#ভালোবাসার_রঙে_রাঙাবো💜
#সাদিয়া_জাহান_উম্মি💜
#পার্টঃ২৯
মনির আর বাকিরা মেয়েদেরকে সমস্ত ফুলের ব্যবস্থা করে দিয়ে এসেছে।আর মেয়েরা এখন মেরাজ আর মিমের বাসর সাজাচ্ছে।মনির,আফরান,নিবিড় আর আরিফ এইবার গেলো মেরাজের রুমে। গিয়ে দেখে মেরাজ বিছানায় বসে ফোন চাপছে।নিবিড় গিয়ে মেরাজের হাত থেকে ছো মেরে ফোন নিয়ে বলে,
” কিরে ব্যাটা কি দেখিস আমরাও দেখি।”
ফোনের স্ক্রিনে তাকিয়ে নিবিড় দুষ্টু হেসে তাকায় মেরাজের দিকে বললো,
” বাহ ভালোই তো মামা চলতেছে।হুম হুম!”
মেরাজ চোখ উলটে বলে,
” ফাউল পেঁচাল বাদ দে ফোন দে।”
নিবিড় ফোন নিয়ে অন্য সাইডে চলে গিয়ে দাঁত কেলিয়ে বলে,
” দিবো না যা ফুট।”
এরই মাজে আরিফ বলে,
” কিরে নিবিইড়া কি দেখতাছোস? আমারেও দেখা।”
নিবিড় বিছনায় আধশোয়া হতে হতেই বলে,
” প্রেম কাহিনি উদঘাটন করতেছি সালা ডিস্টার্ব করিস না।”
” আমারেও নেহ সালা।আমিও আছি।”
আফরান আর মনির, নিবিড় আর আরিফের কার্যকালাপ দেখে হাসছে।আফরান জিজ্ঞেস করে,
” কি এমন দেখেছিস রে?”
নিবিড় আঁড়চোখে মেরাজের দিকে তাকিয়ে দুষ্টু হেসে বলে,
” আমাগো মেরাইজ্জা আর মিম ভাবির বিয়ে ছবি যেটা মেরাজ দেখতেছিলো।”
মেরাজ রাগী চোখে তাকায় নিবিড়ের দিকে।বললো,
” তো এখানে কি হলো?আমার বিয়ের ছবি দেখছি।যেটা কাজি অফিস থেকে বের হওয়ার সময় মিম তুলেছিলো এখানে তোদের এতো হাসি কেন পাচ্ছে আজিব?”
মনির মেরাজের পাশে বসলো।বন্ধুর কাঁধে হাত রেখে মুচকি হেসে বলে,
” বাদ দে ভাই! জানিসই তো এরা এমন কেন শুধু রেগে যাচ্ছিস?”
আফরানও মেরাজের অন্যপাশে এসে বসলো। বলে,
” হ্যা শুধু রেগে যাচ্ছিস তুই!”
” এখন আমরা কিছু প্রশ্ন করবো তোকে ঠিকঠাক উত্তর দিবি।”
মনিরের কথায় মেরাজ ভ্রুকুটি করে তাকায়।কি এমন প্রশ্ন করবে এরা যে এমন সিরিয়াস মুখভঙি করছে।মেরাজ তাও নিজেকে সামলে নিয়ে আমতা আমতা করে বলে,
” ওরা কি করছে?”
আফরান ভ্রু-কুচকে বলে,
” ওরা আবার কারা?”
” মানে আসলে বাকিরা কোথায়?”
” আমরা সবাই তো এখানে আর কার কথা জিজ্ঞেস করছিস?”
মেরাজ এইবার হালকা রেগে যায়।তিক্ত কন্ঠে বলে,
” মিমের কথা জিগাইতাছি বাল।”
মনির আর আফরান শব্দ করে হেসে দিলো।কোন মতে হাসি চাপিয়ে মনির বলে,
” সেটা জিজ্ঞেস করতে এতো জড়তা কিসের তোর?আরে বেটা তোর বউ সে।এতো ভণিতা করার কিছুই নেই।”
আফরানও বলে,
” হ্যা ঠিক।আর মিম ঠিক আছে।পিকু,নূর, আলিশা আর আলিফা সবাই আছে ওখানে।মিমকে সাথে নিয়েই তোদের বাসর সাজাচ্ছে।কি যে এক্সাইটেড এক একটা।বলে নাকি আজ ওদের বেস্টুদের মাজে মিমের প্রথম বাসর রাত।এই রাত নাকি চিরস্মরনীয় রাখতে চায় ওরা।কে জানে বিচ্ছুগুলো কি করে। ”
আফরানের কথা শেষ হতে দেরি।মেরাজের বাকি চারজনের দিকে করুন চোখে তাকাতে দেরি নেই।সে ভালোই জানে এই পাঁচ বান্ধবী এক সাথে হলে সেখানে তান্ডব হয়।আর আজ তো ওর বাসর।এই মেয়েরা নিশ্চয় কোন কুবুদ্ধি পাকাচ্ছে ওর বাসর রাত ভেস্তে দেওয়ার জন্যে।মেরাজ কাদো স্বরে বলে,
” হ্রামীর দলেরা যার যার বউরে যদি তারা তারা না সামলাইতে পারোস তাইলে পর্ববতীতে তোদের বাসরও আমি শান্তি মতো করতে দিবো না।”
আরিফ আর নিবিড় একলাফে মেরাজের কাছে এসে বসলো।আরিফ বলে,
“হ্যা ভাই তোর চিন্তা নাই।আমরা আমাদের গুলোকে সামলে রাখবো যাতে তুই তোরটা নিয়ে সুখে শান্তিতে বাসর করতে পারিস।”
নিবিড় উপরনিচ মাথা নাড়িয়ে বলে,
” একদম নো চিন্তা ডু ফুর্তি দোস্ত।”
মেরাজ রেগে তাকাতেই ওরা মুখে আঙুল দিয়ে চুপ করে রইলো।পরক্ষনে আবার হু হা করে হেসে দিলো।এইবার মনির চাপা ধমকে ওদের বললো,
” চুপ তোরা দুটো।ফাইযলামি বাদ দে।ইম্পোর্টেন্ট কথা বলবো এখন মেরাজের সাথে।”
সবাই চুপ হয়ে যায় বুজতে পারে মনির কোন সিরিয়াস কথাই বলবে তাই আর কেউ কথা বাড়ালো না।মনির আস্তে করে জিজ্ঞেস করে,
” মিমকে ভালোবাসিস?”
কথাটা শুনতেই চমকে মনিরের দিকে তাকায় মেরাজ।মনির এখনো ওর দিকে তাকিয়ে।মেরাজ কি বলবে ভেবে পাচ্ছে।সত্যিটাই কি বলে দিবে সে।এরই মাজে মনিরের আওয়াজ,
” কিরে বলছিস না? দেখ তুই যদি পরিস্থির স্বিকার হয়ে এই কাজ করেছিস এটা বলিস না?কারন আমরা জানি তুই এতোটাও বোকা না যে একটা মেয়ের হুমকি ধামকি শুনেই তুই ওকে বিয়ে করে নিবি।জানিস একটা সম্পর্কে ভালো বন্ডিং থাকাটা অনেক জরুরি।সেই সাথে ভালোবাসাটাও প্রয়োজন।যদি মিমকে ভালো না বাসিস।আমি এইসব ব্যাবস্থা বন্ধ করে দিতে বলি।তোর যেদিন মনে হবে তুই মিমকে ভালোবাসিস সেদিন না হয় আবারও তোদের বিয়ে হবে?কিরে বলিস না?ভালোবাসিস?”
মেরাজ চোখ বুজলো।লম্বা শ্বাস টেনে নিলো ভীতরে।এই শ্বাস নেওয়াটা তার খুব জরুরি ছিলো।তারপর চোখ খুলে বন্ধুদের দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসলো।বললো,
” হ্যা ভালোবাসি ওকে অনেক ভালোবাসি।”
মনির, আফরান, নিবিড় আর আরিফ খুশিতে ‘ ইউউউউউ’ শব্দ করে উঠলো।মেরাজ নিজেও হেসে দিয়ে আবার বলে,
” ওকে অনেক আগে থেকেই ভালোবাসি।কিন্তু কোনদিন বলার সাহস পাইনি।কারন আমিও চাইতাম মিম আমাকে ভালোবাসুক।নিজ থেকে আমার কাছে আসুক।তাই আমিও বলতাম না।কিন্তু অনেকদিন হয়ে যায় মিম কিছুই বলে না।অথচ আমি ওর চোখে আমার জন্যে ভালোবাসা দেখতাম।কিন্তু ও বলতো না কেন?ভাবলাম ও নিজেও হয়তো আমার অপেক্ষায় আছে।পরে যখন এখানে আসলাম আমি ওকে প্রোপোস করতে যাচ্ছিলাম।কিন্তু তখন মিমের আর ওর আম্মুর কথা শুনে থেমে যাই।ওর আম্মু ওর বিয়ে নাকি ওর কাজিনের সাথে ঠিক করেছে।আমি সব শুনি।এও বুজলাম মিম রাজি না।কিন্তু তাও এই মেয়ে বললো না যে এই মেয়ে রাজি না।শুধু রাগ দেখিয়ে চলে আসলো।আমিও রেগে গিয়ে আর বলি নাই।চলে আসতে নিলাম কিন্তু পরে ভাবলাম ভালোবাসার কথা নাই বা বললাম অন্য উপায় তো অবলম্বন করতে পারি।তাই করলাম ওকে বুজালাম যে নিজের মনের বিরুদ্ধে কিছু করতে না।আর ঠিক তাই হলো ও নিজের মনের বিরুদ্ধে না গিয়ে সরাসরি আমাকে বিয়ের কথা বললো আমিও সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বিয়ে করে ফেললাম।”
বলা শেষ করে মেরাজ তাকায় সবগুলোর দিকে।দেখে প্রত্যেকটা হা করে ওর দিকে তাকিয়ে আছে।মেরাজ ভ্রুক্ষেপহীনভাবে বলে,
” কি এমন আহম্মক হয়ে তাকানোর কি হলো?”
আফরান মেরাজের পিঠে চাপড় মেরে বলে,
” বাহ ভাই বাহ কিয়া বাত হ্যে?কি প্লান মাইরি।”
মেরাজ হাসছে।মনির প্রশ্ন করলো,
” মিম কিভাবে বিয়ের কথা বললো রে মেরাজ?”
মেরাজ হাসলো।তারপর নিজে উঠে নিবিড়কে খাটের কিনারে এনে বসালো।তারপর পিছনে ঘুরে চুলে হাত বুলিয়ে আচমকাই নিবিড়ের কলার ধরে হেঁচকা টানে দার করিয়ে দিলো।বেচারা নিবিড় আকস্মিক এমন আক্রমনে ও নিজেকে সামলাতে না পেরে ধরাম করে ফ্লোরে বারি খেলো।বারি খেয়েছে হাটুতে।ব্যাথা জায়গায় হাত বুলাতে গিয়েও পারলো না তার আগেই মেরাজ আবারও ওর কলার ধরে টেনে সোজা করিয়ে দার করালো।মেরাজ এমনভাবে তাকিয়ে আছে যেন ওর রাগে মাথা খারাপ হয়ে গেছে।নিবিড় কাঁদো মুখ নিয়ে বলে,
” ভাই কি হলো তোর আমার সাথে এমন করছিস কেন?”
মেরাজ সেদিকে ভ্রুক্ষেপ না করে নিবিড়কে আর একটু টেনে কাছে এনে চোখ রাঙিয়ে বলে,
” বিয়ে করবেন আমাকে! আর সেটা আজকেই এই মুহুর্তে। আর এটা রিকুয়েষ্ট করি নি আমি।জাস্ট জানিয়ে দিলাম।আর যদি আন্সার আপনার ‘না ‘ হয়।তাহলে আমার থেকে খারাপ কেউ হবে না।প্রথমে আপনাকে খুন করবো তার পর নিজে নিজেকে শেষ করে দিবো।”
উক্ত কথা শুনে ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে আছে।মানে হচ্ছে টাকি ওর সাথে ও তা কিছুই বুজতে পারছে না।শুধু আহাম্মক হয়ে তাকিয়ে আছে। এদিকে ওর এমন অবস্থা দেখে বাকিরা হাসিতে লুটোপুটি খাচ্ছে আহা! বেচারা এখনও শক থেকে বের হতে পারেনি।মেরাজ ও ফিক করে হেসে দিলো।নিবিড় এক ধাক্কা দিয়ে মেরাজকে সরিয়ে দিলো।রাগি গলায় বলে,
” ইসস খোচ্চর পোলা।নাউযুবিল্লাহ মিন জালেক।ছিঃ ছিঃ!”
হাসতে হাসতে ওদের পেট ফেটে যাবার উপক্রম।মেরাজ ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে বললো,
” হাহ! এখন আমি খারাপ।তো মিম আমাকে কিভাবে বিয়ের কথা বলেছে সেটা শোনার জন্যেই তো নিজেরা লাফাইতাছিলি।আমার কি দোষ?”
” তাই বলে এমন করে দেখাতে হবে।মুখে বললেই তো হতো তাই না?”
” আরে ডিরেক্ট ফিল্মিং করে দেখিয়ে দিলাম।”
” যাহ সালা ফুট!”
” তুই ফুট!”
মনির বলে উঠে,
” অনেক হয়েছে এতোক্ষনে মনে হয় ঘর সাজানো শেষ।চল মেরাজকে দিয়ে আসি।”
ওরা সবাই সম্মতি দিলো।আসলেই অনেক রাত হয়েছে।মনির,আফরান,নিবিড়,আরিফ ওরা মেরাজকে নিয়ে রুমের সামনে আসলো।আসতেই সবার কপাল কুচকে গেলো।আরিফ বলে,
” একি দরজার সামনে দেখি কেউ নেই? এরা এতো ভালো হলো কবে যে? টাকা না নিয়েই রুমে ডুকতে দিবে?”
মনির চিন্তিত স্বরে বলে,
” আসলেই তো?এরা গেলো কোথায়?”
নিবিড় বললো,
” মনে হয় ক্লান্ত হয় নতুন কোন বাশ রেডি করতে গিয়েছে।”
আফরান সহমত হয়,
” আসলেই নাহলে এরা এক একটা যেই চিজ।দেখা যাবে টাকা না দিলে মেরাজকে বোমা মেরে উগান্ডা পাঠিয়ে দিবে।”
মেরাজ ঘাবড়ানো কন্ঠে বললো,
” ভাই তাহলে এই সুযোগ আমি রুমে চলে যাই।আমি বাশও খাবো না টাকাও বাঁচবে।”
মনির ওরাই একমত দেয়।মেরাজ আর দেরি না করে দ্রুত ঘরে ডুকে দেখে সব অন্ধকার করা।মেরাজ কোনরকম হাতরিয়ে লাইট অন করেই।যা দেখলো এক চিৎকার করে উলটো পথে দৌড় দেয়।এদিকে মেরাজকে রুমে দিয়ে মনির আর বাকিরা রুমের দিকে যাচ্ছিলো।এরই মাজে মেরাজের চিৎকার শুনে পিছনে ঘুরে তাকিয়ে দেখে মেরাজ দৌড়ে আসছে।মেরাজ এসেই আফরানের কাধে ঝুলে পরে।হঠাৎ এমন হওয়ায় কেউ বুজতে পারছে না হলোটা কি?
আফরান দাঁতেদাঁত চেপে বলে,
” আমারে কি তোরা সরকারি খাম্বা পাইছোস?যে কথা নেই বার্তা নেই এসেই কাধে ঝুলে পড়বি।ছাড় আমাকে ছাড়।”
আফরান জোড় করে মেরাজকে ছাড়িয়ে দিলো।মনির গম্ভীর স্বরে বলে,
” কি হয়েছে এমন করলি কেন?”
মেরাজ ভীত স্বরে বলে,
” ভাই আমি বিয়ে করেছি শুধু মিমকে।কিন্তু আমার রুমে পাঁচটা মেয়ে আসলো কোত্থেকে?আমার বউ তো একটা!”
এতোক্ষনে বুজলো সবাই কাহিনি কি?আরিফ হেসে মেরাজের মাথায় গাট্টা মেরে বলে,
” গাধা একটা।ওখানে পাঁচজন মেয়ে আর কেউ না
আমাদের বউয়েরা।তোর একার বউ পাঁচটা আসবে কোত্থেকে?”
মেরাজের এতোক্ষনে হুশ আসলো।আসলে হঠাৎ বিছানায় পাঁচটা মেয়ে দেখে ও ভয় পেয়ে যায়। তাই এমন হলো।মেরাজ বেক্কলের মতো হাসে।
মনির চোখ মুখ কুচকে বলে,
” এখন বলদের মতো না হেসে চল।আর আমরাও আমাদের বউদের নিয়ে আসি।দেখি কি অবস্থা ওখানে।”
সবাই রুমের দিকে যায়।ওরা রুমে ডুকে দেখে।পাঁচ বান্ধবি পুরো বিছানা জুড়ে ঘুমোচ্ছে।সবাই চারদিকে তাকালো।বেশ ভালোই সাজিয়েছে রুমটা এতো অল্প সময়ে।নূর সাদুকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে আছে আর সাদু আলিশার বুকের সাথে লেগে আছে।আলিশাও ওকে সস্নেহে বুকে আগলে রেখেছে।মিম খাটের সাথে হেলাম দিয়ে ঘুমোচ্ছে।আর আলিফা নূরের পাশে হাত পা ছড়িয়ে ঘুমাচ্ছে।সবাই হেসে দিলো এক একটার ঘুমের স্টাইল দেখে।আগে আরিফ গিয়ে সাবধানে আলিফাকে কোলে তুলে নিলো।তারপর আফরান গিয়ে নূরকে নিয়ে নিলো কোলে,তারপর মনির সাদুকে আর নিবিড় আলিশাকে।মিম সেভাইবেই ঘুমিয়ে আছে।সবাই যার যার প্রিয়তমাকে কোলে নিয়ে রুম থেকে বের হয়।মনির বলে,
” ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে।নাহলে আজ আর টাকা ছাড়া ডুকতে পারতি না।ওকে ভাই বেস্ট ওফ লাক।যাই তাহলে।”
মেরাজ মুচকি হেসে মাথা নাড়িয়ে দরজা আটকে দিলো।আর বাকিরা সবাই নিজেদের বউদের কোলে নিয়ে চলে যাচ্ছে।
#চলবে___________
ভুল ত্রুটি ক্ষমা করবেন।কেমন হয়েছে জানাবেন।