুফটফ জুড়ে এখন প্রেমের জুয়ার বয়ে যাচ্ছে সবাই এখন তাদের রোম্যান্স নিয়ে ব্যস্ত । একে অপরের মাঝে ডুবে আছে।

—————–

সাঁঝ বেলা কে কোলে করে রুমে এনে বিছানায় বসিয়ে দেয়। মেডিসিন বক্স এনে আসতে আসতে বেলার হাতের ও পায়ের ড্রেসিং করে ব্যান্ডেজ করে দেয়। উঠে গিয়ে কাবার্ড থেকে বেলার ড্রেস দিয়ে ওয়াশরুমে চলে যায়। এদিকে বেলা মুখ ফুলিয়ে আছে। বিরক্তিকর ভাবে চেঞ্জ করে নেয়।
.
.সাঁঝ বেরিয়ে দেখে বেলা মুখ ফুলিয়ে বসে আছে। বাঁকা হেসে আসতে আসতে গিয়ে বেলার ওপরে ঝুঁকে পড়ে। বেলা অন্যমনস্ক থাকার কারণে চমকে যায়। দেখে তার দিকে তাকিয়ে বাঁকা হাসছে অসভ্য টা।
.
–“গাল ফুলিয়ে রেখেছ কেনো? যে কোনও সময়ে আমি স্ট্রবেরী ভেবে খেয়ে ফেলব। সাঁঝ দুষ্টু হেসে বলে ওঠে।
.
–” তুমি আমাকে নিয়ে চলে এলে কেনো। কি সুন্দর ওদের রোম্যান্স দেখছিলাম। বেলা গাল ফুলিয়ে বলে ওঠে।
.
–“ওহ তো এই কথা। ওদের দেখে তুমি কি করে বুঝবে। আমি তোমাকে দেখিয়ে দিচ্ছি রোম্যান্স কি করতে হয়। সাঁঝ বলে ওঠে।
.
. বেলা ভ্রু কুঁচকে তাকালে দেখে সাঁঝ এর মুখে ফুটে আছে দুষ্টুমির হাসি। সাঁঝ তার আঙুল দিয়ে আসতে আসতে বেলার শার্ট সরিয়ে দিয়ে কোমরে স্লাইড করতে লেগে গেছে। বেলা তার দিকে তাকিয়ে থাকার ফলে বুঝতে পারিনি। হটাৎ করে স্পর্শ পেয়ে কেঁপে ওঠে।
.
–“বাহ বাহ এখনও এত কেঁপে ওঠো। আমার স্পর্শ কি প্রতিবার নতুন লাগে। বাঁকা হেসে বলে ওঠে সাঁঝ।
.
–” আমাকে ছাড়ো। আমি ঘুমাবো ।বেলা বলে ওঠে।
.
–“তো ঘুমাও না কে বারণ করেছে। বলেই সাঁঝ হাত বাড়িয়ে লাইট অফ করে দিয়ে বেলার গলায় মুখ ডুবিয়ে দেয়। গলায় নাক ঘষে স্মেল নিতে থাকে। তারপরেই আলতো আলতো ঠোঁটের স্পর্শ থেকে শুরু করে আরো গভীর থেকে গভীর হতে শুরু করেছে। বেলা বুঝতে পারছে সাঁঝ এখন তার নেশায় ডুবে গেছে আর তাকে ও ডুবিয়ে নিয়ে যাচ্ছে সাঁঝ তার ভালোবাসার সাগরে। দুজন এখনও সম্পূর্ণ ফিজিক্যাল হয়নি। তারপরেই একে অপরের মাঝে ডুবে যায়। সাঁঝ মুখ তুলে বেলার ঠোঁটের মাঝে ডুব দেয়। আসতে আসতে প্যাশনেট ভাবে কিস করতে থাকে দুজন। দুজন দুজনের মাঝে ডুবে যেতে থাকে। মুড়ে নেয় একে অপরের ভালোবাসার মাঝে।
.
.
.
. 💝💝💝
.
. চলবে….
.
. ভুল ত্রুটি মার্জনা করবেন । সবাই নিজেদের মতামত জানাবেন। 😊 😊 😊