#বেয়াইনের_প্রেম
পর্ব_০৮
লেখাঃ নীল মাহমুদ (পিচ্চি পোলা)
তোমরা কি থামবা কি শুরু করলে এসব??
তানিশা দেখো আমি তোমাকে কখনোই চাইনি বা তোমার সাথে কোন কমিটমেন্ট ছিল না আমার,, আর তিশার সাথে পারিবারিক ভাবে আমার বিয়ে ঠিক হইছে আমি চাইনা তুমি আমাদের মাঝে এসে কোন ঝামেলা করো। আমি তোমাকে আমার ক্লাসমেট ছাড়া কিছুই ভাবি না।
তার মানে আমার ভালোবাসার কোন মুল্য নেই?? কিসের কমতি আমার ওর থেকে??
এটা কোন ধরনের কথা?? ভালোবাসা সেটাই যেখানে দুটি মনের মিল হয়,, একজন আরেকজনকে অনুভব করে,,, আর এখানে সবকিছুই একা তোমার।
নীল প্লিজ,, একটাবার বলো আমি তানিশা কখনোই তোমার ভাবনাতে আসিনি??
না তানিশা আমার অনুভবে শুধু তিশা। আমি ওকে খুব ভালোবাসি।
তাহলে আমার পরীক্ষার সময় তুমি কেন সেরা নোটস গুলো শুধু আমাকেই এনে দিতে?? আমি অসুস্থ থাকলে ফোন করে কেন ওষুধ খেয়েছি কিনা জানতে চাইতে?? কেউ আমাকে বিরক্ত করলে তুমি কেন প্রতিবাদ করতে?? বলো এসব কেন করতে??
আজিব তো,,, তুমি আমার ভালো বন্ধু ছিলে মাত্র, বন্ধু হয়ে বন্ধুর খোজখবর নেয়াটা কে ভালোবাসা বলে না। আমি তোমাকে বন্ধু ভাবতাম সেখানে তুমি ভালোবাসা ভেবে বিশাল ভুল করেছো। তোমার জন্য আরো ভালো ছেলে পাবে,, আমার বিয়েতে তুমি সব দায়িত্ব নিবে তিশাকে সাজানোর,,, সবাই মিলে একসাথে খুব মজা করব। প্লিজ তানিশা বন্ধুত্ব টা নষ্ট করো না।
আমার সাথে রুবি আর তিশাও বুঝালো তানিশাকে। অনেক সময় পর তানিশা ঠান্ডা হলো। জেদি মেয়ে তো তাই সহজে বুঝতে চায় না। তারপর সবাই মিলে কফি খেলাম। বেশ আড্ডা দিলাম সবাই।
সন্ধ্যা হয়ে এলো। বাসা থেকে ও কয়েকবার ফোন দিয়ে যেতে বললো। তখন আমি আর তিশা বের হয়ে গাড়ীতে বসলাম। হটাত তিশা বললো
আমি আইসক্রিম খাবো মাথা গরম হয়ে গেছে
বলেছিলাম না তানিশার ঝড়ের পর তিশার ঝড় আসবে,, দমকা হাওয়া শুরু হয়ে গেছে। আল্লাহ রক্ষা করো।
একটু ওয়েট করো আমি নিয়ে আসছি।
২ মিনিটের মধ্যে আনবা নাহলে মাথা ঠিক থাকবে না।
আমি গাড়ীটা পার্ক করেই পাশের দোকান থেকে দুটো কোন আইসক্রিম নিয়ে জলদি গাড়ীতে এলাম
এই নাও তোমার প্রিয় স্ট্রবেরী ফ্লেভারের টা আনছি
মুখটা কে খুলে দিবে???
আমি আমি,,,, এই যে
একটু একটু করে খাচ্ছে আর চোখ পিটপিট করছে।
নোটস দিতে তাইনা,, ওষুধ খাওয়ার তাগাদা দিতে,,, দাদাগিরিও করতে,,, বাহহহ খুব ভালো লাগলো কথা গুলো শুনে,, আর কি কি হইছিল যেটা ওখানে বলেনি,, এখন আমাকে সব বলো
আমি কয়েকটা ঢোক গিলে ওর দিকে কাচুমাচু হয়ে তাকিয়ে আছি,, হাতের আইসক্রিম এর কথা ভুলে গেছি,,
কি হলো বলোনা কেন
সত্যি বলছি এমন কিছুই হয়নি আর।
আমি শুনতে চাইছি সত্যি টা বলো
বিশ্বাস করো তিশা আর কিছু না। আমি ওর থেকে সবসময় দুরে থাকার চেষ্টা করতাম।
হাত থেকে আইসক্রিম গলে গলে পড়ছে আর আমি তিশার ওড়না দিয়ে মুছতেছি আড়ালে ও দেখছে না,,
আমার থেকেও বেশি সুন্দরী ও?? বেশি ভালোবাসে??
ধুররর না তো,, আমি তো তোমাকে ভালোবাসি ওকে না। আর শুনো আমাকে অনেকেই পছন্দ করতেই পারে এটা স্বাভাবিক কিন্তু আমি কাকে পছন্দ করি সেটাই বড় কথা। তোমাকেও তো কত কত ছেলে পছন্দ করে কিন্তু তুমি তো আমাকে ভালোবাসো তাইনা। বেপারটা কিন্তু এমনই,,, কে কি বললো এসব কথা শুনে নিজেদের মধ্যে কেন ভুলবুঝাবুঝি করব বলো
আচ্ছা এবারের মত ছেড়ে দিলাম আর হ্যা কোনদিন যদি শুনি কোন মেয়েকে সেফ করতে গিয়ে কোমর ধরেছো তাহলে কোমর ভাংবো আমি মনে রেখো
আচ্ছা আচ্ছা আমি তো মাসুম একটা ছেলে এমনটা হবে না হেহেহে
চুপপপ এবার গাড়ী চালাও আমার আইসক্রিম শেষ হবে এখনি
আমার আইসক্রিম ও শেষ গলে গলে খেতে পারলাম না
তিশা কিছু টা আইসক্রিম ওর মুখে নিলো আর ঠোটে মাখিয়ে নিয়ে সোজা আমার কলার টেনে আমার ঠোট গুলো ওর ঠোটে চেপে ধরলো। আমি চোখটা বন্ধ করে ওর ঠোট থেকে আইসক্রিম এর স্বাদ নিচ্ছি,, তখন যেন স্বর্গসুখে ভাসছি,,,, অনুভুতিটা বুঝানোর কোন ভাষা নেই।। কিছুক্ষণ পর তিশা আমাকে ছেড়ে দিয়ে বললো
হবু বর মশাই এবার চলুন নাহলে আমার শ্বাশুড়ি আপনাকে পিটাবে
এটা বলেই ওড়নাটা গুছিয়ে নিতে গিয়ে হটাত দেখে ওর ওড়না ভেজা আইসক্রিম এ,,, এবার ওর রাগ দেখে কে??
নীল, তুমি আমার ওড়নাতে আইসক্রিম মুছছো???
আমি ওর দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসছি
তারপর একচোট রেসলিং হয়ে গেলো,, আমাকে ইচ্ছে মত কিল ঘুসি চিমটি দিতে দিতে অস্থির হয়ে গেলো
আমি আর কি করব চুপ করে মার খেলাম।। হবু বউয়ের মার খাওয়া ও একটা ভালোবাসা যা সবাই পায় না,,, এটাই মনকে বুঝালাম
তারপর গাড়ী চালিয়ে চলে এলাম বাসায়। সবাই একটু বকা দিল এত দেরী করে কেন ফিরলাম বাসায়।
আম্মু বললো
বিয়ের আগে এত ঘুরাফেরা ভালো না,, মানুষ শুনলে খারাপ বলবে,,
ভাবী বললো
বিয়ের পর যত পারো ঘুরো কেউ কিছু বলবে না।
ভাইয়া বললো
ভালোই করছিস,, বিয়ের আগে একটু ঘুরাফেরা করে জানাশোনা করা ভালো। আমি তো পারিনি নাহলে কি আর এমন দজ্জাল কাউকে পেতাম নাকি
ভাবী তেড়ে এসে বললো
কি বললে আমি দজ্জাল?? সারাক্ষণ নিজে আমার পিছু ছাড়োনা আমাকে কিছু করতে দাওনা আবার বলো আমি দজ্জাল,,, রাতে ঘুমাতে আসবা না?? ঘরে ঢুকা বন্ধ আজ
আরে আমি কি তাই বললাম নাকি,, বললাম জানাশোনা করলে ভালো হয়,, [ভয় পেয়ে ]
আমি আর তিশা ওদের ঝগড়া দেখে হাসতেছি আম্মু আগেই চলে গেছে
তিশা বললো
ভাইয়া আপুকে রাগিও না তাহলে সত্যি দরজা বন্ধ করবে ঘরে যেতে পারবেন না,, এখন গিয়ে রাগ ভাংগান………..
একটু পর যে যার রুমে গেলাম।
আমি গিয়ে ফ্রেশ হচ্ছি আমার ওয়াশরুমে। বের হয়ে দেখি তিশা আমার রুমে
কি বেপার ম্যাডাম আমার রুমে হটাত
আব্বু কল দিছে কাল যেতে বললো আমাকে কিন্তু আমার যেতে ইচ্ছে করছে না প্লিজ তুমি একটা কিছু করো নীল
হটাত কেন যেতে বললো জরুরি কিছু নাকি
বললো স্কুলের কি কাজের জন্য নাকি
ওহহ আচ্ছা আমি কাল আংকেলকে বলে তোমার স্কুলে নিয়ে গিয়ে কাজ শেষ করে আমার বাসায় নিয়ে আসবো।। টেনশন করো না তো
সত্যি পারবা তো
আরে পাগলি পারব না কেন
জানো নীল তোমাকে ছেড়ে থাকা একটুও সম্ভব না আমার। আমি কিছুতেই থাকতে পারব না।
উলে আমাল সোনাপাখিটা লে,, খুব ভালোবাসো আমাকে তাইনা
হুমম অনেক ভালোবাসি তোমাকে নীল
আচ্ছা বিয়ের পর কি আমার নাম ধরে ডাকবা নাকি
কেন নাম ধরে ডাকা কি খারাপ
না আসলে স্বামীর নাম ধরে ডাকলে পাপ হয়
কি বলো তাহলে তো আর তোমার নাম ধরে ডাকবো না,, কিন্তু কি বলব সেটা বলে দাও
মোঘল আমলের মতো জাঁহাপনা বলবা আমি তিশা বিবি বা বেগম বলে ডাকব
ইশশশ ঢং দেখলে শরীর টা জ্বলে যায় একেবারে
আর একটু জ্বালিয়ে দিব নাকি
কি করবা আবার
তিশাকে জড়িয়ে ধরে ওর গলায় আর ঘাড়ে কিস করতে করতে বললাম,,,
কবে আমাকে আদর করে আমাতে মিশে যাবে তিশা??
এই হারামি ছাড়ো আমাকে,,, এমনি ছাই চাপা আগুন আরো তুমি বাতাস দিচ্ছো তাইনা
ছাড়বো না তোমাকে আর একটু আদর দাও
আজ অনেক আদর হইছে আর না জাঁহাপনা
না বেগম,, একটু দাও
তিশা আমার গলায় হাত রেখে ওর ঠোটগুলো আমার ঠোঁটে রেখে একটা কিস দিল।
এরই মধ্যে দরজায় টোকা পড়লো….
হটাত দরজায় টোকা পড়লো
তিশার ঠোট থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে
তাকিয়ে দেখি ভাবী মুচকি হাসছে
তুমি কি আসার সময় পাও না?? যখনই একটু আদর করি তখনই তোমার আসতে হবে??
তোমাদের আজই বিয়ে দিতে হবে বুঝতে পারছি
দিতে হবে না বলে দিয়ে দাও না
তিশা ততক্ষণে উঠে গেছে লজ্জা পেয়ে আমার পিছনে লুকিয়েছে
কাল ওকে বাড়িতে দিয়ে এসো আব্বু ওকে যেতে বলেছে।
হুমম জানি জানি আমি ওকে স্কুলে নিয়ে যাব তারপর ওর পরীক্ষা পর্যন্ত এখানে থেকেই পড়াশোনা করবে বুঝলে,, আমি ওকে একা রাখব না তাহলে ওর পড়াশোনা সব মাচায় উঠবে
ওরে বাবারে বলে কি?? এত ভালোবাসা ওর জন্য
কেন হিংসে হয় নাকি হুমম
এমন ভালোবাসা যদি একটু পেতাম তোমার ভাইয়ের থেকে
আহা সারাদিন তো ভাইকে আচলে লুকিয়ে রাখো তবুও মন ভরে না নাকি?? ঢং
হিহিহি এখন তিশাকে আমার রুমে পাঠাও কিছু কথা আছে ওর সাথে,, আমি গেলাম জলদি ছাড়ো ওকে
যাও তুমি ও আসছে
ভাবী চলে গেলে তিশার দিকে তাকাতেই ও আমাকে জড়িয়ে ধরে বললো
আমি তোমাকে ছাড়া কিছুতেই থাকতে পারব না খুব ভালোবাসি তোমাকে,,
এই পাগলি আমি কি ভালোবাসিনা?? যে মেয়েটা আমাকে এত ভালোবাসে তাকে কি খালি হাতে ফেরাবো?? আমিও তো ভালোবাসি পাগলি
ওর কপালে চুমু দিয়ে বললাম
যাও ভাবী কি বলে শুনে এসো আর হ্যা রাতে ছাদে গিয়ে আকাশ দেখব রেডী থেকো
তিশা মুচকি হেসে চলে গেলো।
ভাবীর রুমে গিয়ে তিশা বললো
আপু বলো কি বলবা
ওই ফাজিল মেয়ে বিয়ের আগে এত আদর কিসের হুমমম
কি যে বলো না তোমার দেবর তো আমাকে ছাড়ে না কি করব
হইছে আর আদিক্ষেতা করতে হবে না, এখন শোন,, কাল তাহলে স্কুলের কাজ শেষ করে বাসায় যাবি দুপুরে খেয়ে সব কাপড় চোপর আর বইপত্র গুছিয়ে নিয়ে আসবি। আমি আব্বু কে বলে দিছি।
আচ্ছা তোমার জন্য কিছু আনতে হবে?
হুমম দুটো শাড়ি রেখে এসেছি আমার আলমারি তে। ও দুটো নিয়ে আসবি।
দুটো মানে?? একটা তো আমার দুটো কই পেলে
তুই কি শাড়ি পরিস নাকি?? এখন ওটাও আমি পরব।
জি না আমি শাড়ি পরব, ও খুব পছন্দ করে শাড়ি
ও টা কে?? এখন ই ও,, বাহ বাহ
আপু তুমিও না??
আচ্ছা নিয়ে আসিস তারপর একসাথে শাড়ি পরব।
আচ্ছা আনব।
রাতের খাবার খেতে হবে আম্মু ডাকলো সবাইকে। আমরা টেবিলে গিয়ে বসলাম। আম্মু বললো
তিশা মামনি,, কাল সকালে যাবে আর জলদি চলে আসবে। তোমার জন্য আমাদের রুমের পাশের রুমটা সুন্দর করে গুছিয়ে রাখব তুমি ওটাতে থাকবে। আর আমার বান্দরটা যদি তোমাকে বিরক্ত করে তবে আমাকে বলবা ওর হাড় ভেঙ্গে দিব।
ভাবী বললো
হায়রে আম্মু কাকে কি বলেন? সে তো তাকে ছেড়ে থাকতেই পারে না।
তিশার সাথে আমি থাকব ওর রুমে। পরীক্ষার সময় কোন ছাড় নেই। ভালো করে পড়াশোনা করতে হবে ওর।
হুমম আন্টি করব।
আন্টি না আম্মু বলবা। আন্টি বললে পর পর লাগে মামনি
আচ্ছা আম্মু
আমি ওনাদের কথা শুনে অনবরত মুখ ঘুল্লি দিয়ে যাচ্ছি। তিশা আমার দিকে রাগি চোখ দিয়ে তাকাচ্ছে।
আম্মু এই দুইমাসে ওকে রান্না টাও শিখাইও। ও তো কিছু ই পারে না। শুধু ঝগড়াই শিখছে।
সেটা শিখাবো তোকে এত বলতে হবে না
কি বললে তুমি?? আমি শুধু ঝগড়া করতে জানি?? কাল থেকে দেখো কি কি করি আমি হুহহহ
দেখব তো হুহহ
আম্মু বললো
আর হ্যা কাল মনে করে তোমার সাজুগুজুর কসমেটিকস কিছু লাগলে নিয়ে এসো নাহলে দরকার নেই। আমি সব কিনে দিব। তুমি সাজুগুজু করে আমার সামনে ঘুরবা তাহলে আমার ভালো লাগবে।
আচ্ছা আম্মু নিয়ে আসব।
আমি বললাম
কানাকে পথ দেখিও না। পরে জালা বুঝবা
তুই চুপ থাক। এই দুই মাস তুই যদি ওর পিছনে লাগছিস তবে তোর ভাত বন্ধ
আমি থাকতাম না চলে যাব পরে বুঝবা
কথা না বলে এখন খেয়ে নে
খাওয়া শেষ করে যে যার রুমে চলে গেলাম।
রাত ১ টার দিকে তিশাকে কল দিয়ে বললাম ছাদে আসতে। ও চুপিচুপি ছাদে চলে এলো আমি ওকে নিয়ে দোলনাতে বসলাম। ও আমার হাতটাকে জড়িয়ে ধরে আমার কাঁধে মাথা রেখে বললো
নীল,,, বিয়ের পরও কি এভাবে আমাকে ভালোবাসবে নাকি ব্যস্ততার দোহাই দিয়ে দুরে সরে থাকবে
তিশা কি বলো এসব। আমি যতই বিজি থাকি তোমার জন্য ঠিকই সময় বের করে নিব
জোসনা দেখতে আসবে তো তখন??
হুমম তোমাকে নিয়েই প্রতিটা জোসনা রাতে এখানে বসব। আর চাদের আলোয় তোমার মিষ্টি মুখটা দেখব।
জানো নীল,, আমি না ভালোবাসা টা কি বুঝতাম না। এখন বুঝি,, তোমাকে ছেড়ে থাকাটা কি যে কষ্ট সত্যি বলে বুঝাতে পারব না। ইচ্ছে করে তোমাকে আমার বুকের খাচায় আটকে রেখে দেই যাতে আমি ছাড়া আর কেউ দেখতে না পারে।
আমি শুধু তোমার হয়েই থাকব তিশা।
তিশা আমার গালে চুমু দিয়ে বললো
সবটুকু আদর জমিয়ে রাখছি। বিয়ের পর পেয়ে যাবা।
আমিও রেখেছি।।
চারিপাশের জোসনা মাখা পরিবেশটা আমাদের ভালোবাসার সুভাসে মুখরিত হলো।তিশাকে কিস করতে করতে বেশ কিছু সময় চলে গেলো। তারপর রুমে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম।
সকালে উঠে তিশাকে নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম। সরাসরি গেলাম ওর স্কুলে। স্কুলের সামনে গাড়ী রাখতেই সবাই তাকিয়ে আছে। তিশা গাড়ী থেকে নেমে আমাকে বললো,,,
তুমি এখানেই থাকো আমি স্যারের রুমে গিয়ে কাজ শেষ করে আসতেছি আর হ্যা একটা মেয়ের দিকেও তাকাবে না বলে দিলাম। খুন করে ফেলব তাহলে।
আমি তাকাবো না কেউ তাকালে কিন্তু আমার দোষ নেই।
তিশা একটু চিন্তা করে আমার হাত ধরে গাড়ীতে বসিয়ে বললো
তুমি এখানেই বসো। বাইরে আসতে হবে না।
আরে পাগলি আমি তোমাকে ভালোবাসি আর কেউ তোমার জায়গা নিতে পারবে না।
সত্যি তো?? আচ্ছা ওই পাশে যাও ওখানে কিছু দোকান আছে কিছু খাও গিয়ে।
না না তুমি এলে একসাথে ফুসকা খাব। যাও জলদি আসবে।
আচ্ছা।
তিশা চলে গেলো আমি গাড়ীর সামনে দাড়িয়ে আছি। একটু পর কয়েকটা ছেলে এলো।
হাই ভাইয়া
হ্যালো
আপনি কে?? এখানে কি করেন??
আমার ওয়াইফের সাথে এসেছি।
কে আপনার ওয়াইফ
তিশা এবারের পরীক্ষার্থী।
ওহহ আচ্ছা।
কিছু মনে করবেন না ভাইয়া
না ঠিক আছে ভাইয়া
ওদের হাবভাবে মনে হলো একটু নেতামি করে স্কুলে কিন্তু আমাকে কিছু বলতে সাহস পেলো না সিনিয়র বলে।
যাইহোক তারপর অনেক সময় পর তিশা এলো ওর বান্ধবীদের সাথে করে। সাথে সেই তিনজনও ছিল। যারা আমাকে ওর সাথে মিলে হেনস্তা করেছিল।
আমাকে দেখেই কিছু টা লজ্জা পেলো ওরা তিনজন বাকিরা চিনেনা। কি জানি তিশা ওদের কি বলে এনেছে।
হাই দুলাভাই কেমন আছেন
হ্যালো। কে দুলাভাই হুমমম আর বউটা কে শুনি
ইশশশ কত ঢং দেখো আমরা সব শুনেছি তিশার থেকে। এখন আমাদের সবাই কে ট্রীট দিতে হবে।
হুমম অবশ্যই দিব। চলো সবাই।
ওরা তিনজন বললো
সরি ভাইয়া সেদিন একটু বেশি দুষ্টামি করে ফেলছিলাম।
আরে না একটু দুষ্টামি তো হবেই তখন তো তোমাদের বেয়াই ছিলাম।
হিহি হুমম ভাইয়া বিয়ে করবেন কবে
এইতো পরীক্ষা শেষ হলেই করব
আচ্ছা।
ওরা বলাবলি করলো
তিশা ভালো বর পেয়েছিস রে,, হ্যান্ডসাম আছে,,
ওই শয়তানি নজর দিবি না একদম।
উলে বাবালে কত দরদ
চুপপপ
সবাই মিলে ফুসকা খেয়ে ওদের বিদায় দিয়ে চলে গেলাম তিশার বাসায়।
অনেক খাতির যত্ন করলো আমার হবু শাশুড়ী আর শ্বশুর। খাবার খেতে হবে আগে তাই তিশা বললো ফ্রেশ হয়ে আসতে। আমি ফ্রেশ হয়ে টেবিলে এলাম।
তিশার আম্মু বললো
বাবা নীল,, তিশা তোমাদের ওখানে থাকবে বেপারটা কেমন জানি লাগেনা বলো
আন্টি আসলে তিশা ওখানে থেকে পড়লে ওর পড়াশোনা টাও ভালো হবে। আম্মু ওর যত্নের কোন কমতি রাখবে না। আপনি একটুও চিন্তা করবেন না।
আপনাদের কোন রকম অসম্মান হবে না।
আর আমি তো আছি। ওর সব দায়িত্ব আমার। আপনি শুধু দোয়া করবেন আন্টি
আন্টি আমার মাথায় হাত বুলিয়ে বললো
একটা মেয়ে চলে গেলো ভাবলাম ওকে নিয়ে থাকব,, কিন্তু ওকেও তো বিদায় দিতে হবে। বাড়িটা একদম ফাকা হয়ে যাবে বাবা
আন্টি আপনারা এত টেনশন করবেন না তো। আমি কয়েকদিন পর পর ওকে নিয়ে আসব। আপনাকে দেখে যাবে।
আচ্ছা বাবা। তাহলে ওর কাপড়চোপড় গুছিয়ে দেই আমি।
আন্টি গিয়ে সব গুছিয়ে দিলো। তিশা ওর বইপত্র কসমেটিকস আর কিকি নিলো জানিনা
সবগুলো গাড়ীতে উঠিয়ে ওনাদের থেকে বিদায় নিয়ে চলে এলাম বাড়ীতে,,,,…….
.#চলবে