#পবিত্র_বন্ধনে_আবদ্ধ
#পর্ব -৪৮ (ওয়াট)
#Jannatul_ferdosi_rimi (লেখিকা)
ফিহার হাত-পা কেঁপে যাচ্ছে ভয়ে। সে কি করবে কিচ্ছু বুঝতে পারছে নাহ। তার লাটসাহেব ঠিক আছে তো? ফিহাকে এইভাবে কাঁদতে দেখে মিঃ রিক রিহা ও মিসেস ফাতেম( ফিহার মা) চলে আসে।মিসেস ফাতেমা মেয়ের এই অবস্হা দেখে বলে উঠে-
ফিহা কি হয়েছে মা??
রিকঃ সব ঠিক আছে তো?
ফিহা ফুপিয়ে কেঁদে উঠে। মুখ থেকে শব্দটাও যেনো বের হচ্ছে নাহ। এমন অবস্হা হয়ে গেছে।
রিহাঃ তোমরা অইসব বাদ দাও! আগে রিক তুমি মেয়েটাকে দেখো তো! ওর অব্স্হা বেশি একটা ভালো লাগছে নাহ আমার কাছে। ফিহা কিছুটা দম নিয়ে বলে উঠলো-
আমি ঠিক আছি কিন্তু লাটসাহেব ঠিক নেই। উনার সাথে আমি কথা বলছিলাম তখনি হঠাৎ করে একটা বড় শব্দ হয় তারপর ফোনটা কেটে যায়। উনার ফোন টাও বন্ধ হয়ে যায়। আমার মনে হচ্ছে উনার কোনো বড় বিপদ হয়েছে। রিক ফিহাকে মাথায় হাত -বুলিয়ে বলে উঠে- মা তুই চিন্তা করিস নাহ। আমি দেখছি কি করা যায়।
ফিহাঃ আমি কী করে শান্ত হবো? বলো তো? ভালো বাবা! আমি কিছুতেই শান্ত হতে পারছি নাহ। আমি এখুনি উনার কাছে যাবো
রিহাঃ আচ্ছে একটা কাজ করা যায়না? আমরা বরং মির্জা বাড়িতে যাই। হতেও তো পারে উনারা হয়তো ফারহাজের কোনো খবর দিতে পারে।
মির্জা বাড়িতে,,,
ফিহা, রিহা, রিক ও মিসেস ফাতেমা সবাই মির্জা বাড়িতে এসে সব ঘটনা খুলে বলেছে সবাইকে। ফিহা মিসেস ফাতেমাকে জড়িয়ে কেঁদে যাচ্ছে।
মিঃ রাইজাদাঃ দিদিভাই! কেঁদো নাহ। ফারহাজের কিচ্ছু হবে নাহ। রাহাত ( ফারহাজের কাকা) বেড়িয়েছে গাড়ি নিয়ে ও নিশ্চই ফারহাজের কোনো
খবর পেয়ে যাবে।
এদিকে ছেলের এই খবর মিসেস প্রিয়া মিসেস প্রিয়া একেবারে অসু্স্হ হয়ে গিয়েছে। তানহা ( ফারহাজের কাকি) কোনোরকম তাকে সামলাচ্ছে।
মিসেস প্রিয়া বার বার শুধু বকে যাচ্ছেন —
আমার ছেলেটার কি হলো? আমার হিরের টুকরো ছেলেটার কি কিছু হয়েছে।
ফারহাজের দাদি এখন বাড়িতে নেই বলে জানেন নাহ।
(লেখিকাঃ জান্নাতুল ফেরদৌসি রিমি)
নিলয় বার বার ফোন করে যাচ্ছে ফারহাজকে।
কিন্তু ফারহাজের ফোনটা বন্ধ।
রেনুঃ কিরে নিলয়? ফারহাজ দাদুভাইকে ফোনে পেলি?
নিলয়ঃ নাহ দিদা। ফোনে পাচ্ছি নাহ।
রেনুঃ
আমি বুঝতে পারছি নাহ কি করবো? তার মধ্যে রাইহানটাও ( ফারহাজের বাবা) বাড়িতে নেই
এইবার ফিহা উঠে দাঁড়ায়।
ফিহাঃ আমি আর এইভাবে বসে থাকতে পারবো নাহ। আমাকে আমার লাটসাহেব এর কাছে যেতে হবে!
মিসেস ফাতেমাঃ তুই কোথায় যাবি বলতো?
ফিহাঃ আমি জানি নাহ কিন্তু আমাকে যেতে হবে
এই বলে ফিহা যেতে নিলে তখনি রাহাত ও ফারহাজ প্রবেশ করে ড্রইং রুমে। ফারহাজকে দেখে সবার মুখে হাঁসি ফুটে উঠে। শুধুমাত্র ফিহা ছাড়া। কেননা ফারহাজের মাথায় ব্যান্ডিজ করা। মিসেস প্রিয়া দৌড়ে ছুটে ফারহাজের কপালে চুমু খেয়ে বলে —
ফারহাজ বাবা তুই ঠিক আছিস তো?
ফারহাজ এক পলক ফিহার দিকে তাঁকালো। ফিহা নীল মনিবিশিষ্ট চোখ জোড়া কাঁদতে কাঁদতে একেবারে লাল হয়ে গেছে। দেখেই বুঝা যাচ্ছে প্রচন্ড কেঁদেছে।
ফারহাজঃ মা তুমি চিন্তা করো নাহ আমি একদম ঠিক আছি।
রেনু বেগমঃ কিন্তু একি দাদুভাই তোর মাথায় ব্যন্ডিজ করা কেন??
নিলয়ঃ তোমর ফোনটা অফ ছিলো নাহ।
ফারহাজঃ আর বলো নাহ! আমার গাড়ির ইঞ্জিন টা নস্ট হয়ে গাড়িতে আগুন লেগে গিয়েছিলো। ভাগ্যক্রমে আমি গাড়ির ডোর টা খুলে তাড়াতাড়ি বের হয়ে ছিটকে নীচে পড়েছিলাম তাই সামান্য মাথায় চট পেয়েছি।
ফারহাজের কথা যেনো ফিহার বিশ্বাস হলো নাহ। কেননা ফিহা যখন ফারহাজের সাথে কথা বলছিলো তখন ফোনের অইপাশ থেকে গুলির শব্দ ভেঁসে আসছিলো। ফিহা সন্দেহের দৃষ্টিতে ফারহাজের দিকে তাঁকালো।
আসলে ফারহাজ মিথ্যে বলেছে শত্রুপক্ষ যখন গাড়ির ইঞ্জিনে গুলি করতে যাবে তখনি ফারহাজ
কৌশলে গাড়ির ডোর খুলে বেড়িয়ে পড়ে। আর তখনি গাড়িতে বড় একটা বিস্ফোরণ হয়। ফারহাজ মাথায় কিছুটা ব্যাথা পেলেও ভাগ্যক্রমে বেঁচে যায়। কিন্তু সত্যিটা ফারহাজ কাউকে বললো নাহ। শুধু শুধু বাড়ির সকলে চিন্তা করবে।
রাহাতঃ আমি যখন ফারহাজকে খুঁজতে যাই তখনি
আমাকে হসপিটাল থেকে ফোন করা হয় যে ফারহাজ মাথায় চট পেয়েছে।
রেনু বেগমঃ ভাগ্যিস ফিহা দিদিভাই আমাদের সময়মতো এসে বলল নাহলে আমরা কী করে জানতাম। আর এইযে ফারহাজ দাদাভাই তুমি কী খেয়াল করেছো? তখন থেকে তোমার বউ টা কাঁদতে কাঁদতে নিজের কি অবস্হা করে ফেলেছে। পাগল প্রায় অবস্হা হয়ে গিয়েছিলো । একটা কাজ কর দিদিভাই তুই বরং ফারহাজ দাদুভাইকে নিয়ে ঘরে চলে যায়।
ফিহা এগিয়ে এসে ফারহাজের দিকে হাত বাড়ালে
ফারহাজ বলে উঠে-
আমি একাই পারবো কারো সাহায্যের প্রয়োজন হবে নাহ।
এই বলে ফারহাজ নিজেই কোনোরকম হেটে উপরের দিকে চলে যায়। এতে ফিহা কিছুটা ব্যাথিত হয়।
মিঃ রাইজাদা পরিবেশ টা ঠিক করার জন্যে বলে উঠলেন–
ছোট বউমা! এতোদিন পরে বাড়ির বেয়াই বিয়ানরা এসেছেন চা নাস্তার ব্যবস্হার করো।
রিকঃ আংকেল এইসব এর কোনো প্রয়োজন নেই।
রেনুঃ এইসব কি বলছো হ্যা? আমি বলে কি একেবারে দুপুরের খাবার খেয়েই তারপর বাড়িতে যাবে।
ফিহা তানহার কাছে এসে বলে উঠে-
ছোট কাকি আমিও বরং যাই উনি তো মাথায় চট পেয়েছেন এই সময় সুপ খেলে ভালো হবে।
ইশিকা মজার ছলে বলে উঠে–
বাবা বাবা পিচ্ছি ভাবির দেখি নিজের বরের প্রতি কত্ত খেয়াল।
ইশিকার কথা শুনে সবাই হেঁসে উঠে। ফিহা কিছু না বলে রান্নাঘরের দিকে পা বাঁড়ায়।
তানহাঃ ঠিক আছে চলো!
এই বলে ইশিকা ও ফিহা রান্নাঘরের দিকে এগিয়ে যায়।
ফারহাজ নিজের ব্লেজার টা ফেলে দেয়। মাথাটা প্রচন্ড ধরেছে। আজকে সে কৌশলে বেঁচে গেছে। কিন্তু কিং স্যার যথেষ্ট ড্যান্জরাস একজন ব্যক্তি। ফারহাজের তো এখন কমিশনারের উপর ও যথেষ্ট সংদেহ হচ্ছে।
তখনি ফোনটা বেজে উঠে। ফারহাজ ফোনটা তুলে দেখে আননোন নাম্বার থেকে ফোন এসেছে। ফারহাজ ফোনটা তুলে রিসিভ করে বলে উঠে–
হ্যালো কে বলছেন?
অইপাশ থেকে কেউ কর্কষ কন্ঠে বলে উঠে-
ফারহাজ মির্জা বেঁচে আছো তাহলে? ওহ বেঁচে তো থাকবেই। কই মাছের প্রাণ বলে কথা।
ফারহাজঃ কে বলছেন আপনি?
—-আমার মনে হয় নাহ। আমাকে না চেনার কোনো কারণ আছে। যেখানে তুমি আমার প্রায় সব ইনফরমেশন ই যোগাড় করে ফেলেছো!
ফারহাজঃ কিং স্যার!
কিং স্যারঃ এইতো বুদ্বিমান ছেলের মতো কথা!
এইবার বুদ্বিমানের মতো ভালো করে এই কেস থেকে সরে যাও। নাহলে তোমাকেও তোমার কাকাইয়ের মতো।
ফারহাজঃ মেরে ফেলবেন তো তাই তো? আমি জানি আমার কাকায়ের মৃত্যুটা স্বাভাবিক নাহ তাকেও মেরে ফেলা হয়েছে ( দাঁতে দাঁত চেপে)
কিং স্যারঃ ভালোই তো ধরে ফেলেছো।
ফারহাজঃ তাহলে এইটাও শুনে রাখ কিং স্যার। তোর পাপের পাল্লা ভাড়ি হয়ে গেছে। এইবার শাস্তির পালা। আমার কাকাইয়ের মৃত্যুর প্রতিশোধ আমি নিয়েই ছাড়বো। আমাকে কেউ আটকাতে পারবে নাহ।
কিং স্যারঃ ড্যাটস দ্যা স্প্রিট। আই লাইক ইট। ওকে আমিও দেখবো কী করে তুমি আমাকে ধরতে পারো।
এইটা জেনে রাখো ফারহাজ মির্জা তোমার মৃত্যু খুব নিকটে বলেই কুৎসিত হাঁসি দিলো কিং স্যার।
ফারহাজ রাগে ফোনটা ছড়ে ফেললো। মৃত্যুর ভয়ে সে কিছুতেই পিছু হটবে নাহ। ফারহাজ জানে আজকে হয়তো সে কৌশলে বেঁচে গেছে কিন্তু কাল হয়তো ভাগ্য সাথে নাও থাকতে পারে। কিন্তু ফিহার কি হবে?
ফারহাজের ভাবনার মাঝেই ফিহা রুমে প্রবেশ করে বলে উঠে-
লাটসাহেব আপনার সুপ!
ফারহাজঃ এইসব এর কি দরকার ছিলো? তুমি জানো নাহ? সুপ আমি খাইনা? (কিছুটা বিরক্ত হয়ে)
ফিহাঃ আপনি তো অসুস্হ মাথায় চট পেয়েছেন তাই সুপ টা নিয়ে এসেছি ।
ফারহাজঃ দেখো ফিহা তোমার আমাকে নিয়ে এতো বেশি ভাবতে হবে নাহ। তুমি আপতত এখন আমার সামনে থেকে যাও ( খানিক্টা ধমকে)
ফিহাঃ আমাকে এইভাবে ধমকাচ্ছেন কেন?? আমি কত কস্ট করে সুপ টা করলাম আর আপনি এইভাবে ধমকাচ্ছেন।
ফারহাজ ফিহার দিকে অসহায় দৃস্টিতে তাঁকায়। এই মুহুর্তে তাকে কঠিন হতেই হবে। ফিহা যেনো তার কাছে দূরে চলে যায় অনেক দূরে। সে কিছুতেই তার জীবনের সাথে ফিহাকে জড়াবে নাহ.
ফারহাজঃ তুমি কি বুঝতে পারছো নাহ? আমার এই মুহুর্তে তোমাকে বিরক্ত লাগছে! সামনে থেকে দূর হও। চলেই তো গিয়েছিলো কেনো এসেছো?
ফারহাজের কথা শুনে আপনা আপনি চোখ থেকে জল গড়িয়ে পড়ে।
ফিহাঃ আমি সত্যি দুঃখিত। আসলে আমি ভেবেছিলাম আপনি অসু্স্হ তাই হয়তো।
আমি চলে যাচ্ছি এই বলে ফিহা কাঁদতে কাঁদতে বেড়িয়ে পড়ে। ফিহাকে কাঁদিয়ে ফারহাজের বুক টা জ্বলে -পুড়ে যাচ্ছে।
ফারহাজ এশাদকে ফোন করে —
ফারহাজঃ হ্যালো!
এশাদঃ হ্যা ফারহাজ তোর কথা মতো ডিভোর্স পেপার টা রেডি হয়ে গেছে। আমি পাঠিয়ে দিয়েছি
তুই আর ফিহা সাইন করে দিস।
ফারহাজঃ ঠিক আছে ( ধরা গলায়)
এশাদঃ কিন্তু ফারহাজ ভেবে দেখ এতে নাহ তুই সুখী হবি আর নাহ ফিহা!
ফারহাজঃ আমার আর কোনো উপায় নেই। আমি জানি ফিহার জন্যেই এইটাই বেস্ট হবে ( কাঠ গলায়)
আহান এইবার উঠে দাঁড়ায়। সত্যটা টা এইবার ইরিনাকে বলতে হবে।
আহানঃ হ্যা আমি আদ্র মির্জা! কিন্তু কেনো আমি আমার সত্যিটা লুকিয়েছি কেননা এর পিছনেও কারণ রয়েছে.। সেদিন আমাদের কোনো এক্সিডেন্ট হয়নি বরং সেদিন ইচ্ছেকৃত ভাবে আমার বাবাকে খুন করে ফেলা হয়েছে আর তার পিছনে কে রয়েছে জানো? রাইহান মির্জা! ( ফারহাজের বাবা)
ইরিনাঃ ওয়াট???
এদিকে,,,
কিং স্যার ওয়াইনের বোতল টা হাতে নিয়ে গ্লাসে ঢালছে।
তখনি কেউ প্রবেশ করে বলে উঠে-
তোমার সাহস হয় কী করে? কিং স্যার!
কিং স্যারঃ শান্ত হোও রাইহান। এতো উত্তেজিত হওয়ার কিছুই নেই।
চলবে 🙂…..!
#পবিত্র_বন্ধনে_আবদ্ধ
#পর্ব – ৪৯ (বিরহ)
#Jannatul_ferdosi_rimi (লেখিকা)
ফিহা শাড়িটা পড়েছে। লাল রংয়ের। নয়না ও মিলি মিলে তাকে শাড়িটা পড়িয়েছে। বেশ সুন্দর লাগছে ফিহাকে। নিজের দিকে তাঁকাতেও কেনো যেনো বড্ড লজ্জা লাগছে তার। সে যখন কাঁদতে কাঁদতে বেড়িয়ে গিয়েছিলো তখনি রেনু বেগম তাকে নিজের ঘরে এনে ভালো করে বুঝিয়ে দেন–স্বামী মানুষ একটু আকটু রাগ করবেই তাই বলে ফিহা কেনো ঘর থেকে বের হবে? তার থেকে বরং সবসময় সেজে-গুজে থাকতে হবে যাতে ফারহাজ ফিহার প্রতি দুর্বল হয়ে যায়। ফিহাও রেনু বেগমের কথাটি নিজের মস্তিষ্কে ভালো করে ঢুকিয়ে ফেলেছে। আজ খুব সুন্দর করে সেঁজেছে ফারহাজের জন্যে। মিলি ও নয়না ফিহাকে দেখে বলে উঠে-
মাশাল্লাহ! মিস্টি ভাবি আফানারে দেহি মেলা সুন্দর লাগতাছে। ফিহা মিস্টি হেঁসে বলে উঠে-
ধন্যবাদ!
রাইহান মির্জা রাগে ফুশতে লাগলো। এই মুহুর্তে তার ইচ্ছে করছে কিং স্যারকে গলা চেপে ধরতে। সাহস কী করে হলো? তার ছেলের দিকে হাত বাড়ানোর। তার ছেলের ক্ষতি করা। রাইহান মির্জা কিছু বলতে যাবে তার আগেই কিং স্যার বলে উঠে-
এতো চেচামেচি করছো কেন??
রাইহানঃ তোমার সাহস কী করে হয়? আমার ছেলেকে আক্রমণ করতে? আজ যদি আমার ছেলের কিচ্ছু হয়ে যেতো তাহলে আই সওয়ার তোমাকে আমি জ্যান্ত পুতে দিতাম!
কিং স্যার ঃ তোমার ছেলের হলো কৈ মাছের প্রাণ সহজে মরবে নাহ। তোমার ছেলেকে আমিও আগেও বলেছিলাম এই কেস থেকে সরে যেতে কিন্তু সে কী করেছে? উল্টো আমাকে ধরতে চায় সে আর আমি কী তাকে বাঁচিয়ে রাখবো হুহ?? কখনোই নাহ আমার রাস্তায় যে ই আসবে তাকেই সরিয়ে ফেলবো।
বলেই শয়তানী হাঁসিতে মেতে উঠলো কিং স্যার।
রাইহান কিছুটা দমে গেলো। কেননা সে কাকে বুঝাবো? যে নিজে একজন সাইকো। সিরিয়াল ক্লিলার সাইকো যাকে বলে। এই সাইকো কে কে আটকাবে?
কিং স্যার আবারোও বলে উঠে-
আর আমার এই কাজে যারা বাঁধা হয়ে দাঁড়াবে তাদের কাউকে ছাড়বো নাহ আমি। যেমন নিবিড় মির্জাকে মেরেছি ঠিক সেইভাবে ফারহাজকেও নাও।
রাইহানঃ মুখ সামলে! কথা বলো। আর কত নীচে নামবে তুমি?
কিং স্যারঃ হাঁসালে তুমি! ভুলে গেলে? কীভাবে লোভের কারণে কীভাবে নিজের ভাইকে মেরেছিলে? তুমি তো আমার চেয়েও অধম!
রাইহানঃ কিং স্যার তুমি ভুলে যেওনা! আমি নিবিড়কে মারেনি মেরেছিলে তুমি আমি শুধুই সাহায্য করেছিলাম তাও শুধু তোমার ইন্দোনে। এখনো আমি তার জন্যে প্রতিনিয়ত আফসোস করি। কিন্তু নিবিড়কে তুমি মেরেছিলে নিজের হাতে
দূর থেকে সব কিছু ক্যামেরায় বন্দী করে ফেললো রুপ।৷ হ্যা রুপ আবারোও দেশে ফিরে এসেছে। ফারহাজের সাথে প্রতারণা করে নিজের কাছে কেমন যেনো রুপের অপরাধী লাগছিলো। রুপ এইটাও জানে আহানকে ভুল বুঝানো হচ্ছে। তাই সে ঠিক করেছে লুকিয়ে সে কিং স্যার বিরুদ্বে প্রমাণ জোগাড় করে সবকিছু আহানকে জানিয়ে দিবে। যাকে আহান এতোটা ভরসা করে সে ই মেইন অপরাধী তা আহানকে প্রমাণ করে দিবে ।
কিং স্যার রাইহানের বিপরীতে কিছু বলতে গিয়েও থেমে গেলেন কেননা সে বুঝতে পারছেন দরজার অইপাশে কেউ দাঁড়িয়ে আছে।
কিং স্যারঃ কে অইখানে??
কিং স্যার চিল্লিয়ে বলে উঠলেন–
গার্ডস? গার্ডস কোথায় তোমরা??
কিং স্যার এর চিৎকারে সবাই ছুটে চলে আসতে লাগলো। তারা এসে বলে উঠে-
হ্যা কিং স্যার বলুন!
কিং স্যারঃ তোমরা এখানে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কি দেখছো?? অইখানে কে যেনো আছে. তাড়তাড়ি তাকে ধরো এন্ড সোজা শুট করে ফেলবে।
রুপ বুঝে গেছে তাকে দেখে ফেলেছে কিং স্যার তাকে দেখে ফেলেছে। নাহ তাকে পালাতে হবে। আহানের কাছে পৌছাতে হবে।
রুপও দৌড় দিলো।
ফিহা কখন ধরে ফারহাজের জন্যে অপেক্ষা করছে কিন্তু ফারহাজের আসার কোনো নাম-গন্ধ নেই। আচ্ছা ফারহাজ কী তার প্রশংসা করবে?? ফিহা খেয়াল করলো ফারহাজের ফোনটা আলো জ্বলে রয়েছে। ফিহা কিছুটা কৌতহলি হয়ে ফোনটা ঘাটতে লাগলো। ঘাটতে ঘাটতে ফিহার চোখ এমন একটা বিষয় দেখে আটকে গেলো। যেই বিষয় টা দেখে মুহুর্তে চোখ থেকে জল গড়িয়ে পড়লো ফিহার। সকালে ইরিনার সাথে ফারহাজের কথা হয়েছে। কললিষ্ট দেখে স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে। তাহলে কী এখনোও ইরিনার সাথে ফারহাজের যোগাযোগ আছে? আর যোগাযোগ আছে বলেই কি ফারহাজ ফিহার সাথে এইভাবে আচরণ করে? নানারকম কু চিন্তা মাথায় ভর করলো ফিহার। পরক্ষনে নিজেকে নিজেই বুঝালো ফিহা। এইসব কি ভাবছে সে? ইরিনা আপু বিবাহিত।
এদিকে ফারহাজের হাতে ডিভোর্স পেপার সবেমাত্র
এলো। এশাদ পাঠিয়েছে। ফিহাকে সাইন করতে হবে তারপর ফারহাজ সাইন করে দিবে। তারপর ফিহা তার মায়ের কাছে চলে যাবে। এতেই ফিহার ভালো হবে।
ফিহা ভাবতেই ভাবতেই শাড়ির সাথে পা বেজে পড়তে নিলে কারো শক্ত হাত-জোড়া ফিহার কোমড় জড়িয়ে ধরে। ফিহা চোখজোড়া বন্ধ করে ফেলে। ফিহা আস্তে করে চোখ খুলেই দেখে ফারহাজ তাকে ধরে রেখছে। দুজনে দুজনের দিকে অপলক ভাবে তাঁকিয়ে আছে। দুজনের কপাল একে অপরের কপাল কে স্পর্শ করেছে। ফারহাজ নিজের অজান্তেই ফিহার আরেকটু কাছে গিয়ে বলে উঠে-
সাবধানে চলবে তো নাকি? এতো লাফালাফি করো কেন??
ফিহা ফারহাজের কথা শুনে ঠায় দাঁড়িয়ে পড়লো।
ফারহাজ এইবার ভালো করে ফিহাকে দেখে নিলো। তার পুচকিকে এইবার সত্যি তার বউ বউ লাগছে।
মুগ্ধ হয়ে তাঁকিয়ে আছে সে। ফারহাজের এমন চাহনীতে কিছুটা অস্বস্হি হচ্ছে ফিহার। ফারহাজ এইবার কিছুটা নীচু হয়ে যায়। ফারহাজ কি করছে ফিহা বুঝতে পারছে নাহ। ফারহাজ ফিহার শাড়ির দিকে হাত-বাড়ালে ফিহ কিছুটা চমকে বলে উঠে-
একি কি করছেন???
ফারহাজঃ তোমার শাড়ির কুচিটা এলোমেলো হয়ে গিয়েছে তাই ঠিক করে দিচ্ছি। তুমি তো নিশ্চই পারো নাহ।
এই বলে ফারহাজ শাড়ির কুচিটা ঠিক করতে লাগলো। ফিহা কেমন করে যেনো কেঁপে উঠছে।
অন্যরকম ভালো লাগার অনুভুতি।
ফারহাজ এইবার উঠে দাঁড়িয়ে বলে উঠে-
এইবার ঠিক আছে। আসলে আমার কিছু জরুরী কথা রয়েছে তোমার সাথে। কিছুটা সিরিয়াস বিষয় নিয়ে।
আমি জানি তুমি যথেষ্ট বুদ্বিমতী মেয়ে ফিহা। আমার কথাটা বুঝার চেস্টা করবে।
কথা গুলো বলতে বলতে ফারহাজের ফিহার দিকে নজর যায়। ফিহা কেমন যেনো ভয়ার্থভাবে তাঁকিয়ে আছে ফারহাজের। কি এমন সিরিয়াস কথা বলতে
চাইছে লাটসাহেব?
এদিকে,,
রুপ কোনোরকম পালিয়ে ছুটে যাচ্ছে। কিং স্যার এর লোকেরা তাকে পেলেই মেরে ফেলবে। তার আগেই যে করেই হোক ভিডিও রেকর্ডারটা আহানের কাছে নিয়ে পৌছাতে হবে। ভাবতেই ভাবতেই একটা টেক্সি নিয়ে বেড়িয়ে পড়ে আহানের বাড়ির উদ্দেশ্যে।
আহান ইরিনাকে কিছু আরো কিছু বলতে যাবে তার আগেই তাদের বাড়ির কলিং বেল টা বেজে উঠে।
আহান দরজা খুলে দেখে রুপ। এইসময় রুপকে দেখে কিছুটা অবাক হয়ে যায় আহান।
আহানঃ রুপ তুমি এইখানে?
আরেকদিকে,,,
ফারহাজ ঃ আসলে তুমি তো জানো ফিহা। বিয়েটা একপ্রকার জেদের বশেই করেছিলাম। এই বিয়েটাতে যেমন তোমার মত ছিলো নাহ তেমনি আমারোও মত ছিলো নাহ। যে বিয়েতে আমাদের কারো কোনো মত ছিলো নাহ সে বিয়ের টিকিয়ে রাখার মানেই হয়না। তাই আমি ভেবেছি আমাদের ডিভোর্সটা করাটাই ভালো হবে। আসলে আমি বিয়ের দিন – ই ডিভোর্সের এপ্লাই করে রেখেছিলাম। আজকে রেডি হয়ে গেছে।
যত সম্ভব এই বিয়েটা ভেজ্ঞে ফেললে তুমিও মুক্তি হবে আমিও আমার দায়িত্ব থেকে মুক্তি পেয়ে যাবে।
কথাগুলো বলতে ফারহাজের চোখ থেকে কিছুটা নোনাজল গড়িয়ে পড়লেও সে স্বাভাবিক ভাবেই কথাটা বলে ফিহাকে বুঝতে দেওয়া যাবে নাহ।
(লেখিকাঃ জান্নাতুল ফেরদৌসি রিমি)
ফারহাজের কথা শুনে ফিহা কোনোরকম রিয়েক্ট করলো নাহ। বরং সে শুধু এক্টাই কথাই বললো–
ইরিনা আপুকে এখনো ভালোবাসেন বুঝি? বিয়ের এতোদিন পরেও আমার প্রতি আপনার এইটুকুও ভালোবাসা জন্ম নিলো নাহ? লাটসাহেব? এখন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমাকে ঘাড় থেকে নামাতে পারলেই আপনি খুশি।
ফিহার কথায় ফারহাজের রাগ হলোও সে কিছুটা হেঁসে বলে উঠলো-
যদি বুঝেই থাকো তাহলে তাড়তাড়ি ডিভোর্স পেপার টা সাইন করে দাও। তারপর আমি করে দিচ্ছি। এইটাই ভালো হবে আমাদের জন্যে।
আর তোমাকে ভালোবাসার কোনো কারণ আছে কি? তোমাকে কখনো আমার সাথে যায়না। আমাদের স্ট্যাটাস টাও কত আলাদা। ডিভোর্স টা হলে তুমি তোমার রাস্তায় আমি আমার রাস্তায়।
বলেই ফারহাজ ফিহার দিকে ডিভোর্স পেপার আর পেন টা এগিয়ে দিলো। ফিহা আর না পেরে ডিভোর্স পেপার টা নিয়ে হাত দিয়ে কুচিকুচি করে ছিড়ে ফেললো। এতে ফারহাজ কিছুটা অবাক হলো।
এইবার ফিহা ফারহাজের কপাল চেপে ধরে বলে উঠলো–
আমাকে তো আগে সোজাসোজা বললেই হতো। ফিহা তোমার এই বোঝা আমি বইতে পারছি নাহ। তোমাকে আমার সাথে যায়না। আমি ইরিনাকে ভালোবাসি
তাহলে আমি আরো আগেই চলে যেতাম। কখনো আসতাম নাহ
এই ডিভোর্স নামক নাটকটির নাম মানে কি? বিয়েটা টা কি খেলা মনে করেন? হ্যা? যখন তখন জেদের বশে বিয়ে করলেন আবার যখন তখন ডিভোর্স দিয়ে ছেড়ে দিলেন। কি মনে করেন কি আমাকে আপনার খেলার পুতুল? কেনো এতোদিন আমার মনে নিজের জন্যে ফিলিংস তৈরি করলেন লাটসাহেব? উত্তর দিন।
এই বলে ফিহা ফারহাজের বুকে এলোপাথারি মারতে লাগলো। বাড়িতে এখন নয়না আর মিলি ছাড়া কেউ নেই। নীচ থেকে সবকিছুই নয়না ও মিলি শুনতে পারছে। প্রচন্ড ভয় লাগছে তাদের।
ফিহা একসময় কাঁদতে কাঁদতে ফারহাজের বুকে লেপ্টে রইলো।
ফিহাঃ কি হলো লাটসাহেব উত্তর দিন!
ফারহাজের বুকটাও জ্বলে পুড়ে যাচ্ছে। ইচ্ছে করছে ফিহুকে নিজের বুকে ঢুকিয়ে দিতে কিন্তু ফারহাজ তা চাইলেও পারবে নাহ।
ফিহা এইবার ফারহাজের থেকে সরে দাঁড়ালো।
ফিহাঃ আমার মা সবসময় একটা কথা বলেন জানেন তো লাটসাহেব???
মানুষের বিয়ের মতো বিয়ে একবার ই হয়। জন্ম মৃত্যু বিয়ে সবকিছুই আল্লাহর হাতে। আল্লাহ চাইছিলেন বলেই আমরা একেঅপরের সাথে বিয়ে নামক #পবিত্র_বন্ধনে_আবদ্ধ হয়েছিলাম। আমি ডিভোর্সে বিশ্বাসে নই।
ডিভোর্স কখনোই এই বিয়ে নামক বন্ধনকে ছিন্ন করতে পারে নাহ।
আপনার আমার কাছে মুক্তি চাই তো? ঠিক আছে অনেক দূরে চলে যাবো আমি। আপনাকে মুক্তি দিয়ে দিবো। কখনো আপনার স্ত্রীর দাবি নিয়ে আপনার সামনে আসবো নাহ লাটসাহেব
( কান্নামিশ্রি কন্ঠে)
এই বলে ফিহা চলে যেতে নিলে ফারহাজ বলে উঠে-
নীচে ড্রাইভার কাকু আছেন। উনি তোমাকে বাড়িতে পৌছে দিয়ে আসবেন। আর চিন্তা করো নাহ একটা বিগ এমাউন্ট কালকে পৌছে দিবো তোমার বাড়িতে।
ফিহাঃ আপনি খুব দয়ালু মিঃ ফারহাজ মির্জা। কিন্তু আমার টাকার দরকার নেই। আমি যাই হই লোভী নই। এইটুকু ফর্মালিটি না করলেই কি নয়?
ফারহাজ চমকে ফিহার দিকে তাঁকায়। এই প্রথম ফিহা তাকে তার নাম ধরে ডেকেছেন
ফিহাঃ ভালো থাকবেন। সুখে থাকবেন।
এই বলে ফিহা দৌড়াতে দৌড়াতে বেড়িয়ে গেলো।
ফিহা নেঁচে গিয়ে দেখলো গাড়ি দাঁড়ানো আছে। ফারহাজ উপর থেকে সব দেখে যাচ্ছে। ফিহা আর না ভেবে গাড়িতে উঠে পড়লো। গাড়ি চলল নিজের গন্তব্যে। গাড়িতে স্লো মোশনে গান বেজে যাচ্ছে—
আমার পরান যাহা চায়,
তুমি তাই, তুমি তাই গো।
তোমা ছাড়া আর এ জগতে
মোর, কেহ নাই কিছু নাই গো।
তুমি সুখ যদি নাহি পাও,
যাও, সুখের সন্ধানে যাও,
আমি তোমারে পেয়েছি হৃদয়মাঝে,
আর কিছু নাহি চাই গো।
আমি তোমার বিরহে রহিব বিলীন, 💔💔💔💔
গান কানে আসতেই শব্দ করে কেঁদে উঠলো ফিহা।
আর বিরহে যে মানা যায় নাহ।
ফারহাজ ফিহার চোখে স্পষ্ট জল দেখেছে। ফারহাজের চোখ থেকেও জল গড়িয়ে পড়লো।
মাঝরাস্তায় আসতেই ফিহা ড্রাইভার কে বলে উঠে-
ড্রাইভার কাকু আপনি এখানেই গাড়িটা থামিয়ে দিন।
—-কিন্তু!
ফিহাঃ কোনো কিন্তু নয়।
—-ফারহাজ স্যার তো রাগ করবে।
ফিহাঃ আমি কিচ্ছু শুনতে চাইনা। গাড়িটা থামান বলছি।
এলোমেলো হয়ে হাঁটছে ফিহা। শাড়ির আচল মাটিকে প্রাই ছুইছুই। তখনি ফিহা খেয়াল করলো তার শাড়ির আঁচলে কিছু একটা বাঁধা আছে। ফিহা শাড়ির আচঁল টা খুলে দেখলো তার সেই রুবির ব্রেসলেট। এই ব্রেসলেট টা তো সে হারিয়ে ফেলেছিলো তার সাথে ছোট্ট একটি চিরকুট ফারহাজ লিখেছে।—
ফিহু তুমি যেদিন বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছিলে বেখায়েলি ভাবে তোমার ব্রেসলেট টা ফেলে গিয়েছিলে। তাই তোমাকে ফিরত দিয়ে দিলাম। নীলাঞ্জনা। ভালো থেকো সামনে তোমার উজজ্বল ভবিষ্যৎ আছে।
তোমার বিরহে আমার সারাজীবন কাটিয়ে দিবো যদি এতে তুমি সুখ পাও-! তোমার ভাগের সব দুঃখ যেনো বিধাতা আমায় দেয়। তোমার সেই নীল মনিবিশিষ্ট চোখ জোড়ায় মুখখানায় অনির্দিষ্ট কালের জন্যে চোখের পানি থাকলেও,, সবসময় যেনো সেই চোখ জোড়া খুশিতে চকচক করে এই পার্থ্যনাই আমি করি নীলাঞ্জনা! —- ফারহাজ
ফারহাজ কথাটি বলতে নিয়ে একটা সিগারেট ধরিয়ে ফেললো। নিজের কস্টাটা সে কাকে বলবে?
হ্যা ফারহাজ জানে ফিহা ই তার নীলাঞ্জনা! এতোবছর পর নিজের নীলাঞ্জনাকে পেয়ে আবারোও তাকে হাঁরিয়ে ফেললো ফারহাজ। সে তার নীলাঞ্জনাকে আজকে কস্ট দিয়েছে। কিন্তু ফিহার লাস্ট কথার মানে ফারহাজ বুঝতে পারলো নাহ। ফিহা কি বললো?
অনেক দূরে চলে যাবে মানে টা কী?
ফারহাজ জ্বলন্ত সিগারেট টা নিজের হাতের সাথে চেপে ধরলো।
তখনি ফারহাজের কানে একটি গান ভেঁসে উঠলো।
আমি তোমার বিরহে রহিব বিলীন,
তোমাতে করিব বাস,
দীর্ঘ দিবস, দীর্ঘ রজনী,
দীর্ঘ বরষ মাস।
যদি আর কারে ভালোবাস,
যদি আর ফিরে নাহি আস,
তবে, তুমি যাহা চাও, তাই যেন পাও,
আমি যত দুখ পাই গো।
চলবে…..! 💔💔💔💔