বৃষ্টিতে ভেজা সেই রাত
লেখকঃ আবু সাঈদ সরকার
পর্বঃ ১৮
এক পর্যায়ে সোহেল আমার শরীর থেকে জামাটা খুলে ফেললো সঙ্গে নিজের জামাটাও..
দুজনের নগ্ন শরীর দুটা একে অপরের সাথে আষ্টে পৃষ্ঠে লেগে রয়েছে তার পর সোহেল যা চাইছিলো তাই হয়ে গেলো আই মিন আমাদের মাঝে শরীরক সম্পর্কটা হয়েই গেলো নষ্ট হয়ে গেলো আমার সতীতা এখন আমার আমি আগের তামান্না নেই..
।
প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য নিজের শরীরটাকেও বিলিয়ে দিতেও রাজি..
।
সোহেলঃ অনেক মজা হলো তাই না বেবি..
।
তামান্নাঃ হ্যা আর এখন নিজের কথা রক্ষা করো আর ওই সাঈদ কে মেরে ফেলো..
।
রোড নাম্বার ৭ ডানে পাশেী তিন নাম্বার বিল্ডিং ফ্লাট দুইয়ে পেয়ে যাবি এই তার ফটো..
।
।
সোহেলঃ ফটো টা না দেখেই পকেটে ডুকিয়ে নিলাম কাজটা হয়ে গেলো ইচ্ছে মতো শরীরটাকে ভোগ করতে পারবো..
।
তাড়াতাড়ি রোড নাম্বার ৭ এ গিয়ে ডান পাশের বিল্ডিং এর ২ নং ফ্ল্যাট এ যেতেই দেখলাম জানালাটা খুলা রয়েছে যাক ভেবেছিলাম কাজটা মনে হয় কঠিন হবো কিন্তু কাজটা তো অনেক সোজা…
।
।
জানালা দিয়ে ভিতরে ডুকতেই পাশে বেড রুমটা দেখতে পেলাম পকেট থেকে ধারালো ছুরিটা বেড় করে আস্তে আস্তে এগিয়ে গেলাম সামনে একজন শুয়ে আছে নিশ্চয়ই এই ছেলেটা. সাঈদ..
।
তার পরেই নজরটা পড়লো একটা মেয়ের উপর ওয়াও এত সুন্দর মেয়ে আগে কখনো দেখি নি চাদের আলোটা মুখের উপর পড়ায় মেয়েটার চেহেরাটা মনে হয় পুরো রুমটাকে আলোকিত করে ফেলেছে..
।
যাই হোক আগে কাজটা শেষ করি তার পর না হয় এই মেয়েটার শরীরটাকে আত্মসাধ করবো…
।
।
ছুরিটা ঠিক বুক বরাবর ধরে ডুকিয়ে দিবো ঠিক তখনি যা দেখলাম তা দেখতেই সমস্ত শরীরটা কেপে উঠলো আমার এটা আমি কী করতে যাচ্ছিলাম এনি তো সেই যে আমার কিছু দিন আগে প্রাণ বাচিয়ে ছিলো…
।
।
আমি মনে হয় ভুল বাসায় চলে এসেছি পকেট থেকে ফটো টা বেড় করতেই দেখলাম না আমি সঠিক বাসায় এসেছি তবে আমি এই কাজটা করতে পারবো না…
।
রুম থেকে বেড় হয়ে রাস্তার পাশে বসে পড়লাম আর ভাবতে লাগলাম এখনি আমি যেটা করতে যাচ্ছিলাম সেটা করার পর নিজেকে কখনো মাফ করতে পারতাম যে মানুষটার কারণে আমি বেচে রয়েছি তাকেই মারতে গেছিলাম..
।
আজ থেকে ৫ মাস আগের কথা আমার মায়ের অপারেশন এর জন্য দু লাখ টাকা লাগবে সারাদিন রাস্তায় ঘুরে ঘুরে একটি হাজার টাকা জোগার করতে পেরেছিলাম আরো এক লাখ নিরানব্বই হাজার টাকা কই পাবো এসব ভাবতে ভাবতে হঠাৎ মাথা ঘুরে পড়ে যাই যখন চোখ খুললাম তখন নিজেকে হাসপাতালে দেখলাম..
।
সাঈদঃ আপনি ঠিক আছেন..
।
সোহেলঃ হুম কিন্তু আমার কী হয়েছিলো..
।
সাঈদঃ রাস্তায় বেহুস হয়ে পড়ে ছিলেন তাই আমি আপনাকে এখানে নিয়ে আসি..
।
সোহেলঃ এখন কয়টা বাজে .
।
সাঈদঃ বিকাল ৪ টা..
।
সোহেলঃ কথা শুনে কেদে ফেললাম এক ঘন্টার মধ্যে টাকা না পেলে মা কে বাচাতে পারবো না।
।
।
সাঈদঃ আপনি এভাবে কাদছেন কেনো..
।
সোহেলঃ ওনাকে সব কিছু খুলে বললাম..
।
সাঈদঃ এই বেপার ওনি তো আমার মায়ে মতো চলুন আমি না হয়ে টাকাটা দিয়ে দিচ্ছি..
সোহেল ওনি অপারেশন এর জন্য সব টাকা দিয়ে যখন চলে যাচ্ছিলো..
।
সোহেলঃ আপনার কে আপনার নামটাই তো জানা হলো না
।
সাঈদঃ আমি না হয়ে অচেনা হয়ে রইলাম উপর ওয়ালা চাইলে আবারো দেখা হবে..
।
।
বর্তমানে..
।
সোহেলঃ ওনার সাথে এভাবে দেখা হবে সেটা জানা ছিলো না মা হয়তো সত্যি বলতো ভালো মানুষের শএু অনেক..
।
।
আমি মরে গেলেও এই কাজটা করতে পারবো না তখনি তামান্নার ফোন.
।
তামান্নাঃ কী হলো কাজ শেষ হয়েছে..
।
সোহেলঃ না আমি এই কাজটা করতে পারবো না..
।
তামান্নাঃ কেনো এই কথাটা শুনার জন্য নিজের শরীরটাকে তোর কাছে বিলিয়ে দিলাম নিজের সতীত্ব নষ্ট করলাম..
।
সোহেলঃ তোর মতো বেশ্যার আবার সতীত্ব হা হা হা..
।
শোন আমি কেনো যে কেউ সাঈদ এর মতো ওমন একটা ভালো মানুষকে খুন করতে চাইবে না..
।
তামান্নাঃ বড় বড় লেকচার দেওয়া হচ্ছে লোভী প্রতারক..
।
সোহেলঃ হ্যা আমি প্রতারক কিন্তু যে আমার মায়ের প্রান বাচিয়েছিলো তাকে আমি কোনো দিনও মারতে পারবো না বলেই ফোনটা কেটে দিলাম..
।
।
তামান্নাঃ অনেক হয়েছে এবার আমাকেই কিছু করতে হবে..
।
।
।
আদ্রিতাঃ এত সকাল বেলা কে এলো দাড়ান আমি আসতেছি..
ওনি তখন ঘুমিয়ে ছিলেন নিচে গিয়ে দরজাটা খুলতেই..
এটা কী দেখছি আমি তামান্না আপুর সাথে পুলিশ এখানে আসছে..
।
।
পুলিশঃ মিঃ সাঈদ কোথায় ওনাকে আমার এ্যরেস্ট করতে এসেছি..
।
আদ্রিতাঃ কেনো ওনি কী করেছেন…
।
পুলিশঃ ওনার নামে ধর্ষণের মামলা হয়েছে এই যে মিস তামান্নাকে রাতে ফোন করে হোটেলে নিয়ে গিয়ে জোর করে ধর্ষণ করে..
আমাদের কাছে ভিডিও রয়েছে..
।
।
আদ্রিতাঃ কী ওনি তামান্না আপুকে হোটেল এ নিয়ে গিয়ে রেপ করেছে আপনাদের কোথাও ভুল হচ্ছে ওনি সারা রাত আমার সাথেই ছিলেন..
।
।
পুলিশঃ নিজের স্বামীকে বাচানোর জন্য সবাই তাই বলে মিঃ সাঈদকে ফাঁসির হাত থেকে কেউ বাচাতে পারবে না..
।
আদ্রিতাঃ আমি আপনাদের ওনাকে কোথাও নিয়ে যেতে দিবো না প্রামান কী রয়েছে ওনি এসব করেছে..
।
পুলিশঃ. ভিডিও টা অন করে দেখালাম..
।
আদ্রিতাঃ এটা আমার স্বামী না দেখুন এই মানুষটার পিঠে কোনো দাগ নেই আর আমার স্বামীর পিঠে কেটে যাওয়া দাগ রয়েছে ..
তখনি মনে পড়লো ওনি তো কথা বলতে পারেন তাহলে ফোন করলো কীভাবে…
।
আদ্রিতাঃ ওয়েট আমার স্বামী তো কথা বলতে পারেন না তাহলে ফোন করলো কীভাবে..
।
রুম থেকে মেডিকেল রিপোর্ট তাদের হাতে তুলে দিলাম .
।
পুলিশঃ সত্যি তো নিচের ডাক্তার এর নাম্বার দেওয়া ছিলো ওই নাম্বার এ ফোন দিয়ে..
।
ডাক্তারঃ হ্যালো কে..
।
পুলিশঃ আমি কুষ্টিয়া থানার ওসি বলছি আপনার পেসেন্ট মিঃ আবু সাঈদ সরকার
সম্পর্কে জানতে চাই..
।
।
ডাক্তারঃ কয়েক দিন আগে এক এক্সিডেন্ট এ ওনি গুরুতর ভাবে আহত হন এর ফলে ওনি কথা বলতে পারছেন না আর ওনি ঠিক মতো এক মাস চলতেও পারবে না..
।
।
পুলিশঃ ধন্যবাদ বলেই ফোনটা কেটে দিলাম..
।
সত্যি টা শুনার পরেও যদি বারাবাড়ি করতে যাই তাহলে আমার চাকরিটা নিয়ে টানা টানি শুরু হয়ে যাবে..
।
পুলিশঃ ম্যাডাম আই এম সরি ভুল ইনফরমেশন পাইছি বলেই চলে আসলাম..
।
।
আদ্রিতাঃ তামান্না আপু এমনটা কেন করলো..
।
সাঈদঃ সকালের মিষ্টি আলোয় ঘুমটা ভেঙ্গে গেলো কিন্তু আদ্রিতা কোথায় তখনি যা দেখলাম.
।
।
চলবে