প্রেমের মরা জলে ডুবে পর্ব-০৯

0
182

#প্রেমের_মরা_জলে_ডুবে

#তানিয়া

পব:৯

রাতে খেতে বসে তিমির জিন্নাহ সাহেবকে জানালো তার টিউশনের কথা।কথাটা শুনে তিনি কিছুটা দুঃখ পেলেও তিমিরের দিকটা ভেবে সেটা মেনে নিলেন।নিপা অপ্রসন্ন মুখে কিছুটা স্বামীর দিকে চেয়ে থেকে খাওয়ায় মন দিলেন।তিনি জানেন এ ব্যাপারে জিন্নাহর সম্পূর্ণ মত আছে।

সকালে উঠে হাতমুখ ধুয়ে তিমির শুভ্রর রুমে গেলো। কারণ শুভ্রকে জ্বালাতে তার বেশ মজা লাগে।যতই শুভ্র তাকে কথা শোনাক সেসব কথাকে তিমির কানে তুলে না।রুমে গিয়ে দেখে শুভ্র বিছানায় নেই। তিমির চলে যেতে কি মনে করে কাভার্ড থেকে এক সেট কাপড় বের করে বিছানায় রাখলো।

শুভ্র মুখ মুছতে মুছতে বিছানার দিকে চোখ পড়লো।কাপড় বাইরে রাখা দেখে সে চিন্তিত হলো কারণ সে ছাড়া কেউ তার জিনিসে হাত দেওয়া মানা।ছোট থেকে ব্যক্তিগত জিনিস নিয়ে সে খুঁতখুঁতে। তাছাড়া এত বছর ধরে নিপা ছেলেকে চিনে বলে কখনো তার তার কাপড় জিনিসে হাত দেয় না তাহলে রাখলো কে?শুভ্র শিউর হতে গিয়ে মাকে ডাকতে গেলো,কি মনে করে যেন মাকে না ডেকে তিমিরকে ডাকলো।কারণ শুভ্র জানে তার নিষেধ অমান্য করার সাহস তিমিরেরই আছে।

“তিমির,তিমির?”

শুভ্রর ডাক তিমির পর্যন্ত পৌঁছালো না।তাই অগত্যা সে শুভার রুমে পা বাড়ালো।দরজাটা ভেজিয়ে দেওয়া ছিল, শুভ্র লক মনে করে ঠেলা দিতেই সেটা খট করে খুলে গেলো।তিমির তখন ওড়না ছাড়া ছিল।চুল আঁচড়াতে আচড়াতে একটু হেলেদুলে নাচ করছিল।হুট করে দরজা খুলে যাওয়ায় সে নাচ বন্ধ করে আয়নার দিকে চেয়ে থাকে। তখনি শুভ্রর সাথে আয়নায় তার চোখাচোখি হয়।দ্রুত এদিক ওদিক ওড়না খুঁজতে লাগলো।ওড়না না পেয়ে পাশে থাকা টাওয়াল গায়ে জড়িয়ে নিলো।

“মেয়েদের রুমে আসার আগে নক করতে হয় জানা নেই আপনার?”

“মেয়েদের রুম যে লক করে রাখতে হয় সেটা জানা নেই?বাইরে থেকে দরজা লক মনে করে নক দিতে গিয়েই খুলে গেছে। তাছাড়া এটা তো মেয়ে হোস্টেল নয়, যে যেমন ইচ্ছে তেমন থাকবে।নিজের প্রয়োজনীয় জিনিস হাতের কাছে রাখলেই তো হয়।যাই হোক আমার কাপড়ে তুমি হাত দিয়েছো?”

শুভ্রর কথা শুনে তিমির একটু ভীত হয় কারণ তিমিরই যে এ কাজ করেছে সেটা শুভ্র জানলো কি করে? তিমির দাঁত কেলিয়ে বললো,

“ইয়ে মানে আপনাকে ডাকতে গিয়ে দেখলাম আপনি ওয়াশরুমে। তাছাড়া আপনি তো কাপড় পরবেন তাই আমিই বের করলাম। কেনো দোষ হলো কি?”

“অবশ্যই দোষ হয়েছে। আমার জিনিসে কেউ হাত দিক আমি পছন্দ করিনা।যে কাজ আমার মাকে করতে দিই না সেই কাজ তুমি করো কোন সাহসে।নেক্সট টাইম আমার জিনিসে হাত দিবে না।গট ইট?”

তিমির বুঝলো কীভাবে শুভ্র তাকে সন্দেহ করেছো।এ লোকটা এমন কেনো?সবকিছুতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে।শুভ্র তো জানে না তিমির হচ্ছে সেই মেয়ে যে কিনা সকল নিষেধাজ্ঞাকে ভেঙে নিজের মতো করে চলে।তিমির সিদ্ধান্ত নিলো এবার থেকে সে প্রতিদিন এ দায়িত্ব পালন করবে।এতে যত কথা শুনতে হয় শুনবে।

তিমির শুভা দুজনে ক্লাসে যেতেই জেসমিন হাসি হাসি মুখে জানায় যে,শুভাকে অন্য ক্লাসে শিফট করা হয়েছে। শুভা এখন থেকে এ সেকশনে ক্লাস করবে না।কথাটা শুনেই তিমিরের সব রাগ মাথা চড়াও হতে শুরু করলো।তিমির বুঝলো এ সব কিছুর জন্য শুভ্র দায়ী।শুভা করুণ চোখে তাকায় তিমিরের দিকে।তিমির সেদিকে তাকিয়ে বুঝলো শুভা হয়তো কেঁদেই দিবে।শুভা নিজের ব্যাগ নিয়ে চলে গেলো পাশের সেকশনে।তিমির রাগ নিয়ে পেছনের বেঞ্চে বসে পড়লো।

ক্লাস পিরিয়ড শুরু হলে শুভ্র চলে আসে।এসেই এটেন্ডেস খাতা ওপেন করে এক এক করে নাম ডাকে।তিমিরের নামে এসে কয়েকবার ডাকে কিন্তু তিমির গো ধরে খাতার দিকে চেয়ে রইলো।শুভ্র চোখ তুলে তিমিরকে ডাক দিলো।পাশের মেয়েটা ধাক্কা দিতেই তিমির চোখ তুলে শুভ্রর দিলে তাকালো।

“কতক্ষণ ধরে তোমার নাম ডাকছি শুনতে পাও নি?”

তিমির শক্ত মুখে চেয়ে রইলো উত্তর দিলো না।শুভ্র বুঝলো শুভার সেকশন পরিবর্তনে এমনটা হয়েছে। এটা তারই নির্দেশ ছিল কারণ দুজনে এক সেকশনে থাকলে পড়া তো হবেই না উল্টো সবসময় ডিস্টার্ব করবে।তাই প্রিন্সিপাল স্যারকে বলে সে এ ব্যবস্থা করে।শুভ্রর প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে গো ধরে থাকায় শুভ্রর মেজাজ খারাপ হলো।সে রেগে গিয়ে তিমিরকে বাইরে বের করে দিলো।তিমির থমথমিয়ে চলে গেলো বাইরে।শুভ্র বই খুলে পড়ানো শুরু করলো।ঘন্টা পড়তেই শুভ্র বেরিয়ে এলো ক্লাস থেকে।তিমির অন্যদিকে চেয়ে থাকলো যেন শুভ্রর উপস্থিতিতে তার কিছু যায় আসে না।শুভ্র একটুখানি তিমিরের দিকে তাকিয়ে চলে গেলো টিচার্স রুমে।

বিরতির সময় তিমির চলে গেলো শুভার রুমে।শুভা তিমিরকে দেখেই হেসে দিলো।

এলি আমি তো আরো তোর কাছে যেতাম।আজ কেমন ক্লাস করলি?

তোকে ছাড়া যে ভালো ক্লাস করব না সেটা তো জানিসই,তার ওপর তোর ভাই আজকে আমাকে বাইরে দাঁড় করিয়ে রেখেছে।

শুভা জানে তিমির জেদ করে হয়তো এমন কিছু করেছে যার জন্য রেগে শুভ্র এমন শাস্তি দিয়েছে। এখন এটা নিয়ে কথা বললে অফ টাইমটা খারাপ যাবে।তাই সেসব কথা বাদ দিয়ে দুজনে গল্পে মন দিলো।

শুভ্র ক্লাস শেষ করে কলেজ থেকে বেরিয়ে গেলো। তুরফার সাথে দেখা করা দরকার।তুরফা ট্রমা থেকে বের হয়েছে কিনা কে জানে,কিন্তু শুভ্রকে তার পাশে থেকে সহায়তা করতে হবে।শুভ্র মেডিকেলে পৌঁছে তুরফাকে কল দিলো।তুরফা বিরক্ত দৃষ্টি নিয়ে চেয়ে থেকে নিজের কাজে মন দিলো।বারকয়েক কল হতে এবার মুখ খুললো রাশেদ।

কি হলো কল ধরছো না কেনো, কে কল দিয়েছে?

কে আবার শুভ্র কল দিয়েছে। একদম বিরক্ত লাগে শুভ্রকে।এ ছেলে মনে হয় আমার পিছন ছাড়বে না।

আহা এভাবে বলো কেনো, হাজার হোক মজনু তো,লায়লার প্রেমে দেওয়ানা হয়ে গেছে। তাই তো লায়লার খোঁজ নেয়।

ন্যাকামি করো না তো।এসব অসহ্য লাগে।ভেবেছিলাম হয়তো তিমিরকে ওর সাথে বিয়ে দিয়ে আপদ দুটোই দূর করবো এখন দেখি অন্য সমস্যা।এ তো দেখি আঠার মতো লেগে রইলো।

রাশেদ কিছু বলার আগেই তুরফা কল ধরলো। কল রিসিভ হতেই ওপাশ থেকে কথা শোনা গেলো,

তুরফা কোথায় তুমি,আমি তোমার মেডিকেলের সামনে অপেক্ষা করছি।যদি কাজ শেষ হয় চলে আসো একসাথে বসবো?

শুভ্র আমি আজ সারাদিন ব্যস্ত ছিলাম।তাছাড়া বাসায় চলে এসেছি। খুব অসুস্থ লাগছে তাই শুয়ে আছি।তোমার সাথে পরে কথা বলবো।

শুভ্র কিছু বলার আগেই তুরফা কল কেটে দিলো।শুভ্র ভাবলো হয়তো তুরফা হয়তো সত্যিই অসুস্থ তাছাড়া বিয়ের বিষয়টা নিয়ে আপসেট তাই মনটা খারাপ করে গাড়ি ঘুরালো।উদ্দেশ্য সোজা সেই লেকের পাড়ে যাওয়া।

ঝা ঝা রোদে হাঁটু থেকে মাথার তালু পর্যন্ত টগবগিয়ে ফুটছে।সেই দুপুরে খাওয়ার ওর হালকা রেস্ট নিয়ে তিমির টিউশনে বের হয়েছে। প্রথম দিন হওয়ায় আগে আগে বের হয়েছে যাতে কথা হেঁটে গেলে কতটুকু সময় লাগবে সেটা নির্ধারণ করতে পারে এবং অভিভাবকের সাথে কথা বলে সবকিছু ঠিক করে নিতে পারে।তিমিরের টিউশনের দুজনেই টুইনস বেবি। ক্লাস থ্রিতে পড়ে।অভিভাবকের সাথে কথা বলে তিমিরের খুব ভালো লাগলো।শিডিউল ঠিক করে তিমির বাসার জন্য বেরিয়ে গেলো।চৈত্র মাসের গরমে চারপাশটা বিদঘুটে হয়ে গেছে। রিক্সাতে যাওয়া আসা করা সম্ভব না। এত টাকা তিমির কোথায় পাবে। নিজ দায়িত্ব নিতে হলে কষ্ট তো একটু করতেই হবে।আনমনে হেঁটে যাচ্ছে তিমির।হঠাৎ একটা গাড়ি এসে পাশে দাঁড়ালো। তিমির নামটা শুনতে সেদিকে তাকালো।দেখলো শুভ্র গাড়িতে বসা।

তিমির গাড়িতে উঠে বসো।

তিমির বিনাবাক্যে গাড়িতে বসলো।শুভ্র গাড়ি নিয়ে যেতে দেখলো সামনে তিমিরের মতো কাউকে।প্রথমে ভাবলো তিমির এ বিকেলে এমন কাঠফাটা রোদে কি করছে,পরক্ষণে মনে পড়লো গতরাতে বলা টিউশনের কথা।তিমির মাথায় হাত দিয়ে রাখাতে শুভ্র বুঝলো রোদের তাপে তিমির এমন করছে।তাই গাড়ি থামিয়ে তুলে নিলো।

তিমির বুঝলো শুভ্র এতক্ষণে বাড়ি ফিরছে।কারণ টিউশনে বের হওয়ার সময়ও তিমির শুভ্রকে দেখে নি।কোথায় ছিল জিজ্ঞেস করবে না করবে ভাবতে ভাবতে শেষে করেই ফেললো প্রশ্নটা।

আপনি কি এখন বাসায় যাচ্ছেন?

হু।

কলেজ ছুটি হয়েছে সে কখন এতক্ষণ কই ছিলেন?

শুভ্র উত্তর দিলো না।তিমির চেয়ে রইলো শুভ্রর দিকে।

তুরফা আপুর কাছে গিয়েছিলেন?

শুভ্র এবার চোখ ফিরিয়ে তিমিরকে দেখলো।নিরুত্তর হয়ে মন দিলো গাড়ি চালানোতে।তিমির আর কোনো প্রশ্ন করলো না,তার উত্তর সে পেয়েছে। গাড়ির বাইরে চেয়ে রইলো তিমির।ইচ্ছে করছে একলাফে গাড়ির নিচে পড়তে কিন্তু তার চাওয়াতে কিছু হবে না।

বহমান নদীকে যেমন আটকানো যায় না তেমনি মেপে মেপে চলা সময়কেও আটকানো যায় না।সময় চলে আপন গতিতে।তিমির পড়াশোনা আর টিউশন নিয়ে চলছে শুভ্র ব্যস্ত ক্লাস বিভিন্ন প্রোগ্রাম নিয়ে। এক বাড়িতে থাকে, এক দরজায় বের হয় কেউ কারো সাথে তেমন কথা বলে না।কিন্তু তিমির তার রুটিনে দিন দিন শুভ্রর প্রতি খেয়ালের মাত্রাটা বাড়িয়েছে।সকালে কলেজের পোশাক সিলেক্ট করে রাখা।,বিকেলে চা ঠিক রাখা আর সময় মতো শুভ্রর পিছনে লাগা।ননদ ভাবির জুড়ি হিসেবে বেশ চলছে শুভা আর তিমিরের সময়।এরমাঝে কবির সাহেবের সাথে তিমিরের কথা হয়েছে কয়েকবার।বাবার সাথে এটা সেটা নিয়ে বেশ মজা করে।খোঁজ নেয় মার।যতই কষ্ট আর অবহেলা করুক, বোঝার বয়স থেকে এ মানুষটাকে সে মা ডেকে এসেছে তাই হাজার দূরে সরালেও মা বলে আপন করে নেয়।

তুরফার সাথে ইদানীং কথা হয় না শুভ্রর।তুরফাকে মনে পড়লে কল দেয় কিন্তু তুরফা তেমন একটা রেসপন্স করে না।এভাবে একাকিত্বে সময় পার করে শুভ্র।

তিমির যাদের টিউশন করায় তাদের পরীক্ষা আর তিমিরের মূল্যায়ন পরীক্ষা হুট করে একি তারিখে হওয়ায় তিমির পরীক্ষা দিয়ে সোজা পড়াতে চলে গেলো। পড়ানো শেষ করে বাসায় গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিচে গেলো খাবার নিতে।সবার খাওয়া শেষ। বেলা তিনটায় তো আর কেউ খেতে বসবে না। তিমিরের খাবারটা আলাদা করে রাখা ছিল।তিমির রান্নাঘরে গিয়ে খাবার নিয়ে ডাইনিং এ আসতে দেখে শুভ্র খাবার প্লেটে খাবার নিয়ে বসে আছে। তিমির শুভ্রকে দেখে ইতস্তত করে।হয়তো পরীক্ষার ওদিকটা সামলিয়ে আসতে আসতে দেরী হয়েছে তাই এখন খাবার খাচ্ছে। তিমিরের বিষয়টা দেখে শুভ্র তিমিরকে চোখের ইশারায় টেবিলে বসতে বললো।তিমির প্লেটটা নিয়ে বসতেই শুভ্র তার মাছের অংশটা তিমিরকে দিয়ে দিলো।তিমির উৎসুক চোখে শুভ্রর দিকে তাকাতে শুভ্র প্লেটে হাত ধুতে ধুতে বললো,

আমার পেট ভরে গেছে। তাছাড়া মা আমার জন্য দু পিছ রেখেছেন,আমি এক পিছ খেয়ে আর খেতে পারছিনা।এঁটো মাছ রাখাও যাবে না আবার পুরোটা ফেললে গুনাহ হবে তাই তুমি খেয়ে আমার জন্য সওয়াব তুলো।এমনিতে যা গুনাহ করেছো তা খাবার নষ্ট না করার সওয়াব হিসেবে পূরণ হয়ে যাবে।

কথাটা শেষ করে শুভ্র চলে গেলো।তিমির মুখ গোমড়া করে শুভ্রর যাওয়ার দিকে চেয়ে প্লেটের দিকে তাকালো।বুঝলো এ অংশটা শুভ্র এঁটো পাত থেকে আলাদা করে রেখেছে কিন্তু কেনো,তার জন্য? বিষয়টা ভেবে হেসে দিলো সে।

শুভ্র রান্নাঘরে টেবিলে নিজের খাবারটা ঢাকা দেখে চিন্তিত হলো।কারণ তিমির পরীক্ষা দিয়ে টিউশনে গেছে সেটা সে জানতো তাই তিমিরের খাবারটা চেক করতে রান্নাঘরে গেলো।তিমিরের খাবারও ঢাকা।কি মনে করে উলটাতে দেখে সেখানে তরকারি।সেদিন শুভার কথাটা তার মনে পড়লো।তাই তিমিরের জন্য মাছটা রেখে খাবারটা খেয়ে বসে রইলো।

শুভ্র নিজের কিছু জিনিসের জন্য শপিং মলে গেলো।টুকটাক জিনিস কিনে একটা শার্টের দোকানে আসতে আটকে গেলো চোখ। তুরফা কাকে জানি হেসে হেসে শার্টের মাপ নিচ্ছে। শুভ্র অবাক হয়ে গেলো। তুরফার ভাবভঙ্গি দেখে একবারও মনে হলো না ছেলেটা তার বন্ধু। শুভ্র যাবে কি যাবে না বিষয়টা ভাবতে ভাবতে এগিয়ে গেলো তুরফা আর সেই ছেলেটার কাছে।
,
,
,
চলবে……