দেওয়া নেওয়া সানাই পর্ব-১০

0
384

#দেওয়া_নেওয়া_সানাই
পর্ব:10
#লেখিকা_নুসরাত_শেখ

(রোমান্টিক পার্ট ভাল না লাগলে ইগনোর প্লিজ)

সকালের সোনালি রোদের আলোতে ঘুমটা হালকা হয়ে গেলো।নিজেকে ইফরাজ এর বুকে আবিষ্কার করলাম। এই প্রথম ওর জন্য ভালোলাগা কাজ করছে।কালকে আমার সাথে ইফরাজ ও বাচ্চাদের মতো কান্না করেছে।আমার ব্যথা যেন ও অনুভব করতে পেরেছে।আমি ধীরে ধীরে ওকে জড়িয়ে ধরলাম।মাথা ব্যাথা করছে আর একটু ঘুমাই।আমার মুখটা ইফরাজ এর বুকে গুজে চোখ বন্ধ করলাম।ছেলেটার পাগলামি গুলো আমাকে ভিশন ভাবে বাধ্য করছে ওকে ভালোবাসতে।একটা বার নিজের ভালোবাসাকে আবার সুযোগ দেওয়ার। বেইমান টার জন্য নিজের স্বামী কে কেন আমি সুযোগ দিচ্ছি না ভেবেই খারাপ লাগল।ওর ওতো ইচ্ছে করে নিজের স্ত্রীকে নিজের মতো করে ভালোবাসার। ওরতো কোন দোষ নেই ওকে কেন আমি দুরে রাখছি।যেই জায়গাতে আমি নিজেই ওকে বিয়ের জন্য বলেছি।সেই জায়গাতে ও আমার প্রাপ্য সম্মান ভালোবাসা সব দিচ্ছে আর আমি দুরে দুরে থাকছি।যেখানে ওর উচিত ছিলো আমার থেকে দূরে থাকবে,সেইখানে আমি ওর ভালোবাসার কোন দাম এই দিচ্ছি না।কেমন মানুষ আমি?(ঐশানী মনে)

________

সকাল নয়টা

সোনাপাখি উঠো । (ইফরাজ)

আর একটু ঘুমাই ইফরাজ প্লিজ। (ঐশানী ইফরাজ এর বুকে মুখ গুজে)

উঠে ব্রেকফাস্ট করো ঔষধ খেতে হবে তোমার। তারপর এসে ঘুমাও।(ইফরাজ ঐশানীর মাথায় হাত দিয়ে)

উহুম।(ঐশানী)

সোনাপাখি মামমাম কল করে ব্রেকফাস্ট এর জন্য ডাকছে।আমি ফ্রেস হয়ে খাবার নিয়ে আসি তোমার জন্য।(ইফরাজ)

উহুম।ঘুমাব আমি এখানে।(ঐশানী)

ঔষধ খেতে হবে সোনাপাখি প্লিজ উঠো।(ইফরাজ)

উফফ এত্ত জ্বালাতন কেন করেন দেখছেন ঘুমাচ্ছি।চুপচাপ থাকেন ঘুমাতে দেন।(ঐশানী মুখ উচু করে বলে আবার ইফরাজ কে জড়িয়ে চোখ বন্ধ করল)

এই মেয়ে বলছি ঔষধ খেতে হবে খাবার খেয়ে ঔষধ খেয়ে এসে ঘুমাও।কথা কেন শুনছোনা।মাথা ব্যথা করবে ঔষধ না খেলে বোঝনা কেন?(ইফরাজ ঐশানীর হাত ধরেই বসে)

আপনি আমাকে বকলেন ইফরাজ?(ঐশানী অবাক হয়ে)

বকলাম কোই?আমি বলছি ব্রেকফাস্ট করে ঔষধ খেতে।কথা কেন শুনছোনা।পরে মাথার ব্যথায় তুমি এই কান্না করবে।ওঠো।
বলেই ওকে ধরে ওয়াশরুম আসলাম।ও মুখ ফুলিয়ে দাড়িয়ে আছে।আমি ব্রাশে পেস্ট লাগিয়ে ওর মুখে ধরলাম।ও ছো মেরে ব্রাশ নিয়ে নিলো।আমিও ব্রাশ করতে লাগলাম।তারপর মুখ ধুয়ে দুইজন বেড়িয়ে আসলাম।ওকে বেডের উপর বসিয়ে কপালে ও গালে একটা চুম্বন করে আমি নিচে চলে আসলাম।ফুফু খালামনিরা অনেক আগেই নিচে চলে আসছে।আমি নিচে এসে আমার আর ঐশানীর জন্য পরোটা, ডিম পোচ, ভাজি আর কফি নিয়ে উপরে চলে আসলাম।এসে দেখি ও আম্মুর সাথে কথা বলছে।আমি খাবার গুলো টি টেবিল এ রেখে দিলাম।
ফোনটা দাও আম্মুর সাথে কথা বলব।(ইফরাজ)

আম্মু তোমাদের জামাই কথা বলবে নাও।(ঐশানী)

হ্যা দে কত্তদিন কথা হয়না।(আম্মু)

নিন।(ফোন এগিয়ে ঐশানী)

হ্যালো আসলামুআলাইকুম আম্মু কেমন আছেন?(ইফরাজ ঐশানীর পাশে বসে)

ওলাইকুম আসসালাম বাবা ভালো আছি।তোমার কি খবর বাবা?(আম্মু)

আমিতো ভালো আছি।তবে ঐশানী তো অসুস্থ। আপনারা আজকে আসুন ওকে দেখে যান।(ইফরাজ)

ওর আবার কি হলো?(উদ্বিগ্ন হয়ে আম্মু

তারপর সব খুলে বললাম। তারা আসবে মানে আব্বু আম্মু।দাদাজান এর শরীর সুস্থ তবে আসতে পারবেনা।আমি কথা বলে ফোন রাখতেই ঐশানী আমাকে একটা বকা দিলো।(ইফরাজ)

________

মাথায় কি সমস্যা নাকি আপনার?আম্মুকে বলতে গেলেন কেন আমি অসুস্থ ।এখন তারা টেনশন করবে।(ঐশানী)

এই বউ বকা দেও কেন?তাদের অধিকার আছে মেয়ের সুখের সাথে দুঃখের খবর ও পাওয়ার। আসো খাইয়ে দেই।(ইফরাজ)

শয়তান ছেলে সরেন আপনার হাতে আমি খাবোনা।আমার টা আমি খেতে পারি।মাথায় ব্যথা হাতে না।(ঐশানী)

জানিতো।একটু খাইয়ে দেইনা সোনাপাখি প্লিজ। (ইফরাজ ঐশানীর গালে হাত দিয়ে)

নো।
বলেই আমার খাবার আমি খেতে লাগলাম।একটা পরোটা খেয়ে পাশে তাকিয়ে দেখি ইফরাজ চুপচাপ বসে আছে।
কি হলো খাচ্ছেন না কেন?(ঐশানী)

তুমি তো আমার হাতে খেলে না।এখন তোমার হাতে আমাকে খাইয়ে দাও।
ভেবেছি ও না করে দিবে কিন্ত ও সত্যি আমাকে খাইয়ে দিচ্ছে।আমিতো মহা খুশি হয়ে খাচ্ছি। খাওয়ার পর ওকে আমি ঔষধ দিলাম।ও খেয়ে শুয়ে পড়ল মাথা ব্যাথার কারনে।আমি ট্রে ধরে নিচে দিয়ে গেলাম। সাথে বলে গেলাম আব্বু আম্মু আসছে তাদের জন্য দুপুর এর খাবার এর ব্যবস্থা করতে।তারপর উপরে এসে আমার রুমের গেট লক করে ঐশানীর পাশে এসে হেলান দিয়ে বসে পড়লাম।তারপর মোবাইলে শোরুম এর খবর নিয়ে নিলাম।হঠাৎই দেখি ঐশানী আমাকে জড়িয়ে ধরল।আমার পেটের উপর হাত রেখে পেটে মুখ গুজল।আমি কথা শেষ করে ওর পাশে পুরো শুয়ে পড়লাম।
শরীর কি অনেক খারাপ লাগছে?(ইফরাজ ঐশানীর গালে হাত দিয়ে)

না।অল্প মাথা ব্যথা করছে।(ঐশানী)

না মানে নিজের থেকে এসে জড়িয়ে ধরলাতো তাই ভাবলাম বেশি অসুস্থ হয়ে গেলা কিনা?(মুখ টিপে হেসে ইফরাজ)

দুর সরেন।একটু ধরেছি বলে আমি অসুস্থ হয়ে গেলাম। এমনে সময় নিজে যে সারাদিন জড়িয়ে ধরেন তখন আপনিও বুঝি অসুস্থ থাকেন।(ঐশানী হাত সরিয়ে)

আমি তো ভালোবেসে আদর করতে ধরি।তুমি কি জন্য ধরলা বলোতো?(ইফরাজ ঐশানীকে পেছনের থেকে জড়িয়ে ধরে)

নিশ্চুপ। (ঐশানী)

ভালোবাসতে শুরু করলে নাকি?(ইফরাজ)

জ্বি না।আপনার মতো অসভ্য কে আমি কেন ভালোবাসতে যাবো।(ঐশানী ভাব নিয়ে)

_________

দুপুর বারোটার সময় আব্বু আম্মুর আগমন ঘটলো।তারা বিয়ের পর প্রথম আমাদের বাড়ি আসলেন।এত্ত খাবার এনেছে যে পুরো ডাইনিং ভরে গেছে।আমি ফোন পেয়ে মুখ ধুয়ে নিচে আসছি।সাথে ইফরাজ ও।ঐ সময়ের পর আমি ঘুমিয়ে যাই।ইফরাজ আমাকে জড়িয়ে ধরে এত্তক্ষন মোবাইল ইউস করছে।ঘুম থেকে উঠে দেখি ও মোবাইল দেখেছে।আমাকে নিয়ে নিচে এসে আব্বুর সাথে গল্প করছে।আমি ও আব্বু আর আম্মুকে পেয়ে কিছুক্ষণ জড়িয়ে ধরে তারপর আম্মুর পাশে বসে পরলাম। ইতি আপু আর ভাইয়া এসে তাদের সাথে পরিচয় হলো।ফুফু খালামনিও আম্মুর সাথে গল্প ঝুড়ে দিলেন।আমি এই ফাকে রান্নাঘর থেকে ঘুরে আসলাম।মামমাম এর প্রায় রান্না শেষের দিকে।আমাকে জোর করে ডাইনিং এ পাঠিয়ে দিলেন।ইতি আপু সেমাই শরবত ফল মিষ্টি পরিবেশন করেছে।সবাই টুকটাক খেলো।আমাকে একটার দিকে ইফরাজ নিয়ে আসল শাওয়ার এর জন্য।আমি মাথা না ভিজিয়ে শাওয়ার নিলাম।তারপর ইফরাজ ও শাওয়ার নিয়ে আসল।আজকে আর শাড়ি পড়ি নাই।একটা থ্রি-পিস পরে বসে আছি।ইফরাজ এসে ফরমাল ড্রেসাপ করে আমাকে নিয়ে নিচে চলে আসল।সবাই দুপুরের খাবার কমপ্লিট করে বসলাম।আমার ঘুম পাচ্ছে বলে আমি মামমাম এর রুমে এসে শুয়ে পড়লাম। (ঐশানী)

আপা আমি ঐশানীকে নিয়ে যাই আজকে?(আম্মু)

কেনো আপা আপনার মেয়ের কি এখানে কোন অসুবিধা হচ্ছে?আমার ভাইপো তো ওকে ঘর থেকে বের এই হতে দেয়না।(ফুফু)

না মানে (ইতস্তবোধ করে আম্মু)

আহ অরিন চুপ করো।শুনেন আপা আপনার মেয়ে আপনার ইচ্ছে হলে নিয়ে যাবেন তা আবার বলতে হয়।তবে আমার ইফু টা পাগল ওকি যেতে দিবে ঐশানীকে?(মামমাম)

ইফরাজ ও যাবে তাহলে।(আম্মু)

ওর বোন কালকে সিলেট চলে যাবে ইফরাজ বলছিলো ঐশানীকে নিয়ে ও ঘুরে আসবে ওর বোনের শশুর বাড়ি। তাও দেখুন কথা বলে।ঐশানী যেখানে থেকে শান্তি পায় তাতেই আমরা খুশি।(মামমাম)

তাহলে থাক।ঘুরে আসুক তারপর ইতি মা তুমি ভাইকে আর ভাই এর বউ কে নিয়ে আমাদের বাড়িতে ঘুরে আসবে কেমন?(আম্মু)

আচ্ছা আন্টি। (ইতি)

বেয়াইন আপনারা চলেন আমাদের বাড়িটা ঘুরে দেখতে?(আম্মু)

না বেয়াইন অন্য সময়ই। (খালামনি)

না অন্য কোন সময়।(ফুফু)

আচ্ছা ঐশানী কোথায়?(আম্মু)

আমার রুমে ঘুমাচ্ছে। ব্যথার ঔষধ খেয়ে ঘুম পাচ্ছে নাকি খুব।ইফরাজ তাই আমার রুমে ওকে ঘুম পাড়িয়ে একটু বাইরে গেছে।বেয়াই,ওর বাবা আর ওর দুলাভাই কে নিয়ে।এসে পরবে জলদি।(মামমাম)

_________

রাতের খাবার খেয়ে আব্বু আম্মু চলে গেছে।সারাদিন ঘুমানোর পর আর ঘুম আসছেনা।ইফরাজ বলল কালকে সকালে সিলেট যাবে আপুর শশুর বাড়িতে।আপু এসেই এখানে উঠেছে।শশুর বাড়ির সবাই যাওয়ার জন্য বলছে।ও আমার আর ওর জামা কাপর গুছিয়ে নিয়েছে।এত্ত জামাকাপর দেখলে বলবে একেবারের জন্য চলে আসছি কারো বাসায়।কিছু বললে উত্তর ও দিচ্ছে না।
এত্ত জামাকাপর নিলেন থাকবেন কয়দিন?(ঐশানী)

নিশ্চুপ। (ইফরাজ)

কত্ত বার জিজ্ঞেস করছি উত্তর কেন দিচ্ছেন না?(ইফরাজ এর হাত ধরেই ঐশানী)

সিলেট থেকে আমরা সাজেক যাবো তোমার বেনডেজ খোলা হলেই।কিন্ত ফুফু আর খালামনির সামনে বললাম না নাহলে রাগ করতো সাথে তাদের দুই মেয়েকে ও দিয়ে দিতো।(ইফরাজ)

কি জন্য সাজেক যাবো?(ঐশানী)

হানিমুন করতে।ভাইয়া গিফট দিয়েছে বিয়ে উপলক্ষ ঘুরতে যাওয়ার সব কিছু।তা কি আমি মিস করতে পারি বলো?(ইফরাজ)

এখন কি হানিমুন করার সময় ইফরাজ?(ঐশানী)

না।তবে ভাইয়া আগেই সব গিফট করেছিলো।হঠাৎই তোমার মাথা ব্যথার প্রবলেম হলো।তাই পোসপন করেছে।কিন্ত জদি না যাই টাকা ফেরত পাবোনা।তাই যাচ্ছি। (ইফরাজ)

তাই?(ব্রু কুচকেই ঐশানী)

তা নয়তো কি?আমার মতো ভদ্র ছেলের অন্য কোন মতলব নেই।(ইফরাজ দাঁত বের কর)

দেখবোনে।যদি কাছে আসেন সাজেক এর পাহাড় থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিবো।(ঐশানী বেডে বসে)

বিধবা হতে চাইছো?(ইফরাজ)

শয়তান লোক সরেন কথা বলবেনা একটাও।(রাগ করে ঐশানী)

দাঁত থাকতে দাঁতের মর্ম দিতে হয় বউ।এখন আছি তাই দাম দিচ্ছো না।যখন না থাকব তখন বুঝবা এই ইফরাজ এর ভালোবাসার কত্তটা ছিলো তোমার জন্য। তখন চাইলেও এই অসভ্য কে পাবেনা।(ইফরাজ)

আহ কি শুরু করলেন?থাকেন প্লিজ। (ঐশানী)

হুম। (ইফরাজ)

________

পরের দিন আমরা বেড়িয়ে পড়লাম সিলেট এর উদ্দেশ্য।ইফরাজ এই ড্রাইভ করে যাবে।আমি ইতি আপু আর অনা পেছনে বসেছি।ইফরাজ আর ভাইয়া সামনে বসা।গাড়ি চলছে এক ঘন্টার উপর।খুব ঘুম পাচ্ছে। কারণ সকালে ও ঔষধ খেয়েছি।তাই আমি ঘুমিয়ে পড়লাম।
ঘুম থেকে উঠে দেখি আমি ইফরাজ এর কাধে সুয়ে আছি।ইফরাজ মাঝে অনা ওর কোলে আর আমি ওর ঘাড়ে শুয়ে আছি।ভাইয়া ড্রাইভ করছে ইতি আপু ও সামনে।
আপনি এখানে কেন?(ঐশানী)

তিন ঘন্টার উপর ড্রাইভ করছি তাই রেস্ট নিচ্ছি। তুমি পুরো চার ঘন্টার উপর ঘুমিয়েছো।আমিও এখানে দুই ঘন্টা হলো বসা।ভাইয়া একটা রেস্টুরেন্ট দেখে থামবেন খুদা লেগে গেছে।(ইফরাজ)

আচ্ছা। (ভাইয়া)

আমরা একটা রেস্টুরেন্ট এ থেকে খেয়ে নিলাম।তারপর আর দুই ঘন্টার পর আমরা সিলেট এ পৌঁছে গেলাম।আপুর শশুর বাড়িতে এসে প্রথম এ ঠান্ডা শরবত খেয়ে আমি ঐশানীকে নিয়ে রুমে এসে ফ্রেস হয়ে নিলাম।আমাদের খাওয়ার জন্য ডাকা হলো।আমি ঐশানীকে নিয়ে অল্প এই খেয়ে রুমে এসে রেস্ট করলাম। (ইফরাজ)

ঘুম ভাঙ্গতেই দেখি ইফরাজ আমার পেটের উপর মাথা দিয়ে শুয়ে আছে।
কি করেন আপনি?(ঐশানী)

ও জাগতে মন চাইলো তাহলে আমার সোনাপাখির।অনেকক্ষণ হলো একটু আদর আদর পাচ্ছে আমার। তাই জাগাতে চাইছিলাম উঠলেই না।
বলেই ওর কাছে এসে ওকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে ওকে দীর্ঘ চুম্বন করলাম।অবাক করার বিষয় হলো ও নিশ্চুপ থাকল।আমিতো মহা খুশি হয়ে পাগলামি করতে শুরু করেছি।ওর গলাতে নেমে চুম্বন করতেই ও উঠে যেতে চাইলো।আমি ওকে নিজের সাথে চেপে ধরলাম। উন্মাদ এর মতো ওকে কাছে পাওয়া প্রয়াস চালাচ্ছি হঠাৎই গেটে কেউ নক করল।আমি সরতে না চাইলেও ঐশানীর জন্য সরে বালিশ এ মুখ গুজলাম।কি করছিলাম আমি মেয়েটাকে জোর করছিলাম?বউ বলে ওর মতের প্রয়োজন বোধ করলাম না কেন?এই জন্য ওকি রাগ করবে?(ইফরাজ)

গেট খুলেন আমি ওয়াশরুম গেলাম। (ঐশানী দাড়িয়ে)

সরি সোনাপাখি। (ইফরাজ ঐশানীর হাত ধরেই)

পরে কথা বলব এই বেপার এ।গেট খুলেন।
বলেই ওয়াশরুম এ আসলাম।আয়েনাতে নিজেকে দেখে থমকে গেলাম। ইফরাজ এর বাচ্চা শয়তান ছেলে আমার গাল,গলা অধরের কি অবস্থা করছে।সবার সামনে কেমনে যাবো?রোমান্স করে করে সরি বলি বের করছি তোমার। আজকে আমাকে সবাই জদি লজ্জা দেয় দেখো তোমার কি করি ইফরাজ খান ওরফে অসভ্য পুরুষ। (ঐশানী)

*********(চলবে)**********