#ভালোবাসব_যে_তোকে?
পার্ট ১৫
লেখিকাঃসারা মেহেক
??
দেখতে দেখতে বিয়ের দিন ঘনিয়ে আসতে লাগলো। আয়ানদের বাসাতেও যেমন মেহমানে পূর্ণ। মৌ দের বাসাতেই এমন অবস্থা।মানুষে গিজগিজ করছে সব রুম।
এই কয়দিন মৌ আয়ানের সাথে যেমন কথা বলছে,বাড়ীতে এতো মেহমান থাকায় এখন তা সম্ভব হচ্ছে না।যখনই আয়ানের সাথে একটু কথা বলতে যাবে হয় বড়রা কোনো কারনে ডাক দেয় নাহয় ছোটোরা দুষ্টমি করে।
আর এদিকে অহনা আর ফাহাদ সুযোগ পেলেই ফোনে কথা বলে। এদের দুজনকে সারাদিন ফোনের সাথে বেধেঁ দিলে হয়তো এরা খুশি হতো। এ কয়দিনে অহনার মনে ফাহাদের জন্য ভালোবাসা জন্মে গিয়েছে। আর ফাহাদ তো দেখতে যাওয়ার দিন থেকেই অহনাকে একটু একটু করে ভালোবেসে ফেলে।যা এ কয়দিনে আরো বেড়েছে।
আজকে মৌ আর অহনার মেহেদি অনুষ্টান। তবে যার যার বাসায়। আবার হলুদের অনুষ্টান আর বিয়ে হবে একটা কমিউনিটি সেন্টারে। হলুদের অনুষ্টান ৩পরিবার একসাথে করবে।
বাসায় ২জন মেহেদি আর্টিস্ট এনে মৌ কে মেহেদি দেওয়া হচ্ছে।আজকে মৌ এর নিজেকে মনে হচ্ছে সে নতুন বউ।যদিও বিয়ে আগেই হয়ে আছে তার। কিন্তু এতো আয়োজন দেখে নিজেকে নতুন বউ মনে করা স্বাভাবিক। দু হাত ভর্তি মেহেদি হাতে বসে আছে সে। কোনো কাজই করতে পারছে না সে। একটু যে মজা করবে তারও উপায় নেই,যদি মেহেদি নষ্ট হয়ে যায়।…
এই মেহেদি নিলে নিজেকে দুনিয়ার সবচেয়ে অসহায় মানুষদের মধ্য একজন লাগে। না নড়া যায় না নিজে কিছু করা যায়। শুধু বসে থাকা যায়।
আর এদিকে অহনার মনটা খারাপ বেশ। একদিকে একটু আনন্দও লাগছে আবার একদিকে খারাপ ও লাগছে।আনন্দ লাগছে এই জন্য যে সে তার ভালোবাসার মানুষকে পাবে। আর খারাপ লাগছে এই জন্য যে এই ফ্যামিলিকে তার ছেড়ে যেতে হবে। কিছুদিন পরই সে এই বাড়ীর মেহমান হয়ে যাবে। এ কথা চিন্তা করতেই একধরনের চাপা কান্না অনুভব করে সে। মেহেদি নেওয়ার সময় চোখের কোনে একটু পানি চলে আসে।কেউ সে পানি না দেখলেও আয়ান ঠিকই তার বোনের চোখের পানি দেখে।
আয়ান গিয়ে অহনার মাথায় হাত রেখে বলে,
“আমার বোনটার কি হয়েছে?? মনটা অনেক খারাপ বুঝি??”
আয়ানের এ কথা শুনে অহনা আর নিজেকে আটকে রাখতে পারলো না। আয়ানকে ধরে হু হু করে কেঁদে দিলো সবার সামনে।হঠাৎ কারোর এমন কান্নার আওয়াজে সবাই অহনার দিকে তাকায়।
আয়ান আবারো অহনার মাথায় হাত বুলিয়ে দেয় আর বলে,
“এভাবে কান্না করার কি আছে??”
“ভাইয়া আমি তোদেরকে ছেড়ে যাবো না।”
“এ কেমন কথা হলো??”
“আমার কাউকে ছেড়ে যেতে ইচ্ছা করছে না। খুব কষ্ট লাগছে।”
“তো আমাদের মনে হয় কষ্ট লাগছে না??
একদিন না একদিন তো তোকে বিয়ে করে এ বাড়ী ছেড়ে যেতেই হবে তাইনা??”
“হুম।কিন্তু এতো তাড়াতাড়ি না।” এ বলে অহনা আরেক দফা কেঁদে দিলো।
“আর কাঁদবি না তো।আমার কিন্তু ভালো লাগছে না।”
অহনা আয়ানের কোনো কথা না শুনে কান্না করেই যাচ্ছে।আশেপাশে দাদি,আব্বু, আম্মু নেই। থাকলে সে আরো কাঁদতো।
আয়ান অহনার কান্না থামানোর জন্য বললো,
“তুই বিয়ে না করলে আমি মামু হবে কিভাবে?? আমার খুব ইচ্ছা কেউ আমাকে কিউট কিউট ভয়েসে মামু ডাকবে।”
আয়ানের এ কথা শুনে অহনা চুপ হয়ে যায়। তার এ কথায় বেশ লজ্জা লাগছে।।আয়ান এ দেখে হেসে বললো,
“বাহ,আমার এই কথা তো ম্যাজিক এর মতো কাজ করলো!!!”
আয়ানের কথায় অহনা কিছু বললো না। চুপ হয়ে রইলো।
“আচ্ছা তুই মেহেদি লাগা। আমার কিছু কাজ আছে।আমি আসি।”
এ বলে আয়ান সেখান থেকে উঠে চলে যায়।
মৌ একা একা বসে আছে সেই কখন থেকে। কেউ তার পাশে বসার সময়টুকু পাচ্ছে না। তার কাজিন রাও না। সবাই এই সেই নানা কাজে ব্যস্ত। এভাবে বসে থাকতে থাকতে তার ঘুম লেগে যাচ্ছে।সে হালকা চো বুজেও ফেলেছিলো। কিন্তু কারোর ডাকে তার সেই আধো আধো ঘুম ভেঙে যায়। চোখ মেলে সে দেখে তার চাচাতো বোন দাঁড়ীয়ে আছে। নাম তার মাহি। ৮ বছরের একটা মেয়ে সে। বেশ পটু।।কিন্তু থাকে বেশ চুপচাপ। অথচ একবার কথা বলা শুরু করলে তাকে থামানো দায় হয়ে যায়।
মৌ মাহিকে দেখে বললো,
“কি হয়েছে?? এখানে কেনো দাঁড়ীয়ে?? ”
“আপু শোনো,আমার সাথে একটু ছাদে চলোনা। ”
“এই সন্ধার সময় ছাদে কেনো??”
“একটা জিনিস দেখাবো তোমাকে।।”
“ছাদে আবার কি জিনিস??এখানে নিয়ে আসো যাও।”
“আরে না।।সেটা ছাদেই দেখতে হবে।এখানে আনা যাবে না।”
“এই হাত ভরা মেহেদি নিয়ে আমি এখন ছাদে যাবো!!!”
“হুম। তোমাকে যেতেউ হবে।”
“আচ্ছা চলো দেখি তোমার কি এতো জিনিস।”
এরপর মাহি আর মৌ ছাদে আসে। মাহি মৌ কে ছাদের দরজা থেকে কিছুটা দূরে দার করিয়ে তাড়াতাড়ি সিঁড়ি দিয়ে নেমে ছাদ থেকে চলে যায়।মৌ তো বুঝতে পারেনা এসবের কিছুই।
“এই মেয়েটা আমাকে ছাদে নিয়ে আসলো কিছু দেখানোর জন্য। আর নিজেই এখন চলে গেলো!!”
হঠাৎ কেউ ছাদের দরজা আটকিয়ে দেয়।মৌ তো খুব ভয় পেয়ে যায়।দে বিড়বিড় করে বলছে,
“এখন ছাদে কে আসবে!!!তারপর আবার দরজা আটকিয়ে দিলো কেনো!!”
মৌ এর তো ভয়ে গলা শুকিয়ে আসছে।সে দেখলো মানুষটি ধীরে ধীরে তার দিকে এগিয়ে আসছে। এবার ভয়ে সে জোরে চিৎকার দিতে যাবে কিন্তু সে মানুষটা তাড়াতাড়ি গিয়ে তার মুখ চেপে ধরে।এদিকে ভয়ে মৌ জড়োসড়ো হয়ে আছে। কিন্তু মানুষটা কাছে আসতেই সে বুঝতে পারলো এটা আর কেউ না বরং আয়ান। মৌ এর তো আয়ানকে দেখে খুব রাগ হলো। কারন এভাবে ভয় পাইয়ে ছাদে আসার কি দরকার ছিলো।
আয়ান মৌ এর মুখ ধরে রাখায় মৌ এর শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিলো।সে আয়ানকে চোখের ইশারায় বললো মুখ থেকে হাত সরাতে।
আয়ান বুঝতে পেরে হাত সরায়।
“উফ এভাবে কেউ মুখ ধরে রাখে!!”
“সরি সরি। আসলে তুই চিৎকার করতে যাচ্ছিলি তো তাই মুখ চেপে ধরেছিলাম।”
“যাই হোক। এভাবে হঠাৎ করে আসলে তো এমন চিৎকার করবোই।
কিন্তু তুমি এখানে কেনো??”
“আজব তো। এখানে আসলেও সমস্যা!!আমার শ্বশুরবাড়ি আমি আসছি। তোর কি সমস্যা??”
“যেটা তোমার শ্বশুর বাড়ী সেটা আমার বাবার বাড়ী।আর এতোই যখন শ্বশুর বাড়ী আসতে ইচ্ছা করেছিলো সবার সামনে দিয়েই আসতে। এভাবে আসার কোনো দরকার ছিলো!!!”
“অবশ্যই দরকার ছিলো। সবার সামনে দিয়ে আসলে তোর সাথে আর দেখা করা হতো না।”
“আর সে তো ২দিন পরেই দেখা করা যায়। আর প্রতিদিন কি তোমার ভুতে আসতো নাকি আমাকে দেখতে??”
আয়ান কিছু না বলে মৌ কে পাশের দেয়ালের সাথে চেপে ধরলো।তার এমন হুটহাট কাজে মৌ আবারো একটু ভয় পেয়ে গেলো।
“কখন থেকে তুই বকবক করেই যাচ্ছিস!! একটু চুপ থাকতে পারিস না???”
মৌ দুষ্টমি করে বললো,
“মোটেও না।আমার চুপ থাকতে ইচ্ছা করছে না।আমি বকবক করবো,আমি কথা বলবো,আমি চিৎকার করবো।”
মৌ এর কথা শুনে আয়ান হুট করে মৌ এর গলায় মুখ গুঁজলো।মৌ তো এমন করায় একদম ফ্রিজড হয়ে গেলো। তার মুখ দিয়ে কোনো কথাই বের হচ্ছে না। এদিকে আয়নকে ঠেলে সরাতেও পারছে না। কারন হাতে মেহেদি দেওয়া।
আয়ানের নিঃশ্বাস মৌ এর গলায় পরায় সে বারবার কেঁপে উঠছে। এদিকে কিছু বলতেও পারছে না।আবার আয়ানকেও সরাতে পারছে না। কি এক অবস্থায় সে পরে গেলো।
কিছুক্ষণ পর আয়ান মৌ এর গলা থেকে মাথা উঠালো।সে দেখলো মৌ চোখ বুজে আছে। সে আলতো করে মৌ এর চোখে চুমু দিলো। আয়ান সরে গেলে মৌ তার চোখ খুলে।
“কি হলো এখন?? এবার কথা বল।”
মৌ আয়ানের কথার কোনো জবাব দিলে না। লজ্জায় সে তার মাথা নিচু করে আছে।
আয়ান মৌ এর এমন অবস্থা থেকে মুচকি হাসলো। তারপর মৌ এর থুতনি ধরে তার মাথাটা উচু করলো।
” এখনই এমন লজ্জা!!বাসর রাতে কি করবি তাহলে??”
আয়ানের এ কথাটা মৌ এর লজ্জার পরিমান আরো কয়েকগুন বাড়িয়ে দিলো।সে আর কোনো উপায় না পেয়ে আয়ানের বুকে মাথা রাখলো। আর আয়ান শক্ত করে তাকে জড়িয়ে ধরলো।এভাবে বেশ কিছুক্ষণ দুজন এমনই ছিলো।
ধীরে ধীরে মৌ তার মাথাটা উঠালো।আয়ানও তাকে ছেড়ে দিলো। দুজনে এখনও চুপচাপ বসে আছে।
বেশ কিছুক্ষণ পর আয়ান মুখ খুললো,
“আমি কখনো ভাবতেও পারি নি যে কাউকে এতোটাই ভালোবেসে ফেলবো আমি।”
“আমি নিজেও কখনো এমন চিন্তা করেনি।”
“জানিস, তোকে ছাড়া এ কয়টা দিন কেমন কেটেছে আমার??
নিজেকে খুবই একা লাগতো। কেমন যেনো অসহায়। তোকে ছাড়া একটা মূহুর্ত কল্পনা করাও দায় আমার জন্য।”
এর জবাবে মৌ কিছু বলেনি। সে শুধু আয়ানকে জড়িয়ে ধরেছিলো।এর মধ্য হঠাৎ করে ছাদের। দরজায় কে যেনো নক করে। এতে তারা দুজনেই চমকে উঠে।মৌ তাড়াতাড়ি নিজেকে আয়ানের থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে ভয়ে ভয়ে বলে,
“হায় আল্লাহ।।।এখন ছাদে কে আসলে!!!আমাদের একসাথে দেখে নিলে তো মান সম্মান কিছুই থাকবে না।
এককাজ করো। তুমি এক সাইডে লুকিয়ে পরো।আমি দরজা খুলে সাথে সাথে বের হয়ে যে এসেছে তাকে নিয়ে নিচে চলে যাবো।”
আয়ান মৌ এর এসব কথা শুনে বলে,
“আরে আরে এতো হাইপার হচ্ছিস কেনো??আমরা কি অপরিচিত কেউ নাকি। আমরা স্বামী স্ত্রী। সো এভাবে দেখা করাই যায়।কেউ কিছুই বলবে না।”
“না না।তাও কিছু বলা যায়না। আমাকে নিয়ে এরা মজা করুক আমি তা চাই না। তুমি জলদি লুকিয়ে পরো তো এক জায়গায়।”
“আচ্ছা আচ্ছা যাচ্ছি।তুই রিল্যাক্স হ।”
তারপর আয়ান গিয়ে ছাদের এক কোনায় দাঁড়ীয়ে থাকে। আর মৌ গিয়ে দরজা খুলে।
দরজা খুলে সে দেখে তার চাচি দাঁড়ীয়ে আছে।উনাকে দেখে মৌ কিছুটা ঘাবড়ে যায়।
চাচি মৌ কে ছাদে দেখে বলে যে,
“কি ব্যাপার এখন একা একা ছাদে কি করিস??”
“তেমন কিছু না। ঐ একটু খোলা জায়গায় এসেছিলাম। ঐখানে অনেক মানুষজনের ভিতর কেমন যেনো অস্বস্তি লাগছিলো তাই আরকি।”
“ওও। তো কাউকে তো বলে যেতে হয়। তোর এভাবে আসায় সবাই তোকে খুজছিলো।”
“আচ্ছা এখন তো পেয়ে গিয়েছো। চলো, নিচে যাওয়া যাক।”
“হুম চল।”
ছাদের থেকে চলে আসার পর মৌ যেনো হাফ ছেড়ে বাঁচলো।কারন আয়ানকে চাচি দেখেনি।ঐদিকে আয়ান সুযোগ বুঝে তাড়াতাড়ি সিঁড়ি দিয়ে নেমে চলে যায়।
চাচি আর মৌ রুমে এসে সবার মাঝে দাঁড়ায়। মৌ এর চাচি আম্মুকে উদ্দেশ্য করে বলে,
“দেখো ভাবি।তোমার মেয়ে ছাদে গিয়েছিলো। হাওয়া বাতাস খেতে।”
এদিকে মাহি তার আম্মুর মুখে এ কথা শুনে বলে,
“আরে আম্মু মৌ আপু ছাদে একটা ভাইয়ার সাথে দেখা করতে গিয়েছিলো।”
মাহির এ কথা শুনে মৌ চোখ বড় করে ফেললো,সে ইশারা করে মাহিকে বলছে চুপ হয়ে যেতে কিন্তু সে নিজের মতো বলেই যাচ্ছে।
“আম্মু জানো??ঐ ভাইয়াটা না আমাকে চকলেট দিয়ে বলেছিলো যে মৌ আপুকে ছাদে ডেকে নিয়ে যেতে।”
চাচি তো মাহির এ কথা শুনে ভ্রু কুঁচকিয়ে একবার মাহির দিকে তাকায় আবার মৌ এর দিকে তাকায়। মৌ তো লজ্জায় মাথা নিচু করে আছে।মনে মনে সে বলছে,
“যেটার ভয়ে ছিলাম সেটাই হলো।এবার সবাই আমার ইজ্জতের ফালুদা বানায় ছাড়বে।মাহির বাচ্চা মাহি তোকে তো আমার মন চাচ্ছে মেহেদির মধ্যে ছেড়ে দেই।উফ।”
চাচি বললো,
“কি রে মৌ মাহি কি বলছে??কে দেখা করতে এসেছিলে??”
“কই কেউ না তো চাচি। কে দেখা করতে আসবে।”
এর মধ্য আবার মৌ এর মামাতো বোন সীমা এসে বললো,
“মিথ্যা বলছিস কেনো??আরে চাচি আমি বলি,আয়ান ভাইয়া দেখা করতে এসেছিলো।”
এ কথা শুনে সব একসাথে বলে উঠলো,
“ওওওওওওও,এই কথা।”
চাচি বললো,
“আমাদের জামাই তো দেখছি বড়ই অধৈর্যবান মানুষ। পরশুই তো মন ভরে দেখতে পেতো।”
সাথে আবার মামি যোগ দিলো,
“আরে অধৈর্যবান কেনো বলছেন??জামাই তে আমাদেট হেব্বি রোম্যান্টিক মানুষ দেখছি।”
সীমা আবার তালে তাল মিলালো,
“আমাদের দুলাভাই মৌ কে কতো ভালোবাসে দেখেছো??এতোদিন কাছেই ছিলো।শুধু এ কয়দিন আলাদা আছে। তাই ই দেখা করতে চলে এসেছে!!!”
এদের সব কথায় মৌ এতো লজ্জা পেলো যে তার সেখানে দাঁড়ীয়ে থাকা সম্ভব হচ্ছে না। তাই সে দৌড়ীয়ে নিজের রুমে এসে দরজা আটকিয়ে দিলো।
খাটে বসে সে আয়ানকে হাজারো গালি দিচ্ছে।সাথে মাহিকেও।
“উফ কি দরকার ছিলো এখানে আসার???২দিন না দেখলে কি এমন হয়ে যেতো!!!
এই জন্য এখন সবার সামনে যেতেও লজ্জা করছে আমার।।।
আবার এই মাহিটাও চুপ থাকলো না। এভাবে বলার কোনো দরকার ছিলো!!!”
চলবে….