#বোনু
#Part_25
#Writer_NOVA
আজকাল অফিসের প্রেসারটা একটু বেশিই পড়ে গেছে অর্ণবের।কয়েক দিন অফিসে না আসায় সবকিছু এলোমেলো হয়ে আছে।অরূপ থাকলে এত টেনশন করতে হতো না।ছেলেটার মধ্যে অদ্ভুত ক্ষমতার মতো কিছু আছে। সবকিছু একাই সামলে নিতে পারে।অরূপ থাকলে ওর ওপর সব দায়িত্ব দিয়ে অর্ণব নিশ্চিন্তে থাকতে পারতো।এক মুহূর্ত অরূপের মৃত্যুটাকে সত্যি ভেবে কেঁপে উঠলো অর্ণব।আজ যদি সত্যি সত্যি অরূপ মারা যেত তাহলে অর্ণব পাগল হয়ে যেত।বাগান বাড়ি থেকে সর্বক্ষণ ল্যাপটপ ও ব্লুটুথের সাহায্যে অরূপ হেল্প করছে অর্ণবকে।
অর্ণবঃ হ্যালো অরূপ শুনতে পাচ্ছিস?
অরূপঃ হ্যাঁ,বড় ভাই বলেন।
অর্ণবঃ তুই কিন্তু ওল টাইম আমার সাথে ব্লুটুথে কানেক্টেড থাকবি।আমি কোন কিছু খুঁজে পাচ্ছি না।গত সপ্তাহের টেন্ডারের ফাইলটা,মাসখানিক আগের কনট্যাক্ট দলিলটা।আমি এগুলো খুঁজতে খুঁজতে পাগল হয়ে যাবো।কোথায় এগুলো? তুই এতো ফাইল সামলাস কি করে ভাই?তুই না থাকলে আমার রাস্তায় বসতে হবে।
অরূপঃ ছিঃ ভাই। কি বলেন এসব?আমি বেঁচে থাকতে কেউ আপনাদের কোন ক্ষতি করতে পারবে না।আপনাকে আমি বলে দিচ্ছি কোথায় কি আছে?
অর্ণবঃ বল ভাই।যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই গেম ওভার করতে হবে।নয়তো একা একা অফিস সামলাতে গিয়ে আমাকে পাবনার হেমায়েতপুরে ভর্তি হতে হবে।
অরূপঃ বড় ভাই আপনি হাইপার হচ্ছেন কেন?আমিতো আছি।আমি সব বলে দিব।আপনি টেনশন করে শরীর খারাপ করেন না।
অরূপ ব্লুটুথের সাহায্য কোথায় কি আছে তা বলে দিচ্ছে। এমন সময় রুমের দরজার সামনে আরাভ শিকদার এসে অর্ণবের থেকে পারমিশন চাইলো।
আরাভঃ আসতে পারি মি.মির্জা??
অর্ণব পেছন থেকে সামনে তাকালো।এই সময় আরাভ শিকদারকে ওর অফিসে দেখে বেশ অবাক হলো।
অর্ণবঃ মি.শিকদার আপনি?(অবাক হয়ে)
আরাভঃ বাইরে দাঁড়িয়ে থাকবো। নাকি ভেতরে আসতে দেবে?
অর্ণবঃ অরূপ আমি তোর সাথে পরে কথা বলছি।তুই লাইনে থাকিস।(নিচুস্বরে)
অরূপঃ ওকে ভাই।তবে মি.শিকদারের সাথে সাবধানে কথা বলবেন।খুব ধূর্ত ও চালাক মানুষ। নিজের স্বার্থের জন্য অনেক নিচে নামতে পারে।
আরাভঃ আমায় কিছু বললে অর্ণব?
অর্ণবঃ না না। আপনাকে কিছু বলেনি।প্লিজ মি.শিকদার ভেতরে আসুন।
আরাভঃ অরূপ না থাকায় সব কাজ তোমাকে সামলাতে হচ্ছে। ছেলেটার জন্য খুব খারাপ লাগে।বড্ড ভালো ছেলে ছিলো।আমি সবসময় ওর জন্য দোয়া করি।আল্লাহ যাতে ওকে বেহেশতে নসিব করে।
অরূপঃ মাছের মার পুত্র শোক।দেখেন ভাই নিশ্চয়ই নিজের কোন দরকারে এখানে এসেছে।কিন্তু এখন প্রথমে আপনার মন জয় করার জন্য আমার নামে এসব বলছে।তার কথার জালে মোটেও ধরা দিয়েন না।কোথায় কোন ফাঁদ পেতে রেখেছে কে জানে?গতবার এমন মিষ্টি মধুর কথা বলে আমাদের থেকে কোটি টাকার টেন্ডারটা নিয়ে গেল।আপনার বিশ্বাসকে মাটি দিয়ে দিয়েছিলো।আপনার একটা বড় দোষ আছে ভাই।সবাইকে খুব সহজে আপন করে নেন।খবরদার এবার যদি ঐ শিকদারের কথা শুনেন তাহলে আপনার সাথে আমি কথা বলবো না।
অর্ণবঃ তোর কথা শেষ হলে চুপ করে থাক।আমি এখন বেশি কথা বলতে পারবো না।(নিচুস্বরে)
আরাভঃ কার সাথে কথা বলছো অর্ণব?
অর্ণবঃ আরে চাচা আপনি দাঁড়িয়ে আছেন কেন? বসুন, প্লিজ। ঠান্ডা খাবেন নাকি গরম?
আরাভঃ আমার জন্য ব্যস্ত হতে হবে না।আমি ঠিক আছি।
অর্ণবঃ যাক বাবা কথা ঘুরিয়ে ফেলতে পেরেছি।আরেকটু হলে ধরা পরে যেতাম।(মনে মনে)
আরাভঃ মনে হচ্ছে খুব আপসেট তুমি। অবশ্য থাকবে না কেন?কিছু দিন আগে এতোবড় একটা দূর্ঘটনা ঘটে গেল।অরূপ যে তোমাদের মাঝে নেই সেটা ভাবতেও খারাপ লাগে।
অর্ণবঃ ঠিকই বলেছেন চাচা।অরূপ থাকলে কি আমাকে এতো কষ্ট করে বিজনেস সামলাতে হয়।ছেলেটা একা এতো কিছু সামলাতো কি করে আল্লাহ জানে। অফিসের কাজ,আমার মিটিং, বোনুকে দেখে রাখা,ডিল ফাইনাল করা,গার্ড সামলানো ইত্যাদি। কত কাজ যে করতো তা গুণে শেষ করতে পারবো না।এসব কাজ এখন আমায় করতে হবে ভাবতেই আমার প্রেসার উঠে যাচ্ছে। অরূপ ভাই তুই যেখানে থাকিস ভালো থাকিস ভাই।তোকে খুব মিস করছি।
(কান্নার অভিনয় করে)
অরূপ ল্যাপটপে কাজ করছে আর ব্লুটুথে অর্ণবের কথা শুনে মিটমিট করে হাসছে।এক হাতে ল্যাপটপ টিপছে আরেক হাতে কফির মগ নিয়ে চুমুক দিলো।আরাভ শিকদারকে অরূপ একদম সহ্য করতে পারে না।মানুষটা বেশি সুবিধার নয়।
অর্ণবঃ চাচা কিছু বলবেন?আপনি তো আমার অফিসে বেশি একটা আসেন না।
আরাভঃ না কোন কাজে আসিনি।এই পথে যাচ্ছিলাম।ভাবলাম তোমার সাথে দেখা করে যাই।অরূপ নেই কি করে অফিস সামলাচ্ছো?কোন সমস্যা হচ্ছে কি না?তাই জানতে আসলাম।
অর্ণবঃ আল্লাহ যা করেন ভালোর জন্য করেন।আল্লাহ নিশ্চয়ই আমাদের বর্তমান অবস্থা থেকে শীঘ্রই বের করবেন।আমার বিশ্বাস এটা।
আরাভঃ আচ্ছা বাবা আসি।ভালো থেকো।উষা মা ভালো আছে তো?
অর্ণবঃ আল্লাহর রহমতে ভালোই আছে। এখন উঠবেন কেন?কিছু না খেয়ে আজও চলে যাবেন।ব্যপারটা ভালো দেখায় না। আজ কিছু মুখে না দিয়ে আপনি কোথাও যেতে পারবেন না।
আরাভঃ এটা কেমন কথা হলো?
অর্ণব পিয়নকে ডেকে দুই মগ কফি দিতে বললো।কফি খেতে খেতে টুকটাক ব্যবসায়িক কথা হলো তাদের মাঝে। বেশি দেরি না করে আরাভ শিকদার কফি শেষ করে চলে গেলেন।
অরূপঃ মানুষটাকে কেন জানি আমি সহ্য করতে পারি না।কারণটাও আমার কাছে স্পষ্ট নয়।
অর্ণবঃ সব কথায় তো শুনলি।আমার তার উপর সন্দেহ হচ্ছে। তার গতিবিধির দিকে লক্ষ্য রাখিস।
অরূপঃ বার বার আমার নাম নেওয়ার কাহিনী বুঝলাম না।
অর্ণবঃ তোর বুঝতে হবে না।কাজে মনোযোগ দে।
🍁🍁🍁
বিকালে…..
উষা গুণগুণ করে গান গাইতে গাইতে সিঁড়ি দিয়ে নামছে।আজ সে স্পেশাল করে সাজগোজ করেছে।কালো কালার গাউন,মাথায় কালো হিজাব বাঁধা। ঠোঁটে হালকা ডার্ক কালার লিপিস্টিক।চোখে কাজল,হালকা মেকআপ।সোফায় বসে মোবাইলে গেইম খেলছে ঈশান।উষাকে এই সাজে দেখে খুব অবাক হলো।কপাল কুঁচকে চোখ দুটো ছোট ছোট করে জিজ্ঞেস করলো।
ঈশানঃ ঐ ছেমরি কোথায় যাস?
উষাঃ তোকে বলবো কেন?
ঈশানঃ আমাকে বলবি কেন মানে?যা জিজ্ঞেস করেছি তার উত্তর দে।বড়,মেজু ভাইয়া,ইশাত কেউ বাড়িতে নেই। তাই তুই কোথায় যাবি না যাবি আমার কাছ থেকে পারমিশন নিয়ে যাবি।আমি যদি পারমিশন দেই তাহলে তুই বাড়ি থেকে বের হতে পারবি নয়তো নয়।
উষাঃ ইস,কোথা থেকে এসেছিস রে? আমাদের বাড়ির কর্তা হয়ে গেছিস তুই? তোকে বলবো কেন? আমি বড় ভাইয়ুর অনুমতি নিয়েছি।তুই কে যে তোকে বলবো?যা ভাগ এখান থেকে।
ঈশানঃ তুই কিন্তু আমায় অপমান করছিস? ভালো হবে না।বেশি করবি তোর বাইরে যাওয়া বন্ধ করে দিবো।
উষাঃ আই ডোন্ট কেয়ার। একটা কাজও তো করতে পারিস না।সারাদিন হাওয়া লাগিয়ে ঘুরে বেড়াস।মারামারি ছাড়া আর কোন কাজ পারিস।তোর কাছে মেয়ে বিয়ে দিবে কে রে?ইউসলেস একটা।সারাক্ষণ বাড়িতে বসে থাকে।ভাইয়ুদের ঘারে বসে বসে খেতে লজ্জা লাগে না তোর।ভাইয়ুরা যে তোকে কেন বসিয়ে রেখেছে কে জানে?শোন কালকের থেকে রেলস্টেশনে চলে যাবি।সেখানে গিয়ে কুলিগিরি করিস।তাও তোর হাত খরচ উঠে যাবে।ভাইয়ুদের কাছ থেকে নিতে হবে না। এবার নিজের পায়ে দাঁড়া। বিয়ে-থা তো করতে হবে।বিয়ে করে কি ভাইয়ুদের টাকায় খাওয়াবি নাকি।
ঈশানঃ 😡😡
উষাঃ ঐ ভাবে তাকাচ্ছিস কেন?যা সত্যি তাই বলছি।
ঈশানঃ তোর মুখে কথার খই ফুটেছে। তোকে এর মধ্যে বিদায় করতে হবে। নয়তো তুই আরো বেড়ে যাবি।শ্বশুর বাড়ি গেলে তোকে দিয়ে সব কাজ করাতে বলবো।তখন বুঝবি মজা কি?আমার সাথে লাগতে আসিস না।তোকে বিয়ে না দেওয়া পর্যন্ত আমি শান্তি পাবো না।
উষাঃ তুই বললেও আমার বিয়ে হবে না বললেও বিয়ে হবে।আমি কি সারাজীবন চিরকুমারী থাকবো নাকি।আমাদের বাড়ির পিলার কম পড়ে নি যে সেখানে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে।
সামনে এসে উষার কান টেনে ধরলো ঈশান।
ঈশানঃ বড্ড বেশি বেড়ে গেছিস।অনেক বড় হয়ে গেছিস।মুখে মুখে তর্ক করিস।ইচ্ছে করছে গালে দুটো বসিয়ে দিতে।
উষাঃ আহ্ আউচ।ভাইয়ু লাগছে তো।কান ছাড় বলছি।ব্যাথা পাচ্ছি তো।আমি কিন্তু এখন কামড় দিবো।তুই জানিস আমার দাঁতের ধার কেমন?
ঈশানঃ তোর দাঁত আমি ভেঙে দিবো।আমাকে কথা শুনানো হচ্ছিলো।এখন কোথায় গেলো তোর বড় বড় ডায়লগ।কোথায় যাচ্ছিস বল?
উষাঃ ভাইয়ু ছাড়।মি.জেব্রা চলে আসবে।আজকে জেব্রার সাথে লং ড্রাইভে যাবো।
ঈশানঃ এর জন্য এতো সাজগোজ। ভালো করে বললেই তো হতো। এতো কথার দরকার ছিলো না।এতগুলো কথা শোনানোর শাস্তি স্বরূপ কান মলা দিলাম।
ঈশান যদিও আস্তে করে বোনের কান ধরেছিলো।তারপরও আলতো করে দুইটা মোচড় দিয়ে কান ছেড়ে দিলো।উষা ছাড়া পেয়ে ঈশানের হাতে জোরে একটা কামড় বসিয়ে দিয়ে সদর দরজার দিকে দৌড় দিলো। কারো সাথে ধাক্কা খেয়ে পরেই যাচ্ছিলো।জিবরান গাড়ির চাবি এক আঙ্গুলে ঘোরাতে ঘোরাতে ভেতরে ঢুকছিলো।তখনি উষার সাথে ধাক্কা খেলো।উষা পরে যাওয়ার আগে ধরে ফেললো জিবরান।
জিবরানঃ ঘুড়ির মতো দৌড়াচ্ছো কেন?এখনি তো পরে গেলে কোমড় ভাঙতো।
উষাঃ কথা বলার সময় নেই। জলদী চলুন। এখনি আমাদের বের হতে হবে।ছোট ভাইয়ু আমায় হাতে পেলে মোয়া বানাবে।
জিবরানঃ কেন? কি করেছো তোমার ঈশানের সাথে?
উষাঃ মি.জেব্রা এখন বেশি কথা বলার সময় নেই। এখান থেকে আমাদের ভাগতে হবে।গাড়িতে আমি আপনাকে সব বলবো।
জিবরানঃ আমার কথাটাতো শুনো।
উষা জিবরানের কোন কথা না শুনে হাত ধরে টানতে টানতে গাড়ির দিকে নিয়ে যেতে লাগলো।
🍁🍁🍁
ভাই-বোনের ঝগড়া, খুনসুটিগুলো কিচেনের দরজা থেকে দেখছিলো নুহা।এতক্ষণ মিটমিট করে হাসলেও এখন মুখ চেপে রাখছে।নুহার দম ফেটে হাসি আসছে।এত বড় ছেলে মেয়ে অথচ এখনো একজন কামড় দিয়েছে আরেকজন বোনের বড় হয়েও কামড় খেয়েছে।সেটা ভেবে দম ফাটিয়ে হাসতে ইচ্ছে করছে নুহার।কিন্তু এখন হাসলে নিশ্চয়ই ঈশান ওর ব্যন্ড বাজাবে।বাড়িতে কেউ নেই। যদি ওর তেরটা বাজায় কেউ বাঁচাতেও আসবে না।ঈশান খেয়াল করলো কেউ মুখ টিপে হাসছে। চারিদিকে খুঁজে নুহাকে দেখতে পেল।নুহা মুখে হাত চেপে রেখেছে।
ঈশানঃ নুহা এদিকে এসো?(রাগী সুরে)
নুহাঃ এই রে আমাকে হাসতে দেখে ফেলেছে।এবার নিশ্চয়ই আমার ওপর উষার সব রাগ ঝারবে।কি করি এখন?পালিয়েও পার পাবো না।কি করব?(মনে মনে)
ঈশানঃ এদিকে আসতে বলেছি।দাঁড়িয়ে আছো কেন?
নুহাঃ আসছি। (ভয়ে ভয়ে)
নুহা অনেকটা ভয় পেয়ে সামনে এগিয়ে এলো।ঈশান এক হাত দিয়ে আরেক হাতের কামড় দেয়া জায়গায় ধরে রেখেছে।লাল টকটকে হয়ে আছে।আরেকটু ধরে রাখলে কেটে যেত।ফর্সা হাতে রক্ত জমাট বেঁধে আছে।
নুহাঃ জ্বি বলুন।
ঈশানঃ ফার্স্ট এইড বক্সটা নিয়ে আসো তো।
নুহাঃ হাতটা কি কেটে গেছে?
ঈশানঃ না কাটেনি।তবে লাল হয়ে আছে। ঔষধ লাগাতে হবে।
নুহাঃ কোথায় দেখি?(হাত ধরে)ইস,অনেক লাল হয়ে আছে। আপনি একটু বসুন। আমি বক্স নিয়ে আসছি।
নুহা দৌড়ে ফার্স্ট এইড বক্স নিয়ে এলো।বক্সের ভেতর থেকে ঔষুধ বের করে ঈশানের হাতে লাগিয়ে দিচ্ছে। ঈশান আজও অবাক হয়ে ওর দিকে তাকিয়ে আছে। চোখ দুটো সরাতে পারছে না।নুহা খুব সাবধানে ঔষধ লাগিয়ে দিলো।
নুহাঃ হয়ে গেছে।আমি ঔষধ লাগিয়ে দিয়েছি।এখন ইনফেকশন হওয়ার কোন ভয় নেই।
ঈশানের কান দিয়ে নুহার কথা ঢুকলো না।ও তো মুগ্ধ চোখে নুহার দিকে তাকিয়ে আছে। নুহা ব্যাপারটা বুঝতে পেরে কিছুটা ইতস্ততায় পরে গেল।
নুহাঃ মি.ঈশান।আমি আপনাকে কিছু বলছি।
ঈশানঃ হুম। (ঘোরের মাঝে)
নুহাঃ আপনার ঔষধ লাগানো শেষ।
ঈশানঃ ও আচ্ছা।এতো যত্ন করে আমাকে ঔষধ লাগিয়ে দিলে তোমাকেও তো কিছু দিতে হয়।
(সামনে এগিয়ে এসে)
নুহাঃ মা মা মা নে।(আমতা আমতা করে)
ঈশানঃ মানে টা হলো।
নুহাঃ আল্লাহ এই ছেলের মনে কি চলছে কে জানে?খারাপ কোন ধারণা দিয়ো না।কি করে কে জানে?এভাবে এগিয়ে আসছে কেন? (মনে মনে)
ঈশান সামনে এসে নুহার গালে টুপ করে একটা কিস করে বসলো।নুহা শক খেয়ে হা করে রইলো।সারা শরীরে মনে হলে কারেন্টের শক লাগলো।চোখ দুটো রসগোল্লার মতো গোল গোল হয়ে আছে।
ঈশানঃ এটা তোমার উপহার।
নুহাঃ 😳😳😲😲
ঈশানঃ মুখটা বন্ধ করো। নয়তো মাছি তার ঘর ভেবে ঢুকে পরবে।
কথাটা বলে ঈশান নুহার সামনে দিয়ে শিস বাজাতে বাজাতে ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে পাশ কটিয়ে চলে গেলো।পেছন দিকে তাকিয়ে দেখলো নুহা এখনো ওর দিকে বিস্ফরিত চোখে তাকিয়ে আছে। এই সুযোগে ঈশান নুহাকে একটা চোখ মেরে বসলো।তারপর আবার শিস বাজাতে বাজাতে সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠে গেল।নুহার মুখটা এখনো হা করাই আছে।ঈশানের মন বোঝা বড় দায়।কখন যে রেগে থাকে কখন যে মন ভালো থাকে আল্লাহ ভালো জানে। ঈশানকে নুহা কিছুতেই বুঝতে পারে না।
#চলবে