প্রেম প্রয়াস পর্ব-১০

0
950

#প্রেম_প্রয়াস
#মাশফিয়াত_সুইটি(ছদ্মনাম)
পর্ব:১০

রাত অনেক হয়েছে রাকা ছাদে বসে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে রাদিফ গিয়ে বোনের পাশে বসে মাথায় হাত বুলিয়ে,
– রাগ করেছিস ভাইয়ের উপর?

রাকা দীর্ঘশ্বাস ফেলে,
– সরি ভাইয়া।

– সরি কেন?

– তোমাদের অপছন্দের কাজ করেছি।

– একটা কথা জানিস কি তোর এই বয়সটা আবেগের, এই বয়সে আবেগটাকেই সবাই প্রশ্রয় দেয় তবে আবেগে জীবন চলে না আমরা তোর আপনজন নিজের মানুষ সবসময় তোর ভালো চাই তোকে ভালো রাখার চেষ্টা করি আমি চাই যাতে তুই ভালো থাকিস তবে তোরও নিজের জীবন সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পুরোপুরি অধিকার আছে কিন্তু নিজেকেও তো নিজের ভবিষ্যৎ আর সুখ নিয়ে চিন্তা করা উচিত।

– হুম।

– আরিয়ান ছেলেটাকে খারাপ মনে হয়নি তবে প্রতিবাদ করতে পারে না বাবা-মা যা বলবে তাই সে চুপচাপ শুনবে মানুষ মাত্রই ভুল করে সবার বিবেক বুদ্ধি,ব্যবহার এক নয় কিন্তু মানুষ হিসেবে আমাদের উচিত মানুষের ভুলটা ধরিয়ে দেওয়া আরিয়ানের উচিত ছিল নিজের মা’কে বুঝানোর কিন্তু না সে চুপ করে শুনলো।

রাকা চুপ করে আছে লজ্জায় তাকাতে পারছে না।রাদিফ আবারো বলল,
– তোর এখনো ইচ্ছে থাকলে বলতে পারিস তোদের দু’জনের বিয়ে দিয়ে দিবো বাকিটা তোরা বুঝে নিবি।

– প্লিজ ভাইয়া আর লজ্জা দিও না আমি কখনোই তোমাদের অমতে কিছু করবো না আমার থেকে তোমরাই আমরা ব্যাপারে ভালো সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।

– মন খারাপ করিস না যা সৃষ্টিকর্তা তোর জন্য রেখেছে তাই হবে এবার যা খাবার খেয়ে নিশ্চিন্ত মনে ঘুমা কাল কলেজে যেতে হবে তো।

রাকা রাদিফের কথা মত নিচে চলে গেল।রাদিফ একাই বসে আছে এখন তাশফা গুটিগুটি পায়ে রাদিফের পিছনে এসে,
– ভাউ..

রাদিফ মুচকি হেসে তাশফাকে টেনে নিজের পাশে বসিয়ে,
– শেষ পর্যন্ত একটা বাচ্চা বিয়ে করতে হলো।

– কে বাচ্চা?

– তুমি।

– আমি কলেজে পড়ি আর কিছুদিন পর পরীক্ষা দিয়ে ভার্সিটি চলে যাবো হুহ।

– ভার্সিটি যেতে অনেক দেরি আছে, তুমি নিজেই বারবার প্রমাণ করে দাও তুমি যে বাচ্চা।

– আমি বাচ্চা হলে আপনি বুইড়া ব্যাটা।

– আর তুমি সেই বুইড়া ব্যাটার জন্য কান্নাকাটি করেছো।

– উফ এই কথাগুলো সারাজীবন বলতেই থাকবে মাথায় বারি মেরে সব ভুলিয়ে দিতে হবে।

রাদিফ মৃদু হেসে তাশফাকে কোলে তুলে নিয়ে,
– পিচ্চি বিয়ে করা মানেই জ্বালা।

রাকা ঘরে এসে ঘুমানোর চেষ্টা করেও ঘুমাতে পারছে না সে তো আরিয়ানকে সত্যিকারের ভালোবেসেছে। মোবাইলটা হাতে নিতেই আরিয়ানের নাম্বার থেকে অনেকবার কল এবং এসএমএস এসেছে দেখতে পেল রাকা।কল ব্যাক করবে নাকি ভাবতে ভাবতে আবারো কল আসলো রাকা কলটা ধরতেই অপরপাশ থেকে আরিয়ান অশান্ত গলায়,

– কখন ধরে কল দিচ্ছি ধরছিলে না কেন? মেসেজ গুলোও দেখনি, কি হয়েছে রাগ করেছো আই অ্যাম সরি।

– মোবাইল সাইলেন্ট ছিল আর আমি ছাদে ছিলাম তাই দেখতে পাইনি।

– আমি ভাবতে পারিনি মা এমন আচরণ করবে তোমার সঙ্গে আমিও কখনো মায়ের মুখের উপর কথা বলিনি তাই তখন কিছু বলতে পারিনি তবে আমি…

– বাদ দাও এসব কথা যা হওয়ার হয়ে গেছে ভুলে যাও সব।

– থ্যাঙ্ক গড তুমি আমায় বুঝতে পারলে এবারের মত তোমার ভাইয়াকে আরেকবার ম্যানেজ করে নেও।

– প্রথমবার বলেই ভুল করেছি আর এসব নিয়ে ভাইয়ার সাথে কথা বলতে চাই না তুমি বরং তোমার বাবা-মায়ের পছন্দের মেয়েকে বিয়ে করে নিও এবার থেকে ভাইয়া যা বলবে তাই শুনবো।

– রাকা কি বলছো এসব তুমি কি আমাদের সম্পর্কটা শেষ করে দিতে চাইছো?

– আমি শেষ করতে চাইনি তুমি বাধ্য করেছো যাই হোক আর কখনো কল করো না বাই।

কলটা কেটে মোবাইলটা বিছানায় ছুড়ে ফেলে দিল রাকা। পরিবার থেকে কেউ বেশি আপন হতে পারে না, পরিবার প্রথম ভালোবাসতে শেখায় বারবার কথা বলতে গিয়ে যখন মুখে আটকে যায় তখন পরিবার কথা শেখায়, হাঁটতেও পরিবার শিখিয়েছে। পরিবার কখনো খারাপ চায় না পরিবার আমাদের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে সঠিক মানুষ খোঁজে, দু’দিনের আবেগে পরে ভুল মানুষকে বেছে নিয়ে পরিবারের বিরুদ্ধে গিয়ে পরিবারকে কষ্ট দেওয়া বোকামি।
________________
কেটে গেছে এক সপ্তাহ আরিয়ান অনেক বার চেষ্টা করেছিল রাকার সাথে কথা বলার কিন্তু রাকা সেই সুযোগ দেয়নি প্রতিদিন রাদিফের সঙ্গে কলেজে গেছে এবং ছুটি হলো তাশফার সাথে বাড়িতে চলে এসেছে। আজকে ছুটির দিন দুপুরে সবাই একসঙ্গে খাবার খাচ্ছিল তখনি রাদিফের মা রাদিফের উদ্দেশ্যে বললেন,

– আমি ভাবছিলাম তোর আর তাশফার রিসেপশন করে ফেলতে বিয়ের পরেরদিন বৌভাত করতে হয় কিন্তু তা তো আর করা হলো না।

– এখন এসব করার মত সময় ইচ্ছে নেই, বিয়ে করেছি এটাই অনেক।

তাশফা ব্রু নাচিয়ে,
– এমন ভাব করছেন যেন কখনো বিয়ে করতেন না।

– আপাতত করার ইচ্ছে ছিল না তোমার জন্য বাধ্য হয়ে করতে হয়েছে।

তাশফার গাল দুটো রাগে লাল হয়ে গেছে চোখ‌ দিয়েই যেন রাদিফকে ভৎস করে দিবে। রাদিফের মা মৃদু ধমক দিয়ে,

– উফ তোরা চুপ কর তো আমি যখন বলেছি রিসেপশন হবে তো হবেই, বিয়ের পর তাশফা একবারও বাবার বাড়িতে বেড়াতে যায়নি ওর বাবা-মা তো কতবার ফোন করে বলছে যেন তোদের পাঠাই।

– বিয়ে করা সত্যি সত্যি ঝামেলা।

– তোর কাছে তো সব ঝামেলা তবে তোর চিন্তা নেই আমি,রাকা মিলে সব আয়োজন করে নিব তোকে দরকার নেই কি বলিস রাকা।

রাকা উৎসুক হয়ে,
– হুম আম্মু আমরাই সব করে নিব।

খাওয়া শেষ করে রাদিফ ঘরে চলে গেল বিয়ের পর যে এত এত ঝামেলা তার ঘাড়ে চাপবে জানলে বিয়েই করতো না মনে মনে এসব ভাবনাই রাদিফের। তাশফা ঘরে এসে চুপচাপ বিছানার এক কোণে বসে ফ্যানের দিকে তাকিয়ে আছে রাদিফ তার দিকে আড়চোখে তাকিয়ে ভাবছে,’ঝড় তুফান হঠাৎ থেমে গেছে কিভাবে?’

রাদিফের ভাবনায় ছেদ পড়ল তাশফা উঠে রাদিফের মুখে কিছু একটা মেখে দিয়ে হাসিতে ফেটে পড়েছে। রাদিফ বোকার মত হা করে তাকিয়ে আছে গালে হাত দিয়ে ঘষে হাতের দিকে তাকিয়ে,

– এগুলো কি? মনে তো হচ্ছে ক্রিম কিন্তু দেখতে কালো কেন?

– কলমের কালি ঢেলে দিয়ে কালো করেছি এবার আপনাকে দেখতে পুরো কালো রাজা লাগছে।

রাদিফ এবার রাগী লুক নিয়ে,
– এসব আমার মুখে মাখলে কেন?

– তখন খাবার টেবিলে সবার সামনে কি বলেছিলেন মনে আছে শোধ তুললাম।

– কিন্তু এগুলো হাতে করে আনলে কখন?

– রাকার ঘরে গিয়ে করে তারপর এসেছি।

রাদিফ বিছানা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে,
– দাঁড়াও তোমায় মজা দেখাচ্ছি।

বলেই তাশফার কাছে যাওয়া ধরল তাশফাও দিল দৌড়।তাশফা পুরো ঘর দৌড়াচ্ছে রাদিফও তার পিছু পিছু দৌড়াচ্ছে ধরার জন্য কিন্তু এই বিচ্ছু তাশফাকে ধরতেই পারছে না।রাদিফ এবার থেমে গেল মনে মনে ভাবছে,’এই মেয়ে এসব দুষ্টুমির উপর ডিগ্ৰি নিয়েছে এর সঙ্গে এভাবে পারা যাবে না বুদ্ধি দিয়ে ধরতে হবে।’

তাশফাও থেমে গেছে রাদিফের দিকে তাকিয়ে,
– কি থেমে গেছেন কেন? বলেছি না আমায় ধরতে পারবেন না হুহ।

রাদিফ মাথায় হাত দিয়ে বিছানায় বসে,
– আমার মাথাটা ব্যাথা করছে।

তাশফা হন্তদন্ত হয়ে রাদিফের পাশে বসে,
– দেখি কোথায় ব্যাথা করছে অনেক ব্যাথা লাগছে তাই না টিপে দিবো।

রাদিফ মুহূর্তেই তাশফার হাত দুটো নিজের হাতে বন্দি করে তাশফার গালের সাথে নিজের গাল ঘষে মুচকি হেসে,
– ব্যাথা চলে গেছে।

তাশফা বোকা হয়ে গেছে মুখ গোমড়া করে,
– মিথ্যুক একটা মিথ্যে বলে আমায় ধরেছেন।

– এমন দুষ্টু মেয়েকে মিথ্যে বলেই ধরতে হয়।

– আমার গালটা নষ্ট করে দিলো উফ এখন গিয়ে ধুতে হবে।

– তুমিও তো আমারটা নষ্ট করেছো।

– বেশ করেছি।

কিছুক্ষণ দু’জনে মিলে ঝগড়া করে তারপর মুখ ধুয়ে বিছানায় বসে পড়ল।খোলা এলোমেলো চুলে তাশফাকে যেন অনেক সুন্দর লাগছে যা রাদিফের চোখ এড়ায়নি মুগ্ধ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে নিজের বউয়ের দিকে ওদিকে তাশফা তো বিড়বিড় করে রাদিফকে ইচ্ছে মত বকছে। রাদিফ হঠাৎ করে তাশফার হাত জোরে টান দিয়ে নিজের কাছে নিয়ে আসে মুখের উপরে চলে আসা চুল গুলো কানের পিছনে গুজে দিলো। তাশফা ভিতু চোখে তাকিয়ে আছে তার ভাবনা রাদিফ হয়তো তার মনের কথা গুলো শুনে ফেলেছে এর জন্যই কাছে এনেছে। তাশফার ধারণাকে ভুল প্রমাণ করে দিয়ে নিজের অজান্তেই তাশফার গালে গভীর চুম্বন এঁকে দিলো রাদিফ। তাশফার চোখ গুলো বড় বড় হয়ে গেছে হা করে তাকিয়ে আছে রাদিফ মুখ গম্ভীর করে,

– এভাবে তাকিয়ে আছো কেন যাও গিয়ে ঘুমাও।

তাশফা এখনো তাকিয়েই আছে এবার রাদিফ গলা খাঁকারি দিয়ে,
– তুমি কি চাচ্ছো আমি এখন তোমাকে কোলে নিয়ে বিছানায় শুইয়ে দেই?

তাশফা চেঁচিয়ে,
– না না আমি নিজেই যাচ্ছি।

বলেই দ্রুত গিয়ে চোখ বন্ধ করে শুয়ে পড়ল।রাদিফের খুব হাঁসি পাচ্ছে কিন্তু জোর করে হাঁসি আটকে রেখে সেও গিয়ে তাশফার পাশে শুয়ে পড়েছে।
________________
মাঝখানে দু’দিন কেটে গেছে আজ রাদিফ আর তাশফার রিসেপশন। কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজন করা হয়েছে সকল আত্মীয় স্বজন পরিচিত মানুষেরা আসা শুরু করে দিয়েছে। রাকা নিজ দায়িত্বে তাশফাকে সাজিয়েছে, তাশফাকে অনেক সুন্দর লাগছে ওকে দেখে রাদিফের ছোট খাটো একটা হার্ট অ্যাটাক হয়েই গেছে তবে বুঝতে দেয়নি।

রাদিফ তাশফার কাছে আসতেই তাশফা রাদিফকে চোখ মেরে,
– আপনাকে অনেক হট লাগছে আবারো প্রেমে পড়ে গেলাম।

– হট তো আমি শুরু থেকেই ছিলাম যার দরুন তাশফা রানি আমার জন্য পাগল।

তাশফা চোখ গরম করে,
– আল্লাহ আমাকে উঠিয়ে নেও এই বজ্জাতের এই এক খোঁটা শুনতে শুনতে জীবন শেষ হয়ে যাবে।

একটু পরেই তাশফার বাবা-মা আর ভাই এসে গেল তারা মেয়ে এবং মেয়ে জামাইয়ের সাথে কিছুক্ষণ কথা বলে বেয়াইনের কাছে চলে গেলেন। তাশফা ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে,

– কিরে উগান্ডা যেই আমি বাড়িতে ছিলাম না সেই সব কিছু খেয়ে পেট ফুলিয়ে ফেলেছিস।

তাশফার ভাই রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে,
– দেখ আপু একদম আমাকে রাগাবি না বলে দিলাম।

– তোরে রাগানোর মত টাইম নাই আমার এমনিতেও আমি বাচ্চাদের পেছনে লাগি না।

রাদিফ ওদের কাছে এসে বসে,
– তুমি নিজেই তো বাচ্চা আবার আরেক বাচ্চার পেছনে লাগবে কি করে।

তাশফার ভাই হেসে দিলো তাশফা রাগ দেখিয়ে,
– আমার মান সম্মান শেষ না করলে আপনার ভালো লাগে না?

– না।

তাশফার ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে,
– তো শালা তোমার নাম কি?

– তাফিন।

– নামটা সুন্দর সাথে তুমিও।

– আপুর থেকেও সুন্দর তাই না দুলাভাই।

– হুম তোমার আপুর থেকেও তুমি অনেক সুন্দর।

তাশফা মুখ বাঁকিয়ে,
– মোটেও না আমি বেশি সুন্দর।

তাফিন তাশফাকে ভেংচি কেটে,
– দুলাভাই বলেছে আমি বেশি সুন্দর তুই পঁচা।

বলেই দৌড় লাগাল,তাশফাও তার পেছনে পেছনে উঠতে যাবে রাদিফ হাত ধরে আটকে,
– আরে কোথায় যাচ্ছো তুমি যদি এখন দৌড়াও তাহলে মানুষ কি বলবে তুমি না নতুন বউ।

তাশফা থেমে গিয়ে চারিদিকে একবার তাকিয়ে শান্ত হলো ভাইকে পেয়ে সে ভুলেই গিয়েছিল আজ তার রিসেপশন। একজায়গায় অনেকক্ষণ ধরে তাশফা বসে আছে খুব বোরিং লাগছে। রাকা তাশফার হাতে একটা আইসক্রিম ধরিয়ে দিয়ে আরেকটা নিজে খেতে খেতে,

– কি রে মুখটা এমন করে রেখেছিস কেন? খুব তো বড় মুখ করে বলেছিলি ভাইয়ার সাথে বিয়ে হওয়ার কথা জানলে বিয়েতে ইনজয় করতি এখন সুযোগ এসেছে রিসেপশনে ইনজয় কর।

– চুপ থাক এমনিতেই এভাবে বসে থাকতে বিরক্ত লাগছে তার উপর তোর ফাউ প্যাচাল।

– হুম এখন আমার কথা ফাউ প্যাচালই মনে হবে বিয়ের পর সবাই বদলে যায়।

– আমার বিয়ে হয়েছে কই মনে হয় না তোর ভাই আমাকে যেভাবে শাসন করে আমার বাবা-মাও অতোটা করেনি।

– আফসোস করে লাভ নেই তুই আমার ভাইকেই চেয়েছিলি।

– হুম।

রাকাকে রাকার মা ডাক দিতেই রাকা চলে গেল রাদিফ আবারো এসে তাশফার পাশে বসতেই তাশফা প্রশ্ন করল,
– কোথায় ছিলেন এতক্ষণ?

– মিস করছিলে!

– হুম অনেক।

সামনে চোখ যেতেই লোকটিকে দেখে তাশফা চমকে গেল।রাদিফের হাত ঝাঁকিয়ে,

চলবে………