#ভালোবাসা_অবিরাম
#পর্বঃ১৬
#আইরাত_বিনতে_হিমি
রাতের খাবার শেষ করে যে যার মতো করে নিজের রুমে ঘুমাচ্ছ কিন্তু ছাদের রেলিং ধরে দাড়িয়ে আছে আসফি এক ধ্যানে তাকিয়ে আকাশের চাদঁ দেখছে আর নিজের জীবনের চন্দ মিলাচ্ছে আজকে ঘটে যাওয়া সবকিছু তাকে ভাবিয়ে তুলছে আজ যদি নিলুর কিছু হয়ে যেতো যদি ঐ গাড়িটি নিলুকে ধাক্কা দিতো না না না সে আর ভাবতে পারছে না আয়মান শিকদার যেহেতু দেশে আসছে সো এর পিছনে বড় কোনো কারণ আছে নিলুকে নিয়ে আজকাল সে একটু বেশিই ভাবে নিলুর জন্য কোনটা ভালো কোনটা খারাপ নিলুর কিছু হলে তার বুকের বা পাশে চিনচিন করে নিলুর কিছু হলে শরীর অবশ হয়ে আশে হবেই বা না কেন বলুন তো নিলু যে তার অর্ধাঙ্গীনি আল্লাহ্ স্বামী স্ত্রীর মধ্যে এক অগাধ ভালোবাসা দান করে যেই ভালোবাসায় কিনা তারা পরিপূর্ণ হয়ে উঠে তাহলে কি আসফি নিলুকে ভালোবাসে যদি এইটা ভালোবাসাই হয় তাহলে আর নিলুকে দূরে রাখা ঠিক হবে না। ভালোবেসে বুকে আগরে রাখতে হবে এইসব ভেবেই আসফির মুখে হাসির রেখা ফুটে উঠে আর অইসফুট স্বরে বলে উঠে
তুমিই আমার চন্দ্রকান্তা যাকে কিনা না ভালোবেসে থাকা যায় না।
পিছন থেকে আসফির কাধে কে যেনো হাত রাখে আসফি তা বুঝতে পেরে সাথে সাথে পিছনে তাকাই আর দেখে রুমানা চৌধুরী তাই সে বলে
ওহ বড় আম্মু তুমি
হ্যা আমি একা একা কি করছো ছাদে
কিছুনা বড় আমি চাদ দেখছি দেখো আজকের চাদটা কতো সুন্দর
হুম মন খারাপ
না তুমি কিছূ বলবে
হুম
বলো তাহলে
আসফি আমি চাইছি তুমি আর নিলু বাহির থেকে কোথাও ঘুরে আসো
এখন
হুম
কিন্তু বড় আম্মু এখন তো অফিসে অনেক কাজের পেশার আবার hospital যেতে হয় তাছাড়া নিলু সবে মাত্র কলেজ জয়েন করলো
দেখো আমি সব জানি কিন্তু আমি চাই তোমাদের সম্পর্কটা স্বাভাবিক হোক তাই তোমরা ঘুরে আসো একসাথে ঘুরলে থাকলে নিজেদের মধ্যে বোছাপড়াট ভালো হবে
বুঝতে পারছি কিন্তু
কিন্তু কিছু না আসফি আমি টিকেট কেটে রাখছি কালকে তোমরা সিলেট যাচ্ছো
ওকে কিন্তু নিলুকি রাজি হবে
ওরে আমি রাজি করাই এখানে আসছি তোমার ওর কথা ভাবতে হবে না এখন রুমে যাও পেকিং সেরে নেও কাল ভোর ৪ চায় তোমাদের ফ্লাইট
কালকেই
হুম তোমাকে দিয়ে বিশ্বাস নেই decision change করতে তুমি সময় নেও না সো কালকেই
আচ্ছা
আসফি এই কথা বলে রুমে আসে রুমে এসে দেখে নিলু পেকিং করছে কিন্তু তার রাগ হচ্ছে এইসময় ঘুরতে যাওয়ার কোনো মানেই হয় না নিলু আসফির উপস্থিতি বুঝতে পেরে বললো
জানেন মি আসফি আমার অনেক দিনের শখ আমি এই দেশ ঘুরে দেখবে আর আজ যখন বড় আম্মু এসে বললো আমরা কাল সিলেট যাচ্ছি তো আমি খুশিতে হ্যা বলে দিছি আমার সিলেট যাওয়ার খুব ইচ্ছে সিলেটের জাফলং দেখার খুব শখ আমায় সব জায়গায় ঘুরাবেন তো মি চৌধুরী
আসফি নিলুর এতো উৎসাহ উদ্দীপনা দেখে তার রাগ সব পানি হয়ে গেছে একটা মেয়ে এতো ভোলাভালা কি করে হয় তোমার এই ভোলাভালা চেহারাই আমাকে পাগল করেছে নিলু
আসফির এমন চাহনি দেখে নিলু কি হলো কিছু বলছেন না যে
আসফি নরম কন্ঠে বললো
হ্যা নিয়ে যাবো তো
Thank you আচ্ছা আপনার জন্য কি কি নেবো ব্লু শার্ট আর ব্লেজার নিছি কালো টি-শার্ট নিছি আর কালো ব্লেজার নিছি আর
হয়েছে হয়েছে থামো details বলতে হবে না আমি জানি তুমি সব ঠিক করেই নিছো আমার জামা কাপড় গোছাতে তুমি উস্তাদ সো ভুল হওয়ার কোনো চান্সই নাই আমার থেকে তো তুমিই ভালো বুঝো কোনটা আমার দরকার আর কোনটা না
নিলু আসফির কথায় লজ্জা পেলো আর বললো
আহহ কি যে বলেন না
আহারে আমার লজ্জাবতী লজ্জা পাইছে
ধ্যাত
এই কথা বলে নিলু বেলকনিতে চলে গেলো আর আসফি হাসতে হাসতে ওয়াশরুমে ফ্রেশ হতে গেলো
গার্ডেনে এক কোনায় দাড়িয়ে এক আগ্নুতুক এক জনকে কল করছে ঐ পাশ থেকে কল রিসিফ হতেই আগ্নেতুক বলে উঠলো
মি শিকদার খবর আছে
কি খবর
আসফি আর ওর স্ত্রী নিলু কাল ভোর ৪ টার ফ্লাটে সিলেট যাচ্ছে ঘুরতে
ওয়াও দেটস গ্রেট এইতো সুযোগ কিছু করার
হুম এক কাজ করুন এই সুযোগেই দুজনকে খতম করে দিন
হুম আমার প্ল্যান রেডি শুধু আপনি ঠিক করে জায়গা মতো চলে আসবেন
হুম রাখছি
ওকে বাই
রাত ৩ টায় রেখা চৌধুরী ছেলে আর ছেলের বউকে বসিয়ে খাওয়াচ্ছে একটু পর তারা চলে যাবে তাই তাদের প্রয়োজনীয় সব কিছু তাদের সাথে দিয়ে দিচ্ছ বাড়ির সবাই এইখানে উপস্থিত নিলু বড়দের সালাম করে বিদায় নিচ্ছে আর আসফি দাড়িয়ে আছে আসফি এইবার বিরক্ত হয়ে বললো
২ দিনের জন্য যাচ্ছি আম্মু প্লিজ এইভাবে কান্নাকাটি করো না আর নিলু চলো লেট হচ্ছে আর একটু দেড়ি হলে প্লেন মিস করবো
আদনান চৌধুরী বলে উঠলো
হ্যা দেড়ি হচ্ছে রেখা ওদের যেতে দেও
তারপর রেখা চৌধুরী নিলুকে ছেড়ে দিলো আর বললো
সাবধানে যাস মা
আচ্ছা মা আসি
তারপর দুইজন সবার থেকে বিদায় নিয়ে চলে গেলো তারা এয়ারপোর্টে পৌছে সব ফরমালিটি শেষ করে প্লেনে গিয়ে বসে এই First time নিলু প্লেনে বসছে তাই তার ভয় হচ্ছে ভয়ে চোখমুখ খিচ্চে আসফির হাত শক্ত করে ধরে আছে আসফি তার আরেক হাত দিয়ে নিলুর শক্ত করে জড়ানো হাত ধরে বললো
কিছু হবে না বোকা আমি আছি তো আমার উপরে বিশ্বাস আছে
হুম আছে
তাহলে আমার কাধে নিশ্চিন্তায় মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়ো
নিলু আসফির কাধে মাথা রেখে চুপ করে বসে রইলো
দীর্ঘ ১ ঘন্টা পর তাদের বিমান লেন্ড করলো সিলেটে তারপর তারা সেইখান থেকে নেমে ফরমালিটি শেষ করে বাহিরে বের হয়ে আসলো তারপর একটি গাড়ি করে একটা বড় হোটেলে চলে আসলো আসফি নিলুকে দাড় করিয়ে সে রিসিপশনের কাছে গেলো এবং জিঙ্গাসা করলো হ্যালো মিস
জ্বি স্যার বলুন কীভাবে সাহায্য করতে পারি
আমি আসফি চৌধুরী এই নামে এই হোটেলে রুম বুক করা যদি একটু kindly check করে দেখতেন কতো নাম্বার রুম
sure sir
মেয়েটা চেক করে আসফিকে রুম নাম্বার বললো আর পাশে থাকা একটা ছেলেকে রুম দেখিয়ে দিতে বললো
তারপর আসফি আর নিলু রুমে চলে আসলো রুমে এসে আসফি বাসায় একটা টেক্সট করে দিলো যে তারা হোটেলে পৌছে গেছে তারপর সে নিলুকে বললো ফ্রেস হয়ে নিতে নিলু টলি থেকে কাপড় নিয়ে ওয়াশরুমে চলে গেলো নিলু ফ্রেশ হয়ে বাহির হয়ে আসলো নিলু আজ একটা সুতির কালো থ্রি পিছ করছে যা তাকে অনেক মানিয়েছে আসফি যেনো চোখ সরাতে পারছে না তাই সে বেলেন্স হারিয়ে একটা কাজ করে বসলো সে নিলুর ওতি কাছে এসে নিলুর ওষ্ঠতে নিজের ওষ্ঠজোড়া বসিয়ে দিলো এত দ্রুত সব হয়েছে যে নিলু কিছু বুঝে উঠতে পারিনি সে যেন জমে বরফ হয়ে গেছে কিছুক্ষণ পর আসফি নিলুকে ছেড়ে দিলো আর পাশ কাটিয়ে ওয়াশরুমে চলে গেলো নিলুএখনো বুঝতে পারছে না তার সাথে কি হলো এইটা কি স্বপ্ন ছিলো নাকি বাস্তব সেটা বুঝার জন্য নিলু নিজের হাতে চিমটি কাটলো সাথে সাথে সে আহহ করে উঠলো তারমানে এইটা সত্যি ছিলো নিলু লজ্জায় তার মুখ দুহাত দিয়ে ঢেকে ফেললো
প্রায় ১ ঘন্টা পর আসফি শাওয়ার নিয়ে বাহির হয়ে আসলো এসে দেখলো নিলু রুমে নেয় তাই একটু বেলকনিতে উকি দিলো দেখলো সেখানে নিলু দাড়িয়ে পাহাড় দেখছে তাই সে আর কিছু বললো না কিয়ৎক্ষণ পর আসফি নিলুকে ঢাক দিলো নিলু আসফির সামনে আসলো লজ্জায় এখনো সে সোজা হয়ে দাড়াতে পারছে না সেইটা বুঝে আসফি বললো চলো নিচে থেকে খেয়ে আসি এখন আর কোথাও ঘুরতে বাহির হবো না খেয়ে রেষ্ট নিয়ে একদম বিকেলের দিকে বাহির হবো
আচ্ছা
তারপর তারা দুজন খেয়ে রুমে এসে ঘুমিয়ে পরে
এইদিকে আয়মান শিকদার আর রিমি শিকদার ও সিলেটে এসে পৌছেছে
#চলবে
