#ভালোবাসার_অভিনয়
#Anuridhi_Rahman
#পর্ব ২৯
রেদ পরীর কেবিনে পরীর সামনে বসে আছে,,,পরীকে শুধু দেখছে,,,,চোখের পলক ফেলা দায় হয়ে দাড়িয়েছে,,,,
রেদ পরী কাটা হাত টার দিকে তাকিয়ে বলল,,,যানি না এটা ভুল নাকি কারো প্লেন,,, বাট ভয় হয় তোমাকে হারাবার,,,,,
কারন খুব ভালোবেসে ফেলেছি তেমায় খুব,,,,,
.
.
.
.
.
.
.
.
.
আনওয়ার সাহেব মথায় হাত দিয়ে বসে আছেন কারন কিছুক্ষন আগেই তার ম্যানেজার এসে তার গুনোধর মেয়ের করা অপরাধ এর কথা তাকে বলছে,,,,
আনওয়ার সাহেব মেয়েকে আদর দিয়ে মাথায় তুলে ফেলেছেন,,,,মা মরা মেয়ে তাই তিনি কখনো মায়ের অভাব ফিল হতে দেন নি,,,,,কখনো করা শাসন ও করেন নি,,,,যা চেয়েছে তাই এনে দিয়েছেন,,,,,
আর আজ তারই ফল,,,মেয়ে একের পর এক অপরাধ করছে,,,,আর তিনি তার মেয়েকে কিছু বলতে পারছেন না,,,,,
ম্যানেজার-স্যার,,,,নুসরাত মামুনির অপরাধ এর মাএ টা এবার বড় মেয়েটার যদি কিছু হয়ে যেতো,,,,
আনওয়ার সাহেব-আজিম নুসরাত কোথায় আছে এখন,,,,
ম্যানেজার-স্যার রাতে উনি বাড়ি ফিরেন নি,,,,
আনওয়ার সাহেব একটা দির্ঘ নিশ্বাস ফেলে মাথা নিচু করে বসে রইলে,,,,
পরের দিন বিকেলে পরীকে বাসায় নিয়ে আসা হয়,,,,সবার সামনেই রেদ পরীকে কোলে করে তার রুমে নিয়ে আসে,,,তারপর বেড এ শুয়ে দিয়ে,,,, বাইরে চলে আসে সবাইকে নিয়ে,,,,
পরীর রেস্ট দরকার তাই,,,,সবাই রুম থেকে বের হয়ে যেতেই,,,পরী উঠে দাড়ালো,,,আস্তে আস্তে খাটের নিচে হাত দিয়ে রক্ত মাখা একটা চিঠির খাম বের করলো,,,,
খামে লেগে থাকা রক্ত গুলো পরীর,,,কারন কাল যখন সে বেগ থেকে ঝারা দিয়ে হাত বের করে ছিলো তখন এই খাম টা ও বের হয়ে আসে,,,,
পরীর হাত ঝারা দেওয়ার কারনে খামট খাটের নিচে চলে যায়,,,,পরীর জ্ঞান ফিরেছে পর থেকে মনে খচখচ করচে চিঠি টা নিয়ে,,,,
পরী চিঠিটা নিয়ে বিছানায় বসে খাম টা ছিরে চিঠিটা বের করলো,,,,চিঠিতের। রক্ত লেগে গেছে পরী চিঠিটা খুলে বেস অবাক হলো,,,,কারন তাতে লেখা,,,
আমার জিনিস এ ভুলে ও নজর দিও না,,,,
যা আমার তা আমি কাওকে দেইনা আর,,,,,
সে যদি আমার কাছ থেকে সেটা কেরে নিতে চায়,,
তাহলে কী হতে পারে তা হয়তো বুঝতে পেরেছো,,,
যদি নিজের ভুল বুঝতে পারে থাকো,,,,
তাইলে ভালো নাইলে ফিউচার এ,,,,
হয়তো বডি তে প্রান পাখি টাই না,,,,
ফাকি দিয়ে উরে যায়,,,,
(নুসরাত)
পরী ভাবনায় পরে গেলো কে এই নুসরাত আর তার কোন জিনিস পরী নিয়েছে যে মেয়েটা তার জানের পিছনে পরে গেলো,,,,
দরজা খোলার শব্দ শুনে পরী চিঠিটা লুকিয়ে ফেলল,,,,,দরজা খুলে মীম আয়ান আর রেদ ভেতরে ডুকে,,,তাদের দেখে পরী একগাল হেসে তাদের বসতে বলল,,,,
পরী বিছানা থেকে উঠতে যাবে তখনি রেদ আর মীম এক সাথে চিৎকার দিয়ে পরীকে উঠতে মানা করে দিলো,,,
রেদ আর মীম বেগের কথা জিজ্ঞাস করতেই পরী বলে হয়তো ভুলে বেগ পালটে গেছে,,,অনেক বুঝালো,,,পরী মীম কে বিশ্বাস করাতে পারলে ও রেদ এর তা বিশ্বাস হলো না,,,,
সে পরীকে এনিয়ে আর কিছু বলল না,,,এভাবে পার হয়ে গেলো আরো ১৫ দিন,,,,,সব ঠিক ঠাক আছে,,,,
বাড়ির সব মেহামা সব চলে গেছে,,,এখন শুধু পরী একা থাকবে তাই তার ছোট মামি মা বাড়ি জাননি,,,,সাবাই চলে গেছেন,,,সবার কাজ আছে তাই,,
পরী ও অফিস জয়েন করেছে,,,,,মীম আর আয়ান ৭দিন এর জন্য সাজেক ভিলা ঘুরতে গেছে,,,(আনার সাজেক যাওয়ার ইচ্ছা বাট মা বলছে ৫টার আগে বাড়ি চলে আসতে তাই,,,সাজেক যাওয়া বাদ)
কিছুদিন ধরেই পরীর মনে হচ্ছে কেও তাকে আশা যাওয়ার সময় ফলো করে,,,কিন্তু পিছে ফিরলে কেও নেই,,
সব ভালোই কাটছিলো,,,,তখন রেদ স্যার আমাকে কেবিনে ডাকলেন,,,,,
কেবিনে যেতেই ওনার শয়তানি শুরু হয়,, পরী হাতে শুরশুরি দিবে,,,,গালপ কিস দিয়ে দিবে,,,আরো অনেক কিছু,,,,
বাট আজ কেবিনে ডুকতেই উনি আমাকে দুইটা শপিং বেগ দিয়ে বললেন,,,,
রেদ-আজ ৮ টার সময় আমি তেমাকে পিক করবো রেডি থেকো,,,,,
আক রেূ কোনো শয়তানি করলো না তাদেখ পরী একটু অবাক হলো,,,তাও কিছু না বলে বেগ দুটো নিয়ে নিজের কিবিনে চলে এলো,,,,৬টা বাজে বাড়ি গিয়ে রেডি হতে লাগলো,,,
রেদ তাকে একটা ব্লাক শাড়ি দিয়েছে,,,পরী নিজের মামিমা এর কাছে গিয়ে শাড়ি পরে নিলো,,,,
পরী হাতে ঘন কালো চুড়ি,,,,,চোখপ কাজল আর কপালে কালো টিপ,,,কানে এক জোরাকানে জুমকে চুল গুলো একটা কাঠি দিয়ে খোপা করে নিলো,,,,তারপর হেন্ড বেগ হাতে নিয়ে বেরিয়ে পরলো,,,,,,
ঠিক ৮টাশ রেদ পরীকে কে পিক করলো,,,,রেদ আজ ফুল ব্লাক সুট পরেছ,,,,,,
পায়ে ব্লাক শু,,,,হাতে সোনার ঘড়ি,,,,চুল গুলো হাওয়ার সাথে উরছে,,,,পরী অপলক ভাবে রেদ কে দেখছে,,,,,
রেদ-হুম তোমার বরকে কেউ চুরি করে নিয়ে যাবে না যে এই ভাবে দেখছো,,,
পরী লজ্জা পয়ে মাথা ঘুড়িয়ে জানালায় মাথা রেখে বাহিরের রাস্তা দেখতে লাগলো,,,,,কোথায় যাচ্ছে তা জানে না বাট ভালো লাগছে তার,,,,
রেদ আর চোখে পরীকে দেখছে,,,,আজ খুব বেশি মিষ্ট লাগছে পরীকে,,,একদম বউ বউ,,,
গন্তব্য তে এসে রেদ গাড়ি থামালো,,,,পরী এতোক্ষন প্রাকৃতিক সুন্দর্যো উপোভোগ করছিলো,,,গাড়ি থামতেই ঘাড় গুরিয়ে রেদ এর দিকে তাকালো,,,,
রেদ-চলে এসেছি,,,,
পরী-কিন্তু চারপাশ তো এখানে জংগল,,,,
রেদ-আমাকে বিশ্বাস করো,,,,
পরী নিজের চোখের পলক ফেলে বলল হ্যা,,,
রেদ-তাহলে চলো,,,,,
দুজনে নেমে পরলো গাড়ি থেকে আর জংগল এর দিকে পা বাড়ালো,,,হঠাৎ করেই রেদ পরীর চোখে রুমাল বেধে দিলো,,,,
পরী-স্যার কী করছেন,,,
রেদ-স্যার না শুধু রেদ আর এখন চুপ থাকো একদম,,,
বলে রেদ পরীকে কোলে তুলে নিলো,,,পরী রেদ এর গলা জড়িয়ে ধরলো,,,,কিছু ক্ষন পর রেদ পরীকে নামিয়ে চোখের রুমাল খুলে দিলো,,,
পরী চোখ এর বাধন খুলতেই তার চোখের সামনে চলো এলো এক সুন্দর এক অপূর্ব দৃশ্য,,,
চারপাশে ছোটো ছোটো লাইট জলছে,,,একপাশে একটা ছোটো ঘর এর মতো করে একটা টেন্ড কিছু দূরে একটা টেবিল রাখা যা সাজানো হয়েছে হার্ট সেপ বেলুন দিয়ে,,,
জয়াগাটার চারপাশে ৩ফিট লম্বা বেরা দিয়ে ঘেরা,,,,এই জায়গা টার সব থেকে সুন্দর বেপার হলো,,,টেন্ডের থেকে ১০ ফিট দূরে একটা ঝিল তার পাশে একটা বাশের বসার সিট,,,,
পরী চার দিক ঘুরে দেখছে,,,,, তখনি পেছন থেকে রেদ বলল,,,,,
তোমাকে আহত অবস্তায় যেদিন দেখেছিল,,,,
সেদিন তোমার মায়ায় পরে গিয়েছিলাম,,,,
আমার করা ভুল সেই বৃষ্টির রাতে,,,
তোমার সাথে করা সেই অন্যায়,,,,,
রেদ থেমে গেলো তারপর অবার বলল,,,,
তাই চায়েছিলাম ভুলটা শুধরে নিতে,,,,
তাই করেছিলা তোমায় বিয়ে,,,
তোমার কথা রাখতে নয়,,,,
আমার ভুল শুধরতেই করেছিলাম বিয়ে,,,,
আর তুৃমি বললে তুমি এই বিয়ে মানো না,,,
তখন বুকের বা পাশে হঠাৎ করেই শূন্যতা অনুভাব হলো,,,,
বুঝতে পারলাম এই পরীর মতো পরীকে ভালোবেসে ফেলেছি,,,,,
শুধু বুঝতে পারিনি তার মনে কী ছিলো,,,,
কিন্তু এখন বুঝে গেছি যে সে ও আমাকে ভালোবেসে ফেলেছে,,,,,
তাই তাকে আজ বলি,,,,,
I LOVE YOU PORI,,,,I LOVE YOU,,,,
পরী শুধু রেদ কে দেখছে,,,,তার চোখ দিয়ে যে পানি পরছে সেদিকে তার খেয়াল নেই,,,,পরী সোজা দৌড়ে রেদ এর বুকে ঝাপিয়ে পরলো,,,,
রেদ পরীকে জড়িয়ে ধরে,,,,পরী রেদ এর কানে কানে বলে,,,,
I LOVE YOU TO RAD,,,,
বাকিতা পরে জানবেন