#বোনু
#সিজন_০২
#Part_23
#Writer_NOVA
এক সপ্তাহ পর………
অন্ধকার একটা রুমে চেয়ারে বাঁধা অবস্থায় মিহু। ধীরে ধীরে চোখ খুলছে।চোখ খুলে নিজেকে বাঁধা অবস্থায় পায়।মাথা ঝিম ঝিম করছে। এখানে সে কি করে এলো?তা মনে করার চেষ্টা করছে।
মিহুঃ আমি কোথায়?আমি এখানে এলাম কিভাবে?আমি তো রাজের সাথে দেখা করার জন্য বের হয়েছিলাম।তারপর…….. মনে পরেছে।আমি গাড়িতে ওঠার পর পেছন থেকে কেউ আমার মুখে রুমাল চেপে ধরেছিলো।তারপরের কিছু আমার মনে নেই।
হঠাৎ করে ওর মাথার ওপর লাইট ওন হয়ে গেলো।সামনে অঙ্কু দুই হাত পকেটে গুঁজে মুখে বাঁকা হাসি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
অঙ্কুঃ ওয়েলকাম মাই কুইন,ইন মাই ওয়াইল্ড। মনে হচ্ছে ঔষধের ডোজটা একটু বেশিই হয়ে গেছে। যার কারণে ৭ দিন তোমার সেন্স ফিরেছে।হতেই হবে,ড্রাগটাতো বাংলাদেশী নয় যে কিছুক্ষণ পর ঠিক হয়ে যাবে। Made in Scotland বলে কথা।স্কটল্যান্ডের জিনিস এতটা কম প্রভাব ফেলে না।পুরো ৭ দিন ধরে সেন্সলেস হয়ে পরে আছো।খুব মজার ব্যাপার তাই না মাই কুইন।
মিহুঃ কে আপনি? আমায় এখানে তুলে এনেছেন কেন?কি চান?৭ দিন ধরে আমি এখানে রয়েছি।কি বলছেন এসব?ছাড়ুন আমাকে যেতে দিন।
অঙ্কুঃ এতগুলো প্রশ্ন একসাথে করলে উত্তর দিবো কি করে? তারপরও দেওয়ার চেষ্টা করছি।আমি অঙ্কু চৌধুরী। সান অফ অন্তর চৌধুরী।তোমাকে এখানে আনার কারণ আমার তোমাকে চাই।
মিহুঃ আমাকে চান মানে?আমি কি আপনার বাপের সম্পত্তি নাকি?আমি আপনার সাথে আমার কিসের শত্রুতা?কি ক্ষতি করেছি আমি আপনার?
অঙ্কুঃ ক্ষতিতে অনেক বড়ই করেছো।আমার দুই ভাইকে মারতে তোমার ভাইদের সাহায্য করেছো।
মিহুঃ আমি আপনার দুই ভাইকে মারতে কিভাবে সাহায্য করেছি?পাগল হয়েছেন। কি বলেন এসব?
অঙ্কুঃ আমি কি বোকা দেখো?আমিতো ভুলেই গিয়েছি তুমি আমাকে চিনবে না।যধি না আমি আমার ভাইদের পরিচয় দেই?আমি রিকি ও অন্তুর বড় ভাই।
মিহুঃ কি-ই-ই-ই? আপনি অন্তুর ভাই। (ঢোক গিলে)
অঙ্কুঃ হুম মিস মেহরুন মির্জা।
মিহুঃ আমাকে যেতে দিন নইলে আমার ভাইয়ুরা আপনাকে ছাড়বে না।
☘️☘️☘️
অঙ্কু খুব জোরে হেসে উঠলো। মনে হচ্ছে মিহু কোন জোকস বলেছে।
অঙ্কুঃ ওহ্ তোমাকে তো বলাই হয়নি।তুমিতো সাত দিন ধরে সেন্সলেস ছিলে।নো প্রবলেম, আগে বলিনিতো কি হয়েছে? এখন বলছি।তোমার পুলিশ ভাই ঐশিক এখন কোমায় আর তোমার নিজের ভাই প্যারালাইজড।এবং তোমার ভালোবাসার নিবরাজ এখন উপরে শিফট হয়ে গেছে। ৭ দিন হয়ে গেলো ওর মৃত্যুর।
মিহুঃ মিথ্যে কথা। কিছুতেই এটা হতে পারে না। আমার ভাইদের কোন ক্ষতি হতে পারে না।আমার রাজের কিছু হয়নি।আপনি মিথ্যে কথা বলছেন কেন?
অঙ্কুঃ নো মাই কুইন। আমি মোটেই মিথ্যে বলছি না। কিন্তু তোমার আরেকটা ভাই কি যেনো নাম? ও মনে পরেছে, রিশিক মির্জা।ওকে এখনো খুঁজে পাইনি।খুঁজে পেলে ওকেও উপরে পাঠিয়ে দিবো।একবার ট্রাক ধাক্কা মারলাম কিন্তু তোমার দুই ভাই জানে বেঁচে গেলো।এখন আর পারবে না বাঁচতে। হসপিটালে লোক পাঠিয়েছি ওদের শেষ করার জন্য।
মিহুঃ প্লিজ আমি আপনার পায়ে পরছি।হাত দুটো জোড় করছি এমনটা করবেন না।ওদের এভাবেই বেঁচে থাকতে দিন।(কাঁদতে কাঁদতে)
অঙ্কুঃ ডোন্ট ক্রাই মাই কুইন। তুমি কাঁদলে আমার বুকের বা পাশটায় লাগে।(বাঁকা হাসি দিয়ে)
মিহুঃ ওদের ছেড়ে দিন।আমি আপনাদের ক্ষতি করেছি। আমায় মেরে ফেলুন।তারপরও ওদের ছেড়ে দিন।প্লিজ ছেড়ে দিন আমার ভাইদের।
অঙ্কু এগিয়ে এসে মিহুর চুলের মুঠি ধরলো।আরেক হাতে দুই গাল চেপে ধরলো।রেগে দাঁতে দাঁত চেপে বললো।
অঙ্কুঃ তোমায় মারবো না।তোমায় মারলে বাঁচবো কি করে?জানি তুমি আমার ভাইদের মারতে সাহায্য করেছো।কিন্তু তারপরও মনটা তোমার ক্ষতি করতে সায় দিলো না। নয়তো ৭ দিন আগেই তোমাকে তোমার বোনের মতো রেপ করে মেরে ফেলতাম।মনটাতো কিছুতেই রাজী হলো না। নবীন বরণ অনুষ্ঠানের দিন তোমাকে দেখেছিলাম।সেই দিন থেকে দুই বছর পাগলের মতো ভালোবেসেছি তোমায়।সবসময় নজরে নজরে রেখেছি।তোমায় পাওয়ার জন্য নিবরাজকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দিলাম।তোমার জন্য এত কিছু করলাম সেই আমি কিনা তোমায় মেরে ফেলবো।কি যা তা বলছো?ভাই আর প্রেমিকের শোকে কি পাগল হয়ে গেলে?আমি তোমার কোন ক্ষতি করবো না। শুধু বিয়ে করে স্কটল্যান্ড নিয়ে যাবো।কাউকে সারাজীবনের জন্য কষ্ট দেওয়ার হাতিয়ার তো বিয়ে।তোমাকে আমি মারবোও না আবার শান্তিতে বাঁচতেও দিবো না। বলো,আমায় বিয়ে করতে রাজী আছো?
মিহুঃ কিছুতেই না। মরে যাবো তাও তোকে বিয়ে করবো না। (রেগে)
অঙ্কু চুলের মুঠিটা আরো জোরে টান দিলো।রাগে চোখ দুটো লাল হয়ে গেছে। ফর্সা মুখটা টুকটুকে লাল।
অঙ্কুঃ কি বললি?অনেকক্ষণ ধরে ভালোভাবে বুঝিয়েছি।আর নয়।তুই আমার ভাইদের মারতে সাহায্য করেছিস তা জেনেও তোকে আমার কুইন করে রাখতে চেয়েছি।সেটা যখন মানলি না।তাহলে অন্য পথতো আমায় দেখতেই হয়।বিয়ে তো তুই আমাকেই করবি।তুই যদি আমার না হোস তাহলে আর কারো হতে পারবি না।
মিহুঃ যা করার কর তুই। আমি তোকে বিয়ে কিছুতেই করবো না। (চিৎকার করে)
অঙ্কু মিহু কে ছেড়ে দিলো।ঠাস করে মিহুর গালে একটা চড় পরলো।মিহু অন্য দিকে মুখ ঘুরিয়ে রাখলো।
অঙ্কুঃ এখনো সময় আছে, বল বিয়ে করবি কিনা?
মিহুঃ মরে যাবো তাও তোকে বিয়ে করবো না। আমি শুধু রাজের।রাজ ছাড়া আমার জীবনে কেউ আসবে না।
অঙ্কুঃ মরা মানুষকে কি করে বিয়ে করবে মাই কুইন?
মিহুঃ রাজ আমায় ছেড়ে কোথাও যায়নি।
অঙ্কুঃ তোমার কনফিডেন্স দেখে খুশি হচ্ছি।কিন্তু এটা কখনো সম্ভব নয়,যে নিবরাজ ফিরে আসবে।বিয়ে তো আমিই করবো।যাই কাজী ডেকে নিয়ে আসি।আর তোমার দুই ভাইকে আমার দুই ভাইয়ের কাছে পাঠিয়ে দিয়ে আসি।আমার দুই ভাইয়ের উপরে একা একা ভালো লাগছে না। তোমার দুই ভাইকে পাঠালে কিছুটা ভালো লাগবে ওদের। বা বাই মাই কুইন। এতকিছুর পরেও তোমাকে বিয়ে করতে চাইছি কারণ বড্ড বেশি তোমায় ভালোবাসি।
কথাগুলো বলে অঙ্কু মিহুকে একটা ইনজেকশন পুশ করলো।মিহু আবার চেয়ারের ওপর ঢলে পরলো। গার্ডদের পাহারা দিতে বলে বেরিয়ে গেলো গাড়ি নিয়ে।
☘️☘️☘️
হঠাৎ করে মুখে পানির ছিটা পরায় জ্ঞান ফিরলো মিহুর।সামনে তাকিয়ে দেখলো একটা ছেলে খুব তাড়াহুড়ো করে ওর হাত-পায়ের বাঁধন খুলছে।ছেলেটার মুখ মাফলার দিয়ে বাঁধা। গরমের মধ্যে ছেলেটা মুখ মাফলার দিয়ে বেঁধে কেন রেখেছে তা বুঝতে পারলো না।
মিহুঃ কে আপনি?
জিহানঃ আমি জিহান।আমায় আপনার না চিনলেও চলবে।আপনার এখন খুব তাড়াতাড়ি পালাতে হবে।পালিয়ে যান এখান থেকে।
মিহুঃ কণ্ঠটা খুব চেনা চেনা লাগছে। কোথায় জানি শুনেছি।
জিহানঃ এতো ভেবে লাভ নেই। ভাগেন এখান থেকে।
ছেলেটা যত তাড়াতাড়ি পালাতে বললো মিহু তা পারছে না। সাত দিন ধরে চেয়ারের সাথে বাঁধা অবস্থায় ছিলো।হাত-পা গুলো অবশ হয়ে আসছে।শরীরে বিন্দুমাত্র শক্তি পাচ্ছে না। মিহু পরে যেতে নিলে জিহান ধরে ফেললো।কিন্তু কিসমত খারাপ।মিহু দরজার সামনে যেতেই বাহির থেকে দরজা খুলে গেল।মিহুর চোখ ভয়ে কপালে উঠে গেছে। পেছনে তাকিয়ে দেখলো ছেলেটি নেই। দরজার সামনে অঙ্কু চোখ মুখ লাল করে দাঁড়িয়ে আছে। মিহুকে সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে ওর রাগ সাত আসমানে উঠে গেল। সামনে এগিয়ে এসে চুলের মুঠি ধরলো।
অঙ্কুঃ সাহস কি করে হয় এখান থেকে পালাবার?জানে মেরে ফেলবো।
মিহুঃ আহ্ ছাড়ুন। লাগছে আমার।
অঙ্কু চুল ছেড়ে দিয়ে দুই গালে দুটো কষিয়ে চড় মারলো।মিহু নিচে পরে গেল। ঠোঁট কেটে রক্ত পরছে। এগিয়ে এসে হাত মুচড়ে ধরলো।তারপর সামনের একটা চেয়ারে ধাক্কা দিয়ে বসিয়ে দিলো।অঙ্কুর সাথে অনেক গার্ড নিয়ে এসেছে। সব জায়গার লাইট ওন হলো।মিহু এতক্ষণ যেটাকে রুম ভাবছিলো দেখলো সেটা একটা বড় গোডাউন। সব গার্ডগুলো গোডাউনের আশেপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে দাঁড়িয়ে গেল।অঙ্কু সাথে করে কাজী নিয়ে এসেছে।
অঙ্কুঃ তোমার জন্য একটা বড় সারপ্রাইজ আছে।
মিহু অবাক হয়ে ওর মুখের দিকে তাকালো। অঙ্কু কাউকে ডাকলো।বাইরে থেকে একটা মেয়ে ভেতরে প্রবেশ করলো।
মিহুঃ আরুহি আপু!!!! (চোখ বড় বড় করে)
আরুহিঃ ইয়েস আই এম।কেমন আছিস মিহু?
(বাঁকা হাসি দিয়ে)
অঙ্কুঃ তুমি আমার অনেক বড় উপকার করেছো।তাই এই শুভ দিনে তোমাকে পাশে না ডাকলে ব্যাপরটা ভালো দেখায় না।
মিহুঃ কিকককি করেছো তুমি আরুহি আপু?
(কাঁপা কাঁপা কন্ঠে)
আরুহিঃ ওহ্ অঙ্কু ভাইয়া,তুমি দেখছি কিছুই বলোনি।শুধু নিজের গুণগান গেয়েছো।(কলা করে)
অঙ্কুঃ বলেছি তবে পুরোটা নয়।
আরুহিঃ নো প্রবলেম। পুরোটা আমি বলছি।(মিহুর দিকে ঘুরে)আসলে মিহু হয়েছে কি?তোর নিবরাজ চিলি মসলাকে আর কেউ না আমিই উপরে শিফট করেছি।তোর মতো কফি কালার গাউন পরে ওর পেছনে দাঁড়িয়ে ছিলাম।ও ভেবে নিয়েছে ওর মিহু ওর পেছনে আছে।তারপর মাথায় ইট দিয়ে বারি মেরে দিলাম।আর রাজ ভাইয়া ভাবলে ওকে তুই মেরেছিস।
মিহুঃ কেন করলে এটা?ও তো তোমার খালাতো ভাই। (কাঁদতে কাঁদতে)
আরুহিঃ রাখ তোর খালাতো ভাই। সেই কবের থেকে ওকে ভালোবাসি।সেই রাজ কিনা আমায় পাত্তাও দেয় না।সবসময় তোর কথা বলে,তোর জন্য পাগলামি করে।আমি কিনা শুধু ওর বোন।কখনো আমার ভালোবাসা বুঝতে চেষ্টা করেনি।তাই ওকে বাচিয়ে রেখে কি লাভ বল?রাজ যখন আমার হয়নি তখন তোরও হতে দেইনি।যদিও আমার পরিবারের সদস্যকে অঙ্কু আটকে রেখেছিলো।তাছাড়া আমি ওর জন্য অনেক কেঁদে ছিলাম।শত হোক ভালোতো বাসতাম।একটু কান্না তো আসবেই। তবে এখন অনেক খুশি লাগছে। কারণ রাজ আমরও নয় আর তোরও নয়।(রেগে)
☘️☘️☘️
মিহু মুখ ঢেকে কাঁদতে লাগলো। সবসময় রাজকে কষ্টই দিয়েছে। ওকে দূরে সরিয়ে দিয়েছে। ওর থেকে রেহাই চেয়েছে। কিন্তু আজ ওর মৃত্যুর খবর শুনে মিহুর বুক ফেটে কান্না আসছে।
অঙ্কুঃ আরুহি,তোমার কাছে ৩০ মিনিট সময় আছে।এই ৩০ মিনিট সময়ের মধ্যে ওকে তৈরি করে নিয়ে আসবে।ভেতরে পার্লারের মেয়েরা আছে।হিরকে নিয়ে যাও।
আরুহিঃ ঠিক আছে।
আরুহি ৩০ মিনিট পর মিহুকে বিয়ের সাজে সাজিয়ে নিয়ে এলো।মিষ্টি কালারের মধ্যে ভারী স্টোনের লেহেঙ্গা। সাথে জমকালো বিয়ের সাজ। ৫ টা পার্লারের মেয়ে ওকে সাজিয়ে দিয়েছে। অঙ্কুর পরনে মিষ্টি কালার শেরওয়ানি। মিহু থ মেরে বসে আছে। চোখে কোন বেয়ে পানি পরছে।মূর্তির মতো চেয়ারে বসে আছে। অঙ্কুর চোখ দুটো মিহুর ওপর থেকে সরতেই চাচ্ছে না।
আরুহিঃ এই যে মিস্টার। আপনার বউকে দেখার সময় পরেও পাবেন।এখন জলদী বিয়েটা সেরে নিন।
আরুহির কথাটা অঙ্কুর কানে পৌছালো না।সে মিহুর সামনে হাঁটু গেড়ে বসে পরলো।
অঙ্কুঃ একবার বলো তুমি আমার, তোমার জন্য আমি সব করবো।
মিহুঃ ভেটকি ধইরা পইরা থাকমু। তাও ভুল কইরাও এই কথা কমু না।
আরুহিঃ কি!!!!
কাজীঃ বাবা,বিয়েটা শুরু করলে ভালো হতো।
অঙ্কুঃ কাজী সাহেব শুরু করুন।(রেগে)
মিহু কাজীর দিকে চোখ ঘুরিয়ে বড় বড় করে কটমট করে তাকালো।তারপর বললো।
মিহুঃ কাজীরে, আমি যদি এখান থিকা ছাড়া পাই। তাইলে প্রথমে তোর দাড়ি টাইন্না ছিড়মু।মাথার চুল কাইট্টা হানি সিঙ্গারের কাটিং দিমু।তারপর আমাদের কলেজের মাঠে পানি ওয়ালা ডান্স করামু।
কাজী বড়সড় একটা ঢোক গিললো।দেখে মনে হচ্ছে বেচারা অনেক ভয় পেয়েছে।মিহু পরে সত্যি উনার খবর নিবে।
অঙ্কুঃ আপনি চিন্তা করবেন না। হির আপনার কিছুই করতে পারবে না। আগে তো নিজে ছাড়া পেয়ে নিক।তারপর দেখা যাবে। আপনি শুরু করুন
কাজী সাহেব বিয়ে পরাতে শুরু করলো। মিহু চুপ করে বসে আছে। অঙ্কু খুশি মনে থেকে থেকে মিহুর দিকে তাকাচ্ছে।কাজী রেজিস্ট্রি পেপার এগিয়ে দিয়ে বললো।
কাজীঃ বাবা,এই কাগজে সই করে দেও।
অঙ্কু মিহুর দিকে এক ধ্যানে তাকিয়ে কাগজে সই করে দিলো।মিহুর দিকে কাগজটা বাড়িয়ে দিয়ে সই করতে বললে সে না করে দিলো।
মিহুঃ আমি বিয়ে করবো না। তোর মতো শয়তানকে তো কিছুতেই না।
অঙ্কুঃ আগেই জানতাম তুমি এমন কিছু করবে।একটু এই মোবাইলের দিকে তাকাও।এদের বাচাতে চাইলে চুপচাপ সই করে দেও।
মিহু অঙ্কুর হাতে থাকা মোবাইলের দিকে তাকিয়ে আৎকে উঠলো।ওর বাবা-মায়ের মাথায় গান তাক করে রেখেছে অঙ্কুর কিছু গার্ড।
মিহুঃ বাপি,মাম্মি।ছেড়ে দিন ওনাদের। আমি সই করছি।প্লিজ আমার বাপি,মাম্মিকে কিছু করবেন না।(ভয়ে ভয়ে)
অঙ্কুঃ গুড গার্ল।আমি আমার শ্বশুর মশাই ও শাশুড়ী মায়ের কিছু করবো না। তুমি শুধু সাইনটা করে দেও।
আরুহিঃ এই মেয়ে কখনো সোজা কথায় কাজ করে না।(মুখ বাঁকিয়ে)
মিহুর চোখ দিয়ে অঝোর ধারায় পানি পরছে। যেখানে নিবরাজের সাথে ওর এভাবে থাকার কথা ছিলো।সেখানে আজ কোথাকার কোন স্কটল্যান্ডের ছেলেকে বিয়ে করতে হচ্ছে। কলম হাতে নিয়ে বসে আছে।কলম হাতে নিয়ে বসে আছে। হাতটা প্রচন্ড কাঁপছে। বারবার রেজিস্টি পেপারে কলম ছুঁইয়ে উঠিয়ে ফেলছে। বাবা-মা কে বাচানোর জন্য অবশেষে কাঁপা কাঁপা হাতে সাইনটা করে দিলো।চোখ থেকে দুই ফোঁটা অশ্রু গড়িয়ে কাগজে পরলো।
#চলবে
আমি কিছু করিনি🤭।যা করার ঐ অঙ্কু করছে😐