তোর আসক্তি পাগল করেছে আমায় পর্ব-৩০+৩১

0
2844

#তোর_আসক্তি_পাগল_করেছে_আমায়
#Sabiya_Sabu_Sultana(Saba)
#পর্ব_৩০
.
. গাড়ি চলছে রাস্তা দিয়ে। বেলা উঠে দাঁড়িয়েছে গাড়ির সিটে। রুফ খোলা। হাওয়ার জন্য বেলার চুল গুলো এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে। বেলা দু দিকে হাত ছাড়িয়ে আকাশের দিকে মুখ করে। চোখ বন্ধ করে বেলা নিজেকে এই হাওয়ার সাথে মিশে যেতে চাচ্ছে। সাঁঝ মুচকি হাসি দিয়ে গাড়ি ড্রাইভ করতে আছে। চোখে গ্লাস। আর মুখে পাগল করা হাসি। চারিদিকে থেকে সবাই ওদের দেখে যাচ্ছে। যখন তাদের গাড়ি রাস্তা দিয়ে যাচ্ছে। সবার মুখ পুরো হা হয়ে আছে সবার। তারা প্রথমবার এই ভাবে তাদের গভর্নমেন্ট লিডার কে দেখছে। আর তার সাথে কোনো মেয়ে কে হ্যাঁ তারা এই মেয়ে কে দেখেছিলো চার বছর আগে আর কয়েকদিন আগে। এখনও বেলা আর সাঁঝ এর বিয়েটা পাবলিক হয়নি তাই কেউ এখনও জানে না। কয়েকজন কাছের লোক ছাড়া। তাই তাদের লিডার এর সাথে কোনো মেয়েকে দেখে চমকানোতো আবশ্যিক লাগে। সাঁঝ রাস্তার একদিকে গাড়ি দাঁড় করিয়ে বেলার মুখের দিকে তাকায়। যে এখন গাড়ি থেমে যাওয়ার জন্য মুখ নামিয়ে সাঁঝ এর দিকে দেখছে । সাঁঝ মুখে হাসি রেখে বেলার হাত ধরে নিচে নামিয়ে আনে। ইশারায় গাড়ি থেকে নামতে বলে নিজে নেমে যায়। গাড়ি থেকে নেমে সাঁঝ নিজের কোট খুলে ছুড়ে ফেলে গাড়ির মধ্যে টাই খুলে দেয়। বেলা পাশে এসে দাঁড়াতে মুচকি হেসে হত ধরে এগিয়ে যায়।
.
. 🎶 উড়ে দিল বেফিকরে~
উড়ে দিল বেফিকরে~
আঙ্গারো মে নিখরে
উড়ে দিল বেফিকরে~

উড়ে দিল বেফিকরে~
উড়ে দিল বেফিকরে~
আঙ্গারো মে নিখরে
উড়ে দিল বেফিকরে~

রাত ভার ঝুমেঙ্গে আসমা ঝুমে্ঙ্গে~
চান্দ এ চুমেঙ্গে তারো কে মারেঙ্গে ফিরে~
উড়ে দিল বেফিকরে~
উড়ে দিল বেফিকরে~
আঙ্গারো মে নিখরে
উড়ে দিল বেফিকরে~🎶
.
. সাঁঝ বেলার হাত ধরে ছুটে চলেছে রাস্তার মাঝ দিয়ে। রাস্তার ধারে থাকা ফুচকা স্টলের দিকে। সাঁঝ এর মুখে আছে মন কাড়া হাসি। যেনো সে আকাশে উড়ে বেড়ানো পাখিদের মত মুক্ত তাদের মত সে ডানা মেলে উড়তে লেগেছে। আর বেলা সে তো আবারো অনেক দিন না না অনেক বছর পর আবারও তার পাগলামি ফিরে পেয়েছে। চার বছর আগের মত সে ও আবার পাগলামি শুরু করেছে। মাঝে কয়েকদিন সে খাঁচায় বন্দি হয়েছিলো। কিন্তু এখন সে মুক্ত তাই ডানা মেলে উড়ে বেড়াতে লেগেছে। বেলাতো নিজের পাগলামির ব্যাপারে জানে কিন্তু সে আজকে তার সাথে সাথে সাঁঝ এর আরো একটা দিক দেখতে পেলো। একদম বাচ্চা লাগছে এখন সাঁঝ কে দেখতে যে এই মুহূর্তে সব নিয়ম কানুন এর বাইরে।
.
. দুজনই একসাথে গিয়ে হামলে পড়েছে ফুচকা দোকানের ওপর। কে কত খেতে পারে এখন তাদের মধ্যে চলছে এই নিয়ে লড়াই। বেলা খেতে খেতে মাঝে ফুচকা নিয়ে সাঁঝ এর মুখের সামনে রাখে ধরে। আর সাঁঝ যেই খেতে যাবে অমনি টেনে নিয়ে নিজের গালে পুড়ে নেয়। আর সাঁঝ তো আহাম্মক বনে গেছে। বেলা পরের ফুচকা গালের মধ্যে অর্ধেক দিতে না দিতেই সাঁঝ মুখ নিচু করে সবার সামনে বেলার মুখের বাইরে থাকা অর্ধেক ফুচকা খেয়ে নেয় আর সাথে ছুয়ে যায় সাঁঝ এর ঠোঁট বেলার ঠোঁট এর সাথে। আর ফুচকা কাকু তো ওদের দুজনের খুনশুটি দেখে মুচকি মুচকি হাসছে। পাশে থাকা আরও সবাই ওদের ভালোবাসা দেখছে আর ভিডিও করছে। কিন্তু এই দুজনের আজকে এই নিয়ে কোনো মাথা ব্যথা নেই।
.
. 🎶 দানদানা ঝানঝানা সানসানা জায়ে সাঁসে
জাগমাগা জায়ে আঁখে
মিলতে মিলতে মিলতে হি
ডাগমাগা খানখানা হাড়বাড়া জায়ে সাঁসে
তাড়পাড়া জায়ে বাঁহে
মিলতে মিলতে মিলতে হি
আগ কে রেলে হে বারফ কে ঢেলে হে
বাজি পে খেলে হে
থোড়ে থোড়ে দিল কে টুকরে

উড়ে দিল বেফিকরে~
উড়ে দিল বেফিকরে~
আঙ্গারো মে নিখরে
উড়ে দিল বেফিকরে~🎶
.
. রাস্তার মাঝে হাত পা ছাড়িয়ে বসে আছে বেলা। মুখের চারিদিকে লেগে আছে আইসক্রিম। হাতের থেকে নিয়ে চেটে চেটে জিভ উল্টো করে খাচ্ছে। আর তার থেকে কিছু দূরে দাঁড়িয়ে আছে সাঁঝ. হাতে ফোন নিয়ে বেলার এই অবস্থার ছবি তুলে যাচ্ছে। বেলার আইসক্রিম খাওয়া হয়ে গেলে বেলা দু হাত বাড়িয়ে দেয় সাঁঝ এর দিকে একদম বাচ্চা ভাব। সাঁঝ ফোন পকেটে রেখে বেলার কাছে এগিয়ে এসে পিছন ফিরে ঝুঁকে যায়। আর সাথে সাথে বেলা ঝাঁপিয়ে পড়ে সাঁঝ এর পিঠের ওপরে। ওই অবস্থায় বেলা কে জড়িয়ে নিয়ে সাঁঝ মুখ ঘুরিয়ে বেলার মুখের সাথে মুখ লাগিয়ে বেলার মুখের থাকা আইসক্রিম গুলো চেটে নেয়। আর বেলার চোখ বড় বড় হয়ে যায়। সাথে সাথে। চারিদিকে চোখ বড় বড় করে দেখে সবাই তাদের দিকে তাকিয়ে আছে কেউ কেউ হাতে ফোন নিয়ে তাদের ছবি তুলছে ভিডিও বানিয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ যেতে যেতে দাঁড়িয়ে যাচ্ছে তাদের দেখে। তাদের দেখা দেখি আবার কিছু কাপল ও রোমান্টিক মুড চলে গেছে। সাঁঝ বেলা কে পিঠে চড়িয়ে নিয়ে হেঁটে চলেছে। আর বেলা সে এক হাত দিয়ে সাঁঝ এর গলা জড়িয়ে আছে আরেক হাতে বাড়িয়ে এদিকে ওদিকে করছে। রাস্তা দিয়ে হেঁটে যেতে যে দোকান পারছে তার থেকে কিছু জিনিস তুলে নিচ্ছে।
.
. বেলা কে নিয়ে শপিংমলে ঢোকে দুজন একসাথে গিয়ে ড্রেস নিয়ে চেঞ্জ করতে যায়। বিভিন্ন রকমের আজীব আজীব ড্রেস পরে দুজন দুজন কে দেখছে আর এক সাথে সেলফি নিয়ে আবার ও চেঞ্জ করতে যাচ্ছে। ওখানে থাকা বাকি কাস্টমার গুলো ওদের দেখছে শুধু। শেষে সাঁঝ বেরিয়ে আসে। হোয়াইট শর্টস প্যান্ট আর ইয়োলো শার্ট ইন করে পরা। চোখে ব্ল্যাক গ্লাস। এক হাত পকেটে রেখে পা হেলিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। পায়ে গ্রে স্নিকার্স। বুকের কাছে শার্ট এর দুটো বোতাম খোলা। যার বুকের পেশী গুলো স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। বুকে কোনো লোম না থাকায় গায়ের রং আর শার্ট এর রং মিশে যাচ্ছে যেনো। আর বুকে জমে থাকা বিন্দু বিন্দু ঘাম যেনো আরো আকর্ষণীয় লাগছে। শর্টস এর জন্য হাঁটু থেকে পা পুরো উদাম। বুকের সাথে সাথে পায়ের দিকে তাকালে ও চোখ ফেরানো যায় না। ফর্সা পায়ে হালকা বাদামী লোম গুলো যেনো আরো নজর কাড়া লাগছে। চোখ ধাধানো সুন্দর। কারোর পা ও যে এত সুন্দর আর আকর্ষণ করতে পারে জানা ছিল না। এদিকে বেলা বেরোয় হলুদ প্রিন্ট স্কির্ট ও হলুদ ক্রপ টপ। কানে হোপ ইয়ারিং চুল গুলো কে সামনে থেকে স্টাইল করে বাঁধা আর পিছনের চুল গুলো কার্ল করা। পায়ে হোয়াইট স্নিকার্স। হাতে হোয়াইট স্টোন এর ঘড়ি। দুজন দুজন এর দিকে এগিয়ে যায়। সাঁঝ বেলার কাছে এসে বেলার উন্মুক্ত পেটের ওপর হাত রেখে নিজের দিকে টেনে নেয়। এক হাত দিয়ে বেলার মুখ ঘুরিয়ে বেলার এক গালে চুমু খায়। বেলা কে এক হাতে জড়িয়ে রেখে দুজন বেরিয়ে যায়।
.
. 🎶 রোকনা টোকনা থামনা না মানে
তেইর না এ জানে
দারিয়া দারিয়া দারিয়া মে
জিত না হার না ছিননা না জানে
ডুব না এ জানে
দারিয়া দারিয়া দারিয়া মে
দারদ মে এ নিখরে
হাথ মে জো পাকড়ে
বান কে রুয়ি বিখরে
আরমা হে রুহ কে নাখরে
উড়ে দিল বেফিকরে~
উড়ে দিল বেফিকরে~
আঙ্গারো মে নিখরে
উড়ে দিল বেফিকরে~🎶
.
. বেলা গাড়ির বনেটের ওপর এক পায়ের ওপর পা রেখে পিছনের দিকে হেলান দিয়ে বসে আছে। আর সাঁঝ গাড়ি ড্রাইভ করছে। কিছুটা যেতে না যেতেই বেলা গাড়ির ওপর থেকে লাফিয়ে নিচে পড়ে। সাথে উল্টো করে পিছনের দিকে যেতে যেতে সাঁঝ কে বাইরে বেরিয়ে আসতে ইশারা করে। এদিকে সাঁঝ গাড়ি থামিয়ে সে ও ভিতর দিয়ে লাফিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসে। প্রথমে জামার কলার ঠিক করতে করতে সামনে এগিয়ে গেলে ও একবার বেলার দিকে তাকিয়ে হুট করে দৌড় দেয় বেলার দিকে। আর বেলা ও দৌড় দেয়। দুজন এখন দৌড় দৌড় খেলছে। সাঁঝ একটু এগিয়ে গিয়ে বেলা কে কোমরে ধরে উঁচু করে তুলে নিয়ে ঘুরতে থাকে চর্কির মত করে। আর বেলা ও হাত পা ছুড়ে ছুড়ে ঘুরতে থাকে আর খিল খিল করে হাসতে থাকে। সাঁঝ শুধু তার কোমর টা টাইট করে ধরে আছে আর মুগ্ধ হয়ে বেলা কে দেখে যাচ্ছে । হটাৎ করেই ব্যাঙ্গালোর এর বিন বুলায়ে মেহমান এর মত বিন বুলায়ে বৃষ্টি শুরু হয়ে যায়। আর সাথে সাথে বেলার খুশি দ্বিগুণ হয়ে যায়। সাঁঝ এর থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে লাফিয়ে লাফিয়ে ভিজতে থাকে। বেলার গায়ে ড্রেস পুরো ভিজে যাওয়ার জন্য আরো চেপে বসে বেলার গায়ে। সাঁঝ এর নেশা লেগে যাচ্ছে। সাঁঝ চারিদিকে তাকিয়ে দেখে আশে পাশে কেউ নেই শুধু মাঝে মাঝে কয়েকটা গাড়ি সা সা করে বেরিয়ে যাচ্ছে তাদের পাস কেটে। তারা গাড়ি নিয়ে শহর থেকে একটু দূরের দিকে এসে পড়েছে। চারিদিকে এখন অন্ধকার। শুধু রাস্তার স্ট্রিট লাইট গুলো জ্বলছে। সাঁঝ গাড়ির দিকে এগিয়ে গিয়ে নিজের কোট নিয়ে এসে বেলার গায়ে চাপিয়ে দেয়। সাঁঝ পিছনে ফিরে চলে যেতে নিলেই। বেলা হাত ধরে আটকে দেয়। বেলা ঘোর লাগা চোখে সাঁঝ কে দেখতে থাকে। হলুদ জামা হওয়ার জন্য সাঁঝ শরীরে প্রতিটা অ্যাবস স্পষ্ট ভাবে ফুটে উঠেছে মাথার থেকে পানি গড়িয়ে পড়ছে। ভেজা ঠোঁট গুলো আরো আকর্ষণীয় লাগছে বেলার কাছে। বেলা মন্ত্র মুগ্ধের সাঁঝ এর দিকে এগিয়ে যায়। এদিকে সাঁঝ ও লক্ষ করেছে বেলার এই ঘোর লাগা দৃষ্টি। বেলা যে তাঁকে মোহনীয় দৃষ্টি দিয়ে দেখছিল সেটা বুঝে সাঁঝ শরীরে রক্ত চলাচল যেনো আরো দ্রুত গতিতে ছুটতে শুরু করেছে। বেলা পা উঁচু করে হাত দিয়ে সাঁঝ এর গলা জড়িয়ে ধরে মুখ এগিয়ে নিয়ে সাঁঝ এর দিকে। সাঁঝ হাত বাড়িয়ে বেলার কোমরে ধরে নিজের শরীরের সাথে মিশিয়ে নেয়। এক হাত উঠিয়ে বেলার গায়ের ওপরে থাকা কোট টা নিয়ে নিজেদের মাথার ওপর চড়িয়ে দেয়। বেলা কে নিজের সমান করে বেলার ঠোঁটে নিজের ঠোঁট ডুবিয়ে দেয়। বৃষ্টির পানির সাথে সাথে একে অপরের ঠোঁটের নেশায় মত্ত হয়ে ওঠে। গাড়ির হেড লাইট জ্বলছে আর আলোর ফোকাস এসে পড়ছে দুজনের গায়ে। পাশ দিয়ে গাড়ি চলে যাচ্ছে। আর দুজন মেতে আছে দুজনের মাঝে। তারা আজ বিফকর তাদের কোনো নিয়ম এর মাঝে নেই তারা। নিজেদের কে মুক্ত আকাশে নিজেদের গা ভাসিয়ে দিয়েছে। আর ব্যাক গ্রাউন্ডে এখনও বেজে যাচ্ছে।
.
. 🎶 উড়ে দিল বেফিকরে~
উড়ে দিল বেফিকরে~
আঙ্গারো মে নিখরে
উড়ে দিল বেফিকরে~
~বেফিকরে~
~বেফিকরে~
~বেফিকরে~
~বেফিকরে~ 🎶

—————-

এদিকে ও চলেছে প্রেম কাহিনী বিস্তর। ছাদের দেয়াল ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আছে শান্তা আর তার ঠিক সামনে নিশান নিজের চুল উল্টাতে উল্টাতে এগিয়ে আসছে তার দিকে। দুজনেই পুরো ভিজে যুবুথুবু হয়ে আছে। শান্তার মাথা থেকে পানি গড়িয়ে পড়ছে। চুল থেকে টুপ টুপ করে পানি পড়ছে গলায়। নিশানা তৃষ্ণার্ত চোখে তাকিয়ে দেখছে। ঠোঁটের ওপর থেকে পানি গড়িয়ে আসতে আসতে গলা বেয়ে নেমে যাচ্ছে অতল গহ্বরে। নিশান এর মাথার থেকে ও পানি গড়িয়ে পড়ছে। যেটা ও শান্তা তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করছে।
.
. নিশান এগিয়ে এসে একদম শান্তার গায়ের সাথে লেগে দাঁড়িয়েছে শান্তা বড় বড় নিশ্বাস নিচ্ছে তার সাথে রয়েছে বুকের ওঠানামা। নিশান শান্তার কোমরে হাত রেখে নিজের দিকে টেনে নেয়। মুখ নামিয়ে আনে। শান্তার গলায়। আসতে আসতে ঠোঁট দিয়ে শুষে নিতে থাকে গায়ের পানি। নিশান এর স্পর্শে বারবার কেঁপে কেঁপে উঠছে। তার জন্য নিশান আরো জোরে চেপে রেখে আরো নেশা সিক্ত হয়ে যাচ্ছে শান্তার গলায় ঘাড়ে আসতে আসতে বেড়ে চলেছে নিশান এর ঠোঁটের বিচরণ। দ্রুত থেকে দ্রুত হচ্ছে। নিশান এর ঠোঁটের স্পর্শ আর জিভ এর লেহনের জন্য শান্তা নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলছে ক্রমশঃ হারিয়ে যাচ্ছে নিশান এর আদরের মাঝে। নিশান শান্তা কে কোলে তুলে নেয়। শান্তা নিশান এক পা দিয়ে নিশান এর কোমর জড়িয়ে রাখে। আর এক হাত মাথায় আর এক হাত গলায় রাখা।
.
. দুজন বৃষ্টির মধ্যে দাঁড়িয়ে ভিজে যাচ্ছে। শান্তা চোখ খুলে নেশা ভরা চোখে তাকায় নিশান এর দিকে। নিশান এর চোখে তাকিয়ে এবার আরো গভীর ভাবে ডুবে যাচ্ছে। একে একে এগিয়ে যাচ্ছে একে অপরের ঠোঁটের দিকে। একে অপরের ঠোঁটের মাঝে ডুবে যায় দুজন মেতে থাকে দুজনের ঠোঁটের মজা নিতে।

——————

ড্রইং রুমে বসে আছে আকাশ। আর তার সামনে ঠিক জড়ো সড়ো হয়ে বসে আছে আলিয়া। আকাশ এক দৃষ্টিতে দেখে যাচ্ছে তার সামনে বসে থাকা আলিয়া কে যে এই মুহূর্তে মুখ নিচু করে বসে আছে কখনও নিজের গায়ের ওড়না ঠিক করছে তো কখনো ওড়নার কানা নিজের আঙুলের সাথে পেচিয়ে নিচ্ছে। আর মাঝে মাঝে কোনা চোখে সামনে বসে থাকা আকাশ কে দেখে নিচ্ছে। যে তার দিকে তাকিয়ে আছে। আর মাঝে মাঝে মুচকি মুচকি হাসছে।
.
. আকাশ এসেছিল সাঁঝ এর কাছে। তাড়াতাড়ি অফিসে থেকে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য দরকারী কিছু ফাইল নিয়ে বাড়ি এসেছিল। আর এখানে এসেই দেখা হয় আলিয়ার সাথে। যাকে দেখে আকাশের চোখ দাঁড়িয়ে যায়। কোনো কথা বলতে পারেনা। চুপচাপ দেখে যায়। সাঁঝ এখনও বাড়িতে নেই জেনেও শুধু আলিয়া কে দেখার জন্য বসে যায়। বাহনা বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে তাই। এদিকে আশে পাশে কেউ নেই তাই আলিয়া ও উঠে যেতে পারছে না। অপ্রস্তুত হয়ে তাই বসে আছে আকাশের সামনে যে এখনও তাকে হ্যাংলার মত পা থেকে মাথা পর্যন্ত স্ক্যান করে যাচ্ছে।
.
. অন্য দিকে মিউজিক রুমের দরজার আড়ালে থেকে বেদ তার পর সারা তারপরে জাকিয়া আর তার ওপরে ওম মাথা বের করে আকাশ আর আলিয়ার অবস্থা দেখছে। ওম একবার করে সামনে তাকিয়ে আকাশ এর অবস্থা দেখে মুখে চুকচুক করে আওয়াজ করছে আর জাকিয়ার গালে চকাস করে চুমু খাচ্ছে। এদিকে বেদ সব থেকে নিচেই থাকার জন্য সে শুধু সামনের দৃশ্য আর ওম এর চুমু খাওয়ার শব্দ শুনে যাচ্ছে। আহারে বেচারা। বেদের ঘাড়ের ওপরে হাত রেখে সারা ফোনে ভিডিও বানাচ্ছে তার মিষ্টি ভাবি কে দেখানোর জন্য। বেদ এর অসহায় মুখ দেখে একবার কোনা চোখে তার ওপরে দৃশ্য ওম এর চুমু খাওয়া দেখে নিয়ে নিজের মুখ বাড়িয়ে বেদ এর গালে চকাস করে চুমু খায়। যার জন্য বেদ পড়তে গিয়ে ও পড়ে না। আর মুখে ফুটে ওঠে এক চিলতে হাসি বেদ ও মুখ ঘুরিয়ে সারা এর ঠোঁটে আলতো করে চুমু খেয়ে নেয়। আর এক হাত তুলে ওম এর দিকে থামস আপ দেখায়। বেদ সারা ওম জাকিয়া শেষে আলিয়া আর আকাশের প্রেমের ঘন্টা বাজতে দেখে তারা দূরে কেটে পড়েছে আর দূর থেকে ওদের ওপরে নজর রাখছে আর মুচকি মুচকি হাসছে আলিয়া বিব্রত মুখ দেখে।
.
.
.
. 💝💝💝
.
. চলবে…

#তোর_আসক্তি_পাগল_করেছে_আমায়
#Sabiya_Sabu_Sultana(Saba)
#পর্ব_৩১
…স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে বেলা। সামনের দৃশ্য দেখে স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে পড়েছে। চোখ মুখের এক্সপ্রেশন ঠিক বোঝা যাচ্ছে না। না আছে রাগের চিহ্ন আর না আছে কষ্ট দুঃখ যন্ত্রণার কোনো চিহ্ন। পুরোই এক্সপ্রেশনলেস হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। চোখ স্থির। আর মুখ কেমন কঠিন আর ফ্যাকাশে।
.
. সাঁঝ কে জড়িয়ে ধরে দাঁড়িয়ে আছে দিশা। এক হাত মাথায় আর এক হাত গলায় জড়িয়ে রেখেছে। আর সাঁঝ এর হাত দিশার মুখে ধরে রাখা আছে। দুজন কে পিছন থেকে দেখে মনে হচ্ছে দুজন গভীর চুম্বনে মেতে আছে।
.
. বেলা স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। না নড়ার শক্তি পাচ্ছে না মুখ থেকে কোনও আওয়াজ বের করার। বেলা ইউনিভার্সিটি এসেছিল সাঁঝ এর অফিসে সাঁঝ আর সে এক সাথে দুজন লাঞ্চ করবে তাই। কিন্তু কেবিনে ঢুকতেই এই দৃশ্য দেখে দাঁড়িয়ে পড়েছে বেলা। দিশা হঠাৎ মাথা ঘুরাতে বেলা কে দেখে সাঁঝ এর কাছে থেকে ছিটকে সরে যায়। আর চোখ মুখ এর এক্সপ্রেশন কেমন একটা ভাব করে। এক হাত উঠিয়ে ঠোঁট এর ওপরে বোলাতে বোলাতে বেলার পাশ কেটে বেরিয়ে যাওয়ার সময়ে মুখে একটা শয়তানি হাসি দেখা যায়।
.
. বেলা এখনও কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। সাঁঝ বেলা কে দেখে । হটাৎ করে সাঁঝ এর বুকে ধক করে ওঠে বেলার মুখ ও বেলার এক্সপ্রেশন আর মনের ভাব বুঝতে পেরে। তাড়াতাড়ি করে বেলার দিকে এগিয়ে যায় সাঁঝ। দু হাত দিয়ে বেলার কাঁধে হাত দিয়ে বেলা কে নিজের দিকে ঘোরায়। বেলা মুখ ঘুরিয়ে সাঁঝ এর চোখের দিকে তাকিয়ে দেখে। না। চোখের মধ্যে কোনো ভাব ফুটে ওঠেনি কেমন ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে আছে সাঁঝ এর মুখের দিকে। সাঁঝ অসহায় চোখে বেলার দিকে তাকিয়ে আছে। বেলার মুখের দিকে তাকিয়ে কি ভাবছে বুঝতে পারে।
.
–“বেলা জান । তুমি ভুল করেও অন্য কিছু ভাবতে যাবে না। সাঁঝ কেমন একটা গলায় বলে ওঠে।
.
.বেলা কোনো কথা বলে না চুপ চাপ একই ভাবে দেখে যাচ্ছে সাঁঝ কে। সাঁঝ এর কথা শুনে ঘোরের থেকে বেরিয়ে আসে। চোখ ঘুরিয়ে দেখে সাঁঝ কে। হটাৎ সাঁঝ এর গলার কাছে বেলার চোখ আটকে যায়। বেলা হাত উঠিয়ে নিয়ে যায় সাঁঝ এর গলার কাছে। এদিকে সাঁঝ বেলার ভাব বুঝতে পারছে না। হটাৎ করে বেলার এমন করাতে সাঁঝ অবাক হয়ে গেছে বেলার হাতের দিকে তাকাতেই যেনো সাঁঝ এর মাথা ফেটে যাচ্ছে রাগে। সাঁঝ এর গলার কাছে লিপস্টিক লেগে আছে আর তার সাথে শার্ট এর কলারেও। বেলা সেখানে হাত দিয়ে দেখে নিয়ে চোখ তুলে তাকায় সাঁঝ এর মুখের দিকে। যেখানে দেখতে পায় অসহায়ত্ব অনেকটাই আকুতি। আর নিজের জন্য অফুরন্ত ভালোবাসা। হাত উঠিয়ে মুখের কাছে নিতে গেলেই আবার ও চোখের সামনে ভেসে ওঠে একটু আগের দৃশ্য টা। বেলা এক ধাক্কা দিয়ে সাঁঝ কে সরিয়ে দেয় নিজের থেকে। চোখ দুটো হঠাৎ করে পানিতে ভোরে যায়। বিন্দু বিন্দু কেটে চোখ থেকে গড়িয়ে পড়ে।
.
–“জান । আমার কথাটা শোনো প্লিজ। তুমি ভুল ভাবছ। আমাকে প্লিজ বলতে দাও। সাঁঝ বলে ওঠে।
.
. বেলা চোখের পানি মুছে হাতে থাকা প্যাকেট টা টেবিলের ওপরে রেখে ঘুরে বেরিয়ে যায় কেবিন থেকে। পিছনে সাঁঝ অসহায় ভাবে মাথা নাড়ছে। জামার কলার ধরে লিপস্টিক এর দাগের দিকে তাকিয়ে বাঁকা হাসে। তার পর বেরিয়ে যায়।
.
. বেলা কেবিন থেকে বেরোতে দিশা সামনে এসে দাঁড়ায়। মুখে লেগে আছে বাঁকা হাসি। বেলা কে পা থেকে মাথা পর্যন্ত দেখে নিয়ে অসহায় মুখ করে বলে ওঠে।
.
–“আই আম সরি বেলা।
.
–” সামনে থেকে সরে যাও। বেলা কঠিন গলায় বলে ওঠে।
.
–“বেলা প্লিজ । আই আম সরি। এখানে সাঁঝ এর কোনো দোষ নেই ট্রাস্ট মি বেলা। আচ্ছা তোমাদের কি ঝগড়া হয়েছে। বিশ্বাস করো এমন কিছু হোক আমি কখনই চাইনি। আমি তোমাদের থেকে দূরে সরে যাব। তবুও প্লিজ সাঁঝ এর সাথে রাগ করে থেকো না। আসলে সাঁঝ আর আমি ছোটো থেকেই একসাথে আছি তাই আমরা যখন এক সাথে থাকি তখন আমরা অনেকটাই ক্লোজ হয়ে যাই। তখন আমাদের কোনো খেয়াল থাকে না। একে অপরের মাঝে তখন হারিয়ে যাই। আর আজকে ও একটু ক্লোজ হয়ে গেছিলাম। কিন্তু ট্রাস্ট মি বেলা আমি আর সাঁঝ এর কাছে আসব না। কি করব বল সাঁঝ কে দেখলে যেমন আমি কন্ট্রোল করতে পারি না। তেমনই সাঁঝ আমাকে দেখলে কন্ট্রোল করতে পারে না…
.
–” জাস্ট সাট দ্য ফাক আপ । বেলা চিৎকার করে বলে ওঠে দিশা কে পুরো বলতে না দিয়ে।
.
. এদিকে বেলার এমন চিৎকার এর জন্য অফিসের সবাই উঠে দাঁড়িয়ে গেছে সবাই বেলা কে দেখতে আছে এখন। সাঁঝ ও তার কেবিনে থেকে বেরিয়ে এক পা ফেলতে না ফেলতে বেলার চিৎকার শুনে থেমে যায়। চোখ মুখ কুঁচকে ফেলে সাঁঝ। সামনে তাকাতেই সাঁঝ মুখে হাত দিয়ে ঘুরে যায় একবার। কিন্তু সামনে বেলার দিকে এগিয়ে আসতে চেয়েও আসতে পারে না। এদিকে দিশার মুখ হা হয়ে গেছে বেলার মুখে স্ল্যং শুনে।
.
–“হোয়াট ইজ ইউর প্রবলেম হা। হোয়াই কান্ট ইউ কিপ আ ফাকিং ক্লাপ সাট। সিরিয়াসলি ইফ আই ডু সামথিং ওর ইফ আই ডোন্ট ডু এনিথিং ইটস নান অফ ইউর কানশার্ন। নান অফ ইউর করশার্ন। সো জাস্ট সাট দ্য ফাক আপ।
অ্যাকচুয়্যালি হ্যাভ এ বেটার আইডিয়া। ইউ কান্ট কন্ট্রোল ইউরসেল্ফ হোয়েন ইউ সি সাঁঝ। দেন ইউ ক্যান গো টু স্লিপ উইথ সাঁঝ। ইফ সাঁঝ ওয়ান্টস টু স্লিপ উইথ ইউ। দেন ট্রাস্ট মি আই উইল নট স্টপ। জাস্ট গো অ্যান্ড ফাক ইউরসেল্ফ।
.
. সবাই হা হয়ে গেছে বেলার কথা শুনে অফিসের সমস্ত স্টাফ একে অপরের মুখের দিকে তাকিয়ে আবারো বেলার মুখের দিকে দেখছে। এদিকে সাঁঝ এর অবস্থা ও একই রকম এই প্রথম বেলা কে এত টা হাইপার হতে দেখছে। তাও আবার মুখের থেকে শান্তির বাণী ছুটছে। সাঁঝ আর শুনতে না পেরে বেলার কাছে এগিয়ে গিয়ে বেলা কে চুপ করাতে গেলে বেলা সাঁঝ এর কলার ধরে নিজের দিকে টেনে আনে। আগুনে চোখে সাঁঝ এর দিকে তাকায় বেলা। সাঁঝ দু হাত তুলে দেয় সাথে আর সমানে মুখ নাড়িয়ে যায়। বেলার চোখের দিকে তাকালে মনে হচ্ছে এখুনি ভস্ম হয়ে যাবে। সাঁঝ তার দু হাত তুলে নিয়ে বেলার কোমরে রেখে সবার সামনেই বেলার ঠোঁটে আলতো করে চুমু খায়। তার পরেই বেলা কে নিজের সাথে জড়িয়ে তুলে নিয়ে বেরিয়ে চলে যায় অফিসে থেকে। বেলা ছটফট করে নামার জন্য কিন্তু সাঁঝ এতে আরও জোরে চেপে থাকে নিজের সাথে।
.
. এদিকে দিশা এখনও মুখ হ্যাঁ করে দাঁড়িয়ে আছে। বেলার কথা গুলো এখনও সে নিতে পারেনি বেলার কথা শুনে দিশা পুরো আউট ওফ মাইন্ড হয়ে গেছে। ওখানে থাকা সমস্ত স্টাফ এবারে দিশা কে দেখে মুখ টিপে হাসছে। কেউ কেউ দিশা কে টিটকিরি করছে। দিশা এখনও চেয়ে আছে মেইন গেট দিকে যেখানে থেকে সাঁঝ বেলা কে নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে। আসলে দিশা প্ল্যান সাকসেস ফুল করতে চেয়েছিলো যখন দেখেছে বেলার গাড়ি অফিসে বেসমেন্টে ঢুকছে তখনই সে সাঁঝ এর কেবিনে যায়। সাঁঝ এর সাথে কথা বলতে বলতে হঠাৎ করে চোখে কিছু পড়ার অভিনয় করে। আর যার ফলে সাঁঝ জাস্ট দিশার চোখ দেখে দিচ্ছিল।কাহিনী এটাই ছিল। ভুল ভাল কিছু না।
.
. দিশা চারিদিকে চোখ বুলিয়ে দেখে সবাই তার দিকে চেয়ে মুখ টিপে হাসছে। নিজের পা ঠুকে অফিসে থেকে বেরিয়ে আসে।
.
–“এই অপমান এর শোধ আমি নেবো। আমাকে সবার সামনে এই ভাবে অপমান করা তো। দিশা কখনই তার অপমান এর কথা ভুলে যায় না। আর তোর করা কোনো অপমান তো আমি মেনে নেবো না। জাস্ট ওয়েট অ্যান্ড সি। বলে ওঠে দিশা।
.
. দিশা গাড়িতে উঠতে গেলেই হঠাৎ পিছন থেকে আওয়াজ আসায় থেমে যায়।
.
–“মিস দিশা মির্জা। ইউ আর আন্ডারএরেস্ট। ম্যাডি মির্জা খুনের অপরাধে আপনাকে গ্রেপ্তার করা হল। অফিসার বলে ওঠে।
.
–” হোয়াট অফিসার? হোয়াট ডিড ইউ সে? ম্যাডির খুন?আতকে ওঠে দিশা ।
.
–“ইয়েস । অফিসার বলে ওঠে।
.
–” হোয়াট দ্য ফাক। ম্যাডি ইস মাই ব্রাদার। হাও ক্যান আই কিল হার? দিশা যেনো আকাশ থেকে পড়েছে এমন অবস্থা।
.
–” খুন করার পর সবাই একই কথা বলে ম্যাডাম। আপনাকে এখন আমাদের সাথে যেতে হবে। একজন লেডি কনস্টেবল দিশা কে টানতে টানতে নিয়ে যাচ্ছে।

————–

–“আমরা কি এখানে বসে থাকব নাকি? তোমার যদি ইচ্ছা হয় এখানে বসে থাকার তো তুমি বসে থাকো। দরকার হলে দিশা কে কোলে নিয়ে বসে থাকো। আমি আর এক মুহূর্ত তোমার সাথে থাকবো না। বেলা চিৎকার করে বলে ওঠে গাড়ি থেকে নামতে যায়।
.
. এতক্ষণ সাঁঝ বেলা কে মানিয়ে নিয়ে গাড়িতে বসে ছিল অফিসের উল্টো সাইটে। এতক্ষণ ওখানে দিশার সাথে হওয়া সব কিছু গাড়ির ব্যাক মিরর দিয়ে দেখ ছিল সাঁঝ। আর মুখে ছিল হিংস্রতা ঠোঁটে ছিল বাঁকা হাসি।
.
–“আরে আরে বেবি এত রাগ করে না এইতো যাচ্ছি আমরা। বেলার হাত আটকে গাড়ি স্টার্ট দেয় সাঁঝ।
.
–” একদম আমার সাথে লুতুপুতু করতে আসবে না বলে দিলাম। আমি তোমার কোনো কিছু লাগি না। তুমি মনে করো না তোমার এই কিলার ফেস দেখে আমি গোলে যাব। এই সব ওই নটাঙ্কি দিশা কে গিয়ে দেখাও। বেলা ঝাড়ি মেরে বলে ওঠে।
.
–” হুম আমি তাই ভাবছি। সাঁঝ বাঁকা হেসে বলে ওঠে।
.
–“কি বললি তুই? বেলা চিৎকার করে ওঠে।
.
–“আরে কই কি বললাম। আমি তোমার কথাই হ্যাঁ বললাম। এই যে আমার এই কিলার ফেস দেখে তুমি গোলে যাবে না সেটাই তো হ্যাঁ বললাম। আবার তুই তুকারি কেনো। সাঁঝ বেলা কে থামিয়ে বলে ওঠে।
.
. বেলা কোনো কথা না বলে সাইট ফিরে যায়। জানলা দিয়ে বাইরের দৃশ্য দেখতে ব্যস্ত। তার এখন সাঁঝ এর সাথে কোনো কথা বলতে ইচ্ছা করছে না। তার মনের থেকে এখনও রাগ টা যায়নি। সেটা আসতে আসতে এখনও ভিতরে বাসা বেঁধে রয়েছে। তাই এখন সাঁঝ এর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। নাহলে সাঁঝ এই মুখ হাসি দেখলেই বেলা সত্যি সত্যি গোলে একদম কালা ট্যাঙ্কির পানি হয়ে যাবে। বেলা এখন যেটা একদম চায় না।
.
–“আচ্ছা গভর্নমেন্ট লিডার এর বউ এর মুখে থেকে যদি কেউ শোনে যে তাদের লিডার কে তার বউ তুইতুকারি করছে তাহলে মনে হয় তারা সেখানে অজ্ঞান হয়ে যাবে তাই না। সাঁঝ চোখ মুখ ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে বলে ওঠে।
.
. বেলা চোখ গরম করে তাকাতেই সাঁঝ মুখে আঙুল দিয়ে দেয়। কোনা চোখে দেখে বেলা এখনও তার দিকে চেয়ে আছে। অমনি বেলার দিকে ঝুঁকে গিয়ে বেলার গালে চকাস করে একটা চুমু খেয়ে নেয়। সাথে সাথে বেলা গালে হাত দিয়ে ঘুরে যায়। আর এদিকে সাঁঝ মুচকি হেসে গাড়ি ড্রাইভ করতে থাকে।

—————–

–“তোমার সাহস কি করে হলো ওম? তুমি আমার সাথে রিলেশনে থাকার পর ও কি ভাবে ওই মেয়েটার সাথে ওই রকম করতে পারো। জাকিয়া চিৎকার করে বলছে।
.
. সামনে দাঁড়িয়ে আছে ওম মাথায় হাত দিয়ে। ওদের থেকে কিছুটা দূরে সারা বেদ রুহি শান্তা নিশান দাঁড়িয়ে আছে। সব কিছু ওদের মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে হঠাৎ করে এমন কি হল যে শান্ত সৃষ্ট থাকা মেয়ে টা হঠাৎ করে হাইপার হয়ে গেলো।
.
–“তুমি এটা কি করে করতে পারলে বল আমাকে? জাকিয়া কাঁদো কাঁদো ভাবে বলে ওঠে।
.
–” বেবি তুমি ভুল বুঝছ। ওর সাথে আমার কিছুই নেই। আমি শুধু তোমাকেই ভালোবাসি। ওম জাকিয়ার কাছে গিয়ে বলে ওঠে।
.
–“একদম টাচ করবে না আমায়। যদি কিছু না থাকে তাহলে ওই মেয়েটা কেনো তোমায় জড়িয়ে ধরে ছিল আর কেনো বা তোমাকে কিস করলো? বলো আমাকে? জাকিয়া কাঁদতে কাঁদতে বলে ওঠে।
.
–” হোয়াট কিস । সারা আতকে উঠে বলে ওঠে।
.
–“ভাই কে ছিল? কে কিস করেছে তোকে? বেদ ওম এর কাছে এসে ফিস ফিস করে বলে ওঠে।
.
–“ইয়েস কিস করেছে। জড়িয়ে ধরেছে। আবার দাঁত কেলিয়ে হাসছিলো দুজনে। তখন তো আমায় চোখেই দেখতে পাচ্ছিল না আর।
.
–” ভাই এটা কিন্তু ঠিক নয়। জাকিয়ার সাথে থেকেও তুই অন্য মেয়ের থেকে কিস নিচ্ছিস। নিশান মুচকি হেসে বলে ওঠে।
.
–“নিশান মেরা টাইম ভি আয়েগা। তু দেখনা উস দিন তেরা হাল বেহাল হো জায়েগি। নিশান বলে ওঠে।
.
–“এই নিশ কি হয়েছে একটু খুলে বলত। ও কার কিস করার কথা বলছে । রুহি বলে ওঠে।
.
–“আরে ইয়ার মিসা ছিল। তোরা তো জানিস ও কেমন চিপকু টাইপ। শুধু আমাকে কেনো সবাই কে অমন করে। আমরা মলে গিয়েছিলাম ওখানেই দেখা হয়ে গেছে। আর ও যেটা করে সব সময়ে সেটাই ছিল নর্মালি। ওম অসহায় ভাবে বলে ওঠে।
.
–” জাকিয়া বেবি । মিসা ওর কাজিন হয়। আর ও সবার সাথেই অমন করে তাই আর নো নো ক্রাইং ক্রাইং। রুহি বলে ওঠে।
.
–” ইয়েস নো ক্রাইং ক্রাইং ওকে বেবি । বেদ সারা শান্তা নিশান এক সাথে বলে ওঠে।
.
. জাকিয়ার মুখ দেখে সব কয়জন হেসে ওঠে। সাথে জাকিয়া ও। শুধু ওম মুখ ঘুরিয়ে নেয়। এদিকে জাকিয়া ও ওম পিছনে গিয়ে ওম এর মুখ ঘুরিয়ে টুপ করে একটা চুমু খেয়ে দৌড় দেয়। ওম কিছু ক্ষণ চুপ করে থাকে প্রথমে বুঝতে পারে না কি হল। বুঝতে পেরেই সে ও জাকিয়ার পিছনে ছোটে।
.
.
.
. 💝💝💝
.
. চলবে…
.
. ভুল ত্রুটি মার্জনা করবেন রি-চেক করা হয়নি। সবাই নিজেদের মতামত জানাবেন। 😊 😊 😊