#বাড়ির_নাম_বৃষ্টিলেখা
#পর্ব-১৭
আম কাঁঠালের দিন শুরু হতে আর কয়েকদিন বাকী। কাঁচা আম কুড়িয়ে আচার বানিয়ে বয়াম ভরে রাখা হচ্ছে। পলিন, পিকু, পিয়াস সবার পরীক্ষা চলছে। বাড়িতে হৈ হৈ ভাব টা এখন কম। আবির ঢাকা টু বাড়ি আসা যাওয়া করছে। চাকরির জন্য খুব চেষ্টা চালাচ্ছে। আতিফ ব্যস্ত পড়াশোনা নিয়ে। বৃষ্টির অবশ্য সময় কাটে বই পড়ে। কলেজ লাইব্রেরী থেকে বই এনে পড়ে। মাঝেমধ্যে বাজারের লাইব্রেরী থেকেও দুই একটা প্রেমের উপন্যাস কিনে আনে। পলিনের অবশ্য বই পড়ায় আগ্রহ নেই। তবে বৃষ্টির মুখে কাহিনী শুনতে ভীষণ ভালো লাগে।
বাড়ির সবাই আছে যে যার মতন। টুকুর মায়ের সঙ্গে নিলুফারের ভাব টা এখনো হয় নি। লিলুফার অবশ্য চেষ্টা করে যাচ্ছে ভাব করার। কিন্তু টুকুর মা দেখতেই পারে না। রেনু অবশ্য নিলুফার কে বলেছে বেশী কাছে না ঘেষতে। কিন্তু নিলুফার সেকথা তেমন শুনছে না।
টুকু আসে প্রতি সপ্তাহে। বিয়ের পর টুকুর লজ্জা বেড়েছে। প্রতি সপ্তাহে যখন আসে তখন মুখ দেখে মনে হয় লজ্জায় মরে যাবে। আর যখন যাবে তখন মুখ শুকিয়ে ছোট হয়ে যায়। টুকুর ভাবগতিক দেখে বৃষ্টি একদিন মা’কে বলল,
“মা নিলুফার কে টুকু ভাইয়ের সঙ্গে পাঠিয়ে দাও। বেচারার হয়তো খুব কষ্ট হচ্ছে। মুখে তো আর বলবে না।”
নিলুফার কে এই প্রস্তাব দেয়া হলে সে রাজী হলো না। সে এই বাড়িই থাকবে। বৃষ্টির সঙ্গে নিলুফারের খানিকটা ভাব হলো। পলিনের পরীক্ষা বলে নিলুফার পলিনের কাছে তেমন যায় না। গেলেই পলিনের গল্প শুরু হয়ে যায়। সেই সময়ে ওদের ভালোই ভাব হলো। বৃষ্টি নিজেও টুকটাক গল্প করে। নিলুফার ওর মাথায় তেল দিয়ে দেয়। তেল না দিতে চাইলে চুল টেনে দেয়।
***
পলিনের পরীক্ষা শুরু হলেও আতিফ ও’কে পড়াতে আসে। সবসময়ের মতো এবারেও ওর অংক পরীক্ষা খারাপ হলো। আতিফ বলল,
“যা করিয়েছি তার মধ্যে থেকেই তো এসেছে। তবুও পারলে না কেন?”
“জানিনা। প্রশ্ন হাতে পেলেই সব ভুলে যাই।”
“এটা আবার কেমন রোগ!”
পলিন জবাব দেয় না। চুপ করে থাকে। আতিফ আবারও বলে,
“পাশ করবে তো?”
“জানিনা। ফেল করলে তো এবার সামনে পেছনে দুজন কে নিয়ে করব। কারন ওরা আমার খাতা দেখে লিখেছে।”
আতিফ দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল,
“ওদের চিন্তা বাদ দাও। তুমি নিজের চিন্তা করো। এবার ফেল করলে আমি আর তোমাকে পড়াতে আসব না।”
পলিনের মন খারাপ হলো। মন খারাপ করা গলায় বলল,
“অংক আমার কাছে কঠিন লাগে। অংক বই খুললেই মনে হয় এরচেয়ে শ্বশুর বাড়ি গিয়ে হাড়ি পাতিল ধোয়া ভালো। তাতে কষ্ট কম। বেশী করে ছাই নিয়ে দুটো ঘষা দিলেই কেচ্ছা খতম। ”
আতিফ শব্দ করে হেসে ফেলল। পলিন বিস্মিত চোখে তাকালো। কী সুন্দর হাসি!
খানিকটা লজ্জাও পেল।
****
পরীক্ষা শেষে পলিন আর বৃষ্টির ঢাকায় যাওয়া হলো। বেড়াতে যাওয়া নয়। দাদীর চোখ অপারেশন এর জন্য যাওয়া হলো। বৃষ্টি, পলিন আর ছোট চাচা। টুকু তো আগেই থেকেই ঢাকায় ছিলো। কয়েকটা দিন ওদের থাকতেও হলো হাসপাতালে। এই সময়ে আবির অবশ্য নিয়মিত আসা যাওয়া করেছে। তবে বৃষ্টির সঙ্গে খুব একটা কথাবার্তা হয় নি। সেদিন রাতের ঘটনার পর দুজনের কেউই আর কথা বলে নি। এমনকি ভাববাচ্যে কথাবার্তাও হয় নি।
বাড়ি আসার দুদিন আগে পলিন বলল,
“আবির ভাই তুমি আমাদের একটু ঘুরতেও নিয়ে গেলে না?”
“তোরা যাবি ঘুরতে?”
“হ্যাঁ যাব।”
বৃষ্টি বলল, আমি যাব না।
আবির বলল, না গেলে নাই। আমি কী কাউকে জোর করছি। পলু বলল তাই জিজ্ঞেস করলাম।
পলিন বিরক্ত গলায় বলল, তোমরা ঝগড়া করার চেষ্টা কোরো না। আর বুবু তুমিও আমাদের সঙ্গে যাবে প্লিজ।
বৃষ্টি কঠিন গলায় বলল, না।
তবুও ওদের সঙ্গে ঘুরতে যেতে হলো। ঘুরতে বেরিয়ে বুঝতে পারলো যে কী ভুল করেছে! গরমে মরে যাবার উপক্রম। বেশী ঘোরাঘুরি করাও গেল না এই গরমের জন্য। আবির অবশ্য নিয়ে যেতে চাইছিল। ওরা আর যেতে রাজী হয় নি। আবির পলিন কে কিছু কসমেটিকস কিনে দিলো। আর বৃষ্টিকে কিনে দিলো কিছু বই। বই দেখে বৃষ্টি আর তেমন কিছু বলে নি।
ওরা বাড়ি ফিরে এলো। বাড়ি ফেরার পর ব্যস্ততায় বইগুলো খুলে দেখার সময় পেল না। কয়েকটা দিন এভাবে কেটে গেল। কয়েক দিন পর যখন বইগুলো পেল তখন খুলে দেখলো ভেতরে একটা চিঠিও আছে। ছোট্ট কয়েক লাইনের চিঠি। আবির লিখেছে,
“তুই আসলে কার মতো বলতো? রবীন্দ্রনাথের লাবণ্য নাকি সমরেশ এর দীপাবলি? নাকি হুমায়ূন আহমেদের মৃন্ময়ী!
বৃষ্টি চিঠি পড়ে মৃদু হাসলো। রাতে পলিন ঘুমিয়ে পড়ার পর আবিরের চিঠির উত্তরে লিখলো।
আবির ভাই,
তুমি সেই আগের মতোই আছো বুঝলে! আমি লাবণ্য, দীপাবলি কিংবা মৃন্ময়ী না। আমি বৃষ্টিলেখা। সাদামাটা এক মেয়ে। যে কিশোরী বেলায় পাশের বাড়ির ছেলের প্রেমে পড়ে লুকিয়ে শাড়ি পরে আয়নার সামনে তাকিয়ে থাকতো। কালে ভদ্রে সেই ছেলেটার সামনেও সাহস করে যেতো। আর ছেলেটা কঠিন কঠিন কিছু কথা শুনিয়ে দিতো। আমি সেই বৃষ্টিলেখা যে শুক্রবার সিনেমা দেখতে বসে অপেক্ষা করতাম কখন বিজ্ঞাপন শুরু হবে আর কখন বাড়ির সামনের রাস্তায় উঁকি দিয়ে পাশের বাড়ির ছেলেটাকে দেখতে পাব।
আমি কোনো গল্প, উপন্যাসের নায়িকা নই বলে হাতের নাগালে স্বপ্নকে পেয়েও ছুঁয়ে অনুভব করতে পারি না।
চলবে….
#বাড়ির_নাম_বৃষ্টিলেখা
#পর্ব-১৮
এবারের গরমের ছুটিটা যেমন তেমন ভাবেই কেটে গেল। ঢাকা থেকে ফিরে পলিন আর বৃষ্টির মামার বাড়ি যাবার কথা থাকলেও যেতে পারলো না। বাড়িতে একগাদা মেহমান এলো। নিলুফারের বাপের বাড়ির লোকজন এলো মেয়ের শ্বশুর বাড়ি দেখতে। তাও কম নয়, বাচ্চা, কাচ্চা মিলিয়ে ন’জন। বাড়িতে সকাল বিকাল রান্না হয়। একবেলার রান্না শেষ হতেই আরেকবেলার রান্নার আয়োজন শুরু করতে হয়। দিনে দুই তিন বার করে ঘর গোছাতে হয়। দুটো বিচ্ছু বাচ্চার সঙ্গে তাল মিলিয়ে পিকু আর পিয়াসও সারাদিন বদমায়েশী করে বেড়ায়। সব মিলিয়ে সকলের নাজেহাল অবস্থা। কোনো কিছু না করা পলিন কেও এখন কাজ করতে হয়।
আবির অনেক দিন বাড়িতে আসে না। কী নাকি কাজে ব্যস্ত। এর মধ্যে জ্বরে পড়ে দুদিন হাসপাতালেও কাটিয়ে এসেছে। দুলু বাড়িতে নেই। শ্বশুর বাড়ি গেছে কিছুদিন থাকবে বলে। বাড়িতে শুধু আতিফ আর ওর মা। আতিফের দিনকাল কাটছে কোনোরকম। পড়াশোনায় আজকাল মন বসছে না। পড়াশোনা ছাড়া সবকিছুই ভালো লাগে। ঘুরে বেড়াতেও ভালো লাগে। পলিন কে পড়াতে গিয়ে ওর রোগে ধরে ফেলল নাকি!
পলিনের আজকাল দেখা পাওয়া মুশকিল। বাড়িতে অতিথি আছে বলে পড়াশোনার পাট চুকে গেছে। এই বাড়িতেও খুব একটা আসে না। তাই দেখাও হয় না। তবে এরমধ্যে একদিন সেজেগুজে বাচ্চাপার্টি নিয়ে বেড়াতে গেছে তখন আতিফের সঙ্গে দেখা হয়েছিল। এমন ভাব করলো যে আতিফ কে যেন চিনতেই পারছে না। আতিফও আগ বাড়িয়ে কিছু জিজ্ঞেস করতে যায় নি।
বৃষ্টির দিন কাটছে ছন্দহীন ভাবে। মাঝেমধ্যে বই খুলে দেখা হয়। রাত জেগে বই পড়া আর পলিনের সঙ্গে গল্প করা ছাড়া তেমন কোনো কাজ নেই। এরকম একঘেয়ে জীবনে খুব যে খারাপ লাগে তেমন না, তবে কিছুটা অন্যরকম হলে মন্দ হয় না।
***
বৃষ্টিদের বাড়িতে আজ একটা ঘটনা ঘটে গেছে। বৃষ্টি আর পলিনের খাট টা ভেঙে গেছে। সবগুলো বাচ্চা মিলে খাটে উঠে লাফালাফি করে খাট ভেঙে ফেলেছে। একে তো বাড়ি ভর্তি মানুষ তার উপর খাট ভাঙা। সেই কারনে ওরা দুজন আবিরদের বাড়িতে গেল ঘুমানোর জন্য।
আতিফের সঙ্গে সামনাসামনি দেখা হতেই পলিন হেসে বলল,
“কেমন আছেন?”
আতিফ একটু থেমে বলল,
“তোমার কী অবস্থা? পড়াশোনা নাকি ছেড়ে দিচ্ছো?”
পলিনও হেসে বলল, হ্যাঁ। বিয়ের জন্য অপেক্ষা করছি।
বৃষ্টি ধাক্কা মেরে বলল, কী ফাজলামো করছিস?
পলিন আবারও বলল,
“আপনার কী খবর? ”
আতিফ শুকনো গলায় বলল,
“ভালো। ”
বৃষ্টি আতিফ কে ভালো করে দেখে বলল,
“কী রে তোকে এমন দেখাচ্ছে কেন! প্রেমে টেমে পড়েছিস?”
আতিফ শুকনো কেশে বলল, না না। আসলে গরম পড়েছে তো তাই।
পলিন ফোড়ন কেটে বলল, কই বেশী গরম তো পড়ে নি। দুদিন পর পর ই তো বৃষ্টি হচ্ছে।
আতিফ পলিনের দিকে তাকালো। পলিন মিটিমিটি হাসছে। বৃষ্টি দুজন কেই দেখছে। অবস্থা তো সুবিধার না৷ আতিফ তাড়াহুড়ো করে উঠে গেল। আতিফ উঠতেই পলিন শব্দ করে হেসে ফেলল।
রাতে ঘুমাতে গিয়ে বৃষ্টি বলল,
“সত্যি করে বল তো পলু তোর আর আতিফের মধ্যে কী চলছে?”
“কিচ্ছু না বুবু।”
“মিথ্যে বলবি না। মার খাবি।”
“আমার দিক থেকে কিচ্ছু না। তবে বেচারা মনে হয় পঁচা শামুকে পা কেটে ফেলছে।”
“মানে?”
পলিন হাসতে হাসতে বলল,
“মানে বেচারা আমার প্রেমে পড়েছে।”
“তুই কী করে বুঝলি?”
“মেয়েরা এই বিষয়গুলো বুঝতে পারে। তাছাড়া আমার বুদ্ধি একটু বেশী। ”
“ওহ আচ্ছা! আমার তো বুদ্ধি একদম ই কম। ”
“হ্যাঁ সেটাই।”
“এই ছেলেটারও শেষ পর্যন্ত বাড়ির পাশে এসে মরতে হলো!”
পলিন শব্দ করে হেসে ফেলল। বলল,
“বুবু আমার একটা কাজ করতে ইচ্ছে করছে। ”
“কী কাজ?”
“আমার না আতিফ বলদা কে একটা চিঠি লিখতে ইচ্ছে করছে।”
বৃষ্টি চোখ পাকিয়ে বলল, এসব কী কথাবার্তা! ছিঃ!
“আরে শোনো, প্রেমপত্র না। অন্যকিছু। ”
“অন্যকিছু কী?”
“দাঁড়াও লিখে দেখাই।”
“এখানে কাগজ পাবি কই?”
“আবির ভাইয়ের ঘর থেকে নিয়ে আসি।”
পলিন কাগজ কলম খুঁজে এনে চিঠি লিখলো। লিখে বৃষ্টিকে দিয়ে বলল,
“নাও। এটা দেখে লেখো। তোমার লেখার উপর কলম ঘুরিয়ে লিখলে হাতের লেখা ধরতে পারবে না।”
বৃষ্টি কাগজ টা হাতে নিয়ে শব্দ করে হাসতে শুরু করলো। অনেক কষ্টে হাসি থামিয়ে বলল,
“বেচারা এই চিঠি পেয়ে এক সপ্তাহ পাগল থাকবে।”
পলিন দুঃখী গলায় বলল,
“আহা! বেচারা! বেছে বেছে একটা ফেলু মেয়ের প্রেমে পড়তে হলো! ”
বৃষ্টি আবারও হাসতে শুরু করলো। ”
আতিফ চিঠি পেল পরদিন সকালে। জুতা পরতে গিয়ে কাগজ পেয়ে খুলল। সেখানে লেখা দেখলো,
“আপনার কান দুটো আগের থেকে বড় হয়ে গেছে। বাজারে এরপর যখন চুল কাটাতে যাবেন তখন পাশ থেকে সাইজ করে কান দুটো কাটিয়ে নিবেন। দেখতে খরগোশের মতো লাগে। যখন হাটেন তখন কান দুটো হরিনের মতো লাফায়। কোন দিন দেখা যাবে জোর করে চিড়িয়াখানায় ধরে নিয়ে গেছে। ”
চিঠি পড়ে আতিফের কিছু বুঝতে বাকী রইলো না। কান দিয়ে আগুন বেরোচ্ছে। নিজের অজান্তেই হাত দুটো কানের দিকে গেল।
****
এক সপ্তাহেরও বেশী সময় কাটিয়ে মেহমান বিদায় নিলো। বিদায় নেবার পর দেখা গেল অনেকের অনেক কিছু খোয়া গেছে। পলিনের চুলের ক্লিপ, বৃষ্টির বাইরে পরার শাড়ি, দাদীর সুপুরির কৌটো, রেনুর শ্যাম্পুর বোতল। নিলুফারের মুখটা ছোট হয়ে গেল। টুকুর মা অবশ্য খুব খুশি হলেন। থেকে থেকে এই টপিকে কথা বলেন। বাড়ির কেউ সে কথায় পাত্তা না দিলেও বলে যাচ্ছে। শেষমেস বৃষ্টি এসে বলল,
“ফুপু বাচ্চা কাচ্চার বাড়িতে এমন হয়। আমাদের পিকু, পিয়াসও কোথাও গেলে মাঝেমধ্যে এমন করে। ”
টুকুর মা চোখ উল্টিয়ে বলে, কবে করে! আর এইসব বাচ্চাদের কাজ! শাড়ি, শ্যাম্পু বাচ্চারা নিছে!”
বৃষ্টি তর্ক করতে গিয়েও থেমে যায়৷ বাড়ির বড়দের সঙ্গে তর্ক করা ওর স্বভাবে নেই। তবুও এই প্রসঙ্গ এখানে শেষ করার জন্য বলল,
“তোমাকে দেখলে আমার ভয় লাগে ফুপু। বিয়ের পর শ্বশুর বাড়ি গিয়ে যদি তোমার মতো শাশুড়ী আমার কপালে জুটে যায় তাহলে আমাকেও সারাক্ষণ নিলুফারের মতো মুখ ছোট করে, চোখের জল ফেলতে হবে। এরচেয়ে বোধহয় বিয়ে না করাই ভালো। ”
ফুপু বিস্ফোরিত চোখে তাকিয়ে রইলো। আদরের ভাইজির মুখে এমন কথা আশা করে নি। এই কথা নিয়ে টুকুর মা অনেক কান্নাকাটি করলো। বৃষ্টির বাবাকেও নালিশ করা হলো। নিলুফার বৃষ্টিকে বলল,
“বুবু আপনি এইগুলা ক্যান বলতে গেছেন। আমার বাড়ির লোক তো সত্যিই দোষ করছে।”
“তোমার তো আর দোষ নেই। যে দোষ তোমার বাড়ির লোক করেছে তার দায় তোমার না। এই ভাঙা রেকর্ড ততক্ষন চলতো, যতক্ষন কেউ কিছু না বলতো।”
নিলুফার মুখে কিছু না বললেও মনে মনে বৃষ্টির প্রতি কৃতজ্ঞ রইলো। মনে মনে বলল,
“হে আল্লাহ নারকেলের মতো বাইরে শক্ত আর ভেতরে নরম মেয়েটারে তুমি সারাজীবন সুখে রেখো।”
চলবে…..