নিরালায় ভালোবাসি পর্ব-০১

0
767

নিরালায় ভালোবাসি
কলমে : তুহিনা পাকিরা
পর্ব: ১

” বিধবা মেয়ের সঙ্গে শেষে ছেলের বিয়ে দেবেন? ভাগ্যিস কয়েকমাস আগে মেয়েটির সাথে আপনার ছেলের বিয়ে হয়নি, নাহলে হয়তো আপনি এই বয়সে সন্তান হারা হতেন।”
-” ও তো মাঙ্গলিক, নাহলে বিয়ের ছয় মাস পেরোতে না পেরোতে স্বামী মারা যায়! ”

ধূসর পাড়ের কালো শাড়ি পড়া মধ্যবয়স্ক বছর চল্লিশের রুমা দেবী এতক্ষণ বসার ঘরের একটা অংশে, পাড়ার কিছু মহিলাদের সঙ্গে ভালোই কথা বার্তা বলছিলেন। কিন্তু দুই মহিলার উপরিউক্ত কটূক্তির জন্যে তার মাথাটা কিছুটা গরম হলো বৈকি। তার ছেলে সে বুঝবে তার সঙ্গে কার বিয়ে দেবে কার সাথে দেবে না। আর তারা একজন মেয়ে হয়ে কী করে পারে আরেক মেয়ের সম্পর্কে এইরূপ কথা বলে? বিধবা মেয়ে কী মানুষ না, নাকি তাদের আর ও পাঁচ খানা চোখ মুখ আছে! রুমা দেবী মাঝে মাঝে বুঝে ওঠেন না, একবিংশ শতাব্দীর মানুষ হয়েও তাদের মানসিকতা এত নিম্ন কীভাবে? তিনি কিছু বলতে উদ্যত হতেই পিছন থেকে তাথৈ ডেকে উঠলো , ” মামীমা! ”

রুমা দেবীর ননদ তৃপ্তির মেয়ে তাথৈ। কয়েকদিন হলো ও মাধ্যমিক শেষ করে মামার বাড়ি বেড়াতে এসেছে। যদিও বা মামাকে সে দেখেনি। শুধু এইটুকু জানে ওর মামা অনেকদিন আগে মারা গিয়েছে।

বেচারি হয়তো ঘুমাচ্ছিল তাই ঢুলছিল। রুমা দেবী আদর মেশানো গলায় তাকে কাছে ডাকলেন, ” কী রে মামণি, কাঁচা ঘুমে উঠে এলি যে? কিছু দরকার? ”

তাথৈ হাতের ফোনটা ওনার দিকে এগিয়ে দিয়ে বললো,
” দাদা ফোন করেছে, কথা বলো।”

রুমা দেবী ফোনটা হাতে নিয়ে উঠে দাঁড়ালেন। সকলের দিকে তাকিয়ে বললেন, ” আমি একটু আসছি, আপনারা বসুন।”

পাড়ার মহিলারা তার যাবার দিকে তাকিয়ে ভিতরে ভিতরে কেউ কেউ আফসোস করতে ভোলে না। তাদের যদি নিজেদের বদলানোর সুযোগ দেওয়া হতো তো তারা সকলেই হয়তো রুমা দেবীর মতো হতে চাইতেন। এই মহিলার থেকে শেখার অনেক কিছু আছে। নীরবের পাঁচ বছরের সময় বাবা মারা গেলে তিনি অথৈ সাগরে পড়লেও হার মানেননি। শিক্ষিত হওয়ায় একটা চাকরি, তারপর ছেলেকে মানুষ। সেইদিক দিয়ে নিজের ননদকেও তিনি পড়াশোনা শেষ করিয়ে ভালো পরিবারে বিয়ে দিয়েছেন। নিজের স্বামীর সকল দায়িত্ব তিনি একা হাতে পালন করেছেন। শুধু কি তাই কতো সহায় সম্বল হীন মানুষদের পাশে পর্যন্ত তিনি দাঁড়িয়েছেন। এই মহিলা গুলো হয়তো অনেকের খুঁত ধরে, নিন্দে করে কিন্তু রুমা দেবীকে কিছুই বলতে পারে না। কেবলই তার ব্যাক্তিত্বের জন্য।

আমাদের সমাজে কিছু মানুষকে দেখলে আজও বোঝা যায় তার ব্যাক্তিত্বের স্বরূপ। আজও সমাজে মুখোশ ধারি মানুষের ভিড়ে এদের ঠিকই চেনা যায়। চিনতে কোনো অসুবিধা হয় না। এমনি কেউ হলেন নীরবের মা, রুমা দেবী। অসম্ভব গুনবতী, শ্রদ্ধাপরায়না ব্যাক্তি। নীরবের আইডল, ওর মতে ওর মা ইচ্ছাকৃত কোনো ভুল করতে পারে না।

ফোনের ওপাশে শুরু থেকে সব কথা গুলো শুনে প্রথমে একটু হতভম্ব হলেও, পরে নিজেকে সামলে নিলো নীরব। বুঝলো ওর মা এখন পাড়ার মহিলাদের সঙ্গে আড্ডা দিতে বসেছে। যাকে এক কথায় বলে পি.এন.পি.সি মানে, পরনিন্দা – পরচর্চা। নীরবের মতে, এই সব দিক দিয়ে ওর পাড়ার লোকেরা বোধহয় একটু বেশি এগিয়ে। আর কোনো পাড়ার মহিলারা বোধহয় এদের মতো পি.এন.পি.সি করে না। আর করলেও তা হয়তো ওর জানার কথা না।

নীরব খুব মিস করে ওর দেশ ওর সেই চেনা পাড়া। নয় মাস হলো ও অস্ট্রেলিয়া এসেছে একটা প্রজেক্টের জন্যে। নীরব জানে ওর মা এই সব পরনিন্দা পছন্দ করে না। ওর মতে ওর মা অন্য রকম যে পৃথিবীর সব দিক দিয়ে একজন পারফেক্ট মানুষ। যে ঠিক কে ঠিক আর ভুলকে ভুল বলার যোগ্যতা রাখে। যে নিজের ঠিক টাকে জাহির করার পাশাপাশি নিজের ভুলটাও স্বীকার করে। তবে এই ভাবে সকলের সঙ্গে বসে কার নিয়ে চর্চা করছে কে জানে?
(কলমে: তুহিনা পাকিরা)

-” রব তুই কবে আসবি? কিছুই তো বললি না। ” ছেলের নাম নীরব তো কী, সে মোটেও নীরব ব্যাক্তিত্বের নয়। তাই মা নিজের ছেলের নামটা নিজের মতো বানিয়ে রব বলেই প্রায় সময় ডাকে।

– ” বাড়ি তো আসতেই হবে মা, ওটা তো আমার শান্তির জায়গা, তোমার কোলেই তো আমার বাসস্থান।”

রুমা দেবী কপোট রাগ করে বললেন,
-” এই তোকে বলেছিনা বেশি রঙ চড়িয়ে কথা বলবিনা! যা বলবি স্পষ্ট বল। কবে আসবি?”

-” বকো কেনো, আমি না তোমার একটা মাত্র ছোটা সা কিউট বাবু। ”

ছেলের সঙ্গে এখন তার মজা করার ইচ্ছে নেই। সত্যি বলতে রুমা দেবী ছেলের সাথে কথা বলতে চায় না। যদি পারতো ছেলের দোষটা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে তাহলে হয়তো কিছুটা রিলিফ হতো। কিন্তু সত্যি বলতে নীরবের দোষ তো ঠিক নেই, আবার আছে। কারোর মনের বিরুদ্ধে কাউকে জোর করা যে যায় না। সবাই হয়তো নীরবের দিকটা সেই সময় বুঝেছিল কিন্তু নীরব, অপরকে কীকরে পারলো জোর করতে? শুধুই কি তার কাছ থেকে পিছু ছাড়ানো এতটা জরুরি ছিল! আর এর ফলে যে কারোর জীবন তছনছ হয়ে গেছে তা কি নীরব জানে? দীর্ঘশ্বাস ফেললেন রুমা দেবী।

মাকে অনেকক্ষণ চুপ করে থাকতে দেখে নীরব ডাকলো, ” মা, শুনছো?”

হুশ ফিরল রুমা দেবীর, ” হ্যাঁ, হ্যাঁ বল – ল।

-” আচ্ছা শোনো আমি আজ রাতের মধ্যেই তোমার সামনে থাকবো ঠিক আছে।”

-” কী বললি? তোর না প্রজেক্ট কমপ্লিট আরও দুইমাস পরে হবার কথা? ”

নীরব বেশ খুশি মনেই বললো,
-” তাড়াতাড়ি কাজ শেষ করে ফেলেছি। আর পাঁচ মিনিটের মধ্যেই আমার ফ্লাইট। ”

-” আচ্ছা সাবধানে চলে আয়।”

রুমা দেবী কিছুক্ষণ চুপ করে রইলো, হয়তো কিছু বলার রয়েছে। ভেবে পাচ্ছেন না এই মুহূর্তে বলবেন, না ছেলেকে নিজের সামনে বসিয়ে বলবেন। নীরব নিজেই সেই কথাটা উদঘাটন করে বললো,

-” মা তাথৈ বললো তুমি নাকি আমার বিয়ে ঠিক করেছো, কার সাথে?”

রুমা দেবী হঠাৎই জানালার সামনের বাড়ির বারান্দায় তাকালো। গ্রিল দেওয়ার দরুন ওপারের মেয়েটাকে খুব ভালো ভাবেই দেখতে পেলেন তিনি। হুট করেই মুখ দিয়ে বেরিয়ে এলো, ” ইচ্ছে………..”

ফোনের ওপাশে নীরব হেসে উঠলো খিলখিল করে, “মা তুমিও না, ইচ্ছেকে আমি কেনো বিয়ে করবো। মজা করো না। এমনিতে ওর বিয়ে হয়ে গেছে। আর আমি তো তোমাকে বলেছিলাম ইচ্ছে ছাড়া তুমি যেই মেয়েকে বিয়ের জন্যে বলবে আমি তাকেই বিয়ে করবো। ”

রুমা দেবীর হুশ ফিরল, ” এ্যাঁ, কী বললি?”

মায়ের আজ কী হয়েছে নীরব বুঝলোনা। ওর মা ওর কথা ঠিক করে শুনছে বলে মনেই হচ্ছে না।

– ” এসে বলবো, টাটা।”

ফোন টা কান থেকে নামিয়ে সামনের জানালা দিয়ে সামনের বাড়ির বারান্দায় তাকালেন রুমা দেবী। একনাগাড়ে কাউকে পর্যবেক্ষণ করে বলে উঠলো,

-” ইচ্ছের ইচ্ছে এবার ঠিকই পূরণ হবে নীরব। হতেই হবে। স্বয়ং প্রকৃতি যেখানে চায়, তুইতো নিমিত্ত মাত্র।”

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~

রাত দশটা, এয়ার পোর্ট থেকে বেরিয়ে একটা ক্যাব বুক করলো নীরব। গন্তব্য বেশ অনেকটাই, সিটে গা এলিয়ে দিয়ে রাতের শহরের দিকে তাকালো সে। রাতের শহর আর নীরব দুইজনেই দুজনকে খুব ভালো মতোই চেনে। নীরবের মনে হলো রাতের এই শহর যেনো ওকে দুই হাত বাড়িয়ে ডাকছে। নীরবের ও ইচ্ছে করছে ক্যাব থেকে বেরিয়ে শহর মাঝে ছুটে বেড়াতে। কিন্তু ওর ইচ্ছে হলেও ও পারবে না। ভীষণ টায়ার্ড সে। গাড়িতে নিজের শরীরটা এলিয়ে দিলো।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~

ধীর হাতে খাবারের প্লেট নিয়ে বোনের ঘরে ঢুকেই দীর্ঘ শ্বাস ফেললো। ঘরে কাউকে না দেখে বারান্দায় এগিয়ে গেল। আজ সারাদিন অফিসের ব্যস্ততার জন্যে বাড়ি আসতেই ওর দেরি হয়ে গেছে। বাড়ি আসতেই কাকিমা বললো, মেয়েটা কে কিছু খাওয়ানো যায়নি। নীর ও পারেনি। ও বাচ্ছা। সবে ক্লাস নাইন। ইচ্ছে তো ওর দিকে ফিরেও তাকায়নি। ইচ্ছে বারান্দার মেঝেতে বসে গ্রিলে মাথা ঠেকিয়ে রাতের হাজার নক্ষত্র বীথির মাঝে তাকিয়ে রয়েছে। সেইখানেই হয়তো খুঁজছে কাউকে, কারোর কথা রাখতে না পারার জন্য প্রতিনিয়ত ক্ষমা।

-” ইচ্ছে, এই ইচ্ছে ,, আমি শুনলাম তুই কিছু খাসনি এখনও । খালি খিদে নেই বললে আমি শুনবো না। ”

মাথা তুলে দাদার দিকে মুখ ঘুরিয়ে মুচকি হাসলো ইচ্ছে।
বাড়ির একমাত্র মেয়ে ও। ওর একটা ভাই আছে নীর। ধীর ওর জেঠুর ছেলে। বাড়ির দুই ভাই ইচ্ছেকে খুব ভালোবাসে। অপরদিকে মা – বাবা, জেঠিমার চোখের মণি, জেঠুর ও ছিল কিন্তু বছর দুই তিনি গত হয়েছেন।

-” নে হা কর। আমি খাইয়ে দিচ্ছি পুরোটা খাবি।”

ইচ্ছে দাদার হাতে খাবারটা খেয়ে নিলো। ধীর বাইরে গিয়ে প্লেট রেখে আবারও ইচ্ছেকে ডাকলো,

-” চল একটু ঘুমিয়ে নে, আজ আর ঘুমের ঔষধ খেতে হবে না। কাল সকালে আমি ডক্টরের অ্যাপয়ার্মেন্ট নিয়েছি, আমাকে একবার মনে করিয়ে দিবি সকালে।

ইচ্ছে মুচকি হেসে বিছানায় গিয়ে শুয়ে পড়ল। হয়তো কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘুম ওকে পুরোপুরি কাবু করে ফেলবে।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
– ” পেনের নিব, তুমি কী করছো? চলো না হাঁটতে যাবো। রাতের আকাশ দেখতে দেখতে হাঁটতে আমার খুব ভালো লাগে।”

– ” আর তারপর হাঁটতে হাঁটতে ওই পালদের বাড়ির বড়ো ড্রেনে ময়লায় গড়াগড়ি ও দিবি।”

-” ওইরকম করো কেনো চলো না, প্লিজ!”

– ” না আমি যাবো না। তোকে বলেছি না আমাকে ডিস্টার্ব করবি না। রাতের বেলা কেউ বাইরে ঘোরে নাকি! যা বাড়ি যা। নামেই এতবড়ো মেয়ে। ”

– ” কে বলেছে ঘোরে না, হিমু ( হুমায়ূন আহমেদের সৃষ্ট হিমু চরিত্র ) ঘোরে।

– ” হিমু ঘোরে, তুই হিমু নয়।”

– ” আমি তো হিমি, হিমুর ফিমেল ভার্সন। চলো না প্লিজ!”

– ” আহ ইচ্ছে বলছি না যাবো না, তুই যা।”

– ” স্যার কিছু বললেন?”

ক্যাব চালকের কথায় চোখ খুলে তাকালো নীরব। হাই তুলে বললো, ” আপনাকে নয়, আপনি চলুন।”
(কলমে: তুহিনা পাকিরা)

পুরোনো কিছু কথা মাথায় আসছিল নীরবের। পুরোনো কাউকে মনে পড়ছিল। দীর্ঘ নয়টা মাস পর আবারও ইচ্ছের সঙ্গে দেখা হবে। শেষ দেখেছিল ওর বিয়েতে। সেই দিন মেয়েটা ওর দিকে তাকায় নি একবারের জন্যও। হয়তো রাগ করেছিল। কিন্তু নীরবের কী করার। মানুষের মন যদি কাউকে ভালো না বাসতে পারে তাকে কি জোর করে জীবনে জড়ানো উচিত। নীরব ও পারেনি পরিবারের ঠিক করা মেয়ে ইচ্ছেকে বিয়ে করতে। মানুষের জীবন আর মন বড়োই বিচিত্র, কখন যে কি হয়, কে জানে? নীরবের মনও তেমনি কখনো ইচ্ছেকে ভালো লাগেনি। এমনকি ওর কোনো কারণ ছাড়াই ইচ্ছেকে কেমন একটা লাগতো, অসহ্য না আবার ওর জন্যে বিরক্ত হতো এমনও না। অনুভূতিটা একদম অন্যরকম। শুধু ওকে দেখলেই মুখ দিয়ে বেরিয়ে আসতো বাংলা ব্যঞ্জনবর্ণের ” চ ” বর্ণটি।

নীরব জানালার বাইরে তাকালো। ইচ্ছের সঙ্গে প্রতিদিন রাতের বেলা বাড়ির পাশটা হাঁটতে হাঁটতে কখন যে রাত, রাতের শহর ভালো লেগে গেলো ও নিজেও জানে না। কিন্তু ভালো লাগলো যার চোখ দিয়ে, তাকে কোনো দিন ভালো লেগেছিল কিনা নীরব ভেবেও দেখেনি। দেখলে হয়তো নিজেকে আবিষ্কার করতো নতুন ভাবে।

নীরব ভাবলো ইচ্ছে যদি জানে ও বাড়ি ফিরছে তবে হয়তো কাল সকালে ঘুম ভেঙে ওকে দেখতে পাবে। তারপর এটা সেটা বায়না। যার মধ্যে নীরবের অপছন্দের বিষয়, বকবক। বছর ছাব্বিশের এই সুদর্শন যুবককে বর্ণনা করলে হয়তো আমার লেখনী কম পড়তে পারে। তবুও কিঞ্চিৎ অক্ষর খরচ করলে, যুবকের মাথার কেশরাশি অর্থাৎ চুলগুলো হালকা কোঁকড়ানো, চোখ গুলোর মাঝে যেনো মিশে রয়েছে হাজারো অনুভূতির সংমিশ্রণ, নাকটা টিকালো, মুখে রয়েছে হালকা চাপ দাড়ি, মুখে ফুটে রয়েছে তার চিরকালীন হাসি। যাকে দেখলেই সকলে বলবে এই ছেলে রাগ করে না। কিন্তু স্বাভাবিক মানুষের মতো ওর ও রাগী সত্তা রয়েছে। তবে খুব কম। অপর দিকে হাসি খুশি থাকা নীরব খুব কম পরিস্থিতিতেই কেঁদেছে। যেমন – ছোটো বেলায় বাবাকে হারানো।তারপর ইচ্ছের জেঠুকে হারানো, আসলে মানুষটাকে সে বড্ড ভালোবাসতো। শুধু এই ছেলের কাছে বকবক করা মেয়ে ভালো লাগে না, কেনো লাগেনা কে জানে।
~~~~~~