প্রিয়তমা প্রজাপতি পর্ব-০৫

0
160

#প্রিয়তমা_প্রজাপতি🩷 [পর্ব-০৫]
~আফিয়া আফরিন

‘মিফান!’
অনিন্দিতার তার নির্নিমেষ কণ্ঠে মিফান পাশ ফিরে চেয়ে বলল, ‘হু।’

‘কিছু সম্পর্ক দূর থেকেই অনেক সুন্দর। বেশি গভীরে গেঁথে গেলে সেই সম্পর্কগুলো ছন্নছাড়া হয়ে যায়। বেশিদিন টিকতে চায় না, যাই যাই করে। এইযে এখন আমাদের সম্পর্কটা এখন যেরকম আছে, সেই রকমই থাকতে দে। এটাকে নিয়ে আর বেশি বাড়াবাড়ি করিস না। ছোটবেলায় আমি তুই যেরকম বন্ধু ছিলাম, এখনো তাই থাকবো। তুই, আমি, আমরা একটা পরিবার; আশা করি নিজেদের কিছু গাফিলতির কারণে আমরা পরিবারে ভাঙ্গন সৃষ্টি করব না।’

‘তুমি আমাকে বন্ধুর নজরে দেখলেও, আমি কখনো তোমাকে সেই নজরে দেখেছি বলে মনে হয় না। আমি তোমাকে ভালোবেসে এসেছি, সেই কতোদিন আগে থেকে! সবচেয়ে বড় কথা তুমি আমার ভালোবাসা, তাছাড়া আপাতত নিজের কাছে তোমাকে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার মতো আর কিছুই নেই আমার।’

‘এরকম সম্পর্ক হয় না।’

‘কে বলছে হয় না? তুমি জানো আমার দূর সম্পর্কের এক মামা আছে, তার সাথে মামীর বয়সের ৪-৫ বছরের তফাৎ রয়েছে। আর সেখানে আমি কিনা তোমার থেকে মাত্র ৮ মাসের ছোট। এটা এতো গভীর ভাবে ভাবার মতো বিষয় না। তুমিই দেখো, সচিন তেন্ডুলকারের বউ অঞ্জলি তার থেকে ৫ বছরের ছোট; তবে ওরা কি সুখে শান্তিতে সংসার করছে না? ওদের কি সমাজ দূর দূর করছে? ওদের পরিবার থেকে কি সম্পর্ক মেনে নেয় নাই?’

‘নিজেকে এখনই অত বড় পর্যায়ে নিয়ে যাস না। ওদের সংস্কৃতি আলাদা, আর আমাদের সংস্কৃতি আলাদা। এটা মাথায় রাখ!’

‘আচ্ছা, আমি যদি তোমার থেকে বড়ো হতাম তাহলে কি তুমি রাজি হতে?’

অনিন্দিতা হাত নেড়ে বলল, ‘সম্পর্কে আমরা চাচাতো ভাই বোন, এই সম্পর্ক টা বাঁধা হয়ে থাকতো।’

‘এটা স্কিপ করো, কারণ এই যুগে দাঁড়িয়ে কাজিনদের মধ্যে বিয়ে হওয়া কোন ব্যাপারই না। এসব বাদে, তুমি কি রাজি হতে?’

‘এভাবে তো আমার পক্ষে বলা সম্ভব না। তখন পরিস্থিতি ভিন্ন হত, হয়তো রাজি হতাম আবার হয়তো হতাম না। আবার ব্যাপারটা এমনও হতে পারতো, এখন যেমন তুই আমার পিছে পিছে ঘুরছিস; তখন হয়তো আমি তোর পিছে পিছে ঘুরলাম।’

মিফান অনিন্দিতার কথা শুনে হেসে ফেলল। তারপর বলল, ‘শোনো, বিয়ের মাধ্যমেই নর নারীর যৌথ জীবনের সমাজ স্বীকৃত যাত্রার শুরু হয়। সমাজ শুধু মাত্র স্বীকৃতি দেবে, কিন্তু সংসারটা তো দুজনকে করতে হবে। তোমার আমার হয়ে তারা সমাজের মানুষ কিন্তু সংসার করতে আসবে না। তাই, ব্যাকডেটেড চিন্তা ভাবনা মাথা থেকে ঝেড়ে আমাকে স্বাদরে গ্রহণ করে নাও।’

অনিন্দিতা শান্ত কণ্ঠে বলল, ‘আমরা সমাজে বসবাস করি, তাই আমাদের সবাইকেই জবাবদিহি করে চলতে হয়। বাই দ্যা ওয়ে, তুই চলে যা এখন। আমার আর তোর সাথে কথা বলতে আর তোর কথা শুনতে মনে চাচ্ছেনা।’

‘শোনো, আমি তোমাকে ভালবাসি! আর কিভাবে বোঝালে তুমি আমার হবে, বলোতো? তুমি ভালো না বাসলেও আমি ভালোবাসি, এটা কি তবে আমার অন্যায়।’

অনিন্দিতা মিফানের হাতে বারি দিয়ে বলল, ‘হু অন্যায়, ঘোরতর অন্যায়!’

মিফানের আবোল তাবোল কথা আর কানে তুলতে ইচ্ছে করল না অনিন্দিতার। মিফান নিজের মতো বকবক করতেই আছে আর সে উল্টো দিকে পা বাড়িয়ে ফিরে যাচ্ছে।
ব্যাপারটা বোধগম্য হতেই মিফান নিজের জায়গা থেকে অনিন্দিতা কে চেঁচিয়ে ডাকলো, ‘এই যে আমার প্রজাপতি!’

অনিন্দিতা ঘুরে তাকাল মিফানের পানে। মিফান বুকের বাঁ পাশে হাত রেখে বলল, ‘সন্ধ্যা নামার মুহূর্তে আকাশের পানে গোধূলিলগ্নের মিলন মেলা ছুঁয়েছিলে কখনো? জানি, কখনো ছুঁয়ে দেখো নাই। কিন্ত তুমি সামান্য একবার আমার হাতে হাত ছুঁয়ে দিলে আমি সেই গোধূলি লগ্নের ছোঁয়া পাই।
ইচ্ছে হলে কোন একদিন এসে দেখো আমার শহরে, তোমায় নিয়ে নানান কথার পসরা সাজিয়েছি। আমন্ত্রণ রইলো, অপেক্ষায় থাকলাম গ্রহণ করার! বেশি ভালোবাসা তো চাইনাই প্রজাপতি, তুমি টুকটাক আর খুব অল্প ভালোবেসো আমায়। এক আকাশ সমান অপেক্ষা নিয়ে বসে আছি তোমার টুকটাক ভালোবাসা পাওয়ার জন্য!!’

শেষ কথাটুকু অনিন্দিতা শুনতে পেল কি না জানেনা মিফান। সে চলে গেলো নিজের মতো করে। মিফান রেলিংয়ে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে রইল বেশ কিছুক্ষণ। চাঁদের দিকে তাকিয়ে তাচ্ছিল্যের হাসি হাসল। কি সুন্দর তার ভাগ্য! দিনশেষে সেও চাঁদের মতোই একা। কেই নেই, তার প্রজাপতি নেই। প্রজাপতিকে এতো ভালোবাসে, অথচ প্রজাপতি বারবার প্রত্যাখ্যান করে বুকের ভেতরটা ক্ষতবিক্ষত করে দেয়।
যার কাছে সামান্য মূল্য পাওয়ার আশায় দিন রাত এক করে ছটফট করে, সে একেবারে মূল্যহীন ভেবে ছুড়ে ফেলে দেয়। এটাই হয়তো আমাদের জীবনের চিরাচরিত নিয়ম!
মিফান অনেক ভেবেচিন্তে একটা সিদ্ধান্ত নিলো। এইবার মিশন, কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলার।
মনে মনে হেসে সে যেভাবে পাইপ বেয়ে ছাদে উঠেছিল, ঠিক সেভাবেই নেমে গেল।
মিফান যাওয়ার পরপর অনিন্দিতা আবার ছাদে এলো। মূলত সে মিফান যাওয়ার অপেক্ষাই করছিল।
বুক চিরে একটা দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে এলো।
মিফানের পাগলামি দেখে কখনোই কেউ মনে করবে না যে, অনিন্দিতার তার প্রতি এটা তার মোহ; বরং এটা ভালোবাসা। মিফানের দু’চোখ এ সেটা স্পষ্ট দেখতে পায় অনিন্দিতা। শক্ত মনটা বারবার দুর্বল হয়ে পড়ে ওই চাহনির কাছে। কিন্তু এত সহজে তো গলে গেলে চলবে না, আর সহজে কেন; কোনভাবেই গলে গেলে চলবে না। সবশেষে, সে নিজের ফ্যামিলির কাছে অসহায়।
নিজ মনেই বিড়বিড় করে বলল, ‘এতো ভালোবাসি ভালোবাসি করিস না মিফান। নিজের কাছে নিজেকে অপরাধী মনে হয়, চরম অসহায় হয়ে যাই দিন শেষে। তুই এতো ভালোবাসিস, তোকে যে শূন্য হাতে বারবার ফিরিয়ে দিতে আমার অন্তর আত্মা কাঁপে। কিন্তু, তাও আমি বাধ্য। আর বলিস না ভালোবাসার কথা, আর ছোটো হোস না ভালোবাসার কাছে, নিজের কাছে। আমি যে পারব না, আমি নিরুপায়! আমার থেকে দূরে থাক, তাতে তোর আমার আমাদের পরিবার, সবকিছুরই মঙ্গল। অনেক আফসোস হয়, নিজের প্রতি অনেক ঘৃণা হয়, কষ্ট ও হয়, আবার ভালোবাসতে ও মন চায় কিন্তু ভালোবাসতে পারিনা, কিভাবে ভালোবাসতে হয় সেটাও জানিনা, আর সেই কারণেই হয়তো তুই আমাকে একদিন ছেড়ে বহুদূরে চলে যাবি। বিশ্বাস কর মিফান, আমি তোর এই পাগলামি গুলোকে খুব করে অনুভব করব! পরের জন্ম বলে যদি কিছু থাকে, যদি সেখানে আরেকবার জন্মবার সুযোগ পাই; তো তোকে খুব করে ভালোবাসার চেষ্টা করব। বিশ্বাস কর, এই জন্মের মতো ওই জন্মেও তোর জীবনের প্রথম নারী হব!’
.
.
মিফান পরদিন তার ট্রাম্প কার্ড টা দেখালো। অনিন্দিতা ক্যাম্পাসে আসার আগেই সে অনিন্দিতার ক্যাম্পাসে এসে জুনিয়রদের সাথে ধুমছে আড্ডা শুরু করল। একটা মেয়ে নাম নেহা; মিফানের চেয়ে বয়সে ছোট হলেও মেয়েটার সাথে মিফানের বেশ ভালো ভাব আছে। আর সেটাকেই কাজে লাগাল মিফান। অনিন্দিতা আসবে, এসব দেখবে আর লুচির মত ফুলবে। তারপর দেখা যাবে, ভালো না বেসে বাছাধন যাবে কই?
মিফানের ধারণাই ঠিক ছিল। অনিন্দিতা এলো, মিফান আর নেহাকে একসাথে হাসাহাসি করতে করতে গড়াগড়ি খেতে দেখলো। কিন্তু সে মুখে কিছু বলল না, মুখ ঝামটা দিয়ে নিজের ক্লাসে চলে গেল।

মিফান দেখে ঠোঁট বাঁকা করে হাসলো। ইশশশ, এখন তার মনের মধ্যে ডি জে বাজতেছে। অনিন্দিতার মুখটা দেখে স্পষ্ট বোঝাই গেছে, তার ভেতরের অবস্থা।
ক্লাস শেষে মিফান অনিন্দিতা কে শুনিয়ে নেহাকে বললো, ‘চলো তোমাকে বাড়ি পৌঁছে দেই। তুমি তো আবার একা একা যেতে পারবে না, বাচ্চা মানুষ!’

নেহা ও তালে তাল মেলাল। অনিন্দিতা শুধু বাঁকা চোখে চেয়ে চেয়ে দেখল দুজন কে। কি সুন্দর হেলতে দুলতে হেঁটে যাচ্ছে।
অনিন্দিতা নিজের মনকে শান্ত করে বোঝালো, সে তো এটাই চেয়েছিল যাতে মিফান তার থেকে দূরে যাক। যখন দূরে চলেই যাচ্ছে, তখন কেন কষ্ট হচ্ছে?

নাহ, এই ব্যাপারটাকে আর বেশি পাত্তা দেওয়া যাবে না। মিফানের যা খুশি সে তাই করুক, কার কি তাতে?
অনিন্দিতা যদিও খুব করে নিজের মনকে বোঝালো, কিন্তু মন তো বুঝ মানল না। উল্টো আরো অস্থিরতা শুরু হলো। সন্ধ্যার পর মিফান কে ফোন করলো, তার ফোন বিজি দেখাচ্ছে। অথচ আগে অনিন্দিতা ফোন করলে, রিং হওয়ার সাথে সাথে রিসিভ করতো। অনেকক্ষণ সময় পেরিয়ে গেলেও মিফান ফোন ব্যাক করল না।
অনিন্দিতা ফোনের স্ক্রিনে চেয়ে থেকে বলল, ‘পেয়েছো তো এখন নতুন গার্লফ্রেন্ড! দুই দিন আগ পর্যন্ত আমার পিছে পিছে ঘুরতো, আর এখন কি না! দাঁড়া মিফান, তোর হচ্ছে। তোকে রিজেক্ট করেছি বলে আরেকজনের সাথে আর লাইন মারা লাগবে তোর? এতো বড়ো বুকের পাটা নিয়ে বেঁচে আছিস কিভাবে? তোকে তো আমি মেরেই ফেলবো। প্রেম করছিস? তোর ওই হাঁটুর বয়সী গার্লফ্রেন্ড আর তোর দুজনেরই, খবর আছে। আরেকবার শুধু আমার চোখের সামনে চিপকাচিপকি কর না কেন!’

মিফান ফোন ব্যাক করল রাত ১০ টায়। অনিন্দিতা কে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে নিজেই তাড়াহুড়ো করে বলল, ‘সরি তুমি ফোন করেছিলে, আমি তখন রিসিভ করতে পারি নাই। ব্যস্ত ছিলাম তো, যাই হোক কোন ইম্পরট্যান্ট কথা আছে কি?’

অনিন্দিতার ইচ্ছে করল মিফানের চৌদ্দগুষ্টি উদ্ধার করতে। কিন্তু, ওই চৌদ্দগুষ্টির মধ্যে সেও পড়ে দেখে আর কিছু বলল না।
শুধু বলল, ‘নেহা আর তোকে দুজনকে বেশ ভালই মানিয়েছে। চালিয়ে যা, আমিও দেখবো কতোদিন চালাতে পারিস।’

ব্যাস, মিফানকে আর কোন কথা বলার সুযোগ দিল না অনিন্দিতা। ফোন রেখে ফোন অফ করে শুয়ে পড়লো। মিফান অনেকবার ট্রাই করেও অনিন্দিতাকে আর ট্রাক করতে পারল না।
শুধু এইটুকু বুঝতে পারল, আগুন জ্বলছে। তবে আগুনে সবকিছু পুড়ে দ্বগ্ধ হওয়ার আগেই হাল টেনে ধরতে হবে।

পরদিন আর অনিন্দিতা মিফান বা নেহা কাউকেই দেখতে পেল না। ক্লাস শেষ করে সোজা মিফান দের বাড়ি হাজির হলো। ছোটোকাকিমা অনিন্দিতাকে দেখে খুশি হলেন। ফোন করে অবনীকেও চলে আসতে বললেন।
গল্প করতে করতে অনিন্দিতা একপর্যায়ে জিজ্ঞেস করল, ‘মিফান কই ছোট কাকিমা? ওকে যে দেখতে পাচ্ছি না?’

‘ছেলে আমার একেবারে লাগামছাড়া হয়ে গেছে রে মা। কই থাকে কই যায় আল্লাহ ছাড়া কেউ ভালো জানে না? কাল রাতেও তো কত দেরি করে বাড়ি ফিরল, ওর বাবা রাগারাগি করল। আর এখন, ঘরেই আছে পড়ে পড়ে ঘুমাচ্ছে। আর কোথায় যাবে?’

‘মানুষ প্রেমে পড়লে নাকি এইরকম লাগাম ছাড়া হয়ে যায়। খোঁজখবর নাও, প্রেমে পড়লো কিনা তোমার ছেলে।’

‘প্রেম? ওর মত আকাইম্মার দ্বারা প্রেম হবে বলে তোর মনে হয়?’

অনিন্দিতা মনে মনে বলল, ‘তোমার ছেলে অলরেডি ক্যাম্পাস নাচিয়ে বেড়াচ্ছে।’

অবনী যখন আনিসা আর আনিকাকে নিয়ে এলো, তখন ছাড়া পেয়ে অনিন্দিতা মিফানের খোঁজে এলো। মিফান ঘুম থেকে উঠল মাত্র। অনিন্দিতাকে দেখে অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করল, ‘ওমা তুমি? এভাবে একটা ছেলের ঘরে ঢুকে পড়ছো, ভয় ডর নেই?’

‘তোকে ভয় পাবো আমি?’
তারপর এগিয়ে গিয়ে শার্টের কলার টেনে ধরল। ক্রুদ্ধ স্বরে বলল, ‘কয়টা লাগে রে তোর? নেহার সাথে এতো পিরিত কিসের? থাপ্পড় চিনিস? এক থাপ্পর মেরে একেবারে কানের লাল বাত্তি জ্বলায় দিব।’

মিফান জিব কেটে বলল, ‘আর ইউ জেলাস? ওই তুমি তো আমাকে ভালোবাসো না, তাহলে অন্য কেউ ভালবাসলে এত জেলাস ফিল কেন করছ?’

অনিন্দিতা মিফানের শার্টের কলার ছেড়ে দিল। বলল, ‘আমি কেন তোর জন্য জেলাস হতে যাব? আমি শুধু তোর কান্ড কারখানা গুলো দেখছি। আমি এইগুলো সব ছোট কাকিমা কে বলে দিব। বড় বোন হিসেবে আমার তো একটা দায়িত্ব আছে নাকি?’

এটুকু বলেই অনিন্দিতা মিফানের ঘর থেকে বেরিয়ে গেল।
মিফান মাথা চুলকে বোকা বোকা হাসি হেসে বলল, ‘পোড়া পোড়া গন্ধ আমি অলরেডি পেয়ে গেছি। উফফফ, আর কতো অপেক্ষা করাবে প্রজাপতি? বলে দাও না এইবার, ভালোবাসি!’
.
.
.
চলবে….!
[কার্টেসী ছাড়া কপি করা নিষেধ]