প্রেম প্রয়াস পর্ব-০৯

0
769

#প্রেম_প্রয়াস
#মাশফিয়াত_সুইটি(ছদ্মনাম)
পর্ব:০৯

রাকা বিছানায় বসে আছে মুখে ভয়ের ছাপ তার ঠিক সামনে সোফায় গম্ভীর মুখে বসে আছে রাদিফ। দৃষ্টি রাকার দিকে,তাশফার সামনে যেতে ভয় করছে তাই সে দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে আছে।রাদিফ শান্ত গলায়,

– এতদিন ধরে একটা ছেলের সঙ্গে সম্পর্কে আছিস অথচো আমাদের জানালি না? সম্পর্কে জড়ানোর আগে পরিবারের কথা ভাবলি না? এতোটা ভালোবাসা কতদিন চিনিস ছেলেটাকে কতোটা জানিস ছেলেটার সম্পর্কে?

রাকা চুপ করে নিচের দিকে তাকিয়ে আছে।রাদিফ রাকাকে ধমক দিয়ে,
– কি হলো এখন চুপ কেন? কথা বল।

– আমি প্রথমে রাজি হইনি কিন্তু ও আমার পিছনে একবছর ঘুরেছে তারপর আর না করতে পারিনি।

– একবছর একটা ছেলে তোর পিছনে ঘুরেছে কিন্তু আমায় বলতেই পারলি না আম্মুকে তো অন্তত বলতে পারতি।

– ভয়ে বলতে পারিনি।

– এতোই যখন ভয় তাহলে অপরিচিত এক ছেলের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ালি কিভাবে? একবারও আমাদের কথা মনে ছিল না? আর কিছুদিন পর পরীক্ষা পড়াশোনা না করে বিয়ের চিন্তায় মশগুল হয়ে গেছিস।

– ভুল বুঝছিস ভাইয়া। আরিয়ানের বাবাকে তার বন্ধু নিজের মেয়ের সঙ্গে আরিয়ানের বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছে সেও সরাসরি না করতে পারেনি তুমি যদি কথা বলতে।

– কি ছেলের সাথে প্রেম করলি যে কিনা তোর কথা বাড়িতেই জানাতে পারছে না। তোর বিয়ে নিয়ে আমরা এখনো ভাবিনি ওদের কাছে গিয়ে কথা বলার তো প্রশ্নই আসে না।

রাকা করুন দৃষ্টিতে,
– ভাইয়া!

– তোর ওই আরিয়ানকে বলিস সত্যি যদি তোকে বিয়ে করতে চায় তাহলে যেন নিজের পরিবার নিয়ে আমাদের বাড়িতে এসে আমার আর আম্মুর সঙ্গে কথা বলে যায় পরিবার আর ছেলে যদি ভালো লাগে তাহলে ভেবে দেখবো।

রাকা আরও কিছু হয়তো বলতে চেয়েছিল কিন্তু রাদিফ সেসব শোনার প্রয়োজন মনে করেনি তাই নিজের ঘরে চলে গেছে।রাদিফ যেতেই তাশফা ভেতরে গিয়ে রাকার পাশে বসে,

– মুখ গোমড়া করে রেখেছিস কেন? উনি তো বললেন আরিয়ান ভাইয়া তার পরিবার নিয়ে যাতে আসে।

– হুম কিন্তু ভাইয়ার যদি পছন্দ না হয়?

– এসব কথা প্রেম করার আগে ভাবা উচিত ছিল এখন ভেবে লাভ নেই আরিয়ান ভাইয়াকে বলে দে সবকিছু।

– হুম।

তাশফাও ঘরে এসে দরজা লাগিয়ে শুয়ে পড়ল রাদিফের পাশে। রাদিফ একটা কথাও বলল না চোখ বন্ধ করে কপালে হাত দিয়ে শুয়ে আছে।তাশফাও চোখ বন্ধ করে নিলো ঘুমানোর জন্য।

তাশফা যেতেই রাকা আরিয়ানকে ফোন করে সবকিছু বলতেই আরিয়ান কিছুটা খুশি হলো কিন্তু সাথে আবার চিন্তায় পড়ল এইভেবে রাদিফের তাকে পছন্দ হবে কিনা।
__________________
ভোরের আলো ফুটে গেছে চারিদিকে পাখির কিচিরমিচির ধ্বনিতে মুখরিত। রাতে দেরি করে ঘুমানোর কারণে রাদিফ আজ সকালে উঠতে পারেনি।আর তাশফাকে তো না ডাকলে সে উঠতেই পারে না তাই সেও ঘুমে বিভোর। রাদিফ সঠিক সময়ে ঘুমানোর জন্য বিছানায় শুয়ে পড়লেও প্রিয় বোনের এমন একটা কথা জানার পর ঘুম যেন কোথায় চলে গিয়েছিল। শেষ রাতে চোখ লেগে গেছিল যার ফলে ঘুম থেকে উঠতে উঠতে আটটা বেজে গেছে। ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে বসার রুমে যেতেই তার মা কড়া করে এক কাপ চা দিয়ে গেছে।

রাদিফ চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে টিভি দেখছিল তখনি রাকা কলেজ ইউনিফর্ম পড়ে রেডি হয়ে এসে,

– তাশু এখনো ঘুমাচ্ছে আজ মনে হয় না কলেজে যাবে এখন ডেকেও লাভ নেই উঠে কখন ফ্রেশ হবে কখন রেডি হবে।

রাদিফ কোন কথা বলল না রাকা আবারো বলতে লাগল,
– ভাইয়া আজ অফিসে যাবি না?

– একটু পরে বের হব।

– তাহলে আমি কি আজ একা কলেজে যাবো? প্রতিদিন তো তুই দিয়ে আসিস।

– এতদিন ভাবতাম তুই হয়তো ছোট কিন্তু আমার ভাবনা ভুল প্রমাণিত করে দিলি।

– ভাইয়া!

– যে প্রেম করতে পারে সে সব করতে পারে এবার থেকে একাই কলেজে যাবি।

টিভি বন্ধ করে বসা থেকে উঠে সোজা চলে গেল রাদিফ। রাকা ভাইয়ের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছে চোখের কোণে পানি ঝলমল করছে আর মনে মনে আওড়াচ্ছে,’অনেক বড় ভুল করে ফেলেছি ভাইয়াকে না জানিয়ে আরিয়ানকে ভালোবাসা হয়তো ঠিক হয়নি।’

রাকা কলেজে চলে গেল, রাদিফ ঘরে এসে তাশফাকে শুয়ে থাকতে দেখে অনেকবার ডেকেছে কিন্তু তাশফার উঠার নাম নেই। তাই রাদিফ এবার মুখে পানি ছিটিয়ে দিল তাশফাও লাফিয়ে উঠে,

– ঘরে বৃষ্টি পড়ছে কোত্থেকে?

বলেই পাশে তাকিয়ে রাদিফ এবং রাদিফের হাতে গ্লাস দেখে বুঝতে বাকি রইল না কি হয়েছে। দাঁত কিড়মিড় করে,
– এটা কি হলো?

– কি হয়েছে?

– এভাবে মুখে পানি ছিটালেন কেন?

– ঘুম ভাঙানোর জন্য যাও গিয়ে পাঁচ মিনিটের মধ্যে ফ্রেশ হয়ে আসো কলেজে তো আজ যাওয়া হলো না ফাঁকিবাজ।

তাশফা রাগ দেখিয়ে ওয়াশরুমে ঢুকে পড়ল। ইচ্ছে করে দেরি করে তারপর বের হতেই রাদিফের সামনে পড়ল। রাদিফ ধমক দিয়ে,

– তোমাকে পাঁচ মিনিট বলেছিলাম কিন্তু তুমি পনেরো মিনিট পর বের হয়েছো।এখন তোমাকে কি শাস্তি দেওয়া যায় বলো তো?

শাস্তির কথা শুনেই তাশফার মুখটা ভার হয়ে গেল। রাদিফ কিছুক্ষণ ভেবে,

– যাও গিয়ে পড়তে বসো একেবারে কলেজ ছুটি হওয়ার সময় রাখবে আর রাতে এসে আমি কিন্তু পড়া আদায় করবো,না পারলে সারারাত কান ধরিয়ে দাঁড় করিয়ে রাখবো।

তাশফার মুখ হা হয়ে আছে রাদিফ তারমধ্যেই টাওয়াল নিয়ে বাথরুমে চলে গেছে। গোসল করে রেডি হয়ে অফিসে চলে গেলে রাদিফ।বাড়িতে এখন তাশফা আর তার শাশুড়ি তবে তাশফা ঠিক পড়তে বসেছে সে জানে রাদিফ যখন বলেছে শাস্তি গুলো দিয়েই ছাড়বে।
_______________
তাশফার রাদিফের বাড়িতে সময় গুলো বেশ ভালোই কাটছে। রাতে রাদিফ বাড়ি এসে পোশাক পাল্টে সোফায় বসে ছিল রাকা পাশে বসে,

– ভাইয়া আরিয়ান বলেছে কাল ওর পরিবার নিয়ে আমাদের বাড়িতে আসবে।

– কখন আসবে?

– বিকেলের দিকে।

– ঠিক আছে।

খাবার টেবিলে আর একটা কথাও বলেনি রাদিফ রাকা বুঝতে পেরেছে ভাই তার উপর রেগে আছে। রাদিফ তার মা’কে সবকিছু বলেছে প্রথমে তিনি অনেক চমকে গিয়েছিলেন অমত প্রকাশ করেছিলেন কিন্তু রাদিফ বুঝানোর পর রাজি হয়েছেন। তাশফা বিছানায় বসে আছে রাদিফ ঘরে এসে,

– সকালে যেই পড়াগুলো দিয়ে গেছিলাম সেগুলো দাও দেখি কেমন শিখেছো।

তাশফা ভেংচি কেটে,
– জামাই না যখন কলেজের শিক্ষক।

– দরকার হলে শিক্ষকই এবার পড়া দাও।

তাশফ রাদিফকে সব পড়া ঠিকমতো দিতেই রাদিফ বলল,
– বাহ ফাঁকিবাজের ভালোই উন্নতি হয়েছে। যাও ঘুমাও কালও কলেজ যেতে হবে না।

– কেন?

– কেন আবার তোমার বান্ধবীকে দেখতে আসবে তুমি থাকবে না।

– কাল আসবে!

– হুম।

আজকের রাতটাও পাড় হয়ে গেছে সকাল হতেই রাদিফ বাজার করতে চলে গেল আজ সে নিজে বাজার করবে প্রতিদিনকার বাজার বাড়ির দারোয়ান করে। কিন্তু আজ রাদিফ নিজেই বাজার করতে গেছে কারণ সে চায় না তার বোনকে দেখতে এসে আপ্যায়নের কোন ত্রুটি পাক।

রাদিফ বাজার করে বাড়িতে এসে মা’কে বাজারের ব্যাগ দিয়ে ঘরে চলে গেল আজ অফিস থেকে ছুটি নিয়েছে। যতটুকু কাজ ছিল বাড়িতে বসে করে নিয়েছে।

বিকেল হয়ে গেছে রাকা প্রথমে শাড়ি পড়ে অনেক সুন্দর করে সেজেছিল কিন্তু রাদিফের ধমক খেয়ে শাড়ি পাল্টে থ্রী পিছ আর হিজাব পড়ে রেডি হয়ে বসে আছে। রাদিফের একটাই কথা,’পছন্দ হলে এমনিতেই হবে অন্যের জন্য নিজের পর্দা ছেড়ে সেজেগুজে নিজেকে প্রদর্শন করে নিজের সম্মান বিসর্জন দেওয়ার কোনো মানে হয় না।’

রাদিফের মা আর বাড়ির কাজের মেয়ে মিলে সব আয়োজন করেছে। রাদিফের বাড়িতে আগে থেকেই একজন কাজের মেয়ে ছিল কিন্তু কয়েকদিনের জন্য একটা সমস্যায় ছুটি নিয়ে বাড়িতে গিয়েছিল এখন চলে এসেছে। বিকেলে আসার কথা হলেও আরিয়ানের পরিবার না আসায় রাদিফ রাকার উদ্দেশ্যে,

– আমাদের সময়ের কি কোন মূল্য নেই নাকি? বিকেলে আসার কথা কিন্তু সন্ধ্যা হয়ে গেছে এখনো আসেনি।

রাকা নিরুত্তর সে জানে তার ভাই সময় মেনে চলে। মাগরিবের পর আরিয়ান এবং আরিয়ানের পরিবার রাদিফের বাড়িতে হাজির হয়। যতটা আপ্যায়নের দরকার রাদিফ ততটুকুই করেছে তাদেরকে সোফায় বসানো হয়েছে। তাশফাকে বলে দিয়েছে,’আমি না বলা পর্যন্ত রাকাকে নিয়ে আসবে না।’

আরিয়ানের সঙ্গে তার বাবা-মা, বড় ভাই তার বউ এবং তাদের একমাত্র একটা কিউটি ছোট মেয়ে এসেছে তাদের সবাইকে সোফায় বসানো হয়েছে। তাদের বরাবর রাদিফ আর রাদিফের মা বসে আছে তারা একেঅপরের সঙ্গে পরিচয় হয়ে নিয়েছে একপর্যায়ে রাকাকে এনে তাদের সামনে বসানো হয়েছে। আরিয়ানের পরিবার রাকাকে একেরপর এক প্রশ্ন করে যাচ্ছে রাকাও উওর দিচ্ছে। এবার আরিয়ানের মা প্রশ্ন করলেন,

– রাকা তুমি কি রান্না করতে পারো?

রাকা একবার নিজের ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে নিল তারপর আবারো নিচের দিকে দৃষ্টি রেখে,
– না।

আরিয়ানের মা মুখটা বাঁকা করে,
– কি বলো রান্না পারো না, তাহলে বিয়ের পর করবেটা কি?

রাদিফের মায়ের দিকে তাকিয়ে,
– আপা মেয়েকে রান্না শিখাননি কাজকর্ম শিখাননি তাহলে কি করে হয় আমি চেয়েছিলাম আমার ছেলের জন্য একজন ঘরোয়া মেয়ে আনতে।

রাকার মুখটা চুপসে গেছে এখনো নিচের দিকে তাকিয়ে আছে আরিয়ানও চুপ।রাদিফ শুধু কথাগুলো শুনছে আর আরিয়ানের হাবভাব দেখছে আর বুঝার চেষ্টা করছে তার পরিবারের মানুষদের মন মানসিকতা। আরিয়ানের মা আবারো ফূরনকেটে বললেন,

– কত বিয়ের প্রস্তাব আসে ছেলের জন্য মেয়ের বাবারা তো কতকিছু দিতেও রাজি কিন্তু ছেলে বলল তাই আর কি দেখতে আসলাম আপনাদের মেয়েকে কিন্তু সে তো কোন কাজকর্ম জানে না।

আরিয়ানের বাবা আরিয়ানের মা’কে ঝাঁঝালো কন্ঠে,
– কি শুরু করেছো এসব? বাড়ির জন্য কি কাজের মেয়ে খুঁজতে এসেছ বেশি কথা।

আরিয়ানের মাও কম না তিনিও স্বামীকে ধমক দিয়ে,
– তুমি চুপ করো ভালো করে যাচাই করেই ছেলের বউ বাছাই করতে হবে।

এবার রাদিফ আর চুপ করে থাকতে পারলো না সেও বলা শুরু করল,
– রাকাকে এত তাড়াতাড়ি বিয়ে দেওয়ার ইচ্ছে ছিল না তাই কোন কাজকর্ম শেখানো হয়নি। আপনার ছেলের জন্য এত ভালো ভালো সম্বন্ধ আসে অথচো আপনার ছেলে আমার বোনের পেছনে পরে আছে।

এবার আরিয়ানের দিকে তাকিয়ে,
– তুমি জানো না তোমার বাবা-মায়ের কেমন মেয়ে পছন্দ? অযথা আমার বোনের পিছনে পরে ছিলে কেন? বাড়ির জন্য কি কাজের মেয়ে খুঁজতে এসেছো? এমনিতেও তোমার ব্যাপারে আমার কোন ইন্টারেস্ট নেই শুধুমাত্র আমার বোন বলেছে বলে কথা বলতে রাজি হয়েছি আর প্রথমদিনই অপছন্দের লিস্টে পড়ে গেলে বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা না বলেই এখানে আসা ঠিক হয়নি।

রাকাকে উদ্দেশ্য করে,
– কি এই ছেলেকে বিয়ে করার ইচ্ছে এখনো আছে? থাকলে এখনি চলে যেতে পারিস আমাদের কোন আপত্তি নেই।

রাকা কিছু বলল না তার খুব লজ্জা লাগছে বিশেষ করে ভাইয়ের দিকে তাকাতে বসা থেকে উঠে দ্রুত পায়ে হেঁটে ঘরে চলে গেল। রাদিফের মা এবার বলতে লাগলেন,

– দেখুন আপা আপনারা না বললেও আমরা মেয়েকে খালি হাতে পাঠাতাম না একটামাত্র মেয়ে ওর বিয়ে নিয়ে আমাদেরও অনেক ইচ্ছে আছে আমারও ছেলে আছে, ছেলে বিয়েও করেছে কিছুদিন হয়েছে বউমা রাকার বয়সী এখনো বাচ্চামী যায়নি। যতটুকু নিজ ইচ্ছায় জোর করে হাতে হাতে কাজ করে দেয় এতেই আমি সন্তুষ্ট, এছাড়া বাড়িতে কাজের লোক আছেই আপনার ব্যাপারটা বুঝলাম তবে সরাসরি এভাবে বলা উচিত হয়নি নিজের ছেলেকে আগে থেকেই বলে দেওয়া উচিত ছিল আপনারা কেমন মেয়েকে পুত্রবধূ হিসেবে চান। আর আরিয়ান বাবা তোমাকে বলছি যেহেতু বাবা-মায়ের উপর কথা বলতে পারো না কোনটা ভুল কোনটি সঠিক বুঝাতে না পারো তাহলে অন্য মেয়েকে ভালোবাসা উচিত হয়নি।

আরিয়ান এবং আরিয়ানের পরিবারের মুখটা মলিন হয়ে গেছে হয়তো তারাও তাদের ভুলটা উপলব্ধি করতে পেরেছে তবে আর কিছু বলেনি। আরিয়ানের পরিবার চলে যেতে চেয়েছিল কিন্তু রাদিফ এবং রাদিফের মা জোর করে তাদের খাবার খাইয়ে দিয়ে বিদায় দিয়েছে।

চলবে……..