#ভালোবাসার_অভিনয়
#Anuridhi_Rahman
#পর্ব ৩৯
পরী আনিল কে বুকে জড়িয়ে ধরে কেদে দিলো,,,,দরজার বাইরে আমিন আর তৃনা দাড়িয়ে তাদের দেখতে লাগলো,,,,
আমিন-আজ আমাদের পরিবার পূন হলো,,,,
তৃনা-আজ আমি পূন হলাম আপনাদের ৩জন কে পেয়ে,,,,,
.
.
.
.
.
.
.
.
.
সকাল সকাল পরী ঘুম থেকে উঠে সবার জন্য রান্না করলো,,,,তৃনা ঘুম থেকে উঠে ফ্রেস হয়ে বের হয়ে দেখে পরী সবার জন্য রান্না রেডি করছে,,,,
তৃনা পরীর পাশে গিয়ে দাড়ালো পরী তার মাকে দেখে বলল-ঘুম কেমন হয়েছে,,,,
তৃনা-অনেক বছর পর শান্তির ঘুম ঘুমিয়েছি,,,,
পরী-মা আমি এই টিফিন এ খাবার বেরে দিয়েছি মামা কে বলো হাসপাতে রুবি কে দেখতে গেলে নিয়ে যেতে,,,,
তৃনা-কেনো তুমি কী কোথাও যাবে নাকী,,,,
পরী-আসলে আমি একটু রেদ কে দেখতে যাবো আর মিলিকে ও বাড়িতে রেখে আসবো,,,,আর দিদা ও কয়েক বার কল দিয়েছে,,,,,
তৃনা-এই রেদ টা কে আর দিদা মানে,,,,
পরী কাজ করতে করতে থেমে গেলো,,,,,পরী এখন কী বলবে বুঝতে পারছে না,,,,তখনি মিলি পরীর কাছে এসে বলল,,,,,
মিলি-আপু আমাকে একটা জামা দেওনা,,, ২দিন ধরে এক জামা পরে আছি,,,
পরী-ইস আমারই ভুল চল তোকে জামা দেয়,,,,মা তুমি এগুলো একটু দেখো,,,,
পরী মিলির সাথে রুমে চলে গেলো মিলিকে তার একটা ৩ পিস পরতে দিলো,,,,
মিলি-তোমার জামা আমার লাগবে না তো,,,,
পরী-তাইলে একটা স্কার্ট টপ দেই,,,,
মিলি-হ্যা তা দেও,,,,
পরী মিলির হাতে একটা সবুজ কালার স্কার্ট আর ওফ ওয়াইট এর একটা টপস পরতে দেয়,,মিলি সেগুলো নিয়ে ওয়াস রুমে চলে গেলো,,,,
তখনি পরীর ফোন বাজতে লাগলো,,,পরী ফোন তুলে দেখলো মীম কল করেছে,,,,
পরী-হ্যা মীম বল,,,
-এই শুনলাম নিলয় আর রুবির ছেলে হয়েছে রুবি কেমন আছে আর ওর বেবি,,
পরী-হ্যা ভালো আছে,,,হ্যা বেবি ঠিক আছে,,,,,
-তুই তো আমাদের বাড়িতে তাইনা,,,
পরী-হ্যা তুই আয়ান ভাইয়া কে নিয়ে আজ আমাদের বাড়ি চলে আয়,,,,,
-ঠিক আছে আমি বিকেলে চলে আসবো,,,,
পরী-হুম এখন রাখি আর হ্যা তোর জন্য সারপ্রাইজ আছে তারাতারি আয়,,,,,
পরী ফোন রেখে রান্নাঘর এ যায় তৃনা সব খাবার টেবিলে সাজিয়ে ফেলেছে,,,আনিল ফোন এ ওর ফ্রেন্ড এর সাথে কথা বলছে সোফায় বসে,,,,
পরী-আনিল শোনো,,,,
আনিল-আসছি আপি,,,,
আনিল আসতে আসতে সবাই চলে এলো,,,আমিন সাহেব আর সিদ্দিক সাহেব কথা বলতে বলতে বাইরে আসেন,,,,,
পরী-নানাজান মামা কোথায়,,,,
তৃনা-পরী ভাইয়া বেড়িয়ে পরেছে,,,হাসপাতালে পৌছে কল করে দিবে,,,,
তখনি আনিল পরীর কাছে এসে বলল
আনিল-হ্যা আপি কী যেনো বলবে,,,,
পরী-আমি এক জায়গায় যাবো আমাকে নিয়ে যাবে কী,,,,,
আনিল-ঠিক আছে আপি,,,,
সিদ্দিক সাহেব-কোথায় যাবে পরী,,,,
পরী-মিলিকে বাসায় দিয়ে আসবো আর রেদ কে ও একবার দেখে আসবো,,,,আর দাদিজান ও অনেক বার কল করেছেন একবার বাড়ি যাওয়া জন্য,,,,,,
তৃনা-বাবা পরী কার কথা বলছে,,,,
সিদ্দিক সাহেব-পরী উর্মির শাশুড়ি আর ছেলের কথা বলছে,,,,
তৃনা-উর্মি মানে আমার কলেজ ফ্রেন্ড উর্মি নাকি,,,,,
সিদ্দিক সাহবে-হুম উর্মি,,, কিন্তু উর্মি এখন আর বেচে নেই,,,১৩ বছর আগে একটা গাড়ি দূড়ঘটনায় সে আর তার হাজবেন মারা যায়,,,,
আর রেদ এর আফিসে পরী কাজ করে বাট এখন তারা খুব ভালো ফ্রেন্ড,,, আর কিছুদিন আগে পরীকে বাচাতে রেদ একটা দূরঘটনার শিকার হয়,,,,আর তাই পরী রেদকে দেখতে যাবে,,,,
তৃনা চোখ মুছে বলল-আমি ও যাবো
পরী-হুম চলো,,,
আমিন সাহেব-ঠিক আছে তোমরা যাও আমি আর শশুড় সাহেব বাড়িতে আছি,,,
কিছু ক্ষন পর সবাই খাওয়া দাওয়া করে ফ্রেস হয়ে বেড়িয়ে পরে,,,
পরী আজ বেগুনি কালার এর লং গোল ৩পিস পরেছে,,,,হাতে মেচিং চুড়ি আর চুল গুলো বেনি করে নিয়েছে,,,,চোখে কাজল আর ঠোট এ হালকা লিপস্টিক
৩৫মিনিট পর তারা রেদ এর বাড়ি পৌছায় পরী বাড়িতে ডুকে দাদািজান এর সাথে তার মা আর ভাইয়ের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়,,,,,,
রাবেয়া বেগম-তোমার মেয়েকে দেখে তো আমি তোমাকে ভেবেছিলাম তাইলো তাকে গিয়ে জিজ্ঞাস করে বসেছিলাম তুমি কী তৃনা,,,,,
সাবার সাথে পরী আর বসে থাকতে পারছে না,,,, পরী সবার সামনে বলে উঠলো,,,,,
পরী-দাদিজান আমি রেদ কে দেখে আসছি,,,,
বলে পরী উঠে একপ্রকার দৌড়ে উপরে চলে গেলো,,,
আনিল-মা আপি যে ভাবে দৌড় দিলো মনে হয় ওনার ট্রেন ছুটে গেলো,,,,
তৃনা পরীর যাওয়ার দিকে তাকিয়ে দেখতে লাগলো,,,,পরী রেদ এর দরজার সামনে এসে থমে গেলো,,,
পরী উকি মেরে দেখে রেদ লেপটপ এ কী জেনো দেখছে,,,,তখনি রেদ যা বলল তা শুনে পরী চোখে পানি চলে এলো,,,,
পরী আর রুমে ডুকলো না দৌড় দিতে গিয়ে হাতে দেওয়ালে বেশ জোড়ে ধাক্কা খেলো,,,,বাইরে শব্দ শুনে রেদ বলল-কে কে ওখানে,,,,
পরী নিচে এসে বলল-মা তুমি আনিল এর সাথে বাড়ি চলে যেও আমার আফিস থেকে কল এসেছে আমার যেতে হবে,,,,
কোনো কথা না শুনে পরী বেড়িয়ে গেলো,,,,সবাই আবাক হয়ে গেলো কী হলো মিনিট এ,,,,
রেদ এখন ভালো ভাবে হাটতে পারে তাই হেটে নিজের রুমের বাইরে এসে দেখলো কয়েকটা চুড়ি ভাংঙা আর কয়েক ফোটা রক্ত পরে রয়েছে,,,,
রেদ এর মূহুর্তে পরীর কথা মনে পরে গেলো,,,,রেদ শিড়ির কাছে এসে বলল,,,,,
রেদ-দাদিজান দাদিজান,,,,
রাবেয়া বেগম-কী হয়েছে রেদ,,,
রেদ-দাদিজান পরী এসেছিলো,,,,
রাবেয়া বেগম-হ্যা তোর সাথে না দেখা করতে গেলো,,,
রেদ-পরী এলো আর আমার সাথে দেখা করতে এসে দেখা না করে চলে গেলো,,,,,
রেদ রুমে গিয়ে চেঞ্জ করে নিচে নেমে এলো,,,তাদেখে দেখে রাবেয়া বেগম বলে,,,,,
-রেদ তুমি কোথায় যাও,,,,
রেদ সোফার দিকে তাকিয়ে দেখে একজন মহিলা আর একটা ছেলে বসে রয়েছে মহিলার চেহারা দেখা যাচ্ছে না ,,,,,,
রেদ-দাদিজান পরী কোথায় গেছে বলে গেছে কী,,,,
আনিল-আপি আফিসে গেছে,,, আফিস থেকে নাকি কল এসেছিলো,,,,
রেদ-ওকে,,,,একমিনিট আপি মানে
রাবেয়া বেগম-আমি বলি শোন,,,,তো মনে আছে আমি পরীকে তৃনা ডেকেছিলা,,,,
রেদ-কবে,,,,
রাবেয়া বেগম-ও তুইতো সব ভুলে জল খাইসোত,,,,তৃনা এই হলো রেদ,,,,
তৃনা ঘুরে তাকাতেই রেদ আবাক হয়ে গেলো,,,দেখতে পরীর মতো হুবাহু কিন্তু মুখে বয়স এর ছাপ পরেছে,,,
রাবেয়া বেগম রেদ এর সাথে সর্টকার্ট পরিচয় করিয়ে দিল,,,,রেদ তাদের থেকে বিদায় নিয়ে বেরিয়ে গেলো দাদিজান মামা করার পরে ও,,,,,
রেদ সোজা আফিস এ গেলো,,,,
বাকিটা পরে জানবেন,,,,,
#ভালোবাসার_অভিনয়
#Anuridhi_Rahman
#পর্ব ৪০
তৃনা ঘুরে তাকাতেই রেদ আবাক হয়ে গেলো,,,দেখতে পরীর মতো হুবাহু কিন্তু মুখে বয়স এর ছাপ পরেছে,,,
রাবেয়া বেগম রেদ এর সাথে সর্টকার্ট পরিচয় করিয়ে দিল,,,,রেদ তাদের থেকে বিদায় নিয়ে বেরিয়ে গেলো দাদিজান মামা করার পরে ও,,,,,
রেদ সোজা আফিস এ গেলো,,,,
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
এতোদিন পর রেদ কে আফিসে দেখে সবাই খুশি,,,রেদ পরীর কেবিন এর দিকে তাকিয়ে দেখলো পরী এখনো আসেনি,,,,
অনেক দিন পর আফিস এ এসে রেদ নিজের কেবিন এ ডুকলো রেদ কেবিন এ ডুকে আবাক কারনে পরী কিছু কাগজ আর কিছু শুকনো ফুল আর কয়েকটা ছবি হবে মেবি,,,,
তা একটা শপিং বেগ এ বরে উঠে দাড়ালো,,,,পরীকে দেখে রেদ হালকা হেসে বলল,,,,
রেদ-বাড়িতে এলে দেখা করলে না কেনো,,,
পরী হালকা হেসে বলল-এমনি আর কিছু কাজ ছিলো তাই আমি আপনার কেবিন ঠিক আগের মত সাজিয়ে দিয়েছি,,,,,
এখানে ৩মাস আগের কোনো স্মিতি আর নেই,,,,
লাষ্ট এর কথাটা পরী ধীরে বলল যা রেদ ঠিক মত শুনতে পায়নি,,,,
রেদ-তোমার হাত এর বেগ এ কী,,,,
পরী-দরকারি কিছুনা,,,,,
রেদ-ওহ ওকে,,,আজ আমি আফিস করবো,,,যা যা কাজ পেন্ডিং আছে সেই কাজ এর ফাইল গুলো নিয়ে এসো,,,,
পরী কিছু না বলে বেরিয়ে নিজের কেবিন এ যায়,,,,রেদ তার ম্যানেজার সাহেব কে কল করে তার কেবিন এ আসতে বলেন,,,,,
ম্যানেজার সাহেব-স্যার আসবো,,,,,
রেদ-কাম ইন,,,,
ম্যানেজার সাহেব-বলুন স্যার,,,,
রেদ-ম্যানেজার সাহেব আপনার জন্য একটা কাজ আছে আমার কাছে,,,, তাহলে শুনুন কী করতে হবে,,,,,
………….
ম্যানেজার সাহেব-ঠিক আছে স্যার হয়ে যাবে,,,,
পরী নিজের কেবিন এ গিয়ে বেগ থেকে শুকনো ফুল গুলো বের করে এগুলো সেই ফুল যা পরী রেদ এর জন্য এনেছিলো,,,
পরী ভাবতে লাগলো সকাল এর কথা গুলো,,,পরী রেদ এর রুমে ডুকতে যাবে তখনি রেদ বলে উঠে,,,,
রেদ-yes I am in love,,,
কথাটা শুনে পরী থেমে গেলো রেদ বলতে লাগলো,,,
রেদ-তোমাকে খুব তারাতারি বলে দিবো ভালোবাসি,,, সবাই কে জানিয়ে দিবো নিজের মনের কথা,,,,
পরী ভাবতে লাগলো রেদের হয়তো সব মনে পরে গেছে,,,পরী বেশ খুশি হয়ে যায়,,,তখনি রেদ বলে,,,,
রেদ-নতুন নতুন প্রেমে পরেছিস রেদ,,,ভাব ভাব কীভাবে প্রপোজ করবি,,,,ওকে মেসেজ করে বলে দিবো কী,,,ওফ তোর মাথা খারাপ রেদ কল করলেই তো হয়,,,,
পরী রেদ এর কথা শুনেতে লাগলো তখনি রেদ কার সাথে যেনো কথা বলতে লাগলো,,,,রেদ কল দেওয়ার আগে ওর একটা ফ্রেন্ড এর কল চলে আসে,,,,
রেদ-কেমন আছিস,,,,হ্যা আমি ভালো আছি,,,,আচ্ছা শোন তোর সাথে দেখা করার দরকার কিছু বলার আছে,,,,ঠিক আছে,,,মেসেজ করে বলে দিবো,,,
আর এসব কথা শুনে পরী মনে করে সে তার কোনো ফ্রেন্ড কে ভালোবাসে আর যা সে কানফেশ করতে চায়,,,এটা ভেবেই পরী এই ভাবে চলে যায়,,,,
পরী ফুল গুলো আবার বেগ এ নিয়ে কাওকে কিছু না বলে আফিস থেকে বেরিয়ে পরে,,,,আর এদিক এ রেদ ওয়েট করতে করতে শেষ,,,,
হঠাৎ রেদ দেখে আফিস এলবাম টা তার টেবিলে বাট সে এটা তার ফাইল সেক্টশন এর নিচের ডয়ের এ থাকে তাহলে,,,,
রেদ এলবাম টা হাত নিয়ে দেখতে লাগে,,,,এই এলবাম এ রেদ এর সব এচির্ভমেন্ট বা ডিল সাকসেসফুল হওয়ার কারনে যে সব পার্টি দিয়েছে সেই সব দিন এর ছবি আছে,,,
আর এটা এই সালের,,,রেদ ছবি গুলো দেখছে হঠাৎ থেমে গেলো মাঝের কিছু ছবি গায়েব,,,রেদ সব উলরে পালটে দেখলো না অনেক গুলো ছবি গায়েব,,,,
রেদ ডেট টা দেখনো ২মাস ২১দিন আগের তারিখ,,,রেদ নিজের লেপটপ এ এই ডেট এ সার্চ দিয়ে দেখ কিছু ছবি আর কিছু ভিডিও সে সব গুলো দেখতে লাগলো,,,,
পরীর সাথে রেদ এর ডান্স এর ভিডিও টা ও আছে,,,,সে ভিডিও এর সাথে আরো অনেক ভিডিও আছে মি.আফনান যে পরীর সাথে মিসবিহেব করেছে,,,,
পরীর চোখের পানি রেদ এর বুকে লাগছে,,,,রেদ রেগে গেছে বাট কিছু বলতে পারছে না,,,,রেদ ম্যানেজার সাহেব কে ডেকে বলে আফনান সাহেব কে অফিসে আসতে,,,,
ম্যানেজার-বাট স্যার তাকে আপনি যে আপমান করে তার সাথে আমাদের পার্টনার শিপ ব্রেক করেছন এর পর কর উনি আসবেন,,,,
এসব শুনে রেদ বলল-না থাক তাহলে,,,,আর পরী কোথায়,,,,
ম্যানেজার-সে তো চলে গেছে,,,,
রেদ-ওকে,,,,,
ম্যানেজার চলে যেতেই রেদ ভাবতে লাগলো পরীর হঠাৎ কী হলে ও এমন করছে কেনো,,,,,
পরী বাড়িতে নিজের রুমে বসে আছে,,,মামি মা বাসায় ফিরেছে সে আর পরী মা দুপুর এর রান্না করছে,,,,
আনিল আমিন সাহেব আর সিদ্দিক সাহেব তিন জন মিলে লুডু খেলছে,,,তাদের খেলে জমে গেছে,,,,
পরী মা তাকে ডাকতে লাগলো-পরী এই পরী,,,,,
পরী রুম থেকে জবাব দিলো-হ্যা মা,,,,
তৃনা-এদিকে আয় তো,,,,,
পরী তার মায়ের কাছে গেলো,,,আর বলল-হ্যা মা বলো,,,
তৃনা-ড্রাই ফুড কোথায় একটু দে পায়েশ এ দিবো,,,,
পরী ড্রাই ফুড বের করে দিলো তখনি পরীর মামি মা ডাল এ ছকা দিলো আর সেই গন্ধে পরীর বমি পেয়ে গেলো সে মুখ চেপে দোর দিলো,,,,
তৃনা-এই পরী কী হলো,,,
লুডু খেলতে খেলতে আনিল বলল -বাহ ডাল এ কী ছকা দিছো কী খুসবু আহ,,,,,
তৃনা পিছন ঘুরে তার ভাবির ছকা দেওয়া দেখে পরীর রুমের দিকে এগিয়ে গেলো,,,,,
পরী ওয়াস রুম থেকে মুখ ধুয়ে বের হতেই তৃনা তার সামনে দাড়িয়ে বলল-সত্যি করে বলবে পরী,,,,
পরী-কী সত্যি করে বলবো,,,,
তৃনা-তুমি কী প্রেগন্যান্ট,,,,,
কথাটা শুনে পরী চমকে উঠলো মা কী করে জানলো ভাবতে লাগলো,,,,
তৃনা-ডাল এ ছকা দিয়েছে আর তোমার বমি পেয়ে গেলো সেই গন্ধে,,,,এমন শুধু তখন হয় যখন কোনো মেয়ে প্রেগন্যান্ট হয় আমার সময় ও এমন হয়েছিলো,,,,
পরী-মা আসলে,,,,
তৃনা-পরী আমি তোমাকে কিছু বলবো না আমাকে তুমি সত্যি বলতে পারো,,,,,
পরী আমতা আমতা করে যেই কিছু বলতে যাবে তখনি,,,,
বাকিটা পরে জানবেন,,,,