#বৃষ্টি_নামার_পরে❤
#লেখিকা-ইশরাত জাহান ফারিয়া
#পর্ব-২০
৩৫.
“মৃন্ময় যেন নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছে না।বিড়বিড় করে বললো, ‘ব্রেন টিউমার?’তারপর অবিশ্বাস ভরা চেহারা নিয়ে ডাক্তারের দিকে তাকিয়ে রাগী গলায় জিজ্ঞেস করলো, কি এটা?এখানে কি লিখা?আপনার কি মাথা খারাপ হয়েছে? নাকি রিপোর্টে কিসব উল্টাপাল্টা লিখে রেখেছেন? আন্সার মি!”
“ডাক্তার মৃন্ময়কে শান্ত হয়ে বসতে বললেন।উনি জানেন হঠাৎ করে ব্রেন টিউমারের নাম শুনলে পেশেন্ট বা পেশেন্টের রিলেটিভরা এরকম আচরণ করে যেটা খুবই স্বাভাবিক। বিকজ এটা একটা ভয়ংকর অসুখ,যার ফলে বেশিরভাগ পেশেন্টরাই অপারেশন এর পরেও রিকভার করতে পারে না।একবার হয়ে গেলে মৃত্যুর বার্তা বয়ে নিয়ে আসে।এমনই ভয়ংকর এক রোগ এটা।”
“গুঞ্জন পাশের চেয়ারে চুপচাপ বসে আছে।ওর কাছে মনে হচ্ছে এই দিনটা এতো তাড়াতাড়ি আসবে ও বুঝতেই পারেনি।ইশ,পৃথিবী কত চমক দেয় মানুষদের প্রতিটি মুহূর্তে, প্রতিটি ক্ষণে নতুন নতুন গল্প এনে চমকে দেয় মানুষদের পুরোটা জীবন। এক নিমিষেই শেষ হয়ে যায় কেউ কেউ।গুঞ্জনের এবার নিজেকে হঠাৎ করে মৃত ব্যক্তি মনে হচ্ছে।জীবন শেষ হয়ে গেলো এত সহজেই?”
“মূর্তিমান বিভীষিকার মতো গুঞ্জনকে বসে থাকতে দেখে মৃন্ময়ের বুকটা কেঁপে উঠলো।ওর ভালোবাসার হাসিখুশি সেই গুঞ্জনের মুখে দুষ্টু হাসিটা সেকেন্ডেই মিলিয়ে গেলো যে!মেয়েটা কিছু বলছেও না।বলবে কি করে, এতবড় একটা খবর শোনার পর কেউ কিভাবে ঠিক থাকবে?মৃন্ময় নিজেই ঠিক থাকতে পারছে না।গুঞ্জনকে হসপিটালে নিয়ে আসাটা ঠিক হয়নি।হায়!মৃন্ময় ভেবেছিলো ওকে সাথে করে নিয়ে আসলে গুঞ্জন ওকে ছেড়ে বাসা থেকে পালাতে পারবে না।কিন্তু সাথে করে নিয়ে এসে এমন একটা কথা শুনলো যে,মৃন্ময় সারাজীবনের জন্য গুঞ্জনকে নিজের জীবন থেকে হারাতে চলেছে।যেখান থেকে গুঞ্জনকে ফেরাতে পারবে না!”
“ডাক্তার মৃন্ময়কে আলাদা করে ডেকে নিয়ে ভেতরের একটা ছোট রুমে নিয়ে গেলো।একপ্রকার পাগলের মতো বিহেভ করা মৃন্ময়কে বোঝানোর আশায় ডাক্তার এখানে নিয়ে আসলেন।গুঞ্জনের সামনে বললে হয়তো ও নিজেকে ঠিক রাখতেই পারতো না,যা এই ধরনের পেশেন্টদের ক্ষেত্রে অনেক রিস্কি।চিন্তা করতে দেওয়া যাবে না একদমই!”
“ডাক্তার গম্ভীর গলায় বললেন,শুনুন মিস্টার মৃন্ময় চৌধুরী, আপনার ওয়াইফ এখন লাস্ট স্টেজে আছে।ওনার টিউমারটি অত্যন্ত বিপদজনক, এ থেকে রিকভার করার চান্স একেবারেই কম।”
“মৃন্ময় অবিশ্বাস্য চাহনি নিয়ে ডাক্তারের দিকে তাকালো। বললো, কিন্তু এমন ও তো পারে,আপনাদের পরীক্ষাতে কোনো ভুল হয়েছে?গুঞ্জনের আসলে অন্যকিছু হয়েছে? দেখুন…”
-“না।আমরা এমনি এমনিই ব্রেন টিউমারের মতো বিষয়টাকে ছোট করে দেখিনা।আমরা অনেকবার পরীক্ষা করে কনফার্ম হয়েছি যে,আপনার ওয়াইফ গুঞ্জনের আসলেই ব্রেন টিউমার।”
“মৃন্ময় বললো, কি করে?”
“ডাক্তার কাশি দিয়ে গলা পরিষ্কার করে বললেন, দেখুন টিউমার হচ্ছে শরীরের যে কোনো জায়গায় বা অঙ্গে কোষের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি আর এই টিউমারটি যখন ব্রেনের ভেতরে হয় তখন সেটাকে আমরা বলি ব্রেন টিউমার।”
“মৃন্ময় বললো,কিন্তু গুঞ্জনের মধ্যে কোনো লক্ষণ দেখিনি আমি!”
-“ব্রেন টিউমারের লক্ষণগুলো একেক সময় একেক রকম হতে পারে। এর প্রধান বা স্বাভাবিক লক্ষণ হচ্ছে মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া এবং দৃষ্টিশক্তি ক্রমশ কমে যাওয়ার এই তিনটিকে আমরা সব টিউমারের ক্ষেত্রে ধরতে পারি।আপনি কি এসব কিছু দেখেননি উনার মাঝে?”
“মৃন্ময় ভাবলো,হুম মাথাব্যথা হয় গুঞ্জন প্রায়ই বলতো।কিছুদিন ধরে বমিও হচ্ছিলো।তাও মৃন্ময় বিশ্বাস করতে পারছে না এখনো।মনে হচ্ছে,সব দুঃস্বপ্ন।এ হতে পারে না কিছুতেই!”
“ডাক্তার আবারও বলতে লাগলো,এ ছাড়াও অনেক সময় রোগীর অন্য লক্ষণও দেখা দিতে পারে। যেমন: রোগীর খিঁচুনি হতে পারে অথবা শরীরের যে কোনো একদিকের হাত বা পা দুর্বল হয়ে যায় অথবা তার মানসিক অবস্থার পরিবর্তন হতে পারে অর্থাৎ তার আচরণে অস্বাভাবিকতা দেখা দেবে।অনেক ক্ষেত্রে হরমোনের নিঃসরণের আধিক্য বা ঘাটতি দেখা দিতে পারে। যা ব্রেন টিউমারের রোগীর ক্ষেত্রে বিভিন্নভাবে প্রকাশ পায়।আর আমরা আপনার স্ত্রী’কে পরীক্ষা করে এমন অনেককিছুই পেয়েছি যেটা প্রুফ করে যে উনার ব্রেন টিউমারই হয়েছে।আমরা আপনার ওয়াইফের বিষয়টি নিয়ে মিটিংও করেছি কাল রাতে বড় বড় ডাক্তারদের সাথে।ওনারা সবাই এটাই বলছেন যে,আপনার স্ত্রীর ক্ষেত্রে টিউমারটা খুবই খারাপভাবে প্রভাব ফেলেছে।উনি বিগত কয়েকমাস বা তারও আগে থেকেই এটা বহন করে আসছেন।এটা এতদিনে প্রকাশ পেয়েছে।”
“মৃন্ময় জিজ্ঞেস করলো, ব্রেন টিউমার কেন হয়?মানে আপনি আমাকে ডিটেইলস বলুন প্লিজ।আমি কিছুতেই মানতে পারছি না এসব!”
“ডাক্তার বললেন, আমি আপনার সিচুয়েশনটা বুঝতে পারছি। কিন্তু ব্রেন টিউমারের কারণ এখন পর্যন্ত অজানা। বংশগত কারণেও ব্রেন টিউমার হতে পারে।”
“মৃন্ময় অসহায় গলায় জিজ্ঞেস করলো, কিন্তু গুঞ্জনের বয়স তো অনেক কম।এতো কম বয়সে কিভাবে কারো এমন রোগ হতে পারে?”
-“দেখুন এটা ভাগ্যের উপর নির্ভর করে। আমরা এ বিষয়েও সম্পূর্ণ অবগত নই।হঠাৎ হঠাৎ অদ্ভুত কিছু হয়ে যায় আমাদের জীবনে যেটা আমাদের ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে। কিছু টিউমার আছে ছোটদের বেশি হয়, আবার কিছু টিউমার আছে যা ৬০ বছরের ওপরে গেলে বেশি হয়।
মহিলাদের ক্ষেত্রে সব ধরনের টিউমারের প্রতিক্রিয়া এক রকম নয়। একেক ক্ষেত্রে টিউমারটি একেক রকমভাবে, একেক সময় প্রকাশ পায়। যার ফলে আমরা ওভাবে বলতে পারব না কাদের ক্ষেত্রে বেশি হয়।এক কথায় বলতে পারি, যে কোনো বয়সের, যে কোনো পুরুষ বা মহিলার টিউমার হতে পারে। একেক ধরনের টিউমার শিশু বা মহিলা বা বয়স্কদের ক্ষেত্রে একেক রকমের হতে পারে।”
“মৃন্ময় ডাক্তারকে জিজ্ঞেস করলো,এর কি কোনো চিকিৎসা নেই?”
-“কিছু কিছু টিউমার আছে চিকিৎসা করালে সম্পুর্ণ ভালো হয়ে যায়। আর কিছু আছে যা থেকে আপৎ হতে পারে।আবার কোনো কোনো টিউমার ভালো হবার নয়,মৃত্যু যেকোনো সময় হতে পারে।আর আপনার স্ত্রীর ক্ষেত্রে, আপনার স্ত্রীর অবস্থা খুবই ক্রিটিকাল। এককথায় এখন আর কিছুই করা প্রায় সম্ভব নয়।লাস্ট স্টেজে আছেন উনি!”
“মৃন্ময় চাপা নিঃশ্বাস ফেললো। ওর মনে হচ্ছে ওর দম আটকে আসছে।ঘন ঘন শ্বাস ফেলছে।জিজ্ঞেস করলো,কতদিন বেঁচে থাকা..থাকতে পারে একজন!”
-“রোগীর বিশেষ শারীরিক পরীক্ষা করা যেটাকে আমরা বলি নিউরোলজিক্যাল বিশ্লেষণ।
কিছু কিছু খারাপ টিউমার আছে যা হলে রোগী কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০ বছর পর্যন্ত কর্মক্ষম থাকতে পারে। আর কিছু কিছু টিউমার আছে যা এতই খারাপ যে, রোগী ৬ মাস থেকে ১ বছরের বেশি বেঁচে থাকে না।মিসেস গুঞ্জনের বেলায় আর কিছু দিন বলা যায়!”
“মৃন্ময়ের বুকটা কষ্টে ফেটে যাচ্ছে।দুচোখে অন্ধকার দেখছে আশপাশটা।কাঁপাকাঁপা গলায় বললো, কিছুই করা সম্ভব নয়?আমি কি আমার গুঞ্জনের জন্য কিছুই করতে পারবো না?ওকে ছাড়া আমি কিভাবে থাকবো?যেখানে নিঃশ্বাস ফেলতেই আমার মনে হচ্ছে আমি দম আটকে মারা যাচ্ছি!প্লিজ বলুন ডাক্তার,প্লিজ বলুন।”
“ডাক্তার মুচকি হেসে বললো, স্ত্রীকে এতোই ভালোবাসেন?আজকালকার দিনে এমনটা দেখাই যায় না।সত্যিকারের ভালোবাসাগুলোর কেন যে এমন হয়?এটাই বোধহয় ডেসটিনি!”
“মৃন্ময় বললো,ডেসটিনি কেমন হবে আমি জানিনা।কিন্তু গুঞ্জনকে আমার লাগবেই।আপনি প্লিজ ওকে বাঁচান!”
-“দেখুন,যে কোনো টিউমারের চিকিৎসা হচ্ছে সার্জারি বা অপারেশন। অপারেশন করে রোগীর টিউমারকে বের করে, বায়োপসি করে প্রকৃতি নির্ণয় করে পরবর্তী চিকিৎসা করা হয়।আর বিগত কয়েকবছরে নিউরো সার্জারি অনেক দূর এগিয়ে গেছে। যদিও কিছু কিছু আধুনিক ব্যবস্থা এখানো আমাদের দেশে আসেনি। যেমন- রেডিওসার্জারি আমাদের নেই, গামা-নাইফ সার্জারি নেই।কিন্তু বাইরের দেশগুলোতে আছে।”
“মৃন্ময় আশার সঞ্চার পেয়ে জিজ্ঞেস করলো, তাহলে কোথায় আছে?”
-“আমাদের দেশে নেই কিন্তু উন্নত বিশ্ব প্রযুক্তিগত দিক থেকে আমাদের চেয়ে কিছুটা এগিয়ে আছে বলতে পারেন। ভারতে যেমন- রেডিওসার্জারি, গামা-নাইফ সার্জারি আছে যা আমাদের দেশে এখানা শুরু হয়নি। হয়ত বেশিদিন লাগবে না শুরু করতে। এই দুটি দিক ছাড়া বাকি সব সার্জারি আমাদের এখন দেশেই সম্ভব। এই সব সার্জারি আশপাশের দেশের তুলনায় মনে হয় ভালোই হয়।হয়ত আমরা এখন যে অপারেশন করি সেটা ৫ বছর আগে সম্ভব ছিল না। এগুলো এখন হচ্ছে এবং আস্তে আস্তে প্রযুক্তিগুলো আমাদের দেশে আসছে।কিন্তু খরচ খুব বেশি!”
“মৃন্ময় আরও একবার দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলে বললো, খরচ কোনো বিষয় না।আমি যেভাবেই পারি গুঞ্জনের চিকিৎসার ব্যবস্থা করবো এবং বাঁচাবোই।”
“ডাক্তার বললো, তবে আমার মনে হয় খুব দেরি হয়ে গিয়েছে।তাও চেষ্টা করে দেখুন,তাতে তো ক্ষতি নেই!”
৩৬.
“মৃন্ময় গুঞ্জনের কাছে এলো। দেখলো গুঞ্জন কাঁদছে।মৃন্ময়ের বুকটা ধক করে উঠলো।গুঞ্জনকে জড়িয়ে ধরে বললো, কাঁদার মতো কিছুই হয়নি।কাঁদবে না একদম।”
“গুঞ্জন অস্ফুটস্বরে বললো,আমি মরে যাবো,তাই না?”
“মৃন্ময় চমকে উঠলো।তারপর গুঞ্জনের মুখ চেপে ধরে কপালে কপাল ঠেকিয়ে বললো,একদম মরার কথা বলবে না,আমি আছি না!কে নিয়ে যাবে তোমায় আমার থেকে?”
“গুঞ্জন ম্লান হাসলো।বললো, পালাতে চেয়েছিলাম তো আপনার কাছ থেকে,আপনি দেননি তো। তাই বোধহয় সৃষ্টিকর্তা আমার ইচ্ছেটাই পূরণ করে দেয়ার একটা রাস্তা দিয়ে দিলেন!”
“মৃন্ময় অবাক হয়ে চেয়ে রইলো গুঞ্জনের মুখের দিকে।ওর জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছে করছে, গুঞ্জন ওকে ভালোবাসে কি না?”
________
“বাড়ি ফেরার সময় রাত হয়ে গেলো।গুঞ্জন বললো, ও রাস্তায় হাঁটতে চায়!সেজন্য দুজন মিলে হাঁটছে,যদিও মৃন্ময় মানা করেছিলো,তবুও গুঞ্জন শুনেনি!”
“গুঞ্জন শান্ত ভঙ্গিতে হাঁটছে।
“হসপিটাল থেকে ওরা বের হয়েছে অনেক আগে, কিন্তু রাস্তায় হেঁটে হেঁটে ফেরার কারণে অনেক দেরি হয়ে যাচ্ছে। একটি গলি ছাড়িয়ে অন্য একটি গলি, তারপর একটা বড় রাস্তা। আবার একটা গলি। একসময় সে একটা ফাঁকা মাঠের কাছে এসে পড়ল। চারদিক অন্ধকার ঘন হয়ে আছে,আকাশে শুক্লপক্ষের চাঁদ!চকচকে রাস্তা,মোহময় রাত!পাশে গুঞ্জনের ভালোবাসার মানুষটি!কী সুন্দর লাগছে তাদের!”
“মৃন্ময় গুঞ্জনের পাশে হাঁটছে।মাথায় একরাশ চিন্তা আর বুকের ভেতর হাহাকার, চাপা কষ্ট।মৃন্ময় আনমনা হয়ে বলে উঠলো,ভালোবাসো আমায় গুঞ্জন?”
“গুঞ্জন চমকে তাকালো।ছলছল চোখ নিয়ে তাকিয়ে থাকা মৃন্ময়ের চোখ দুটো দেখে গুঞ্জনের মনে হলো এই প্রশ্নের উত্তরটা দিয়ে দেওয়া উচিৎ ওর।আর যদি কখনো বলা না হয়?সুযোগ যদি না আসে?”
“গুঞ্জন দাঁড়ালো।মৃন্ময়ের হাতটা নিজের হাতের মুঠোয় নিয়ে অন্যহাতে নিজের ওড়নার একটা অংশ দিয়ে গুঞ্জন মৃন্ময়ের কপালের ঘাম মুছে দিলো।আদুরে গলায় বললো,আমি আপনাকে ভালোবাসি!খুব খুব খুব!আপনাকে আমি ভীষণভাবে অনুভব করতে পারি,অন্য কাউকে আপনার সাথে দেখলে আমার প্রচুর রাগ হতো,ভাবতাম এটা আবেগ।কিন্তু এখন বুঝতে পারি,আমি আপনাকে বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই ভালোবাসতে শুরু করি।কিন্তু আপনি তো আর আমাকে পছন্দ করতেন না আগে,তাই বলা হয়নি।আর এখন যখন বললাম,তখন পৃথিবীতে আমার আর বেশি সময় আপনার সাথে। তাই আর লুকোইনি,বলে দিলাম আমি আপনাকে ভালোবাসি মিস্টার ম্যানার্সওয়ালা মৃন্ময় চৌধুরী!”
চলবে…..ইনশাআল্লাহ!