#ভালোবাসার_অভিনয়
#Anuridhi_Rahman
#পর্ব ৩২
বলে নুসরাত আপেল টা কেটে খেতে লাগলো আর হাসতে লাগলো,,,,,
রেদ আজ একটা আকাশি রং এর শার্ট আর একটা জিন্স পরে হাতে একটা ঘড়ি পরে চুল গুলো আচরে বেড়িয়ে পরলো,,,,,
আজ সে পরীর সাথে শুধু ঘুড়বে না আজ পরীর সব ইচ্ছে পুরোন করবে,,,,
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
হাসপাতালে বসে আছে পরীর মামা মামি নানা রেদ এর দাদিজান আর মিলি,,,সবার চোখে পানি,,,
হাসপাতালের বেড এ শুয়ে আছে রেদ,,,,রেদের এক্সিডেন্ট পর থেকে পরীকে খুজে পাওয়া যাচ্ছে না,,,,
রেদ এর দাদিজন আর মিলি কাদঁছে রেদ এর অবস্তা ভালো না,,, মাথায় বেশ ক্ষত পেয়েছে,,,
তার উপর পরীর কোনো খোজ নেই,,,,সবাই পরীকে খুজেছে কিন্তু তার কোনো খবর নেই,,,রেদ এর ও এই অবস্তুা সবাই বেশ চিন্তায় আছে,,,
তখনি ডাক্তার অপারেসন থেয়েটার থেকে বের হয়,,,
ডাক্তার -মি.রেদ নাও আউট ওফ ডেঞ্জার,,, বাট ব্রেইন এ কতটা ডেমেজ হয়েছে তা সেন্স ফিরলেই বলা যাবে তার ডান পায়ে একটা ফেক্টচার হয়েছে,,,তাই একমাস বেড রেস্ট এ রাখতে হবে,,,,
রেদ এর দাদিজান ভেংগে পরেন,,, ছেলে আর বউমা কে ছাড়ানোর পর রেদই তার বেচে থাকার শেষ সম্বল,,,,
আর পরীর মামা মামি আর নানা জান এর সেম অবস্তা,,,, কাল বিকেলই তো রাবেয়া বেগম কল করে বললে যে সে রেদ আর পরীর বিষয় এ কথা বলতে চান,,,,,
আর রাত এ এই খবর যে পরীর কোনো খোজ নেই আর রেদ এর নাকি এক্সিডেন্ট হয়েছে হাসপাতালে ভর্তি,,,, এখন প্রায় ভোর ৪টা বাজে,,সবার মুখে চিন্তা সবাই রেদ আর পরীকে নিয়ে চিন্তাতে আছে,,,,
গোডাও এর মতো একটা রুমে চেয়ারে হাত পা বেধে রাখা হয়েছে পরীকে আর কপাল বেয়ে রক্ত পরছে,,,যা শুকিয়ে গেছে,,,,পরী সেন্সলেস হয়ে পরে আছে চেয়ারে,,,,,
তখনি একজন মেয়ে পরীর সামনে চেয়ার টেনে বসে,,,হাতে এক গ্লাস পানি যা সে পরীর মুখে ছুড়ে মারে,,,,পরী চমকে উঠে,,,,চারদিক এ তাকিয়ে কোথায় আছে বুঝার চেষ্টা করলো,,,,
পরীর রেদ এর কথা মনে পরে যায়,,,,সে দেখে তার হাত পা বাধা,,,সামনে তাকিয়ে দেখে তার সামনে একটা বেশ সুন্দরি মেয়ে বসে আছে,,,,
পরী-কে তুমি আমাকে এখানে কেন এনেছো,,,,
-আমি নুসরাত,,,কিছু মনে পরলো,,,
পরী-দেখুন আমি আপনাকে চিনি না আর আপনি আমাকে এখানে কেনো এনেছেন দেখুন আমার রেদ এর অবস্তা ভলো না,,,হয়তো ও এখন হাসপাতালে,,,আমাকে আমার রেদ এর কাছে….
নুসরাত-সার্ট আপ,,,কী আমার রেদ আমার রেদ লাগিয়ে দিয়েছো,,,রেদ তোমার কেও না বুঝেছো,,,,
পরী-আপনি কিছু জানেন না হয়তো,,বাট আমি রেদ এর স্ত্রী রেদ আমার….
নুসরাত-না না না রেদ শুধু আমার আর কেও না,,,,বুঝলে রেদ শুধু আমার,,,,আর রেদ কে আমার করে পাওয়ার জন্য আমি সব করতে পারি,,,,তোমাকে খুন ও করতে পারবো,,,,
পরী-পারবে না,,,,কারন রেদ তোমাকে না আমাকে ভালোবাসে,,,আর এখন আমরা দুজন এক কেও আমাদের আলাদা করতে পারবে না,,,,
নুসরাত-এটা তুমার ভুল ধারনা,,,,আজ যদি রেদ তোমাকে না বাচাতো তাহলে আজ তুমি আমার আর রেদ এর মাঝের কাটা হতে না,,,,
নুসরাত এর এই কথা শুনে পরী চোখ দিয়ে পানি পরতে লাগলো,,,মানে আজ যা হয়েছে তা এক্সিডেন্ট না প্রীপ্লেন ছিলো,,,,পরী কিছু বলছে না তাই নুসরাত বলল,,,,
নুসরাত-তাইলে তুৃমি এখন থাকো আমি যাই আমার রেদ এর সাথে দেখা করতে,,,,
নুসরাত উঠে পিছন ফিরে তাকিয়ে দেখে তার বাবা পিছন এ পুলিশ নিয়ে দাড়িয়ে আছে,,,
নুসরাত-পাপা এসব কী,,,আর,,,
নুসরাত এর কিছু বলতে পারলো না একজন মহিলা পুলিশ তাকে ধরে বল-এবার জেল চলো,,,এটেম টু মার্ডার এন্ড কিডন্যাপিং এর দায়ে,,,,
নুরসাত-হয়াট,,,
ইন্সপেক্টর রাতুল-ইয়েস মিস আমাদের কাছে আপনার বিরুদ্ধে সব প্রমান আছে,,,এখন চলুন,,,,
নুসরাত-বাবা তুমি এটা করতে পারলে,,,,,
নুসরাত কে ২জন মহিলা পুলিশ ধরে নিয়ে গেলো,,,,পরী সব শুনছে তবুও মাথা নিচু করে কাদছে,,,,
ইন্সপেক্টর রাতুল পরীর সামনে গিয়ে পরীর হাত পা এর বাধন খুলতে খুলতে বলল-ভাবি চিন্তা করবেন না রেদ ভালো আছে,,,,
পরী চোখ তুলে রাতুল এর দিকে তাকালো তাদেখ রাতুল হালকা হেসে বলল-চলুন আপনাকে রেদ এর কাছে নিয়ে চলি,,,,,
পরী সোজা হয়ে দাড়াতেই তার মাথা ঘুরে যায়,,,রাতুল পরীকে ধরে নিয়ে গেলো,,,,,
এবার সবার প্রশ্ন রেদ এর এক্সিডেন্ট কী ভাবে হলো আর রাতুল কে,,,,,তাহলে শুনুন,,,,
কাল বিকেলে পরী আর রেদ দেখা করতে বেড় হয়,,,দুজনেই খুব খুশি,,,দুজনে দেখা করে অনেক জায়গায় ঘুরা ঘুরি করে,,,, সন্ধ্যায় দুজনে একটা ফুসকার দোকানে দাড়ায় পরী ফুসকা খাবে তাই,,,,
রেদ পরীকে ফুসকা কিনে দেয়,,পরী বসে ফুসকা খাচ্ছিলো তখনি রেদ এর চোখ যায় রাস্তার অন্য পাশে একটা পিচ্ছি ফুল বেচছে,,,,তাদেখে রেদ পরীকে বলে-১মিনিট এ আসছি,,,,,
পরী একবার রেদ কে দেখে খাওয়া মন দেয়,,,,রেদ রাস্তার অন্য পাশে গিয়ে ওই পিচ্ছির থেকে সব গোলাপ ফুলে কিনে নেয়,,,,,
পরীর খাওয়া শেষ করে দেখে রেদ হাতে অনেক গুলো ফুল দেখে পরী বেশ খুশি হয়ে একটু এগিয়ে আসে,,,আর যা তার কাল হয়ে আসে,,,,
নুসরাত দূর থেকে গাড়িতে বসে তাদের দেখছিলো,,,পরী রাস্তার পারে দাড়াতেই নুসরাত বেশ জোরে গাড়ি নিয়ে এগিয়ে আসে,,যা রেদ দেখে ফেলে,,,,
রেদ কোনো মতে দূরে এসে পরীকে ধক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয় বাট নিজে নুসরাত এর শিকার হয়ে গেল,,,,
রেদ ছিটকে কিছুটা দূরে গিয়ে পরে,,,,পরী উঠে বসে সামনে তাকিয়ে রেদ এর এই হাল দেখে থমকে যায়,,,,
চারদিকে গোলাক ফুল আর পাপরি ছড়িয়ে পরেছে আর রেদ মাঝে রক্তাক্ত অবস্তায় পরে রয়েছে,,,,,
মিনিটেই ভির হয়ে যায় পরী রেদ এর কাছে যাওয়ার জন্য উঠে দাড়াতেই কেও তার চুলের মুঠি ধরে পাশে থাকা গাছে জোড়ে মারে যার কারনে পরী জ্ঞান হারায়,,,
আর জ্ঞান ফিরার পরে সে নিজেকে নুসরাত এর কাছে বন্ধি পায় নিজেকে,,,
আর রাতুল সকালে আনওয়ার সাহেব এর সাথে কথার পর রেদ একটু চিন্তায় পরে যায়,,তাই সে রাতুল তার কলেজ ফ্রেন্ড যে এখন একজন পুলিস আফিসার তাই তাকে সব আগেই জানিয়ে রাখে,,,,যাতে পরীর কোনো ক্ষতি নুসরাত বা তার বাবা না করতে পারে,,,
রেদ যেই হাসপাতালে রাতুল পরীকে সেই হাসপাতালে নিয়ে গেলো,,,,সবাই পরীর এই হাল দেখে কেঁদে দিলো,,কিন্তু পরীকে ফিরে পাওয়া পরী বেশ খুশি,,,
পরী শুধু রেদ এর কথা জিজ্ঞাস করছে সবার কাছে,,,,তখন রেদ এর দাদিজান বলে,,,,
রাবেয়া বেগম-মা রেদ ভালো আছে কিন্তু তুমি ভালো নেই আগে ডাক্তার দেখিয়ে নেও তারপর রেদ এর সাথে দেখা করো,,,
পরী রেদ এর দাদিজান এর কথা মেনে ডাক্তার দেখাতে রাজি হয়,,,,একজন নার্স পরীকে একটা কেবিন এ নিয়ে যায়,,,,,
বাকিটা পরে জানবেন,,,,