ভালোবাসার অধিকার পর্ব-১৮+১৯

0
909

#ভালোবাসার_অধিকার❤❤
লেখা- পূজা
পর্ব- ১৮


পরেরদিন,,
অনু ঘুম থেকে উঠে দেখে তিথি সিমি মায়রা দিয়া সবাই বসে আছে ওর রুমে। ওদের দেখে ও হা হয়ে তাকিয়ে আছে ওদের দিকে স্বপ্ন দেখছে না সত্যি বুঝতে পারছে না।
দিয়া: মুখ বন্ধ কর মশা ডুকে যাবে।
অনু: আমার হাতে একটা চিমটি দে তো।
সিমি এগিয়ে এসে খুব জোরে একটা চিমটি দিলো।
অনু: আউউউচ। তারমানে এটা সত্যি।
মায়রা: সত্যি মানে। আমাদের কি তর স্বপ্ন মনে হয়।
অনু: এতো সকাল তরা এখানে কেনো।
তিথি: 😳এটা সকাল। ১১টা বাজে।
অনু: কিইই এতো লেইট হয়ে গেছে।
তিথি: জি ম্যাম।
অনু: আচ্ছা তরা সবাই এখানে কেনো এটা বল।
দিয়া: আমরা এখন শপিং করতে যাবো তাই তকে নিতে এসেছি।
অনু: হঠাৎ শপিং কেনো।
মায়রা: আরো ২দিন পর সিমির ইনগেইজমেন্ট। ভুলে গেছিস।
অনু: ওহ। বুঝেছি।
দিয়া: এবার যা গিয়ে ফ্রেস হয়ে আয় আমরা এখানে আছি।
অনু চলে যায় ফ্রেস হতে। দিয়া অনুর ফোন হাতে নেয় কল লিস্ট চেক করে দেখে রাত ১টা পর্যন্ত অনু রোদের সাথে ফোনে কথা বলেছে।
দিয়া: (আমার কেনো জানি না মনে হচ্ছে সামনে খুব বড় একটা ঝামেলা হবে। ভাইয়া তুই খুব বড় ভুল করছিস। পরে তকে পস্তাতে হবে।)
অনু ফ্রেস হয়ে রেডি হয়ে নিচে গেলো।
অনুর মা: তোমরা ও ব্রেকফাস্ট করে নাও।
তিথি: না আন্টি। আমরা তো ব্রেকফাস্ট করে এসেছি।
অনু: একটু খেয়ে নে। আমার একা খেতে ভালো লাগে না। আজ এতো লেইট হলো কিভাবে বুঝতে পারছি না।
দিয়া: দেরিতে ঘুমালে দেরিতে তো উঠবিই।
অনু: 😒
ওরা সবাই ব্রেকফাস্ট করে শপিং করতে বেরিয়ে পরলো। শপিংমলে গিয়ে সিমির জন্য ওরা শাড়ি দেখছে কিন্তু চুজ করতে পারছে না।
অনু: এক কাজ কর। শাড়ির কিছু ছবি তুলে শুভকে সেন্ড কর। ও চুজ করে দেবে।
দিয়া: রাইট মায়রা ছবি তুলে শুভকে সেন্ড কর।
মায়রা: ওকে।
মায়রা কিছু শাড়ির ছবি তুলে শুভর ফোনে সেন্ড করে দিলো। শুভ একটা ফাইল দেখছিলো হঠাৎ ওর ফোন টং করে বেজে উঠে। ফোন চেক করে দেখে মায়রার নাম্বার থেকে কিছু শাড়ির ছবি এসেছে। আর একটা মেসেজ। মেসেজে লেখা,”ভাইয়া সিমির জন্য শাড়ি কিনতে এসেছি বাট চুজ করতে পারতেছি না। ঝটপট একটা শাড়ি তুমি চুজ করে দাও তো।”
শুভ সব শাড়ির পিকচার খুব ভালো করে দেখলো আর একটা সিলেক্ট করে দিলো। শুভ আবার মেসেজ পাটায়,”লাল আর গোল্ডেন এর মাঝে যে শাড়িটা ওটা চাইলে নিতে পারো।”
শুভর কথা মতো ওরা এই শাড়িটাই নিলো। মায়রা তিথি দিয়া ওরা ও সেদিন পরার জন্য ড্রেস কিনলো।
তিথি: অনু তুই কিছু কিনবি না।
অনু: ইচ্ছে করছে না।
দিয়া: এটা কোনো কথা হলো। আমাদের সাথে ম্যাচ করে তকেও ড্রেস কিনতে হবে।
সিমি: কিনে নে। ওর কথা শুনছিস কেনো।
অনুর জন্য ও ওরা ড্রেস কিনলো। কাপড় কিনে দোকান থেকে বেরিয়েই দেখে সামনে রোদ। রোদ ওদের দেখে সামনে এগিয়ে আসলো।
তিথি: আরে ভাইয়া তুই?
রোদ: আমি তো এখানে একটা মিটিং এটেন্ড করতে এসেছিলাম।
অনু: 🤨এখানে?
রোদ: এখানে মানে রেষ্টুরেন্ট এ।
অনু: ওহ।
রোদ: তোমরা এখানে?
তিথি: ২দিন পর সিমির ইনগেইজমেন্ট। শপিং করতে এসেছিলাম।
রোদ: ও তো শেষ শপিং?
তিথি: হুম।
রোদ: তাহলে চলো রেষ্টুরেন্ট এ। কিছু খেয়ে যাবে।
অনু: আজ না অন্যদিন।
রোদ: অন্যদিন আর কবে দেখা হবে জানি না। আজই চলো। বেশি টাইম লাগবে না।
দিয়ার এই ছেলেটাকে একদমই ভালো লাগে নি। তারপরো কিছু বলে নি। তিথির ভাই।
রোদের জোরাজোরি সবাই যেথে রাজি হলো। রোদ এখানের রেষ্টুরেন্ট এ ওদের নিয়ে গেলো না কারন সেখানে টেবিল খালি ছিলো না। খুব বড় একটা রেষ্টুরেন্ট এ নিয়ে গেলো। সেখানে গিয়েই দেখতে পেলো দ্বীপ আর আবিরকে। ওরা আরো দুজন লোকের সাথে কথা বলছে। মনে হয় কোনো মিটিং এ আছে।
দিয়া: অনু ভাইয়া।
তিথি: আরে এখানে তো আবির আর দ্বীপ ও।
রোদ: তোমরা এখানে বসো।
অনু: হুম।
সবাই বসলো দ্বীপ এখনো ওদের কাউকে দেখেনি। অনু আড়চোখে দ্বীপের হাতের দিকে তাকালো কালকের বেন্ডেজটা একনো রয়ে গেছে।
তিথি ফোন বের করে আবিরকে কল দিলো। আবির ওই লোকগুলোর সাথে কথা বলছে ফোনে রিং হতেই ফোন হাতে নিয়ে দেখে তিথি তাই তিথির প্রথম কল কেটে দিলো। তিথি আবার কল দিলো। এবার আবির বিরক্তি নিয়ে কলটা রিসিভ করলো।
আবির: তিথি আমি তোমাকে আধ ঘন্টা পর কল দিচ্ছি আমি একটা মিটিং এ।
তিথি: আমি তো তোমাকে দেখতে পারছি। পিছনে তাকাও।
আবির: দেখতে পারছো মানে তুমি কি রেষ্টুরেন্ট এ।
তিথি: হুম। পিছনে তাকাও তো।
তিথির কথায় আবির পিছনে তাকালো।
তিথিকে দেখে আবির অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে। তিথি আবিরকে হাত দিয়ে হাই দেখালো। আবির দ্বীপকে গুতাচ্ছে।
দ্বীপ: কি হয়েছে তর? গুতাচ্ছিস কেনো। কথা বলছি তো।
আবির: পিছনে তাকিয়ে দেখ।
দ্বীপ: কি আছে পেছনে। ডিস্টার্ব করবি না। কাজ করছি না।
আবির: আরে পিছনে দিয়া তিথি অনু দেখ।
আবিরের কথায় এবার দ্বীপ পিছনে তাকালো প্রথমেই ওর চোখ অনুর দিকে গেলো। দ্বীপ তাকাতেই অনু ওর চোখ সরিয়ে নিলো।
রোদ: কি হয়েছে? তোমরা ওদিকে কি দেখছো।
তিথি: তর বোনের বরকে।
রোদ: উয়াট?
তিথি: সামনে দেখ আবির আর দ্বীপ।
রোদ: কোথায়। হ্যা তাই তো। মিটিং এ এসেছে?
তিথি: হুম।
আবির: তোমরা এখানে ওয়েট করো মিটিংটা শেষ করে কথা বলছি।
তিথি: ওকে।
তিথি ফোন কেটে দিলো।
রোদ: খাবার এসে গেছে। লেটস স্টার্ট।
সবাই: হুম।

দ্বীপ মিটিংটা ভালোভাবে করতে পারতেছে না বার বার আড় চোখে অনুর দিকে তাকাচ্ছে। কারন অনুর পাশেই রোদ বসে আছে। আর অনুর পাশে দ্বীপ রোদকে সহ্য করতে পারতেছে না।
আবির: তর মন কোথায় বলতো। আমরা কি বলছি আর তুই কি করছিস।
দ্বীপ: সরি।
দ্বীপ কাজে মন দিলো। কিছুক্ষণ পর তাকিয়ে দেখে রোদ টিসু দিয়ে অনুর মুখ মুছে দিচ্ছে। অনুর মুখে খাবার লেগে গেছিলো। দ্বীপ আর বসে থাকতে পারলো না দারিয়ে গেলো।
আবির: কি হয়েছে?
দ্বীপ: বাকি মিটিংটা তুই কমপ্লিট কর। আমি আসছি।
আবির: কোথায় যাবি।
দ্বীপ: বলছি না আসছি।
দ্বীপ ওখান থেকে চলে আসলো ওদের টেবিলের সামনে অনুর হাত ধরে টেনে অনুকে দার করিয়ে দিলো।
রোদ: উয়াটস ইউর প্রবলেম?
দিয়া: ভাইয়া কি হয়েছে?
অনু: দ্বীপ আমায় ছাড়। কি করছো?
দ্বীপ কারো কোনো কথা না শুনে অনুকে নিয়ে চলে আসলো এসে দ্বীপের গাড়িতে বসালো। আর সেটবেল্ট লাগিয়ে দিলো।
অনু: দ্বীপ কি হচ্ছে এসব। এভাবে আমাকে আনলে কেনো। একদম আমার সাথে জোর করার চেষ্টা করবে না বুঝেছো। আমি তোমার নেহা না।
দ্বীপ কিছু বলছে না। চুপচাপ গাড়িতে উঠে গাড়ি স্টার্ট দিলো।
অনু: আজব তো। আমি কিছু বলছি শুনতে পারছো না।
দ্বীপ: সাট আপ।
অনু: ইউ সাট আপ।
দ্বীপ: আমি চুপই আছি।
অনু: কেনো চুপ থাকবে। আমি কিছু বলছি তো। তার আন্স দাও। এভাবে আমাকে নিয়ে আসলে কেনো?
দ্বীপ: কেনো? ছেলেটার সাথে থাকতে খুব ভালো লাগছিলো।
অনু: হ্যা লাগছিলো। কেনো আনলে?
দ্বীপ: আমার ইচ্ছা হয়েছে তাই। এখন চুপ থাকো।
অনু: সব সময় কেনো নিজের ইচ্ছাটা আমার উপর দেখাও। আমি তোমার কে হই। ভালো তো বাসো না। তাহলে কেনো বার বার আমার সামনে আসো। আমার সাথে জোর করো।
দ্বীপ: সেটা আরো কিছুদিন পর জানতে পারবে।
অনু: আমি চাইনা কিছুদিন পর জানতে। আমি একনি জানতে চাই। বলো।
দ্বীপ: বলছি না কিছুদিন পর জানতে পারবে।
অনু: ততদিনে হয়ত অনেক দেরি হয়ে যাবে।
অনুর এই কথা শুনে দ্বীপ অনুর দিকে তাকালো। সাথে সাথে গাড়ি স্টপ হয়ে গেলো। অনু সামনে তাকিয়ে দেখে ওর বাসায় এসে গেছে।
দ্বীপ: কোনো দেরি হবে না। যাও।
অনু গাড়ি থেকে নেমে বাসায় ডুকে গেলো। বাসায় ডুকে দেখে ওর মা ড্রয়িংরুমে বসে আছে। অনু গিয়ে ওর মায়ের পাশে বসলো। ওর মায়ের কাধে মাথাটা রাখলো।
অনুর মা: কি হয়েছে?
অনু: মা তোমার কাছ থেকে একটা জিনিস লুকিয়েছি।
অনুর মা: কি?
অনু সেদিনের কথা সব ওর মাকে বললো।
অনুর মা: কিইইই? তুই এসব আমাকে আগে বললি না কেনো😡
অনু: বাদ দাও এসব। আমি ওসব নিয়ে আর ভাবি না আর তুমি ও ভাববে না।
অনুর মা: ওর সাহস কি করে হয় তর সাথে এমনটা করার।😡
অনু: আমি চাই না এসব নিয়ে কথা বলতে। আজ তোমাকে জানাতে ইচ্ছে করলো তাই জানিয়ে দিলাম। প্লিজ তুমি এসব ভুলে যাও।
অনুর মা: এই কারনে তুই মন মরা হয়ে থাকতি। আর আমাকে মিথ্যে বলেছিলি। এক্সামের জন্য টেনশন হচ্ছে।
অনু: সরি মা।
অনুর মা: আমার আগেই ভাবা উচিৎ ছিলো ছেলেরা শুধু মেয়েদের সাথে অভিনয় করতে পারে। মা হয়ে তকে কষ্টের দিকে এগিয়ে দিয়েছিলাম। তর বাবা জানলে তো আমাকে……….
অনু: না মা। তুমি বাবাকে কিছু বলবে না। ও ভালোবাসে না তো কি হয়েছে আমি তো বাসি। বাবা জানলে দ্বীপের সাথে কি করবে জানি না।
অনুর মা: আমি ওদের ফ্যামিলিকে কতো ভালো ভেবেছিলাম কিন্তু….
অনু: না মা আংকেল আন্টি দিয়া সবাই অনেক ভালো। ওরা তো আমায় অনেক ভালোবাসে।
অনুর মা: এতো ভালো ফ্যামিলিতে এই রকম একটা ছেলে আসলো কিভাবে?
অনু দ্বীপের বিষয়ে খারাপ কিছু সহ্য করতে পারতেছে না।
অনু: মা প্লিজ দ্বীপকে কিছু বলো না। হয়ত আমারই বুঝতে ভুল হয়েছিলো।
অনুর মা: ওকে বলবো না। তকে আমাকে একটা কথা দিতে হবে।
অনু: কি?
অনুর মা: ওই ছেলেটাকে ভুলে যাবি। আর আবার আগের মতো হয়ে যাবি। মনমরা হয়ে থাকবি না।
অনু: চেষ্টা করবো। আর থ্যাংক ইউ সব কিছুতে আমার পাশে থাকার জন্য।
অনুর মা মুচকি হেসে অনুকে জরিয়ে ধরলেন।
অনুর মা: ওকে তুই যা। ফ্রেস হয়ে নে।
অনু: ওকে। বাট আমি কিছু খাবো না। রেষ্টুরেন্ট এ খেয়ে এসেছি।
অনুর মা: আচ্ছা।

অন্যদিকে,
রোদ রেষ্টুরেন্ট থেকে সোজা বাসায় চলে যায়। দ্বীপ যেভাবে অনুকে নিয়ে গেছে রোদের কাছে সেটা একদমই ভালো লাগে নি। রোদ প্রথম দেখায় অনুকে ভালোবেসে ফেলে। বাট অনুকে বলে নি। ও চেয়েছিলো অনুর সাথে প্রথমে ফ্রেন্ডশিপ করতে অনুর মন জয় করতে তারপর অনুকে এসব জানাতে। বাট এখন ভয় পাচ্ছে অনুকে হারানোর। দ্বীপের বিহেভ রোদের কাছে অন্য রকম লেগেছে। বাসায় এসেই রোদ ওর মাকে ডাকতে থাকে। রোদের মা কিচেন থেকে বাইরে বের হন। রোদের বাবা নেই। এক বড় ভাই আছে যার বিয়ে হয়ে গেছে।
রোদের মা: কি হয়েছে? আর তুই এতো জলদি চলে এলি যে।
রোদ: তোমরা চাউ তো আমি বিয়ে করে ফেলি?
রোদের মা: হুম। এটা আর বলতে তরই তো মেয়ে পছন্দ হয় না।
রোদ: আমার একটা মেয়েকে পছন্দ হয়েছে।
রোদের মা: সত্যি।
রোদ: হুম। তুমি ভাইয়ার সাথে কথা বলো। ওর বাসায় বিয়ের প্রস্থাব পাটাবে।
রোদের মা: আচ্ছা আমি আজ রাতেই তর ভাইয়ার সাথে কথা বলবো। এতো মেয়ে দেখালাম কাউকেই তর পছন্দ হলো না। অবশেষে কাউকে তো পছন্দ করলি এতেই আমি খুশি।
রোদ: ওকে। আমি তোমাদের ওর সব ডিটেইলস দিয়ে দেবো।
রোদের মা: আচ্ছা।
রোদ ওর রুমে চলে গেলো। গিয়ে অনুকে ফোন দিলো। অনু একটুপর ফোনটা রিসিভ করলো।
অনু: হ্যালো।
রোদ: হুহ। তোমাকে দ্বীপ এইভাবে নিয়ে গেছিলো কেনো।
অনু: কথা বলার ছিলো তাই।
রোদ: ওহ। কি করছো?
অনু: কিছু না। বসে আছি। তুমি?
রোদ: সেইম। তোমার জন্য একটা সারপ্রাইজ আছে।
অনু: কি?
রোদ: বললে আর সারপ্রাইজ থাকবে নাকি।
অনু: 😐তহলে এটাই বা বলতে গেলে কেনো? এখন এটা জানার জন্য আমার পেটে গুরগুর করবে।
রোদ: 😂তাই।
অনু: 🤬হুম।
অনু রোদের সাথে আর অনেকক্ষণ কথা বললো।

দ্বীপ অনুকে বাসায় ড্রপ করে দিয়ে ও নিজের বাসায় চলে গেলো অফিসে আর গেলো না। অভি আর শুভকে ফোন দিয়ে জানিয়ে দিলো দ্বীপ এর কাজ গুলা ওদের শেষ করার জন্য। বাসায় ডুকে দেখে দিয়া ড্রয়িংরুমে বসে আছে। দিয়াকে ক্রস করে দ্বীপ উপরে উঠে যাচ্ছিলো তখনি দিয়ার ডাকে আবার দারিয়ে যায়।
দ্বীপ: কি?
দিয়া: এমন রিয়েক্ট না করলে ও পারতি।
দ্বীপ: ??
দিয়া: অনুকে যখন অন্য কারো সাথে দেখতে পারিসই না। তাহলে সেদিন ওকে ফিরিয়ে দিয়েছিলি কেনো?
দ্বীপ: তেমন কিছু না।
দিয়া: আমি জানি। একদিন তকে পস্তাতে হবে। সেদিন হয়ত অনেক হয়ে যাবে।
দ্বীপ: দেরি হবে না।
দ্বীপ উপরে চলে গেলো এটা নিয়ে আর কোনো কথা বলতে ইচ্ছে করছে না ওর। কি বলবে। বলার মতো ও কিছু নেই আপাদতো ওর কাছে। শুধু সময়ের অপেক্ষা।


চলবে?🙄

#ভালোবাসার_অধিকার❤❤
লেখা- পূজা
পর্ব- ১৯


২দিন পর,
আজ সিমি আর শুভর ইনগেইজমেন্ট। বিয়ে আরো অনেক পরে। এখন শুধু ইনগেইজমেন্ট টা করে রাখছেন। অনু রেডি হচ্ছে সিমির বাসায় যাওয়ার জন্য। দিয়া তিথি মায়রা সবাই অনুর বাসায় আসবে । সবাই একসাথে যাবে। অনু ওয়াশরুম থেকে বের হতেই ওর ফোন বেজে উঠে হাতে নিয়ে দেখে দিয়ার নাম্বার। অনু কলটা রিসিভ করে,
অনু: হ্যা বল।
দিয়া: তুই রেডি তো আমরা কিন্তু আসছি। এসে বসবো না।
অনু: রেডি আমি তরা চলে আয়।
দিয়া: ওকে।
দিয়ার ফোন কাটতেই অনুর ফোন আবার বেজে উঠে। এবার তাকিয়ে দেখে রোদ ফোন দিছে।
অনু: হ্যালো।
রোদ: কি ব্যাপার বিজি মনে হচ্ছে।
অনু: হু অনেক বিজি। সিমির বাসায় যাবো। রেডি হচ্ছি।
রোদ: ওহ। উনার তো আজ ইনগেইজমেন্ট।
অনু: হুম।
রোদ: ওকে তাহলে যাও। ফ্রি হলে কল দিও। আমাকে ও সন্ধ্যায় একটা ইনগেইজমেন্ট এর পার্টিতে যেথে হবে।
অনু: ওকে। এখন বাই।
রোদ: বাই।
অনু রোদের কল কেটে সাজতে শুরু করলো। এতো বেশি সাজে নি। হালকা মেকাপ একটু লিপস্টিক আর কাজল। অনু রেডি হয়ে নিচে যেথেই দেখে অনুর মা ওর জন্য খাবার নিয়ে দারিয়ে আছেন।
অনু: মা সত্যি খিদে নেই।
অনুর মা: সকালে ব্রেকফাস্ট ও করলি না শুধু একটু কফি খেলি এখন ও বলছিস খিদে নেই।
চুপচাপ খেয়ে নে নয়ত যেথে দেবো না।
অনু বাধ্য হয়ে খেয়ে নিলো দারিয়ে দারিয়েই খাচ্ছে বাচ্ছাদের মতো এর মধ্যে দিয়া তিথি মায়রা ওরা এসে এসব দেখে হেসে দেয়। অনু ওদের দেখে রাগি লুকে ওদের দিকে তাকালো।
মায়রা: তুই একনো বাচ্ছাই রয়ে গেলি।
অনুর মা: ছোট বেলার মতো এখনো খাওয়া নিয়ে ওর পিছনে ঘুরতে হয়।
অনু: পিছনে কোথায় ঘুরছো। আমি তো চুপচাপ দারিয়ে খাচ্ছিই।
দিয়া: এখনো কেনো তকে খাইয়ে দিতে হয় নিজে খেতে পারিস না।
তিথি: দুদিন পর বিয়ে হবে তারপর বেবি হবে। বেবিকে কিভাবে খাওয়াবি। নিজেই তো এখনো বেবি রয়ে গেলি।
অনু: 😐তকে নেবো আমার বেবিকে খাওয়ানোর জন্য।
তিথি: 😕😕
দিয়া: হয়েছে এখন জলদি কর। সিমি ফোন দিয়েছিলো জলদি যেথে বলেছে।
অনু: হুম। আমার শেষ। আর খাবো না।
অনু কিচেনে গিয়ে জল খেয়ে নিলো।
অনু: আসি মা। বাই।
অনুর মা: ওকে। সাবধানে যাস আর জলদি ফিরে আসিস।
অনু দিয়া তিথি আর মায়রার সাথে চলে গেলো সিমির বাসায়।

অন্যদিকে,
শুভর বাসায়,
দ্বীপ আর মৃনাল ছাড়া আর কেউ আজ অফিসে যায় নি। দ্বীপ বলেছে ও অফিস থেকে সোজা প্রহরের বাসায় চলে যাবে। শুভর বাসায় এখন ঈশান অভি আর আবির বসে আছে। আর ওদের সাথে রয়েছে শান্ত। আর শান্তর সেই বকবক। শুভ সোফায় বসে বসে ফোন টিপছে আর বাকিরা আড্ডা দিচ্ছে। সন্ধ্যায় সিমির বাসায় ওরা যাবে। হঠাৎ শান্ত আবিরকে জিজ্ঞেস করে,
শান্ত: আচ্ছা আবির ভাইয়া তুমি তিথি আপুকে কবে বিয়ে করবে। বড় সব ভাইদের বিয়ে না হলে তো আবার আমার বিয়েটা হবে না।
আবির: 😮তুই তিথির কথা জানলি কি করে?
শান্ত: 😁তুমি কি ভেবেছো লুকিয়ে প্রেম করবে আর আমি কিছু জানতে পারবো না। সেদিন পার্কে কি করেছিলে সব দেখেছি।
শান্তর কথা শুনে আবিরের কাশি শুরু হয়ে গেলো। অভি তারাতারি পানির গ্লাস এনে আবিরের হাতে দিলো।
ঈশান: সেদিন পার্কে কি করেছিলো আবির🤨
আবির: শান্ত তুই আমার ছোট ভাই না। বড় ভাই এর পিছনে এভাবে কেউ লাগে। তুই সেখানে কি করছিলি?
শান্ত: আরে ভাইয়া কুল। এতো হাইফার হচ্ছো কেনো? এসব তো নরমাল। কিস তো আমি ও অহনাকে করেছি। আর সেদিন সায়নিকে নিয়ে গিয়েছিলাম।
শান্তর কথা শুনে শুভ সোফা থেকে নিচে পরে গেলো আর বাকিরা চোখ বড় বড় করে শান্তর দিকে তাকিয়ে আছে।
শুভ: কিইইই? আমি আজই সব ড্যাডকে বলবো। তুই স্কুলের নাম করে এসব করে বেরাস। ছিঃ! আমি এখন সিওর তুই আমার ভাই না। নিশ্চই মম ড্যাড তকে রাস্তা থেকে কুরিয়ে এনেছে।
শান্ত: তুই আমাকে দেখে জ্বলিস এটা বললেই হয়। আর তর এসব কথায় আমি মাইন্ড করবো না। আই নো তর মনের অবস্থাটা কি। একটা ও জিএফ ছিলো না।
ঈশান: ভাইরে তুই এখান থেকে যা। তর কথা শুনে আমার মাথা গুরাচ্ছে।
শান্ত: 😒
আবির: এই ছেলের জন্য তো দেখছি কোথাও গিয়ে শান্তি নেই। আর কিছু করতেও পারবো না।
শান্ত: আরে আমি তো জানতাম না তুমি তিথিআপুকে নিয়ে সেখানে…….
আবির: চুপপ! তুই এখান থেকে যা তো। বড়দের মাঝখানে তুই কি করিস। যা গিয়ে রেডি হো।
অভি: আমি তো স্ট্রেন্জ হয়ে গেছি। এখন এর ছেলেরা এতো এডবান্স। ভাবা যায় না।
ঈশান: সত্যি পুরো পাগল করে ছারে এরা।
নিচ থেকে শুভর মা শুভকে ডাকতে ডাকতে উপরে আসেন। এসে বলেন,”তোমরা এখনো বসে গল্প করছো। আস্তে আস্তে রেডি হয়ে নাও।”
ঈশান: আন্টি আমরা তো রেডি। শুধু শুভ হবে।
শুভর মা: তাহলে তোমরা দুজন নিচে আসো কিছু কাজ আছে।
ঈশান: অভি চল।
ঈশান আর অভি নিচে চলে গেলো শুভর মার সাথে।

সিমির বাসায়,
দিয়া আর মায়রা ডেকোরেশন দেখছে। অনু আর তিথি সিমির কাছে আছে কিভাবে ওকে সাজাবে সেটাই দেখছে।
দিয়া একটা উচু টুল এ উঠে ফুল লাগাচ্ছিলো। মায়রা বাতি দেখছে। প্রহর বসার জায়গাটা ঠিক করছে। হঠাৎ একটা ডেকোরেশন এর লোক কিছু ঝাড়বাতি নিয়ে দিয়ার কাছ দিয়ে যাচ্ছিলো সেই টুল এর সাথে লোকটির ধাক্কা লাগে আর দিয়া ব্যালেন্স সামলাতে না পেরে পরে যেথে নিলেই প্রহর এসে ধরে ফেলে। দিয়া প্রহরের কোলে।
দিয়া: এখনি আমি মরে যেথাম সিমির বিয়েটা আর আমি খেতে পারতাম না😱
প্রহর: 😐এইটুকু উচু থেকে পরে কেউ মরে না।
দিয়া: আপনি কি পরে দেখছেন মরে কিনা। ঐলোকটাকে তো আমি ছারবো না।
প্রহর: দোষ লোকটার না তোমার। তোমাকে কে বলেছিলো ফুল লাগাতে তোমাকে জাস্ট বলা হয়েছে দেখতে।
দিয়া: আপনি আমায় আগে ছারেন😡।
প্রহর: সিওর।
দিয়া: হুম😡
প্রহর: ব্যাথা পেলে আমাকে দোষতে পারবে না।
দিয়া আর কিছু বলার আগেই প্রহর টাস করে দিয়াকে পেলে দেয়।
দিয়া: ওওওও মাআআআআ গোওওওও।
দিয়ার চিৎকারে সবাই দৌড়িয়ে ড্রয়িংরুমে চলে আসে। মায়রার হাতে একটা লাইট ছিলো দিয়ার চিৎকারে ওটা টাস করে ওর হাত থেকে পরে যায়।
প্রহরের মা: একি দিয়া তুই পরলি কি করে?
দিয়া: আন্টি গোওও তোমার ছেলে আমায় ফেলে দিয়েছে।
প্রহরের মা: প্রহর😠
প্রহর: আরে আমার দিকে এভাবে তাকাচ্ছো কেনো। ওই তো বললো আমাকে ছারেন তাই ছেড়ে দিয়েছিলাম।
দিয়া: খবিস কুত্তা। ছাড়ারই যখন ছিলো তাহলে ধরলেন কেনো😡?
প্রহর: 😡
অনু: আমার হাত ধরে উঠ। বেশি ব্যাথা পাস নি তো।
প্রহর: আমি আস্তেই ফেলেছি। যেভাবে রিয়েক্ট করেছে সেভাবে একদমই ব্যাথা পায় নি।
দিয়া: আন্টিইই দেখছো। তোমার ছেলে ফেলে দিয়ে আবার বলে ব্যাথা পাই নি😭।
প্রহরের মা: প্রহর😡সরি বল দিয়াকে।
প্রহর: মম এখানে আমার কোনো দোষ নেই তো।
প্রহরের মা: তকে যা বলেছি তাই কর। এতো কথা শুনতে চাই না আমি।
প্রহর দাতে দাত চেপে বললো,”সরি🤬”
দিয়া তো মনে মনে অনেক খুশি আজকে ফাস্ট প্রহরের মুখ থেকে সরিটা শুনেছে। প্রহরের মুখ থেকে সরিটা শুনে ওর কলিজাটা ঠান্ডা হয়ে গেলো।
তারপর অনুর হাত ধরে দিয়া উঠে গেলো আর প্রহর এর দিকে তাকিয়ে একটা ভেংচি কাটলো।
প্রহর: 😐
প্রহরের মা: হয়েছে। আর তকে কোনো কাজ করতে হবে না। তোমরা সিমির রুমে যাও ওকে গিয়ে রেডি করাও।
দিয়া: ওকে আন্টি।
ওরা সবাই সিমির রুমে চলে গেলো। প্রহর শুভকে ফোন দিয়ে জেনে নিলো কখন আসবে ওরা। আস্তে আস্তে গেস্টরা আসা ও শুরু করে দিছে।

শুভর বাবা : কি হলো এখনো ওরা রুম থেকে বেরচ্ছে না কেনো। টাইম হয়ে গেছে তো।
অভি: আংকেল আর ৫মি. শুভকে নিয়ে আসছে ওরা।
শান্ত: ভাইয়া এমনভাবে রেডি হচ্ছে মনে হচ্ছে ইনগেইজমেন্ট এ নয় বিয়েতে যাচ্ছে।
অভি: 😐চুপ।
কিছুক্ষণ পর শুভকে নিয়ে ঈশান আর আবির নিচে আসলো। তারপর সবাই বেরিয়ে পরলো সিমির বাসায় যাওয়ার জন্য।
রাস্তায় আবির দ্বীপকে ফোন দিয়ে বলে দিলো জলদি চলে আসার জন্য ওরা বেরিয়ে পরেছে।

ওরা সিমিকে রেডি করিয়ে ড্রেসিং টেবিলের সামনে বসালো। শুভর সিলেক্ট করা লাল আর গোল্ডেন শাড়িটাই পরেছে সিমি। দারুন লাগছে।
অনু: ওয়াও সিমি তকে তো দারুন লাগছে। শুভ চোখই ফেরাতে পারবে না আজ।
মায়রা: রাইট। একদম পরি লাগছে সিমিকে।
মায়রা ওর চোখ থেকে কাজল এনে সিমির কানের নিচে লাগিয়ে দিলো।
তিথি: এবার আর কারো নজর লাগবে না।
সিমি: তরা ও না🙈
দিয়া: ওমা তুই লজ্জা পাচ্ছিস।
তিথির ফোন বাজছে। বিছানার উপর ফোন ছিলো। তিথি ফোন হাতে নিয়ে দেখে আবির ফোন দিয়েছে।
দিয়া: কে?
তিথি: আবির।
অনু: রিসিভ করে জিজ্ঞেস কর কোথায় আছে।
তিথি: হুম।
তিথি ফোন রিসিভ করেই বললো,”কোথায় আছো?”
আবির: চলে এসেছি আর ১০মি লাগবে।
তিথি: ওকে জলদি আসো।
আবির: আসছি এটা জানানোর জন্যই ফোন দিছি।
তিথি: ওকে।
চলে আসবে ১০মি এ।
মায়রা: আচ্ছা তোমরা এখানে সিমির কাছে থাকো আমি নিচ থেকে আসছি।


শুভর বাবা মা সামনে আর পিছনে শুভ আবির ঈশান অভি আর শান্ত প্রহরের বাসায় ডুকছে। ওদের আসতে দেখে প্রহরের বাবা আর প্রহর এগিয়ে আসে।
প্রহরের বাবা: তদের জন্যই ওয়েট করছিলাম। আয়।
শুভর বাবা: হুম চল।
প্রহর গিয়ে শুভ আবির অভি আর ঈশানকে জরিয়ে দরে।
শুভ: কি খবর শালাবাবু।
প্রহর: আমি সম্পর্কে তর বড়। ভাই ডাক ভাই।
শুভ: 😒আমাকে জিজু ডাকবি।
আবির: ইশশ আমার একটা শালা শালি নাই।
শুভ: আমারও একটা শালি নেই🙁
প্রহর: শালি দিয়ে তুই কি করবি আমার বোনকে তো তকে দিচ্ছি।
ঈশান: আমি ভেবেছিলাম তদের কোনো এক শালির সাথে প্রেম করবো। এই ভাগ্য আর আমার নেই। কারোরই শালি নেই।
অভি: তর জন্য কোনো মেয়ে এখানে নেই। তাই এসব নিয়ে ভাবিস না।
ঈশানের কথা শুনে প্রহরের দিয়ার কথা মনে পরে গেলো বাট প্রহর ঈশানকে এসব নিয়ে কিছু বললো না দিয়া যখন ঈশানকে কিছু বলে নি তাহলে ও বলে আর কি করবে। এটা সম্পূর্ন দিয়ার বিষয়।
প্রহর: ভেতরে চল। বাইরে দারিয়ে কি কথা বলবি।
শুভ: হুম চল।
প্রহর যেথে যেথে জিজ্ঞেস করলো,”দ্বীপ কোথায়।”
ঈশান: অফিসে। ও আর মৃনাল এক সাথেই আসবে।
প্রহর: ওকে।
ওরা সবাই গিয়ে বসলো যে যার মতো গল্প করছে মজা করছে। প্রহরের মা সবাইকে দেখে সিমিকে আনতে উপরে গেলেন।
প্রহরের মা: তদের শেষ হলো। ওরা সবাই এসে গেছে।
তিথি: শেষ আন্টি তুমি যাও। আমরা সিমিকে নিয়ে আসছি।
প্রহরের মা: ওকে।
অনু: সব ডান তো।
দিয়া: হুম। এবার ওকে নিয়ে চল নিচে।
তিথি: চল।
ওরা সিমিকে নিয়ে রুম থেকে বেরলো। উপর থেকে নিচে নামছে। শুভ কথা বলতে বলতেই ওর চোখ হঠাৎ সিড়ির দিকে চলে যায়। সিমিকে দেখে শুভ হা করে তাকিয়ে তাকে সিমির দিকে। শুভ ভাবতে ও পারে নি ওর সিলেক্ট করা শাড়ি পরে সিমিকে এতো সুন্দর লাগবে। আবির শুভর হা করে তাকানো দেখে শুভ যেদিকে তাকিয়েছে আবির ও সেদিকে তাকায়। তিথিকে দেখে আবির ও হা হয়ে যায়😍। অভি তো প্রথম থেকেই তাকিয়ে আছে মায়রার দিকে😍। মায়রা মেসেজ কয়ে বলে দিয়েছিলো ওরা এখন নিচে আসছে।
দিয়া গিয়ে শুভ অভি আর আবিরের সামনে চুটকি বাজায়। ওদের হুশ ফিরে।
দিয়া: সিমিকে তো নজর টিকা দিয়ে দিয়েছি। বাট তিথি আর মায়রাকে দেই নি। তরা এভাবে হা করে তাকিলে তো ওদের নজর লেগে যাবে না।
প্রহর: 😐ওরা ওদের দিকে তাকিয়েছে তোমার এতো প্রবলেম হচ্ছে কেনো। তোমার দিকে তো কেউ তাকায় নি।
দিয়া: আপনি একটু চুপ থাকুন।
অনু দিয়াকে টেনে ওদের সামনে থেকে নিয়ে চলে আসে। আজকের দিনে কোনো ঝামেলা করতে চায় না।
অনু: আজ আর ঝগরা করিস না কারো সাথে প্লিজ।
দিয়া: তুই দেখিস নি এক খবিসটা সব কিছুতে নাক গলায়।
হঠাৎ অনুর কাধে কেউ হাত রাখে অনু পিছনে তাকিয়ে দেখে রোদ।
অনু: আরে তুমি? এখানে?
রোদ: হুম। আংকেল(সিমির বাবা) এর সাথে তো আমাদের খুব ভালো রিলেশন বিজন্যাস এর জন্য। আংকেল ইনভাইট করলেন তাই চলে আসলাম। আমি তো জানতামই না আংকেলেরই মেয়ে তোমাদের ফ্রেন্ড সিমি।
অনু: ওহ। খুব ভালো করেছো এসে।
রোদ: হুম। তোমাকে পেয়ে ও খুব ভালো হয়েছে আমি তো এখানে একা খুব বোর হচ্ছিলাম।
দিয়া রোদকে দেখে এখান থেকে সিমির কাছে চলে আসে। ওর রোদকে কেনো জানি সহ্য হয় না।
তিথি: ভাইয়া তুই?
রোদ: হুম। আমাকে ও ইনভাইট করা হয়েছে। ভাইয়া কাজে আটকে গেছে তাই আমাকে পাটিয়ে দিয়েছে।
তিথি: ভালো করেছে।

আরো কিছুক্ষণ পর দ্বীপ আর মৃনাল একসাথে আসে। ওরা আসতেই আবির আর ঈশান এগিয়ে যায় দ্বীপের কাছে।
আবির: এতো লেইট হলো কেনো? কখন আসার জন্য বলেছিলাম।
মৃনাল: রাস্তায় জ্যাম ছিলো। আর মিটিং এর লোকেশনটা ও কতো দুরে ছিলো।
ঈশান: ওকে আয়।
দ্বীপ ভেতরে ডুকতেই ওর চোখ আবার চলে যায় রোদ আর অনুর দিকে। অনু আর তিথি রোদের সাথে হেসে হেসে কথা বলছে দিয়া আর মায়রা সিমির পাশে বসে আছে।
দ্বীপ হাতের মুট শক্ত করে😡 শুভ আর প্রহরের দিকে এগিয়ে গেলো। দ্বীপ এখানে ওর রাগটা প্রকাশ করতে চায় না। অনেক মানুষ রয়েছে। ওর মা বাবা ও এসেছেন।


চলবে?🙄