#ভালোবাসার_অভিনয়
#Anuridhi_Rahman
#পর্ব ২৩
এরপর পরীর পালা,,,,শেষে পরী ও কুবুল বলে বিবাহ সম্পুন করে,,,,,তারপর সবাই দোয়া পরার পর আমাকে আর রেদ কে একটা রুমে ২রাকাত নফল নামাজ পরতে দেওয়া হয়,,,,,
দুজনে নামাজ শেষ বাইরে এসে অল্প মিষ্টি খেয়ে সবার থেকে বিদায় নিয়ে আবার বেড়িয়ে পরি,,,
.
.
.
.
.
.
.
.
.
গাড়িতে উঠেছে পর থেকে পরী কী যেনো ভাবছে,,রেদ গাড়ি চালাছে হঠাৎ পরী বলল-গাড়ি থামান,,,আমি বলেছি গাড়ি থামান,,,,
রেদ গাড়ি থামাতেই পরী গাড়ি থেকে নেমে রেদ এর গাড়ি দরজার সামনে গিয়ে বলে-নামেন,,,,
রেদ গাড়ি থেকে নামতেই পরী রেদ এর হাত ধরে টেনে গাড়ির সামনে এনে বলল-আপনার কী মাথা খারাপ,,,,
রেদ-কেনো,,,,মাথা খারাপ হবার কোনো কথা বা কাজ করেছি কী আমি,,,,,
পরী-তা নাহলে এখন যা করলেন তা কী হ্যা,,,,
রেদ-আবার কী করলাম,,,
পরী-আপনি আমাকে বিয়ে করলেন কেনো,,,,
রেদ-তোমার কথা রাখতে,,,,
পরী-আমি তো জাস্ট বলেছি আপনি যে আমাকে বিয়ে করে নিবেন তা কে জানতো,,,,
রেদ গাড়ির ওপর হেলান দিয়ে বলে-বলাী আগে ভাবা দরকার ছিলো,,,এখন কিছু করার নেই তুমি এখন আমার লিগ্যাল ওয়াইফ,,,,,
রেদ এর কথা শুনে পরীর অদ্ধভুত ভাবে রেদকে দেখতে লাগলো তােদেখে রেদ বলল-কী হলো এভাবে দেখছো কেনো,,,,
পরী-এই বিয়ের কথা আপনি কাওকে বলবেন না,,,,আর আমি চাইনা এই কথা কেও জানুক,,,,
বলে পরী হন হন করে গাড়িতে উঠে গেলো,,,,,রেদ অবাক হয়ে পরীকে দেখছে,,,,রেদ ও গম্ভির মুখ করে গাড়িতে গিয়ে বসলো,,,
রেদ-তুমি সিউর,,,,
পরী-হ্যা,,,,
রেদ গাড়ি স্টার্ট দিলো,,পরীর আপার্টমেন্ট পরীকে নামিয়ে দিয়ে রেদ গাড়ি নিয়ে চলে গেলো,,,,রেদ এর গাড়ি যতোক্ষন দেখে গেলো তত ক্ষন পরী চুপ হয়ে দাড়িয়ে দেখনো,,,গাড়িটা চোখের আআড়াল হতেই পরী চোখ দিয়ে একফোটা পানি পরলো,,,
পরী আকাশ এর দিকে তাকিয়ে বলতে লাগলো-আমি আপনার যো
গ্য না রেদ,,,,আমার মা এর পরিচয় জানলে ও আমি পিতৃ পরিচয় হীন মেয়ে,,,আর পিতৃ পরিচয় ছাড়া মেয়ে আর যাই হোক কারো জন্য সম্মানীয় নয়,,,,
আর আমার সাথে যে জরিয়ে থাকবে তারজন্য আমি তার সম্মানহানির কারন হয়ে দাড়াবো,,,চিন্তা করবেন না,,,,সবার কাছ থেকে খুব দূরে চলে যাবো,,,শুধু আমার বোন টার বিয়ে টা শেষ হোক,,,,,
সকালে সিদ্দিক সাহেব রেদ এর কথা বলতে সবাই বলে সকাল সকাল কেউকে না জানিয়ে চলে গেছে,,,
মীম আর পরী মামি রান্নাঘর রান্না করছে,,,সিদ্দিক সাহেব আর শাকিল সাহেব সোফায় বসে চা খাচ্ছেন,,,,
পরী ভোর ৪টায় বাড়িতে এসেছে ফ্রেস হয়ে ঘুমাতে ৪:২৫ বাজে গিছিলো,,,তাই ঘুম থেকে উঠতে দেড়ি হয়ে গেছে,,,
পরী একটা লাল ৩ পিস পরলো,,সাথে মেচিং কানেদুল আর চুড়ি,,,,চোখে কাজল আর ঠোট এ হালকা লিপস্টিক,,,, কপালে কালো টিপ,,,,,
আজ আবার আলমারি থেকে নিজের নুপুর জোরাও বের করে পরলো,,,আজ কী না জানি,,,পরী সাজতে ভালোলাগছে,,,,আর পরী এি হালকা সাজে অপ্সরীর মতো লাগছে,,,,
পরী রুম থেকে বের হতেই তর নুপুর এর শব্দ সবাইকে জানিয়ে দিলো সে আসছে,,,,সাবাই হাসি মুখে পরীকে দেখনো,,,
সিদ্দিক সাহেব-বাহ পরী তোমাকে তো একদম পরীর মতো লাগছে,,,
পরী-কার নাতনি দেখতে হবে না,,,
শাকিল সাহেব-এই না হলো আমার ভাগনির মতো কথা,,,
রান্নাঘর থেকে মীম পরীকে ডেকে বলল-ও মহারানী এবার রান্নাঘর এ একটু আসেন,,,,
পরী ২জন এর থেকে বিদায় নিয়ে রান্নাঘর এ গেলো পরীকে দেখে মীম ভ্রু কুচকে তার দিকে তাকালো,,,,
মীম-কীরে তুই আজ লাল জামা পরেছিস আবার সেজেছিস,,,,তারমানে তোর মন আজ খুব ভালো তাইনা,,,,
পরী-হুম একদম তাই,,,,তা কী রান্না করছো মামি মা,,,,
পরীর মুখে মামি মা ডাক শুনে রুনা বেগম পরীর দিকে ছল ছল চোখে তাকিয়ে বলল-তুই আমাকে মমামি মা বললি,,,,,
পরী-কেনো ভালো লাগেনি,,, আচ্ছা তাইলে আআর আর বলবো না,,,,,
রুনা বেগম-কেন বলবি না আআজ থেকে তুই আমাকে মামি মা বলবি,,,
পরী-আচ্ছা ঠিক আছে তা কী রান্না হচ্ছে,,,,
রুনা বেগম-পরটা বুটের ডাল, সবজি আর ডিম বাজা,,,,
পরী-আমাকে একটা পরটা আর বুটের ডাল দেও,,,,
মীম-তোর এতো তারা কিসের রে,,,সবার সাথে খাবি বসে একটু,,,,,
পরী-তোর তো হুবু বর এর অফিস কিন্তু আমার বস আমার জামাই না যে আমাকে ডেলি ছুটি দিবো,,,,,
পরী এ কথা বলে নিজেই বোকা হয়ে গেলো,,,পরীর কথা শুনে মীম আর মামি হেসে দিলো,,,,
রেদ রাতে বাড়ি এসেছো তা রাবেয়া বেগম জানতেন না,,,,সকালে সিদ্দিক সাহেব ফোন করে রেদের কথা বলেন যে সে সকাল সকাল চলে গেছে বাড়ি,,,তাই তিনি আর কিছু বলেনি,,,,
রেদ কোনো কথা না বলে খাবার খেয়ে দিদার থেকে বিদায় নিয়ে চলে যায় অফিসে,,,,,
রেদ অফিসে আসে ঠিক এক মিনিট আগে পরী অফিস এসে নিজের কেবিনে ডুকে,,,,
রেদ কেবিনে ডুকেই ফাস্ট এ পরীর টেলিফোন এ ফোন করে,,,,পরী চেয়ারে বসেতে গিয়ে লাফিয়ে দারিয়ে যায়,,,,,,,
পরী কল ধরতেই রেদ বলে-একটা ব্লাক কফি নিয়ে আমার কেবিনে এসো,,,আর মিটিং এর সিডিউল টা ও নিয়ে এসো,,,,,
বলে রেদকল কেটে দেয়,,,,পরী ভাবে এতো রুড ভাবে কথা বলল কেন,,হুহ,,,,,পরী কফি নিয়ে মিতালির কাছে থেকে মিটিল সিডিউল টা নিয়ে রেদ এর কাবিনের ডোর এ গিয়ে নক করলো,,,,,
পরী-স্যার আসবো,,,,
রেদ-কাম ইন,,,,
পরী ভেতরে ডুকতেই পরীর নুপুর এর শব্দে রেদ পরীর দিকে না তাকিয়ে তার পায়ের দিকে তাকিয়ে দেখে,,,,একজেরা নুপুর পরা পা তারদিকে এগিয়ে আসছে,,,,
পরী-স্যার আপনার কফি,,,,
পরীর কথায় রেদ পরীর দিকে তাকিয়ে এক মুহূর্তের জন্য থমকে গেলো,,,,,সে বুঝতে পারছে না এখন এখানে কে দাড়িয়ে আছে,,,,
সেই পরী যে তার অফিসে কাজ করে নাকি সেই পরী যার কথায় কাল রাতে তাকে বিয়ে করেছে তার স্ত্রী পরী,,,,
একপ্রকার ধাধায় ফেলার জন্য পরীর এই লুক যথেষ্ট,,,,,
রেদ-পরী তুমি কী আমাকে মেরে ফেলতে চাও,,,,,
পরী রেদ এর কথা শুনপ বড় বড় চোখ করে রেদ এর দিকে তাকিয়ে বলল-মানে,,,
রেদ-তোমার এই সুন্দরয্য আমাকে আমাকে ঘায়েল করার জন্য যথেষ্ট,,,আার এইভাবেই যদি ঘায়েল করে তাহলে তো তোমার প্রমে আমায় মরতে হবে,,,,
রেদ এর কথা শেষ হতেি পরী এক হাত বে খেয়ালে ট্রে থেকে সরিয়ে নেয় জার ফল ট্রে বেকে যায় আর সব কফি পরে পরীর পায়ের ওপর,,,
বাকিটা পরে জানবেন,,,,,,
#ভালোবাসার_অভিনয়
#Anuridhi_Rahman
#পর্ব ২৪
পরী রেদ এর কথা শুনপ বড় বড় চোখ করে রেদ এর দিকে তাকিয়ে বলল-মানে,,,
রেদ-তোমার এই সুন্দরয্য আমাকে আমাকে ঘায়েল করার জন্য যথেষ্ট,,,আার এইভাবেই যদি ঘায়েল করে তাহলে তো তোমার প্রেমে আমায় মরতে হবে,,,,
রেদ এর কথা শেষ হতেি পরী এক হাত বে খেয়ালে ট্রে থেকে সরিয়ে নেয় জার ফল ট্রে বেকে যায় আর সব কফি পরে পরীর পায়ের ওপর,,,
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
পরীর পায়ে রেদ মলম লাগিয়ে দিয়েছে,,,পরী তারাতারি নিজের কাজ শেষ করে কেবিন থেকে বেরিয়ে পরলো,,,,
রেদ-পরী আমি বুঝতে শিখেছি যে তোমার প্রতি আমার ফিলিং মায়া নয় ভালোবাসা,,,,আর খুব তারাতারি তুমি ও বুঝতে পারবে আমার ভালোবাসা,,,,,
দেখতে দেখতে মিম এর বিয়ের দিন চলে এলো,,,,,পরী ৭দিন এর ছুটি নিয়েছে অফিস থেকে,,,,মোটামোটি মিম এর বিয়ের সব আয়োজন হয়ে গেছে,,,,,
বিয়েতে বেশি মানুষ ইনভাইট করা হয়নি পরীর সদ্য পরিচয় পাওয়া পরিবার মিম আর পরীর আফিস মেম্বার,,,,,,,
আজ মীম এর হলুদ সন্ধ্যা,,, পরীর পরিবার এর সবাই চলে এসেছে,,,,মীম এর বিয়ে তাই বাড়িওয়ালার সাথে কথা বলে খালি দুটা ফ্লাট খুলিয়ে নিয়েছে পরী আর মীম,,,
বাড়ির বাকি গেস্ট রা ওই দুই ফ্লাট এ থাকবে তাই,,,পরী একা হাতে সব কাজ সামলাচ্ছে,,,,আর পরীর দুই মামি রান্নাঘর এ মিষ্ট রাধছে,,,আর একজন কাচি হলুদ শিলনরায় পিসছে,,,,
পরীর দুই মামা কমেটি সেন্টার এর সব ব্যাবস্তা দেখে শুনা করছে,,,,
মীম নিজের রুমে বসে আছে,,,অনাথ আশ্রম এর ২/১ টা ফ্রেন্ড আসছে,,,আর মীম এর সাথে গল্প করছে,,,
পরী মার্কেট গিয়েছিল,,,মীম এর হলুদ এর শাড়ি আর ব্লাউজ পালটে আনতে,,,আগের শাড়িতে একটু প্রব্লেম ছিলো তাই,,,,,
পরী বাড়িতে ডুকে দেখে সবাি কাজে বাস্তু তাই কাওকে ডিস্টার্ব না করে সোজা রুমে গেলো,,,গিয়ে দেখে মীম আর আসফা নীলা তিন জনে গল্প করছে,,,,
পরী মীম এর সামনে বেগ টা রেখে বলে-দেখে নে সব ঠিক আছে নাকি,,,
মীম বেগ থেকে শাড়ি বের করে দেখলো হলুদ শাড়িতে গোল্ডেন পাড়,,,আর শাড়ির আচলে লেখা আজ মীম এর হলুদ সন্ধ্যা,,,,আর তার আসে পাশে,,হলুদ এর ডালা বর বউ বসে আছে,,,আরে এমন আরো সুন্দর সুন্দর অনেক কিছু আকা,,,
মীম-লেখাটা কী লিখেয়ে এনেছিস,,,,
পরী আলমারি খুলতে ভেতরে কিছু একটা রাখতে রাখতে বলল-হুম ভাবলাম কিছু ইউনিক লাগবে তাহলে,,,,
মীম-খুব সুন্দর হয়েছে,,,,আই লাইক ইট,,,,
আসফা-ঠিক বলেছিস খুব সুন্দর হয়েছে,,,
পরী-সোন তোদের সবার জন্য ড্রেস এনেছি বাইরে টেবিল এর ওপর সপিং বেগ এ,,,সবার নাম বেগ এর ওপর লেখা আছে,,,যা এখন,,,,আর সোন যেটায় যার নাম লেখা সেটা তার কাছে পৌছে দিবি,,,
আসফা আর নীলা দুজনেই গিয়ে দেখে টেবিলের ওপর অনেক বেগ,,,দুজনে গিয়ে নিজেদের নাম এর বেগ গুলো আলাদা রেখে বাকি বেগ গুলোতে যার যার নাম লেখে সবাইকে পৌছে দেয়,,,,,
সব মেয়ে দের জন্য একরকম শাড়ি,,,আর ছেলে দের জন্য একরকম পাঞ্জাবি,,,,
সব মেয়েদের জন্য লাল জামদানি আর গোল্ডেন ব্লাউজ আর ছেলেদের জন্য গোল্ডেন পাঞ্জাবীর মধ্যে লাল শুতোর কাজ করা,,,,,
বিকেলে সবাই তৈরি হতে লেগে গেছে,,,সবাই সাজগোছ করছে,,,,,পার্লার থেকে ৩জন মেয়ে এসেছে সবাই সাজছে,,,পরী ১২ রকম এর জিনিস দিয়ে একটা ডালা এর সেম্পেল তৈরি করি ছবি পাঠিয়ে দিলো,,, সেন্টার এর লোক দের,,,,
পাএ পক্ষের সকল মেয়ে দের একটা করে ডালা দেওয়া হবে,,,,ডালায় থাকবে,,,,
একমোট চুড়ি,এক পাতা কপালের টিপ,একটা গোলাপ ফুল,তিন রকম এর চকলেট,একটা চিড়নি,,একটা আয়না,একটা হলুদ এর কুলা,একটা মাটির ঘন্টি আর দুটা মাটির বর বউ এর পুতুল,,
তারপর এসব রেখে পরী রুমে গিয়ে দেখে মোটামোটি সবাই রেডি,,,,মীম ও রেডি শুধু ফুল এর গহনা পরাচ্ছে,,,,
পরী হাসি মুখে মীম এর পাশে দাড়ালো,,,মমী আয়নায় পরীকে দেখে বলল-তুই রেডি হবি না,,,,
পরী-হুম হবো তোর সাজ শেষ হলেই আমিও রেডি হবো,,,,
মীম-আচ্ছা ফ্রেস হয়ে শাড়িটা নিয়ে আয়,,,,
শাড়ির কথা শুনেই পরীর মুখে বিশ্ব জয় হাসি নিয়ে বলল-আমি শাড়িনা ৩পিস পরবো,,
মীম-জ্বী না তুই শাড়ি পরবি তাও সবার থেকে আলাদা একটা শাড়ি,,,,
পরী-না বাবা না আমি পারবো না,,,
মীম গহনা পরা বাদ দিয়ে বলল-তাইলে আমিও আজ হলুদ এ যাচ্ছি না,,আমার বোন আমার হলুদ এ শাড়ি পরবে না তাইলে হলুদই হবে না,,,,বলে দিলাম,,,,
পরী নাক মুখ কুচকে বলল-ওকে ফাইন কোথায় শাড়ি,,,,
মীম এবার বিশ্ব জয়ী হাসি দিয়ে বলল-ওইয়ে আমার বালিশ এর সামনে বেগ রাখা আছে,,,,
পরী বেগ থেকে শাড়ি বের করে দেখে হ্যা হয়ে গেলো,,,,
পরী-মানে কী,,,সবাই লাল পরবে আর আর আমি এটা পরবো,,,,😭😭এটা পরলে আমাকে মরা মরা লাগবে,,,,
মীম-সবার থেকে আলাদা একটা লুক হবে,,,আর তকে সেই লাগবে,,,আর খুব কিউট লাগবে,,,,
পরী ফ্রেস হয়ে আসতেই মীম এর দেওয়া শাড়িটা পার্লারের মেয়ে পরীকে পরিয়ে দিলো,,,চুল গুলো সুন্দর করে একটা বেনি করে তাতে তাজা ফুল এর গাজরা সুন্দর করে লাগিয়ে দিলো,,,,
পরী চোখ বুজে রয়েছে,,,,পরীকে সিম্পাল সাজে সাজিয়ে দিলো,,,,কপালে রজনীগন্ধা আর গোলাপ ফুল এর টিকলি কালে মেচিং কানের দুল,,,হাতে রজনীগন্ধা ফুলের চুড়ি,,,কমরে একটা বিছুয়া,,,,
মীম পেছন থেকে পরীর কাধে মুখ রেখে বলল-চোখটা মেলে নিজেকে একবার দেখ,,,,
পরী চোখ মেলে নিজেকে আয়নাতে দেখে নিজেই অবাক হয়ে যায়,,,যতটা খাবার দেখতে লাগবে ভেবেছিলো তারথেকে ডাবাল সুন্দর লাগছে,,,,,,
সাদা শাড়ি গোল্ডেন পাড় শাড়ি বাংলা শাড়িতে বেস মানিয়েছে,,,তাও ওপর হালকা সাজ ও তাজা ফুল এর সাজ পরী নিজেকে নিজে দেখে বলল-ওয়াও,,,,,
৭টায় মধ্যে মেয়ে পক্ষের সবাই হল এ উপস্তিত,,,,ছেলে পক্ষের সবাই ৮টায় আসবে,,,,সবাই সব দিকে নজর রাখছে,,,কোথায় কার কী লাগে,,,,
স্টেজ এ দুইটা সোফা আর সোফার সামনে টেবিল রাখা,,,আর এই দুই সোফার মাঝে একটা সাদা জরজেট এর মাঝে সুন্দর কাজ ককরা ওড়না দিয়ে পরদা বানানো হয়েছে,,,
মীম হল এর একটা রুমে বসে আছে আর তাকে ঘিরে বসে আছে তার অফিস কালিগ আর ফ্রেন্ড রা,,,,
৮টার সময় পরী ১২ জন মেয়ে নিয়ে গেট এ গেলো,,,,১২ জন এর হাতে একটা করে হলুদ এর ডালা,,,,বর পক্ষ ডুকতেই সব মেয়েরা বর পক্ষের সব মেয়েদের একটা করে ডুলা হাতে দিয়ে দিলো,,,,
গেট এ পরীর মামি মামা নানা সবাই দাড়িয়ে রইছে বর পক্ষ কে আপ্যায়ন করে ভেতরে নিয়ে যাওয়ার জন্য,,,,,
পরীর মামি আয়ান এর হাতে একটা ধাগা পরীয়ে দিলো,,,তরপর অন্য হাতে একটা গাধা ভুল এর মালা বেধে দিলো,,,,,,
তারপর সবাইকে নিয়ে ভেতরে চলে গেলো পরী ও ভেতরে যাবে তখনি কেও পরী হাত টেনে সবার চোখের আড়ালে নিয়ে গেলো,,,,
পরী-কে কে,,,,,
পরী সামনে তাকিয়ে দেখে তার সামনে
বাকিটা পরে জানবেন,,,