#বেলী_ফুলের_সুবাস
#পর্ব :১৫
#মেঘকন্যা (ছদ্মনাম)
সকাল থেকেই আজ প্রচুর বৃষ্টি।আজ সুবাসদের যাওয়ার কথা ছিল রাতারগুলে।সব কিছু ঠিক থাকলেও এই বৃষ্টির জন্য কোথায় ঘুরতে বের হতে পারে নাই।তাই এখন সবাই মিলে ঠিক করছে চা বাগান দেখতে যাবে যেহুতু ফুপুর বাসা শ্রীমঙ্গলে তাই চা বাগান যেতেই বেশি সময় লাগবে না।তাই যে যার মতো করে রেডি হয়ে গেলো।মিতা ফুপু রিদিতা এবং সায়েমকে আর বেলী এবং সুবাস কে ম্যাচিং কাপল সেট দিয়েছে শাড়ি ও পাঞ্জাবির।তাই ঠিক করলো আজ তারা শাড়ি পড়বে।নিশি, সামিয়া,সাজিয়া মিতা বেগমের থেকে শাড়ি পরে নিলো।বেলী অনেকবার না করেছে যে শাড়ি পড়বে না পরে ফুপুর জোড়া জুড়ীতে শাড়ি পরতে হয়েছে।বেলীর সাজা শেষ। কোমড় পর্যন্ত চুল গুলো খোঁপা করে নিলো ।সুবাস রেডি হয়ে ডিভানে বসে ফোন চালাচ্ছিল।এক পলক বেলীর দিকে তাকালো।পিছন থেকে সুবাস এসে একদম কাছা কাছি দাঁড়ালো বেলীর।বেলীর পিছন দিক দিয়ে শাড়ি সরে গিয়ে কোমর দেখা যাচ্ছিল।কোমরে ছোট্ট তিল দেখা যাচ্ছে। সুবাস পিন নিয়ে সুন্দর করে শাড়ি পিন আপ করে দিলো।।খোঁপা করা চুল গুলো খুলে দিলো।নিমিষেই কোমর অব্দি ঢেউ খেলানো চুল গুলো পুরো পিঠে ছড়িয়ে পড়লো।বেলীর আরেকটু কাছে গেলো সুবাস।বেলী চুপ চাপ দাড়িয়ে দু হাতে শাড়ি খামচে ধরলো।যতবার এই লোক কাছে আসে ততবার মনে হয় বেলীর প্রাণ পাখি উড়ে যাবে।কেমন সাড়া শরীর জুড়ে শির শির অনুভুতি হয়।বেলীর কোমর দু হাতে জড়িয়ে চুলে নাক ডুবিয়ে সুবাস বললো
-এভাবে বেশি ভালো লাগছে।
-হুম
এবার বেলীকে ছেড়ে দিয়ে বেলীর গলায় ছোট্ট একটা সোনার লোকেট পরিয়ে দিল।হার্ট শেপের ভিতর বি ও এস সুন্দর করে যুক্ত করে লিখা।দেখতে ভীষণ সুন্দর।বেলীকে নিজের দিকে ঘুরিয়ে বেলীর কপালে চুমু খেল সুবাস।বেলীর ঠোটের দিকে নিজের ঠোঁট এগিয়ে নিতেই রূমে প্রবেশ করলো চাঁদ। চাঁদ কে দেখে দুজন দু দিকে ছিটকে গেলো।পিচ্চি চাঁদ কিছু বুজলো কি না কে জানে? শুধু খিল খিল করে হাসতে হাসতে চলে গেলো
-আপনের জন্য এমন হলো। না জানি বাচ্চা টা কি দেখেছে।
নাক ফুলিয়ে বলল বেলী
-দেখলে খারাপ কি ? আমার বউ।আমি রোমান্সে করেছি। আর রোমান্স না করলে তার সাথে খেলার সাথী আনবো কি করে?
-খেলার সাথী?
মুখ কুচকে বললো বেলী
-আরে আমাদের বাচ্চা। চাঁদের খেলার সাথী।
-আজাইরা কথা না বললে কি আপনের ভালো লাগে না?
-তো তুমি কি চাও আমি আজাইরা কথা না বলে কিছুক্ষণ আগের অপূর্ণ কাজ টা পূর্ণ করি। লজ্জা পাওয়ার কিছু নেই স্বামী হই আমি তোমার।বলতে পারো আমাকে
-ছিঃ।আপনি দিন দিন লু’চুদের মত কথা বলছেন।
-আসো লু’চুগিরি করে দেখাই।
-আপনার সাথে কথাই বলবো না।
বলেই বেলী চলে গেলো।সুবাস হো হো করে হেসে দিলো।এই মেয়েটাকে খেপাতে ভালোই লাগে।
কিছুক্ষন আগে মাইক্রো তে উঠেছে সকলে।সামনে ড্রাইভিং করছে সুবাস।পাশে বসেছে বেলী।বেলীর কোলে চাঁদ।পিছে বসেছে সায়েম,রিদিতা,সাজিয়া ।তার পিছে বসেছে নিহাল,নিশি,সামিয়া সবার শেষে মিহির।গাড়ি চলছে আর যে যার মতো করে কথা বলছে।
-বেলী মামী তোমাল ঠোঁতেও কি মামা তু’মু খায়?
হঠাৎ বলে উঠে চাঁদ।
বেলী তো বিষম খায়।কি বললো এটা চাঁদ।আজ তার মানইজ্জত সব শেষ।সুবাসের কোনো পরিবর্তন নেই।নিজ মতো করে ড্রাইভিং করছে।
-ওহো চালিয়ে যাও বেলী।গু আহেড।
ঠাট্টার সুরে বললো সাজিয়া।
যাহ বেলী এটা ঠিক না রোমান্স করবি তাহলে দরজা টা লাগিয়ে নিবি না? তাহলে আমার মেয়ে আর এত কিছু দেখতো না (রিদিতা)
-বেলী মামী তোমাকে কি ঠিক মামা সেই লোকম কোলে তুমু খায় গালে যেমন তা ম্যাম্মাল গালে পাপা খায়। জানো পাপা তো আমাকেও তু’মু খায়।আমার অনেক ভালো লাগে।তোমারও কি ভালো লাগে জটন মামা তোমাকে তুমু খায়?
চাঁদের কথা শুনে বেলী আর রিদিতা দুজনেই লজ্জা পেলো।এবার বেলীর মনে হচ্ছে শেষ হয়ে যেতে।কি একটা অবস্থা।আল্লাহ উঠাইয়া নাও।
-দেখছেন দুলাভাই আপনের মেয়ে আগে থেকেই এগুলো দেখে । আর আমরা করলেই দোষ।
সায়েমের দিকে তাকিয়ে বললো সুবাস।সায়েম হাসলো।
বেশ অনেক ক্ষন পর চা বাগানে চলে তারা।সুবাস সবাইকে সাবধানে চলতে বললো আগেই কারণ জোক থাকতে পারে।যে যার মতো করে ছবি তুলতে লাগলো ।এত সুন্দর দৃশ্য।চার পাশে শুধু সবুজ আর সবুজ।কিছু উপজাতি কি সুন্দর করে চা পাতা তুলছে।সায়েম আর রিদিটাকে ছবি তুলে দিচ্ছে নিহাল। বেলী ও সুবাস কে ছবি তুলে দিচ্ছে সাজিয়া।।সবাই যে যার মতো খুশি থাকলেও মনের আকাশে মেঘ জমে আছে সামিয়ার।যে কোনো সময় এই মেঘ থেকে জল গড়িয়ে পড়বে। এই যে সামনে দুই জোড়া কপোত কপোতী কি সুন্দর কথা বলছে,ছবি তুলছে দেখতে ভীষণ সুন্দর লাগছে।আজ যদি ইয়াসির তার ভালোবাসাকে গ্রহণ করতো তাহলে তাদের চিত্রও ভিন্ন হতো।তারাও এভাবে সময় টা উপভোগ করতে পারতো।কিন্তু না তা আর হলো কোথায়।উল্টো অন্য জনের সাথে বিয়ে ঠিক হয়ে গেলো সামিয়ার।নিজের ভাগ্যের প্রতি নিজের কোনো অভিযোগ নেই শুধু হাসি পায়। ইয়াসিরকে তার করে দিলে কি স্রষ্টার খুব বেশি ক্ষতি হয়ে যেতো? নাহ এখানে স্রষ্টার কি দোষ? দোষ তোর তার যে ইয়াসিরকে নিজের ভালোবাসা বুঝাতে পারে নাই।নিজেকে আজ ভীষণ ব্যার্থ মনে হচ্ছে সামিয়ার।কেনো এক তরফা ভালোবাসায় এত যন্ত্রণা? কবে এই যন্ত্রণার সমাপ্তি ঘটবে? হয়তো সমাপ্তি ঘটবে নয়তো না।
চলবে………?
#বেলী_ফুলের_সুবাস
#পর্ব :১৬
#মেঘকন্যা (ছদ্মনাম)
সন্ধ্যা আটটা।বসার ঘরে বসে কথা বলছে ছোটরা।সাথে নাস্তা করছে।তাদের আড্ডার মাঝে
মিহির বলে উঠে
-চলো আমরা কানামাছি খেলি?
মিহিরের কথা শুনে সকলেই রাজি হয়।বসে না থেকে কিছু করলেও ভালো লাগবে আর কালকে তো এমনিও বেলীরা চলে যাবে।সময় টা একটু মজা করে নেয়া যাক।সকলে রাজি থাকলেও রাজি হয় না সুবাস। সে খেলবে না সাফ সাফ বলে দিয়েছে।সাথে বেলীকে বলেছিল খেলতে মানা কিন্তু বেলী তো আর কারো কথা এত তাড়াতাড়ি মানবে না।একে একে সকলের বারি শেষ হয়ে এখন বেলীর বারি এসেছে।এখন বেলীর চোখ বাঁধা হবে।বেলী চোখ বাঁধা অবস্থায় গোয়াল ঘরের সামনে চলে এলো।গোয়োল ঘরের কাজ চলছে।তাই পাশে ইট গুলো সাজানো ছিল যদিও তা অল্প কয়েকটা।সাথে সেই জায়গায় ছিল কাদা।বেলী কাদায় পিছলে গিয়ে পায়ে বারি খায় ইটের সাথে।সাথে সাথে চিল্লিয়ে উঠে বেলী।প্রচুর ব্যথা পেয়েছে।চোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়ছে।সকলেই উপস্থিত হয় বেলীর চিৎকার শুনে।
-তোমাকে আমি খেলতে বারণ করেছিলাম।
ধমকের সুরে বলে সুবাস।
বেলী আরো জোরে কান্না করে দেয়।নিজের উঠার মত শক্তি টুকু নেই।সুবাস বেলীকে কোলে তুলে নেয়।
-একদম ঠিক হয়েছে ব্যথা পেয়েছো।বার বার না করলাম যে খেলতে যেও না।
রাগী গলায় বলল সুবাস।
-আমি কি জানতাম নাকি যে পরে যাবো।
কান্না মিশ্রিত গলায় বললো বেলী
-ঠাটিয়ে একটা লাগাবো না যে মুখে মুখে তর্ক করা বের হয়ে যাবে।
-আপনি আমার সাথে এমন করেন কেনো।আমাকে আপনার কোল থেকে নামান।কোলে নিতে কষ্ট হচ্ছে বললেই পারেন এত ধমকানোর কি দরকার?
-ব্যথায় কাদছো তবুও ঝাঁজ কি।
আজ দু দিন হলো বেলী ও সুবাস ঢাকায় ফিরে এসেছে। তাদের সাথে ফিরে এসেছে সামিয়া।অনেক বার সবাইকে বুঝিয়ে এখানে এসেছে সামিয়া। কেউ তো আসতেই দিবে না।পড়ার দোহাই দিয়ে চলে এসেছে।সুবাস গিয়েছে অফিসে।সামিয়া দুপুরের রান্না টু টাক হেল্প হরছে কোহিনূরকে। কোহিনুর অনেক দিন হলো এই বাসায় কাজ করছে।বেশ ভালো মনের মানুষ।কিছু ক্ষন কোহিনূরের সাথে কথা বলে বেলীর কাছে গেলো সামিয়া।হাতে গ্লাস ভর্তি ফলের যুস।সুবাসের করা নির্দেশ এগুলো খেতে হবে।কোমর আঘাত একটু কম লাগলেও পায়ের পাতায় আঘাত লাগায় ডান পায়ের পাতার দিকে ছোট আঙ্গুলের হার ভেঙে দিয়েছে ।ডাক্তার বলেছে পুরো পুরি বেদ রেস্ট থাকতে।
-আমি এই গুলো খাবো না।আমার প্রতিদিন ভালো লাগে না এগুলো খেতে।
-খেতে হবে সুবাস ভাইয়ার আদেশ।
-এই লোকের এই আদিখ্যেতা আমার ভালো লাগে না। আজাইরা।
-এটা আদিখ্যেতা না এটা ভালবাসা। তুই সহজে পেয়েছিস বলে তোর কাছে আদিখ্যেতা মনে হচ্ছে।তুই ভালোবাসা পাচ্ছিস,কদর করা শিখে যা নাহলে পরে পস্তাতে হবে।তোর মতো সবার ভাগ্যে যদি ভালোবাসা লিখা থাকতো কতই না ভালো হতো।
বেলী চুপ হয়ে গেলো।সামিয়ার দিকে তাকিয়ে দেখলো মেয়েটার চোখে জল।ইস্ তার কাছে যদি এমন কিছু থাকতো যা দিয়ে মেয়েটার যন্ত্রণা কমানো যেতো তাহলে মেয়েটার এত যন্ত্রণা ভোগ করতে হতো না।মেয়েটা কেমন নির্জীব হয়ে আছে।বিয়ের কথা হওয়ার পর তো মনে হয় হাসতে ভুলে গেছে।আগের মত চঞ্চলতা নেই সামিয়ার মাঝে।যদি মেয়েটার কষ্ট এক ইঞ্চিও কমানো যেতো তাহলে বেলী তা করতো কিন্তু আফসোস বেলীর হাতে কিছু নেই।যদি সম্ভব হতো তাহলে সামিয়ার কাছে ইয়াসিরকে এনে দিতো।কিন্তু তাও সম্ভব নয়।তবে বেলীর বিশ্বাস যদি সামিয়ার ভালোবাসা সত্যি হয় এবং স্রষ্টা যদি ইয়াসিরের সাথে সামিয়ার ভালো চান,দুজনের দ্বারা দুজনকে পরিপূর্ণ করতে চান তবে তাদের মিল ঘটবেই।
রাত দশটা বেলীকে খাইয়ে দিচ্ছে সুবাস।অসুস্থ হওয়ার পর বেলীকে বেড থেকে উঠতেই দেয় না সুবাস।খাবার পর্যন্ত খাইয়ে দেয়।বেলী বারণ করার পরও করে।বেলীর অভ্যাস ঘুমোনোর আগে চিরুনি করা।এই কাজ এখন অতি যত্নে সন্তপূর্ণে সুবাস করে দেয়।মনে হয় বেলী বাচ্চা।এই তো কাল শুধু বলেছিল মাথায় তেল দিবে।নিজে নিজে তেল দিতে নিলে সুবাস বাধা দেয়।যত্ন সহকারে বেলীর মাথায় তেল দিয়ে দিয়ে দেয়।।এমন কি বেলীর কাপড় পর্যন্ত সুবাস ধুয়ে দিয়েছে। সুন্দর যত্ন করছে।যে নারী পুরুষের যত্ন পায় সে নারী নাকি ভাগ্যবতী। তাহলে কি বেলী ভাগ্যবতী?নিজের মনেই নিজে প্রশ্ন করে বেলী।
কেটে গেছে অনেক গুলো দিন বেলী এখন পুরো পুরি সুস্থ।শুধু মন আজ ভীষণ খারাপ।বিকেল দিকে টিভি দেখার জন্য অন করতে স্ক্রিনে ভেসে উঠে চেনা মুখ।এই মুখ খানা আর কারো নয় ফাহিমের। হেডলাইনে লিখা নারীদের সাথে প্রেম আলাপ করে নারী পাঁচার করে। নারী ধর্ষণ করে।এমন কি চুরি ডাকাতি পর্যন্ত করে। এখন পর্যন্ত এই কেস গুলো তার উপর চার্জ করা হয়েছে।বেলী পুরো স্তব্ধ।হাত পা কাপছে।চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়ছে।দুনিয়া সব ঘোলা লাগছে এই কাকে ভালোবেসেছিল সে?
সুবাস অফিসে থেকে ফিরে দেখেছে বেলী শুয়ে আছে।তাই বেলীকে ডাক দেয় নাই। বেলীর নাকি মাথা ব্যথা করছে।তাই ডিনার শেষ করে খাবার নিয়ে এসে বেলীকে ডাক দিলো সুবাস
-বেলী উঠো খেয়ে নাও।
বেলীর কোনো আওয়াজ এলো না।
সুবাস এবার বেলীর উপর থেকে চাদর সরিয়ে নিলো।বেলীর হাত টেনে বেডে বসিয়ে দিলো।কিন্তু বেলীর দিকে তাকিয়ে থমকে গেলো।বেলীর দু চোখ লাল হয়ে আছে।
-কি হয়েছে বেলী কাদছো কেনো ?
….
-বলো আমায় কি হয়েছে?
এবার আর বেলী নিজেকে ধরে রাখতে পারলো না।নিজ থেকে প্রথম বেলী সুবাস কে জড়িয়ে ধরলো। বেলী সুবাসকে ধরে কান্না করতে লাগলো।প্রথমে সুবাস থমকে গেলো।কয়েক সেকেন্ড পর নিজেকে সামলিয়ে বেলীকে জড়িয়ে ধরলো।বেলীকে প্রশ্ন করলো
-কি হয়েছে টা কি বেলী? না বললে বুজবো কি করে?
বেলী এবারও কিছু বলবো না।শুধু সুবাসের বুকে মাথা রেখে কয়েক মিনিট অতিবাহিত করলো।মাথা তুলে সুবাসের দিকে তাকিয়ে পুরো ঘটনা বললো। সুবাস বেলী কে বললো
-দেখো বেলী ভালোবাসা ভুল কিছু নয়।কিন্তু ভুল মানুষকে ভালোবাসা পাপের সমতুল্য।তুমি শুধু শুধু কষ্ট পাচ্ছ তার জন্য। সে তোমার যোগ্য ছিল না।কেনো নিজের চোখের জল অন্যের জন্য ফেলছো?
-আমার কষ্ট হচ্ছে
-ভালবাসলে কষ্ট হবেই কিন্তু কষ্টকে প্রশ্রয় দেয়া যাবে না।নিজের মতো করে চলতে হবে। বাঁচা শিখতে হবে।অতীতকে ভুলতে হবে।নতুন করে সব কিছু শুরু করতে হবে।
-আপনি কি আগে থেকেই ওর সম্পর্কে জানতেন?
-এতো কিছু জানতাম না বাট ছেলে যে ভালো না তা জানতাম।
-থ্যাংক ইউ।আপনি না থাকলে হয়তো আমার সাথেও বাজে কিছু হয়ে যেতো।
-চুপ কিছু হতো না।আমি আছি না।আমি কিছু হতে দিতাম না।
বলেই বেলীকে ছেড়ে দিয়ে ভাত মাখিয়ে তার সামনে ধরলো।বেলীর খাওয়া শেষ করে বেডে শুয়ে পড়লো।
-আমি আপনার বুকে মাথা রেখে ঘুমোতে চাই।দেবেন কি আমায় আপনার বুকে মাথা রেখে ঘুমানোর সুযোগ?
সুবাসের মুখে হাসি ফুটে উঠলো। এ যেনো মরুভূমিতে এক পশলা বৃষ্টি।বেলী সুবাসের বুকে মাথা রেখে জড়িয়ে ধরলো।নিজ প্রেয়সীকে দু হাতে আগলে নিলো সুবাস। বক্ষ পিঞ্জিরায় আজ অন্য রকম প্রশান্তি অনুভব হচ্ছে সুবাসের।হয়তো প্রেয়সীর অনাকাঙ্ক্ষিত আগমনের জন্য।যাক প্রিয়সী নিজ ইচ্ছায় তার বুকে মাথা রেখেছে তা আর কম কিসে?বেলীকে শক্তি করে জড়িয়ে ধরেবেলীর চুলে চু’মু খেয়ে গভীর নিদ্রায় তলিয়ে গেলো
চলবে…….?