দীর্ঘ রজনী পর্ব-০৮

0
307

গল্পের নাম:#দীর্ঘ_রজনী।
লেখনীতে:#সাদিয়া_আফরোজ।
পর্ব:৮
,
,
,
,
,
,
পুরো রাত জেগে কাজ কমপ্লিট করলো সাদ। নিজের সাথে আরো কয়েকজনের ঘুম হা*রা*ম করে চেয়ারে গা এলিয়ে ঘড়ির দিকে তাকলো। ঘড়িতে তখন সাড়ে চারটা। চোখ বুজে স্বস্থির নিঃশ্বাস ফেললো।
____

সকালে সাজিকে পরীক্ষা কেন্দ্রে ড্রপ করে দিয়ে সোজা অফিসে চলে গেলো সাদ। কনফারেন্স রুমে মিটিং এরেন্জ করা হয়েছে। সাদ কনফারেন্স রুমে সবাইকে আসতে বলে নিজেই কেবিনে বসে রইল।
এই দিকে রায়হান নিজের মাথা নিজে ফা*টা*নোর উপক্রম।

সাদ প্রায় মিনিট বিশেক পর বিন্দাস হয়ে হেলে দুলে কনফারেন্স রুমে প্রবেশ করলো।

রায়হান AK কম্পানির এমডির দিকে তাকিয়ে দুঃখজনক হাসি হাসলো। এমডি রাগে গজগজ করছে।

সাদ ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে নিজেদের প্রোজেক্ট পুরোটা ডিসক্রাইভ করতে লাগলো।
সাদের এই হেয়ালিপনা দেখে দরদর করে ঘামছে রায়হান। স্যার কি করছে এইটা! ম্যানেজারের বাচ্চা এতক্ষণে ওই খা*টা*সের বাচ্চা চেয়ারম্যানকে সব বলে দিয়েছে নিশ্চই! হে আল্লাহ বাঁচাও।

এই দিকে ম্যানেজার বাঁকা হেসে মোবাইল নাড়াচাড়া করছে।

সাদ পুরো প্রোজেক্ট হেয়ালিপনা দিয়ে বুঝানোর পর ধপ করে চেয়ারে বসে পড়লো। দুই আঙ্গুলের মধ্যে কলম ঘুরিয়ে টেবিলে রাখলো। রায়হান সাদের কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিসফিস করে বললো,, স্যার কি করছেন?

সাদ দুই ভ্রু নাচিয়ে ফিসফিসিয়ে বললো,, পোলাইটলি ডিল ছেড়ে দিচ্ছি। মুখের উপর মিটিং ক্যানসেল করলে খারাপ দেখাবে।

রায়হান কাশতে কাশতে সোজা হয়ে দাঁড়ালো।

সাদ AK কম্পানির এমডিকে উদ্দেশ্য করে বলল,, তা মিস্টার নাইম ডিল ফাইনাল করবেন?

নায়িম জোর পূর্বক হেসে বলল,, অফকস হোয়াই নট!

সাদ দুই আঙ্গুল দিয়ে কপাল ঘষতে ঘষতে বলল,, সাইন করার আগে পেপার পড়ে নিন। এর পর ভেবে বলবেন।

নাইম পেপার পড়ে হাত মুঠ করে ফেললো। পেপার খুবই স্পষ্ট করে লেখা আছে, ইনভেস্ট করার পর সকল প্রকার সমস্যা কিংবা লোকসান হলে সব কিছুর দায়ভার AK কম্পানি বহন করবে।

সাদ বাঁকা হেসে বলল,, চলুন ডিল ফাইনাল করি।

নাইম দাঁতে দাঁত চেপে বললো,, হোয়াট ইজ দিস মিস্টার সাদ?

সাদ সোজা হয়ে বসলো, বোতলের ঢাকনা খুলে পানি পান করে বোতল টেবিলের উপর রেখে রায়হানের দিকে ঢাকনা দিয়ে বললো,, রায়হান বোতলের ঢাকনা লাগাও তো,আমি পারছি না।
রায়হান ঢাকনা তড়িৎ গতিতে হাতে নিয়ে বোতলে আটকালো।

নাইম রেগে টেবিলে হাত থা*ব*ড়ে বললো,, আর ইউ ম্যাড অর হোয়াট?

সাদ বাঁকা হাসলো,
,, মিস্টার নাইম ! আমার সামনে গলা উঁচু করে কথা বললেই আমার মেজাজ বি*গ*ড়ে যায়। সেখানে আপনি হাত থা*ব ড়ে কথা বলছেন! ভেরি ইম্প্রেসিভ।
সাদ এক ভ্রু উঁচিয়ে পুনরায় বললো,,আপনি জানেন আপনার অবস্থা টাইটানিক জাহাজের মতো হয়ে আছে, তাও এতো তেজ কোথা থেকে আসে?

নাইম দাঁতে দাঁত চেপে বললো,, কি বলতে চাইছেন?

,, খুব সহজ একটা কথাই বলতে চাইছি।
বোতলের ঢাকনা লাগানো খুবই সহজ কাজ, কিন্তু আমি সেটা আমার পিএকে দিয়ে কেন করাচ্ছি!
কি বোকার মতো কাজ তাইনা?

এইটা কেউ দেখলে আমাকে বলবে আমি ঘাস খেয়ে একটা কম্পানির এমডি পদে দায়িত্ব পালন করছি। আসলে কি বলুন তো! এই দুইদিন আপনার মতো লোকের কথা ভাবতে ভাবতে আমিও আপনার মতো হয়ে গেছি। পুরাই ব্রেইন লেস ফেলো।
তা না হলে ভেবে দেখুন না! আপনাদের কম্পানির সাথে মিটিং ফিক্সড করি? তাও আবার এতো বাকোয়াছ বাজেট নিয়ে!
যেখানে আপনার কোম্পানীর অবস্থা খা*রাপের চাইতেও খারাপ।
তার উপর যেখানে কম্পানির পেছনে আমার ছোটাছুটি করার কথা, সেখানে আপনারা ছুটছেন। আমার কম্পানিতে ইনভেস্ট করার এতো সখ যে লোন নিয়েছেন তার উপর নিজের বাড়ি বিক্রি করে ইনভেস্ট করছেন? ও মায় গড এতো ভালোবাসা? সে যাইহোক এই ভালোবাসার জন্য মিথ্যা তথ্য দেয়ার অপরাধটা ক্ষমা করে দিলাম।

নাইম রেগে উঠে দাঁড়ালো। তার সাথে তার পিএ আর ম্যানেজারও দাঁড়িয়ে গেলো। তাদের অবস্থা যু*দ্ধে*র ময়দান থেকে পা*লি*য়ে যাওয়া সিপাহীর মতো হয়ে আছে।

সাদ গুরুত্ব সহকারে ফাইল দেখতে দেখতে বললো,, এখনো সময় আছে। চলুন ডিলটা সাইন করেই ফেলি।

এতো অপমানের পর ডিল তো দুরের কথা কেউ মুখ ওবদি দেখাতে চাইবে না। তাই নাইম রেগে হনহন করে বেরিয়ে গেল। তার সাথে বেরিয়ে গেলো তার দুই সিপাহী।

রায়হান মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে সাদের দিকে তাকিয়ে আছে। ম্যানেজার নিজেও অবাক। তবে সেটা চেহারায় ফুটিয়ে তুলতে নারাজ। এতো চাল চেলেও ঠিক ফল পেলো না সে। তার সব চালের উপর সাদের ছোট একটা চালও ভারী পড়বে। তাই উঠে নিজের কেবিনে চলে গেল।

সাদ রায়হানের তাকানো দেখে গলা খাকিয়ে বললো,, এইভাবে তাকাচ্ছো কেন? অড লাগছে। চোখ ঠিক করো।

,, লাগলে লাগুক। তবে আজ আমি আপনার উপর ফিদা স্যার। মেয়ে হলে হাত ধুয়ে আপনার পেছনে পড়ে যেতাম। প্রয়োজনে কিডন্যাপ করে কাজি অফিসে নিয়ে যেতাম।

সাদ গলার টাইয়ের নট ঢিলে করে বিড়বিড় করে বলে উঠলো,, যার এমন করার কথা সেই পাত্তা দিচ্ছে না।

,, কিছু বললেন স্যার?

রায়হানের কথায় হকচকিয়ে গিয়ে বললো,, হুম! চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলতে হবে । সেটাই বলছিলাম। তুমি বরং ফাইল গুলো একবার চেক করে আমার কেভিনে নিয়ে এসো। আর হ্যা! এই AK কম্পানির সাথে আমাদের কম্পানির কোনো সম্পর্ক যেন না থাকে।

,, ঠিক আছে স্যার।

সাদ কেবিনে ঢুকে চেয়ারে গা এলিয়ে দিলো। কপালে হাত রেখে রাতের কথা ভাবছে। AK কোম্পানির ডিটেল্স বের করা সাথে চেয়ারম্যানকেও ঠিক করা সব মিলিয়ে একটা রাত নির্ঘুম পার করা। আপাতত চোখ বুঝলেই যেন শান্তি। এই ব্যাস্ততম জিবনে একরত্তি সুখ চায় সাদ। কিন্তু বাবার মৃ*ত্যু*র পর পরই জিবনটাত কোলাহল বেড়ে গেলো। প্রতিটা পদে ভ’য়ং’ক’র সব পরীক্ষা দিতে হয়েছিল তাকে। সেই পরীক্ষা গুলো থেকে শিখেছে আপন,আর পর শব্দের পার্থক্য।

সাদ এখন বুঝতে পারছে তার বাবা ঠিক কি ভাবে সামলাতো সবটা। কাজে সময় দিতে দিতে নিজের খেয়াল ওবদি রাখতো না। শুধু টাকার পেছনে ছুটেছে, নিজের শ্রম দিয়ে উপার্জন করে সবাইকে মাথা উঁচু করে বাঁ*চা*র রাস্তা করে দিয়েছে।
নিজের বউ ,বাচ্চার থেকেও আত্মীয় স্বজনের জন্য করেছে বেশি। কিন্তু দিন শেষে তু*চ্ছ তা*চ্ছিল্য ছাড়া কিছুই পায়নি সেই তথাকথিত আত্মীয় স্বজনের কাছ থেকে।

সাদের চোখের কোনে জমে থাকা জল গড়িয়ে পড়লো। মনে পড়ে গেল সেই দিনের কথা, যেই দিন সাদের বাবা মা*রা গেছিলো। ঘুমের মধ্যেই ব্রে*ন স্ট্রো,ক করে মা*রা গেছিলো। সবাই তার বাবাকে দেখতে এসেছে কম , বরং তার মাকে বাবার মৃ*ত্যুর জন্য দায়ী করতেই এসেছিল বেশি।
স্বামী ভক্ত স্ত্রীকে তার স্বামীর মৃ*ত্যু*র জন্যই দায়ী করে গেছিলো সবাই। একজন স্ত্রী, যে সবে মাত্র তার সর্বস্ব হারিয়ে বিছানায় পড়ে আছে তাকে ওবদি ছা*ড়ে*নি ওই মানুষ গুলো।

একেতো বাবার মৃ*ত্যু দ্বিতীয়ত তার মায়ের উপর লাগা অপবাদ সব মিলিয়ে বি*ভৎ*স দিন ছিল সাদের জন্য। সেই বি*ভৎ*স সময়টাতে তার পাশে বন্ধু কিংবা বাবার প্রতিচ্ছবি হয়ে দাঁড়িয়েছিলো জুবায়ের। সেই দিন গুলোতে ছোট মামা নামক মানুষটা না থাকলে যে কি হতো তা ভেবে পায় না সাদ। দীর্ঘ শ্বাস ফেলে চোখ মুছে নিলো।

মোবাইল বের করে সময় দেখে গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট গুলোতে চোখ বুলিয়ে নিলো। এর মধ্যে রায়হান কিছু ফাইল এনে সাইন করিয়ে পুনরায় বেরিয়ে পড়লো।

সাদ আসফাস করতে করতে চেয়ার ছেড়ে কোট গায়ে দিয়ে মোবাইল নিয়ে বেরিয়ে পড়লো। আপাতত তার একরত্তি শান্তি দরকার। সেই শান্তি খুঁজতে বেরিয়ে পড়লো।

সাদের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রায়হান তপ্ত নিঃশ্বাস ফেলে মনে মনে বললো,, আর কতকাল এইভাবে নিজেকে আড়াল করে রাখবেন স্যার! এইবারতো সেই রমনিকে বুঝতে দিন আপনার তাকে ঠিক কতটা প্রয়োজন।

____________

গাড়িতে বসে বার বার সময় দেখছে সাদ। ছুটি হতে আরো বিশ মিনিট বাকি আছে। গাড়ির স্টেয়ারিংএ ঘু*সি মে*রে দাঁত কিড়মিড় করে বললো,সময় যাচ্ছে না কেন!! রাগে কোট টাই খুলে গাড়ির পেছনে ছুড়ে মারলো। শার্টের হাতা গুটিয়ে গাড়ি থেকে বেরিয়ে রায়হানকে কল দিয়ে জরুরি তলব করলো।

রায়হান বেচারা বুঝতে পেরে গেছে আজ তার তেরোটা বাজবে। তাড়াতাড়ি উবার ডেকে বেরিয়ে পড়লো। আপাতত ম্যামের কলেজের সামনেই তার লোকেশন সেট করা।

সাদ গাড়ির ব্যাক সিটে বসে আছে। ড্রাইভিং সিটটা আজ রায়হানকে দেওয়া হয়েছে। সাদ ঘড়ি দেখে সামনে তাকায়।

সাজি হাঁসি মুখে হেলে দুলে আসছে। ঠোঁটে লেগে থাকা চওড়া হাসি বলে দিচ্ছে আজ তার পরীক্ষা ফাটাফাটি রকমের ভালো হয়েছে।

সাজি আসছে দেখে রায়হান মাথা নিচু করে হাসলো। স্যারে নীড় এলো বলে।

গাড়ির ভেতরে উঁকি মেরে রায়হানকে দেখে মুখ বেঁকিয়ে বললো সাজি,, কি ব্যাপার! চেলা এসে গেছে কিন্তু আজ গুন্ডা কই গেলো? রায়হান ভাই! সত্যি করে বলেন ঘটনা কি?

রায়হান ঠোঁট কামড়ে হাসি আটকাতে ব্যাস্ত।

,,”চেলা আজ ড্রাইভ করবে তাই সামনে বসেছে। আপাতত গুন্ডা পেছনের সিটে বসেছে। তাকে দেখতে হলে আপনাকে পেছনের সিটে এসে বসতে হবে ম্যাম।” দাঁতে দাঁত চেপে চিবিয়ে চিবিয়ে বললো সাদ।

সাদের গলা শুনতেই পেছনের সিটের দিকে তাকিয়ে জমে গেলো সাজি। যেখানে বাঘের ভয় সেখানেই সন্ধ্যা হয়। ঢোক গিলে রায়হানের দিকে অসহায় দৃষ্টি ফেললো।

রায়হান ইশারায় বুঝালো”ভ’য়ং’ক’র রেগে আছে। তাড়াতাড়ি উঠে বসুন।”

সাজি কাঁদো কাঁদো মুখ করে পেছনের সিটে বসে পড়লো। সাদের দিকে তাকানোর সাহস তার নেই। তাই হাতের নখ দেখছে ।
*

,,” শোনো রায়হান বেশি তাড়াহুড়ো করে গাড়ি চালানোর দরকার নেই আস্তেধীরে চালাবে। আমি এখন ঘুমাবো । বাই এনি চান্স তোমার জন্য যদি আমার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে, তো ম্যানেজার আর তোমাকে দুটোকেই একসাথে নর্দমার পানিতে ডু*বি*য়ে মা*র*বো।

সাদের কথায় রায়হান বুঝে গেলো তাকে কি করতে হবে। কিন্তু সাজি ভয়ে ভয়ে হাত-পা কাঁপা কাঁপি অবস্থা।

সাদ পায়ের জুতা মোজা খুলে নিলো। অতঃপর সাজির কোলে মাথা রেখে গুটিসুটি মে*রে সুয়ে পড়লো।

সাদের এমন‌ কাজে চমকে উঠলো সাজি। হৃদস্পন্দন তড়িৎ গতিতে বেড়ে গেছে। ঢিবঢিব শব্দ বাইরে ওবদি শুনা যাচ্ছে। হয়তো সাদ ভাইও শুনে ফেলছে! অস্বস্তিতে নড়েচড়ে সাদের মাথা সরাতে গেলেই ধমকে উঠলো সাদ।

,, আর একবার নড়াচড়া করবি থা*প্প*ড় মে রে দাঁত ফে*লে দিবো। তোর জন্য আমি কাল থেকে আজ ওবদি ঘুমোতে পারিনি। তাই আমার ঘুম না হওয়া ওবদি বসে থাকবি। আর হ্যা !এইটা একটু আগে করা অপরাধের শাস্তি। শুধু নড়ে দেখ তোকেও রায়হানের সাথে ডু*বি*য়ে মা*রবো।

রায়হান মুখ টিপে হেসে গাড়ি স্টার্ট দিলো। তার স্যার সুধরাবে না। খামোখা মাসুম মেয়েটাকে ভয় দেখাচ্ছে। যা বলে তা করতে গেলে সবার আগে নিজেই হা*র্ট ফে*ইল করবে।

সাদের ধমক শুনে সোজা হয়ে বসে আছে সাজি। লোকটাকে তার চিনতে বাকি নেই।যা বলে তা করেই দম নিবে। আপাতত চুপ থাকাই শ্রেয়। নয়তো থা*প্প*ড় খেয়ে নর্দমায় পড়তে হবে।
হাত গুটিয়ে বাইরের দিকে চোখ রাখলো সাজি। মনে মনে ঠিক করে নিয়েছে তাকাবে না এই লোকটার দিকে।

সাদ চোখ বুজে তপ্ত নিঃশ্বাস ফেলে কোমলমতি গলায় বলল,, প্লিজ সাজঁবাতি মাথায় হাত বুলিয়ে দেনা একটু, প্রচন্ড ব্যাথ্যা করছে। একটু ঘুম দরকার।

চমকালো সাজি। চমকে উঠে সাদের দিকে তাকালো। চেহারা মলিন হয়ে আছে। সাদ ভাইয়ের এমন গলা শুনে বুকটা ধ*ক করে উঠল।রাগী গম্ভীর লোকটা ভালো নেই। কি হয়েছে তার? আজ হঠাৎ এমন আচরণ? এই ভাবে তাকে একটুও মানায় না। অদ্ভুত খা*রাপ লাগা ঘিরে ধরলো সাজিকে। তার খারাপ লাগার সাথে সাদ ভাইয়ের এই কোমলমতি গলায় করা আবদার ওতোপ্রতো ভাবে জড়িত।

আলগোছে সাদের মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে লাগলো সাজি। সাদের মুখের আদলে তাকিয়ে এক অদ্ভুত মায়া অনুভব করলো। টেনে নিঃশ্বাস নিয়ে মনে মনে বলে উঠলো,, সুস্থ হয়ে উঠুন সাদ ভাই। আপনাকে এইভাবে মোটেও ভালো লাগছেনা। তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুন।

ইনশাআল্লাহ চলবে,,,