বিষাদময় প্রহর পর্ব-২৬

0
566

#বিষাদময়_প্রহর
#লাবিবা_ওয়াহিদ
|| পর্ব ২৬ ||

কেবিনের সামনে পায়চারি করছে নিহান আর নির্ঝর।
ভেতরে জামিন রহমানের চিকিৎসা হচ্ছে।
নাফিহার মা অদূরে মিসেস চৌধুরীর কাধে হেলান দিয়ে বসে আছে।
নাফিহার সাথে জিনিয়া এবং নাহিদা আছে।
তাদের কেবিনের অপজিটে সিফাত চৌধুরী দেয়ালের সাথে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
নিবিড় মিটিং এর জন্য হসপিটাল আসতে পারেনি।
নিহানের ফ্যানরা হসপিটালের নিচে চেঁচাচ্ছে।
এইসব চেঁচামেচি নিহানের কানে বিষের মতো লাগছে তাই সে বডিগার্ডদের জানিয়ে দেয় যেন তারা এই হসপিটালের সামনে চেঁচামেচি না করে।
এতে করে পেশেন্টদের ক্ষতি হবে।
কিছুক্ষণ পর ডক্টর বেরিয়ে আসলো।
ডক্টর বেরিয়ে আসতেই সিফাত চৌধুরী আর নিহান এগিয়ে গেলো তার কাছে।

—“পেশেন্টের অবস্থা যে খুব একটা ভালো তা আসলে জোর দিয়ে বলতে পারছি না। দীর্ঘদিন তাকে ড্রাগস দেয়া হতো, মানসিকভাবে অনেক অত্যাচারও করা হয়েছে। তাই সে নিজের উপর ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে। তাকে বেশ কিছু মাস চিকিৎসার মধ্যে রাখতে হবে!”

—“আপনি যা করার করুন ডক্টর। টাকা-পয়সা নিয়ে চিন্তা করবেন না। আপনি শুধু আমার বন্ধুকে সুস্থ করে দিন।”

—“দেখুন আপনাদের সাথে টাকা-পয়সার তুলনা করবেন না। সুস্থ করতে পারে মহান আল্লাহ্ তায়ালা। এখানে আমাদের কোনো হাত নেই, আমরা তো চিকিৎসা দেই মাত্র। দোয়া করুন আর আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো ইনশাল্লাহ্!”

ডাক্তারের কথায় নিহান মুগ্ধ হলো।
ডক্টরটি তাদের পার্সোনাল ডক্টর তাই বেশি সমস্যা হচ্ছে না।

তখনই নাফিহার মা দৌড়ে ডক্টরের সামনে এসে বলে,

—“ডাক্তারসাহেব আমি কি আমার স্বামীর সাথে দেখা করতে পারবো?”

—“জ্বী পারেন তবে এখন না। উনি এখন ঘুমোচ্ছেন। ঘুম থেকে উঠলে তার খাবারের ব্যবস্থা করবেন!”

—“আচ্ছা।”

ডক্টর মুচকি হেসে চলে গেলো।
জামিনের জন্য ভালোমন্দ খাবারের ব্যবস্থা করার জন্য নাফিহার মা তৎক্ষনাৎ মিসেস চৌধুরীকে নিয়ে ছুটলো বাড়ির দিকে।
নিহান গিয়ে নাফিহার পাশে বসলো।
নিহান বসতেই নাহিদা উঠে গেলো জিনিয়াকে নিয়ে।
নিহান নাফিহার হাতে হাত রেখে আশ্বাস দিয়ে বললো,

—“বাবা ভালো হয়ে যাবে নাফি।”

—“উনি এতদিন আমাদের ছেড়ে কোথায় ছিলো??” নির্বাক হয়ে প্রশ্ন করলো নাফিহা।
নিহান চুপচাপ তাকিয়ে থাকলো নাফিহার দিকে।
তারপর একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে,

—“সময় হলে সবটা জানতে পারবে। এখন তুমি নাহিদাকে নিয়ে বাড়িতে যাও, জিনিয়াকেও নিয়ে যাও। এখানে থাকাটা ঠিক হবে না!”

—“থাকি না এমন করেন কেন?”

—“বললাম না যেতে!” চোখ গরম করে বললো নিহান।

—“আমি যাবো না!”

নিহান অনেক জোরাজুরি করার পরেও নাফিহাকে বাড়িতে পাঠাতে পারলো না।
তাই উপায় না পেয়ে সেখানেই গাল ফুলিয়ে থম মেরে বসে রইলো।
আর এদিকে নাফিহা ভাবছে কখন তার বাবা ঘুম থেকে উঠবে, তখন তাকে দেখবে।

অবশেষে সকলের অপেক্ষা শেষে জামিন রহমানের ঘুম ভাঙলো।
প্রথমেই ঢুকলো নাফিহার মা এবং সিফাত চৌধুরী।
জামিন রহমান চোখ ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে এদিক সেদিক দেখছে।
নিজের অযত্নে চুলগুলো উস্কখুষ্ক, পাঁকা দাঁড়ি এলোমেলো।
চেহারা দেখেই বোঝা যাচ্ছে কতো রাত ঘুমায়নি, ঠিকমতো খায়নি।
জামিন রহমানের এই অবস্থা দেখে নাফিহার মা ভেতরে ভেতরে শেষ হয়ে যাচ্ছে।
কিন্তু কিছু করার নেই, ডক্টর বলেছে তাকে আগে স্বাভবিক হাসিখুশি রাখতে হবে।
কারণ উনি আগেই মানসিকভাবে ভেঙ্গে পরেছেন।
তাই নাফিহার মা নিজের চোখের জল আড়ালে রেখে ঠোঁটে হাসি ঝুলিয়ে রেখেছে।
অবশেষে জামিন রহমান নাফিহার মায়ের দিকে তাকালো।
তার চাহনিতে নাফিহার মায়ের বুকটা ধুক করে উঠলো।
জামিন আধো আধো কন্ঠে বলে উঠলো,

—“রনিয়া!”

রনিয়া রহমান এগিয়ে গেলো জামিন রহমানের দিকে।
জামিন আধো আধো কন্ঠে বারংবার রনিয়া রহমানকে ডেকে চলেছে।

কিছুক্ষণের মধ্যেই নাফিহা কেবিনে প্রবেশ করলো।
জামিন রহমান রনিয়া রহমান এবং সিফাত চৌধুরীর সাথে হেসে হেসে কথা বলছে।
বাবা এরূপ অবস্থা দেখে নাফিহার চোখ বেয়ে টুপ করে জল গড়িয়ে পরলো।
জামিন রহমানের তখনই কেবিনের দরজার দিকে খেয়াল গেলো।
জামিন রহমান বালিশের সাথে হেলান দিয়ে বসেছেন।
নাফিহাকে সে চিনতে পারেনি।

—“মা কিছু কি দরকার এখানে?”

জামিন রহমানের কথায় রনিয়া রহমান এবং সিফাত চৌধুরী দরজার দিকে তাকালো।
রনিয়া রহমান নাফিহার থেকে চোখ ফিরিয়ে জামিন রহমানকে আস্তে করে বলে,

—“জামিন, ও আমাদের বড় মেয়ে শিফা।”

রনিয়ার কথায় নির্বাক হয়ে নাফিহার দিকে তাকালো।
কিছুক্ষণ স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে হাত এগিয়ে তার বুকে আসতে ইশারা করে।
নাফিহা এবার কেঁদেই দিলো।
কাঁদতে কাঁদতে বাবাকে গিয়ে জড়িয়ে ধরলো!

—“তুমি এতদিন কই ছিলে বাবা! আমাদের কি মনে পরেনি? এইযে দেখো আমাকে। আজ এতো বড় হয়ে গেলাম তাও তোমায় পাইনি। তুমি খুব পঁচা খুব!”

এরকম নানান অভিযোগ করে নাফিহা তার বাবার বুকে।
এতো এতো অভিযোগ শুনে জামিন রহমানের বেশ শান্তি লাগছে।
রনিয়া মেয়েকে সরাতে চাইলেই জামিন চোখের ইশারায় থামিয়ে দিলো।
এতোবছর পর নিজের সন্তানকে বুকে পেয়েছে সে তার চেয়ে বড় শান্তি আর কী আছে?
নাফিহা থামতেই জামিন জিনিয়াকে দেখতে চাইলো।
জিনিয়া এসে একইভাবে বাবার বুকে চুপটি মেরে বসে রইলো।

—“আর রাগ করে থাকিস না আমার মায়েরা! সুস্থ হলে কান ধরবো, তোদের জন্য নিজে রাঁধবো তবুও অভিমান করিস না। আমি যে তোদেরই সন্তান। মা তার সন্তানদের উপর রাগ করে থাকে হু?”

জামিন রহমানের শেষের কথায় নাফিহা আর জিনিয়া ফিক করে হেসে দেয়।
দরজায় হেলান দিয়ে বাবা-মেয়েদের খুনশুটি দেখছে নিহান আর তার পাশে নির্ঝর!

—“আঙ্কেলকে কী এখন জিজ্ঞেস করবি নাকি আরও কিছুদিন পরে?”

—“কিছুদিন পরে জিজ্ঞেস করাটাই ভালো। আঙ্কেলের অবস্থার উন্নতি এখনো হয়নি। তার রেস্ট এবং মানসিক শান্তির প্রয়োজন। আল্লাহ মালুম ওই জানোয়ারগুলা আঙ্কেলকে কি অবস্থায় রেখেছে এতোবছর। একবার এই আমির আর ওর বাপ ইমরানকে হাতের নাগালে পাই তারপর দেখিস ওদের কি হাল করি।”

—“তা নাহয় বুঝলাম। তবে ভুল করেও তুই একলা ওদের সাথে লাগতে যাস না। আমার চাচ্চুর হেল্প নিবি, উনি কিন্তু ওসি। ওনাকে কাজে লাগিয়েই যা করার করতে হবে।”

—“হু। তুই তাহলে তার সাথে যোগাযোগ করে বুঝা। বাকিটা আমি দেখছি।”

—“ওকে।”

বলেই নির্ঝর তার পকেট থেকে ফোন বের করতে করতে বেরিয়ে গেলো।
সিফাত নিহানকে দেখতেই ডেকে পাঠালো।
সিফাত চৌধুরী নিহানের কাঁধে হাত রেখে বলে,

—“এ হলো আমার বড় ছেলে নিহান আফ্রান। সাথে আরেকটা সারপ্রাইজ আছে।”

—“কী সারপ্রাইজ?” উৎসুক হয়ে জিজ্ঞেস করলো জামিন।

—“আমার বড় ছেলের সাথেই তোর বড় মেয়ের বিয়ে দিয়েছি। এর মানে বুঝতেই পারছিস আমাদের সম্পর্কে আরেক নাম হলো আর সেটা হলো আমরা ২ বেয়াই!”

জামিন অবাক হয়ে মেয়ের দিকে তাকালো।
নাফিহা মাথা নিচু করে বসে আছে!
তারপর জামিন সাহেব হেসে বলে,

—“ওরে রে কি খুশির সংবাদটাই না দিলি তুই বন্ধু! একেবারে আত্নীয়তা হয়ে গেলো।”

বলেই জামিন রহমান আর সিফাত চৌধুরী দুই বন্ধু একে অপরকে জড়িয়ে ধরলো।
নাফিহা নিহানের দিকে আড়চোখে তাকাতেই নিহান ফ্লাইং কিস দিলো।
নাফিহা চোখ গরম করে তাকিয়ে অন্যদিকে ফিরে গেলো।
নাফিহার কান্ডে নিহান হেসে ফেললো।
সকলের আড়ালে জিনিয়া কেবিন থেকে বেরিয়ে গেলো।
বের হতেই সে সাজিদের মুখোমুখি হলো!
সাজিদ আর জিনিয়া একে অপরকে দেখে অবাক চরম পর্যায় চলে গেলো।
পাশ থেকে নিবিড় ডাকতেই জিনিয়ার ধ্যান ভাঙ্গলো!

—“আরে জিনিয়া আঙ্কেলের কী অবস্থা?”

—“জ্বী ভাইয়া ভালো আছে।”

—“ও আচ্ছা। আর সাজিদ, ও হ্যাঁ তোমাদের পরিচয় করিয়ে দেই। সাজিদ এ হলো জিনিয়া আমার ভাবীর একমাত্র বোন। আর জিনিয়া, ও হলো সাজিদ, আমার পার্সোনাল এসিস্ট্যান্ট!”

জিনিয়া আরেকদফা অবাক হলো নিবিড়ের কথায়।
নিবিড়েরই পার্সোনাল এসিস্ট্যান্ট সাজিদ?
আর তাকেই সাজিদ এতদিন বস বস করছিলো।
এবার জিনিয়ার কাছে সবটা জলের মতো পরিষ্কার হলো।
ভদ্রতার খাতিরে সাজিদ আর জিনিয়া দুজনই দুজনকে হাই হ্যালো বললো।
নিবিড় ফলমূল নিয়ে ভেতরে চলে গেলো।
জিনিয়া অবাক হয়ে বলে,

—“আপনি….”

—“পিচ্চি!”

—“দেখেন এখন পিচ্চি ডাকবেন না। আর কিছুদিন পর কলেজে এডমিন নিবো আর আপনি আমাকে পিচ্চি বলছেন?”

—“তো কী বলতাম? যার বয়ফ্রেন্ড ইয়ায়া বড় তার গার্লফ্রেন্ড এত্তো ছোট্ট!”

—“বেশি হচ্ছে কিন্তু!”

—“হলে হোক আমার কী? আর তোমাকে বলসি না মাথায় কাপড় দিয়ে বের হবা?”

—“কেন? কেন বের হবো? আমি তো পিচ্চি! আমার মতো পিচ্চির দিকে কে-ই বা নজর দিবে হু?”

এবার সাজিদ রেগে গেলো জিনিয়ার কথায়।
দুজন আবার লেগে গেলো।
একমাস হলো ওদের রিলেশনশিপের।
প্রপোজ কেউই করেনি তবে কীভাবে কীভাবে যেন সেটিং হয়ে গেলো।
তবে একদিন সাজিদ বলে ফেলেছিলো, আমার গার্লফ্রেন্ড হবা?
ব্যাস এইখান থেকেই শুরু।

ইরিন ফোন বিছানায় ছুঁড়ে ফেললো!
ইরিনের এমন রাগ দেখে একপ্রকার ছুটে আসলো ইরিনের মা!

—“কি হলো মা! এভাবে ফোন ফেললি কেন?”

—“তোমার ভাইয়ের মেয়ে আমার সাথে চিট করেছে!”

—“আয়হায়! কি বলছিস! কী করে?”

—“নিহানের নম্বরের জায়গায় অন্য ছেলের নম্বর দিয়ে দিয়েছে। আমি এতদিন আরেক ছেলেকে ডিস্টার্ব করেছি মা!! খবরদার আর জীবনে যদি তোমার ভাইয়ের বাসার চৌকাঠে পা রাখো! যদি আহ্লাদ করে যেতে চাও জম্মের মতো বাড়ি ছেড়ে চলে যাবো!”

বলেই হনহন করে বেরিয়ে গেলো ইরিন।
আর ফুপি মাথায় হাত দিয়ে ধপ করে বিছানায় বসে পরলো!

—“এটা কী হলো?” অস্ফুট সুরে বললো ফুপি।

—“নাফি তোমাকে আমি লাস্টবারের মতো বলছি বাসায় চলো!”

—“না যাবো না। যান না ওই মেয়েকে নিয়ে ঢলাঢলি করেন! আমি আমার বাবার কাছে এই বাসাতেই থাকবো!”

—“আরে ধুর! কি মেয়ে মেয়ে করছো? ওই মেয়ে আমার সাথে জাস্ট সেল্ফি তুলতে আসছিলো! এই সামান্য বিষয়ে ঝগড়া করে তুমি এই বাসায় চলে আসবা অদ্ভুত!!”

—“ও আচ্ছা তাই! আপনার বেলা ১৬ আনা আমার বেলায় চার আনাও না বাহ! ওকে আমিও ছেলেদের সাথে ঢলে ঢলে সেল্ফি তুলবো বেশ হবে!”

—“আরেকটা কথা বললে থাপ্রাইয়া তোরে বালতিতে চুবামু! তাড়াতাড়ি ব্যাগ গুছায় লুভিংরুমে এসে হাজির হ নইলে আমি কি জিনিস তোরে দেখাইয়া দিমু!”

বলেই নিহান বেরিয়ে গেলো।
দুইজনের কথোপকথন জামিন রহমান আর রনিয়া রুম থেকে শুনেই মুখ টিপে হাসছে।
নিহান যে কেমন বউ পাগলা তা তাদের বুঝতে বাকি নেই।
কিছু হলেই কাঁধে ব্যাগ নিয়ে নাফিহা তার বাবার কাছে চলে আসে আর নিহান মানিয়ে নিয়ে যেতে না পারলে ধমকিয়ে থাপ্রিয়ে তার বাড়িতে নিয়ে যায় নাফিহাকে।
জামিন রহমান ফেরার ১৫দিন আগেই জিনিয়াকে নিয়ে রনিয়া আবার তাদের বাড়িতে উঠেছিলো।
এখন বাড়িটা আগের চেয়েও দ্বিগুণ চকচক করে।
নাফিহা মুখটা পাঁচের মতো করে রুমে ঢুকতেই রনিয়া রহমান এবং জিমান রহমান হাসি চেপে ফেলে।
নাফিহা মুখ গোমড়া করে বলে,

—“তোমরা একটু বুঝাও না ওনাকে যে আমি রেগে আছি!”

—“আচ্ছা বুঝাবো তুই গিয়ে ব্যাগ গুছিয়ে রাখ!”

—“এর মানে তোমরাও আমাকে দূরে ঠেলে দিচ্ছো! এটা কিন্তু ঠিক না আম্মু, বাবা! আমি এবাড়িতে থাকলে কি তোমাদের খাবারের আর কারেন্টের বিল বেশি যাবে?” গাল ফুলিয়ে বললো নাফিহা!

জামিন রহমান হেসে দেয় নাফিহার কথায়!

—“মা রে! তুই এখন বিবাহিত তোর এখন সংসার আছে আর নিহানেরও তোর প্রয়োজন পরে। ছেলেটা দিনরাত খাটে আর তুই তার সাথে রাগ করে এখানে চলে আসিস। এটা কী ভালো দেখায় বল তো? তোর মায়ের সাথে আমিও সংসার করেছি। আমাদের মাঝেও খুনশুটি থাকে তাই বলে সে তো আমায় ছেড়ে চলে যায় না। রাগারাগি ভালো কিন্তু ছেড়ে চলে যাওয়া না। বুঝেছিস?”

নাফিহা মাথা নাড়ায়।
জামিন রহমান হেসে বলে,

—“এইতো আমার লক্ষি মা এখন যা গিয়ে রেডি হয়ে আয়। আমার চিকিৎসা শেষ হোক তারপর তোর জন্য সারপ্রাইজ প্লান করবো।”

জামিন রহমানের কথায় নাফিহার চোখ মুখ চিকচিক করে উঠে।
সে দ্রুত গিয়ে জামাকাপড় গুছিয়ে রেডি হয়ে নেয়।
নিহান আসতেই বাবা-মায়ের থেকে বিদায় নিয়ে নিহানের সাথে এরিয়ে পরে।
নাফিহার রাগ ভাঙ্গাতে নিহান রাস্তায় গাড়ি দাঁড় করিয়ে ফুচকা আর আইসক্রিমও খাওয়ায় তাকে।
এতে নাফিহার রাগ ফুস হয়ে যায়।
নিহানের এই বিষয়টা বেশ ভালো লাগে।
নাফিহাকে খুশি করতে দামী কিছু লাগে না, সে অল্পতেই সন্তুষ্ট!

চলবে!!!