নাম না জানা পাখি পর্ব-১৫

0
642

#নাম_না_জানা_পাখি
#নূর_নাফিসা_খুশি
#পর্ব_১৫

খুশির বাসা বিয়ের সাজে সেজেছে, ছোট্ট একটা বাড়ি কি সুন্দর করে সাজিয়েছে খুশির বিয়ের জন্য। আজ খুশির বিয়ে অনন্তর সঙ্গে,, কোলকাতার পরিচিত কয়েকজন মেহেমান হয়ে এসেছে খুশির বাসা। আধরা আধরার আম্মু আব্বু ও এসেছে আধরার মতো খুশি কেউ নিজের মেয়ের মতো ভালোবাসে তারা। অধরার আব্বু খুশির বিয়েতে নিজের মেয়ের মতো কাজ করছে খুশি কান্না করে দিয়েছে অধরার আব্বুকে দেখে নিজের আব্বুর কথা মনে করে।

বিয়ে রাতে সকালে গায়ে হলুদ হয়েছে খুশির। খুশি এখনো বুঝতে পারছে সে কাজ টা ঠিক করছে নাকি ভুল। মাহির কি সত্যিই মেনে নিবে এটা ও তো বলেছিলো আমার বিয়েতে আসবে। কিছু দিন আগের কথা খুশি রাহুলের পরিবারকে তার বিয়ের কার্ড বিতে যায়। ওদের বিয়ের কার্ড দিয়ে মাহিরের ফ্লাটে যায় কার্ড দিতে। খুশি মাহিরের ফ্লাটের সামনে এসে বেল চাপে আজ আর চাবি দিয়ে ঢুকে না। দরজা খুলে দেয় মাহির খুশিকে দেখে অবাক হলেও সেটা বুঝতে দেয়না মাহির। খুশি ভিতরে গিয়ে ব্যাগ থেকে কার্ড টা বের করে মাহিরের হাতে দেয় আর বলে।।

“আমার বিয়ে আসবেন কিন্তু। (অন্য দিকে মুখ করে বলে খুশি)”

মাহির কার্ড হাতে নিয়ে খুলে দেখে পাসাপাসি দুটো নাম ‘হৃিদিতা খুশি আহমেদ, অনন্ত চৌধুরী’ । মাহির নাম দুটো দেখে শয়তানি হাসে খুশির আরালে। মাহির বলে,,

” তোমার বিয়ে আর আমি না আসলে হয়? আমি না আসলে বিয়েই হবে না আমি অবশ্যই আসবো।”

“আপনি না আসলেও বিয়ে হবে আমার, আচ্ছা গেলাম আমি।”

” আমি কিন্তু এখনো তোমাকে ডিভোর্স দেয়নি, আর এক জনের সঙ্গে বিয়েতে আবদ্ধ থাকা শর্তেও অন্য একজনকে বিয়ে করছো কাজ টা কি ঠিক করছো। ভেবে দেখেছো কি করছো তুমি?”

মাহিরের কথায় খুশি থমকে দাঁড়ালো, খুশি সত্যিই জানে কাজ ঠিক নাকি ভুল তার মনে একটাই জেদ চেপেছে সে মাহিরের সঙ্গে থাকবে না। খুশির ছোট থেকেই দুমুখো ছেলে পছন্দ করে না,, বিয়ে একজনকে করবে আর রাত কাটাবে অন্য একজনের সঙ্গে এতে যদি ভুল না থাকে তো খুশির বিয়েতে কেনো ভুল থাকবে? খুশি মাহিরের দিকে তাকিয়ে একটা তাচ্ছিল্য হাসি দিয়ে বেরিয়ে আসে ফ্লাট থেকে।

“এই খুশি কি এতো ভাবছিস চল তোকে বউ সাজে সাজিয়ে দেয় দেরি হচ্ছে তো।”

অধরার কথায় কল্পনার জগৎ থেকে বেরিয়ে আসে খুশি। অধরার দিকে তাকায় অধরা কিছু কথা বললো তা শুনেছে খুশি কিন্তু কি কথা বললো তা বুঝেনি।

” কি বললি?(খুশি)”

“তুই ঠিক আছিস তো কোন দিকে মন আছে তোর? ”

“না তেমন কিছু না ঠিক আছি আমি, তুই কি বললি?”

“বললাম চল তোকে বউ সাজে সাজিয়ে দেয় ওরা চলে আসবে তো।”

“হ্যাঁ চল।”

অধরা খুশিকে সাজাতে চলে যায়, অধরা পার্লার থেকে মেয়ে নিয়ে আসতে চেয়েছিলো কিন্তু খুশি না করে দিয়েছে। এতো বেকার টাকা খরচা করার কোনো মানে হয়না বলে মনে করে খুশি৷ অধরা অনেক সুন্দর করে বউ সাজাতে পারে তাই অধরায় সাজাচ্ছে খুশিকে। খুব হালকার মধ্যে বউ সাজিয়ে দেয় খুশিকে অধরা। খুশি এমনেই দেখতে সুন্দরী বউ সাজে তো আরও বেশি সুন্দর লাগছে খুশিকে। অধরা খুশি কে দেখে বলে উঠে।

“আজ মা…. না মানে অনন্ত জিজু দেখে পাগল হয়ে যাবে রে। ”

“কেনো খুব খারাপ লাগছে আমাকে দেখতে?”

“না অনেক সুন্দর লাগছে একদম লাল পরি দেখ তুই আয়নায় নিজেকে।”

খুশি নিজেকে আয়নায় দেখে সত্যিই সুন্দর লাগছে খুশিকে অনেক বেশি। বাইরে থেকে সবার আওয়াজ পাওয়া গেলো বর এসেছে বর এসেছে। খুশির বুক টা চ্যাত করে উঠে এটা শুনে। বর এসেছে মানে তো বিয়ে পড়ানো শুরু করবে কিছুখন পরেই। খুশিকি কাজ টা ঠিক করলো মাহির যেমন ই হোক এখনো তো খুশির স্বামীই। খুশি কিছুই বুঝতে পারে না কি করবে সে,, এতো খন তো তেমন কিছুই লাগে নি কিন্তু এখন কেনো মনে হচ্ছে এটা ঠিক না। খুশি নিজেকে স্বাভাবিক করার চেষ্টা করে, ভাগ্যে যা আছে তাই হবে এটা কেউ বাদলাতে পারবে না। খুশি দেখতে চাই তার ভাগ্যে কি আছে কি হবে আজ তার সঙ্গে। যেমন টাই হোক না কেনো সেটাই মন থেকে মেনে নিবে খুশি।

প্রাই বেশ কয়েক মিনিট পরে আবার হইচই শোনা যায়, সুপারস্টার মাহির এসেছে খুশির বিয়েতে এমন। মাহিরের এসেছে শুনে খুশি উঠে বাইরে চলে যায়,, খুশি ভাবেনি মাহির সত্যি আসবে। এই দিকে মাহিরকে নিয়ে সবাই মাতামাতি শুরু করেছে বিয়ে বাড়ির লোক। বর যে একা সোফায় বসে আছে সেটা কারো খবরই নেই। এমন কি বরের বোন গুলাও মাহিরের কাছে চলে গেছে। মাহির সবাই কে বুঝিয়ে বলে যে খুশির ফ্রেন্ড হয় সে দাওয়াত পেয়েই এসেছে। বিয়ে বাড়ির সবাই অবাক হয় এই ভেবে এতো বড়ো মাপের মানুষ কিনা খুশির ফ্রেন্ড। খুশির আম্মু ধকম দিয়ে সবাই কে বলে।

“আরে তোমরা কি করছো,, ছেলেটা একটা বিয়েতে এসেছে তাকে একটু শান্তি ভাবে থাকতে দাও। এখন ভুলে যাও ও কোনো সেলিব্রিটি, সাধারণ ভাবে থাকতে দাও ওকে। বিয়ে পড়ানো শুরু হবে সবাই এদিকে আসো আর মাহির বাবা তুমিও এসো বসো এখানে। ”

খুশির আম্মুর কথায় সবাই আবার নিজের কাজে চলে যায় মাহির এবার একটু শান্তি পায়। মনে মনে বলে মাহির.।।

“আহা শাশুড়ী আম্মু তো দেখি অনেক বুঝে আমাকে ধন্যবাদ শাশুড়ী আম্মু। ” (মনে মনে)

মাহির গিয়ে সোজা অনন্তর পাসে বসে, বিয়ে বাড়ির তবুও কিছু মেয়ে মাহিরের আসে পাসে ঘুরঘুর করছে। কিছুক্ষণ পরে খুশি আনা হয় অনন্তর কাছে খুশিকে দেখে মাহিরের চোখ আটকে যায় এই দিকে অনন্তর ও একি হাল। দুই জনে তাকিয়ে আছে খুশির দিকে খুশির এবার খুব অসুস্তি লাগছে। মাহির সেটা বুঝতে পেরে দৃষ্টি সরিয়ে নেয়।

খুশিকে অনন্তর সামনে বসানো হয়, খুশি ভাবছে মাহির এখনো চুপ আছে কেনো সত্যিই কি খুশির বিয়ে দেখতেই এসেছে। খুশি এবার খুব খারাপ একটা অবস্থাই পরে যায় সামনে বসা এক তার হবু স্বামী আরেকটা হয়ে গেছে স্বামী। বেচারির অবস্থা খুব খারাপ এমন একটা পরিস্থিতি তে পরবে ভাবতেও পারেনি খুশি।

কাজি সাহেব আসে বিয়ে পরাতে, মাহির খুশির দিকে তাকিয়ে আছে মাহির দেখতে চাই খুশি কি করে। তাকে রেখে কি করে অন্য একটা ছেলেকে বিয়ে করে খুশি দেখতে চাই মাহির। যদি খুশি কিছু না করে তো খুশির কপালে চরম দুঃখ আছে।

কাজি সাহেব বিয়ে পড়ানো শুরু করে দেয় অনন্ত খুশির মধ্যে একটা পাতলা কাপর দেওয়া। খুশি সব দেখতে পাচ্ছে ওপাসের সবাই কে। খুশি ছলো ছলো নয়নে মাহিরের দিকে তাকিয়ে আছে। বিষয় টা এখন এমন পরিস্থিতি তে এসেছে যে খুশি এই বিয়ে আটকাতে পারছে না তার আম্মুর মানসম্মানের জন্য। এখন খুশির হারে হারে টের পাচ্ছে কাজ টা ঠিক হয়নি মটেও ঠিক হয়নি। রাগের মাথায় এতো বড়ো সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক হয়নি। কি করবে এখন খুশি? কি করবে মাহির কিছু বলছে না কেনো? খুশি মাহিরের দিকে অসহায় দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। মাহির খুশির ফেইস দেখে বুঝে গেছে খুশি চাই তবুও চুপ আছে মাহির। কাজি সাহেব কবুল বলতে বলে খুশিকে খুশি মাহিরের দিকে তাকিয়ে আছে। অনেকক্ষন পরেও মাহির যখন কিছু বলছে না তখন খুশি তার আম্মুর জোরে কবুল বলতে নেয়। ঠিক তখনি কেউ একজন বলে উঠে।

“দাঁড়াও।”

বিয়ে বাড়ির সবাই সেদিকে তাকায় মাহির বাদে। একটা মেয়ে এসেছে মেয়েটাকে দেখে মনে হচ্ছে ৫-৬ মাসের অন্তসত্তা। মেয়েটাকে দেখে অনন্তর মুখের রঙ পালটে যায়,, বিয়ে বাড়ির সবাই অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে। খুশির আম্মু মেয়েটার কাছে গিয়ে বলে।

“কে তুমি মা এখানে এমন করে এলে কেনো?”

“সেটা আপনার হবু জামাই কে জিজ্ঞেস করুন আমি কে?” (মেয়েটা)

বিয়ে বাড়ির সবাই অনন্তর দিকে তাকায় অনন্ত মেয়েটার কাছে এসে আসতে আসতে বলে।

“তুমি এখানে কি করছো রুপা? ”

মেয়েটা জোরেই উত্তর দেয়।

“জানো না আমি এখানে কি করছি?”

“মেয়েটা কে অনন্ত? “(অধরার আব্বু)

অনন্ত চুপ করে আছে। মেয়েটা বলে,

” ও কিছুই বলতে পারবে না, এই লোক একটা ঠকবাজ লোক। ৭ মাস আগে এই লোক আমার প্রেমিক ছিলো আমাকে বিয়ের সপ্ন দেখিয়ে আমার সঙ্গে,,,,

এই টুকু বলেই মেয়েটা কান্না করে দেয়। বিয়ে বাড়ির আর কারো বুঝতে বাকি নেই কাহিনি কি,, খুশির আম্মু সোফায় বসে পরে খুশি তার আম্মুর কাছে যায়।

“আম্মু আম্মু তুমি ঠিক আছো। (খুশি)

মেয়েটা আবার বলে।

” অনন্তর সন্তান যখন আমার গর্ভে আসে সেটা শোনার পর অনন্ত আমাই বলে এই বাচ্চা নষ্ট করে দিতে। কারণ সে এখন বিয়ে করতে পারবে না, আমি পারিনি আমার সস্তানকে নষ্ট করতে তাই চলে গিয়েছিলাম অনন্তর থেকে দূরে। এখন যখন শুনি ও বিয়ে করতে যাচ্ছে অন্য একটা মেয়ের জীবন আমি শেষ হতে দিতে পারি না বলেই এসেছি।”

অনন্ত রেগে বলে।

“আমি বলেছিলাম তোমাকে এই বাচ্চা নষ্ট করে দাও তুমি সেটা না করে চলে কেনো গেলে?”

এটা বলেই অনন্ত রুপা কে থাপ্পর দিতে যায়, তখন মাহির উঠে অনন্তর হাত ধরে ফেলে। এবার মাহির মুখ খুলে,,

“ভুল নিজে করে আবার ওনার গায়ে হাত তুলতে লজ্জা করে না আপনার মিস্টার অনন্ত চৌধুরী।

অনন্ত রেগে বলে।

” এই মেয়েকে এখান থেকে বের করে দাও আমি খুশিকে বিয়ে করবো আমি ওকে ভালোবাসি।

এবার খুশির আম্মু উঠে এসে অনন্ত কে এক থাপ্পর দেয় আর বলে।

“ভাবলে কি করে আমি আমার মেয়ের বিয়ে তোমার সঙ্গে দিবো?”

“মিস্টার অনন্ত আপনার বিয়ে মিস রুপার সঙ্গেই হবে,, তবে সেটা বাবু হওয়ার পরে। এখনি বিয়ে দিতে পারতাম কিন্তু অন্তসত্তা মেয়ের বিয়ে দেওওয়ার নিয়ম নেই মুসলিম ধর্মে। বেবি হওয়ার ঠিক কিছুদিন পরেই বিয়ে হবে আপনাদের এর মধ্যে কিছু চালাকি করলে পুলিশ নিয়ে যাবো আমি। ভুলে যাবেন না আমি কে আর আমার ক্ষমতা কতটা। এই কই মাস রুপার দেখা শোনা আপনি এবং আপনার পরিবার করবে। ”

মাহিরের কথায় অনন্ত চুপ হয়ে যায়, অনন্ত জানে মাহিরের সোশ্যাল মিডিয়া সম্পর্কে এই ব্যাপার টা একবার ভাইরাল করে দিলে তার ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যাবে। অনন্তর আম্মু বলে।

“আমাকে মাপ করবেন মুনতাহা আপু আমার ছেলে এমন একটা কাজ করে রেখেছে জানলে কখনো আপনার মেয়ের সঙ্গে বিয়ে ঠিক করতাম না। রুপার মতো মিস্টি মেয়েকে ও এতো কষ্ট দিয়েছে। ”

খুশির আম্মু বলে।

“মেয়েটার খেয়াল রাখবেন।”

অনন্ত এবং অনন্তর পরিবার চলে যায়। খুশির আম্মু চিন্তাই পরে যায় খুশির বিয়ে এভাবে ভেঙ্গে যাওয়াই। মাহির এবার খুশির আম্মুর কাছে যায় খুশির আম্মুর হাত টা শক্ত করে ধরে বলে।

“আমি আপনার মেয়েকে বিয়ে করতে চাই আম্মু। আমি অকে অনেক ভালোবাসি,, আপনি চাইলে আমার ব্যাপারে খবর নিতে পারেন।”

মাহিরের কথায় বিয়ে বাড়ির সবাই আকাশ থেকে পরে,, তবে খুশির মনে খুশির লাড্ডু ফুটছে। অধরার আব্বু বলে।

“আমি মাহিরকে চিনি মাহিরের আব্বু আমার ছোট বেলার ফ্রেন্ড, চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করা যায় আপু মাহিরকে। ”

খুশির আম্মু খুশির দিকে তাকিয়ে বলে।

“তুই কি বলিস?”

খুশি মাথা নিচু করে উত্তর দেয়।

“তুমি যা চাইবে আম্মু।”

খুশির আম্মু রাজি হয়ে যায়, সেই খানেই খুশি আর মাহিরের বিয়ে হয়ে যায় এবার ধর্মীয় আর কাগজ কলমে দুইটা তেই বিয়ে হয়ে যায় খুশি মাহিরের। বিয়ে হওয়ার পর খুশি মাহিরকে সোফায় বসিয়ে রাখে বাকি রা খাওয়া দাওয়ায় ব্যাস্ত। খুশি মাথা নিচু করে বসে আছে তার সব টাই সপ্ন সপ্ন লাগছে। অধরা এসে মাহিরের পাসে বসে।আর বলে,,

“জিজু প্লান টা কিন্তু সেই ছিলো। ”

“কিসের প্লান?” (খুশি অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করে)

মাহির মুচকি মুচকি হাসছে অধরা বলে।

“অনন্তর গি এফ কে খুঁজে বের করার প্লান। কিছু দিন আগে মাহির জিজু আমার আর রোদের সঙ্গে দেখা করেছিলো তার পরে সব কিছু বলে তোদের আগের বিয়ের কথাও। তুই বলিস নি😒 পরে আমরা অনন্তর ব্যাপারে খোজ নেই জানতে পারি রুপার কথা ওকে বুঝিয়ে নিয়ে আসি বিয়ে বাড়ি ব্যাস।

খুশি হা করে দুই জনের দিকে তাকিয়ে আছে,, অকে ছাড়া এতো কিছু করে নিয়েছে খুশি জানেও না। খুশি ব্রু কুচকে মাহিরের দিকে তাকায় মাহির অন্য দিকে ঘুরে মুচকি হাসে। অধরা কে ওর আব্বু ডাকায় ও চলে যায়। মাহির খুশির কাছে এসে কানে কানে বলে।

” রেডি তো বাসর রাতের জন্য।

“😒😒(খুশি)

চলবে?