ধরো_যদি_হঠাৎ_সন্ধ্যে পর্ব-১০

0
208

#_ধরো_যদি_হঠাৎ_সন্ধ্যে
#_পর্ব_ঃ ১০
#_আরজু_আরমানী

প্রতিটা সকাল তার অসম্ভব সৌন্দর্য নিয়ে হাজির হয় আমাদের দ্বারে। আমি সেই সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারিনা ব্যাস্ততার কারনে। দুদিন কেটে গেছে। কাল রাতে একটা আজব কথা শুনেছি। তাহমিদ ভাইয়ার সাথে এশা আপুর বিয়ে। এশা আপুও রাজি। পুরো বাড়ি আলোয় ঝলমল করছে। রং- বেরঙের আলোতে বাড়ির উজ্জ্বলতার মাত্রা বহুগুন বেড়েছে। বাড়ির সামনেও দারুন ভাবে সাজানো। আমি একটা ব্যাপার ঠিক বুঝলাম না। বিয়ে তো বাড়ির ছেলে- মেয়েদের মধ্যে হচ্ছে, তো এখানে এতো ঘটা করে সাজানোর কি দরকার? আমি এশা আপুর রুমে ডুকলাম। তিনি ড্রেসিং টেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে চুল আঁচড়াচ্ছেন। আমি তাকে বললাম,

” ছাদে যাবে আপু?”

তিনি তখনও চুল আঁচড়াচ্ছেন এক ধ্যানে। আমার উপস্থিতিটা সে হয়তো বুঝতে পারেনি। আমি তার কাধে হাত রেখে বললাম,

” আপু…..”

অস্থির ভঙ্গিতে এশা আপু বললেন,

” সকালে এভাবে মাথা গরম করিস না তো রাত্রি।”

এশা আপুর কথার ধরন পাল্টে গিয়েছে। আগের কোমল কন্ঠস্বরের এশা আপু নয়। এ যেন অন্য কেউ। শুনেছি বিয়ের পর সবাই বদলে যায়। কিন্তু এশা আপু তো বিয়ের আগেই বদলে যাচ্ছে। আমি একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে ওনার রুম থেকে বের হলাম। তখন দেখা হলো তামিম ভাইয়ার সাথে। তিনি অনেক বদলে গেছেন। আগের সেই পেট মোটা তামিম ভাই এখন স্লিম স্বাস্থ্যের অধিকারী। তাকে ভালোই লাগছে। আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম,

” আপনি কখন এসেছেন?”

” কাল রাতে।”

” ওহ।”

” রাত্রি তোর জন্য একটা গিফট আছে।”

আমি হকচকিয়ে গেলাম। তামিম ভাইয়া কারো জন্য গিফট আনতে পারে। আগে যে টাকা পেলেই ফাস্ট ফুড খাওয়া শুরু করতো। আমার হাসি পেলো ভীষন। তবুও হাসলাম না। এখন হাসলে আবার কারন দর্শাতে হবে। আমি গভীর আগ্রহ নিয়ে জিজ্ঞেস করলাম,

” কি?”

” একটা উপন্যাসের বই।”

বইয়ের কথা শুনে আমার এতো ভালো লাগছে যে রীতিমতো উত্তেজনা শুরু হয়ে গেছে। বই পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো উপহার। এর চেয়ে ভালো কোনো উপহার হতে পারেনা। আমার ভালোলাগার একটা অংশ জুড়ে আছে বই। আমি একটা বইয়ের তাক বানিয়েছি। সেখানে তেমন কোনো বই নেই। তবে অনেক বই সেখানে জমাতে ইচ্ছে করে। আমি তামিম ভাইয়াকে বললাম,

” বইটা দিন।”

” একটা শর্ত আছে। ”

” বলুন।”

” পরে বলবো। এখন আমি বেরোবো।”

তামিম ভাইয়া চলে গেলেন। আমার এবার ভীষন আফসোস হচ্ছে। কেন তিনি বইটা দিয়ে গেলেন না? আমার নিজের রুমে চলে এলাম। ফোন বাজছে। কিন্তু আমার একদম রিসিভ করতে ইচ্ছে করছে না। তাই চুপ করে শুয়ে রইলাম। চোখটা একটু লেগে আসতেই শুনলাম বসার ঘর থেকে প্রচন্ড ঝগড়ার আওয়াজ হচ্ছে। মায়ের গলা নয়। কিন্তু বাবার কন্ঠস্বর আসছে। তিনি খুব জোরে কথা বলছেন। ডাক্তার তাকে ধীরে কথা বলার অনুমতি দিয়েছেন। আমি দ্রুত বসার ঘরে এলাম। আমার বড় ফুপি কুলকুলের সাথে বাবা তর্ক করছেন। তার সাথে কখনো কারো তর্ক হয়না। কিন্তু আজ হঠাৎ কি হলো? আমাকে দেখতে পেয়েই ফুপি বললেন,

” এইতো চলে এসেছে সব তরকারিতে লবন দেয়া মানুষ। ”

আমি অবাক হলাম। তাদের বাসায় তেমন যাওয়া আসা হয়না। আর তার সাথে আমি কোনো বাজে আচরনও করিনি। কিন্তু তিনি আমাকে এই কথাটা কেন বললেন? বাবা ফুপিকে বললেন,

” আপা এখান থেকে যাও। আমি কোনো ঝগড়াঝাটি চাইনা। ”

” তোর মেয়ে প্লে গ্রাউন্ডে গিয়ে ছেলেদের সাথে আড্ডা মারবে আর আমরা বললেই তা ঝগড়াঝাটি হয়ে গেলো রায়হান। ”

আমি কবে আড্ডা মেরেছি? মনে পরলো সাদের সাথে কিছুক্ষন ছিলাম। কিন্তু সেটা তো অনেকদিন আগে। এখন তার জের টেনে বাবার সাথে এভাবে কথা বলার কি আছে? আমি ফুপিকে জিজ্ঞেস করলাম,

” আমি প্রে গ্রাউন্ডে কোন ছেলেদের সাথে আড্ডা দিলাম?”

” ঐ যে আছে একজন সাদ না কি নাম?”

” আর কে ছিলো আমার সাথে? ”

” ও একাই।”

” শুধু সাদই ছিলেন। অন্য কেউ না। ”

” এভাবে আড্ডা দেয়ার কি আছে? তাহমিদকে রিজেক্ট করেছিস ওর জন্য। এবার দেখবি তাহমিদের সাথে এশা কত ভালো থাকবে। কারো যেন নজর না লাগে। ”

আমি কোনো উত্তর তাকে দেইনি। তার সাথে প্রতিবাদ করতে আমার ভালো লাগছে না। সে আরও আজেবাজে কথা শুনিয়ে চলে গেলো। বাবার দিকে তাকিয়ে নিজের রুমের দিকে ছুটলাম। ফোনটা এখনো বেজে চলছে। হাতে নিয়ে রিসিভ করতেই ওপাশের ব্যাক্তিটি বললেন,

” আজ নেহাকে পড়াতে আসবে?”

কন্ঠস্বরটা আমি চিনি। সময়টা দেখে তাকে বললাম,

” হ্যাঁ। ”

আর কোনো শব্দ নেই। ফোন কেটে গিয়েছে। কাল লোকটার সাথে একটু বেশিই খারাপ ব্যবহার করে ফেলেছি। তার কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। তিনি তো আমার জন্য এবং বাবার জন্য অনেক কিছু করলেন। তবুও তিনি তার প্রতিদান পেলেন না। ফোনটা টেবিলে রেখে দিয়ে বারান্দায় বসলাম। সকাল সাড়ে দশটা। কফি খেতে ইচ্ছে করছে। আজকাল এসব ইচ্ছে যখন – তখনই হচ্ছে । কিন্তু এখন রান্নাঘরে যেতে ইচ্ছে করছে না। আজ গরম তেমন নেই। আকাশে মেঘ। আবহাওয়া ঠান্ডা ঠান্ডা। মাথাটা কেমন যেনো ভার ভার লাগছে। চোখটা ব্যাথা করছে। চোখ বন্ধ করে চুপ করে বেতের চেয়ারটায় বসে রইলাম। এই চেয়ারটা আমার দাদার। এতো দিন এটা স্টোর রুমে পরেছিলো। আমি এটাকে ঠিকঠাক করে বারান্দায় এনে রেখেছি। এটায় বসলে মনটা প্রশান্তিতে ভরে যায়।

_________________________

বিকাল সাড়ে পাঁচটা। নেহাকে পড়িয়ে একটু কেনাকাটা করতে বের হয়েছি। কেনাকাটা শেষ হলো আধ ঘন্টার মধ্যে। হাত ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলাম ছয়টা বেজেছে। একটা গাড়ি নিয়ে রমনা পার্কে এসে বসেছি। গাছের নিচে একটা বেঞ্চ। পাশে কয়েকটা ফুলের গাছ। যখন ছোট ছিলাম, তখন একবার রমনায় পৌষ মেলায় এসেছিলাম। হাতে পৌষমেলা লিখে দিয়েছেন এক ভাইয়া। এই মেলা প্রতি শীতে হয় পৌষ মাসে। তবে এখন আর আমার আসা হয়না। আজ অন্য কোনো টিউশনি না থাকায় অনেক ভালো লাগছে।। মৃদু বাতাস বইছে। চোখে – মুখে এসে বাতাসের ধাক্কা লাগছে। মন প্রশান্তিতে ভরে গেলো। আজ বাবার সাথে গল্প করতে মন চাইছে। তবে সেটা বাসায় না হয়ে এই রমনায় হলেই ভালো হয়। ব্যাগ থেকে ফোন বের করে বাবার নাম্বারে ফোন করলাম। কিন্তু তিনি ব্যাস্ত। আসতে পারবেন না। আমাকে তার অফিসে যেতে বলছেন। আমার যেতো ইচ্ছে নেই। আচমকা আমার পাশে এসে কেউ এসে বসলো। আমি তার দিকে তাকিয়ে অাশ্চার্য হলাম।

” আপনি এখানে?”

সে কোনো কথা বললো না। মুখ বন্ধ করে বসে রইলেন। কিছুক্ষন পর তিনি আমায় বললেন

” তুই আমার মেয়ে হবি কি না, তার উত্তর কিন্তু দিসনি।”

” আমার বাবা আছে। তবে অন্য কেউ আমাকে তার মেয়ে ভাবলে আমি কিছু মনে করবোনা।” আমার কন্ঠস্বর দৃঢ়। আমি আমার কাকা আশফিকের খারাপ মতলব ধরে ফেলেছি। তিনি যে কোনো একটা ফায়দা লুটতে চাইছেন। তবে সেটা কি তা আমি বুঝতে পারিনি। তিনি আমার দিকে হতভম্ব হয়ে তাকিয়ে রইলেন। তার মুখটা দেখার মতো। সে হয়তো আমার থেকে দৃঢ়তা আশা করেনি। তার থেকে প্রশ্ন আসলো,

” সব সমস্যা মিটে গেছে?”

” কোন সমস্যা? ”

” তোর বাবার সেই পুরনো প্রেমিকা ফিরে এসেছে।”

আমি বিশ্বাস করতে পারলাম না কাকার কথা। তিনি আমার সামনে বাবার চরিত্রটা এতোটা খারাপভাবে ফুটিয়ে না তুললেও পারতেন। এই প্রমিকার ব্যাপারে তার সাথে কথা বলার বিন্দুমাত্র ইচ্ছে নেই আমার। কাকা লাজ-লজ্জার মাথা খেয়ে বললেন,

” বৌ থাকতে অন্য একটা মেয়ের সঙ্গে তোর বাবা অন্ত’রঙ্গ হয়েছেন। তুই বুঝতে পারছিস আমার কথা।”

কপাল কুচকে চেয়ে রইলাম তার দিকে। তিনি কি অবলীলায় কথাগুলো বলছেন। তার মধ্যে কোনো সংকোচ নেই। নিঃসংকোচে কথা বলাটা আমার একদম পছন্দ নয়। তার সাথে তেমন বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কও নয় আমার। তবে কিভাব তিনি এতো কথা বলছেন? এই প্রশ্নের উত্তর জানা নেই আমার। মুহূর্তেই আজকের বিকালটা অসহ্য হয়ে উঠলো। আর এক মুহূর্তও এখানে থাকতে ইচ্ছে করছে না। শপিং ব্যাগগুলো হাতে নিয়ে উঠে দাড়ালাম। পা বাড়াতেই তিনি বললেন,

” বাপের চরিত্রের পুরোটা শুনে যা।”

তার দিকে ঘুরে তাকালাম। কপাল চুলকে বললাম,

” কাকা নিজের চরকায় তেল দিন।”

আর দাড়ালাম না। তার সাথে কথা বলতে আমার একটুও ভালো লাগছেনা। তিনি আজকাল একটু গায়ে পরেই কথা বলেন। এমনিতেও তাকে আমার পছন্দ নয়। আমার ফ্যামিলির কাউকেও আমার পছন্দ নয়। ঘৃনা করি আমি সবাইকে। ফোনটা বেজে উঠেছে। ফোনটা কানে চাপালাম,

” হ্যাঁ, বলুন।”

” বাসায় পৌছেছো?”

” এটা আপনার জানা কি খুব জরুরী? ”

সাদের সাথে কথা বলতে আমার এখন ভালো লাগছেনা। দুনিয়াটা বিভীষিকাময় লাগছে। তিনি আমাকে প্রশ্ন করলেন,

” কোথায় তুমি?”

” রাস্তায়। রাখছি। ”

ফোন কেটে ব্যাগে ভরলাম। হাটা শুরু করলাম। আজ বাসায় হেটে যাবো। রাগে আমার গায়ে আগুন জ্বলছে। হাটলে রাগ ঠান্ডা হবে। অশান্ত মন শান্ত হবে। গাড়ির ফাকে ফাকে রাস্তা পেরিয়ে একটা ফাস্টফুডের দোকানে ঢুকলাম। রাগের তোড়ে আজ বার্গার খেতে মন চাইছে। বার্গার অর্ডার দেয়ার কিছুক্ষন পর একটা লোক এসে আমার সামনের চেয়ারটায় বসে পরলো। আমি তার দিকে তাকিয়ে প্রকম্পিত হলাম। প্রায় দুই – আড়াই বছর পর তার সাথে দেখা। তার চেহারা আগের মতোই আছে। কোনো পরিবর্তন ঘটেনি। তবে শুধু আগে চশমা পরতো না এখন পরে এটুকুই তফাৎ। সাদা শার্ট পরনে। সন্জু,আমি তার এই নামটাই জানি। সেদিন বিয়ে করতে এসে অপমানিত হয়ে ওনার মা চলে গিয়েছিলেন। তারপর আর একবার আমাদের দেখা হয়েছে। আমার দিকে তাকিয়ে বললো,

” কেমন আছো?”

আমি তার দিকে তাকিয়ে আছি। কোনো কথা বলতে পারছিনা। অস্ফুট স্বরে বললাম,

” ভালো।”

” আমাকে চিনতে পারছো?” তিনি ফিনফিনে কন্ঠে বললেন।

” আমার স্মৃতিশক্তি খুবই প্রখর।”

বার্গার চলে এসেছে। আমি বার্গারে একটা কামড় দিয়ে বললাম,

” আপনি কি আমাকে কিছু বলবেন?”

” হ্যাঁ। তোমাকে অনেকক্ষন যাবত ফলো করছি। কিছু কথা বলার ছিলো।”

” হ্যাঁ বলুন।”

তিনি তার ফিনঠিনে কন্ঠে বললেন,

” আমি একটা কলেজের শিক্ষক পদে যোগদান করেছি। একমাস হলো। বেতনও ভালো। আলাদা ফ্ল্যাট কিনেছি। আমার মা মারা গেছে ছয় মাস হলো। আমি এখন একদম একা। আমার একজন সঙ্গী প্রয়োজন। আমি বিয়ে করতে চাই। আমি তোমার বোন তিশাকে পছন্দ করি। সেই প্রথম দেখা থেকে তাকে আমার ভালোলাগে। তুমি কি আমাকে একটু সাহায্য করবে?”

আমি অবাক। তিনি এসব কি বলছেন? তার মানে আমার ধারনা ঠিক ছিলো। সেদিন এই লোক আমাকে নয়, তিশাকে দেখছিলেন। আর সেদিন রেস্টুরেন্টে ওর সাথে কথা বলার জন্যই ওকে নিয়ে যেতে বলেছিলেন। আমি প্রশ্নবিদ্ধ চাহনিতে বললাম,

” আমি কিভাবে সাহায্য করতে পারি?”

” তুমি তিশাকে একটু বুঝিয়ে বলবে।”

” আপনার ব্যাপার আপনি সামলান। আমি এসবের মধ্যে নেই। সরি, আমি আপনাকে কোনো সাহায্য করতে পারলাম না। ”

আমার খাওয়া শেষ। বিল মিটিয়ে ওখান থেকে বেরিয়ে পরলাম। সন্জু আমাকে ডেকেছিলেন। কিন্তু এসব ফালতু ঝামেলায় জড়াতে আমার একদমই ভালো লাগেনা। হাটতে শুরু করেছি বাসার উদ্দেশ্যে। মাগরিবের আযান শেষ হয়েছে কিছুক্ষন হলো। শহরের পথে মানুষের ঢল। রাস্তা ফাঁকা পাওয়া দুষ্কর। এতো ব্যাস্ততার মধ্যে পা গলিয়ে হাটছি। ফুটপাতে দাড়িয়ে আছি। একটু জিড়িয়ে নিচ্ছি। তখন দেখলাম একটা কারো জিপ এসে থামলো সামনে। গাড়ির কাঁচ নামিয়ে আমাকে বললেন,

” একটু পানি খেয়ে নিন। আবার বল ফিরে পাবেন।”

তাকিয়ে দেখি সাদ। ওনার কি দরকার? উনি আজকাল আমার আশেপাশে একটু বেশিই ঘোরাঘুরি করে। ব্যাপারটা সন্দেহ সন্দেহ ঠেকছে। উনি কেন এমন করছেন? আমি তাকে কিছু না বলে আবার হাটা শুরু করলাম। তিনিও হালকা তালে জিপ নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। থেমে যাওয়া রাগটা আবার মাথায় চড়ে গেছে। আমি কঠিন কন্ঠে বলে ফেলি,

” একটুও আগাবেন না আপনি। আমার পিছনে কি? যান নিজের কাজে যান। আমাকে জ্বালাবেন না।”

” আমি স্বাধীন দেশের নাগরিক। আমার ইচ্ছে। তোমার কথা শুনবো কেন?”

” পুলিশদের কন্ঠে এমন হ্যাবলা টাইপ কথা মানায় না।”

চলবে…………