নিরবতায় হৃদয় কোনে পর্ব-০৪

0
260

#নিরবতায়_হৃদয়_কোনে
#জিন্নাত_চৌধুরী_হাবিবা
#পর্ব_০৪

ভাদ্রের দুপুর, আকাশে শুভ্র পেঁজা তুলোর মতো মেঘ। সূর্যের কিরণ স্বর্ণপ্রভার মতো ঝিকমিক করছে। ভাদ্র মাস যদিও শরৎ এর শুরু, কিন্তু এর বেশির ভাগ সময়টায়ই বর্ষাকালের মতো যায়।
পথেঘাটে চোখ রাখতে রাখতেই দূরে দেখা মিললো নির্ভীকের। রৌদ্র তাপে চোখজোড়া ক্ষীণ করে চেয়ে আছে।
এই সময়টাতে রিশাতকে পড়াতো মিতালী। আজ থেকে নির্ভীকের ছাত্রকে পড়াবে।

নির্ভীক বলল,
-“মেয়েটিকে কিন্তু ইংরেজি পড়াতে হবে।”

মিতালী অবাক হয়ে বলল,”ছাত্রী! আমি ভাবলাম ছাত্র হবে হয়তো। আর ইংরেজি তো তুই ভালো পারিস।”

নির্ভীক বিরক্তিবোধ করলো। বলল,
-“নবম-দশমের ইংরেজি তুই পড়াতে পারবিনা? তোর তো সেকেন্ড চয়েস ইংরেজি ছিলো। তুই পারবি বলেই তো আশায় ছিলি ফাস্ট চয়েস ম্যাথ না আসলে ইংরেজি নিয়ে পড়বি।”

মিতালী হেসে বলল,
-“হয়েছে আর বিরক্ত হতে হবেনা। আর আমি এটাও জানি তুই ইচ্ছে করেই টিউশনটি ছেড়ে দিচ্ছিস।”

নির্ভীক বলল,”বেতন পেলে আমাকে ট্রিট দিতে ভুলবিনা।”

মিতালী কপট রাগের ভান করে বলল,”কিসের ট্রিট? তুই যে আমার কাছ থেকে দশ টাকা, বিশ টাকা নিতি। সেগুলো আগে ফেরত দে।”

ভাবলেশহীন ভাবে নির্ভীক বলল,”আমি তোর কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলাম নাকি? কিজানি মনে পড়ছেনা।”

নির্ভীকের বাহুতে থাপ্পড় বসালো মিতালী। হাসলো দুজনেই।
তাকে সঙ্গে নিয়ে ছাত্রীর মায়ের সাথে পরিচয় করিয়ে দিলো নির্ভীক। দশমে পড়ুয়া ছাত্রী।
পড়াতে গিয়ে বুঝতে পারলো মেয়েটি মুখ ভার করে বসে আছে। মিতালী কিছু জিজ্ঞেস করলোনা। মেয়েটি থমথমে গলায় বলল,”ম্যাম, স্যার আমাকে কেন পড়াবেনা?”

মিতালী বলল,”নির্ভীক এখন পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তাই পড়াতে পারবেনা।”

মেয়েটি চুপচাপ রইলো। কিয়দংশ সময় অতিবাহিত হতেই রিতু বলল,”ম্যাম, আপনার কাছে স্যারের নাম্বার আছে?”

কথাটি বলে মিতালীর সরল দৃষ্টি নজরে পড়তেই মেয়েটি আপনাআপনি ভড়কে গেলো। নিজেকে নিয়ে আর কোনো সাফাই দিলোনা। মাথা নিচু করে নিলো।

মিতালী মৃদু হেসে বলল,”এখন তোমার পড়ার সময়, অন্যসব ভাবার সময় পরেও পাবে।”

রিতু মেয়েটি বুদ্ধিমতী। তাইতো চট করেই ধরে ফেললো ম্যাম তাকে কিসের ইঙ্গিত দিয়েছে। আপাতত ম্যামকে না ঘাটানোই উচিত হবে।

রিতুকে পড়িয়ে সোজা রিশাতদের বাসায় গেলো। রিশাতের মা ফোনে বলেছেন আজ এসে যেনো বেতন নিয়ে যায়। তিনি পুরো বেতনটাই হাতে দিলেন। হাসিমুখে বললেন,”ওর বাবার বদলি না হলে এত ঝামেলা হতোনা। রিশাত ও এখন নতুন শিক্ষকের সাথে মানিয়ে চলতে চলতে অনেকটা সময় চলে যাবে।”

মিতালী ও বিনিময়ে এক টুকরো হাসি ফেরত দিলো। বলল,”ভালো থাকবেন আন্টি।”

শেষ বিকেলের টিউশন শেষে বেরিয়ে দেখলো সন্ধ্যা নামি নামি অবস্থা। বাড়ি যেতে যেতে আরও অন্ধকার নামবে। পথেঘাটে লোকজন নেই। গা ছমছমে রাস্তা। হুট করেই মাথায় টোকা পড়লো। পেছন থেকে নির্ভীক বলল,
-“এমন ভ্যাবলার মতো দাঁড়িয়ে আছিস কেন? চল তোকে বাড়িতে দিয়ে আসি। আমিতো তোর বিনেপয়সার বডিগার্ড।”

ভয় কমলো, বুকের দুরুদুরু কম্পন স্বাভাবিক গতি নিলো। প্রতিদিন এ সময়ে নির্ভীক তাকে সঙ্গ দেয়। আজ স্টুডেন্টের বাসা থেকে বেরিয়ে তাকে দেখতে না পেয়ে খানিক ভয় আর সাথে মন খারাপ হলো। ভেবেছিলো বখাটেদের খপ্পরে পড়বে।
মিতালীকে বাড়িতে পৌঁছে দিতে গিয়ে আর নিজের ফেরা হলোনা।
বাড়ির সম্মুখে লোকজনের সামনে প্রশ্নবিদ্ধ হতে হলো তাকে। চেয়ারম্যান চাচা এখনো উপস্থিত হননি। বাড়ির উঠানে দাঁড়ানো কয়েকজন লোকের মধ্যে একজন বলে উঠলো,
-“দিনে দুপুরে তোমরা কি শুরু করলা এগুলা?”

নির্ভীক অবাক হলেও মিতালী অবাক হলোনা। তার চোয়াল শক্ত, চোখের দৃষ্টি স্বচ্ছ- দৃঢ়। বুঝতে পারলো মাহবুবের বিকেলে দেওয়া ইঙ্গিত। নির্ভীক কিছু না বুঝতে পেরে বলল,
-“কী করেছি আমরা?”

কাউকে কিছু বলতে দিলোনা মিতালী। শুধু বলল,
-“আপনারা – আমরা, সবাই এই গ্রামের মানুষ। আমাদের দুজনকে আপনারা ভালোভাবেই চেনেন। বলতে গেলে আপনাদের হাতের উপরই বড় হয়েছি। আমি বুঝতে পেরেছি আপনাদের ইঙ্গিত। আর এসবের পেছনে কে রয়েছে সেটাও জানি। আমাদের দুজনের বন্ধুত্ব একদিনের নয়। ছোটবেলা থেকেই একসাথে পড়াশোনা করেছি – চলেছি। কোনোদিন কোন আপত্তিকর কিছু দেখেছেন আমাদের দুজনের মাঝে?”

সমস্বরে কয়েকজন বলল,”না।”

নির্ভীকের কাছে ব্যাপারটি স্পষ্ট হলো। ততক্ষণে চেয়ারম্যান চাচা ও এসে পড়েছেন। নির্ভীক ক্ষু*ব্ধ হলো।
মাহবুবের দিকে চেয়ে বলল,
-“আপনি কিন্তু খুব বেড়ে যাচ্ছেন। এমন চলতে থাকলে খা*রা*প কিছু হয়ে যাবে বলে দিলাম।”

মাহবুব দ্বিগুণ ক্ষে*পে উঠে বলল,
-“বাদাইম্মার ঘরের বাদাইম্মা।নিজের নাই বাড়িঘর, মামুর বাড়িত বইসা রঙ্গলীলা দেখাস। আমরা ধরলেই দো*ষ।”

তরতর করে রাগের মাত্রা বাড়লো। চোখজোড়া বন্ধ করে রাগ নিবারণের চেষ্টা করে সবাইকে উদ্দেশ্য করে বলল,
-“উনাকে থামতে বলুন। আমি কিন্তু মে*রে বসবো।”

চেয়ারম্যানের কথা শোনা গেলো।
-“কী হচ্ছে এখানে? নির্ভীক এখানে কী করছিস?”

মাহবুব লাফিয়ে উঠলো যেনো। বলল,
-“আপনের ভাইগ্নাকে সামলান চাচা। রাজা করে রাজ্যের বিচার, রাজার ঘরে অবিচার। আপনের ভাইগ্না আর মিতালী যে ঘেঁ*ষা*ঘেঁ*ষি করে এটা দেখেন না? এসব করতে হইলে মিতালীরে এই বাড়ি ছাড়তে হইবো। আমি এমন নোং*রামি বরদাস্ত করুমনা।”

চেয়ারম্যান চাচা শান্ত হয়েই জিজ্ঞেস করলেন,
-“কী করেছে ওরা?”

মাহবুব বলল,”দুইজনের মেলামেশা আপনেরাই দেখেন। আমি এইসব মানতে পারুমনা। আমার যে মাইয়া বড় হইতাছে সেও তো মিতালীর কাছ থেইকা এসব শিখবো।”

অনেকেই মাহবুবের মতে মত দিলো “ঠিক ঠিক।”

চেয়ারম্যান সাহেব বললেন,
-“আমিতো ওদের খা*রা*প কিছু দেখিনি। তারা ছোটবেলা থেকে একসাথে পড়েছে, চলাফেরা করেছে। দুজনে খুব ভালো বন্ধু এটা সবাই জানে।
এখন বন্ধুত্বকে যদি খা*রা*প বলে ওদের শা*স্তির ব্যবস্থা করি, তাহলে গ্রামে এমন অনেককেই পাওয়া যাবে যাদের বিবাহের পরও এখনো বন্ধুত্ব আছে। তাহলে তাদেরকে কী করা উচিত? শুধু শুধু ঝা*মে*লা কেন করছো?”

সবার উদ্দেশ্যে বললেন,”যে যার কাজে যান।”

মাহবুবের টকটকে লাল চোখজোড়াই বলে দিচ্ছে সে কতটা ক্ষেপেছে। ভেবেছিলো সবাইকে একজোট করে মিতালীকে বাড়ি ছাড়া করবে। এরপর কোনোভাবে আব্বার হাত থেকে আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে সম্পত্তি সব নিজের নামে করে নেবে।
মাহা একপাশে জড়সড় হয়ে দাঁড়িয়ে রইলো। নির্ভীক যাওয়ার আগে এগিয়ে গেলো মিতালীর কাছে। বলল,
-“যদি এই লোক উল্টাপাল্টা কিছু করার চেষ্টা করে, আমাকে সাথে সাথে ফোন দিবি।”

মিতালী নিরলস চেয়ে থেকে বলল,”তুই বাড়ি যা।”

রাগ হলো নির্ভীকের। একবার বললে কি হতো “আমি তোর উপর ভরসা করি, কিছু হলেই তোকে ডাকবো।”
রাগ চেপেই বাড়ি ফিরলো।
মিতালী বাবা মাকে না দেখে মাহাকে জিজ্ঞেস করলো,
-“আব্বা-মা কই?”

মাহা বলল,
-“ভাবির বাবার বাড়িতে নাকি মেহমান আসবে। তাই আব্বা আর মাকে সাথে নিয়ে গিয়েছে। আমাকেও যেতে বলেছে আমি যাইনি। কাল আসবে তারা।”

মিতালী হাসলো। আব্বা আর মাকে সরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো তাকে ফাঁসানো। তবুও সে অবাক হলো। আব্বা পড়ে থাকলেও যে এসে ধরেনা। সে কিভাবে অচল আব্বাকে ধরে বাবার বাড়ি নিয়ে গেলো?

★★★
সকাল সকাল আব্বা আর মাকে নিয়ে পিয়ালী বাবার বাড়ি থেকে ফিরলো। চেহারায় তাকানো যাচ্ছেনা। রোজী বেগম যেতে চাইছিলেননা। গতকাল পিয়ালী কেমন যেনো বিনয়ী হয়ে গেলো। তার ব্যবহার এমন ছিলো যে রোজী বেগম না করতে পারলেননা। ভাবলেন বউয়ের বুঝি সুমতি হয়েছে। আস্তে আস্তে সংসারটা ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু তার আড়ালে কি হলো সেটা তিনি জানতেও পারলেননা। আর না মিতালী কখনো বলবে। মাহাকেও সাবধান করে দিয়েছে গতকাল সন্ধ্যার ব্যাপার নিয়ে, যেনো আব্বা আর মাকে চিন্তা না দেয়।

ঝুমুরকে পড়িয়ে নির্ভীকের কাছ থেকে টাকা নিলো। মাহার স্কুলে গিয়ে ফর্ম পূরণের টাকা দিয়ে আসলো মাহাকে।
সেখান থেকে ফিরেই ড্রীমল্যান্ড মডেল স্কুলে পৌঁছালো। প্রথমদিনের ক্লাস সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হলো। সমস্যা হলো বিকেল চারটা পর্যন্ত ক্লাস। সাড়ে তিনটা থেকে রিতুকে পড়াতে হবে। আবার ০৪ঃ৪৫ মিনিট থেকে ০৫ঃ৪৫ পর্যন্ত আরেকজনকে পড়াতে হবে। আজ আর রিতুকে পড়ালোনা। স্কুল থেকে বেরিয়ে নির্ভীককে ফোনে জানিয়ে দিলো রিতুকে পড়ানোর সময় তার হবেনা। রিতুর মাকে যেনো ম্যানেজ করে নেয়। নির্ভীক রিতুর মাকে জানালো আজ মিতালী আটকে পড়েছে। আসতে পারবেনা সে।

রাতে ঘুমাতে গিয়ে চিন্তায় পড়লো মিতালী। বোনকে চিন্তিত হতে দেখে মাহা জিজ্ঞেস করে বসলো,”কী হয়েছে তোমার?”

মিতালী বলল,”কিছুনা।”

মধ্যবিত্ত ঘরের মেয়েরা ১৫-১৬ বছর বয়সেও অনেক কিছু বুঝে যায়। তাদের মস্তিস্ক খুব প্রখর থাকে। মূলত পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি তাদেরকে বুঝদার বানিয়ে দেয়। মাহা জেদ ধরে বলল,”আমাকে না বললে কাকে বলবে? আমি না তোমার বোন? কতমানুষ দুঃখ-সুখ বলার জন্য একটা বোনের আফসোস করে, আর তোমার বোন থেকেও বলছোনা?”

মিতালী হেসে ফেললো। পর মূহুর্তে হাসি দীর্ঘশ্বাসে রূপ নিলো। চিন্তিত স্বরে বলল,
-“সময়ের কারণে একটা টিউশন ছেড়ে দিতে হচ্ছে। অথচ বেতন ভালো।”

আপুর কথায় তারও ভীষণ মন খারাপ হলো। হুট করে তার মাথায় এক বুদ্ধি খেলে গেলো। তীব্র উৎকন্ঠা নিয়েই জিজ্ঞেস করলো,”তোমার স্টুডেন্ট কোন ক্লাসের?”

একই মুখভঙ্গিতে জবাব দিলো মিতালী। বলল,
-“ঝুমুর ক্লাস ফাইভে পড়ে, আর বাকি দুজন মাধ্যমিকের স্টুডেন্ট।”

মাহা চট করে এমন এক কথা বললো। ভারী অবাক হলো মিতালী।
মাহা বলল,” তোমার একটা টিউশন আমাকে দিয়ে দাও। আমি একটা পড়ালে অন্য দুটো তুমি পড়াবে। ঝুমুরকে আমি পড়িয়ে দেবো। সময় তুমি ম্যানেজ করে নিও।”

বিস্মিত হয়ে জিজ্ঞেস করলো মিতালী,”তুই পারবি? তোর তো সামনে পরীক্ষা। এত চাপ নেওয়ার দরকার নেই। নিজের পড়াশোনায় মন দে।”

মাহা প্রচন্ড বিরক্ত হলো। চোখমুখ কুঁচকে বলল,
-“আমিতো খা*রা*প ছাত্রী না। এক-দেড়ঘন্টা টিউশনের কাজে ব্যয় করলে কিছু হবেনা। আমাকেও তো শক্ত হতে হবে। পায়ের তলার মাটি যাতে আঁকড়ে ধরতে পারি।
জানো আপু, আমি না সবসময় চেয়ে এসেছি যেনো তোমার মতো হতো পারি। খুব কঠিন নয়, তবে একটু আ*ঘা*তেই উঁড়ে যাবো তেমনও নয়।”

মিতালী ভীষন গর্ববোধ করলো মাহাকে নিয়ে। গুলুমুলু গাল দুটোতে আদুরে হাত বুলিয়ে বলল,
-“জীবনে সফল হতে হলে ঈগল হতে হয়। যে কথা না বলেও ধারালো নজরে ভড়কে দিতে পারে, পাখা ঝাপটিয়ে আকাশে উড়তে পারে।
তোতার মতো যত্রতত্র বুলি আওড়ালেই কিন্তু আকাশে ওড়া যায়না।
কুকুরের মতো আচরণকারীদের সাথে কুকুর হওয়া মানায়না। তাদের সামনে একদলা থুতুই যোগ্য জবাব।”

মাহা বলল,
-“বুঝতে পেরেছি। এজন্যই কি ভাবির গা*ল*ম*ন্দ শুনেও তুমি চুপ থাকো?”

-“কেউ তোকে কটাক্ষ করলে চুপ থাকবি। যখন বিতর্কে যাবি? তখন সে আরও বলবে, আরও বলবে। তোর চেয়ে একধাপ উপরে থাকতে চাইবে। কিন্তু তুই যখন চুপ থাকবি? তখন ধীরে ধীরে তার কটাক্ষের শব্দভান্ডার ফুরিয়ে যাবে। সে আর উপরে উঠতে পারবেনা। কী বলেছিলাম আমি?
তোতা বুলি আওড়াতে পারলেও আকাশে উড়তে পারেনা।”

মাহা গভীর মনযোগে বোনের কথা শ্রবণ করলো। সে বুঝলো পৃথিবী এখনো চেনা বাকি তার।

মাহা ঘুমিয়ে পড়লো। মুঠোফোনের শব্দ পেয়ে স্ক্রিন অন করলো মিতালী। নির্ভীক পাঠিয়েছে,

“একবার শুধু কবিতা হয়ে এসে দেখো,
গোটা জীবন আবৃত্তি করবো তোমাকে।”

মিতালী ফিরতি মেসেজ পাঠালো,
-“কী এটা?”

অনেকক্ষণ পর টুংটাং শব্দ হলো। নির্ভীক লিখলো,
-“কবিতা, শিমুল মুস্তাফার লিখা।”

#চলবে…….