প্রণয়ের আসক্তি পর্ব-০৭

0
490

#প্রণয়ের_আসক্তি
৭.
#WriterঃMousumi_Akter

ভোর সকালের দিকে কেমন ঠান্ডা ঠান্ডা অনুভব হচ্ছে মৃথিলার নিরবের ও সেইম অনুভূতি হচ্ছে।সাথে কোনো কাঁথা আনে নি।মৃথিলা গায়ের ওড়ণা দিয়ে কাঁথার মতো করে গায়ে জড়িয়ে নিলো। নিরব কিছুক্ষণ পরে নিজেও মৃথিলার ওড়ণার মাঝে নিজেকে জড়িয়ে নিলো।একটা ওড়না তো আর কাঁথার মতো চওড়া হয় না কখনো। ছোট্ট ওড়নার নিচে নিরব ঠান্ডার আবেশে মৃথিলাকেও বুকের সাথে জড়িয়ে নিলো।খানিক টা উষ্ণতা পেয়ে মৃথিলাও নিরবকে জড়িয়ে ধরলো।দুজনের কেউ ই ঘুমের মাঝে কিছুই বুঝতে পারলো না।তাছাড়া ঘুমহীন রাত ছিলো ভোর রাতে প্রচন্ড ঘুমে ধরেছিলো।পৃথিবীর দুই প্রান্তে থাকা দুজন মানুষ কে একটা দূর্ঘটনার মাধ্যমে সৃষ্টিকর্তা এক করেছেন।তাদের মাঝে যা কিছু হচ্ছে সব ই সৃষ্টিকর্তার চাওয়া।নিজেদের অজান্তেই দুজন দুজন কে আলিঙ্গন করে ঘুমোচ্ছে।

ঘড়িতে সকাল এগারোটা বেজে গিয়েছে।এখনো ওদের ঘুম ভাঙে নি।নিরব ঘুম ভাঙতেই দেখে মৃথিলার সাথে অনেক ঘনিষ্ট ভাবে সুয়ে আছে সে।নিরব কি করবে ঠিক বুঝতে পারছে না।আস্তে করে মৃথিলার হাত সরিয়ে দিয়ে নিজে উঠে পড়লো।ব্যাগ থেকে ব্রাশ বের করে ব্রাশ করে নিলো।নিরব রেগুলার ঘুম থেকে উঠেই গোসল করে। আজ ও গোসল করে নিলো।গোসল করে কালো গেঞ্জি আর কালো ট্রাইজার পরে বাইরে বেরিয়ে এলো।বাইরে বেরিয়ে দেখে বাড়িওয়ালারা দুজন বসে আছে বারান্দায় পাশের ফ্ল্যাটের ভাড়াটিয়ার সাথে গল্প করছে।বাড়িওয়ালার নাম আলতাফ আহমেদ আর উনার ওয়াইফ এর নাম শিরিনা আহমেদ।বেশ খানিক টা বয়স উনাদের।কিন্তু এ বাসায় উনারা ছাড়া আর কেউ থাকেন না আছে একটা ভাড়াটিয়া শুধু আর নিরব -মৃথিলা এসে উঠেছে।অন্য যে ভাড়াটিয়া তারা ও সদ্য বিবাহিত জবের জন্য এখানে ভাড়া থাকে।নিরব কে দেখেই আলতাফ আহমেদ বললেন আপনি উঠে পড়েছেন।নিরব বললো দাদু আমাকে আপনি বলছেন কেনো?তুমি করেই বলবেন।

‘শিরিনা আহমেদ বললো, তোমার সে বউটি ওঠে নি দাদু ভাই ঘুম থেকে।’

‘নিরব হেসে বললো না এখনো ওঠে নি।’

‘আলতাফ আহমেদ বললো,সারারাত ঘুম হয় নি এইজন্য ঘুমোচ্ছে। তুমি ওদের নাস্তা গুলো দাও।’

‘নিরব বললো দাদু প্লিজ আমাদের জন্য আর কষ্ট করবেন না।কাল রাতে একবার খাবার দিয়েছেন এখন আবার নাস্তা।আমি আনতে যাচ্ছি।।’

‘নতুন এসছো গোছাতে তো একটু সময় লাগবে তাই একদিন না হয় আপ্যায়ন ই করলাম তাতে ক্ষতি কি দাদু ভাই।’

‘আলতাফ আহমেদ বললো,নতুন বিয়ে করেছো তাইনা? ‘

‘নিরব বললো হ্যাঁ দশ দিন হয়েছে মাত্র।কিন্তু একটা কাজের জন্য এখানে এক মাস থাকা লাগবে।তাই এসছি।’

‘আলতাফ আহমেদ বললো,তোমার মিসেস মানে আমাদের আপাজান কিন্তু খুব সুন্দর দেখতে দাদু ভাই।আমি ভালবেসে আপাজান ডাকলাম রাগ করোনা কিন্তু।’

‘নিরব বললো,ভালবেসে যা ইচ্ছা তাই ডাকুন কোনো অসুবিধা নেই।’

আলতাফ আহমেদ নিচে চলে গেলেন।নিরব দের পাশের ফ্ল্যাটেই থাকে দুজন দম্পতি। মেয়েটা ভারী দুষ্টু ভাল মনের অধিকারী।অনেক হাসিখুশী একটা মেয়ে।মেয়েটির নাম মুনতাহা।মুনতাহা বললো ভাই ভাবি উঠবে কখন।।

‘নিরব বললো সিওর বলতে পারছি না কখন ওঠে।ও ঘুমোলে আমি ডাকি না।মহারানী যতক্ষণ ইচ্ছা ঘুমোক।’

‘বুঝেছি সারারাত ঘুমোতে দেন নি এইজন্য এখন ডাকতে সাহস পাচ্ছেন না তাইতো?’

কথাটা শুনে নিরবের চোখ বড় বড় হয়ে গেলো বলে কি।

শিরিনা আহমেদ বললো বোঝো না মাত্র কিছুদিন বিয়ে হয়েছে।এখন তো একটু এমন করবেই।

মুনতাহা বললো,ওকে আমি যাচ্ছি ডাকতে। চলুন তো দাদী ভাবিকে ডেকে দেই।

মুনতাহা ডাকছে, ভাবি উঠুন ভাই আপনার জন্য অপেক্ষা করছে।কতক্ষণ বউ ছাড়া আছে ভাইয়া। ভয়ে ডাকতে পারছে না। তাই আমি আর দাদী আপনাকে ডাকতে এসছি।

‘মৃথিলা চোখ পিট পিট করে তাকিয়ে বললো আপনি?না চেনার ভঙিতে।’

‘আরে আমি আপনার পাশের ফ্ল্যাটের ভাবি।দুই দিন থাকলেই চিনে যাবেন।এত দিন একা ছিলাম এবার একজন সঙ্গী পেলাম বেশ ভালোই লাগতেছে এখন।’

‘মৃথিলা চোখ ডলতে ডলতে উঠে ওড়না হাতড়ে গায়ে দিয়ে ব্রাশ করে ফ্রেশ হয়ে বসলো।’

‘মুনতাহা দাদীকে কিছু একটা ইশারা করছে, দাদী বলছে নতুন বিয়ে হয়েছে তাই বুঝছে না।একটু বুঝিয়ে দাও।মৃথিলা খেয়াল করছে দাদী আর মুনতাহা কিছু বলছে।মৃথিলা অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো।মুনতাহা বললো ইয়ে ভাবি গোসল করলেন না আপনি।’

‘মৃথিলা বললো বারোটার দিকে করবো।’

‘আরে ভাবি আপনার নতুন বিয়ে হয়েছে আপনি তো কিছুই বুঝেন না দেখেন ভাইয়া ঠিক ই সকাল সকালে গোসল করে ফ্রেশ হয়েছে।এটা স্বামি স্ত্রী দুজন কেই করতে হয়।’

‘কেনো?’

‘কোনো কেনো নেই ভাবি।বিয়ে হলে করতে হয়।’

‘ওহ তাই উনি তো রেগুলার ই করেন আমাকে তো কখনো বলেন নি।’

‘দেখছেন দাদী ভাইয়া কেমন।কোনো বোধবুদ্ধি আছে। ভাবি কে সব বুঝিয়ে না দিলে ভাবি কিভাবে বুঝবে।যান ভাবি আপনি গোসল করে আসুন তারপর আমরা অনেক গল্প করবো।’

দাদী আর মুনতাহা বেরিয়ে গেলে মৃথিলা গোসল করতে গেলো।গোসল থেকে বেরিয়ে এসে মাথায় টাওয়াল পেচিয়ে কিছু একটা ভাবছে।মৃথিলা খুব একটা হাসে না সব সময় কিছু ভাবতে থাকে।চোখ তুলেও খুব একটা কথা বলে না।সব সময় ভয় ভয় মন নিয়ে থাকে।কিছু লাগলেও কখনো বলে না।

-নিরব রুমে এসে বললো,তুমি আজ এত আগে গোসল করলে যে তুমি তো বারো টা বা একটা না বাজলে গোসল করো না।

–আপনি তো আমাকে কখনো বলেন নি বিয়ে হলে গোসল করতে হয়।ওই ভাবি আর দাদী উনারা এসে বলে গেলেন বলেই করলাম।

–নিরব বউ এর মুখে এমন কথা শুনে হতভম্ব।তারা কি বুঝিয়েছে মৃথিলা বা কি বুঝেছে। নিরব আর কথা না বাড়িয়ে মাথার চুল ঠিক করতে করতে বললো নাস্তা খেয়ে নাও।দাদী পরোটা আর ডিম ভাজি দিয়ে গিয়েছে।আমি বাইরে যাচ্ছি দেখি এখানে কিছু পাওয়া যায় কিনা?এক মাস তো অন্যদের কষ্ট দেওয়া যায় না।নিজেদের রান্না নিজেরাই করে খেতে হবে।

–আপনি খেয়েছেন?

–আমি তো তৈলাক্ত খাবার খায় না।সকালে কফি খায়। তেল জাতীয় কোনো খাবার ই আমি খায় না। তুমি খেয়ে নাও।আর শোনো একদম কোথাও যাবে না তুমি।আমাকে প্রমিজ করো তুমি কোথাও যাবে না।বাইরে কেউ ঘুরতে ডাকলেও তুমি যাবে না।যেখানে ঘুরতে মন চাই আমি নিয়ে যাবো বুঝেছো।আমার কথা মনে থাকবে তোমার।

–আপনি এমন করছেন কেনো?এভাবে চিন্তিত কেনো আপনি?আমি কোথাও যাবো না।

–আমার সমস্ত চিন্তার কারণ ই এখন তুমি মৃথিলা।তোমাকে আমি বুঝাতে পারবো না।থাকো আমি আসছি।

–নিরব বাইরে বেরিয়ে গেলে মৃথিলা খাবার খেয়ে চুল টা ঠিক করে নিয়ে ব্যাগের জিনিস পত্র বের করছে। এমন সময় নিরব আবার ফিরে এলো।

–আপনি চলে এসেছেন।এত দ্রুত ফিরে এলেন কোথায় গেছিলেন।

–আমি যেতেই তো পারলাম নাহ।রাস্তায় বেরিয়ে দুঃচিন্তায় আবার ফিরে এসেছি।যদি এই অচেনা জায়গা হারিয়ে যাও।আমার সাথে চলো তুমি।

মৃথিলা সত্যি ভীষণ অবাক হয়ে গেলো।মানুষ টা এতটা ভাবছে তাকে নিয়ে।

মৃথিলা নিরবের সাথে বাইরে গেলো।নিরব রাস্তা ক্রস করে চলে গেলেও মৃথিলা যেতে পারলো না।নিরব আবার এসে মৃথিলার হাত ধরে রাস্তা পার করে নিয়ে রিক্সায় উঠলো।শহর টা খোলা মেলা প্রানবন্ত খুব বেশী যান্ত্রিক না আবার গ্রামের মতো ও না।রিক্সা থেকে নিরব ভাড়া জিজ্ঞেস করলে রিক্সাওয়ালা বললো ৩০ টাকা ভাড়া নিরব ৫০ টাকা নিয়ে বললো আমার কাছে ভাংতি নেই আপনি এটাই রাখুন।রিক্সাওয়ালা টাক ফেরত দিতে চাইলেও নিরব রাখলো না।মৃথিলা বললো ২০ টাকা বেশী দিলেন যে।নিরব বললো ওদের ২০ টাকা বেশী দিলে ওরা অনেক দোয়া করে।তোমার জন্য বেশী দিলাম যেনো দোয়াটা তোমার জন্য ই করে।নিরবের এমন ব্যবহারে ক্ষনে ক্ষনে মৃথিলাকে দূর্বল করে তুলছে নিরবের প্রতি।

-নিরব হোটেলে গিয়ে বললো,মৃথিলা তোমার কি পছন্দ এখান থেকে অর্ডার করো।

-মৃথিলা চুপ হয়ে আছে কিছুই বলে না।

-নিরব বললো কি হলো বলো?আজ আমি তোমার পছন্দের খাবার ই খাবো।তুমি যদি মুখ ফুটে কিছু না বলো আমি খাবো না।

-এখন খাবেন।

-না প্যাক করে নিয়ে যাবো।দুপুরে আর রান্না করা লাগবে না।আজ জিনিসপত্র কিনে নিয়ে যায় রাতে রান্না করবো।

-মৃথিলা কি অর্ডার দিবে বুঝে উঠতে পারছে না।নিরবের কত টাকা খরচ হবে কাছে কত টাকা আছে এসব ই ভাবছে।

-নিরব মৃথিলার ভাবনা দেখে বেশ বুঝতে পারলো।মৃথিলার হাতে কার্ড দিয়ে বললো এখানে টাকার অভাব নেই। এই শহর ঘুরে যা ইচ্ছা কিনতে পারো সমস্যা নেই।এই সাইডেই বুথ আছে টাকা উঠাতে পারবে।মৃথিলা নিরব কে বললো এটা আপনার কাছেই রাখুন আমার কিছু লাগলে চেয়ে নিবো।ইলিশের ডিম আর চিকেন অর্ডার করলো।বাইরে থেকে গ্যাস সিলিন্ডার কয়েক টা থালা বাটি আর বাজার করলো নিরব।এক মাসের জন্য থাকতে যতটা লাগে।কিনে একটা ভ্যানে করে বেঁধে বাসার ঠিকানা দিয়ে দিলো।এই দিকে মৃথিলা ফুলের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে আছে।মৃথিলা জিজ্ঞেস করলো একটা গোলাপের দাম কত?

-দোকানদার বললো পনেরো টাকা।

-মৃথিলা একটা গোলাপ কিনলো।

-দোকানদার বললো কাকে দিবেন?

-মৃথিলা বললো আমার হাজবেন্ড কে.

নিরব এসে বললো ফুল চাই আমাকে বলতে। নিরব এক গুচ্ছ গোলাপ কিনে মৃথিলার হাতে ধরিয়ে দিলো।মৃথিলা ফুল পেয়ে খুশি বাট নিজের কেনা ফুল টা নিরব কে দিতে সাহস পাচ্ছে না।নিরব কি ভাববে সেটাই ভাবছে।কেননা নিরব তার আপুকে ভালবাসে।মৃথিলাকে সাহায্য করছে বলে যে ভালবাসে এটা তো নয়।মৃথিলা এই ভাবনায় ঠিক কি করবে বুঝে উঠতে পারছে না।

মেধা নিরব কে বলেছিলো তার জীবনে ভীষণ কষ্ট।জীবনে ভালবাসার বড্ড অভাব।নিরব তাকে ভালবাসলে তার জীবনে হয়তো কেউ একজন থাকতো যার কথা সে বলতে পারতো ভালবাসে।অথচ নিরব মেধার বাসার আশে পাশে খোজ নিয়ে জানতে পেরেছে মেধা একটা রাজরাণী। আর মেধার চাকরানী হিসাবেই মৃথিলা ও বাড়িতে থাকে।ভালবাসার ভীষণ অভাব মেধা নয় মৃথিলার।কিন্তু নিরব মৃথিলা বা মেধা কাউকেই কিছু বলে নি।নিরবের মনে সন্দেহ জেগেছে মেধা যখন একটা মিথ্যা বলেছে তখন অনেক গুলো মিথ্যা বলাও মেধার পক্ষে সম্ভব।মৃথিলা সম্পর্কে আরো অনেক কিছু তথ্য নিরবের হাতে এসেছে।সেই তথ্য থেকেই নিরবের মেধার প্রতি জন্ম নিয়েছে ভীষণ সন্দেহ আর ঘৃণা আর মৃথিলার প্রতি জন্ম নিয়েছে একটু একটু ভালবাসা আর সীমাহীন মায়া।নিরব ভীষণ দো’টনায় ছিলো।মেধা আর মৃথিলার মাঝে কাকে রেখে কাকে বাঁচাবে একটা সঠিক তথ্য নিরব কে এই দো’টানা থেকে বাঁচাতে সাহায্য করেছে।নিরব এখন এক মনেই তার সাথে জড়িয়ে যাওয়া মৃথিলাকে ভালবাসতে শুরু করেছে।কিন্তু নিরব অত্যান্ত বুদ্ধিমান ছেলে হুট করেই কোনো সিদ্ধান্ত নিবে না কারো বিরুদ্ধে।ঠান্ডা মাথায় মৃথিলার কেস টা দেখছে।

–বাসায় আসার পর নিরবের ফোন বাজছে। নিরব বললো মিথু আমার ফোন টা রিসিভ করো আর বলো আমি ওয়াশ রুমে।

–আপু ফোন দিয়েছে।

–কে মেধা?

–হ্যাঁ।

–কল টা কেটে ব্লকলিস্টে রাখো।বউ নিয়ে হানিমুনে এসছি এক্স গফ এর ডিস্টার্ব ভাল লাগছে না।

–হোয়াট?

–আকাশ থেকে পড়লে নাকি?

–তাকি পড়ার কথা নয়।দুদিন আগেও যার কথা বললেন ভুলতে পারবেন না।আজ তাকে এক্স বলছেন।তা আপু আপনার এক্স হলো কখন।

–যখন থেকে তুমি আমার বউ।

–আপনি এসব কি বলছেন।

–আমি মুখে যেটা বলি ওইটাই রাইট।মুখে এক আর মনে আরেক থাকতে পারি না।ভেবো না যে তোমাকে খুশি করতে বলছি।তুমি তো আমায় ভালোই বাস না।তাই খুশি অখুশির কিছুই নেই।দু’দিন আগে একজন কে ভালবাসার যোগ্য মনে হয়েছিলো এখন আর তাকে মনে হয় না।

–মৃথিলা অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো।

নিরব ওয়াশ রুমের দরজা খুলে বাইরে এসে বললো কেমন মেয়ে তুমি নিজের বর কে অন্যর দিকে এগিয়ে দিচ্ছো।

চলবে,,