তোর রঙে রাঙাবো পর্ব-১১

0
1690

#তোর_রঙে_রাঙাবো
#Part_11_ধামাকা😎
#Writer_NOVA

বর্তমানে আমি ও আমার ভাইয়ু ও তার বন্ধু শরীফ,আবির, রনি বসে আছি পুষ্প ভাবীদের ড্রয়িং রুমে। ভাবী কেন বললাম তা একটু পরে বলছি।আমাদের সামনে এক গাদা খাবার রাখা।নানা রকম পিঠা,ফল,মিষ্টি, বিস্কুট, শরবত আরো নানান কিছু। ভাইয়ু এদিক সেদিক তাকিয়ে পুষ্প ভাবীকে খুঁজছে। আর আমি তার কান্ড দেখে মিটমিট করে হাসছি আর পিঠা খাচ্ছি।ঘটক সাহেব ঘনঘন দাড়িতে হাত বুলিয়ে একের পর এক মিষ্টি গিলে যাচ্ছে। এতক্ষণে নিশ্চয়ই ধরে ফেলেছেন কেন আমরা এখানে এসেছি?আমরা আজকে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে পুষ্প ভাবীদের বাসায় এসেছি। মেয়ে তো আমাদের দেখাই।বিয়ের পাকা কথা দিতেই আসা।তারা যদি ভাইয়ুকে পছন্দ করে তবে কিছু দিনের মধ্যেই আমরা ভাবীকে ঘরে তুলবো।

রনিঃ বড় ভাই, আপনার বিয়েতে কিন্তু আমি পাঁচটা রোস্ট খাবো।আগে থেকে বলে রাখলাম।পরে কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না।

তাসিনঃ চুপ ব্যাটা।মান-ইজ্জত কি নিলামে উঠাবি নাকি।এখন এসব কথা বাদ দে।তোর কথা শুনলে আমার বিয়েটা আর হয়ে উঠবে না।দয়া করে চুপ থাক।পুষ্পর সাথে বিয়ে হলে রোস্টের ডেকচির মধ্যে তোকে বসিয়ে দিবো।তখন যত খুশি খাইস।

শরীফঃ দোস্ত, তুই মনে হচ্ছিস বিষয়টা নিয়ে অনেক হাইপার আছিস।এতো নার্ভাস দেখাচ্ছে কেন তোকে?বারবার টিস্যু দিয়ে মুখ মুছতেছিস।প্রচুর ঘামাচ্ছিস।বিষয়টা কি তোকে দিয়ে মানায় বল?আরে টেনশন নিস না।তারা তোকে পছন্দ করবে।তোর তো আর টাকা-পয়সা কম নেই।

তাসিনঃ টাকা-পয়সা কম নেই মানে?(ভ্রু কুঁচকে)

শরীফঃ না মানে আমি বলতে চেয়েছিলাম যে তোর ছোট একটা নিজস্ব বাড়ি আছে,গাড়ি আছে,ছোট একটা জব করিস।সব দিক থেকে পার্ফেক্ট।এমন ছেলে তারা পাবে কোথায়?(আমতাআমতা করে)

আমিঃ আমার ভাইয়ু কি কোন দিক থেকে কম নাকি যে তারা রিজেক্ট করে দিবে।আর যদি দেয় তাহলে ভাববো তাদের মতো বোকা আর কেউ নেই। তবে তুমি চিন্তা করো না ভাইয়ু।পুষ্প ভাবী তোমারি হবে।তার বাবা-মা রাজী না হলে আমরা পুষ্প ভাবীকে তুলে নিয়ে তোমার সাথে বিয়ে দিবো।

আবিরঃ রাইট বলেছো ছোট বোন।তারা বিয়ে না দিলে আমরা তুলে নিয়ে বিয়ে দিবো।

ঘটকঃ কি তোমারা মেয়ে তুলে নিয়ে যাবা?😳😳

আমিঃ চাচা,চুপচাপ মিষ্টি গিলেন।আমাদের কথায় কান দিতে হবে না।যদি এখানকার কথা কোনভাবে মেয়েপক্ষের কানে যায়,তাহলে চিরজীবনের মতো ঘটকালি ইস্তফা দিতে হবে বলে দিলাম।

ঘটক সাহেব আমার কথা বলতে ভয়ে কয়েকটা শুকনো ঢোক গিললো।তারপর জগ থেকে গ্লাসে পানি ঢেলে এক নিঃশ্বাসে সবটুকু পানি শেষ করে দিলো।আমরা সবাই তার কান্ডে হেসে উঠলাম।আমাদের কে হাসতে দেখে পুষ্প ভাবীর বাবা সিরাজ সাহেব সোফায় বসে জিজ্ঞেস করলেন।

সিরাজঃ কি নিয়ে হাসছো তোমরা?

আবিরঃ তেমন কিছু নয় আঙ্কেল।

সিরাজঃ তোমরা কিছু মুখে দিচ্ছো না কেন?এখনো তো একটা প্লেটও খালি হয়নি।পুষ্প তৈরি হচ্ছে। কিছু সময়ের মধ্যে চলে আসবে।ততক্ষণে তোমরা খাবারের প্লেটগুলো খালি করো।

রনিঃ আপনি খাবার নিয়ে কোন চিন্তা করেন না আঙ্কেল। আমরা যেহেতু আছি এই প্লেটগুলো অবশ্যই খালি হবে।একটা খাবারও বাঁচবে না।

🌺🌺🌺

রনির কথায় সিরাজ সাহেব মুচকি হাসলেন।আবির রনিকে কনুই দিয়ে খোঁচা মেরে দাঁতে দাঁত চেপে নিচুস্বরে বললো।

আবিরঃ তোর মাথার বুদ্ধি-সুদ্ধি কি সব লোপ পেয়েছে রনি?কোথায় কি বলতে হয় তা কি জানিস না?এখন উনি আমাদের কি ভাববে?

রনিঃ যা সত্যি তাই বলছি।আমরা কি কোন প্লেটের খাবার বাঁচিয়ে রাখবো নাকি?

আবিরঃ তুই যদি আরেকটা কথা বলছিস তাহলে তোকে যে আমি কি করবো নিজেও জানি না। (রেগে)

আবিরের রাগ দেখে রনি চুপ হয়ে গেলো।আমি গভীর চোখে তাদেরকে পর্যবেক্ষণ করছি।কিছু সময় পর পুষ্প ভাবীর মা তাকে নিয়ে আমাদের সামনে বসালেন।কালো পাড়ের হালকা বেগুনি রঙের শাড়িতে ভাবীকে খুব সুন্দর লাগছে।মাথায় ঘোমটা,হালকা সাজ, নিচের দিকে তাকিয়ে আছে সে।মুখটা তার গম্ভীর করে রাখা।ভাইয়ু বারবার আড়চোখে তার দিকে তাকাচ্ছে। আমি ভাইয়ুর কানের কাছে গিয়ে ফিসফিস করে বললাম।

আমিঃ হয়েছে এতো লজ্জা পেয়ে লুকিয়ে লুকিয়ে দেখতে হবে না।কিছু দিন পর সে তোমারি হবে।তখন মন ভরে দেখো।তুমি এমন মেয়েদের মতো লজ্জা পেয়ে নার্ভাস হচ্ছো কেন?তোমার সাথে এটা যায় না।

তাসিনঃ বলদ আমি লজ্জা পাচ্ছি না।নার্ভাস হচ্ছি এটা ঠিক।দেখ,পুষ্পর মুখটা কি গম্ভীর? ওকে না জানিয়ে আসাটা কি ঠিক হয়েছে? এর ফল কিন্তু আমাকেই ভোগ করতে হবে। যদি ও রাগ করে আমাকে বিয়ে করতে মানা করে দেই।তখন কি হবে আমার?

আমিঃ এতো প্যারা নিয়ো না। যাস্ট চিল কর।আমরা তো ভাবীকে সারপ্রাইজ দিতে না জানিয়ে চলে এসেছি। ভাবী যদি এই মুহুর্তে আমাদের দেখে তাহলে তার অবস্থাটা কি হবে একটু ভেবে দেখো তো?অনেক বড় একটা সারপ্রাইজ পাবে।তুমি চুপ করে বসে থাকো।যা করার আমি করছি।

পুষ্পকে যে আজ তাসিন দেখতে আসবে তা সে জানে না।ওকে সারপ্রাইজ দিতে সবাই মিলে প্ল্যান করে এমনটা করেছে।পুষ্প বেচারী তো সকাল থেকে কান্না করে বন্যা বানিয়ে ফেলছে। তাসিনকে কল করে জানিয়েছে যে ওকে আজ দেখতে আসবে।কিন্তু তাসিনের কথা শুনে তাকে নিরাশ হতে হয়েছে। তাসিন বলেছে, দেখতে আসলে তো আর বিয়ে হয়ে যাচ্ছে না। এমন উত্তর পুষ্প আশা করেনি।যার কারণে রেগে মোবাইল বন্ধ করে ইচ্ছে মতো কেঁদেছে।এখন তাসিনকে নিজের চোখের সামনে দেখলে কিরকম রিয়েক্ট করবে তা দেখার পালা।

আমি মিটমিট করে হেসে পুষ্প ভাবীকে বললাম।

আমিঃ ভাবী মুখটা একটু উঁচু করুন।নয়তো আমারা দেখবো কি করে?আমার ভাই তো সেই কখন থেকে চাতক পাখির মতো আপনার আশায় বসে আছে।

গলার স্বরটা চেনা লাগায় পুষ্প চট করে মাথাটা নিচের দিক থেকে তুললো।তুলে রাই, তাসিন ও তার বন্ধুদের বসে থাকতে দেখে চোখ দুটো রসগোল্লা করে ফেললো।তার মুখের রিয়েকশন দেখে সবাই ফিক করে হেসে উঠলো।পুষ্প চোখ দুটো ছোট করে তাসিনের দিকে একটা খাইয়া ফালামু লুক দিলো।যার মানে হলো আমাকে না জানিয়ে কাজটা করা তোমার ঠিক হয়নি।এই জন্য তুমি কোন রিয়েকশন করোনি।তোমাকে একা পেলে খবর আছে। পুষ্পর মনের ভাব টের পেয়ে তাসিন চোখের ইশারায় মাফ চাইতে লাগলো। কিন্তু পুষ্প মুখ ফুলিয়ে অন্য দিকে ঘুরে রইলো।এবার পুষ্পর রাগ ভাঙতে তাসিনের দফারফা হয়ে যাবে।

🌺🌺🌺

ধীরে ধীরে চোখ খুলতেই নিজেকে অন্ধকারে আবিষ্কার করলো সোবহান চৌধুরী।মাথাটা বড্ড ঝিম ঝিম করছে।মাথা হালকা একটু নাড়াতেই আহ্ করে শব্দ করলো।ঘাড়ের দিকে রগে টান খাচ্ছে। বারিটা খুব জোরেই লেগেছে।হাত-পা বাঁধা থাকায় ব্যাথার জায়গাটায় ধরতে পারলো না। আস্তে আস্তে বোধ শক্তি ফিরে আসতেই অসহ্য ব্যাথা আরম্ভ হয়েছে।

ভূমি অফিস থেকে ফেরার পথে তার গাড়ি কিছু কালো পোশাকধারী লোক আটকে ফেলে।সামনে এসে তাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে নিয়ে আসতে চায়।তার ড্রাইভার লোকদের আটকাতে গেলে তাকেও মারধর করে।পেছন থেকে একজন সোবহান চৌধুরীর মাথার পেছন দিকে জোরে রড দিয়ে আঘাত করে।মাথায় হাত দিয়ে তিনি অজ্ঞান হয়ে পরে যায়।তারপর চোখ খুলে এখন নিজেকে অন্ধকারে আবিষ্কার করে।

কিছু সময় পর সারিবদ্ধ ভাবে একের পর এক লাইট জ্বলে উঠে। লাইটের শেষ প্রান্তে একটা ছায়ামূর্তি দেখা যাচ্ছে। ধীরে ধীরে তা চোখের সামনে আসছে।সোবহান সাহেব চোখে ঘোলাটে দেখায় মাথাটা বেশ কয়েকবার ঝাড়া মারে।দুটো ছেলে এসে তার সামনে দাঁড়ায়। একজন মাফিয়া কিং তার পেছনে হাসিব।হাসিবের পেছনে অনেকগুলো কালো কোট-প্যান্ট ও কালো সানগ্লাস পরিহিত গার্ড।ছেলেটা মৃদু হেসে হাসিবকে বললো।

—- কি রে হাসিব, চৌধুরী সাহেবের খাতির-যত্ন করিস নি।তার মুখটা এতো উজ্জ্বল দেখাচ্ছে কেন?আদর যত্ন করলে তো অনেক লাল দাগ দেখা যেতো।

হাসিবঃ চৌধুরী সাহেব দুপুর থেকে অজ্ঞান ছিলো।সবে মাত্র জ্ঞান ফিরেছে।অজ্ঞান মানুষকে মারতে মজা লাগে না। মনে হয় মরা মানুষকে মারছি।তাই কিছুই করি নি।ভেবেছিলাম ঘন্টাখানিকের মধ্যে জ্ঞান আসলে ইচ্ছে মতো খাতির করবো।কিন্তু শালায় সেই যে দুপুর একটায় অজ্ঞান হলো জ্ঞান ফিরলো পুরো রাত একটায়।

হাসিবের কথায় সোবহান চৌধুরীর টনক নড়লো।পাক্কা ১২ ঘন্টা সে অজ্ঞান ছিলো।একটা গার্ড দৌড়ে গিয়ে ছেলেটার জন্য একটা চেয়ার এনে দিলো।ছেলেটা আরাম করে চেয়ারে বসলো।আর হাসিব চেয়ারের পেছন দিক ধরে দাঁড়িয়ে রইলো।হাসিবের পেছনে পুরো দল।অন্য দিনের তুলনায় আজ ছেলেটাকে ভীষণ সুন্দর লাগছে।কালো কোর্ট-প্যান্ট, ভেতরে সাদা শার্টের সাথে নীল টাই।চুলগুলো এলোমেলো করে সেট করা।হাসিবের পরনে কালো ব্লেজার ও কালো প্যান্ট,ব্লেজারের সামনের দিকের বোতামগুলো খোলা।ভেতরে সুরমা কালারের শার্টের সাথে লাল টাই।এক হাতে কালো টুপি ধরে রেখেছে। আরেক হাতে তার বসের চেয়ার।গলার দুই সাইডে হালকা বাঙ্গি কালারের মাফলার ফেলে রাখা।ওর চুলগুলো পেছন দিকে উল্টিয়ে জেল দিয়ে সেট করে রেখেছে।

সোবহানঃ কে তোমরা?কি চাই তোমাদের? আমাকে এখানে আটকে রেখেছো কেন?আমার বড় ছেলে জানতে পারলে একটাও জ্যন্ত থাকবে না।

হাসিবঃ তার জন্য তো আপনাকেও জীবিত থাকতে হবে।আপনি জীবিত না থাকলে আপনার বড় ছেলে খবর পাবে কি করে? যে তার বাবা কোথায় আছে?

সোবহানঃ কি বলতে চাইছো তোমরা?ভালোয় ভালোয় বলছি আমাকে ছেড়ে দেও।নয়তো তোমাদের জন্য অনেক খারাপ হয়ে যাবে।

কাঁপা কাঁপা কন্ঠে কথাগুলো বললেও সেগুলোতে কোন ভয় পেলো না হাসিব ও তার বস।ছেলেটা পায়ের ওপর পা তুলে দুই হাত গুঁজে বসলো।তারপর বেশ কয়েকবার হাই তুললো।যাতে বোঝা যাচ্ছে সে এই কথাকে কোন পাত্তা দেয় না।শান্ত কন্ঠে তার দিকে তাকিয়ে বাঁকা হেসে বাচ্চাদের সুর করে বাচাদের মতো করে বললো।

—- কেমন আছো সোবহান চাচ্চু।শুনলাম আমাকে নাকি খুঁজছো তুমি। তাই তোমার সাথে দেখা করতে চলে এলাম।কিন্তু তুমি তো আসতে চাইছিলে না।তাই তোমাকে জোর করে তুলে আনতে হলো।এটা কি ঠিক হলো বলো চাচ্চু।আমার ভালো চাচ্চুটাকে কষ্ট দিয়ে আনতে হলো।অনেক কষ্ট হয়েছে তোমার তাই না চাচ্চু।চিন্তা করো না তুমি। তোমার ভাতিজা চলে এসেছে। এবার তোমার সব কষ্ট শেষ করে দিবে।

সোবহানঃ কে কে কে তুমি?এভাবে বাচ্চাদের মতো করে কথা বলছো কেন?আমাকে ছেড়ে দেও বলছি।নিজের জীবনের মায়া থাকলে ছেড়ে দেও।

হাসিবঃ ভাই,বেশি কথা বলছে।বারবার এক কথা শুনতে বিরক্ত লাগে।নতুন কিছু বলতে বলেন।

ছেলেটা হাসিবের দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে সোবহান চৌধুরীকে বললো।

—- এতো খুঁজলেন আর আমি নিজে এসে ধরা দিলাম বলে এত কথা।কোথায় দলিল দিন সই করে দেই।সাথে করে আনতে ভুলে গেছেন নাকি।টাকা-সম্পত্তির লোভে নিজের বন্ধু ও তার স্ত্রী কে মারলেন।তার দুই সন্তানকে এতিম করলেন।আর তার ছেলেকে চিনতে পারছেন না।আমাদেরও তো খুঁজেছিলেন অনেক।কিন্তু আফসোস পাননি।আমার বোনকে তুলে আনার জন্য পরিকল্পনা করলেন।যাতে আমাকে দিয়ে অনায়াসে দলিলে সই করতে পারেন।আর আমাকেই ভুলে গেলেন।আমার কোন ছবি জোগাড় করেননি?নিশ্চয়ই করেননি।করলে তো এতক্ষণে চিনে ফেলতেন।সো স্যাড চাচ্চু।এমন একটা দিনে আপনার সাথে আমার দেখা হলো যে সেই দিনই আপনার শেষ দিন হয়ে গেলো।ওহ্ সরি রাত হবে।

সোবাহানঃ তততততততুমমমমি?(ভয়ে ভয়ে)

—- ইয়েস আই এম।আপনার বন্ধু সৈয়দ জয়নাল আবেদীনের একমাত্র ছেলে আহনাফ আবেদিন তাসিন। সাথে আরেকটা পরিচয় আছে।সেটা কি জানেন?নাকি বলে দিতে হবে।আচ্ছা আমি বলেই দেই।দ্যা মাফিয়া কিং তাসিন😎।

#চলবে