#পুতুল_বউ
#Afxana_Junayed
#অন্তিম_পর্ব
তুমি কি আমার বউ হবে?আমার #পুতুল_বউ
হালকা নীলাভ আকাশের মধ্যে সাঁই সাঁই করে বাতাস বয়ে যাচ্ছে।বাতাসের তীব্রতা গায়ে লাগতেই মনে হচ্ছে সারা শরীরে হিমশীতলের বন্য বয়ে যাচ্ছে।একেই এই ঠান্ডার মৌসুম তার মধ্যে সামিরের এই বাক্যেটা শুনে পুতুলের সারা গা শিউরে উঠে,বরফের মতো জমে যায় সে।এক অদ্ভুত চাহনিতে চেয়ে থাকে তার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা লম্বাটে ছেলে অর্থাৎ সামিরের দিকে।
বড় হয়েছে সে। দু বছর আগে যে কথাগুলো হাজার চেষ্টা করেও বুঝতো না তা এখন নিমিষেই ধরে ফেলতে পারে।দু বছর আগে দেখা হওয়া আর এখন দেখা হওয়ার মধ্যে পার্থক্য যেমন অনেক ঠিক তেমনি অনুভূতিটা একদম ভিন্ন!
___________
সেদিন পুতুল ভুল দেখেনি,মারজিয়াদের বাসার পেয়ারা গাছের ওপারে দেখা অস্পষ্ট মানবটা সামিরই ছিলো।প্রথম বার দেখায় বিশ্বাস করতে পারে নি পুতুল কিন্তু কিয়ৎক্ষণ পর আবার একি যায়গায় একদম স্পষ্ট ভাবে সামিরকে দেখতে পায় পুতুল তাকে দেখা মাত্রই চোখটা স্থির হয়ে যায়,কিন্তু সে হয়তো তাকে খেয়াল করে নি।গারো সবুজ খয়েরী রঙের পাঞ্জাবি পরে চেয়ারে বসে ছিলো সামির।পাশে কিছু ছেলে মেয়েদের দিকে তাকিয়ে হাসছিলো।এই প্রথম পুতুল সামিরকে পাঞ্জাবিতে দেখেছিলো,সে ভেবেছিলো একে হয়তো শুধু ওই টি শার্ট গুলোতেই সুন্দর লাগে কিন্তু তার ধারণা একদম ভুল!
আর দেখার সুযোগ পায় নি পুতুল,সামির একবারো তার দিকে চায় নি।মনে পরে যায় যেদিন সামির এ দেশ ছেড়ে চলে যাবে তার আগের দিনের কথাগুলো,কালো গোলাপ গাছের অর্ধেক মালিক সে,আবার এয়ারপোর্টের সেই জড়িয়ে ধরে আবেগ মাখা কথা গুলো।সেগুলো শুধু কথা ছিলো না শাসন ভালোবাসা তখন বুঝতে পারেনি পুতুল।তবে আস্তে আস্তে সব ক্লিয়ার হয়েছিলো।সিজান ভাইয়ার কথা অনুযায়ী সামির পুতুলকে ভালোবাসে,কিন্তু এখন দেখে তা মনেই হচ্ছে না।পুতুল ভাবে হয়তো সামির তাকে সহ আগের সব ভুলে গিয়েছে।অবশ্য ভুলে যাওয়ারি কথা,সে শুধু শুধু দু টো বছর ভুল ধারণা নিয়ে সামিরের অপেক্ষা করে গিয়েছে।সত্যি কি সামিরের তাকে দেওয়া কথা গুলো মনে নেই?
তারপর মারজিয়ার বিয়ের দিন থেকে শুরু করে বৌভাত অব্দি সামিরের সাথে অনেকবার সামনা সামনি দেখে হয় কিন্তু প্রত্যেকবারি সামির মুচকি হেসে সরে এসেছিলো।সামিরের এই ইগনোরিং গুলো পুতুলের মনে এক দোলা কান্না হয়ে জমেছিলো কিন্তু বুক চিরে তা বের হতো না।
প্রায় সপ্তাখানিক পর চেয়ারম্যান বাড়ি এমপি বাড়ি এবং সিজান আর মারজিয়া সকলে এক হয়।রাতের কুয়াশা ভেজা আবহাওয়া দেখে বোঝার উপায় নেই এখন ঠিক কটা বাজে।ড্রয়িং রুমে সবাই বসে আড্ডা দিচ্ছিলো কিন্তু এখন পর্যন্ত সামিরকে দেখতে পায় নি পুতুল।একটা সোফায় মারজিয়া আর সিজান বসে ছিলো তাদের সাথে পুতুলও ছিলো কিন্তু একদম চুপচাপ,হঠাৎ হাতের ফোন কেপে উঠে।পুতুল তাকিয়ে দেখে ‘প্রজাপতি’ দিয়ে সেভ করা,বুঝতে পারে এটা তিতলি।মারজিয়া একবার উকি দিয়ে ফোনের দিকে তাকায়,পুতুল সবার থেকে একটু দূরে গিয়ে তিতলির সাথে কথা বলতে থাকে।কথা বলতে বলতে পুতুল ছাদে উঠে যায় কল রাখার পর একবার নিচে নেমে যেতে চেয়েছিলো কিন্তু ছাদের ঠান্ডা বাতাসের সাথে কালো গোলাপ কাছের সুন্দর দৃশ্য দেখে আরেকটু এগিয়ে যায়।গাছটা আগে থেকে অনেকটাই বড় হয়েছে তবুও ছাদ থেকে পাতা গুলো ছোয়া যায় না,নিচে তাকালেই দেখতে পায় দু তোলার বেলকনি বেয়ে পরেছে গাছের ডাল গুলো।সেখান থেকে অনায়াসে সুন্দর মতো গাছটাকে দেখা যায়।পুতুল বুঝতে পারে ওটা সামিরের বেলকনি,পুতুল ভালো ভাবে দেখার জন্য রেলিং ধরে একটু নিচের দিকে ঝুকে,তারপর আবার মাথা উঠাতেই মনে হলো পেছনের কোনো কিছু সাথে ধাক্কা লাগলো।কিন্তু পেছনে তো কিছুই নেই,ধুক করে উঠলো পুতুল!পেছনে কারো অস্তিত্ব টের পাচ্ছে,ভয়ে ভয়ে পেছনে ঘুরে সোজা দাড়ালো,শুধু আকাশি রঙ ছাড়া কিছুই দেখতে পেলো না।তবে এটা স্পষ্ট এখানে একজন মানুষ দাঁড়িয়ে আছে আর তারি বুক বরাবর পুতুল দাঁড়িয়ে আছে,মিটিমিটি করে চোখ তুলে উপরের দিকে তাকায়।যাকে ভেবেছিলো সেই,সামির!সামির পুতুলের দিকে ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে নিচের দিকে ইশারা করে বলে,
-ওদিকে কি?
পুতুল কিছু বলে না,সেখান থেকে একটু সরে এসে বুকে হাত দিয়ে বড় করে একটা শ্বাস নেয়।সে এখন সামিরের সাথে কথা বলতে চাচ্ছে না,না দিতে চাচ্ছে কোনো কৈফিয়ত!তাই চুপচাপ ঘুরে রেলিং ধরে দাঁড়িয়ে থাকে,কিছুক্ষণ পর সামির আস্তে করে তার পাশে গিয়ে দাঁড়ায়।অনেক্ষন নীরবতা কাটে,শেষে পুতুল সামিরকে একটু খোচা মেরে বলে,
-তো আসলেন কবে সামির ভাইয়া।
সামির পালটা প্রশ্ন করে,
-কোথায়?
-বাংলাদেশে আসলেন কবে,
-এসেছিতো সিজানের বিয়ের আগের দিন,কেনো আমাদের না দেখা হলো কয়েকবার।
-বাহ আমাকে দেখেছেন নাকি?
-চোখের সামনেই তো ছিলে দেখবনা?
-নাহ আমি ভেবেছিলাম আমাকে হয়তো মনেই নেই আপনার।
এইবার সামির কেনো যেনো চুপ করে যায়।পুতুল তার উত্তরের জন্য একটু অপেক্ষা করে,সামিরকে চুপ হয়ে থাকতে দেখে সে হালকা মুচকি হেসে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকে,শীতে হাত পা বরফ হয়ে যাচ্ছে,কুয়াশায় দূর দুরান্তের কিছুই দেখা যাচ্ছে না।অল্প খানিক পর সামির নিচু স্বরে বলে,
-এখানে অনেক বাতাস ঠান্ডা লেগে যেতে পারে নিচে যাও।
পুতুল নিজের দৃষ্টি আকাশের দিকে রেখে অভিমানী স্বরে বলে,
-ঠান্ডা লাগলে এতক্ষণ এখানে থাকতাম না,বরঞ্চ আপনি চলে যান।আমি তো শাল পরে আছি আপনি তো শুধু মাত্র একটা টি শার্ট!তাছাড়া এমনিতেও বাবারা আপনাকে খুঁজছিলো।
সামির কিছুক্ষণ পুতুলের মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে,ঠান্ডায় গোলাগাল টসটসে গাল গুলো লাল হয়ে জমে আছে।ঠোঁটটা পুরো রুস্কসুস্ক হয়ে ফে’টে আছে।শীতে রীতিমতো কাপছে তাও বলছে তার নাকি ঠান্ডা লাগছে না।
-বড্ড বড় হয়ে গিয়েছো তাই না পুতুল?
সামিরের প্রশ্নে এইবার পুতুল তার দিকে তাকায়।সামিরের চোখ দেখে আৎকে উঠে পুতুল।মনে পরে যায় দু বছর আগের দৃশ্য সেদিন যাওয়ার আগে তাকে ঠিক এই চাহনি দিয়ে আবেগ মাখা কথা বলে মনকে অশান্ত করেছিলো।
সঙ্গে সঙ্গে চোখ আপনা আপনি নেমে যায় পুতুলের।কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে আমতা আমতা করে বলে,
-আ আমি নিচে যাবো আমার ঠান্ডা লাগছে,
এক কদম আগানোর আগেই সামির তার হাত ধরে নেয়।সামিরের হাত বরফের নেয় ঠান্ডা,পুতুল থেমে যায়,তারপর সামির পেছন থেকে মিহি কন্ঠে বলে উঠে,
‘তুমি কি আমার বউ হবে?আমার পুতুল বউ!
________
সামির এইবার পুতুলের হাত টেনে তার সামনে কোনো বাক্য বেয় না করে নিচু হয়ে পুতুলকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে,
কোলাহল পূর্ণ হলটা কালো অন্ধকারে ছেয়ে যেতেই সবার উত্তেজনা বেড়ে যায়।কেউ কেউ ব্যপারটা বুঝতে পারলেও অনেকেই হল হঠাৎ বন্ধ হওয়ার কারণ বুঝতে পারছেনা।এভাবেই কয়েক সেকেন্ড অতিবাহিত হয়ে যায়,লোকজন এদিক ওদিক দেখতে থাকে কি হচ্ছে।হুট করে হলে উপস্তিতি সবার চোখ যায় লম্বা সিঁড়ি দিকে।সেখান সব লাইট ফোকাস হচ্ছে।সবাই আরো উত্তেজিত হয়ে উঠে,আস্তে আস্তে লাইটের আলোয় স্পষ্ট হতে থাকে সিঁড়ি দিয়া নেমে আসা পরির দিকে,উহু পরি না পুতুল!
কালো লেটেস গাউন পড়া,ড্রেসের কালার থেকে শুরু করে নেকলেস মাথার তাজ সব কিছু কালো বড় পাথরে ঘেরা।পেছন থেকে গাউনের অনেক অংশ বার্তি থাকায় নিচে নামার সময় তা এচরাচ্ছে।পুতুল গাউনের দুই কোনা ধরে আস্তে আস্তে নিচে নেমে আসছে,সবার এটেনশন পুতুলের দিকে।
সামির ও লাইট অফ হওয়ার সাথে সাথে আগ্রহ নিয়ে বসে ছিলো তার পুতুল বউকে দেখার,কিন্তু এই সাজে পুতুলকে যে তার এক্সপেকটেশনের চেয়েও বেশি সুন্দর লাগছে!আপনা আপনি এক হাত বুকের বা পাশে চলে যায় সামিরের।সিজান তার পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলো সামিরের এমন অবস্থা দেখে কানে কানে বলে,
-হার্টঅ্যাটাক করিস না আবার।
সামির সোজা হয়ে দাঁড়ায়।পুতুল সিঁড়ি দিয়ে আস্তে করে নামে,তার মুখের হাসিটা যেনো বন্ধই হচ্ছে না,তারমধ্য সবার এটেনশন তার উপর খানিকটা লজ্জা লজ্জাও লাগছে।আরো একটু সামনে যেতেই এইবার সামিরকে নজরে পরে পুতুলের।তার দিকে কেমন করে তাকিয়ে আছে,’কেনো কোনো দিন কি দেখে নি?’
পুতুল আরেকটু এগিয়ে যেতেই সামির তার সামনে এসে হাত ধরে নিয়ে যায়।সামিরের এক হাতে কালো গোলাপের তোড়া!
পুতুল সামনে আসতেই সিজান মুচকি হেসে বলে,
-ব্ল্যাক বার্বি ডল!
সামির পুতুলের হাতে একটা আংটি পরিয়ে দিয়ে সেই হাতে চুমু দিয়ে ফুলের তোড়াটা তার হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলে,
“তুমি আমার কালো গোলাপ,আমার পুতুল বউ!”
ছেলে মেয়েদের ভালোবাসা দেখে চোখের কোণে পানি এসে যায় সামিয়ার।মুখ দিয়ে আপনা আপনি বেড়িয়ে যায় “মাশাল্লাহ”
পুতুলের মা সামিয়ার হাত ধরে কান্নারত কন্ঠে বল,
-আমার মেয়ে এখন থেকে আপনারো মেয়ে,দোয়া করি তারা দুইজন ভালো থাকুক সারাজীবন এভাবে ভালোবেসে যাক।
এনগেজমেন্ট হলো পুতুলদের।এখন তারা কয়দিন প্রেম করবে তারপর একদম পারমানেন্ট বিয়ে।এটাই প্ল্যান ছিলো সামিরের,কিন্তু তা কি আর হলো?দু দিন পর পুতুল জানতে পারলো তাদের ভার্সিটিতে পরিক্ষা!তাই পুতুলকে আবার ঢাকা ব্যাক যেতে হবে।পুতুলের বাবা একবার বলেছিলো পরিক্ষা দেওয়ার দরকার নেই পুতুলেরো ইচ্ছে ছিলোনা।কিন্তু সামিরের জোরজবরদস্তিতে যেতে হয়েছে।তিতলি আপু তাদের বাড়ি চলে গিয়েছে,তাই হোস্টেলে তাকে একাই থাকতে হয়েছে।এর মাঝে সামির দুদিন পর পর এসে পুতুলকে দেখে গিয়েছে,পরিক্ষা দিয়ে সারাদিন সামিরের সাথে ঢাকা শহর ঘুরে সন্ধ্যা বেলা হোস্টেলের বাহির পর্যন্ত পুতুলকে দিয়ে তারপর সামির আবার বাসায় চলে গিয়েছে।টানা চার ঘন্টা জার্নি করে ঢাকা এসে সারাদিন পুতুলকে নিয়ে ঘুরে আবার রাতে চার ঘন্টা জার্নি করে বাড়ি ফেরা চারটি খানি কথা ছিলোনা।তবুও সামির দু দিন পর পর এসেছে,যাতে পুতুলের একা না লাগে।পরিক্ষা শেষ হতেই আবার পুতুল আর সামির বাড়িতে ব্যাক করে।বাড়িতে এসেই পুতুল জানতে পারে আজ তাদের গায়ে হলুদ আর কালকে বিয়ে।প্রথমে শকে ছিলো এতো তাড়াতাড়ি কেনো।তাছাড়া সামিরও তাকে কিছু বলে নি।
অবশেষে তাদের বিয়ে হয়ে যায়।এখন বর্তমানে পুতুল সামিরের বেলকনিতে বসে আছে,সে একা।চারোদিক দিয়ে ফুলের একটা করা ঘ্রাণ আসছে।সামনে তার কালো গোলাপ গাছ আর ঘরে ফুলসজ্জার খাট,দুটোই যেনো ফুলে ভরপুর।প্রায় আধা ঘন্টা আগে সামির তাকে এখানে রেখে গিয়েছে,এখনো আসার নাম নেই তবুও পুতুল অপেক্ষা করে যাচ্ছে।দরজা খোলার আওয়াজ হচ্ছে তার মানে সামির এসেছে।
পুতুল ঠিক ঠাক হয়ে বসে।সামির প্রায় দৌড়ে বেলকনিতে এসে দেখে পুতুল তার অপেক্ষায় এখনো বসে আছে,সে একটা দীর্ঘ শ্বাস নেয়।মাথা চুলকিয়ে বলে,
-সরি এতক্ষণ অপেক্ষা করানোর জন্য।
-না সমস্যা নেই!
সামির কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে জোরে জোরে শ্বাস নেয়।পর মুহুর্ত সামনের ডিভান থেকে একটা ছোট রিমোট নিয়ে গাছের উপর প্রেস করে।সঙ্গে সঙ্গে কালো গোলাপে ভরা কাছটা আলোকিত হয়ে উঠে।জ্বল জ্বল করে উঠে,সামনে লাইট দিয়ে সাজানোর লেখাটা “পুতুল বউ” পুতুল অবাক হয়ে দেখতে থাকে।আরেকটু সামনে গিয়ে গাছটা ছুতে চেষ্টা করে বলে,
-বাহ সুন্দর তো।
-তুমি খুশি?
-খুশির কি আর শেষ আছে?এক সাথে এতোগুলো শখ পূরণ হয়েছে যার তার কি আর সুখের অভাব আছে।
-আমি কি তোমার শখের?
পুতুল কিছু বলে না।সামির এইবার পুতুলের কাছে গিয়ে বলে,
-আচ্ছা তোমার কি কৌতুহল জাগে নি?
-কিসের?
-এই গাছটার অর্ধেক মালিক কে?
-সেটা তো আছেই,তবে আপনি তো জিজ্ঞেস করতে না করেছিলেন।
-বলবো আজ?
-আপনি আমাকে এই গাছের ফুল ছিড়তে না করেছিলেন,আমি আপনার কথা রেখেছি।এইবার আপনি বলুন।
-হুম বলবো তার আগে একটা জিনিস দিতে হবে তোমায়।
-কি?
পুতুলের ভ্রু কুঁচকানো দেখে সামির ঠোঁট কামড়ে হেসে বলে,”কিস”
-কি বলছেন।
অজান্তেই পুতুলের গাল লজ্জায় লালা হয়ে যায়।মাথা নিচু করে নেয়।এখন তার মনে হচ্ছে সে তো সামিরের অর্ধাঙ্গিনী!তার বউ যে সম্পর্কটা তার মা বাবা ভাইয়া ভাবির ছিলো এখন তার সেটা হয়েছে।
সামির পুতুলের লজ্জায় লাল হওয়া দেখে আবার হাসে।পুতুলের একদক নিকটে এসে তার কোমড় জড়িয়ে আস্তে আস্তে মুখের দিকে প্রসারিত হতে থাকে।পুতুল চোখ বন্ধ করে দেয়,সামির কিছুক্ষণ পুতুলের বন্ধ মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে।তারপর তার কপালে আলতো করে তার ঠোঁট ছুয়ে দিয়ে বলে,
“আমার অর্ধাঙ্গিনীর!আগে গাছের অর্ধেক মালিক ছিলো শুধু পুতুল।আর বাকি অর্ধেক এখন হয়েছে আমার পুতুল বউয়ের।পুতুলের গাছের ফুল ছেড়া নিষেধ তবে পুতুল বউয়ের পুরো অধিকার এই গাছের উপর,সাথে আমার।”
~সমাপ্ত