নীরব সাক্ষী পর্ব-১৪

0
349

#নীরব_সাক্ষী
#ফারহানা_ছবি
#পর্ব-১৪
.
.
.
____________ ” কাল কোথায় গিয়েছিলি মৃন্ময়””” আলিয়া বেগম রক্ত চক্ষু দিয়ে মৃন্ময়ের দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করতে লাগলো……

“” আ,, আমি আমার এক বন্ধুর বাসায় গিয়েছিলাম আম্মু…””

মৃন্ময়ের কথা শেষ হতেই খুব জোড়ে এক থাপ্পোর পড়লো মৃন্ময়ের গালে….

“” সত্যিটা বলবি নাকি আরো একটা চর মারতে হবে?””(আলিয়া বেগম)

মৃন্ময় এখনো চুপ করে আছে ৷ কোন কথা-ই মুখ থেকে বের হচ্ছে না মৃন্ময়ের ৷ মৃন্ময় নিজের মনে মনে প্রতিজ্ঞা করছে তার মা আজ তাকে মারতে মারতে মেরে ফেললেও তার আপুর কথা সে বলবে না ৷

“” আম্মু আমি সত্যি বলছি ৷ আমি আমার এক বন্ধুর বাড়িতে গিয়েছিলাম””

আলিয়া বেগম এবার মৃন্ময়ের কথা কিছুটা হলেও বিশ্বাস করলেন ৷ তাই আর মৃন্ময় কে কিছু না বলে দোকানে চলে যায় ৷ মৃন্ময় কোচিংয়ে যাওয়ার নাম করে মুনের কাছে যাওয়ার জন্য বেরিয়ে যায়৷

_______________ আবিদ আর সামসুর খাবার টা সামির কে দিয়ে পাঠিয়ে দেয় দোকানে ৷ আবিদ সামসু দুপুরের খাবার খেয়ে আবার কাজে ব্যাস্ত হয়ে পড়ে কিন্তু আবিদ কাজের ফাঁকে ফাঁকে মুন কে কয়েকবার কল করে কথা বলে নেয় ৷ এদিকে মামি মুনের মুখে না জানা সব টা শুনে প্রচন্ড কষ্ট পায় ৷ ছোট বেলা থেকে মুন এতোটা কষ্ট পেয়েছে ভাবতেই পুরো শরীল শিউরে উঠছে তার উপর রিদ তার মায়ের মতো নিকৃষ্ট মানুষের কার্যলাপ শুনে মামির রাগে পুরো গা জ্বলে যাচ্ছে ৷ ওনার ইচ্ছে করছে এখুনি ওদের সবকটা কে মাটির নিচে পুতে ফেলতে ৷

”’ কতো নিকৃষ্ট হলে মানুষ এতোটা খারাপ হতে পারে “”(মামি )

“” শান্ত হোন মামি আল্লাহ যা করে ভালোর জন্য করে ৷ হয়তো এর পিছুনে আমার জন্য ভালো কিছু অপেক্ষা করছে৷””

“” হুম ঠিক বলেছো ৷ আচ্ছা সামির সামিরা নিরব কে ঢেকে আনো দুপুর দুটো বাজতে চললো আমি খাবার টেবিলে দিচ্ছি ৷ “”

“” আচ্ছা মামিমা””

সবাই একসাথে খেয়ে রেস্ট করতে চলে গেল মামি আর মুন বাদে ৷ দুজনে খাওয়া শেষে গল্প করতে লাগলো ৷

________________ “রিয়ানা রিয়ানা ”
প্রচন্ড রেগে চিৎকার করে ডাকতে লাগলো রায়হান আহাম্মেদ … রিয়ানা বেগম রুমে বসে বুজতে পারলেন তার স্বামী প্রচন্ড রেগে আছে ৷ তিনি রুম থেকে বেরিয়ে এসে রায়হান আহাম্মেদ এর সামনে দারায়…..

“” রিদের বাপ তুমি এতোটা রেগে আছো কেন কি হয়েছে?””(রিয়ানা বেগম)

“” বাড়িতে রান্না হয়নি কেন? “”

“” ইয়ে মানে আমার শরীল টা ভালো লাগছিলো না তাই””

“” এই সব প্যান প্যানানি কথা আমি শুনবো না ৷ যাও এখুনি আমার জন্য রান্না করে নিয়ে এসো আমি খাবো ৷ “”

রিয়ানা বেগম কোন কথা না বলে রান্না ঘড়ে চলে যায় ৷ তিনি কি রান্না করবে বুজতে পারছে না বিধায় দুটো ডিমের পোচ করে রায়হান আহাম্মেদ এর সামনে দিলেন ৷ শুধুমাত্র মাত্র ডিম পোচ দেখে রায়হান আহাম্মেদ এর মাথায় যেন রক্ত উঠে গেল ৷ প্লেট টা ছুড়ে ফেলে দিয়ে ঠাটিয়ে এক থাপ্পোর মারে রিয়ানা বেগমের গালে ৷ দ্বিত্বীয় বার থাপ্পোর পড়লো ৷ তিনি এখনো ফ্রিজড হয়ে দারিয়ে আছে৷ রায়হান আহাম্মেদ রাগে ফুসতে ফুসতে রিয়ানা বেগম কে বলতে লাগলো”” রাতে ফিরে আমি যেন টেবিলে সব খাবার রান্না করা দেখি না হলে আজ-ই তোকে আমার বাড়ি ছাড়া করবো ৷ যেমন টা আমার বউমাকে বের করে দিয়েছো৷ কথাটা যেন মাথায় থাকে৷””

কথাটা বলে হন হন করে বেরিয়ে গেল রায়হান আহাম্মেদ ৷ এদিকে রিয়ানা বেগম তার স্বামীর এমন রুপ দেখে প্রচন্ড রকমের ভয় পেল ৷ তিনি দেরি না করে রাতের রান্না শুরু করে দিলো ৷ প্রিয়ন্তি এতোক্ষন দরজার কাছে দারিয়ে খালা খালুর সব কথা শুনেছে ৷ প্রিয়ন্তি বুজতে পারছে রিদের বাবা মুন কে তারিয়ে দেওয়ার জন্য তার খালামনি কে দ্বায়ী করছে ৷ প্রিয়ন্তি নিজের পেটের উপর হাত রেখে নিজের অনাগত সন্তানের ভবিষ্যৎ ভাবতে লাগলো ৷

“” কি হবে আমার সন্তানের ? আর আজ আমাকে বিয়ে করার কথা ছিলো রিদের কিন্তু রিদ কোথায় ও কি আমাকে বিয়ে করবে না? অস্বীকার করবে আমার সন্তান কে ? “” প্রিয়ন্তি আর ভাবতে পারছে না পেটের ভিতর ব্যাথা অনুভব করতে হয়তো সকাল থেকে না খেয়ে থাকার জন্য … প্রিয়ন্তি এবার আর তার সন্তানের ক্ষতি হোক তা চায় না ৷ প্রিয়ন্তি দ্রুত রান্না ঘরে গিয়ে ছোট তাকে নুডুলস এর পেকেট বের করে সিদ্ধ করতে লাগলো ৷ রিয়ানা বেগম প্রথমে খুশি হয় এটা ভেবে হয়তো প্রিয়ন্তি ওর জন্য নুডুলস রান্না করছে এটা ভেবে কিন্তু প্রিয়ন্তির নুডুলস রান্না শেষে টেবিলে বসে একা একা খেতে দেখে রিয়ানা বেগমের মুখটা চুপশে যায় ৷

“” খালামনি রাতের রান্না টা ঝটপট করে ফেলো খালু কিন্তু রাতে এসে খাবে আর রাতে খাবার না পেলে কিছুক্ষন আগে যা করলো তোমার সাথে তা আবার করবে ৷ আর তোমার ছেলে ও তো খাবে তাই না””

“” প্রিয়ন্তি মা আমি একা একা এতো রান্না কি করে করবো ৷ আগে তো কাজের লোক করতো তারপর ওই মেয়েটা বাড়িতে আসার পর থেকে কাজের লোক কে ছাড়িয়ে দিয়েছিলাম তারপর থেকে মেয়েটাই তো বাড়ির সব কাজ করতো ৷ “”

“” হ্যা করতো আর এখন তুমি করবে ৷ আমি এই অবস্তায় কিছু করতে পারবো না৷””

প্রিয়ন্তির কথা শুনে ব্রু কুচকে তাকিয়ে বলে উঠলো “” এই অবস্তায় মানে ? কোন অবস্তার কথা বলছিস তুই?””

রিয়ানা বেগমের কথা শুনে ঘাবড়ে গেল প্রিয়ন্তি ৷ প্রিয়ন্তি কিছু না বলে নুডুলস এর বাটি নিয়ে নিজের রুমে চলে গেল ৷ রিয়ানা বেগম প্রিয়ন্তির চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছে ৷ প্রিয়ন্তি রুমে এসে নুডুলস এর বাটি টা রেখে দৌড়ে ওয়াশরুমে ঢুকে বমি করতে লাগলো ডিমের আশটে গন্ধে প্রিয়ন্তির বমি আসছে কিন্তু রিয়ানা বেগমের সামনে ধরা না দিয়ে রুমে চলে আসে৷ চোখে মুখে পানি দিয়ে প্রিয়ন্তি রুমে এসে নুডুলস টুকু খেয়ে ডিমের অংশ গুলো ফেলে দিলো৷

________ অফিসে নতুন বস আসবে বিধায় রিদের কাজ যেন দ্বিগুন হয়ে গেল ৷ ফেলে রাখা ফাইল গুলো চেক করে নিয়ে অফিসের বাকি স্ট্রাফদের সাথে হাতে হাতে কাজ করতে লাগলো ৷ রিদ হঠাৎ ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে রাত আটা বেজে গেছে ৷ অফিসের কাজের সময় অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে ৷ শুধু মাত্র অফিস সাজাতে দেরি হয়ে গেছে ৷ রিদ ম্যানেজার কে বলে বেরিয়ে যায় ৷ রিদ অফিস থেকে বেরিয়ে যেন হাফ ছেড়ে বাচঁলো ৷ ফোন বের করে রিদ গ্যালারিতে ঢুকে মুনের ছবির দিকে তাকিয়ে আছে ৷ রিদ তার বাম পাশটায় খালি খালি অনুভব করছে ৷ মুন কে কেন যেন ভূলতে পারছে না রিদ ৷ না চাইতেও মুনের নাম্বারে ডায়েল করে রিদ ৷

______________ মুন কে পিছুন থেকে জরিয়ে ধরে আছে আবিদ ৷ জানালা দিয়ে ঠান্ডা হাওয়া আর আবিদের স্পর্শে কেঁপে কেঁপে উঠছে মুন ৷ আর মুন কে কেঁপে উঠতে দেখে আবিদ আরো শক্ত করে জরিয়ে ধরে ৷

“” ভালোবাসি মনপাখি””(আবিদ)

“” আমিও””

“” আমিও কি হুম””

“” ভালোবাসি “” লজ্জায় লাল হয়ে বললো মুন………

মুনের কথা শেষ হতে আবিদ টুপ করে মুনের গালে একটা চুমু দিলো ৷ মুন লজ্জায় লাল হয়ে মাথা নিচু করে আছে ৷ আবিদ মুনের লজ্জা মাখা মুখ দেখে আবিদের ইচ্ছে করছে মুনের গাল দুটো খামড়ে খেয়ে ফেলতে ৷ আবিদ মুনের গাল ছুয়ে দিতে যাবে ঠিক তখনি মুনের ফোন টা বেজে ওঠে ৷ আবিদ বিরক্তি মাখা মুখ নিয়ে বিছানা থেকে ফোন তুলে হাতে নিয়ে ফোনের স্কিনে নাম টা ভেষে উঠতে দেখে আবিদের চোখ মুখের রং পাল্টে গেল ৷ আবিদ ফোনটা মুনের হাতে দিয়ে রেগে রুম থেকে বেরিয়ে গেল ৷ মুন আবিদের রেগে যাওয়ার কারনটা বুজতে না পেরে ফোনের দিকে তাকায়ে দেখে রিদ নামটা ফোনের স্কিনে ভেষে আছে৷ মুন এবার বুজতে পারছে আবিদের রাগের কারন , ফোনের রিং বেজে কেটে যায় ৷

ফোনের ওপাশে রিদ ফোনের দিকে তাকিয়ে রাগে ফুসতে লাগলো ৷ মুনের সাহস দেখে রিদ অবাক ৷ ওর কল রিসিব করেনি মুন ৷

“” বাহ ডিভোর্স হতে না হতে বিয়ে হতে না হয়ে সাহস তো খুব বেড়ে গেছে ৷ “” দাঁতে দাঁত চেপে কটমট করে বলতে বলতে বাইক নিয়ে বেরিয়ে গেল৷
রিদ বাড়ি এসে দেখে তার মা রান্না করছে ৷ এতো বছর পর রিয়ানা বেগম কে রান্না করতে দেখে প্রচন্ড রকমের অবাক হয় রিদ ৷ কিন্তু এখন কিছু বলা বা শোনার মুড নেই ৷ তাই নিজের রুমে চলে গেল ৷ রুমে এসে গোছল করে রিদ ড্রেস চেন্জ করে বিছানায় তাকিয়ে দেখে প্রিয়ন্তি বসে আছে ৷

“” তুই এখানে..?””

“” কেন অন্য কাউকে আশা করেছিলে নাকি?””

“” ফালতু কথা রেখে বল কেন এসেছিস?””

“” খালুকে আমাদের বিয়ের কথা কবে বলবি?””

“” সময় পেলে বলবো এখন রুম থেকে যা আমি রেস্ট করবো “”

“” রিদ ভাইয়া তুমি হয়তো আমার সমস্যাটা বুজতে পারছো না ৷ আমি তোমার সন্তানের মা হতে চলেছি ৷ আর কিছুদিন পর সবাই বুজতে পারবে আমি সন্তান সম্ভাবা তখন কি হবে বুজতে পারছো?””

রিদ কিছুক্ষন চুপ থেকে ঠান্ডা গলায় রিদ বলে উঠলো “” আমি আজ -ই আব্বুর সাথে কথা বলবো ৷ এখন মাকে বল টেবিলে খাবার দিতে …””

রিদের কথা শুনে প্রিয়ন্তি প্রচন্ড রকমের খুশি হয় ৷ প্রিয়ন্তি ছুটে রিদ কে জরিয়ে ধরে রিদের ঠোট জোড়া দখল করে নেয় প্রিয়ন্তি ৷ রিদ ও প্রিয়ন্তির ডাকে সারা দেয় ৷ কিছুক্ষন পর রিদ প্রিয়ন্তিকে ছেড়ে দেয় ৷ প্রিয়ন্তির চোখে মুখে প্রচন্ড খুশি দেখতে পাচ্ছে রিদ ৷ প্রিয়ন্তির হাসি খুশি মুখ দেখে রিদের খুব ভালো লাগছে ৷ রিদ হুট করে রুমের চারিদিক তাকিয়ে মুন কে খুজতে লাগলো ৷রিদ বুজতে পারছে তার অবচেতন মন বার বার মুন কে খুজছে ৷ রিদ সিগারেট এর প্যাকেট নিয়ে বেলকনিতে গিয়ে ধোয়া উড়াতে লাগলো ৷

“” খালামনি রিদ ভাইয়া টেবিলে খাবার দিতে বলেছে৷”” (প্রিয়ন্তি)

“” ঠিক আছে আমার রান্না প্রায় শেষ বাবুকে আসতে বল””

প্রিয়ন্তি রিদকে খেতে আসতে বলে রিদের বাবা কেও ডাকতে গেল৷ রিদ আর রিদের বাবা ডাইনিং টেবিলে এসে খাবার দেখে রিদ আর রিদের বাবা রাগি চোখে রিয়ানা বেগমের দিকে তাকিয়ে বলে………

“” এই সব কি রান্না করেছো রিয়ানা? আদসিদ্ধ ভাত, ডাল , আর আলু ভর্তা… “”

“” দেখো বাবুর বাপ আমি এছাড়া আর কিছু করতে পারবো না ৷ “”

“” কেন পারো নি ফ্রিজে মাছ মাংস ছিলো না? নাকি বাড়ি কাচা সবজি নেই?””

“” সব কিছু আছে কিন্তু এতো কিছু রান্না করার মতো সময় ছিলো না””

রিদের বাবা রাগে ফুসতে ফুসতে অল্প একটু ভাত ডাল দিয়ে খেয়ে উঠে গেল৷ রিদ ভর্তা আর ডাল দিয়ে খেয়ে ওঠে ৷ সব শেষে রিয়ানা বেগম আর প্রিয়ন্তি খেয়ে নিলো ৷

কিছুক্ষন পর রিদ তার বাবার রুমে সামনে গিয়ে নক করে….

“” আব্বু ভিতরে আসবো?””

“” এসো “”

রিদ ভিতরে ঢুকলো…

“” কিছু বলবে ?””

“” আব্বু আমি প্রিয়ন্তি কে বিয়ে করতে চাই””

রিদের কথা শুনে রায়হান আহাম্মেদ মটেও চমকালো না কারন তিনি জানেন প্রিয়ন্তি আর রিদের মাঝে সম্পর্ক আছে ৷

“” রিদ তুমি যখন ঠিক করে নিয়েছো প্রিয়ন্তি কে বিয়ে করবে তখন নিজে বিয়ের ডেট ফিক্সড করে আমাকে জানিয়ে দিয়ো””

“” আব্বু যতো তারাতারি সম্ভব আমি প্রিয়ন্তি কে বিয়ে করতে চাই ৷ সম্ভব হয়ে সামনের শুক্রবার আমি প্রিয়ন্তিকে কোন জাক জমক ছাড়া বিয়ে করবো৷””

“” তুমি তো সির্দ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছো ৷ তাহলে এখন মাকে বলছো কেন? “”

“” আসলে আব্বু.. রিদ কে থামিয়ে দিয়ে রায়হান আহাম্মেদ বলে উঠলো…”” আসলে নকলে কিছু নেই রিদ তবে আজ আমি তোমাকে একটা সত্যি কথা বলছি ৷ তোমাকে জন্ম দেওয়া আমার জীবনে সব থেকে বড় ভূল ৷ আর একটা কথা তুমি মুন কে একদমি ডিজার্ব করো না ৷ এখন আসতে পারো””

রিদ আর কিছু না বলে বেরিয়ে গেল৷

_______________ মুন আবিদ কে জরিয়ে ধরে আছে ৷ আবিদ মুন কে ছাড়ানোর চেষ্টা না করে উলটো আরো শক্ত করে জরিয়ে ধরলো৷

“” ভালোবাসি আবিদ””

“” আমিও””

“” আমিও কি হুম””

“” ভালোবাসি””

আবিদ যে মুন কে নকল করছে এটা মুন খুব ভালো করেই বুজতে পারছে ৷ আবিদের বুকে মাথা রেখে কিটকিটিয়ে হাসতে লাগলো ৷ মুন আবিদের বুক থেকে মাথা তুলে আবিদ কে বলতে লাগলো”” তুমি আমাকে বিশ্বাস করো তো ?””

“” নিজের থেকেও বেশি ৷ কিন্তু খুব ভয় হয় যদি তোমাকে হারিয়ে ফেলি ৷ আমি আমার মনপাখি কে দ্বিতীয় বার হারাতে চাই না ৷ “”

মুন বুজতে পারছে তখন আবিদের রিয়েক্ট করার কারন ,

“” তো সাহেবের কি খুদা লাগেনি? সে যদি ভাবে রাতে খাবে না তবে তাকে জানিয়ে দেও আমিও কিন্তু না খেয়ে থাকবো””

“” তাকে বলে দিও৷ আমার প্রচন্ড খিদে পেয়েছে আমি ফ্রেস হয়ে খেতে যাবো.””

আবিদের কথা শুনে মুন দৌড়ে বেরিয়ে যায় টেবিলে খাবার বাড়তে ৷ আবিদ মুন কে এভাবে ছুটে যেতে দেখে ফিক করে হেসে দেয়৷

“” পাগলি একটা……””

_______________

পরের দিন রিয়ানা বেগম ভোর বেলা ঘুম থেকে উঠে ছেলে আর তার স্বামীর জন্য নাস্তা বানায় ৷ পোড়া রুটি , আর আলু ভাজা করে খেতে দেয় ৷ রায়হান আহাম্মেদ সকাল বেলা ঝামেলা করতে চায় না বিধায় রিয়ানা বেগম কে কিছু বললো না একটা পোড়া রুটি আর আলু ভাজি খেয়ে বেরিয়ে যায় ৷ রিদ ও কোন ভাবে খেয়ে বেরিয়ে যায় ৷ অফিসে ঢুকে দেখে সবাই ফুল হাতে দারিয়ে আছে ৷ ম্যানেজার সাহেব রিদের হাতে এক গুচ্ছু কালোগোলাপ দিয়ে দারাতে বলে ৷ রিদ ম্যানেজার এর কথা মতো ফুল হাতে দারিয়ে থাকে কিছুক্ষন পর গার্ড এসে জানায় বসের গাড়ি এসে গেছে কিছুক্ষনের ভিতর অফিসে ঢুকে যাবে ৷ সবাই উৎফল্ল হয়ে তাকিয়ে আছে ৷ হঠাৎ রিদের কলিগ রিদ কে খোচা মেরে সামনে তাকাতে বলে , রিদ সামনে দেখে ……..
.
.
.
.
#চলবে……………….