বেয়াইনের প্রেম পর্ব_১০

0
1007

#বেয়াইনের_প্রেম
পর্ব_10
লেখাঃ নীল মাহমুদ (পিচ্চি পোলা)

“” এমন একটা সময়ে শিহরন জাগালো,, আমি নাহয় ভদ্রতার সুরে না বললাম তাই বলে আদর করলো না?? হাদারাম একটা। সারাটারাত তোমার জন্য ঘুম হয়নি একটুও “”
লেখাটা পড়ে বুকের ভেতর কেপে উঠলো। আমার মিষ্টি হবু বউটাও আমাকে আপন করে চেয়েছিল আর আমি বুঝতেই পারিনি। যদিও অস্বাভাবিক কিছু না কারন মেয়েদের মন বুঝতে পারা এতটা সহজ নয়।
সাতপাঁচ ভাবতে ভাবতে রুম থেকে বের হয়ে গেলাম। তিশাকে বুঝতে দেয়া যাবে না আমি ওর ডায়েরি টা লুকিয়ে পড়েছি। আমি আমার রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে বের হলাম দেখি তিশা রুমে বসে আছে।
এনেছো
হুমম তোমার টেবিলে রেখে আসছি
উলে বাবা,, বরটা আমার কথা শুনেছে তাহলে
কোন কথাটা রাখিনি তোমার বলো তো
থাক থাক হইছে এখন চলো খাবে
আজ তুমি খাইয়ে দিবা
পাগল নাকি সবার সামনে এসব ঢং চলবে না
এটা ঢং তাইনা
নয়তো কি হুমম বিয়ের পর এসব ঢং চলবে এখন না
আচ্ছা দেখা যাবে তখন
হুমম চলো একসাথে খাবো আমিও খাইনি
কেন সবার সাথে খেয়ে নিতে
কেউ একজন বাইরে ছিল তার জন্য অপেক্ষা করে ছিলাম তো
ওরে আমার পাগলিটা চলো চলো জলদি
তিশা খাবার বেড়ে দিলো একসাথে বসে খেলাম
বিকেলে আব্বু আম্মু আর তিশার আম্মু আব্বু সবাই মিলে গল্প করছে। আমিও উপস্থিত হলাম। তিশার আব্বু জিজ্ঞেস করলো
বাবা নীল চাকরির কোন সন্ধান পাওয়া গেলো??
জি,, গতকাল একটা অফার দেখলাম কিন্তু সমস্যা হলো ওখানে ভালো রেফারেন্স ছাড়া কিছু হবে না।
কোন কোম্পানি ঠিকানা টা বলো তো
আমি নাম বললাম আর অফারটাও দেখালাম
আরে এটা তো আমার পরিচিত,,, কোম্পানির MD আমার খুব ক্লোজ। আমি আজই ওর সাথে কথা বলব তুমি টেনশন করো না। তুমি সব কাগজপত্র রেডি করে ফেলো। বাকিটা আমি দেখছি।
আচ্ছা তাহলে তো ভালোই হলো।
প্রয়োজনে আমি কাল ওখানে যাব ওর সাথে দেখা করে সব কিছু জানাবো।
ঠিক আছে আংকেল।
কিছুটা স্বস্তি পেলাম আংকেলের কথা শুনে। ওনারা গল্প করছে আমি তিশার রুমে গিয়ে ওর বিছানায় শুয়ে পড়লাম। তিশা এসে বললো
এটা কি হচ্ছে শুনি আমার বিছানায় কেন শুয়ে পড়লে
বা রে,, বউয়ের বিছানায় শোয়া কি অপরাধ নাকি হুমম
এখনো বিয়ে হয়নি যখন হবে তখন শুবা যাও ওঠো
পারব না
নাহলে কিন্তু চিমটি দিব
ওই না তোমার চিমটি খেতে খেতে শরীরটা বেথা হয়ে গেছে আমার। এই দেখো আমার কি হাল বানিয়েছো
ভালো করছি এখন না উঠলে আরে দিব কিন্তু
তাইনা আচ্ছা যাচ্ছি
উঠে গিয়ে দরজাটা আটকে দিয়ে তিশার দিকে এগোচ্ছি আর তিশা বলছে
নীল কি করছো হুমম একদম এগোবে না বলছি
কি করবা শুনি
আমি চিল্লাবো
তো চিল্লাতে থাকো দেখি কার কি হয়
না নীল প্লিজ চলে যাও আর কয়দিন পর সব পাবা প্লিজ
তাইনা?? আমি এখন চলে যাব আর তুমি ডায়েরিতে লিখবা,, আজও হাদারাম টা আদর না করে চলে গেলো।
মমমমমমমাননননননেে তততততুমমমমি কি করে জানলে
বলো এটাই তো লিখবে
তার মানে তুমি আমার ডায়েরি পড়েছো
হুমম
এটা তুমি ঠিক করোনি নীল আমার অনুমতি ছাড়া কেন ধরেছো
এবার যা করব সেটা ঠিক হবে
কককক কি করবা তুমি
হিশশশশশ চুপ
নীল প্লিজ
তিশাকে মাত্র জড়িয়ে ধরে ওর ঠোটগুলো ছুতে যাব ঠিক তখনই আম্মুর ডাক এলো। জলদি দরজা খুলে দিয়ে আমি তিশার টেবিলে বসে পড়লাম আর তিশা বিছানায় শুয়ে মুচকি হাসছে।
কি হলো তো উচিত বিচার
দেখে নিব পরে হুমম
আচ্ছা দেইখেন বর মশাই
আর কখনো আমার ডায়েরী ধরবা না মনে থাকে যেন
মুখ ভেংচি দিয়ে চলে এলাম
কবিতা আবৃত্তি বা লিখার চেষ্টা কখনোই করিনি। কিন্তু আজ কেন জানি কবি হবার শখ হইছে তিশার জন্য। প্রেমিক মনে আজ প্রেমের ঘনঘটা বেশ উথাল পাথাল ঢেউ বইছে। কাগজ কলম নিয়ে প্রিয় হবু বউ টাকে নিয়ে কবিতা লিখতে শুরু করলাম।
১ ঘন্টা ধরে ভাবতে ভাবতে কবিতাটা লিখে কয়েকবার রিভিশন দিলাম কোন বানানে ভুল হলো কিনা। নাহহ এমন কিছু হয়নি। নিজের কবিতা টা পড়ে রোমাঞ্চ ভরা মন নিয়ে লাফাতে লাফাতে চলে গেলাম তিশার রুমে।
একটু কাশি দিয়ে তিশার নজর কাড়লাম।
কিছু বলবা
হুমম
কি বলো
একটা কবিতা লিখছি তোমার জন্য
কি?????? কবিতা???? তুমি???
এএএহহহহ এমন করছো কেন??? পড়লে বুঝবা কতটা ভালোবাসি তোমাকে হুমম
তো কি কবিতা লিখছো শুনাও
আমি তো আবৃত্তি করতে পারিনা৷ তুমি পড়ে নাও
তুমি লিখছো তো ইমোশন দিয়ে তাই যেমনই হোক তুমিই শুনাও তোমার মত করে।
আচ্ছা শুনো তাহলেহু
মম বলো
তিশা আমার দিকে ঘুরে বসলো নড়েচড়ে খুব মনোযোগ দিয়ে।
আমি আমার কবিতাটা পড়তে শুরু করলাম।
তিশা ও আমার তিশা
তোমার ওই বড় বড় চোখে
কেন এত নেশা??
যতই উঠুক তোমার নরম গালে ব্রন
কখনো ছেড়ে যাব না করেছি তো পন
ভালো লাগে তোমার হাতে
মেহেদী আর নেলপলিশ
বিয়ের পর বেথা পেলে
কইরো একটু মালিশ ?
ফর্সা পায়ে লাগিয়ে দিব
নেলপলিশ আর আলতা
বাজার থেকে এনে দিব
কামরাঙা আর চালতা
জ্বর হলে রাত জেগে দিব জলপটি
মাথার চুল উঠে গেলে
লাগিয়ে দিব পেয়াজ পটি ?
নাস্তা করবো একসাথে
চানাচুর আর মুড়ি
দুষ্টামি করব তোমার সাথে
দিয়ে সুড়সুড়ি ??
একমনে কবিতাটা পড়ে শেষ করে সামনে তাকিয়ে দেখি তিশা টেবিলে নেই। আরে মেয়েটা গেলো কই?? বিছানায় চোখ যেতে দেখি তিশা গড়াগড়ি খাচ্ছে হাসতে হাসতে। আজিব তো এটা তো হাসির কবিতা নয় কত কষ্ট করে লিখলাম আর ও হাসছে??
তিশার অট্টহাসিতে ভাবী আর আম্মু চলে এলো
কিরে তুই হাসছিস কেন কি হইছে
আপু তোমার রসিক দেবর আমার জন্য একটা কবিতা লিখেছে সেটা শুনেই আমার অবস্থা খারাপ
কি কবিতা
ভাবী আমার হাত থেকে কবিতাটা নিয়ে জোরে জোরে পড়ছে আর হাসছে। আম্মু ভাবী আর তিশা একরকম গলা জড়িয়ে ধরে হাসতে শুরু করলো। আমি নির্বাক চলচ্চিত্র হয়ে মাথায় একবোঝা লজ্জা নিয়ে চলে এলাম। মনকে বুঝালাম,,,, এজন্যই দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে হাজারো কবি ???
রাতে সবাই ঘুমালে আমি তিশার রুমের সামনে গিয়ে দেখি ও এখনো পড়ছে। ওকে কল দিয়ে বললাম রুমে আসতে। বললো পড়া শেষ করে মেসেজ দিবে।
অপেক্ষা করতে লাগলাম ওর জন্য। প্রতিদিন ওকে কিস না করলে কেন জানি কিছু ই ভালো লাগে না আমার। অবশেষে তিশা নিজেই চলে এলো আমার রুমে। তিশা আসতেই আমি ওকে জড়িয়ে ধরে বললাম
খুব মিস করছিলাম পাগলি
আমিও বর মশাই
দাড়িয়ে তিশাকে চুমু খাচ্ছি ওর কপালে
তারপর তিশা ফিসফিস করে বললো….
আজ কিন্তু কোন দুষ্টামি করবা না বলে দিলাম
আচ্ছা তাই নাকি
হুমম,,,
তিশাকে আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরে ওর গলায় কিস করছি,, তিশাও আমাকে জড়িয়ে ধরে সাড়া দিচ্ছে। তিশাকে আড়কোলা করে বিছানায় ফেলে দিলাম। ওর গোলাপি ঠোট গুলোতে আমার ঠোঁট চেপে ধরে কিস করছি। তিশার নিঃশ্বাস ঘন হয়ে গেছে। ওর গলা থেকে নিচে নামছি কিস করতে করতে। বুকের মাঝখানে কিস করতেই তিশা আমার পিঠে ওর নখ দিয়ে খামচি দিতে লাগলো। মনে হলো পিঠে দাগ বসে গেছে।
নীল প্লিজ ছাড়ো এখন
চুপপপ আজ কোন বাধা দিও না
আমার কেমন জানি লাগছে
আজ তোমাতে মিশে যেতে চাই
তিশা আমার ঠোঁটে ঠোঁট রেখে অনবরত কিস করছে। তিশার নাভিতে কিস করতেই তিশা আর নিজেকে আটকাতে পারেনি। তারপর গভীর প্রণয়ে হারিয়ে গেলাম দুজন। জানিনা কোন ভুল করলাম কি না। কিন্তু তখনকার অনুভুতিটা বুঝানোর কোন ভাষা জানা নেই আমার।( বিঃদ্রঃ আমি কিন্তু পিচ্চি ওসবের অনুভূতি কেমন যানা নাই ? এক কথাই ভার্জিন এখনও ?)
রাত তখন তিনটার কাছাকাছি হবে। তিশা আমার বুকে মাথা রেখে শুয়ে আছে। দুজনই অর্ধনগ্ন।
নীল তুমি ফ্রেশ হয়ে ঘুমিয়ে যাও আমিও ফ্রেশ হবো। আম্মু উঠবে একটু পর।
আর একটু থাকো না প্লিজ
আর কত হুমম,, মন ভরেনি বুঝি
না তোমাকে সারাজীবন আদর করলেও মন ভরবে না
ইশশশ তাই বুঝি
হুমম মিষ্টি বউ
এই দুষ্ট ছেলে বিয়ের আগে এটা কি ঠিক হলো,,
তোমার কি মনে হয় কোন ভুল করলাম
যেহেতু আমাদের বিয়ে একেবারে নিকটে সেহেতু ভুল হয়নি।
তিশা তুমি কি খুশি
হুমমম অনেক খুশি। আমার গালে কিস করতে করতে বললো
তিশার কপালে চুমু দিয়ে জড়িয়ে ধরলাম।
তারপর তিশা উঠে গেলো ওর রুমে। আমি ফ্রেশ হয়ে শুয়ে পড়লাম।
সকালে তিশা আমাকে ডেকে ঘুম ভাংগালো।
এই যে বর মশাই উঠেন এখন অনেক বেলা হয়ে গেছে
হুমমম উঠছি
জানো আজ কি স্বপ্ন দেখছি
কি দেখছো
আজ রাতে তুমি আমাকে অনেক আদর দিছো
কি বলো আমি তো সত্যি তোমাকে আদর করেছি
ধুরর তুমিও স্বপ্ন দেখছো তাহলে
মানে স্বপ্ন কেন হবে?? রাতে তো তুমি আমার রুমে এসে ছিলে। কত আদর করলাম তোমাকে।
না গো পাগল ছেলে ওসব স্বপ্ন ছিল।
এএএএহহহহহ কি বলতেছো এসব
জি বর মশাই সত্যি
আমি কিছুই বুঝতে পারছিনা তিশা বলছে স্বপ্ন আমার মনে হচ্ছে সত্যি। কনফিউশানে পড়ে গেলাম। যাইহোক যদি স্বপ্ন হয়ে থাকে তবে স্বপ্ন টাকে আজ সত্যি করতে হবে।
ওদিকে তিশার আব্বু চলে গেলো ওনার বন্ধুর অফিসে কথা বলতে। ওনাকে সবকিছু খুলে বলতে খুব খুশি হলেন। এবং আশ্বস্ত করলেন যে আমার চাকরির জন্য কোন সমস্যা হবে না। সাত দিন পর অফিসে আসতে বললেন সব কাগজপত্র নিয়ে। তিশা ফোন করে জানালো ওর আব্বু। খবরটা পেয়ে তিশা খুশিতে দৌড়ে এলো আমার কাছে। জড়িয়ে ধরে বললো
নীল একটা সুখবর আছে
কি হইছে
তোমার চাকরি হয়ে যাবে আব্বু মাত্র ফোন করে বললো
সত্যি
হুমম
খবরটা পেয়ে নিজের কাছেও ভালো লাগলো। যাক এখন টেনশন কমলো অনেকটা।
দেখতে দেখতে সাতটা দিন পার হয়ে গেছে। আজ অফিসে যাবার কথা। সব কিছু ঠিক ঠাক করে রওনা দিলাম।
রিসিপশনে গিয়ে পরিচয় দিতেই আমাকে নিয়ে গেলো স্যারের কাছে। স্যার কথা বলছেন আমি ওয়েট করছি বসে। তারপর স্যার ফ্রি হয়ে আমাকে ডাকলেন।
আসসালামু আলাইকুম স্যার
ওয়ালাইকুম আসসালাম
স্যার আমি নীল
হ্যা চিনেছি তোমাকে। আমার বন্ধুর হবু জামাই তুমি
আমি একটু লজ্জা পেয়ে মাথা নিচু করে আছি।
আজ থেকে তোমার নতুন অফিসের জীবন শুরু। ম্যানেজারকে বলে তোমার সব কাজ বুঝিয়ে দিতে বলব। বেতন বোনাস নিয়ে তোমার কোন চিন্তা করতে হবে না।
থ্যাক ইউ স্যার
ইউ আর ওয়েলকাম। তোমার কাগজ গুলো দাও আমাকে।
আমি হাত বাড়িয়ে দিলাম।
কাগজপত্র দেখে স্যার খুব খুশি হলেন। তারপর ম্যানেজারকে ডেকে আমার কাজ বুঝিয়ে দিলেন। অফিসের ভালো সম্মানিত পদে আমার চাকরি হলো। সবার সাথে পরিচিত হয়ে নিলাম। প্রথম দিনটা বেশ আনন্দে কাটলো। নতুন একটা অভিজ্ঞতা হলো।
বাড়িতে ফিরে সবাই মিলে খোশগল্প করতে করতে সব বললাম। সবাই ভিষণ খুশি।
এদিকে তিশার পরীক্ষার সময় ও ঘনিয়ে এলো। দুদিন পর ওর পরীক্ষা শুরু। তাই আমি সারাদিন অফিসে বিজি থাকি ও পড়াশোনা নিয়ে। রাতে কিছু টা সময় ওর সাথে কথা বলি। এখন আর বেশি দুষ্টামি করিনা পড়াশোনার যাতে কোন ক্ষতি না হয়। তিশা বলে এমনিতেই আমাকে ছাড়া কিছু ভালো লাগেনা ওর। যতটুকু সম্ভব ওকে বুঝাই আমি।
পরীক্ষার দিন তিশাকে আমি নিয়ে যাই স্কুলে। তারপর অফিস চলে গেলাম। আব্বু আম্মু ভাইয়া ভাবী তিশার আব্বু আম্মু ও এলো ওকে নিতে। শুধু আমি আসতে পারিনি। তিশা পরীক্ষা শেষ করে বাইরে এসে জানালো পরীক্ষা ভালো হয়েছে কিন্তু আমি নিতে যাইনি বলে মনে মনে রেগে আগুন হয়ে গেছে। কি করব আমি অফিস ও তো সামলাতে হবে।
ওদিন আবার অফিসে স্যারের একমাত্র মেয়ে মেঘলা এসেছে। বড়লোক বাবার আদরের মেয়ে। খুব সুন্দরী স্মার্ট। শুনলাম কিছু দিন পর অফিসে জয়েন করবে। স্যার এসে সবার সাথে পরিচিত করালেন। তারপর স্যার ডাকলেন আমাকে ওনার রুমে।
May I come in sir
Yes yes
স্যার বলেন
ওহ হ্যা নীল আমার মেয়ের সাথে পরিচিত হও পারসোনালি। আগামী সপ্তাহে ও জয়েন করবে অফিসে। আমি কয়েকমাসের জন্য বাইরে যাব। ততদিন ও হবে MD. তাই তুমি আর ম্যানেজার ও কে সবকিছু বুঝিয়ে দিবে। পারবে না??
শিওর স্যার। কোন সমস্যা হবে না।
মেঘলার সাথে পরিচিত হয়ে নিলাম আরেকচোট।
মেঘলা বললো
বাপি আমি নীলের থেকে সব জেনে নিতে চাই। ম্যানেজারের সাথে কথা বলে তেমন পোষাবে না। তুমি কি বলো
আচ্ছা আমি সব ব্যাবস্থা করে দিব।
প্রথম দেখাতে মেঘলার আগ্রহটা একটু বেশি মনে হলো। তবে বন্ধুসুলভ। কথা বলে ভালো লাগলো। সেদিন ফিরতেও একটু দেরী হয়ে গেলো আর তাতেই তিশা রেগে গেলো অনেকটা। আমি অফিস থেকে বের হতেই তিশাকে কল করলাম ও ধরলো না। বুঝলাম আজ শনি আছে।
বাসায় এসে রুমে গিয়ে দেখি তিশা আমার বিছানায় ঘুমাচ্ছে। মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি এলো। আমি তিশার কপালে চুমু দিয়ে ওর ঘুম ভাঙ্গালাম। আমাকে দেখেই মুখ ঘুরিয়ে নিলো।
এই পাগলি এত অভিমান করে আছো,, সরি সোনা পাখি আমার অফিসে আজ জরুরি কাজ ছিল তাই নিতে আসতে পারিনি। এই দেখো কান ধরছি। সরি সরি সরি
তিশা চুপ করে আছে। বুঝলাম আমার হবু বউয়ের আদর না পেলে তার রাগ কমবে না। উঠে গিয়ে দরজাটা আটকে দিয়ে তিশার চুলের ভেতর হাত দিয়ে আমার কাছে টেনে নিয়ে ওর ঠোটগুলো আলতো করে ছুয়ে দিলাম। ওকে কিস করতে করতে যখন দেখলাম তিশা আমাকে জড়িয়ে ধরেছে তখন বুঝলাম বউটার রাগ কমেছে।
তিশা সরি সুইটহার্ট।
জানো তোমাকে না দেখে কতটা কষ্ট পাইছি
পরীক্ষা কেমন হলো
হুমম খুব ভালো হইছে।
এখন আর রাগ করো না। চলো আমাকে খেতে দিবে।
একটু ফ্রেশ হয়ে আসি
হুমম আমিও ফ্রেশ হয়ে আসছি।
পরে যাও আগে আমি ওয়াশরুমে যাব
এএহহহ আমার ওয়াশরুম আমি আগে যাব
বললেই হলো নাকি আমি যাব
আচ্ছা একসাথে যাই চলো
চুপপপ যাব না তোমার সাথে
তিশাকে আড়কোলে তুলে নিয়ে গেলাম। দুজন ফ্রেশ হয়ে বের হয়ে খেতে বসলাম।
জানো আজ স্যারের মেয়ে এসেছিলো। সামনে সপ্তাহে জয়েন করবে। সব তার আন্ডারে। আমাকে ওনার সাথে থাকতে হবে সবসময়
কি বললে তুমি নীল????
তিশার চোখ দুটো যেন আগুনের বল হয়ে গেলো আমার কথা শুনে……..

#চলবে