নীরব সাক্ষী পর্ব-১৫

0
369

#নীরব_সাক্ষী
#ফারহানা_ছবি
#পর্ব-১৫
.
.
.
রিদ ও কোন ভাবে খেয়ে বেরিয়ে যায় ৷ অফিসে ঢুকে দেখে সবাই ফুল হাতে দারিয়ে আছে ৷ ম্যানেজার সাহেব রিদের হাতে এক গুচ্ছু কালোগোলাপ দিয়ে দারাতে বলে ৷ রিদ ম্যানেজার এর কথা মতো ফুল হাতে দারিয়ে থাকে কিছুক্ষন পর গার্ড এসে জানায় বসের গাড়ি এসে গেছে কিছুক্ষনের ভিতর অফিসে ঢুকে যাবে ৷ সবাই উৎফল্ল হয়ে তাকিয়ে আছে ৷ হঠাৎ রিদের কলিগ রিদ কে খোচা মেরে সামনে তাকাতে বলে , রিদ সামনে তাকিয়ে দেখে অসম্ভব সুন্দর একটি মেয়ে যার ঠোটের কোনে রহস্যময় হাসি , রিদ মেয়েটাকে উপর থেকে নিচ পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করছে৷ গোলাপি কোট প্যান্ট , পায়ে হাই হিল , চুল উপর করে ঝুটি বাধা ৷ এক হাতে ব্রান্ডের রিচ ওয়াচ অন্য হাতে দামি ফোন কানে বড় রিং এয়ারিং , মুখে হালকা মেকয়াপ , তবে চোখ জোড়ার দিকে তাকিয়ে রিদ যে সম্মোহিন হয়ে যাচ্ছে ৷ তাই দ্রুত চোখ জোড়া সরিয়ে নেয় ৷

“” গুড মরনিং ম্যাম”” ফুলের তোরা দিয়ে ম্যানেজার ওয়েকাম করলো ..

“” থ্যাংকিউ ম্যানেজার সাহেব…” ফুলটা টেবিলের উপর রেখে সবার উদ্দ্যশ্যে বলে উঠলো “” হাই আমি ফারিহা খান আর আপনাদের নতুন বস ৷ আপনাদের আগের বস কি নিয়মে অফিস চালাতো আই রিয়েলি ডোন্ট বাট এবার থেকে আমার নিয়মে এই অফিস চলবে ৷ ইজ ইট ক্লিয়ার? “”

“” ইয়েস ম্যাম”” (সবাই এক সাথে)

রিদের কলিগ রিদ কে ঠেলে ফারিহার সামনে , রিদ কি করবে বুজতে না পেরে কালোগোলাপের তোরা টা ফারিহার দিকে এগিয়ে দেয় ৷ ফারিহার ঠোটের কোনে এখনো লেগে থাকা হাসি দেখে রিদের বুকের ভিতর যেন কেমন করে উঠল ৷ ফারিয়া ফুলের তোরা টা সবাই কে নিজের কাজে যেতে বলে কেবিনে চলে যায় ৷

“” দেখেছিস রিদ আমাদের নতুন বস তো হট আর বিউটিফুল ৷ ইস এমন একটা যদি গার্লফ্রেন্ড থাকতো আমার ..”” (কলিগ)

“” তো বসের উপর ট্রাই মারার চেষ্টা করছিস নাকি?””(রিদ)

“” ক্ষতি কি তাতে দোস্ত ৷ ট্রাই তো করাই যায় ৷””(কলিগ)

রিদের কথার মাঝে পিয়ন এসে জানায় তাকে বস ডাকছে ৷ রিদ কলিগের দিকে তাকিয়ে হেসে দিয়ে কেবিনের দিকে চলে গেল ৷

“” মে আই কামিং ম্যাম?”” (রিদ)

“” ইয়েস কাম…””

রিদ ভিতরে ঢুকে অবাক হয়ে যায় কেননা ফারিহা তার টেবিলের উপর বিশাল ফাইলের পাহার জমিয়ে রেখেছে ৷

“” মিস্টার রিদ এই ফাইল গুলো আগামিকালের ভিতর ফাইল গুলো সলভ করে আনবেন ৷ আর হ্যা কিছুক্ষন পর একটা এনাউন্সমেন্ট করে দেওয়া হবে ৷ তার আগে আপনি ফাইল গুলো নিয়ে যান৷””

এদিকে ফাইল গুলো দেখে রিদের অলরেডি মাথা ঘুরানো শুরু হয়ে গেছে ৷ ফাইল গুলো দেখে রিদ আন্দাজ করতে পারচে এখানে ত্রিশ থেকে পয়ত্রিশ টা ফাইল হবে আর তা সব হচ্ছে বিগত বছরের ৷ রিদ ভেবে পাচ্ছে না কেন পুরনো ফাইল গুলো ওকে দেখতে দিচ্ছে৷

রিদের ভাবনার ছেদ ঘটে ফারিহার কথায়……

“” মিস্টার রিদ ভাবা শেষ হলে এখন আপনি আসতে পারেন ৷ আর কিছুক্ষন পর আমার ব্লাক কফি নিয়ে আসবেন৷””

“” ম্যাম আমি! এগুলো তো পিয়ন চাচার কাজ..”” মুখ ফসকে বলে ফেলে রিদ.. রিদের কথা শুনে ফারিয়া কটমট করে তাকিয়ে বলতে লাগলো”” আই থিং চাকড়ি টা আপনার প্রয়োজন নেই ৷ বলতেই পারতেন আপনার থেকে আরো ট্যালেন্টেড লোক আছে যারা এই পোস্ট টা ডিজার্ব করে ৷

রিদ ফারিহার কথা শুনে আর কোন কথা বলার সাহস করলো না ৷ রিদ তার এই চাকড়ি হারাতে চায় না ৷

“” স্যরি ম্যাম আমি এখুনি আপনার জন্য ব্লাক কফি নিয়ে আসছি””

রিদ ফাইল গুলো নিয়ে নিজের টেবিলে এসে রাখে তারপর পিয়ন চাচার কাছে গিয়ে ব্লাক কফি বানিয়ে নিয়ে যায় ফারিহার কাছে ৷

“” মে আই কামিং ম্যাম”

“” ইয়েস ”

“” ম্যাম আপনার ব্লাক কফি..”” রিদ টেবিলের উপর কফি রাখে ৷ ফারিয়া কপির মগ হাতে নিয়ে এক চুমুক মুখে দিয়ে হুট করে গরম কফি টা রিদে গায় ছুরে মারে ….
.
.
.
.
.
আফজাল হোসেন প্রচন্ড রেগে আছে ৷ রুমের ভিতর হাটছে অবশ্য এটা ওনার রাগ কমানোর একটা টেকনিক ৷ আফজাল সাহেব একগ্লাস পানি ঢকঢক করে খেয়ে নিয়ে জোড়ে জোড়ে মনিরা বেগমের নাম ধরে ডাকতে থাকে ৷ মনিরা বেগম রান্না ফেলে দৌরে তার স্বামীর কাছে আসে ৷

“” কি হলো আপনার এভাবে চিৎকার করছেন কেন?””(মনিরা বেগম)

“” ছোট ছেলের খবর রাখো তুমি হ্যা কি করে বেরাচ্ছে তোমার ছেলে৷ আমার মান সন্মান সব ধুলোর সাথে মিশিয়ে দিয়েছে ৷ “”

“” আবিদ যে বিয়ে করেছে এটা কি ও জেনে গেছে?””(মনেমনে)

মনিরা বেগম প্রচন্ড ভয় পাচ্ছেন তার স্বামীকে দেখে ৷ আজ যেভাবে রেগে আছে ৷ রাগের মাথায় যা কিছু করে বসতে পারে ৷ এটা ভেবে এখনো মনিরা বেগম চুপ আছে ৷

“” তোমার ছেলে যে ওই দুই টাকার মেয়েকে বিয়ে করেছে খবর টা কি জানো ?””

“” কিহ বলছো এই সব ! তুমি হয়তো ভূল শুনেছো””

“” না আমি কোন ভূল শুনেনি বাজারে প্রত্যেক কে জানে আবিদ বিয়ে করেছে ওই মুন নামের মেয়েটিকে ৷ আর এখন তোমার ছেলে সামসুর দোকানে কাজ করছে ৷ এই করার জন্য বাড়ি থেকে চলে গিয়েছে বুঝি তোমার ছেলে?”” রেগে বললো আফজাল সাহেব…

“” মাথা ঠান্ডা করে একটু ভেবে দেখেন ৷ আমাদের ছেলে যাতে সুখে থাকে আমাদের বাবা মায়ের কর্তব্য তাদের সেভাবে থাকতে দেওয়া ৷ ওদের কে আমরা বাবা মা হয়ে কষ্ট দিতে পারি না ৷ ওরা যেটা নিয়ে ভালো থাকতে চায় থাক না ৷””

“” তাই বলে আমার মান সন্মান ধুলোর সাথে মিশিয়ে দিয়ে ? এভাবে যদি ওরা সুখি হতে চায় তাহলে এমন ছেলের আমার প্রয়োজন নেই ৷ তাজ্য করলাম এমন ছেলে কে ৷””

“” দেখুন আমি আবারও বলছি মাথা গরম করে কিছু করতে যাবেন না তাতে হিতে বিপরিত হবে ৷ আর আমাদের ইসলাম ধর্ম মতে তাজ্য পুত্র বা তাজ্য কন্যা করার কোন নিয়ম নেই এমন কোন শব্দ নেই ৷””

মনিরা বেগমের কথা শুনে আফজাল সাহেব কিছুটা শান্ত হলেন ৷ তিনি ঠান্ডা মাথায় ভাবতে লাগলেন এর সমাধান ৷
.
.
.
.
রিয়ানা বেগম চুলোর পাশে থাকতে ভিষন কষ্ট হচ্ছে ৷ কিন্তু এর মাঝে কোন কাজের লোক খুজে না পাওয়ায় নিজেকে হাত পুরিয়ে রান্না করতে হচ্ছে ৷ আজ অনেক কষ্ট করে রুই মাছ ভূনা, মাছ দিয়ে পালংশাকের ঝোল আর ভাত রান্না করলো ৷ রিয়ানা বেগম টেবিলে উপর সব খাবার রেখে ঢেকে রাখে ৷ প্রিয়ন্তি সকালে নাস্তা করে রুমে গিয়ে দরজায় খিল দেয় আর দুপুরে খাওয়ার সময় দরজা খুলে .. এটা নিয়ে রিয়ানা বেগম চরম বিরক্ত প্রিয়ন্তির উপর .. তবে এতে প্রিয়ন্তির বিশেষ কিছু যায় আসে না ৷ প্রিয়ন্তি বিয়ের আগ পর্যন্ত কাউকে তার মা হবার কথা জানাতে চায় না ৷ বিশেষ করে রিদ বারন করেছে প্রিয়ন্তি কে ৷ প্রিয়ন্তি ও মেনে নেয়৷

টেবিলে খাবার দেওয়ার পর প্রিয়ন্তি এসে খেতে বসে ৷ তখন রিয়ানা বেগম রেগে বলে ওঠেন”” প্রিয়ন্তি এভাবে দরজায় খিল দিয়ে বসে না থেকে আমাকে তো কাজে সাহায্য করতে পারিস?””

“” স্যরি খালামনি এই সব সংসারের কাজ আমার ধারা করা সম্ভব নয় ৷ ওটা তোমাকে সামলাতে হবে ৷ যতোদিন না নতুন কাজের লোক খুজে পাও ৷ আর একটা কথা আমি কিন্তু মুন ভাবি না ৷ সো আমাকে এই সব বলবে না “”

রিয়ানা বেগম ভাবতে পারেনি তার প্রান প্রিয় বোনের মেয়ে যাকে কিনা নিজে ছোট বেলা থেকে মানুষ করে বড় করেছে সে তাকে আজ এভাবে বলছে ৷

প্রিয়ন্তি খেয়ে উঠে নিজের রুমে গিয়ে দরজায় খিল দিয় দেয় ৷ এদিকে রিয়ানা বেগম প্রিয়ন্তির এটো বাসন ধুয়ে পুরো বাড়ি ঝাড় দিলো ৷ বাসি ময়লা কাপড় ধুয়ে রিয়ানা বেগম যেন আর সোজা হয়ে দারাতে পারছে না ৷ কোমড়ের ব্যাথায় দারাতে পারছে না ৷ কোন ভাবে দেয়াল ধরে রুমে গিয়ে বিছানার উপর শুয়ে পরে ৷
.
.
.
.
.
অফিসের বাকি স্টাফ রিদ কে দেখে হাসছে আর হাসবেই না কেন রিদের ওয়াইট শার্টে ব্লাক কফি পড়ে দাগ হয়ে আছে ৷ রিদ কিছু বলতে না পেরে দাঁতে দাঁত চেপে কাজ করতে লাগলো ৷ ফারিহা কেবিনে বসে ল্যাপটপে বসে রিদের মুখের এক্সপ্রেশন দেখছে আর হাসছে তখনি ফারিহার ফোন টা বেজে উঠলো.. ফারিহা ফোন টা তুলে দেখে ফোনের স্কিনে My Love ভেষে আছে৷ ফারিহা হাসি মুখে কল রিসিব করে কথা বলতে লাগলো…..

_________ রিদের বাবা রায়হান আহাম্মেদ বাড়িতে এসে ডাইনিং টেবিলে খাবার ঢাকা দেখে তিনি রুমে চলে যায় ৷ রিয়ানা বেগম কে অবেলায় শুয়ে থাকতে দেখে তিনি রিয়ানা বেগমের কাছে গিয়ে বসেন ৷

“” রিয়ানা কি হয়েছে এই অবেলায় শুয়ে আছো যে..””

রিয়ানা বেগম ঘুমের তন্দ্রার মতো পরেছিলো হঠাৎ রায়হান আহাম্মেদ এর গলা শুনে চোখ মেলে তাকায়..

“” তুমি এসে গেছো? যাও গোছল করে আসো আমি তোমার জন্য ভাত বাড়ছি ৷””

“” ব্যাস্ত হইয়ো না তুমি ৷ বলো কি হয়েছে তোমার এখন এই অবেলায় শুয়ে আছো যে..?””

“” আসলে তোমার আর বাবুর কিছু ময়লা কাপড় ছিলো ওগুলো ধুয়ে দিয়েছিলাম তারপর থেকে কোমড়ে ব্যাথা অনুভব করছি৷””

রায়হান আহাম্মেদ বুজতে পারলো মুনের কাজ গুলো করতে হচ্ছে বিধায় রিয়ানার এই অবস্তা ৷ তিনি ড্রায়ার থেকে মুভ বের করে রিয়ানার কোমরে মালিশ করে দিলো৷ কিছুক্ষন মালিশ করার পর রিয়ানা বেগম ভালো অনুভব করায় তিনি উঠে বসে ….

“” এবার তুমি গোসল করে আসো তোমাকে তো আবার কাজে যেতে হবে ৷””

“” ঠিক আছে ৷ “”

রায়হান আহাম্মেদ খাবার দেখে বিশ্বাস করতে পারছেন না যে এগুলো রিয়ানা বেগম রান্না করেছেন ৷ কারন ওনার জানা মনে রিয়ানা বেগম তেমন ভালো রান্না পারেন না ৷ রিদের জন্মের পর থেকে রান্না ঘরে যাওয়া বন্ধ করে দেয় ৷ কাজের লোক রাখে ৷ কিন্তু মুনের সাথে বিয়ে হবার পর ওই কাজের লোক কেও ছাড়িয়ে দেন ৷

রায়হান আহাম্মেদ রিয়ানা বেগম কে পাশে বসিয়ে প্লেটে খাবার বেড়ে দিয়ে বলে তুমি আগে শুরু করো ৷ রিয়ানা বেগম ভয়ে ভয়ে খাবার টা মুখে দিয়ে দেখে বেশ ভালোই হয়েছে ৷ রিয়ানা বেগমের মুখের রিয়েকশন দেখে তিনি খাওয়া শুরু করলো৷

____________ আবিদ আজ দুপুরে বাড়িতে ফিরে আসে ৷ এসে দেখে নিরব টিফিন বক্স নিয়ে বের হচ্ছে ৷ কিন্তু আবিদ কে দেখে আর বের হলো না কিছুক্ষন পর সামসু হক চলে এলেন ৷

“” কি বেপার আজ তোমরা এতো তারাতারি ফিরে আসলে?””(মামী)

“” কি আর আর করবো বলো তোমাকে ছাড়া দোকানে মন বসে না তাই চলে আসলাম তোমাকে দেখতে…””

ছেলে মেয়েদের সামনে এমন কথা শুনে আর দারালেন না মামী ৷ সামসু হক কে চোখ গরম দিয়ে ভিতরে চলে গেলেন ৷ সামসু হক হাসতে হাসতে মামীর পিছু পিছু চলে গেল৷

আবিদ মুনের কাছে মুখ এনে কানের লতিতে আলতো করে চুমু দিয়ে বলে… “” আজ তোমাকে খুব সুন্দর লাগছে মনপাখি “”

“” ধ্যাত যাও ফ্রেস হয়ে আসো আমি তোমাদের খাবার সার্ব করছি..””

“” উহু তা এখন হচ্ছে না মনপাখি কারন এখন আমি তোমার সাথে রোমান্স করবো “”

আবিদের কথা শুনে সামির নিরব গলা খাকাড়ি দিয়ে ওঠে “” ইয়ে মানে আমরা এখানে আছি দোস্ত একটু তো সরম কর ৷ এই আমাদের মতো বেচারা সিঙ্গেলদের উপর দোস্ত এমন অবিচার করিস না ৷ কলিজা জ্বলে পুরে যায় দোস্ত একটুতো দয়া কর …””

আবিদ ঘুড়িয়ে নিরবের উদ্দ্যশ্যে বলে উঠলো..”” বয়স তো আর কম হলো না এখনো সিঙ্গেল আছিস কেন হুম “”

“” কোন মেয়েতো খুজে পাচ্ছি না দোস্ত””

“” তাহলে আমার একমাত্র শালী সাহিবা সানজুর পিছুনে লাইন মারছিস কেন হুম””

আবিদের কথা শুনে সামির নিরবের দিকে তাকিয়ে দাঁতে দাঁত চেপে বলে উঠলো “” ভাইয়া তুমি সানজু আপুর উপর লাইন মারছো আর আমি একটু ক্রাশ খেয়েছি বলে আব্বুর কানে দিয়ে পিটুনি খাইয়েছো তাই না এবার দেখো আমি কি করি….”” কথাটা বলে সামির হন হন করে বাইরে বেরিয়ে গেল আর নিরব ছুটলো সামিরের পিছুনে ….

এতোক্ষন আবিদ মুন দারিয়ে নিরব আর আবিদ দারিয়ে শুনছিলো ওরা চলে যেতে দুজনে হেসে ওঠে ৷ আবিদ হাসতে হাসতে মুনের হাসি মাখা মুখের দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে গুন গুন করে বলে উঠলো ….

“” ঐ চাঁদ মুখে যেন
লাগেনা গ্রহন
জোছনায় ভরে থাক
সারাটি জীবন “””

.
.
.
.
#চলবে………………