#না_চাইলেও_তুমি_আমার
পর্বঃ ১৫
জাহান আরা
চন্দ্র বসে আছে রাত্রির পাশে,রাত্রিদের বাড়ির মেহমানরা চলে এসেছে,খাওয়া দাওয়া চলছে।ক্ষিধেয় চন্দ্রর নাড়িভুঁড়ি জ্বলছে কিন্তু চন্দ্র খেতে যেতে পারছে না।নিষাদের মুখোমুখি হতে চাচ্ছে না ওদিকে ক্ষিধে ও বেশ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।গতকাল দুপুর থেকে না খেয়ে আছে।
রাত্রির রুমে অনেক মেহমান,কিছুক্ষণ পর পর উঠে চন্দ্র পানি খাচ্ছে ক্ষিধে মিটানোর জন্য।
সকালে নির্লজ্জের মতো নিষাদ কে জড়িয়ে ধরার পর থেকে আর নিষাদের সামনে যেতে পারছে না।মনে মনে নিজেকে নিজে বারকয়েক অসভ্য,বেহায়া,নির্লজ্জ বলে গালি দিলো।
নিষাদ,নিশান এসে কয়েকবার ডেকে গেলো চন্দ্রকে,খেতে ইচ্ছে করে না বলে চন্দ্র পাশ কাটিয়ে গেলো,একবারও নিষাদের মুখের দিকে তাকাতে পারে নি।
চন্দ্রর মাথায় মারিয়ার চিন্তা ঘুরছে এখন,মারিয়া ছাদে আছে,খাওয়া দাওয়া করছে,নিষাদ ও তো ছাদে,খাবারের তদারকি করছে।
ওরা কি এখন কথা বলছে?
নিষাদ নিশ্চয় মারিয়ার প্লেটে খাবার বেড়ে দিচ্ছে!
আচ্ছা,ওরা কি একই টেবিলে বসে খাচ্ছে এখন?
দুরুদুরু কাঁপতে থাকে চন্দ্রর বুক,নিষাদ কে নিয়ে সে এতো ইনসিকিউর ফিল করছে কেনো?
নিষাদের উপর তার কিসের অধিকার?
বুঝতে পারছে না কিছু চন্দ্র,নিজের মনটা ভীষণ অচেনা লাগে নিজের কাছে।
একটু পর নিশান এসে রাত্রি কে নিয়ে গেলো খেতে,যাওয়ার সময় চন্দ্র কে কয়েকবার সাধাসাধি করে নিশান রাত্রি ২ জন মিলে,চন্দ্র শক্ত হয়ে বসে থাকে,এখন আর কিছুই ভালো লাগছে না তার।
মনের ভিতর অজানা ভয় বাসা বেঁধেছে,বারবার মনে হচ্ছে নিষাদ আর মারিয়া এক সাথেই আছে।
একবার ভাবে ছাদে গিয়ে দেখে আসে কি করছে ওরা,আবার মনে পড়ে না যাওয়ায় ভালো।নিজের চোখে ওদের একসাথে দেখলে বেশি কষ্ট হবে।
রাত্রি চলে যাওয়ার পর রুম খালি হয়ে গেছে।চন্দ্র হাটুতে মাথা রেখে কান্না করছে।অকারণ কান্না যাকে বলে।কেনো নিষাদ কে কাছে রাখতে ও ভয়,দূরে রাখতে ও ভয় চন্দ্র বুঝতে পারে না।নিজেকে ভীষণ অসহায় মনে হয়।
একে একে সবাই খেয়ে নিলো,নিষাদ অনেকক্ষণ ধরে অপেক্ষা করছে রাত্রি খেতে আসার জন্য।রাত্রি উপরে আসতেই নিষাদ খাবার প্লেট নিয়ে নিচে নেমে গেলো।নিজের রুমে প্লেট রেখে রাত্রির রুমে যায়।গিয়ে দেখে চন্দ্র হাটুতে মাথা গুঁজে আছে,ফোঁপাচ্ছে থেকে থেকে।
চন্দ্রর মাথায় হাত রাখতেই চন্দ্র চমকে উঠে মাথা তুলে তাকায়।
নিষাদকে সামনে দেখে কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে যায়,যেনো ধরা পড়ে গেছে,ভীত চোখে তাকায় নিষাদের দিকে।
নিষাদ কিছু না বলে রুম থেকে বের হয়ে যায়।
নিষাদ বের হয়ে যেতেই চন্দ্রর কান্না আরো জোরদার হয়ে উঠে,তাকে কাঁদতে দেখেও নিষাদ চলে গেলো রুম থেকে?একটা বার কথা বলার দরকার মনে করে নি!
মাথা নিঁচু করে আবারও কাঁদতে শুরু করে,এবার আর ফুঁপিয়ে কান্না না,শব্দ করেই কাঁদে।
নিষাদ বাহিরে এসে দু’দিকে ভালো করে তাকায়,২-১ জন ছাদে যাচ্ছে,কেউ ছাদ থেকে নামছে।একটু পরেই খালি হয়ে যায়,না কেউ নেই এখন উপরে,টুক করে আবার নিশানদের রুমে ঢুকে,চন্দ্র কে কিছু না বলেই কোলে তুলে নেয়।
হঠাৎ করেই কেউ টান দিয়ে কোলে তুলে নেওয়ায় চন্দ্র চমকে উঠে চিৎকার দিয়ে উঠতে যায়,পরক্ষণেই নিষাদ কে দেখে চুপ হয়ে যায়।কোলে করে চন্দ্রকে নিজের রুমে নিয়ে যায় নিষাদ,বিছানায় বসিয়ে দরজা আটকে দেয়।
চন্দ্রকে কিছু না বলে নিজেই খাবার হাতে নিয়ে চন্দ্রর মুখের সামনে ধরে,চন্দ্র কাঁদতে কাঁদতে মুখ ফিরিয়ে নেয় অন্যদিকে।চন্দ্রর চোয়াল চেপে ধরে হা করায় জোর করে,তারপর মুখে খাবার দিয়ে দেয়।
রাগে চন্দ্র মুখ হা করেই রাখে,বন্ধ করে না।
নিষাদ বাম হাত দিয়ে ২ঠোঁট আটকে দেয়,চন্দ্র আবার হা করে।
নিষাদ আবার ঠোঁট বন্ধ করে দেয়,চন্দ্র আবারও হা করে।
নিষাদ চন্দ্রর দিকে তাকায়,তারপর খাবার প্লেট একপাশে সরিয়ে রেখে এগিয়ে বসে চন্দ্রর ঠোঁটের উপর নিজের ঠোঁট নামিয়ে আনে।
নিষাদ এরকম কিছু করে বসবে চন্দ্রর ভাবনাতেও ছিলো না,কেমন বোকা বনে যায়।ততক্ষণে নিষাদের কিস করা হয়ে গেছে,চন্দ্রর মুখের খাবার ও পেটে নেমে গেছে।
নিষাদ মুচকি হেসে বলে,”খাবার মুখে নিয়ে বসে থাকলে কিন্তু আমারই লাভ চন্দ্র,প্রতিবার একটা করে চুমু খেতে পারবো,তুমি বরং রাগ করে খাবার মুখে নিয়েই বসে থাকো বউ।”
নিষাদের হাসি দেখে চন্দ্র ভীষণ রেগে যায়,নিষাদ এতো বেশী ফাজিল হতে পারে তা চন্দ্র বুঝে নি এতোদিন। এরপর আর খাবার গিলতে দেরি করে নি চন্দ্র।
খাওয়ানো শেষ করে চন্দ্রর মুখ মুছে দেয় নিষাদ,তারপর নিষাদ অভিমানী সুরে বলে,”নিজে তো আমার আঙুল চেটেপুটে খেলে,একবার ও জিজ্ঞেস করলে না আমি খেয়েছি কি-না?”
চন্দ্রর মুখ কালো হয়ে যায় এই কথা শুনে মুহূর্তেই,ক্ষিধেয় নিজের অবস্থা এতই কাহিল ছিলো যে মনেই ছিলো না নিষাদকে জিজ্ঞেস করতে,তার উপর সকালের ঘটনার জন্য এখনো লজ্জা পাচ্ছে,কিভাবে কথা বলতো!
চন্দ্রকে চুপ করে থাকতে দেখে নিষাদ মুচকি হেসে দেয়,তারপর বলে,”তুমি কি এখনো লজ্জা পাচ্ছো না-কি?”
চন্দ্র মাথা আরো নিচু করে নেয়।
উচ্চস্বরে হেসে উঠে নিষাদ তারপর বলে,”গতরাতে এই লজ্জা কই ছিলো?
তখন কি কি বলেছো তুমি জানো?”
নিষাদের দিকে তাকিয়ে কাঁপা কাঁপা গলায় জিজ্ঞেস করে চন্দ্র,”কি বলেছি?”
“তুমি বলেছো তোমার বুকে…..”
শেষ করতে পারে না কথাটা আর নিষাদ,তার আগেই চন্দ্র উঠে হাত দিয়ে নিষাদের মুখ চেপে ধরে।ইচ্ছে করেই পিছনের দিকে হেলে বিছানায় পড়ে যায় নিষাদ,টাল সামলাতে পারে না চন্দ্র,নিষাদের উপর পড়ে যায়।
তড়িঘড়ি করে উঠতে নেয় চন্দ্র,নিষাদ উঠতে দেয় না,শক্ত করে জড়িয়ে ধরে রাখে।কেমন গভীরভাবে তাকায় চন্দ্রর দিকে।
চন্দ্রও তাকায় নিষাদের দিকে,নিষাদের চোখের কোণে জল চিকচিক করছে।
নিষাদ কাঁদছে!
চন্দ্র উঠে যেতে নেয় আবার,এবার আর নিষাদ বাঁধা দেয় না।নিষাদ উঠে রুম থেকে বের হয়ে যায়।জিজ্ঞেস করার ও সময় পায় না চন্দ্র কেনো কাঁদছে নিষাদ।
নিষাদ ছাদের দিকে পা বাড়ায়, চন্দ্র পিছু নেয় নিষাদের।
খেয়ে উপর থেকে নামছে মারিয়া,সিমি,লিপি,ইতু।নিচের সিঁড়িতে নিষাদকে দেখে মারিয়া হাত চেপে ধরে নিষাদকে টেনে সিঁড়ির পাশের রুমে ঢুকে যায় মারিয়া।তারপর দরজা লাগিয়ে দেয় রুমের।
চন্দ্র হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে,তারপর খেয়াল হতেই ছুটে গিয়ে দরজা ধাক্কাতে থাকে।
চন্দ্রর কেমন পাগলের মতো লাগে নিজেকে,মারিয়া নিষাদকে কি বলছে তা শুনার জন্য মরিয়া হয়ে উঠে।ভিতর থেকে দরজা খুলছে না কেউ,নিষাদের চিৎকার শুনা যাচ্ছে।
ছুটে যায় চন্দ্র জানালার কাছে,জানালার কাঁচ খুলতেই দেখে মারিয়া নিষাদের ২পা জড়িয়ে ধরে বসে আছে।নিষাদ পা ছাড়ানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে আর চিৎকার করছে।মারিয়া পা ছাড়ছে না।
রাত্রি নিশান ছাদ থেকে নামছে,চন্দ্রকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে রাত্রি এগিয়ে আসে চন্দ্রর দিকে।জিজ্ঞেস করে,”কি রে,কি দেখছিস?”
রাত্রির পিছন পিছন নিশান আসে,নিশানের চোখ পড়ে রুমের দিকে,রাত্রিও তাকায়।
অপ্রস্তুত ভঙ্গিতে নিষাদ দাঁড়িয়ে আছে,পা ছাড়াতে চেষ্টা করছে।মারিয়া পা ছেড়ে দিয়ে উঠে দাঁড়ায়,নিষাদ বের হয়ে আসতে নিতেই ঝাঁপিয়ে পড়ে নিষাদের বুকে,মারিয়ার কান্নার শব্দে নিষাদের কথা চাপা পড়ে যায়।
সহ্য করতে পারে না চন্দ্র,সরে যায় সেখান থেকে। নিষাদ ধাক্কা মেরে মারিয়া কে সরিয়ে দেয়,তারপর কষে এক চড় লাগায় মারিয়া কে।
জানালার সামনে দাঁড়ানো সবাই হতভম্ব হয়ে গেলো নিষাদের এই কাজে।নিষাদ দরজা খুলে বের হয়ে এলো,রাগে থমথম করছে নিষাদের মুখ।
ড্রয়িং রুমে বসে কথা বলছে মাইনুল ইসলাম,আমির,হাসনাত সাহেব।চন্দ্র ঝড়ের বেগে রুমে প্রবেশ করে,কাউকে কোনো কথা বলার সুযোগ না দিয়েই আমিরের হাত ধরে টেনে নিয়ে যায় রুম থেকে।
বাহিরে এসে আমির জিজ্ঞেস করে,”কি রে কি হয়েছে তোর,এরকম করছিস যে?”
“ভাইয়া আমাকে বাসায় নিয়ে চলো,আমি এক মুহূর্ত এখানে থাকবো না আর।”
“কি হয়েছে বলবি তো আমাকে,কেউ কিছু বলেছে তোকে?”
আমিরের চোখমুখ শক্ত হয়ে যায় চন্দ্রর কান্নাভেজা মুখ দেখে।নিজেকে সামলে নিয়ে চন্দ্র বলে,”আমার ভীষণ মাথা ব্যথা করছে ভাইয়া,পুরো শরীর কাঁপছে,আমার অসুস্থ লাগছে খুব।”
২ দিন আগেই চন্দ্র অসুস্থ হয়ে পড়েছিলো তাই আমির আর কিছু জিজ্ঞেস করে না,বিশ্বাস করে চন্দ্রর কথা।গাড়ি নিয়ে বের হয়ে যায় চন্দ্রকে নিয়ে।
নিষাদ নিচে নেমে আসতে আসতেই দেখে চন্দ্র চলে যাচ্ছে। পিছু ডাকে না আর।
রাত্রির রুমে বসে আছে মারিয়া রাত্রি কে ধরে কাঁদছে। রাত্রি বারবার জিজ্ঞেস করছে,কি হয়েছে।
মারিয়া চুপ করে আছে দেখে আবারও জিজ্ঞেস করে,”মারিয়া তোমার না সেদিন বিয়ে হয়েছে তোমার বয়ফ্রেন্ডের সাথে,তাহলে তুমি নিষাদের সাথে এরকম করছো কেনো?”
“আপু,আপনার দেবর নিষাদ ই আমার সেই প্রেমিক,সেদিন আমি ভুল করেছি আপু,আমি আসি নি কাজী অফিসে,আমার বিয়ে অন্য একজনের সাথে হয়।আমি ভুল করেছি,তার প্রায়শ্চিত্ত করতে চাই এখন আপু,আমি নিষাদ কে ছাড়া বাঁঁচবো না।”
রাত্রি অবাক হয়ে যায় শুনে,সেদিনের পর থেকে নিজের বিয়ে নিয়েই ব্যস্ত ছিলো তাই আর জানতে পারে নি মারিয়ার কথা। এখন শুনে অবাক হচ্ছে যে তার দেবর ই ছিলো মারিয়ার বয়ফ্রেন্ড।
তারপর রাত্রির মনে পড়ে,নিশানের ভাই তো,নিশানের মতোই হবে।
“অনেক বড় ভুল করেছো মারিয়া,চন্দ্রর থেকে যে টুকু শুনেছি তাতে এটা বুঝেছি যে নিষাদের মতো করে কেউ তোমাকে ভালোবাসতে পারবে না।”
“আমি জানি আপা,আমি সাতরাজার ধন পায়ে ঠেলেছি,আমি আমার ভুলের জন্য শাস্তি পেতে রাজী আছি তবু আপনি একটু নিষাদ কে বলুন আমাকে যেনো ফিরিয়ে না দেয়।”
মারিয়ার কান্না দেখে রাত্রির মন গলে যায়।মারিয়া কে জড়িয়ে ধরে বলে,”ভেবো না মারিয়া,আমি নিষাদ কে আমার সাধ্যমতো বুঝানোর চেষ্টা করবো।তোমাদের এতো সুন্দর একটা জুটি আমি ভেঙে যেতে দিবো না।”
মারিয়ার মুখে হাসি ফুটে উঠে।
নিশান নিষাদের পিছনে দাঁড়িয়ে দেখছে চন্দ্রর চলে যাওয়া।নিষাদ যে খুব কষ্ট পাচ্ছে বুঝতে পারে নিশান।এগিয়ে এসে নিষাদের কাঁধে হাত রেখে বলে,”উপরে গিয়ে ব্যাগ গুছিয়ে নে,২ভাই শ্বশুর বাড়ি যাবো আজ।চন্দ্র রাগ করে চলে গেছে তো কি হয়েছে,তুই গিয়ে রাগ ভাঙ্গাবি ওর।”
নিষাদের মুখে হাসি ফুটে উঠে ভাইয়ের কথা শুনে,ঘুরে পিছনে ফিরে ভাইকে জড়িয়ে ধরে।
রাত্রি ব্যাগ গুছিয়ে নিয়েছে,তারপর নিচে নেমে এসে দেখে ২ভাই দাঁড়িয়ে আছে পাশাপাশি। রাত্রি এসে নিষাদ কে বলে,”ভাইয়া,আমাদের সাথে চলুন আপনি ও।”
নিষাদ একটু ভাব নিয়ে বলে,”না ভাবী আমি যাবো না আপনারা যান।”
রাত্রি গিয়ে নিষাদের হাত টেনে সোজা উপরে নিয়ে যায়।নিষাদের রুমের সামনে আসতেই নিষাদ দাঁড়িয়ে যায়,রুমে চন্দ্রর শাড়ি পরে আছে,লাগেজ আছে ভাবী সেগুলো দেখুক তা নিষাদ চায় না।
“চলুন,আমি ব্যাগ গুছিয়ে দিচ্ছি,আপনি না গেলে আমি যাবোই না।”
নিষাদ হেসে ফেলে,তারপর বলে,”আচ্ছা আমি রেডি হচ্ছি,আপনি ভাইয়াকে রেডি হতে বলুন।”
রাত্রি চলে যেতেই নিষাদ রুমে ঢুকে,বিছানার অন্যপাশে এখনো চন্দ্রর শাড়ি পড়ে আছে। সেটা তুলে নিয়ে ঘ্রাণ শুঁকে নিষাদ,কেমন বউ-বউ গন্ধ আসছে,শাড়িটি খুব যত্ন করে ওয়ারড্রবে রাখে,এই শাড়ি আর ফেরত দিবে না চন্দ্রকে।
তারপর কিছু জিনিসপত্র গুছিয়ে নেয়।চন্দ্রর লাগেজ ও বের করে নেয়।
নিজের গাড়িতে নিজে একা বসেছে নিষাদ,আবার ও চন্দ্রকে মনে পড়ে নিষাদের,গতকাল চন্দ্র পাশে বসে ছিলো আজ নেই।সময় কখন কি করে কেউ জানে না।কে জানতো মারিয়ার বদলে চন্দ্রই হবে তার বৌ,আর নিষাদ তাকে এরকম পাগলের মতো ভালোবাসবে?
বাহিরে অন্ধকার নেমে এসেছে,নিষাদের মনে হচ্ছে যেনো অন্ধকার শুধু বাহিরে না তার জীবনেও নেমে আসবে চন্দ্রকে না পেলে।কি হবে তার?
ভাগ্য কি করবে তাকে নিয়ে এবার?
উত্তর জানা নেই নিষাদের।
চলবে…???