#প্রেমনদীর_মাঝি
#পর্ব১৭
#মুসফিরাত_জান্নাত
“এত রাতে এখানে এসেছে কেনো?”
প্রতিউত্তরে আমি মিষ্টি হেসে বললাম,
“ছাউনিরও ছাউনি হতে এসেছি!”
আমি ভেবেছিলাম ওনার কথায় সেদিন যেমন আমি মুগ্ধ হয়েছিলাম, উনিও আজ তাই হবেন।কিন্তু উনি আদৌ মুগ্ধ হলেন কিনা বোঝা গেলো না।বরং আমার ছাতার নিচে এসে হাঁটা দিলেন উনি।ওনার অভিব্যক্তি দেখে কেন যেনো হুট করেই আমার মনে হলো উনি রেগে আছেন।ওনার চেহারা দেখে আমি ইতস্তত সুরে জিজ্ঞেস করি,
“কিছু হয়েছে আপনার?”
প্রশ্নটা ওনার কর্ণধার পর্যন্ত পৌঁছাতেই তিনি থমকে দাঁড়ান।আমার দিকে ভ্রুকুটি করে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করেন,
“কি হবে?”
আমি অকপটে জবাব দেই,
“এমন নির্জীব হয়ে গেলেন কেনো?কোনো কথা বলছেন না যে!”
উনি রুষ্ট কন্ঠে জবাব দেন,
“তো কি তোমার সাথে বকবক করতে হবে এখন?”
ওনার রুষ্ট কণ্ঠে আমি ফোঁস করে নিঃশ্বাস নিয়ে বলি,
“সবসময় এমন করেন কেনো?একটু ভালোভাবে কথা বললে কি হয়?”
“ভালোভাবে কথা বলার মতো কোনো কাজ করেছো তুমি?”
ওনার তীক্ষ্ণ কথার বিপরীতে মুখ ফুলিয়ে আমি বলি,
“বৃষ্টিতে আধভিজে এতোটা পথ এলাম শুধু আপনার জন্য।তাও বলছেন কিছু করিনি?”
এবার উনি ভ্রু কুটি করে তাকিয়ে প্রতিউত্তরে বললেন,
“আমি কি তোমাকে আসতে বলেছি একবারো?”
ওনার কথায় মিইয়ে যাই আমি।অভিমানী কণ্ঠে বলি,
“আপনি এভাবে কথা বলছেন কেনো?আমি কি কোনো অন্যায় করেছি?”
“অন্যায় করোনি? তোমার কি কমন সেন্স বলতে কিছু নেই নাকি?গ্রামের নির্জন রাস্তা, যদি উল্টা পাল্টা কিছু হতো তোমার?তখন কি করতে?”
ফুঁসে উঠে কথাগুলো একদমে বললেন উনি।ওনার আচরণে আহত হলাম আমি।মুখ ভার করে মিনমিনে কণ্ঠে জবাব দিলাম,
“আপনি অসুস্থ, তারপর যদি জ্বরও আসে এই চিন্তায় ওসব মাথায় আসেনি।বিষয়টা আপনি ভালোভাবে বললেও পারতেন।তাছাড়া হতে পারতো,এমন কিছু হয়নি তো।তাও এমন করছেন!আসলে লোকে ঠিকই বলে, যার জন্য করলাম চুরি সেই বলে চোর।আপনার ভালো চেয়ে আসলে আমার আসাই উচিত হয় নি।”
উনি আমার কথা শুনে কতক্ষণ চুপ থেকে নিজেকে ধাতস্থ করে নিলেন।তারপর সামনের দিকে মুখ করে শান্ত কণ্ঠে বললেন,
“ইদানীং আমার এত ভালো চাও কেনো?”
ওনার এহেন প্রশ্নে অপ্রস্তুত হই আমি।কিছুটা সময় নিয়ে আমতা আমতা করে বলি,
“আপনিও তো শুরু থেকেই দেখছি আমার ভালোটা চান।আমি যদি জিজ্ঞেস করি এটা কেনো?”
তিনি এক হাত প্যান্টের পকেটে ঢুকিয়ে অন্য হাতে ছাতা ধরে আছেন।আমার প্রশ্নে হালকা হাসলেন উনি।মনে হলো ওনার রাগ মিলিয়ে গিয়েছে।উনি স্বগতোক্তি কন্ঠে বলেন,
“বিয়ের পর তোমার সব দ্বায়িত্ব আমার উপর বর্তেছে।সেই দ্বায়িত্বের খাতিরেই তোমার ভালোটা চাই।”
তাঁর এমন কথায় আমি ফুঁসে উঠি আমি।মনে মনে বলি গোল্লায় যাক আপনার দ্বায়িত্ব।এত দ্বায়িত্ববান কে হতে বলেছিলো হ্যাঁ?একটু ভালোবেসে এসব করা যেত না?খবিশ একটা!কিন্তু অভিব্যক্তিতে এসব ফুটালাম না।বরং ব্যর্থ হাসার চেষ্টা করে বললাম,
“আমিও সে জন্যই আপনার ভালো চাইছি।”
“শিওর?”
সন্দিহান কণ্ঠে কথাটা জিজ্ঞেস করলেন উনি।আমি নতমুখী হয়ে মিনমিন করে বললাম,
“হুম।”
তিনি আর কিছু না বলে হাটা শুরু করলেন। আমি তার পিছে যেতে থাকি।একটু পথ এগিয়ে বাড়ির গেইটে এসে থামলাম।আমি তালা খুলতে নিচ্ছি তখন উনি বললেন,
“কিন্তু আমার কেনো যেনো মনে হয় তুমি ফুল শিওর না।বরং কিঞ্চিৎ কনফিউজড।”
ওনার কথায় বিষ্মিত হই আমি।ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে বলি,
“মানে!”
উনি স্মিত হেসে বলেন,
“তুমি কেবলই দ্বায়িত্বের খাতিরে এসব করছো না।তোমার চোখেমুখে অন্য কিছু ফুটে উঠছে।”
শেষের কথাটা কৌতুকের সুরেই বললেন উনি। ওনার কথা শুনে চরম বিব্রত হলাম আমি।লজ্জা অস্বস্তি ঘিরে ধরলো আমায়।সাথে আমাকে ইচ্ছে করে লজ্জায় ফেলে দেওয়ায় ওনার উপর রাগও হলো।নিজে তো ভালোবাসবেই না আমি বাসলেও দোষ।সাধে কি আর খাটাশ বলি!আমি কপট রাগের বশে মুখ ফসকে বলে ফেললাম,
“হ্যাঁ অন্যকিছুর জন্য এসব করছি।তো!”
কথাটা বলে গেইট খুলে ঢুকলাম আমি।আর উনি কি একটা ভেবে আমার কানের কাছে মুখ এনে বললেন,
“অন্যকিছু হলে তার শাস্তি সইতে হবে।রাজী তো?”
ওনার কণ্ঠটা কেমন যেনো লাগলো আমার নিকট।আমি তটস্থ হয়ে বললাম,
“ক..কি শাস্তি?”
উনি কিছু না বলে বাঁকা হাসলেন।তারপর এদিক সেদিক তাকিয়ে আমাকে কোলে তুলে নিয়ে সিঁড়ি ভেঙে উপরের ঘরে উঠে দরজা লাগিয়ে দিলেন।তারপর বললেন,
“প্র্যাক্টিকালিই দেখো।”
ওনার অভিব্যক্তিতে শাস্তিটা কি বুঝতে বাকি রইলো না আমার।আমি কেবলই শুকনো ঢোক গিললাম।কিছু বলতে যাব তার আগেই আমাকে ওনার সাথে মিশিয়ে নিলেন উনি।
_______________________
চারদিকটা এখনো আবছা অন্ধকারে আচ্ছন্ন।সূর্যদ্বয় হতে আর বেশি দেরি নেই। হয়তো মিনিট পাঁচেকের মাঝেই রক্তিম এক কমলা পিন্ডের দেখা মিলবে। হিম হিম ভাব চারদিকে। গোটা গ্রাম এখন হালকা কুয়াশায় ঘেরা।আমি ড্রেসিং টেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছি। রাতে অন্ধকারের দরুন ওনার স্পর্শের লালাভ চিহ্ন আড়াল করা সহজ হলেও দিনের আলোয় তা স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে।সেটাকেই হিজাব দ্বারা আড়াল করার আপ্রান চেষ্টা চালাচ্ছি আমি।বেশ কিছুক্ষণ পর এক পুরুষালী কন্ঠ কানে এসে বারি খায় ।কেউ আমার নাম ধরে ডাকছে। নিজের নাম শ্রবণ হতেই মস্তিষ্ক সচল হয়ে উঠে।আমি ঘাড় ঘুরিয়ে তাকাতেই দেখি নিভৃত দাঁড়িয়ে আছেন। চোখে মুখে তার গাম্ভীর্যতা।প্যান্ট শার্ট পড়ে একদম রেডি হয়ে আছেন উনি।আমি কিছু বলতে যাবো তার আগেই তিনি স্বগতোক্তি কন্ঠে বলে উঠেন,
“তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে এসো।সময় নেই।খেয়েই বেরিয়ে যাব আমরা।”
কথাটা শুনে মাথা নাড়লাম আমি।ওনাকে দেখে কেমন যেন লজ্জা লজ্জা লাগছে আমার।কাল রাতের রেশ কাটিয়ে উঠতে পারছি না।মাথায় ভালোভাবে হিজাব সেট করে নিচে নামলাম আমি।সকালের খাওয়ার পর্বটা এত ভোরেই সমাপ্ত করতে হলো আজ।কেননা মাঝে একদিনের অফ ডে ছিলো ওনার।চেম্বারও বন্ধ রেখে আমাকে নিয়ে এসেছিলেন।আজ ফিরে গিয়ে হসপিটালের ডিউটির সময় উপস্থিত হবেন।তাই দুই রাত একদিন বাবার বাড়ি কাটিয়ে আমাকেও শশুরবাড়ি পাড়ি দিতে হচ্ছে।খাওয়া শেষে বের হওয়ার সময় আম্মুর বাধ ভাঙা কান্না ভেসে এলো।আমিও নিজেকে সংযত করতে পারলাম না।আম্মুর সাথে গলা মিলিয়ে কেঁদে দিলাম।কেমন অসহায় লাগছিলো আমার।সব কিছু উপেক্ষা করে এই মুহুর্তে আম্মুর কাছে থেকে যেতে ইচ্ছে করছিলো।কিন্তু চাইলেও কি আর সব ইচ্ছে পূরণ হয়!আমি কেঁদে কে’টে বুক ভাসিয়ে দিলাম।এমনটা নয় যে এই প্রথম এই বাড়ি থেকে দূরে যাচ্ছি আমি।এর আগেও অনেক গিয়েছি।প্রায় বছর দুয়েকের অধিক হয়ে এলো বাড়ি ছেড়ে াবগুড়ায় থাকা আমার।ইন্টার লাইফে বগুড়া মহিলা কলেজে পড়েছি আমি।আমার সাথে বন্যাও একই কলেজে ভর্তির সুযোগ পায়।ফলে বাড়ির কারো আর কোনো চিন্তা ছিলো না।দুই বান্ধবী একসাথে থাকতে পেরেছি।শুরুতে মেসে উঠেছিলাম আমরা।পরে অবশ্য আরও বান্ধবী হলে ছয়জন মিলে একটা বাসা নিয়ে থাকতাম।বিয়ের পর আমি বাসা ছেড়ে দিলেও ওরা ওই বাসায় থেকেই এডমিশন কোচিং করেছে।তাই বন্যা তখনও ওখানেই ছিলো।
বাড়ি ছেড়ে প্রথম যাওয়া না হলেও তখন মাসে দুবার বাড়ি আসতাম।বিয়ের পর সে সুযোগটা মুছে গিয়েছে।এখন চাইলে এল মাসে একবারও বাড়ি ফেরা হয় না।আমাদের মুল কষ্টের স্থান এটাই।এ জন্যই আম্মু আঁকরে ধরে আছেন আমাকে।তবুও তো সব বাঁধন ছেড়ে চলে যেতে হবেই।
______
বেশ কয়েক সপ্তাহ কেটে গেলো বাড়ি থেকে ফিরেছি আমরা।বাবার বাড়ি থেকে শশুর বাড়ি আসার পর মুহূর্তেই যেন সকলকে ঘিরে ধরে ব্যস্ততা। সবার পায়ে লেগে যায় কর্মব্যস্ত জীবনের শিকল।নিভৃতও আবার পেশাগত কাজে ব্যস্ত হয়ে যান।আর আমি পেয়ে যাই অফুরন্ত সময়।সারাদিন ঘরে বসেই দিন কাটে আমার। ভার্সিটিতে ক্লাস শুরু হতে এখনো এক-দেড় মাস বাকি।তবুও সময়টা মন্দ যায় না আমাদের।রাতে উনি ফিরলে ভালোলাগার সমুদ্রে পাড়ি জমাই যেন।আর সারাদিনে ওনার ফেরার অপেক্ষার মধুরতায় দিন কাটে।মাঝে মধ্যে নিশি, নদী আপু বা খালামনি ও রহিমা চাচির সাথে গল্পের আসর জমে। কিন্তু ওদের একেক জনের কাজের তাড়া থাকায় তা বেশিক্ষণ স্থির হয়না।তাই তখন মোবাইল টিপে ও বিকেলের দিকে ছাদে গিয়ে সময় কাটাই।
আর নিজেদের নিয়ে ভাবি।কেমন বড় বড় ভাব এসেছে আমার মাঝে।নিজেকে সাজিয়ে গুছিয়ে পরিপাটি রাখতে বেশ ভালো লাগে এখন।আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে রং ঢং করতে ভালো লাগে।ওনার আড়ালে গিয়ে ওনার শার্টের গন্ধ শুঁকতে ভালো লাগে।ঠিক এই গন্ধটা পেতেই এখন রোজ রোজ ওনার শার্ট ধুয়ে আয়রন করে দেই আমি।আজ কি মনে করে নিজ হাতে রান্নাও করলাম আমি।তারপর উনি আসার আগে আমি একটা নীল শাড়ি পড়ে হালকা সাজুগুজু করলম।তারপর ওনার চেঞ্জ করে পড়ার জন্য কাপড়গুলো এক স্থানে গুছিয়ে রাখলাম।তারপর নিজ হাতে তাঁর জন্য কফি বানাতে লাগলাম। ইদানীং রোজ রোজই এসব করে বেড়াই আমি।ওনার জন্য এসব করতে বেশ ভালো লাগে।আমি কফি চুলায় তুলে দিতেই কলিংবেল বেজে উঠে। আমি দৌড়ে গিয়ে দরজা খুলে দেই। ওনার চেহেরাখানা ভেসে ওঠে অক্ষিপটে। যা আমার মাঝে এক প্রশান্তির দেখা মেলায়।আমাকে দেখে স্মিত হাসেন উনি।তারপর জুতো খুলে নিজের গলার টাই ঢিলা করতে করতে ঘরের ভিতর প্রবেশ করেন। আমি দৌড়ে কিচেনে গিয়ে কফি রেডি করে মগে ঢেলে নিলাম। অতঃপর এগিয়ে গেলাম রুমের দিকে। রুমে এসে দেখি উনি মাত্র ফ্রেশ হয়ে ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে আসছেন। নিজের চুলগুলো মুছে টাওয়ালটা নিয়ে বেলকনির দিকে যেতেই আমি বলকাম,
“আমাকে দিন।আমি মেলে দিয়ে আসি।”
কথাটা বলে কফির কাপ ওনার হাতে দিয়ে টাওয়াল ছুড়ে নিলাম আমি ।তা দেখা মাত্র সে কিছুক্ষণ ভ্রু কুঁচকে আমার দিকে পূর্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে দেখলো।অতঃপর কি মনে করে কফিটা হাতে নিয়ে আমার পিছু পিছু এসে হালকা হেসে বললেন,
“আজ তোমাকে একদম আমার বউয়ের মত লাগছে।”
কথাটা শুনে ভ্রু কুটি করলাম আমি।সরু চোখে তাকিয়ে বললাম,
“তো বাকিদিন গুলোতে কি অন্যের বউয়ের মত লাগে?”
কথাটা শুনে উনি নিঃশব্দে হেসে উঠেন।আমি ওনার মুখের দিকে তাকিয়ে থাকি।কত স্নিগ্ধ এই হাসি।যা বারংবার খু’ন করে ফেলে আমাকে।আমি নির্ঘাত মা’রা যাব জেনেও ওনার সেই মুখে তাকিয়ে থাকি।উনি স্বগোতক্তি কণ্ঠে বলেন,
“অন্যদিন প্রেমিকার মতো লাগে।আজ বউ বউ লাগছে।”
কথাটা শুনে হালকা লজ্জা পাই আমি।উনি কফির কাপটা ঘরে গিয়ে টেবিলে রেখে বলেন,
“আজ আর কফি খাব না।”
আমি পিছন পিছন এগিয়ে এসে বিস্মিত কন্ঠে বলি,
“কেনো?স্বাদ হয় নি?”
তিনি হেসে আমার দিকে এগিয়ে এসে বলেন,
“স্বাদ ঠিকই আছে।তবে সামনে শাড়ি পড়া ফুটফুটে বউ থাকতে কফিতে স্বাদ পায় কোন বলদে?”
কথাটা বলে বদমাইশি হেসে আরও এগিয়ে আসেন উনি।আর আমি লজ্জায় মিইয়ে যাই।কিন্তু তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হলো না।উনি যখন আমার একদম নিকটবর্তী হলেন তখনই ঘরে নিশির আগমন হলো।উনি ছিটকে সড়ে গেলেন আমার থেকে।নিশিও দাঁত দিয়ে জিভ কে’টে বাইরে চলে গেলো।সেও বেশ অপ্রস্তুত হয়েছে।আমি নিজেকে ধাতস্থ করে নিয়ে ওকে ফিরতি ডাকলাম।কিন্তু ও আর ভিতরে এলো না।বরং বাহির থেকেই বললো,
“একটু ড্রয়িং রুমে আসো তোমরা।”
কথাটা বলেই চলে গেলে ও।ওর কথাটা শুনে একে অপরের দিকে মুখ তুলে তাকালাম আমরা। অতঃপর কৌতুহলী হয়ে ড্রয়িং রুমে এসে দাঁড়াতেই আমাদের চোখ চড়কগাছ হলো।সামনে উপস্থিত মানুষটিকে দেখে থমকে গেলাম আমি।এটা কি সত্যি দেখছি?
#চলবে