নীরব সাক্ষী পর্ব-১৩

0
350

#নীরব_সাক্ষী
#ফারহানা_ছবি
#পর্ব-১৩
.
.
.
অন্তরের কথা শুনে রিদের যেন পুরো শরীল টা জ্বলে উঠলো , রাগে মাথাটা ধপধপ করছে ৷ রিদ ভাবতে পারছে না মুন অন্য কারোর বুকে শুয়ে আছে ৷ এক মুহূর্তের জন্য রিদ তার পুরনো রুপে ফিরে এলো…….

রিদ কল কেটে প্রিয়ন্তির রুমের দিকে চলে গেল৷

________________” বসো মা আর সানজু মা তুমি গিয়ে আবিদ কেও ডেকো আনো৷ ” ( মামি)

সানজু দৌরে আবিদ কেও ডেকে আনলো ৷ আবিদ মুন দুজনে পাশাপাশি বসে আছে আর সামনে মামা মামি তবে মামা মুখটা কাচুমাচু করে রেখেছে৷

“” মামি কিছু বলবেন?””( আবিদ)

“” হ্যা বাবা তোমাদের দুজনে কে আমার কিছু বলার আছে “”( মামি)

“” জ্বি মামি বলুন আমি শুনছি”(মুন)

“” মুন মা তুমি জানো আমাদের ইসলাম ধর্ম মতে কোন মেয়ের স্বামীর মৃত্যু হলে তাকে চার মাস দশ দিন ইদ্দত পালন করতে হয় আর তালাক প্রাপ্ত মেয়েদের তিন মাস দশ দিন অপেক্ষা করতে হয় ৷ তারপর তারা বিয়ে করতে পারে৷ এটাই বিয়ের পবিত্র নিয়ম ৷ এখন তুমি বলো তোমাদের বিয়ে টা কি ইসলাম ধর্ম মতে হয়েছে ? কারন তোমার আজ-ই ডিভোর্স হয়েছে আর আজ-ই বিয়ে৷ এটা ইসলাম ধর্ম মতে কি বৈধ হয়েছে?””

“” দুঃখিত মামি আমার আসলে কথাটা মনে ছিলো না ৷ “”””(আবিদ)

“” সমস্যা নেই আবিদ কারন যা হয়েছে ভালোর জন্য হয়েছে ৷ সবাই জানবে তোমরা বিবাহিত কিন্ত আমি আশা করবো তোমরা তিন মাস দশ দিন ইদ্দত পালন করবে ৷ তারপর না হয় আমি আর তোমার মামা বড় করে তোমাদের বিয়ের আয়োজন করবো৷ “”

মুন এবার মুখ খুললো… “” মামি আপনি যেটা ভালো মনে করেন সেটাই করবেন৷””

“” আমি জানতাম মা তুমি আমার কথাটা বুজবে “” মুচকি হেসে বললো নিরবের মামি…

“” তাহলে কি ভাবলে এখন কি করবে ?””( মামা)

“” পাশের রুম টা খুলে দেও ৷ ওইরুমে মুন মা আর সামিরা থাকবে ৷ কি মা তোমার তাতে কোন সমস্যা নেই তো?””

“” না মামি আমার কোন সমস্যা নাই”” মাথা নিচু করে বললো মুন…..

“” তাহলে তো হয়েই গেল সবাই জানবে তোমরা বিবাহিত কিন্তু তোমরা যে ইদ্দত পালন করছো এটা কাউকে বলার প্রয়োজন নেই বুজলে ..””

“” জ্বি মামি””( আবিদ)

মামি কথা গুলো বলে ধির পায়ে রুম ত্যাগ করলো ৷ সামসু আবিদের কাছে এসে কানের কাছে এসে আসতে আসতে বলে উঠলো “” আবিদ বাবা তোমার মামি ইদ্দত পালন করতে বলেছে প্রেম করতে বারন করেনি”” কথাটা বলে হাসতে হাসতে রুম থেকে বেরিয়ে গেল ৷ আবিদ সামসু মামার কথা শুনে ফিক করে হেসে দিলো “” দেখলে মনপাখি মানুষ গুলো কতোটা সরল ” আবিদ মুনের দিকে তাকিয়ে দেখে মুন কাঁদছে ..

“” মনপাখি কাঁছো কেন?”” চোখের পানি মুছে দিয়ে…

“” আমি মনে হয় বড্ড খারাপ আবিদ বড্ড খারাপ নয়তো যে মেয়ের যে দিন ডিভোর্স হয়েছে সে দিন -ই আবার বিয়ে করেছে ৷ লোকে তো খারাপ বলবে-ই “” হুট করে মুনের ঠোটে আঙ্গুল ছুয়ে দিলো….

“” হুসসস আর একটা কথাও বলবে না কারন এখানে তোমার কোন দোষ নেই ৷ সব দোষ আমার তোমাকে আমার কাছে রাখার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিলাম আর তাই তো কিছু না ভেবে তোমায় বিয়ে করে ফেলেছি ৷ যাই হোক এই তিন মাস দশ দিন তুমি ইদ্দত পালন করবে সাথে আমিও ৷ তবে ভালোই হলো আগের মতো খুনসুটি ভালোবাসা চলবে “” মুনের কানের লতিতে আলতো করে ঠোট ছুইয়ে দিল সাথে সাথে মুনের কান্না বন্ধ হয়ে গেল সাথে লজ্জায় লাল হয়ে দৌরে রুম থেকে বেরিয়ে গেল ৷
মুন কে এভাবে ছুট লাগাতে দেখে আবিদ হাসতে হাসতে বলতে লাগলো “” পাগলি একটা””

মুনের জিনিস পত্র পাশের রুমে পাঠিয়ে দেয় নিরবের মামি ৷ মুন নিজের কাপড় গুলো আলমারিতে গুছিয়ে নিয়ে কাপড় পাল্টে লং ত্রিপিস পরে চুলে চিরনি দিয়ে ভালো করে ওড়না মাথায় জরিয়ে রান্না ঘরের দিকে চলে গেলো৷ নিরবের মামি একা হাতে রাতের রান্নার বন্দ বস্ত করতে লাগলো হঠাৎ রান্না ঘরে মুন কে দেখে চমকে যায় মামি ৷ মুন কে ভালো করে লক্ষ করে দেখে মিস্টি কালার ত্রিপিস পড়া মুখে কোন মেকয়াপের ছোয়া নেই খুব শালীন দেখাচ্ছে মুন কে ৷ মামি মুন কে দেখে ভিতরে ভিতরে খুব খুশি হলো ৷

“” মুন মা তুমি এখানে কি করছো ? রুমে যাও আবিদের সাথে গল্প করো””

“” মামি গল্প করার তো সময় ফুরিয়ে যাচ্ছে না ৷ এখন আমার আপনাকে সাহায্য করা প্রয়োজন””

মুনের মুখের মিষ্টি কথা শুনে মামির যেন মন টা ভরে গেল ৷ তিনি প্রথম দেখায় মুন কে ভিষন রকমের পছন্দ করে ফেলেন ৷ মুনের মুখের সাথে নিজের মৃত বড় মেয়ে হুমাইরার মুখের মিল খুজে পাওয়ায় হয়তো৷

“” না মা তুমি আজ-ই এসেছো আর আজই রান্না ঘরে রান্না করতে এসেছো এটা ঠিক না তোমাদের মামা জানতে পারলে আমাকে খুব বকবে””

মুন ওরনা টা ঠিক করে চুলোর পাশে রাখা মাংশ টা নিয়ে কশা মসল্লায় ঢেলে দিয়ে খুন্তি দিয়ে নারতে নারতে বলে উঠলো “” কেউ আপনাকে বকবে না মামি আমি মামাকে বলবো কিন্তু তার আগে আপনার কাছে একটা অনুমতি চাই আমি””

“” বলো কি অনুমতি তুমি চাও?””

“” আপনাকে তুমি বলার অনুমতি৷ দিবেন আমাকে এই অনুমতি?””

নিরবের মামি মুন কে জরিয়ে ধরে ভেজা গলায় বলে উঠলো “” শুধু তুমি নয় আমাকে আজ থেকে মামিমা বলে ডাকবে বুজতে পেরেছিস””

মুন মামির দিকে তাকিয়ে ফিক করে হেসে দিয়ে বলে উঠলো”” মামিমা তুমি চেয়ারে বসো আর আমাকে বলো কি কি রাধতে চেয়েছো ?””

“” তুই কি এতো কিছু রান্না করতে পারবি?””

“” তুমি শুধু বলে দেখো মামি মা তারপর আমার হাতের জাদু দেখো””

মামি আর কিছু বললো না মুন কে বলে দিলো কি কি রান্না করতে হবে৷

রাতে সবাই একসাথে খেয়ে কিছুক্ষন আড্ডা দিয়ে রুমে চলে গেল কারন আজ সবাই ক্লান্ত ৷ আবিদ না চাইতেও রুমে যেতে হলো ৷ মুন তার স্মার্ট ফোন টা চার্জে দিয়ে ছিলো ৷ বাসায় wifi থাকায় মুনের চট করে ফেসবুকে লগিং করে ৷ মেসেনজারে ঢুকতে ভয়ে এক ঢোক গিললো মুন ৷ তার আর এক প্রিয় বান্ধবীর ১০০+ মেসেজ দেখে …

“” আল্লাহ মেয়েটা এতো গুলো মেসেজ দিয়েছে আর আমি এখন দেখছি ৷ আর ও তো এখন লাইনে আছে দেখে পাগলি টাকে সবটা বলে বুঝানো যায় কিনা না হলে কাল সকালে দেখবো এখানে এসে হাজির তারপর আমার যে কি অবস্তা করবে উফফ পুরো গুন্ডি ৷ “”

মুনের ভাবনার মাঝে তার প্রিয় বান্ধবী মেসেজ দিলো ৷ মুন সুন্দর ভাবে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ঘটা সবটাই তার বান্ধবী কে জানায় ৷ মুনের বান্ধবী রিদের ছবি চাইতে মুন রিদের id লিংক টা দিয়ে দেয় ৷ id লিংক টা দেওয়ার পর মুনের বান্ধবী রিপলে দিলো……

“” এবার তুই শুধু দেখে যা মুন ৷ এই জানোয়ার টার আমি কি অবস্তা করি৷ খুব শখ না মেয়েদের জীবন নিয়ে খেলার ৷ যাস্ট ওয়েট এন্ড সি ওর জীবন টা নরকে পরিপূর্ন করে দেবার জন্য আমি আসছি ওর জীবনে””””

মুন তার বান্ধবীর মেসেজ দেখে মুনে হাত পা কাপঁতে লাগলো কারন মুন তার এই এক রোখা জেদি রাগি বান্ধবী কে চিনে যেটা মুখ দিয়ে বলবে সেটাই করবে ৷ তার মানে রিদের জীবনের সুখের আকাশটা কালো মেঘের অন্ধকারে ঢেকে দেওয়ার জন্য ও আসছে ৷

মুন আর ওর বান্ধবী কে কিছু বলার সুযোগ পেলো না কারন সে অফ লাইনে চলে গেছে ৷ মুন এতো স্ট্রেজ নিতে পারছে না তাই নেট অফ করে সামিরা কে জরিয়ে ধরে শুয়ে পরে ৷

.
.

____________ প্রিয়ন্তি ফ্লোর থেকে কাপড় গুলো তুলে ওয়াশরুমে ঢুকে গেল ফ্রেস হতে ৷ এদিকে রিদের শরীলের রাগ এখনো কমেনি ৷ মুনের উপর পুরো রাগটা প্রিয়ন্তির উপর মিটিয়ে নিলো ৷ তারপর ও রিদের মনে হচ্ছে তার রাগ টা কমেনি ৷ রিদ প্রিয়ন্তিকে কিছু না বলে গায়ে শার্ট টা পরে নিজের রুমে ঢুকে গেল ৷ রিদ শাওয়ার নিয়ে বিছানায় ভেজা তোয়ালে টা ছুড়ে মারে ৷ তখনি মুনের মুখটা রিদের চোখের সামনে ভেষে ওঠে ৷ রিদ দু পেকেট সিগারেটের পেকেট নিয়ে বেলকনিতে গিয়ে দারায় ৷ একের পর এক সিগারেটের ধোয়া উড়িয়ে যাচ্ছে ৷ কিছুতেই মুনের ভাবনা মন থেকে দুরে সরাতে পারছে না যতোবার চেষ্টা করছে ঠিক ততোবার রিদের মনে হচ্ছে মুন অন্য কারোর বুকে শুয়ে আছে ৷

কিছুক্ষন পর রিদ তার বাবা মায়ের চিৎকার চেচামেচির আওয়াজ শুনতে পেল ৷ রিদের বুজতে বাকি নেই কেন এই চিৎকার চেচামেচি৷ তাকে আর প্রিয়ন্তিকে নিয়ে যে এই অশান্তি এটা রিদ ভালো করেই বুজতে পারতে কারন রায়হান আহাম্মেদ প্রিয়ন্তিকে মেয়ের মতো ভালোবাসলেও কখনো পুত্র বধু হিসেবে মেনে নিবে না ৷ আর না মুনের জায়গাটা তার বাবা অন্য কাউকে দিবে ৷ আর তাই এই ঝগড়া ঝামেলা ৷

রিদ এভাবে পুরো রাতটা জেগে কেটে দেয় ৷ সকাল বেলা রিদ ফ্রেস হয়ে অফিসে বেরিয়ে যায় না খেয়ে কারন রিয়ানা বেগম এতো সকালে ঘুম থেকে উঠে নাস্তা বানাবে না তাই অগ্যতা না খেয়ে- ই রিদ আর তার বাবা কাজে বেরিয়ে যায় ৷ রিদ অফিসে এসে জানতে পারে আগামিকাল থেকে বসে মেয়ে অফিসে আসবে আর তিনি তার অবর্তমানে পুরো অফিস সামলে এক কথা আগামিকাল থেকে বসের মেয়ে বস ৷

অফিসের মেইল স্টাফরা খুব এক্সসাইটেড কারন তারা শুনেছে বসের মেয়ে নাকি ভিষন নরম প্রকৃতির মেয়ে আর চোখ ধাধানো সুন্দরী যে কেউ নাকি এই মেয়ের প্রেমে পরতে বাধ্য ৷ অফিসে খুব জোর সর তোরজোর চলছে নতুন বস কে ওয়েলকাম করার জন্য… রিদের মন না চাইতেও কাজ গুলো করতে বাধ্য রিদ ৷৷তাই কাজ করছে ৷

অন্যদিকে……..

“” মামুনি তুমি ভেবে চিন্তে কাজটা করছো তো ?”” (ফারুক খান)

“” ইয়েস আব্বু আমি যা করছি ভেবে চিন্তে করছি তোমাকে যা যা বলেছি তুমি শুধু তাই করো বাকি টা আমি সামলে নিবো””

“” ঠিক আছে মামুনি তুমি যেমন টা চাইছো তেমন টাই হবে তবে আমার কোন হেল্প লাগলে বলবে কিন্তু…”” (ফারুক খান)

“” তার কোন প্রয়োজন পরবে বলে আমার মনে হয় না আব্বু কারন তুমি আমাকে খুব ভালো করেই চিনো “” বাকা হেসে বললো……

“” এই টাই তো ভয় মামুনি , তুমি রাগের বসে মানুষ খুন করতে দ্বিধা বোধ করো না”” কথা গুলো বির বির করে বললো ফারুক খান কিন্তু কথা গুলো ঠিক তার মেয়ের কান অবদি পৌছে গেছে …..

“” তাহলে আগামিকাল আমি অফিস যাচ্ছি তুমি ড্রাইভার কে গাড়ি রেডি করে রাখতে বলো ৷ আর হ্যা প্রথম দিন বলে আমার সাথে যাওয়ার কথা একদম মাথাতে আনবে না আব্বু তাহলে কিন্তু খুব খারাপ হবে “”

“” ওকে ওকে আমি যাবো না ঠিক আছে ? “”

“” একদম , লাভ ইউ আব্বু””

“” লাভ ইউ টু মামুনি””

__________________

আবিদ সামসু হক সকালে নাস্তা করে দোকানে বেরিয়ে যায় ৷ মৃন্ময় সানজু গতকাল সন্ধায় বাড়িতে চলে যায় ৷ যাওয়ার সময় মৃন্ময় কে জরিয়ে ধরে মুন খুব কান্না করে ৷ ভাই বোনের এই ভালোবাসা দেখে আবিদ সানজু নিরব আর তার মামা মামীর চোখে পানি এসে যায় ৷ নিরব সানজু আর মৃন্ময় কে বাড়িতে পৌছে দিয়ে আসে অবশ্য ৷ তবে এর মাঝে নিরব আর সানজুর মাঝে কিছু একটা চলছে এটা আবিদ মুন দুজনে বুজতে পারছে ৷ পরের দিন অভ্যাস মাফিক মুন ভোর বেলা ঘুম থেকে উঠে মাংস গরম করে পরোটা বানিয়ে ফেলে ৷ রাতে দেরি করে ঘুমানোর ফলে মামির ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়ে যায় ৷ মুনের নাস্তা বানানো শেষে মামি ঘুম থেকে উঠে ফ্রেস রান্না ঘরে এসে দেখে মুন আগে থেকে নাস্তা বানিয়ে ফেলেছে ৷ তিনি বেশ অবাক হলেন মুন কে এতোটা কাজে পটু দেখে অবশ্য গতকাল রাতে তার প্রমান পেয়েছেন তবে এখন আবার তার প্রমান পেলেন ৷ সামসু হক আর আবিদ আগেই খেয়ে বেরিয়ে গেছে শুনে মামি বেশ মন খারাপ করলেন কারন আজ উনি বেশ দেরি করে ঘুম থেকে উঠেছেন ৷ মুন মামি আর নিরব কে নিয়ে এক সাথে নাস্তা করে নিলেন ৷

“” মুন মা সামির সামিরা খেয়েছে?””

“” হ্যা মামিমা ওদের কে আগে খাইয়ে দিয়েছি ৷ সামির এখন কোচিং করতে গেছে আর সামিরা রুমে বসে ড্রইং করছে ৷ “”

মুন কে এভাবে সবটা সামলে নিতে দেখে মামি বেশ অবাক কারন এতোটুকু মেয়ে এভাবে এতো সুন্দর আর নিক্ষুত ভাবে সংসার সামলাচ্ছে যেটা উনি নিজেও পারেন নি এতো বছর ৷

মুন নাস্তা করে মামির সাথে গল্প করতে লেগে গেল ৷ আর মুনের সংঙ্গ ও মামির বেশ ভালো লাগছে ৷ তিনিও মন খুলে মুনের সাথে গল্প করে যাচ্ছেন ৷ আর নিরব তার ফোন বাজতেই খেয়ে বেরিয়ে গেল৷

____________ ” কাল কোথায় গিয়েছিলি মৃন্ময়””” আলিয়া বেগম রক্ত চক্ষু দিয়ে মৃন্ময়ের দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করতে লাগলো……

“” আ,, আমি আমার এক বন্ধুর বাসায় গিয়েছিলাম আম্মু…””

মৃন্ময়ের কথা শেষ হতেই খুব জোড়ে এক থাপ্পোর পড়লো মৃন্ময়ের গালে……
.
.
.

#চলবে………….