দ্বিধা চক্র পর্ব-০১

0
334

#দ্বিধা_চক্র
ঝিনুক চৌধুরী।
পর্ব-১

এই মেয়ে, চটপটিতে এতো ঝাল দিয়েছো কেন?
অবনী থতমত খেয়ে গেল। এর উত্তরে কি বলা উচিত? আমতা আমতা করে বলল, সরি!
-সরি বলে হবে? টাকা দিয়ে কিনেছি না?
-আচ্ছা আমি বদলে দিচ্ছি।
-তাহলে এটা কি করবে? ফেলে দিবে? অপচয়?
অবনী অসহায় চোখে তাকালো।
বানিজ্য মেলায় বন্ধুর খাবারের স্টলে সাহায্য করতে এসে এমন বিপাকে পড়বে জানলে কখনোই আসতো না। কাস্টমাররা যা তা ব্যবহার করা শুরু করেছে। চটপটি নতুন করে তৈরী করে লোকটার হাতে দিয়ে সামনে থেকে সরে এলো।
রাজশাহী শহরে বানিজ্য মেলা চলছে। অফিস শেষে বন্ধুদের সাথে ঘুরতে এসেছে নিলয়। বন্ধুরা সব বাদ দিয়ে মেয়েলি খাবার চটপটি খেতে চাইলো। নিলয় এসব বাইরের খাবার সবসময় এড়িয়ে চলে। তাও আবার চটপটি টাইপ অখাদ্য! বন্ধুদের পাল্লায় পড়ে নিতে বাধ্য হলো ঠিকই কিন্তু খেতে এতো বেস্বাদ!
প্রথমটায় অতিরিক্ত ঝাল ছিল, দ্বিতীয় বার যেটা এনে দিলো সেটা একেবারে পানশে। স্টলের সার্ভ করা মেয়েটা জানি কেমন, বোকা টাইপ !

নিলয় তার বাবা-মা ও ছোট বোনসহ রাজশাহীর আলুপট্টি এলাকায় নিজেদের পৈতৃক বাড়িতে বসবাস করে। ঢাকায় প্রাইভেট ভার্সিটি থেকে লেখাপড়া শেষে ভালো চাকরী পেয়েছে। পোস্টিং নিয়ে নিজ শহরে ফিরে এসেছে। বর্তমানে নিলয়ের বিয়ের পাত্রী খোঁজা হচ্ছে । স্বভাবে খুতখুতে নিলয় এর আগে যে কটা পাত্রী দেখেছে, সবকটাতেই কোনো না কোনো খুঁত পেয়ে বাতিল করেছে৷ এমন নয় যে বিয়ে করতে আগ্রহী নয় সে। প্রতিটা পাত্রী নিলয় খুব শখ করে দেখতে যায়। কিন্তু আশাহত হয়। খুব একটা চাওয়া নেই তার। একটু মিষ্টি, একটু বুদ্ধিমতী, সংসারে পরিপাটি এমন একটি মেয়ে হলেই চলবে। তবে শাড়ি চুড়ির গল্প ছাড়া দেশ বিদেশ সম্পর্কে বেশি না হলেও মিনিমাম জ্ঞান যেন থাকে। হুট করে রেগে নাকের আগা লাল হয়ে ওঠে নিলয়ের। বউ যে হবে সে যেন সেটা বোঝে নিলয়কে সামলে নেয়। আরো কিছু অল্পস্বল্প চাওয়া আছে নিলয়ের। এই যেমন, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতায় বিশেষ খেয়াল রাখা চাই। অযথা বকবক, মেয়েলি ঢং ও মেয়েলি আবদার একদম পছন্দ করে না সে। বাস, এ কয়েকটি চাওয়া পূরণ হলেই নিলয় আর কিছুই চাইবে না। নিলয়ের এমন অল্প চাহিদার তালিকা শুনে ওর বাবা-মা বিয়ে নিয়ে খুব একটা কিছু বলে না। তাদের একটাই চাওয়া, ছেলের কাউকে মনে ধরলেই তারা খুশি মনে বউ ঘরে তুলে আনবে।
এবার তিনটে পাত্রীর কথা ঘটক বলেছে। সবদিক বিবেচনা করে দুটো পাত্রীকে বাতিল করেছে নিলয়। ছোট বোন নদীর পরীক্ষা থাকায় ওকে ছাড়া বাবা-মা সহ আজ বিকালে যাচ্ছে মোটামুটি পছন্দের পাত্রীকে দেখতে।
মেয়ের পরিবার সাদাসিধা ঠিক নিলয়ের পরিবারের মতো। শুনেছে পাত্রী বেশ সুন্দরী। সুন্দরী মেয়ে কম দেখে নি নিলয় কিন্তু মনে ধরে নি একটাও। তাছাড়া সুন্দরীদের ঢং একটু বেশি থাকে। অহংকারীও হয়। এসব নিলয় একেবারেই পছন্দ করে না। কিন্তু বউ যদি একটু আধটু সুন্দরী না হয় তাহলে কি আর চলে! বিয়ে তো একবারই হয়।
খুব আগ্রহ নিয়ে কনের অপেক্ষা করছে নিলয়। দেখা যাক কেমন সুন্দরী। সাথে অন্যান্য গুণ না থাকলে শুধু সৌন্দর্য্য ধুয়ে কি পানি খাবে?
চিরচারিত নিয়মে ট্রে হাতে ঘোমটা টেনে নতমুখে এগিয়ে আসা মেয়েটাকে দেখে রীতিমতো চমকে উঠলো নিলয়।
এ তো সেই চটপটিওয়ালি!
নতমুখে সবার উদ্দেশ্যে সালাম দিলে নিলয়ের মা মেয়েটিকে পাশে নিয়ে বসালেন।
-কি নাম তোমার?
-অবনি!
-মাশাল্লাহ! যেমন মিষ্টি দেখতে তেমন মিষ্টি নাম।
অবনি লাজুক হেসে চোখ তুলে তাকাতেই নিলয়ের সাথে চোখাচোখি হলো।
নিলয় ধরা খাওয়া চোরের মতো চমকে উঠে চোখ সরিয়ে নিলো। কিন্তু অবনী অবাক চোখে কিছুক্ষণ পর পর নিলয়কে দেখতে লাগলো।
নিলয় অস্বস্তিতে পড়ে গেল। মেয়েটার কি লাজলজ্জা কম নাকি?
কিছুক্ষন পর দুজনকে একান্তে কথা বলার জন্য অবনীদের ছাদে সুযোগ করে দেয়া হল। পড়ন্ত বিকালের লালীমায় দুজন মুখোমুখি দাঁড়ালে অবনী আনমনে ফিক করে হেসে দিল।
নিলয়ের অস্বস্থি আরো বেড়ে গেল। ভ্রু কু্ঁচকে বলল, তুমি হাসছো কেন?
-আপনি আমার চেহারা একদিনে ভুলে গেছেন?
– মানে?
-আমাকে দেখতে আসার আগে একবারো ভাবেন নি, নাকি আমার ছবিই দেখেন নি?
-জানতাম না তুমি…. মানে ছবি দেখি নি।
-আহারে..অবনী আবার ফিক করে হাসলো।
নিলয় বিরক্ত হলো। আহারে মানে?
-মানে ছবি দেখলে কি আর আসতেন?
নিলয় গম্ভীর গলায় বলল, না, আসতাম না।
– গাড়ি ভাড়া, মিষ্টি কেনা, কতগুলো টাকা অপচয়। তাই তো বলছি আহারে…. আবার হাসলো অবনি।
– তোমাদেরও তো অপচয় হলো। সুতরাং তোমার জন্য আহারে শব্দটা তুলে রাখো।
– আমাদের প্রতি সপ্তাহে অপচয় হয়। ব্যাপার না। আমার ভালোই ইনকাম হয়। মুখ দেখে সবাই আদর করে টাকা দিয়ে যায়।
— ও, তাহলে আমাদের পক্ষ থেকে টাকা পাওয়ার আশা ছেড়ে দাও।
— আপনাকে দেখেই আশা ছেড়ে দিয়েছি।
নিয়লের চোয়াল শক্ত হয়ে এলো। বিরক্ত প্রকাশ করে বলল, মানে?
– চটপটিতে ঝাল বেশি হওয়ায় যে ছেলে একজন অপরিচিত মেয়ের সাথে হম্বিতম্বি করতে পারে তাকে আমার মাপা হয়ে গেছে।
– ওখানে তোমার দোষ ছিল না?
অবনী বাঁকা হেসে বলল, সেই দোষী মেয়েকেই আজ কনে হিসাবে দেখতে আসা আপনার বোকামী নয়?
নিলয় চুপ করে মুখ অন্যপাশে ফেরালো। অবনীকে সে ঠিক বুঝছে না। ঐ দিনের অসহায় চুপচাপ মেয়ে আজ কি সহজ ভঙ্গিতে তর্ক করে যাচ্ছে!
-তুমি আমার ছবি দেখো নি?
-নাহ্। প্রতি সপ্তাহে এক দুইটা পাত্র এসে দেখে যাচ্ছে। প্রথম প্রথম খুব আগ্রহ নিয়ে দেখতাম এখন এগুলো সাপ্তাহিক রুটিন হয়ে গেছে।
-তুমি বিরক্ত?
-নাহ। একজন না একজনকে তো বিয়ে করতেই হবে।
-আপনি?
নিলয় বিরক্ত নয় এ কথা মুখে বলা বোকামী হবে। তাই
কথা ঘোরানোর চেষ্টায় বলল, তোমার আগ্রহ কিসে? আই মিন তুমি কি করতে পছন্দ কর?
-আপনি পাত্রদের মতো প্রশ্ন করছেন কেন? আপনি কি আমাকে বিয়ে করবেন নাকি?
নিলয় ভ্যাবাচেকা খেয়ে বলল, বিয়ে কি এতো সহজে হয়ে যায় নাকি? মিনিমাম জানাশোনা তো প্রয়োজন!
– সেটা হয় মিনিমাম আগ্রহ থাকলে। আমাদের তো তা নেই।
অবনির কথার পিঠে কথা খুঁজে পেল না নিলয়। কিছুক্ষন থেমে বলল, তোমার কোনো প্রশ্ন আছে?
-না।
-না কেন?
-আগ্রহবোধ করছি না বলে।
-দুএকটা করতে পারো।
আপনাকে আমার গতকালই জানা হয়ে গেছে। আপনিও নিশ্চয়ই আমাকে এতোক্ষণে জেনে নিয়েছেন। সুতরাং আমাদের কোনো সাওয়াল জবাবের দরকারই নেই।
অবনি নিচে নেমে গেল। নিলয়ের মনে হলো বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল হাতে পেয়েছে। যেখানে লাল কালিতে ডাবল জিরো দেয়া।

বাড়িতে ফিরে নিলয়ের মতামত জানতে চাইলে সে তাৎক্ষণিক কোনো উত্তর দিতে পারলো না। দ্বিতীয় বার জিজ্ঞেস করায় আনমনে বলল, একটু ভেবে দেখি।
নিজ রুমে ঢুকে ফ্রেস হয়ে অফিসের কাজ নিয়ে বসলো। কিন্তু মাথা থেকে অনবিকে ঝেড়ে ফেলতে পারলো না। সময় নিয়ে দুই দিন ঠাণ্ডা মাথায় চিন্তা করবে ভাবলো অথচ রাতের খাবারে নিয়লের বাবা রাশেদ সাহেব নির্দয়ভাবে জানালেন, পাত্রীপক্ষ মানা করে দিয়েছে।
নিলয় আকাশ থেকে পড়ল।
-কয়েক ঘণ্টা ব্যবধানে মানা করে দিল? এতো তাড়াতাড়ি! কেন? এটা কেমন কথা হলো?
রাশেদ সাহেবের স্বাভাবিক উত্তর, কেন মানা করলো তা তো জিজ্ঞেস করিনি।
-আশ্চর্য! তুমি জিজ্ঞেস করবে না? ঠিক কি কারণে মানা করেছে?
-এটাতো জিজ্ঞেস করার কিছু নয়। এর আগে তুই এতো পাত্রীকে মানা করেছিস আমরা কি কোনো কারণ দর্শিয়েছি? তোকে মানা করায় খুব ইজ্জতে লেগেছে বোধহয়?
নিলয়ের মুখ পুরো অন্ধকার হয়ে এলো।
– বাবা আমি এতো কিছু জানি না, তুমি কারণ জিজ্ঞেস করো ওদের কাছে।
রাশেদ সাহেব বিরক্তির সুরে বললেন, বাড়াবাড়ি করিস না। বিয়েসাদিতে এমন হয়। তুই ইগোতে নিচ্ছিস কেন? মানা করেছে যখন তখন আবার কারণ জানতে চাইবো কেন?
-আমি ইগোতে নিচ্ছি না। শুধু জানতে চাচ্ছি কি কারণে।
নিলয়ের বাবা বিরক্ত হয়ে উঠে গেলেন। সব ব্যাপারে নিলয় নিজেকে যোগ্য অন্যদের অযোগ্য মনে করে এটা তার একদম পছন্দ নয়।
একদিন পর ঘটককে কল করে নিলয় জানতে পারল মেয়ের পাত্র পছন্দ হয়নি। তাই মানা করে দিয়েছে।
চরম অপমানে লাল হয়ে গেল। অফিস থেকে ফিরেই মায়ের সাথে ফোঁসফাস শুরু করলো। নিলয়ের মা শিউলি বিরক্ত হয়ে নিজেকে রুম বন্দি করলেন বাতের ব্যাথা বেড়েছে বলে। লাভ না হয়ে উল্টো ক্ষতি হলো। নিলয় সরিষার তেল নিয়ে মায়ের কাছে বসলো।
শিউলি জানেন, না বলা পর্যন্ত সেবা চালিয়ে যাবে নিলয়। কিন্তু সাথে ওর বকবকানিও সমানতালে সহ্য করতে হবে। ছেলেটার সকল গুণ আত্মঅহংকারে চাপা পড়ে যায়।
নিলয়ের ছোট বোন নদী মহা খুশি ভাইয়ের অপদস্ত মুখ দেখে। নতুন অঘটন না ঘটা পর্যন্ত এ নিয়ে ভাইকে জ্বালানো যাবে।
রাশেদ সাহেব বাজারে ছিলেন। নদীর কাছে নিলয়ের ঘটনা শুনে বাজার থেকে দেরী করে ফিরলেন। কিন্তু ফেরা মাত্রই ছেলের সামনে পড়লেন। বাবা, আমি কি পাত্র খারাপ? বাংলাদেশের স্বনামধন্য ভার্সিটি থেকে ভালো রেজাল্ট করেছি, এখনে নিজ পরিবারের সাথে থেকে ভালো জব করছি। বউ পালার মতো যথেষ্ট ইনকাম করি, ঠিক কি না বলো? পারিবারিক অবস্থান, সম্পত্তি কোনদিকে আমি ফেলে দেয়ার পাত্র? ওই মেয়ের কি যোগ্যতা যে আমাকে মানা করে দিল?
রাশেদ সাহেব নদীর হাতে বাজারের ব্যাগ দিয়ে বললেন, অন্য মেয়ে দেখ। এ প্রসঙ্গ বাদ দে।
-বাদ দিবো কেন, আমাকে উত্তর দাও।
-ওই মেয়ের তোকে পছন্দ হয়নি এখানে আমরা কি করতে পারি?
– কিন্তু কেন পছন্দ হয় নি, সেটাতো বলে নি।
– মেয়েটা হয়তো তোর মতোই নাকউঁচু, অহংকারী । তোর মতোই খুঁতখুতে। ভালোই হয়েছে, একই বনে দুই বাঘ মানায় না।
– ওই মেয়ে বাঘ নাকি! কি যে বলো বাবা!
– আচ্ছা, মেয়েটা বিড়াল প্রকৃতির। তুই হচ্ছিস সিংহ। সিংহ হয়ে সামান্য বিড়াল নিয়ে কেন মাথা ঘামাচ্ছিস?
– বাবা, তুমি জিয়োগ্রাফি চ্যানেল খুলে বসেছো কেন? কি বলছো বাঘ, সিংহ, বিড়াল! ওই মেয়ে একটা মিচকা শয়তান।
-ঠিক বলেছিস, একদম খাঁটি কথা। মেয়ে একটা মিচকা শয়তান, ভালো হয়েছে নিজে থেকেই কেটে পড়েছে। আমার সংসারে এলে পরিবারটা ধ্বংস হয়ে যেত।
নিলয় অসহায় মুখে বলল, তোমরা আমার ভালো চাও না?
-তুই কি চাস তাই তো বুঝি না।
-আমি চাই তুমি আবার প্রস্তাব পাঠাও।
রাশেদ সাহেব বিরক্ত মুখে বলেন, যাই বলিস একটু বুঝে বলিস।
মুখ অন্যপাশে ফিরিয়ে নিলয় বলল, যা বলেছি ঠিক শুনেছো। তুমি আবার প্রস্তাব পাঠাও।
হতাশ মুখে রাশেদ সাহেব বলেন, কি বলবো? আপনার মিচকা শয়তান কন্যাকে আমার সিংহের মতো বলশালী পুত্রের খুব মনে ধরেছে। আপনারা আমার পুত্রের প্রস্তাব কবুল করুন?
– তোমরা মজা করছো?
-মজা তো তুই করছিস। একদিকে মেয়েটাকে গালি দিচ্ছিস অন্য দিকে বিয়ে করতে চাইছিস। কি সমস্যা তোর? প্রেমে পড়েছিস? নাকি ইজ্জতে লেগেছে? প্রেমে পড়লে আমি অবশ্যই প্রস্তাব পাঠাবো কিন্তু অন্য কিছু হলে তা মোটেও নয়।
নিলয় চুপ করে থাকলো।
রাশেদ সাহেব নরম গলায় বললেন, জেদ করে বিয়ে করতে চাইলে জীবনেও সুখী হবি না। বিয়ে কোনো ছেলেখেলা নয়।
-আমি জেদ করছি না বাবা।
-তাহলে কি করছিস?
আমি… শুধুমাত্র ….আমি… আমি ঠিক বুঝছি না।
-কি বুঝছিস না?
-অবনীকে আমার খুব পছন্দ হয়েছে কিনা আমি জানি না কিন্তু অপছন্দ হয়নি। আমি আরেকটু ভাবতে চেয়েছিলাম।
-এটা তো তোর চাওয়া। অবনি হয়তো তোকে নিয়ে ভাবতে চাইছে না।
-ওকে বলো আবার ভাবতে। তুমি দ্বিতীয়বার প্রস্তাব পাঠাও।
নিলয়ের বাবা নিজের রুমে চলে গেলেন। এসব বাড়াবাড়িতে তিনি নেই। নিলয় পেছন পেছন গেল মাকে বোঝাতে। মা নিলয়কে দেখেই নাক ডেকে ঘুমের ভান ধরলো।
নদী মুখ টিপে হেসে বলল, আমার কাছে আয় ভাইয়া। আমি সমাধান দেবো।
-এক থাপ্পড় দিয়ে সব দাঁত ফেলে দেবো। আমার সাথে ফাজলামি করিস?
-করি তো, তোর দুরবস্থা দেখলে আমার সুখ সুখ লাগে।
নিলয় নিজের রুমে ঢুকে দরজা বন্ধ করলো।

পরিবার থেকে দ্বিতীয়বার বিয়ের প্রস্তাব পাঠানো হবে কিনা জানা নেই। তবে নিলয় গোপনে অবনির পিছু নেয়ার সিদ্ধান্ত নিলো। কি এমন রাজকুমারী যে নিলয়কে মানা করে দিলো!

চলবে।
ঝিনুক চৌধুরী।