ভালোবাসার_অভিনয় পর্ব-২৭+২৮

0
2452

#ভালোবাসার_অভিনয়
#Anuridhi_Rahman
#পর্ব ২৭

পরী ভুত দেখার মত চমকে উঠলো ও রেদের দাদির দিকে তকিয়ে দেখলো উনি হাসছে,,,,এখানে হাসার কী আছে বুঝলো না সে আর উনি কী করে বুঝলো এটা রেদ দিয়েছে,,,,,

রাবেয়া বেগম-পছন্দ আছে বলতে হবে,,,,,

বলে চলে গেলেন,,,,পরী নিজের ফোন এর সেলফি ওন করে দেখলো তাকে বেশ মানিয়েছে হারটা,,,,,কিন্তু এটা কখন পরালো রেদ,,,,
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
পরীর গলায় হার টা দেখে সবাই তাকে জিজ্ঞেস করছে,,,কোথা থেকে কিনেছি কত দিয়ে কিনেছি,,,,

পরী কাওকে কিছু বলতে পারছে না,,,সে তো জানেই না এটা কখন তার গলায় এলো,,,,পরী সবাই কে এরিয়ে রেদ এর হাত ধরে টানতে টানতে একটা ফাকা জায়গায় নিয়ে গেলো,,,,

সবার চোখ আড়ালে ও দুই চোখ জোড়া ঠিক পরী আর রেদ কে দেখলো,,,,

রেদ-আরে বউ কী করো,,,

পরী-আপনি আমাকে এই হার কখন পরালেন,,,আর কেনো,,,,

রেদ-ওহ এই হার,,,,এটা তোমার তাই তোমাকে দিয়ে দিলায়,,,,

পরী-আমার মানে,,,

রেদ-হুম এটা আমাদের বাড়ির খানদানি হার,,,যা একসময় আমার মায়ের ছিলো,,,তিনি তার ছেলের বউ এর জন্য রেখে গিয়েছেন,,,আর এখন তুমি আমার স্ত্রী তাই এখন এটা তোমার,,,,

পরী-এটা আপনার মায়ের হার,,,ইশ এই জন্য আপনার দাদিজান তখন আমাকে এই ভাবে জিজ্ঞেস করছিলো,,,,

পরী হার টা খুলতে নিলে রেদ বলে একদম খুলবে না,,,এটা তোমার আর দাদিজান ও তা বুঝে গেছেন আজ,,,,পরে থাকো ভালো লাগছে,,,,,,

পরী রেদকে আর কিছু না বলে চলে গেলো,,,,রেদ নিজেকে নিজে বলল-মিসেস পরী রেদওয়ান আহামেদ,,, খুব তারাতারি আপনি ও আপনার শশুর বাড়ি যাবেন,,,,

পরীকে জরিয়ে ধরে মীম বাচ্চা দের মত কাদছে,,,সাবার চোখে পানি মী এর বিদায় এর জন্য,,,,,

পরী মীম এর কানে কানে বলে-বাসর ঘর এ কী হলো কল দিয়ে জানাবি। বলে হেসে দিলি মীম ও হেসে দিলো,,,

কিছুক্ষন বাদে হল পুরো ফাকা হয়ে গেলো,,,ফেমেলি মেম্বার ছাড়া সবাই চলে গেছে,,,রেদ রেদের দাদিজান আর মিনা রয়ে গেছে,,,

তারা কথা বলছেন সবার সাথে,,,,তারা সবার থেকে বিদায় নিয়ে বাইরে চলে এলো পরী আর তার ফেমেলির সবাই ও বাইরে চলে এলো,,,তারা ও বাড়ি যাবে তাই,,,,

যাওয়ার আগে রেদের দাদিজান পরীকে বুকে জরিয়ে ধরলো আর কানে কানে বলল,,,,

রাবেয়া বেগম-আর কিছুদিন অপেক্ষা করো তারপর তোমাকে নাতবউ করে ঘরে তুলবো,,,,

ওনারকথা শুনে পরী লজ্জায় মাথা নামিয়ে নিলো,,,

পরী ফ্রেস হয়ে বের হয়ে আসে ওয়াস রুম থেকে,,,,পরনে একটা পাতলা শুতি হালকা নীন রং এর ৩পিস,,,,পরীর চোখ পরে ড্রেসিং টেবিলের ওপর রেদ এর মায়ের হার টা,,,,

পরী আয়নার সামনে বসে হারটা আবার পরে নিজেকে আায়নায় দেখে,,,,লজ্জা পেয়ে যায় আর নিজের হাত দিয়ে মুখ ডেকে ফেলে,,,,,

রেদ ফ্রেস হয়ে মাথা মুছতে মুছতে ওয়াস রুম থেকে বের হয়ে দেখে তার দাদিজান আর মিনা বিছানায় বসে রয়েছে,,তাকে দেখে মিনা বলল,,,,

মিনা-জিজ্ঞেস করেন দাদি এবার,,,,

রেদ-কী????

রাবেয়া বেগম-তা তোর মায়ের হার টা পরীর গলায় কীভাবে গেলো রে,,,,

এটা শুনে রেদ তার দিদার পাশে বসে তার কাধে মাথা রেখে বলে-তোমার নাত বউ হয় তাই আমার মায়ের হার তাকে পরিয়ে দিলাম,,,,,

মিনা-নাতবউ মা হবু নাতবউ,,,

রেদ-সব কথায় ফোরন কাটতে হবে না,,,,,

মিনা রেদ কে একটা ভেংচি কাটলো,,,রেদ ও মিনাকে ভেংচি কাটলো,,,

রাবেয়া বেগম-কিছুদিন যাক আমি সিদ্দিক ভাইজান এর সাথে তোদের নিয়ে কথা বলবো,,,,,

রেদ হালকা হাসলো,,,,সে তো বলতে পারছে না পরী তারবিয়ে করা বউ,,,

পরদিন সকালে সবাই রেডি হচ্ছে,,,,আজ রাত এ মীম এর রিছেপ্সন অনেক মেহামান চলে গেছে পরীদের বাড়ি থেকে,,, ১১টা বাজে পরী রেডি হয়ে মার্কেট এ চলে গেলো,,,,,

পরী ফোন এ মিলি এর সাথে কথা বলতো বলতে রিক্সায় উঠে,,,,তখনি পিছন থেকে কে যেনো পরী বলে ডেকে উঠে,,,,পরী রিক্সা থামাতে বলে,,,তারপর পিছন ফিরে দেখে,,,,,

কিন্তু সে বেশ অবাক হয় কারন পিছনে কেও ছিলো না,,,তখনি রিক্সার পাশ কেটে একটা ব্লাক গাড়ি খুব তারাতারি চলে গেলো পরে যার কারনে একটু চমকে উঠেছিলো,,,বাট নিজেকে সামলে নিয়েছে ও,,,

রিক্সা ওয়ালা-গাড়ি ওয়ালাকে বেশ বকা ঝোকা করলেন বাট গাড়িটা থামলো না

তখনি পরী দেখলো ওর রিক্সার পায়ের সামনে একটা বেগ,,,,

পরী-মামা বেগটা কী আপনার,,,

রিক্সা ওয়ালা-না আফা,,ওই কালা গাড়ি ওয়াল রাইখা গেছে যখন আপনি পিছে দেখলেন,,,,বলেছে আপনার

পরী-আমার,,,,কিন্তু কে দিলো,,,

রিক্সাওয়ালা-আমি জানি না আফা এখন টানুম রিক্সা,,,,

পরী-ওহ হ্যা চলুন,,,,,

পরী বেগ টা খুলে দেখলো শুধু গেলাপ এর পাপরি ভরা,,,,তাই সে আর মাথা ঘামালো না,,,হভুলে হয়তো তার কাছে এসে পরেছে ভেবে নিজের ককাছেই রেখে দিলো,,,,

১ঘণ্টা পর নিজের কাজ শেষ করে পরী ফিরে এলো,,,সবাই যে যার রুমে রেস্ট করছে,,,,

পরী ফ্রেস হয়ে বেরিয়ে এলো,,,তখন তার চোখ যায়,,সেই বেগটার ওপর যা হয়তো ভুলে তারর কাছে চলে এসেছে পরী বেগ টা নিয়ে বসে ফুল গুলো ছুয়ে দেখার জন্য হাত দিতেই তার হাত কেটে গেলে,,,,,

পরী চট পরে হাতটা বেগ থেকে বের করে আনলো,,,,পরীর হাত দিয়ে ঝর ঝর করে রক্ত পরছে,,,পরী তার উরনা দিয়ে হাত চেপে ধরলো,,,,হলুদ রং এর উরনা মিনিট এ লাল হয়ে গেলো,,,,

পরী শুধু মামি মা বলে চিৎকার দিয়ে মাটিতে পরে গেলো,,,,,পরীর এমন চিৎকার শুনে,,রুনা বেগম দৌড়ে পরীর রুমে এসে দেখে পরী মেজেতে পরে আছে,,,উরনা দিয়ে হাত চেপে রাখেছে,,,তাও হাত দিয়ে রক্ত পরছে,,,,মেজে লাল হয়ে গেছে,,,,

তাদেখে উনি চিৎকার করে সবাই কে ডাকে,,,,সবাই এসে দেখে পরীর এই হাল,,,সবার চোখে নিমিষে পানি চলে আসে,,,,

পরীর মামা মামি রা পরীকে হাসপাতালে নিয়ে যায়,,, সিদ্দিক সাহেব বাড়িতে নেই তিনি রেদদের বাড়ি এসেছেন,,,সকালে রেদ এর দাদিজান তাকে আসতে বলেন,,,,,

রাবেয়া বেগম সিদ্দিক সাহেব আর রেদ বসে আছেন এক সাথে,,, সিদ্দিক সাহেব এর সাথে রাবেয়া বেগম পরী আর রেদ এর বিষয় নিয়ে কথা বলতে চান,,,,

যেই তিনি এই কথাটা বলবে তখনি সিদ্দিক সাহেব এর কল আসে তার বড় ছেলের,,,,আর তাকে পরীর কথা বলতেই উনি হাউ মাউ করে কেদে উঠলেন,,,

তাদেখে রাবেয়া বেগম আর রেদ ভয় পেয়ে গেলেন,,,,,,

রেদ-নানাজান কী হয়েছে,,,আপনি কাদছেন কেনো,,,,

রাবেয়া বেগম-ভাইজান কী হইছে,,,,,

সিদ্দিক সাহেব-বাবা আমি হাসপাতালে যাবো,,,,,আমার মেয়েটার কাছে যাবো,,,,

রেদ-কী বলছেন কার কাছে যাবেন,,,

সিদ্দিক সাহেব-পরী হাসপাতালে,,,,,

এই কথা শুনে রেদ আতকে উঠলো,,,,,চোখ দিয়ে একফোটা পানি ঘড়িয়ে পরলো,,,,,,

#ভালোবাসার_অভিনয়
#Anuridhi_Rahman
#পর্ব ২৮

সিদ্দিক সাহেব-বাবা আমি হাসপাতালে যাবো,,,,,আমার মেয়েটার কাছে যাবো,,,,

রেদ-কী বলছেন কার কাছে যাবেন,,,

সিদ্দিক সাহেব-পরী হাসপাতালে,,,,,

এই কথা শুনে রেদ আতকে উঠলো,,,,,চোখ দিয়ে একফোটা পানি ঘড়িয়ে পরলো,,,,,,
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
হাসপাতালের বেড এ সুয়ে আছে পরী,,,,অনেক টা ব্লাড লস হয়েছে,,,,হাত এ বেস গভির ক্ষত হয়েছে,,,,

ডাক্তার জানিয়েছে,,,এটা কোন সচ্ছ ধারালো কাচ দিয়ে কেটেছে হাত,,,কারন পরীর হাতে তারা খুব সচ্ছ ধারালো কাচ পেয়েছে,,,,,

সবাই বেস অবাক হলো কারন তাদের বাড়িতে এতো সচ্ছ কাচ আছে বলে কেও জানে না,,,,

রেদ দাড়িয়ে দাড়িয়ে এতো ক্ষন ডাক্তার এর কথা শুনলো,,,,তারপর বলল-মামি পরী তখন কী করছিলো যখন আপনি ওকে পান,,,,,ওর আসে পাশে কী কোনো ধারালো কিছু ছিলো,,,

পরীর ছোট মামি বলল-তেমন তো কিছু দেখি নি তবে মেঝেতে কিছু গোলাপ এর পাপরি আর ফুল আর একটা শপিং বেগ পরে ছিলো,,,,,

রেদকিছু একটা ভেবে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে সোজা পরীর বাড়ি চলে গেলো,,,,কয়েক জন মানুষ বসে আছে শুধু,,,,,

রেদ পরীর রুমে গিয়ে দেখলো মেঝেতে রক্ত শুকিয়ে গেছে,,,রুমটা কিছুটা এলো মেলো,,,মেঝেতে কিছু গোলাপ এর পাপরি পরে আছে,,,,আ কিছু দুরে একটা শপিং বেগ,,,,

বেস তারাহুরার কারনে কেও পরীর রুম পরিষ্কার করার কথা ভুলেই গেছে,,,

রেদ গিয়ে বেগটা দেখলো বেগ এ ও রক্ত লেগে আছে,,,,বেগ এ যা ছিলো রেদ তা মেঝেতে ডেলে দিলো,,,,যা দেখলো তাকে সে বেস ভয় পেয়ে গেলো,,,,

গোলাপ এর পাপরির সাথে বড় ছোটো ধারালো সচ্ছ কাচ,,,,যা দিয়েই পরীর হাত কেটেছে,,,,রেদ একটা কাচ ধরার চেষ্টা করতেই,,,,তার হাত ও একটু কেটে যায়,,,

তখনি খাট এর ওপরে থাকা পরীর ফোন টা বেজে উঠলো,,,,রেদ ফোন টা হাতে নিয়ে দোখে মীম কল করেছে,,,,

রেদ বুঝলো হয়তো মীম পরীর বেপারে জানে না,,,ওকে জানানো ঠিক হবে না আজ ওর একটা স্পেসাল ডে,,,

রেদ ফোনটা ধরে বলল-পরীকে চাইলে ও দিতে পারবো না,,,,

মীম-আপনি কে,,,,

রেদ-আমি রেদ,,,,পরীর ফোন আমার কাছে,,,,

মীম-ওর ফোন আপনার কাছে মানে,,,,

রেদ-আসলে ভুলে আমার ফোন এর সাথে পরীর ফোন বদলে গেছে,,সেম ফোন তো,,,,,

মীম-ইম্পসিবল,,,, হতেই পারেনা,,,,পরীর ফোনের কাভার আমার আর ওর পিক,,,তাহলে,,,,

রেদ পরীর ফোন ঘুরেয়ে দেখলে,, মীম এর কথা সত্যি,,, রেদ ধরা পরে গেছে,,,,

মীম-পরী কোথায় আর বাকিরা কই,,,আর আমার ফোন ধরে না কেনো,,,,,

তখনি পিছন থেকে একজন মহিলা রেদ কে ডাক দিয়ে বললে-আপনি কী আপনি রেদ হলে এখনি হাসপাতালে জান পরীর নাকি রক্ত লাগবে,,,আপনার আর পরীর নাকি সেম ব্লাড গ্রপ,,,,,

রেদ-AB Negative

-হ্যা তাই হয়তো,,,,,

মীম কিছু না শুনলে ও এটা সে শুনতে পেরেছে,,পরীর নাকি ব্লাড লাগবে,,,বাস এটাই অনেক,,,

মীম-রেদ ভাইয়া পরীর কী হয়েছে,,,,আর ব্লাড লাগবে কেনো,,,,,

রেদ-মীম শান্ত হও,,,,পরী ঠিক আছে ,,,, ওর কিছু হয়নি,,,,

মীম-তাহলে পরীর ব্লাড লাগবে কেনো,,,,,

রেদ-এতো কিছু বলার সময় নেই আমাকে এখন হাসপাতালে যেতে হবে পরীকে ব্লাড দিতে,,,,

মীম-আমাকে হাসপাতালে ঠিকানা মেসেজ করুন আমি এখনি আসছি,,,,

রেদ-না মীম তুমি আসবে না আজ তোমার রিসেপ্সন,,, তুৃমি চাইলে কাল আসতে পারো বাট আজ না,,,,রাখছি,,,,

রেদ ফোন রেখে রুম থেকে বেরিয়ে গিয়ে একজন কে পরীর রুম পরিষ্কার করে দিতে বলল সাবধানে,,,,

পরী হাসপাতালে শুনে মীম এর যেনো কান্না থামছে না,,,,চোখে যেনো পানির ঢৈউ খেলছে,,,,,আয়না তার ভাবি আর আয়ান এর মা মীম এর কান্না দেখে ভয় পেয়ে গেলো,,,,

কে যানে কী না কী হয়ে গেলো,,,,মীম তাদের সব খুলে বলল,,,,আয়ান এর মা বলল-আয়ন রেদ কে কল দিয়ে হাসপাতালে এর ঠিকানা নিয়ে একবার পরীকে দেখে আয়,,,,রিসেপ্সেন এর এখনো অনেক দেড়ি আছে,,,,,

কিছু ক্ষন বাদেই আয়ান আর মীম হাসপাতালে চলে এলো,,,,,

রেদ পরীকে রক্ত দিয়ে বাইরে এসে সবাইকে বলে শপিং বেগ এ কী ছিলো,,,,বাট বেগ টা এলো কোথা থেকে,,,,

পরীর এখনো জ্ঞান ফিরেনি,,,মীম পরীকে দেখে গেছে,,,সবাই একবার করে দেখে গেছে,,,,

মীম আয়ান চলে গেছে আজ তাদের রিসেপ্সন,, পরীর মামা মামি আর নানা কে রেদ অনেক বুঝিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়,,,,মীম এর রিসেপ্সন এ যাওয়ার জন্য,,

সবার মন খারাপ তাও যেতে হবে মীম কে ও যে তারা নিজের মেয়ে ভাবেন,,,,রেদ তাদের ভরসা দিয়েছে সে পরীর পাশে আছে,,,তাই তারা সবাই চলে যায়,,,,

রেদ পরীর কেবিনে পরীর সামনে বসে আছে,,,পরীকে শুধু দেখছে,,,,চোখের পলক ফেলা দায় হয়ে দাড়িয়েছে,,,,

রেদ পরী কাটা হাত টার দিকে তাকিয়ে বলল,,,যানি না এটা ভুল নাকি কারো প্লেন,,, বাট ভয় হয় তোমাকে হারাবার,,,,,

কারন খুব ভালোবেসে ফেলেছি তেমায় খুব,,,,,

বাকিটা পরে জানবেন,,,,