#ভালবাসা_বাকি_আছে – ১২
হাসিন রেহেনা
(কপি করা নিষেধ)
প্রচন্ড জ্বর আর শারীরিক দুর্বলতার কারনে আচমকা জ্ঞান হারিয়েছিল বুশরা। রায়হানের ফোন পেয়ে ছুটে এসেছে তানিয়া। তবে তার আগেই জ্ঞান ফিরেছে ওর, আর নিজেকে আরিশের বাহুডোরে আবিষ্কার করে যারপরনাই বিব্রত হয়েছে। নিজেকে সামলে নেওয়ার পরপরই তানিয়ার আবির্ভাবে অবাক হতেও ভুলে গেছে।
“আর ইউ ওকে বুশরা?”
“হ্যাঁ, আপু। আপনি?”
“তোমার হাজব্যান্ড ফোন করেছিল।“
“ও কিভাবে…?”, অবাক হওয়া যেন আরো বাকি বুশরার।
তবে এই প্রশ্নের উত্তরটা আরিশই দিলো, “আপনাকে অজ্ঞান হতে দেখে ঘাবড়ে গেছিলাম। আর তখনই আপনার হাজব্যান্ড ফোন করেছিলেন, তখন উনাকে আপনার কন্ডিশন জানাই।“
বাকিটা বুঝে নিয়েছে বুশরা। অসুস্থতা ছাপিয়ে এখন ওর মাথায় যে চিন্তা ঘুরপাক খাচ্ছে তা হলো, রায়হান কি ভাবছে। থমথমে মুখে বুশরা আরিশকে “থ্যাংক্স” জানিয়ে বিদায় নিল তানিয়ার সাথে।
কয়েক কদম আগানোর পর তানিয়া বললো, “ইউ আর গোয়িং উইথ মি।“
“আমি এখন ঠিক আছি আপু। এবসোল্যুটলি ফাইন।“
“তোমার হাজব্যান্ড বলেছে।“
“কিন্তু আপু…”
দুহাত নিজের কোমরে রেখে তানিয়া বললো, “কোন কিন্তু নাই।“, তারপর ফোনের দিকে তাকিয়ে স্বগতোক্তি করলো, “এইযে দেখো, আবার ফোন করেছে, কথা বলো। একদম অস্থির হইয়ে গেছিলেন উনি।“
তানিয়ার দিকে তাকি হালকা হেসে তানিয়ার ফোনটা হাতে নিল বুশরা। প্রশ্নের তুবড়ি ছুটলো ফোনের ওপ্রান্তে।
“এই মেয়ে, খাওয়াদাওয়া করো না? যেখানে সেখানে জ্ঞান হারাও কিভাবে?”
“সরি।“, মুখ ছোট করে বললো বুশরা।
“তুমি জানো এতক্ষন কি পরিমান টেনশন হচ্ছিলো”, অসহিষ্ণু গলায় বললো রায়হান, “নিজের খেয়াল রাখতে পারো ভেবে একা ছাড়ার সাহস পেয়েছিলাম, এখন তো দেখছি…”
“বললাম তো সরি। শরীরটা হঠাৎ করেই…”
“শরীরতো হঠাৎ করে খারাপ হয়নি। তুমি গুরুত্ব দাওনি।“
ওদিকের আবহাওয়া ভালো না দেখে বুশরা চুপ করে রইলো।
এবার রায়হান নরম সুরে বললো, “এখন চুপচাপ তানিয়া আপুর বাসায় যাবা। শরীর সুস্থ হওয়ার আগে ইউনিভার্সিটিমুখো হবে না। ইজ ইট ক্লিয়ার?“
“কিন্তু…”
রায়হানের কন্ঠে রাগের ছটা ফেরত আসছে, “আমি কখনো তোমার উপর স্বামীগিরি ফলিয়েছি?”
“না।“
“তার মানে এই না যে কখনো ফলাবো না। সুস্থ হও। তখন আবার স্বাধীনতা ফেরত পাবা। বাই।“
ফোন কেটে যাওয়ার বিরক্তিকর “টুট টুট টুট” শব্দে দীর্ঘশ্বাস ফেললো বুশরা।
“হি লাভস ইউ সো মাচ বুশরা। ইউ আর সো লাকি।“, তানিয়ার কথায় সংবিত ফিরে পেল বুশরা। বিড়বিড় করে কি বললো বুঝলো না তানিয়া।
দুদিন তানিয়ার সাথে থাকে বুশরা। বড় বোনের মত আগলে রাখে ওকে মেয়েটা। ওদিকে এই দুই দিনে অন্তত বিশবার ফোন করেছে রায়হান। কল ডিউরেশন কখনো দুই মিনিট বা কখনো ত্রিশ সেকেন্ড। খাওয়া, ওষুধ, ঘুম সবকিছু রায়হানের কথামত চলছে। কিন্তু এর মাঝে একবারও সেদিন কি হয়েছিল, কেন আরিশের সাথে ছিল এ বিষয়ে প্রশ্ন করেনি সে। আর তাই হয়ত বুশরার মনের মধ্যে প্রতিনিয়ত খচখচ করছে বিষয়টা। আরিশ যেভাবে জাপটে ধরে ছিল সেটাও মাথা থেকে সরাতে পারছে না কিছুতেই। এই ছেলে রায়হানকে কি বলেছে কে জানে, এটুকু তো বুশরা বুঝে গেছে ছেলেটা সুবিধার না। আবার নিজে থেকে প্রশ্ন করতেও বাঁধছে।
সন্ধ্যার একটু আগে নিজের এপার্টমেন্টে ফিরেছে বুশরা। রান্নাবান্নার ঝামেলা নেই। টিফিনক্সে করে খাবার দিয়ে দিয়েছে তানিয়া। সেগুলো গুছিয়ে রেখে ফোনটা হাতে নিল বুশরা। একয়দিন সোশাল মিডিয়ায় যাওয়া হয়নি একদম। ফোনের দিকে তাকিয়ে থাকার উপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল রায়হান। আর বাধ্য স্ত্রীর মত তা মেনে চলেছে বুশরা। আজ ফেসবুকে ঢুকেই প্রথম যে ভিডিও ক্লিপট সামনে আসলো সেটা রায়হানের। রিসেন্ট কোন একটা জনসমাবেশের বক্তব্য। কি ভীষণ হ্যান্ডসাম দেখাচ্ছে মানুষটাকে। কি দারুন করে কথা বলে জনসমুদ্রের সামনে দাঁড়িয়ে। অফলাইনের পাশাপাশি অনলাইনেও মানুষের কাছে রায়হানের গ্রহনযোগ্যতার প্রমাণ হিসেবে রায়হানের বেশ কয়েকটা বক্তব্যের ভিডিও ক্লিপ অগনিত ভিউ আর শেয়ার হচ্ছে। নিজের হাজব্যান্ডের খ্যাতিতে বোধহয় প্রতিটা স্ত্রীই অজানা গর্ব বোধ করে। বুশরাও ব্যাতিক্রম না।
“আহা দেশে থাকলে সামনাসামনি দেখতে পেতাম”, ভাবে বুশরা। এমন সময় ফোন আসে মানুষটার।
ফোন ধরতেই প্রশ্ন করে, “কখন ফিরেছো?”
“হুম, একটু আগে।“
“পৌঁছে ফোন করতে বলেছিলাম?”
“কাল যে বললে এসময় মিটিং থাকবে?”
“তো? টেক্সট তো করা যায়।“
“সরি।“
“এত কথায় কথায় সরি বলো কেন?”
“ভুল করি যে তাই।“
“এটা এমন কোন ভুল না যে সরি বলতে হবে। বরং নিজেকে ডিফেন্ড করতে পারো। সেটাই তোমাকে মানায়। আই মিস দ্যাট বুশরা। অসুস্থ হওয়ার পর খুব মিইয়ে গেছো।“
“একটা প্রশ্ন করবো?”
“অবশ্যই।“
“আমার উপর রাগ?”
“রাগই তো দেখাচ্ছি দুদিন থেকে।“
বুশরা আলতো হেসে বললো, “রাগের মোড়কে ভালবাসাটাই দেখা যাচ্ছে বেশি।“
“ও তাই?”
দুজনেই কিছুক্ষন চুপ থাকলো। নিরবতা ভেঙ্গে রায়হান বললো, “আমি রাগ করেছি, নাকি বিরক্ত হয়েছি সেটা বিষয় না। একজন বুদ্ধিমতি মেয়ে হিসেবে তোমার উচিত নিজের আসেপাশের মানুষ নিয়ে আরেকটু সচেতন হওয়া। “
একটু থেমে আবার বললো, “তুমি ওই ছেলের সাথে আসলেই ঘন্টাখানেক ছিলে কি না সেটা দেশে বসে কিন্তু আমার জানার কথা না। কিন্তু সে ইচ্ছে করে আমাকে জানিয়েছে ব্যাপারটা। আই হোপ ইউ গট দ্য পয়েন্ট।“
“দুইদিন পেরিয়ে গেছে অলরেডি। প্রশ্ন করলেনা কেন আমাকে? আসলে কতক্ষন ছিলাম? কোথায় ছিলাম। কি করছিলাম? আর কেউ ছিল কি না?”
“এটুকু বিশ্বাস ছাড়া স্বামীস্ত্রীর সম্পর্কের কোন মূল্য আছে? দেশে তোমার সেফটির দায়িত্ব আমি পুরোটাই নিতে পারি, কিন্তু ওখানে তো তুমি একা। এটুকু মনে রেখো।“
রায়হানের কথা শুনে মনটা ভরে গেল বুশরার। এতটা বিশ্বাসও আজকাল কেউ করে স্ত্রীকে? আদ্র চোখে বললো,
“এখন থেকে মনে থাকবে।“
“দ্যাটস লাইক এ গুড গার্ল।“
রায়হানের মনে সন্দেহ, রাগ, বা অভিমান জন্মায়নি। বরং অসহায় অনুভুতিটার নাম উদ্বিগ্নতা। পুরুষ মানুষ কতটা খারাপ হতে পারে তা নিয়ে কোন ধারনা নেই বোকা মেয়েটার। কাছে না থাকলেও পাশে থাকার আর আগলে রাখার দায়িত্ব তো রায়হানেরই। এ কয়দিন ও অপেক্ষা করেছে বুশরার সুস্থতার। আর তাই আজ বুঝিয়ে বলতে পিছপা হলো না।
চলবে।
#ডাক্তার_মিস – সিকুয়েল
#ভালবাসা_বাকি
#ভালবাসা_বাকি_আছে – ১৩
Hasin Rehana – হাসিন রেহেনা
(কপি করা নিষেধ)
রায়হান আর বুশরার ফোনে কথা হয়না বললেই চলে। সদ্য রোমান্টিসিজমে ভেসে যাওয়ার পরে এই পরিবর্তন মেনে নিতে মন খারাপ তো হয়ই বুশরার। কিন্তু কিছু করার নেই। একাডেমিক পড়াশুনা, পরীক্ষা নিয়ে ব্যাস্ততা যাচ্ছে বুশরার। রায়হানও ব্যাস্ত নির্বাচনের শেষ সময়ের প্রচারনা নিয়ে। তাইতো টেক্সটই ভরসা আজকাল।
নির্বাচন নিয়ে শুরুতে খুব একটা আশা না করলেও এখন বেশ আশাবাদী রায়হান। আলী হায়দার সাহেবের অনুসারীরা সাদরে বুকে টেনে নিয়েছে ওকে। এলাকার মানুষের মুখে মুখে ওর নাম। আসলে রায়হানের ব্যাক্তিত্ব আর লিডারশীপ এমনই যে ওর বক্তব্য শুনে, কর্মকাণ্ড দেখে, ভবিষ্যৎ কর্মযজ্ঞের পরিকল্পনা শুনে যে কোন প্রজ্ঞাসম্পন্ন মানুষ অন্যরকম বিশ্বাস আর টান অনুভব করতে বাধ্য। আবার সোশ্যাল মিডিয়ার বদৌলতে তরুণ প্রজন্মের কাছেও অল্প সময়ে পৌঁছাতে পেরেছে। সব মিলিয়ে দলের সবার বিশ্বাস, সর্বকনিষ্ঠ সংসদ সদস্যের সম্মানটা হাসিল করতে সক্ষম হবে রায়হান। ওদিকে এই বিশেষ সময়টাতে রায়হানের পাশে থাকতে না পারার আফসোস পোড়াচ্ছে বুশরাকে। গতকালও মাঝরাতে রায়হানকে চিঠি লিখেছে বুশরা।
ম্যানচেস্টার
২২ ডিসেম্বর, ২০২২
বেচারা রায়হান সাহেব,
আপনি মনেহয় বাংলাদশের প্রথম নেতা যে কিনা বউয়ের ভোট ছাড়াই জাতীয় সংসদে ঢোকার টিকিট পেতে যাচ্ছেন। ব্যাপারটা কিন্তু গিনেজ বুকে স্থান পাওয়ার যোগ্য। কিন্তু এই খুশিতে যে বউকে ভুলে যাচ্ছেন তা কি ঠিক? গত এক সপ্তাহে ফোন করেছেন একবার। অর্ধশত টেক্সটের রিপ্লাই দিয়েছেন পাঁচটা। এই অযাচিত মানষিক নির্যাতনের দেশে ফিরে আপনার নামে বধু নির্যাতনের মামলা করবো কিন্তু। এই আমি বলে রাখছি। আর হ্যাঁ, আপাতত শাস্তিস্বরুপ আগামী একদিন আপনার সাথে সকল প্রকার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করা হলো। ফোন করে লাভ নেই। আমি এক কথার মানুষ।
ইতি,
আপনার নির্যাতিত বউ।
সকালবেলা অভিমানমাখা চিঠি পড়ে মুচকি হাসছে রায়হান। মেয়েটা পাগল। সত্যি সত্যি ফোন অফ করে বসে আছে। বার বার নিজেই জোর দিতে নির্বাচন নিয়ে সিরিয়াস হতে, সর্বোচ্চটা দিতে। আর এখন এত অভিমান যে ফোন অফ করে বসে আছে। বউদের মন এত অদ্ভুত। কাল পরীক্ষা ছিল বুশরার। কেমন হয়েছে সেটাও শোনা হয়নি। বাড়ি ফিরে না খেয়েই ঘুমিয়্র গেছিলো রায়হান। তাহলে কি এজন্য রাগ মহারানীর? ভেবে কুল পায়না রায়হান।
“ভাইয়া তুমি এখানে? আম্মা তোমাকে খুঁজতেছে তো।”
ঘরে এসেই অস্থিরভাবে বললো রুকাইয়া। এই মেয়েটা দিন দিন আরো প্রাণোচ্ছল হচ্ছে। দুইদিন আগে বাড়ি এসেছে। আর আসার পর থেকেই বাড়ি মাথায় করে রেখেছে। এসময় রুকাইয়াকে সামনে পেয়ে খুশি হলো রায়হান।
“এই ভাইয়া, কি বলছি আমি? মন কোথায়?”
উত্তর না দিয়ে রায়হান বললো,
“আচ্ছা বুড়ি, ভাবির সাথে কথা হইছে?”
“কোন ভাবি?”
“কয়টা ভাবি তোর?”
“শায়লা ভাবি, বিউটি ভাবি, কুমু ভাবি, মিতা ভাবি,…..”, এক নাগাড়ে বলতে থাকলো রুকু।”
“হইছে থাম। বুশরার কথা বলছি?”
“অ, বুশরা? যেম্নে ভাবি বললা। ও কি আমার ভাবি লাগে নাকি?”
“তোর একমাত্র ভাইয়ের বউ বুড়ি….”
“দূরে গিয়া মুড়ি খাও ভাইয়া। ও আমার কইলজার টুকরা বান্ধবী।”
“আচ্ছা ঠিক আছে, কথা হইছে আজকে?”, অধৈর্য হয়ে প্রশ্ন করলো রায়হান।
“হুম কথা হইছে, আম্মার সাথেও কথা হইছে। তুমি নাকি কথাবার্তা বন্ধ করে দিছো। খুব খারাপ কিন্তু।”
“কখন কথা হইছে?”
“একটু আগে।”
“কথা বলায়ে দে।”
“অকাজ করার আগে হুশ থাকে না? অপেক্ষা করো।”
“তুই আমার বোন না?”, কন্ঠে যতখানি সম্ভব মধু ঢেলে বললো রায়হান।
“আমাকে মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে তো লাভ নাই ভাইয়া। ফোন বন্ধ করে রাখছে তো। অন করে কল দেয়। আবার বন্ধ করে দেয়। বাঁদর শায়েস্তা করার ভালো বুদ্ধি পাইছে। নোবেল দেওয়া উচিত ওরে। আম্মা ডাকে, যাও।”
বাংলার পাঁচের মত মুখ করে ঘর থেকে বেরোল রায়হান। তবে অন্তত এটুকু জেনে নিশ্চিন্ত হলো যে মেয়েটা ভালো আছে। ওর সাথে ছাড়া বাড়ির অন্যদের সাথে কথা হচ্ছে।
গত কয়দিনের বকেয়া শোধ করতেই বোধহয় গোটা বিশেক ফোনকল করলো রায়হান। অথচ ভীষণ ব্যাস্ত আজকের দিনটাতে ফোন হাতেই নেওয়ার কথা না ওর। পুরুষ মানুষ ঠেলায় পড়লে সময় সুযোগ বের করে নেয় কিভাবে তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রায়হান। কিন্তু কি লাভ। এই সময় সুযোগটা একদিন আগে করলে এই দিন দেখতে হতোনা বোধহয়। এতবার ফোন করেও বুশরাকে পায়নি ও। যান্ত্রিক কন্ঠে বারবার বলছে নম্বরটি বন্ধ আছে। গভীর রাতে বাড়ি ফিরে শুয়ে পড়লো রায়হান। প্রায় বিশত্রিশবার ফোন করলো বুশরাকে। বালিশে মাথা রেখে একই যান্ত্রিক কণ্ঠস্বর শুনতে শুনতে ঘুমিয়েও পড়লো ক্লান্তিতে। অপেক্ষা একটা সুন্দর স্বপ্নের অপেক্ষা। স্বপ্নে মেয়েটা এত আদুরে থাকে। একদম ঝগড়া করেনা।
এক সময় গভীর ঘুমে বুশরার অস্তিত্ব অনুভব করলো রায়হান। কি গভীরভাবে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে রেখেছে ওকে। যেন বাধন আলগা করলেই আবার হারিয়ে যাবে দূর দুরান্তে। রায়হানও বাহুডোরে বেঁধে রাখলো স্ত্রীকে। কিছুতেই ছেড়ে দেওয়া যাবে না এক মুহুর্তের জন্য। অবচেতন মনেই প্রার্থনা করে সময়েক চাকা থেমে যাক। স্বপ্নটা আটকে থাক সময়ের বেড়াজালে।
ভোরের আজান ভেসে আসছে মসজিদ থেকে। আর পাঁচটা দিনের মতই ঘুম আলগা হতে শুরু করেছে রায়হানের। তবে প্রিয়তমাকে জড়িয়ে রাখা স্বপ্নের আবেশটা রয়ে গেছে এখনো। বুশরার গায়ের মিষ্টি গন্ধটাও নাকে লাগছে। হাতের বাধন আরেকটু শক্ত করলো। ঘুম জড়ানো আস্ফুট কন্ঠে বললো, “বুশরা”।
চলবে।
#ডাক্তার_মিস – সিকুয়েল
#ভালবাসা_বাকি