দুই_হৃদয়ে_সন্ধি পর্ব-০২

0
251

#দুই_হৃদয়ে_সন্ধি
#পর্বঃ২
#Nova_Rahman

পূর্বদিগন্তে আলো ছড়িয়ে সূর্যের রথ আকাশ পরিক্রমায় বের হয়ে পড়েছে। চারদিকে কাজ কর্মে মানুষ ব্যস্ত হয়ে উঠলো। সেহেরি খেয়ে ফযরের নামাজ শেষ করে জায়নামাজেই ঘুমিয়ে পড়ে তরু।
এলামের কর্কশ শব্দে ঘুম ভাঙল তরুর। হাত বাড়িয়ে বন্ধ করল সেটা। পিটপিটিয়ে চোখ মেলে তাকাল দেয়াল ঘড়ির দিকে। দশটা নয় বাজে। জায়নামাজেই লেটকা মেরে কিছুক্ষণ পড়ে রইল। ঘুমের রেশ এখনও কাটেনি। ধীরে ধীরে শুয়া থেকে উঠে বসলো। মাথাটা এখনও বারি বারি লাগছে। ওয়াশ রুমে ঢুকে প্রায় ৩০ মিনিট সময় নিয়ে ফ্রেশ হলো। ড্রেসিং টেবিলের সামনে বসে একটা চিরুনি নিয়ে মাথা আঁচড়াতে লাগলো তরু। কালকের ঘটনার কথা মনে পড়তেই রাগে তরতর করে কাঁপতে লাগলো তরু।______

ফ্লাশব্যাক__

তরু এক মনে দোয়া দুরুদ পাঠ করছিল। এইবারের মতো আল্লাহ তুমি রক্ষা করো। আর জিন্দিগিতেও মেডিকেলের সামনে এসে রং ঢং করবো না। অতিরিক্ত ভয়ের জন্য ভুলবাল দোয়া পাঠ করতে লাগলো। কান্না থামবার কোনো নাম গন্ধই নেই।
রোদ তার হাত ঘড়ির দিকে এক নজরে তাকিয়ে রইল। আর মাত্র পাঁচ সেকেন্ড। পাঁচ সেকেন্ড পরেই রোদের ডেয়ার কমপ্লিট হয়ে যাবে। টইম ইজ ওভার বলেই রোদ লাফিয়ে উঠে। রোদকে লাফাতে দেখে পাশের কয়টা দোকান থেকে এপ্রোন পড়া অনেক গুলো ছেলে মেয়ে বেড়িয়ে আসে।

এক সাথে এতোগুলো ছেলে মেয়েকে দেখে তরুর কান্না থেমে যায়। পাশ থেকে একটা ছেলে রোদের পিঠে চাপড় মেরে বলতে লাগলো। কী মামা, ডিয়ার তো জিতে গেলে। এবার কিন্তু আমাদের ট্রিট চাই। সবাই এক সাথে হইহই করে উঠলো। রোদ সবাইকে হাতের ইশারায় থামিয়ে দিল। আমি কেনো তদের ট্রিট দিব? আমি ডিয়ার জিতেছি সেই হিসাবে তরা সবাই আমাকে ট্রিট দিবি। বিনা টাকায় বিনা টিকিটে আমি তদের সার্কাস দেখালাম। সেই হিসাবে ট্রিট টা কার প্রাপ্য আমার।

‘ হতভম্ব হয়ে পড়লো তরু। সবকিছু মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে। তরুকে এমন ভাবলেশহীন ভাবে তাকিয়ে তাকতে দেখে রোদ হাসলো। প্যান্টের পকেটে হাত ঢুকিয়ে তরুর দিকে একটু ঝুঁকে এলো। কী ম্যাডাম ছিঁচকাদুনে! আপনার কী মনে হয়, এই আহনাফ হাওলাদার রোদ আপনাকে ভালোবাসে। আপনাকে ভালোবেসে প্রপোজাল দিয়েছে। লাইক সিরিয়াসলি! ’

‘তরু অবাকের উপর অবাক হচ্ছে। মানুষের এতো কনফিডেন্স আসে কোত্থেকে। তরু ভেবে পাচ্ছে না সে আই লাভ ইউ টু কখন বললো। আর প্রপোজান সে ভালোবেসেই দিক নয়তো নষ্ট মনে, তাতে তরুর কিচ্ছুটি আসে যায় না।’

পাশ থেকে নীহারিকা নামের মেয়েটি গায়ে পড়া এপ্রোনটা ঠিক করতে করতে তরুর সামনে এসে দাড়াল। তরুকে উদ্দেশ্য করে বললো
“ শোনো মেয়ে”
রোদকে আমরা একটা ডেয়ার দিয়েছিলাম। ডেয়ারটা ছিল বিকেল চারটে সময় মেডিকেলের সামনে দিয়ে যে মেয়ে যাবে, তাকে প্রপোজ করে ভয় দেখিয়ে কাঁদাতে হবে। রোদ বিষয়টাকে ডেয়ার হিসাবে না চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে। আর রোদ সেটা করেও দেখিয়েছে। রোদ হচ্ছে আমাদের মেডিকেলের সবচেয়ে হ্যান্ডসাম ও রিচ বয়। রোদের জন্য মেডিকেলের সকল মেয়ে পাগল প্রায়। আর শোনো, রোদ তোমাকে প্রপোজ করছে বলে নিজেকে ডানাওয়ালা পাখি মনে করো না। এমন একটু আধটু মজা আমরা সবার সাথেই করে থাকি।

নীহারিকার কথায় তরু ছ্যাৎ করে উঠে। তেড়ে গিয়ে আঙুল শাসিয়ে উত্তর দিলো। আমি কেনো নিজেকে ডানাওয়ালা পাখি মনে করতে যাবো আপা? আপনি হয়তো নিজেকে ডানাওয়ালা পিপীলিকা মনে করছেন। তবে একটা কথা কী জানেন? “পিপীলিকার পাখা হয় মরিবার তরে।” সেটা আপনাদের ক্ষেত্রে হবে। এই যে আপনারা সবাই রাস্তাঘাটে মানুষদের এমন ভাবে বিরক্ত করেন। এটার জন্য আপনাদের নামে আমি মামলা করতে পারি। এই রাইট আমার আছে।
নীহারিকা রেগে তরুকে শাসানোর ভঙ্গিতে বললো, তুই জানিস আমি কে? তুই আমার নামে মামলা করবি?
তরু ত্যাঁড়াভাবে উত্তর দিলো। কেনো আপনি জানেন না আপনি কে? আপনি কানে কম শোনেন, আমি আপনার নামেই মামলা করব বলেছি।
তরুর এমন ত্যাঁড়া মার্কা উত্তরে রোদ তরুকে উদ্দেশ্য কর বললো, এই মেয়ে তুমি সবসময় এমন ত্যাঁড়া ত্যাঁড়া কথা বলো কেনো?
তরু ত্যাঁড়াভাবে ত্যাঁড়া স্টাইলে উত্তর দিলো। আমার ত্যাঁড়া ত্যাঁড়া কথা বলতেই কি যে ভাল্লাগে।
রোদ বুঝে গিয়েছে এই মেয়ের সাথে কথায় পেরে উঠা যাবে না। এই মেয়ের সাথে কথা বলা আর দেয়ালে মাথা টুকা একই কথা।

এই ছোট লোকের মেয়ে, মামলা করতে হলেও না টাকার প্রয়োজন পড়ে। তর কাছে তো এই টাকাটাও নেই। তার চেয়ে বরং তুই তর মা বাবাকে আমার বাড়ি পাঠিয়ে দিস। আমি আমার পাপাকে বলে আমাদের বাড়িতে কাজের ব্যাবস্তা করে দিবনে। এই টাকা দিয়ে হলেও তুই নতুন এক সেট জামা কিনতে পারবি। এমনিতেও তর বাপ মা তকে না দিতে পেরেছে একটা ভালে জামা। না দিতে পেরেছে ভালো শিক্ষা।

তরু দিন দুনিয়ায় সব কষ্ট সহ্য করতে পারবে। কিন্তু তার আম্মু আব্বুর নামে একটা অশোভনীয় কথা সহ্য করতে পারবে না। নিজের মা বাবার নামে এমন কটূক্তিমূলক কথা শোনে রাগ যেনো তরতর করে বাড়তে লাগলো। রাগের মাথায় তরু এক অভাবনীয় কাজ করে বসলো। ঠাসসস করে এক থাপ্পড় দিয়ে নীহারিকার গালে একটা সিল মেরে দিলো। সুন্দর মুখশ্রীতে পাঁচ আঙুলের দাগটা যেনো অভদ্রতার ট্যাগ হিসাবে লেপ্টে রয়েছে।

তরু হুংকার দিয়ে উঠলো। আমার আম্মু আব্বুকে নিয়ে আর একটা বাজে কথা বললে তোমাদের অবস্থা খারাপ করে দিবো। তরুর এমন বজ্রকন্ঠ শোনে সবাই কেঁপে উঠলো। তরু এতোক্ষণ রোদকে ভয় পেলেও এখন আর ভয় পাচ্ছে না। তরু সবাইকে উদ্দেশ্য করে বললো, আমি ভেবেছিলাম আপনারা সবাই ভদ্র ঘরের ভদ্র ফ্যামেলির সন্তান। বাট আই ওয়াজ রং। আপনার প্রত্যেকেই মেন্টালি সিক। আপনাদের প্রত্যেকের উচিত একজন সাইকোলজির ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নেওয়া। পাশেই একজন রিক্সারওয়ালাকে ডাক দেয় তরু। রিকশা আসতেই রিকশায় উঠে বসে তরু।

‘হলে গিয়ে তান্ডব শুরু করে দেয় নীহারিকা। গলায় ঝুলানো স্টেথোস্কোপটা দূরে ছুড়ে মারে। হলের একেক জিনিস একেকে জায়গায় ছুঁড়ে মারছে। অন্যরা সবাই থামানোর বৃথা চেষ্টা করছে। রাগে মাথা ফেটে যাচ্ছে নীহারিকার। ’

রিকশা এসে থামলো এক আলিশান বাড়ির সামনে। তরু রিকশা থেকে নেমে হাতের ব্যাগ গুলো সাইডে রেখে দিলো। রিকশাওয়ালাকে টাকা দিয়ে ব্যাগ নিয়ে বাড়ির ভিতর প্রবেশ করলো। পিছন থেকে রিকশাওয়ালা মামা তরুকে ডাক দিলো। রিকশাওয়ালা মামার ডাকে তরু পিছন ফিরে তাকাল।
কি বলবেন বলুন?
রিকশাওয়ালা মামা অনুমতি পেয়ে বলতে লাগলো, আফা আপনি কি এই বাড়িতে কাম করেন? তরু দাঁতে দাঁত চেপে উত্তর দিলো হ্যাঁ! আর কিছু?
না আফা আর কিছু না। বাড়িডা মেলা সুন্দর দেখতে। তরু প্রতি উত্তরে শুধু হ্যাঁ বললো।

কলিং বেলের শব্দ পেয়ে দ্রুত পায়ে হেঁটে দরজা খুলে দেয় জাহানারা চৌধুরী। দরজার ওপাশে মেয়ের এমন ক্লান্ত শরীর দেখে জাহানার চৌধুরী মুচকি হাসলেন। তা আম্মু বিলাসবহুল জীবন জাপন রেখে, সাদামাটা জীবনে একা একা বাহিরের দুনিয়াটা কেমন লাগলো আজ? মায়ের প্রশ্নের বিপরীতে তরু বিরক্তি কন্ঠে উত্তর দেয়। খুব বোরিং!

তরু মাকে আরো কিছু বলতে যাবে তার আগেই জাহানারা মেয়েকে মাঝ পথে থামিয়ে দেয়। আম্মু আগে ফ্রেশ হয়ে তেজ কে নিয়ে নিচে আসো। আমি ইফতার রেডি করছি। ইফতার শেষে সবাই মিলে গল্প করবো। তরু হ্যাঁ সূচক মাথা নাড়ায়।

ইফতার সামনে নিয়ে বসে আছে সবাই। এর মাঝে বহুবার আলুরচপ সরানোর চেষ্টা করেছে তরু। কিন্তু প্রতিবারেই তেজের জন্য মিশন বিফল হয়েছে। আযান পড়তেই সবাই ইফতার শুরু করে। ইফতার শেষে জাহানারা মেয়েকে প্লেইট গুলো ধুয়ে পরিষ্কার করে রাখতে বলে। সারাদিন সে অনেক কাজ করেছে। তাই ক্লান্তিতে চোখ বন্ধ হয়ে আসছে। তরু হ্যাঁ সূচক মাথা নাড়িয়ে রান্নাঘরে চলে যায়। বেসিনের কল ছেড়ে দিয়ে, একটা প্লেট নিয়ে ধুতেধুতে গান গাচ্ছে।

“ লা লা লায় রে!, লা লা লায় রে!”
‘থালাবাসন ধুয়া, রান্নাবান্না করতে পারে’
‘এমন জামাই খুঁজি আমি ’
তুমি তাই রে, তুমি তাই রে!

সবেমাত্র গ্লাস থেকে এক ডুগ পানি মুখে নিলো তেজ। বোনের এমন ডেঞ্জারাস গান শুনে পানি পেটে না গিয়ে মাথায় উঠে গেছে। হ্যাঁচকি উঠে নাক দিয়ে সব পানি গলগলিয়ে বেরিয়ে এসেছে। ছেলের এমন অবস্থা দেখে জাহানারা দৌড়ে আসে। আস্তে করে পিটে চাপড় দিতে থাকে। তেজ একটু স্বাভাবিক হলে মেয়েকে এমন উদ্ভট সাউন্ড করতে মানা করে জাহানারা। মা চলে যেতেই, তেজ দ্রুত পায়ে হেটে রান্না ঘরে আসে। বোনকে উদ্দেশ্য করে বলতে লাগে। তর মুখটা কি এক মিনিটের জন্যও বন্ধ হয় না। সারাদিন বকবক করতেই হবে তকে। গানটার মান ই’জ্জ’ত তো সব নষ্ট করে দিলি। তুই বুঝতে পারিস না কেনো? তর মুখ দিয়ে কথা বের হলেই বাসায় একটা ছোট কাটো বোমা বিস্ফোরণ হয়। তুই জানিস? তুই কি লেভেলের সাং’ঘা’তি’ক ধান্দাবাজ মহিলা!

তরু প্রতি উত্তরে কিছু না বলে নিজেকে প্লেট ধুতে মনোনিবেশ করায়। আজকে ঝগড়া করার মুড বা শক্তি কোনাটাই নেই তরুর। অন্য কোনোদিন হলে তেজের মাথার চুল ছিঁড়ে তেজের হাতেই ধরিয়ে দিতো। তেজ কথা না বাড়িয়ে নিজের বরাদ্দকৃত কামরায় চলে আসে। তরুও সব কাজ শেষ করে নিজের রুমে আসে। বিছানাটা ঘুছিয়ে উপুর হয়ে চার হাত পা চার দিকে মেলে দিয়ে শুয়ে পড়ে। তরুকে দেখে পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ মনে হচ্ছে এখন।

রাত তিনটা সময় মসজিদের মাইকের আওয়াজে ঘুম ভাঙলো তরুর। তরু লাফ মেরে উঠে বসে বিছানায়। নিচ থেকে জাহানারা ছেলে মেয়েকে ডাকছে সেহেরির খাবার খাওয়ার জন্য। তরু বিছানা ছেড়ে দ্রুত ফ্রেশ হয়ে নিচে আসে। জাহানারা মেয়েকে বলে ভাইকে ডেকে নিয়ে এসো। তরু দ্রুত চলে যায় তেজের কামরায়। তেজ খাটের এক পাশে কাঁথা মুড়ি দিয়ে শুয়ে আছে। তরু তেজকে ডাক না দিয়ে, তেজের পায়ের তালুতে হাত দিয়ে শুড়শুড়ি দিতে থাকে। ঘুমে বিভোর তেজ এক সময় বিরক্ত হয়ে, শরীরে সর্বশক্তি দিয়ে লাথি মারে তরুকে। তরু ছিটকে গিয়ে এক হাত দূরে পড়ে। তরু পড়ে গিয়ে আম্মু বলে একটা চিৎকার দেয়। জাহানার মেয়ের এমন চিৎকার শুনে দ্রুত তেজের কামরায় আসে। তেজও বোনে চিৎকার শুনে ধড়ফড়িয়ে উঠে বসে। জাহানারা মেয়েকে ফ্লোরে পড়ে থাকতে দেখে হাত বাড়িয়ে টেনে তুলে। তেজ ভাবলেশহীন ভাবে বসে থাকে। জাহানারা যা বুঝার বুঝে গিয়েছে। তরু কিছু বলতে যাবে তার আগেই জাহানারা মাঝ পথে থামিয়ে দিলো তরুকে। সেহেরির খাবার খাওয়ার পড়ে তোমার সব কথা শুনবো তরু।

তরু যেনো মায়ের কথায় ছ্যাৎ করে উঠল। কথায় কথায় ছ্যাৎ করে উঠা যেনো তরুর রক্তে মিশে আছে। জাহানারা মেয়েকে আশ্বাস দেয় সেহেরি খাওয়ার পর তরুর সব কথা শুনবেন তিনি। তরু এতে কিছুটা শান্ত হয়। তেজ এখনও নীরব দর্শক। সব কিছু মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে তেজের। তেজের এখন নিজের কাছে মনে হচ্ছে সে পৃথিবীতে এক্সসিস্ট করে না। অন্য গ্রহের প্রাণী সে।

সময় শেষ হওয়ার পথে সেহেরির খাবার খাওয়ার জন্য সবাই টেবিলে এসে বসে। জাহানারা দুইটা প্লেটে অল্প করে ভাতের সাথে ডাল দিয়েছে। তরু তেজ দু’জনেই ভ্রু কুঁচকে থাকায় মায়ের দিকে। জাহানারা ছেলে মেয়েকে উদ্দেশ্য করে বললো, আজকে থেকে দুইদিন তোমরা এইসব খাবার খাবে। আমরা রোজা কেনো রাখি? আল্লাহর ভয়ে আল্লাহকে ভালোবেসে। আর দিনের পর দিন যে কত মানুষ না খেয়ে থাকে, তাদের কষ্টটা অনুভব করার জন্য। মায়ের কথার বিপরীতে কোনো কথা খোঁজে পেলনা তেজ।

তরু ডাল দিয়েই খুব তৃপ্তি করে খাচ্ছে। তেজ এক লোকমা ভাত মুখে দিয়ে সাথে সাথেই চোখ বন্ধ করে নিলো। চোখ বন্ধ করা অবস্থায় মাকে উদ্দেশ্য করে বললো। আম্মু তুমি কী পাঙ্গাশ মাছ দিয়ে ডাল রান্না করেছ। ছেলের এমন প্রশ্নে জাহানারা হকচকিয়ে যায়। কি নাকরে বাবা ছেলের। গন্ধশুকেই বলে দিলো কি দিয়ে রান্না করেছি। পাশ থেকে তরু চিৎকার দিয়ে বলে উঠলো। আম্মু এইভাবে গন্ধশুকে কু/ত্তা/রা সব কিছু বলে দিতে পারে কোন জায়গায় কি আছে। তরুর এহেন কথায় তেজ অগ্নিচোখে তাকাল তরুর দিকে। তরু ভাতের প্লেটটা সাইডে রেখে শরীরে সর্বশক্তি দিয়ে দৌড় লাগায়। তরুরে তাড়াতাড়ি দৌড়া, আজকে তেজ ধরতে পারলে তুই শ্যাষ শ্যাষ শ্যাষ! পিছন থেকে তেজ চেচিয়ে উঠে, তরুর বাচ্চা আজকে তকে ধরতে পারলে তুই সত্যি সত্যি শ্যাষ শ্যাষ শ্যাষ!

চলবে___ ইনশাআল্লাহ