নেশাক্ত ভালোবাসা পর্ব-০১

0
2573

#নেশাক্ত ভালোবাসা
#লেখিকাঃ Tamanna Islam
#সূচনা পর্ব

—” হে বিউটিফুল একরাতের জন্য আমার বউ হবে?

_________________

—” হেই গার্ল ডোন্ট ওয়ারি, পরেরদিন সকালে উঠে না তুমি আমাকে চিনবে আর না ই আমি তোমাকে চিনবো।

নিজের পেছন থেকে কারো এমন অদ্ভুত রকমের কথা শুনে অবাকের চরম পর্যায়ে পৌঁছে যায় আইরাত। কপাল কুচকে ফট করে পেছনে তাকায়। আজ নিজের বান্ধবী দিয়ার জন্মদিন ছিলো। দিয়া বরাবরই ধনাঢ্য পরিবারের মেয়ে। তবে মেয়ে হিসেবে অনেক ভালো আর আইরাত তার বেস্টু। প্রথমে আসতে না চাইলেও পরর্বতীতে দিয়ার এক প্রকার জোরাজোরিতে বাধ্য হয়েই আসতে হয়েছে তাকে। আইরাত ভেবেছিলো যে হয়তো কোন একটা কমিউনিটি সেন্টারে দিয়ার জন্মদিন সেলিব্রেট করা হবে কিন্তু যখন এখানে এলো তখন বুঝলো যে এটা একটা বার। যেহেতু এটা একটা বার তাহলে জায়গা টাও তেমনই হবে। সব মেয়ে ওয়েস্টার্ন ড্রেসাপ, কেউ নাচছে, কেউ ড্রিং করছে। দিয়া আইরাত কে এক মূহুর্তের জন্যও একা ছাড়ে নি কিন্তু হঠাৎ একটা কল আসাতে দিয়া বাইরে চলে যায় কথা বলতে। আইরাত কখনোই এর আগে বারে আসেনি। তাই তার খুব বেশি আনকোম্ফরটেবল লাগছে। আইরাত একটা সাইডে একদম চুপ করে দাঁড়িয়ে ছিলো। কিন্তু হুট করেই যে কেউ আইরাত কে এমন ধরনের কিছু কথা বলবে তা তার ধারণারও বাইরে ছিলো।

আইরাত অবাক হয়ে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে এগুলোই ভাবছিলো কিন্তু তার ভাবনাতে ছেদ ঘটিয়ে সেই অজানা লোকটি আবার বলে ওঠে…

— হেই কিছু বলছো না কেন। তোমাকে আমার ভালো লেগেছে। একরাতের বউ হবে!?

এবার আইরাতের বেশ খারাপ লাগছে। তবে আইরাত খেয়াল করে দেখলো লোকটি ড্রিং করছে। এলকোহলের শপের সামনে বসে আছে। বাম হাতের দুই আঙুলের ভাজে সিগারেট আর ডান হাতে রয়েছে হুইস্কির বোতল। হাতে রয়েছে একটা গোল্ডেন ওয়াচ। ব্লেক কালারের ডেনিম পেন্ট পরা, এশ কালারের টি-শার্ট আর ওপরে জেকেট। তবে বারে হরেক রকমের ডিস্কো লাইট থাকার ফলে লোকটির মুখমণ্ডল ঠিক ভালো ভাবে দেখা যাচ্ছে না। আইরাত সরু দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলো তার দিকে। কিন্তু তখনই লোকটি আইরাতের দিকে তুরি বাজায়। আইরাতের হোস ফিরে।

— ওহহ আচ্ছা, নাও আই আন্ডারস্ট্যান্ড দ্যাট। তুমি কথা বলতে পারো না।

এবার সত্যি আইরাতের ভীষণ রাগ উঠে গেলো।

আইরাত;; না আমি বোবা নই।

— হেই, কথা বলেছো।

আইরাত;; দেখুন আসলে, আসলে আপনি আমাকে যেমন মেয়ে ভাবছেন আমি আসলে তেমন মেয়ে নই।

— ওহহ আচ্ছা তাহলে কেমন মেয়ে তুমি বেইব।

আইরাত;; আসলে আমি আমার ফ্রেন্ডের বার্থডের জন্য এসেছিলাম কিন্তু আমি যদি জানিতাম যে সে এখানে প্ল্যান করেছে তাহলে আমি কখনোই আসতাম না।

— হ্যাঁ হয়েছে এই সো-কল্ড ভালোগিরি আমার সাথে দেখানো বন্ধ করো।

আইরাত;; এবার কিন্তু বারাবারি হচ্ছে। আমি বললাম তো যে আমি খুব সিম্পল একটা মেয়ে আর তেমন নই।

— কতো লাগবে সোজাসাপটা বললেও তো পারো নাকি!

আইরাত;; অসভ্য কোথাকার।

— হায় কি তেজ।

এবার আইরাত রাগে দুঃখে সেখান থেকে চলে আসতে নিলে নিজেই নিজের জামাতে আটকে নিচে পরে যেতে নেয়। আসলে দিয়া জোর করে তাকে একটা নেভিব্লু কালারের গাউন পড়িয়ে দিয়েছে। যা সামলাতে তাকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তাই দ্রুত সেখান থেকে চলে আসতে নিলে সাথে সাথে সে পরে যেতে ধরলে একটা হাত আইরাতের কোমড় পেচিয়ে ধরে। আর সে পরে যাওয়া থেকে বেচে যায়। আইরাত তো চোখ মুখ সব কুচকে ফেলেছিলো এই ভেবে যে এই হয়তো সে গেলো। কিন্তু সবকিছু ঠিক আছে এমন আভাস পেয়ে পিটপিট করে চোখ মেলে তাকায়। দেখে যে সে উপুড় হয়ে ঝুলছে অর্থাৎ পরে যাওয়া থেকে বেচে গেছে। পরক্ষনেই নিজের পেটে আর কোমড়ে কারো হাতের স্পর্শ পেয়ে সে তড়িঘড়ি করে উঠে দাঁড়ায়।

— আগে ঠিক ভাবে নিজে হাটতে তো শেখো। বারবার পরে যাবে আর ধরার জন্য আমি আসবো না। আমার অফারে তো রাজি হলে না তা না হলে সারারাতই ধরে থাকতাম।

এমন কথা শুনে আইরাতের কেমন নিজের ওপরেই রাগ হতে লাগলো কোন কারণে কোন কুলক্ষণে এখানে আসতে গিয়েছিলো সে। আইরাত কিছু না বলেই সোজা সেখান থেকে চলে আসে। চারিদিকে মানুষের আনাগোনা শুধু। এখানে দিয়াকে কিভাবে খুঁজে পায় এই যে ফোনে কথা বলতে বলতে গেলো আর তো এলো না। আইরাত কোন রকমে বাইরে এসে দিয়া কে খুজছিলো তখনই নিজের ঘাড়ে কারো হাতের ছোয়া পেয়ে আইরাত চমকে যায়।

দিয়া;; আরে রিলেক্স আমি।

আইরাত এলোপাথাড়ি কতো গুলো দিয়ে দেয় দিয়াকে।

আইরাত;; হারামি কোথায় গিয়েছিলি। জানিস ভেতরে আমার অবস্থা নাজেহাল হয়ে গিয়েছিলো।

দিয়া;; কেন কি হয়েছে?

আইরাত;; আরে কোন যেন এক অসভ্য কি না কি বলছিলো। আর এই তুই, তুই এই বারে কেন সেলিব্রেট করতে এসেছিস বার্থডে?

দিয়া;; আরে কি বলছিস। এই বারে মানুষ আসার জন্য মরে যায় আর তুই কিনা এই কথা বলছিস।

আইরাত;; কি এমন আছে এখানে?

দিয়া;; তা তুই বুঝবি না। আচ্ছা চল

আইরাত;; কোথায়?

দিয়া;; কেক কাটবো না!

আইরাত;; না বইন আমার ঘাট হয়েছে আমি আর বারের ভেতরে যাবো না।

দিয়া;; কিন্তু

আইরাত;; প্লিজ দিয়ু আমি যাবো না। পরিবেশ টা আমার ভালো লাগে নি মোটেও।

দিয়া;; ওকে ফাইন আমি সব বাইরে একটা সাইডে নিয়ে আসছি এখানেই কেট কাটবো।

আইরাত;; তার দরকার নেই তুই কেক ভেতরে কাট আমি বাইরে থাকি।

দিয়া;; কি বললি। ফাইজলামি করিস। আমার ওইসব ফ্রেন্ড দের লাগবে না তাও তুই থাক। আমি আনছি সব।

আইরাত দিয়া কে আটকাতে গিয়েও পারলো না। অবশেষে দিয়া সব বাইরে আনে। আর কেট কাটে। সবাইকে খাইয়ে দেয়। কিন্তু আইরাতের মাঝে কেমন যেন একটা অস্বস্তি ভাব।

{নুজাইফা বিনতে আইরাত, খুব সাধারনের মাঝেও অসাধারন একটা মেয়ে। দেখতে সুন্দর, মনের মাঝে দাগ কাটার জন্য এক নজর দেখাই যথেষ্ট। দূর্ভাগ্যবশত বাবা-মা কেউ নেই। নিজের চাচা চাচির সাথে থাকে। সেইদিক দিয়ে দেখলে আইরাত নিজের চাচার কলিজার টুকরা হলেও চাচির দুইচোখের বিষ। প্রতিদিন নানা কথা শুনতে হয় তাকে। ইন্টার পরিক্ষা দিয়েছে সে। আর নিজের পড়াশোনার পাশাপাশি একটা ফাইভ স্টার হোটেলে আইরাত পার্ট টাইম জব করে। নিজের খরচ চালানোর জন্য। কারণ তার চাচি আইরাতের পেছনে অযথা টাকা খরচ করতে পারবে না। তার চাচির একটা ছেলে আছে ছোট, রনিত। সে আইরাতের পাগল। যাই হোক মোটামুটি সবকিছু নিয়ে চলছে আইরাতের জীবন}


অন্যদিকে সেই অজানা লোকটি কখন থেকে ড্রিং করেই যাচ্ছে। ড্রিং করলেও সে তার হোসে ছিলো পুরোপুরি। যেন এই নেশা গুলো তাকে কখনোই নেশাক্ত করতে পারবে না। ব্যার্থ তারা। সিগারেটের শেষ একটা পাফ নিয়েই হাত থেকে তা ফেলে দেয়। সোজা হয়ে বসে হুইস্কির বোতলে চুমুক দেয়। ঠিক তখনই একজন লোক আসে তার পাশে। এসেই সেই অজানা লোকটির দিকে একটা গান এগিয়ে দেয়। হুইস্কির খাচ্ছিলো তখনই নিজের চোখ জোড়া হাল্কা বাকা করে নিজের পাশে দেখে নেয়।

কবির;; গান। লিমিটেড এডিশন।

লোকটির কথায় সেই অজানা লোকটি হো হো করে অট্টহাসি তে ফেটে পরে। কবির অর্থাৎ যে গান নিয়ে এসেছিলো সে অবাক হয়ে তাকায়।

কবির;; এভাবে হাসার মানে কি?

— লিমিটেড এডিশন রাইট, তুই আমাকে লিমিটেড এডিশন দেখাচ্ছিস?

কবির;; হ্যাঁ

— তোর এই লিমিটেড এডিশনের পুরো দোকান আমি কিনে ফেলে দিতে পারবো। আর তোর পুরোনো রেকর্ডস গুলো দেখেছি আমি কেস খেয়েছিস কতো শতো বার। থাক এগুলো নে আর যা।

কবির;; কাজ টা আপনি ঠিক করলেন না, এতো দিন যাবৎ আপনার সাথে এগুলো চালান করছি আ…

— এখন এই লিমিটেড এডিশন গুলো তোর কাছে রাখ তোর জান বাচাতে তোর নিজের কাজে লাগবে।

কবির;; স্যার আপনি…

— Just keep Your mouth shut & leave…

কবির বেশ অপমান বোধ করে আর সেখান থেকে এসে পরে।

{আব্রাহাম, আব্রাহাম আহমেদ চৌধুরী। তবে এই নামের আগে আরেকটা টাইটেল যুক্ত হয় তা হচ্ছে ‘মাফিয়া’। এমন খুব কম দেশই আছে যেখানে এই নামের আধিপত্য নেই। আন্ডারগ্রাউন্ড বর্তমানে তার আন্ডারেই। তবে ফরেইন কান্ট্রি তে থাকা তার পছন্দ না তাই নিজ দেশেই রয়েছে এখানে নিজের অনেক বড়ো বিজনেস আছে। বাড়িতে নিজের দাদি আছে। এই দাদিই তার সব। কেউ আব্রাহামের দিকে তাকিয়ে কথা বলবে সেই সাহস টা হয়তো কারো মাঝেই নেই। আর এই বার টাও টোটালি আব্রাহামের আন্ডারেই। কথায় আছে ছেলেদের বেশি সুন্দর হতে নেয়। কিন্তু আব্রাহাম যেন এই নিয়ম টা অমান্য করে অতিমাত্রায় সুদর্শন হয়ে গেছে। মেয়েরা লাইন লাগিয়ে থাকলেও তাদের দিকে ফিরে তাকানোর রুচি বা সময় কোন টাই তার নেই। আর বড়ো সমস্যা হচ্ছে আব্রাহামের রাগ & জেদ অনেক বেশি}

কবির চলে গেলো। আব্রাহাম আরো কয়েক পেগ মেরে উঠে পরে। কাধে নিজের জেকেট টা ঝুলিয়ে বারের বাইরে এসে পরে। যেদিক দিয়ে আসছিলো সবাই হা করে তাকিয়ে ছিলো। বাইরে এসে নিজের গাড়ির দরজা খুলতে যাবে তখনই একটা মেয়ে এসে আব্রাহামের হাত ধরে। আব্রাহাম কপাল কুচকে তার দিকে তাকায়। মেয়েটির নাম প্রীতি, আদা-লবন খেয়ে আব্রাহামের পেছনে পরে আছে। সে অনেক বেশি ওয়েস্টার্ন। আব্রাহাম পাত্তা না দিয়ে চোখ ঘুড়িয়ে অন্য দিকে তাকায়।

প্রীতি;; আব্রাহাম বেইবি কোথায় যাচ্ছো তুমি?

আব্রাহাম;; বাধ্য নই আমি তোমাকে বলতে।

প্রীতি;; ডোন্ট বি সো রুড বেইব। চলো না ভেতরে যাই অনেক মজা হবে।

এবার আব্রাহাম প্রীতির দিকে ঘুড়ে তাকায়। নিজের বাম হাতের দুটো আঙুল প্রীতির গালে ঠেকিয়ে বলে ওঠে…

আব্রাহাম;; তুমি ভেতরে যাও সেখানে অনেকজন তোমার জন্য ওয়েট করছে। যাদের কাছে তুমি তোমার ভালো মানও পাবে আর দামও।

প্রীতি;; মানে?

আব্রাহাম;; কখনো দেখেছিলে কুকুর আর বাঘকে একই পাত্রে পানি পান করতে!

প্রীতি;; _________________

আব্রাহাম;; তোমার নিজেরও হিসেব নেই যে কতো গুলো ছেলের সাথে রাত কাটিয়েছো তুমি। সবাইকে এক পাল্লায় মেপো না।

প্রীতি;; তুমি আমায় ইন্সাল্ট করছো আব্রাহাম।

আব্রাহাম;; আহা, একদম না। আমি তোমায় ইন্সাল্ট করছি না বরং তুমি নিজেই তোমার দাম বা ওজন ধরে রাখতে পারো নি। এন্ড ইট’স টোটালি ইউর ফোল্ট।

এই কথা বলেই আব্রাহাম সেখান থেকে গাড়িতে করে এসে পরে। আর প্রীতি তো রাগে জ্বলে যাচ্ছে৷

দিয়ার বার্থডে শেষ। সবাই চলে গেছে। দিয়া বলেছিলো আইরাতকে যে সে বাড়িতে দিয়ে আসবে কিন্তু দিয়ার ঘুড়ে যেতে হবে দেখে আইরাত নিজেই চলে আসে। রাস্তায় গাড়ি পেতে কষ্ট হয় আইরাতের যার ফলে সে হেটেই এক সময় বাড়ি যাবার জন্য রওনা দেয়। আর দেরি হয়ে যায়। প্রায় রাত একটা বাজছে। আইরাত শুধু আল্লাহ আল্লাহ করছে যে বাড়িতে যেন তার চাচি তাকে দেখে কোন হাংামা না করে। দেখতে দেখতে এক সময় আইরাত নিজের বাড়িতে চলে আসে। কাপা কাপা হাতে বাড়ির কলিং বেল বাজায়। দরজা খুলে দেয় আইরাতের চাচাতো ভাই রনিত। আইরাত যেন হাফ ছেড়ে বাচে। চুপি চুপি ঘরের ভেতরে চলে যায় কিন্তু একটা তীব্র আওয়াজ তাকে থাকিমে দেয়।

কলি বেগম;; আইরায়ায়ায়াত।

আইরাত;; জ জ জ্বি চাচি

কলি বেগম;; কিরে কোথায় গিয়েছিলি তুই। এটা তোর বাসায় আসার সময়। জানিস না বাসায় কতো কাজ। আর এই মুখপুড়ি এতো রাত ভরা কোথায় ছিলি ফিরতে এতো দেরি হলো কেন। অপয়া একটা।

আইরাত;; না চাচি আসলে একটু কাজ বেশি ছিলো তাই আর কি…

কলি বেগম;; তো বাড়িতে যে এতো গুলো কাজ পরে আছে সেগুলো করবে কে শুনি। আসছে রে নবাবজাদি। না জানি বাইরে কি কি করে এসেছে।

আইরাতের চাচি আইরাতকে অনেক বকতে থাকলো। আইরাতের চাচা ইকবাল সাহেব চেয়েও থামাতে পারছেন না তার বউকে। অবশেষে রনিত আইরাতের হাত ধরে তাকে নিয়ে যায়। আইরাত ইতোমধ্যে কেদে দিয়েছে। এটা নতুন কিছুই না তাকে রোজ শুনতে হয় এমন কথা। কি আর করার সেইরাত এভাবেই চলে যায়। পরেরদিন উঠে আবার হোটেলে যেতে হবে কাজ করতে। আসলে সেই ফাইভ স্টার হোটেল টা দিয়ার এক চাচ্চুর যার জন্য কাজ পেতেও আইরাতকে বেশি বেগ পেতে হয় নি। আর এই কাজ টা পেয়েই যেন আইরাত রক্ষা।

আব্রাহাম ঝড়ের গতিতে গাড়ি ড্রাইভ করছে। আইরাতের চেহারা দেখেছিলো যে। হাজারো মেয়ে তার আশে পাশে কিন্তু এটা কেমন জেন এক অদ্ভুত নেশা। রাত বেজে চলেছে দুইটার কাছাকাছি। সেই সময় আব্রাহাম বাড়িতে যায়৷ আইরাতও এতোক্ষণ বারের সেই লোকটার কথা গুলোই ভাবছিলো কিভাবে পারলো এই কথা গুলো বলতে। তবে চেয়েও লোকটির চেহারা টা দেখতে পায় নি। আইরাত শোয়া থেকে উঠে গিয়ে নিজের বাবা-মায়ের ছবির সামনে গিয়ে দাঁড়ায়৷




চলবে~