#ভালোবাসার_অভিনয়
#Anuridhi_Rahman
#পর্ব ৩০
পরী শুধু রেদ কে দেখছে,,,,তার চোখ দিয়ে যে পানি পরছে সেদিকে তার খেয়াল নেই,,,,পরী সোজা দৌড়ে রেদ এর বুকে ঝাপিয়ে পরলো,,,,
রেদ পরীকে জড়িয়ে ধরে,,,,পরী রেদ এর কানে কানে বলে,,,,
I LOVE YOU TO RAD,,,,
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
বাশের তৈরি বেঞ্চ এ বসে আছে রেদ আর পরী,,, পরী রেদ এর কাধে মাথা দিয়ে ঝিল এর পানিতে চাঁদ দেখছে,,,,
রেদ-পরী,,,একটা কথা বলি,,,,
পরী-হুম বলো,,,,
রেদ-চলো কাল আমাদের বিয়ের কথাটা সবাইকে বলে দেই,,,
পরী রেদ এর কাধ থেকে মাথা তুলে তার দিকে তাকিয়ে বলল-ঠিক আছে,,,,,কিন্তু এখন আমাকে একটু ভালোবাসবে,,,,
রেদ পরীর কপালে চুমু দিয়ে বলে-হুম বাসবো একটু না অনেক টা ভালোবাসবো,,,,
কিন্তু এই ভালবাসায় কোনো ভুল থাকবে না,,,,
এই ভালোবাসায় শুধু থালবে তোমার আমার ভালোবাসা,,,,আজ শুধু তুমি আমি,,,,,
পরী হালকা হেসে রেদ এর বুকে নিজের মুখ লুকালো,,তাদেখে রেদ হেসে বলল,,,,
রেদ-আজ তোমাকে একদম বউ বউ লাগছে,,,রেদ এর বউ,,,
রেদ পরীকে কোলে তুলে টেন্ডের ভেতরে নিয়ে গেলো,,,,এর পরীকে উপহার দিলো ভালোবাসা ভরা একটি সুন্দর রাত,,,,,
সকালে পরীর ঘুম ভাঙে তখন সে রেদ এর বুকে শুয়ে রয়েছে,,,
পরী একমনে রেদকে দেখতে লাগলো,,,,আর ভাবতে লাগলো ১মাস আগেও পরী রেদকে ভালোবাসতো না,,,কিন্তু কাল নিজে তার কাছ থেকে ভালোবাসা চেয়ে নিলো,,,,
পরী উঠে নিজের শাড়ি ঠিক করে বাইরে বের হলো,,,,রোদ এর আলো গাছের পাতার ফাক দিয়ে ঝিলের পানিতে ঝিলমিল করছে,,,
পরী ঝিল এর সামনে গিয়ে দাড়ালো শীত শীত লাগছে হালকা,,,শীতকাল এলো বলে,,,,,চারদিকের হালকা কুয়াশা তার প্রমান,,,,
পরী চারদিক তাকিয়ে জংগল টা দেখছে,,,তারা যেই দিক দিয়ে এসেছে সেইদিক দিয়ে একটা রাস্তা তৈরি করা,,,,,পরী ঝিল এর পাশে বসে পানি ছুয়ে দেখছে বেস ঠাণ্ডা,,,,,
হঠাৎ করেই পরীর মাথাশ একটা দুষ্টু বুদ্ধি আসে,,,,,রেদ ঘুম থেকে উঠে দেখে পরী তারপাশে নেই,,,সে সার্ট পরছিলো তখনি পরীর চিৎকার শুনে আতকে উঠে রেদ,,,,
দৌড়ে বাইরে গিয়ে দেখে পানিতে কী যেনো পরে গেলো,,,,,রেদ কিছু না বুঝে দৌড়ে ঝিল এর পানিতে লাফ দিলো,,, আর পরীকে খুজতে লাগলো,,,
তখন পরী হাসতে হাসতে গাছের আড়াল বের হলো থেকে তাদেখে রেদ ফুল বোকা হয়ে গেলো,,,
রেদ-মানে কী এসব এর,,,,
পরী-মানে ঠান্ডা পানি চাঙা শরীল,,,,
রেদ-তারমানে তুমি সকাল সকাল আমাকে ঠান্ডা পানিতে নাকানিচোবানি খাওলে,,,,
পরী-হ্যা তা ভাবতে পারেন,,
রেদ-এসব ছাড়ো হাত দেও আমাকে উঠাও শীত লাগছে,,,,
পরী-এই হাত দিলে আমাকে ফেলতে পারবে না,,,,,
রেদ-আরে বাবা ফেলবো না এ বার তো উঠাও,,,
পরীর হাত ধরে রেদ উঠে এলো,,বেচারা শীত এ কাপছে,,,,তাদেখ পরী নিজের শাড়ির আচল দিয়ে রেদ এর মাথা মুছে দিতে দিতে বলল,,,,
পরী-সরি,,,,
রেদ-রাগ করছি বউ,,,,শাস্তি পেতে হবে,,,,
পরী-শাস্তি মানে,,,,
রেদ-মানে,,,,
রেদ আর কিছুনা বলে পরীকে জড়িয়ে ধরে আর নিজের শরীলের পানি পরীর শরীলে লাগিয়ে দেয়,,,,
কিছু ক্ষন পর রেদ আর পরী বেড়িয়ে পরে,,,,রেদ ভিজা শরীলেই গাড়ি ড্রাইভ করছে,,,পরীর শাড়িও বেশ ভিজে গেছে,,,,
বাতাশে দুজনের ভিজা জামা শুকিয়ে গেছে,,,,রাস্তা গাড়ি থামিয়ে একটা রেষ্টোরন দুজনে সকালের খাবার খেয়ে আবার বেরিয়ে পরে,,,,
পরী-আব রেদ একটা কথা বলি,,,,
রেদ-বলো,,,,
পরী-আসলে বাড়িত মামি ছাড়া আর কেও নেই,,,মামা আর নানা ভাই শুক্রবার আসবে,,সেদিনই না হয় আমাদের বিয়ের খবর টা জানাবেন সবাইকে,,,
রেদ-কিন্তু,,,,
পরী-রেদ আমি চাই সবাই এক সাথে জানুক,,,
রেদ-ঠিক আছে বউ,,,,,
পরী-আর একটা কথা,,,,
রেদ-কী কথা বলো,,,,
পরী-এই তিন দিন আপনি আমার বস এর মতো থাকবেন আর আমি একজন সাধারন স্টাফ এর মতো,,,
রেদ-আপনা হুমুক সার আখো পার মেম,,,,
রেদ পরীতে তার আপার্টমেন্টের সামনে নামিয়ে চলে যায়,,,,পরী হাসি মুখে বাড়িতে যায়,,,,ফ্লাট এর বেল বাজাতেই আর মামি দরজা খুলে দেয়,,,,
মামিমা -পরী কই ছিলি তুই কত কল দিয়েছি খবর আছে,,,,
পরী-আসলে মামিমা পার্টিটা ঢাকার বাইরে ছিলো বেশ রাত হয়ে যাওয়া স্যার এর ক্লাইন্ড আমাদের তাদের ফার্ম হাউসেই থেকে যেতে বললেন,,,,
সকাল হতে আমরা বেরিয়ে পরলাম,,,আর চলে এলাম,,,,,
মামিমা-খাবি কিছু,,,
পরী-না আমি ফ্রেস হবো,,,,আর একটু রেস্ট নিবে,,,
পরী নিজের রুমে চলে গেলো,,,,শাড়ী ছেড়ে লাল রং এর 3 পিস পরে বিছানায় শুয়ে পরে,,,আর এতোদিন তার সাথে কী হলো তা ভাবতে লাগলো আর মুচকি হাসতে লাগলো,,,,
রেদ ও ফ্রেস হয়ে নিজের বেড এ শুয়ে পরীর কথা ভাবতে লাগলো আর তা মিলি আড়াল থেকে উকি মেরে দেখছে,,,,,এই একটা কাজ পেয়েছে সে রাবেয়া বেগেম এর কাছে,,,,
রেদ যতক্ষন বাড়িতে থাকবে তারওপর নজর দাড়ির করার প্রধান কাজ এখন তার,,,,
রেদ পরীর কথা ভাবতে ভাবতে বলল-মিলি তোকে যদি আমার রুমের সামনে দেখি তাইলে তোর খবর আছে,,,,
এ কথা শুনে মিলি চমকে দিলো এক দৌড়,,,,,তাদেখে রেদ হেসে দিলো,,,,,
আর অন্য দিকে,,,,,,
-না না না,,,রেদ শুধু আমার,,,ওই পরীর শিক্ষা হয়নি,,,আমার রেদ কে ছাড়েনি,,,এবার ও বুঝবে এই নুসরাত কী জিনিস,,,,,,
আনওয়ার সাহেব-নুসরাত অনেক হয়েছে তোমার আর না আজ পর্যন্ত যা চেয়েছো দিয়েছি কিন্তু রেদ কোনো জিনিস না যে তুমি চাইলেই এনে দিবো,,,,
রেদ কে ভুলে যাও,,,,,
নুসরাত এ কথা শুনে শান্ত ভাবে নিজেকে আয়নাতে দেখতে দেখতে বলল-বাবা আমি কী দেখতে সুন্দর না,,,
আনওয়ার সাহেব-মানে,,,
নুসরাত-যদি এই সুন্দর্যৌ রেদ কে আকর্ষন না করতে পারে তাহলে এই সুন্দর্যৌ রেখে লাভ কী,,,
বলতেই চোখ মুখে হিংস্তা ফুঠে ওঠে সে নিজের হাত দিয়ে অনেক জোড়ে আয়নাতে বারি দেয়,,,
হাত দিয়ে ঝরঝর করে রক্ত পরতে লাগলো,,,,আনওয়ার সাহেব ভয় পেয়ে গেলেন,,,কিন্তু নুসরাত থামলো না,,,
সে একটা আয়না বাঙা টুকরো হাতে তুলে নিলো,,,,
নুসরাত-বলো রেদ কে এনে দিবে আমাকে বলো নাইলে আমি আমার মুখ নষ্ট করে ফেলবো,,,,
বলো এনে দিবে রেদ কে বলো নাহয়,,,,
আনওয়ার সাহেব-এনে দিবো এবার তুই থাম মা থাম তুই,,,,
নুসরাত আয়না ভাঙা ফেলে দিলো,,,,,আর বিজয় এর হাসি দিলো,,,,
রেদ পরী এখনো জানে না তাদের জীবন এ নুসরাত নামের তুফান খুব তারাতারি আসতে চলেছে,,,যা হয়তো সব লন্ড ভন্ড করে দিবে তাদের জীবন এ,,,,,
বাকিটা পরে জানবেন,,,,,,
#ভালোবাসার_অভিনয়
#Anuridhi_Rahman
#পর্ব ৩১
আনওয়ার সাহেব-এনে দিবো এবার তুই থাম মা থাম তুই,,,,
নুসরাত আয়না ভাঙা ফেলে দিলো,,,,,আর বিজয় এর হাসি দিলো,,,,
রেদ পরী এখনো জানে না তাদের জীবন এ নুসরাত নামের তুফান খুব তারাতারি আসতে চলেছে,,,যা হয়তো সব লন্ড ভন্ড করে দিবে তাদের জীবন এ,,,,,
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
রেদ এর সামনের চেয়ারে বসে আছেন আনওয়ার সাহেব,,,,তিনি আজ সকালে রেদ কে কল করে আজ ১১টায় একটা কফি সপ এ মিটিং ফিক্স করেন,,,,
রেদ অনেক ক্ষন যাবত ওনার সামনে বসে আছে,,,,ওয়েটার ১কাপ করা লিকার চা আর এক কাপ ব্লাক কফি দিয়ে গেলো,,,,
রেদ একবার কফির মগ ধুয়া ওঠা দেখতে দেখতে বলল-মি.আনওয়ার ২১ মিনিট ধরে এভাবেই বসে আছি বাট আপনি কিছুই বলছেন না,,,,ফোনে তো খুব তলব দিলেন যে খুব দরকারি কথা আছে তাহলে,,,,,
আনওয়ার সাহেব মাথা নিচু করে বলল-রেদ তোমাকে আমার খুব দরকার,,,
রেদ কফির মগ টা হাতে নিয়ে বলল-যেমন,,,,
আনওয়ার সাহেব-আমার মেয়ে তোমাকে পাগল এর মতো ভালোবাসে সে তোমার জন্য সব করতে পারে রেদ,,,আর আজ পর্যন্ত আমি আমার মেয়েকে কোনো জিনিস এর জন্য মানা করিনি তাই,,,
রেদ কফিতে চুমুক দিতে গিয়ে ও থেমে গেলো,,,রেদ আনওয়ার সাহের এর দিকে তাকিয়ে বলল-সরি আমি কোনো বস্তু না যে সে চাইলেই পাবে,,,আর হ্যা ভালোবাসা আমার লাইফ এ এলরেডি কেও আছে,,,,তাই আর কথা বাড়িয়ে লাভ নেই,,,উঠি,,,
রেদ যেই উঠতে যাবে তখনি আনওয়ার সাহেব-কিছুদিন আগে আপনার ওয়াইফ এর ওপর একটা এট্যাক হয়েছিলো তা কী আপনি জানেন,,,,
রেদ বেশ অবাক হলো,,,,উনি পরীর কথা কী ভাবে জানলো,,,আর পরীর ওপর এট্যাক হয়েছে তাই বা কেমনে জানলো,,,,
আনওয়ার সাহেব-আমার মেয়ে করিয়েছিলো,,,,যখন ও জানতে পেরেছিলো পরী আপনার ওয়াইফ,,,,আর ও আপনাকে না পেলে কী করবে আপনার ওয়াইফ এর সাথে তা সে নিজেও জানে না,,,,
রেদ টেবিলে খুব জোরে নিজের হাত দিয়ে রাখলো,,,,আর বলল-আপনার মেয়ে একটা সাইকো,,,তাকে মেন্টেল হাসপাতালে দিন,,,
আর হ্যা যদি আমার পরীর আশে পাশে যদি আপনার মেয়ে আসে তাহলে আপনার মেয়ে জেলে পঁচবে,,,,
বলে রেদ আর কিছু না বলে কেফে থেকে বেরিয়ে পরলো,,,নিজের গাড়িতে বসে খুব জোড়ে গাড়ি চালিয়ে বেশ কিছু দূরে গিয়েই গাড়ি ব্রেক করলে নিজের রাগ গাড়ির স্টেয়ারিং এর উপর ঝাড়লো,,,,
তারপর রেদ তার এক ফ্রেন্ড কে কল দেয়,,,,কথা শেষ হতেই রেদ এর ফোন বেজে উঠে,,,ফোন এ পরীর ছবিটা বেসে উঠছে,,,,
রেদ এর রাগ নিমিষেই কমে গেলো,,,, ঠোটের কোন এ হাসি ফুটে উঠলো,,,ফোন রিসিভ করতেই পরী এক গাল হেসে বলল-স্যার আজ কী আজ অফিসে আসবেন না,,,,
রেদ-হুুম ভাবছি আজ আর অফিসে যাবো না বউকে নিয়ে একটু কোথাও ঘুরতে বের হবো,,,,
পরী-তা মি.জামাই আর কয়টা বিয়ে করেছেন যে বউ নিয়ে ঘুড়তে যাচ্ছেন,,,না মানে আমি তো অফিসে তাহলে,,,,
রেদ-আমার বউ একটাই আর হ্যা আপনি আমার সাথে দেখা করবে যতো তারাতারি বলো,,,,
পরী-আসলে আমি ৩টার আগে ফ্রি হতে পারবো না,,, বাট ৩টার পর পাক্কা দেখা করবো,,,,
রেদ-ঠিক আছে,,,তাহলে ঠিক আছে লোকেশন মেসেজ করে দিবো,,,,
পরী-ওকে বর,,, রাখি এখন কাজ আছে,,,,
রেদ বাড়ি চলে গেলো সোজা,,,,আর পরী নিজের কাজে মন দিলো,,,,,
রেদ নিজের দাদিজান কে ও কাল জানাবে সে পরীকে বিয়ে করেছে কিন্তু ততোক্ষন না পরীর নিষেধ,,,,
রেদ নিজের রুম এ চলেগেলো,,,,আর তার দাদিজান আর মিলি তাদেখে বলে,,,,
মিলি-দাদিজান কিছুই তো বুঝছি না,,, পরী আপা কী আমার ভাবি হবে নাকি না,,,,
রাবেয়া বেগম-আমিও তো বুঝছি না,,,কিন্তু পরীকে তো আমি আমার নাতবউ মেনে নিয়েছি,,,,তাও কেন নাতিটা বিয়া করে না,,,,
মিলি-দাদি আমি ভাইজান এর বিয়া খামু,,,,,তারাতারি বিয়া দেও তার,,,,
রাবেয়া বেগম-আমি কালই পরীর বাড়ি যাবো,,,,তুই ও যাবি,,,
মিলি-ইয়য়য়া হুহ,,,আমি যাই কাল কী পরবো তা দেখি,,,,
৩টার সময় পরী সব কাজ করে শেষ করে পরী অফিস থেকে বেরিয়ে পরলো,,,,আজ পরী নীল রং এ ৩পিস পরেছে,,,হাতে নীল চুড়ি পায়ে সেই নুপুর চোখে কাজল আর চুল গুলো বনি করা,,,,
আজ সে রেদ এর সাথে ঘুরবে ভাবতেই মনটা খুশি খুশি লাগছে,,,,
নুসরাত হাতে একটা চাকু আর আপেল নিয়ে চাকুটা ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখছে,,,,
নুসরাত-সরি রেদ,,,বাট তোমাকে আমার চাই এট এনি কস্ট,,,
বলে নুসরাত আপেল টা কেটে খেতে লাগলো আর হাসতে লাগলো,,,,,
রেদ আজ একটা আকাশি রং এর শার্ট আর একটা জিন্স পরে হাতে একটা ঘড়ি পরে চুল গুলো আচরে বেড়িয়ে পরলো,,,,,
আজ সে পরীর সাথে শুধু ঘুড়বে না আজ পরীর সব ইচ্ছে পুরোন করবে,,,,
বাকিটা পরে জানবেন,,,,