ভালোবাসা অবিরাম পর্ব-১৯

0
571

#ভালোবাসা_অবিরাম
#পর্বঃ১৯
#আইরাত_বিনতে_হিমি

রাজশাহী মেডিকেলে ওটি রুমের সামনে বসে আছে আখি একটু আগে যেই মেয়েটাকে নিয়ে সে হাসপাতালে এসেছে তারই treatment চলছে এখন আখি চোখ বন্ধ করে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছে যেনো মেয়েটা বেচে যায় তারও বিশ্বাস মেয়েটা বেচে যেতেও পারে একটু পর ওটির রুম থেকে বাহির হয়ে আসলো ডাক্তার আরিয়ান। আরিয়ানকে দেখে আখি দ্রুত তার কাছে যায় আর জিঙ্গাসা করে

আরিয়ান ভেতরের কি খবর মেয়েটা বাজবে তো

জানি নারে ২৪ ঘন্টার মধ‍্যে আমি কিছু বলতে পারবো না আর সবে দেশে ফিরেছি একটু ঘুরবো মজা করবো তানা কোথা থেকে তুই একে জুটালি বলতো

stop it আরিয়ান আমরা ডাক্তার আমাদের মুখে এইসব মানায় না তাছাড়া আমাদের ফ্রেন্ড ছারকেলে এইসব চলেও না। আমরা আমাদের পেশেন্টের ক্ষেত্রে যথেস্ট পজেসিফ। আর আজ তুই কিনা এইসব বলছিস।

সরি দোশ মাথা ঠিক নেই আমার। আজ প্রায় ৩ বছর পর দেশে ফিরেছি একটাই কারণ সেটা হচ্ছে বন্ধুদের সাথে দেখা করা আনন্দ করা। কিন্তু কি হলো দেখ এখানে এসেও আমার ট্রিটমেন্ট করতে হচ্ছে।

তুই একটা অমানবিক অপাসান‍্য না হলে এইসব বলতে পারতিশ না। একবার ভাবতো ওর জায়গায় যদি আমরা কেউ থাকতাম তাহলে তুই কি করতি।

প্লিজ আখি তোর এই সব কথা এখন রাখ আমি যেহেতু ওর ট্রিটমেন্ট করছি সো ভালোভাবেই করবো। ডাক্তার আরিয়ান তার দায়িত্বে হেলাফেলা করে না।

ওকে ফাইন আমি আর কিছু বলবো না। কিন্তু ওর ট্রিটমেন্টে যেনো কোনো ত্রুটি না থাকে।

ম‍্যাডাম আপনি বলছেন আর আমি তা শুনিনি এমন হয়েছে কখনো

অসভ‍্য চল ফ্রেশ হবি

ওকে চলেন

আউট হাওজে পায়ের উপর পা তুলে বসে আছে আসফি মাথায় তার অনেক চিন্তা। ওলরেডি তার লোক আয়মান শিকদার রিমি শিকদার এবং রিশাদ চৌধুরীকে খোজা শুরু করে দিয়েছে কিন্তু এখনো কোনো খোজ পাওয়া যায়নি এইসব ভেবেই রাগে তার মাথা ভেটে যাচ্ছে। রিশাদ চৌধুরীর কথা ভেবে তার হাসি পেলো সে মনে মনে বললো

আমার ভাই আমারই ক্ষতি করার চেষ্টা করেছে আমাকে পিছন থেকে আঘাত করেছে আমার ভালোবাসাকে আমার কাছ থেকে কেড়ে নিয়েছে। আমাকে হিংসা করেছে। আরে বোকা একবার বলে দেখতি তোর এইটা চায়। তোর ব‍্যবসা চাই। আমি নির্দিধায় সব ছেড়ে দিতাম। কিন্তু তুই কি করলি আমার ক্ষতি করলি। আমার ক্ষতি করলেও আমি মেনে নিতাম। কিন্তু রিশাদ চৌধুরী তুমি আমার ভালোবাসার দিকে হাত বাড়িয়েছো। সো এর শাস্তি তো তোমায় পেতেই হবে।

একটু পর আসফির ফোনে কল আসে। আসফি ফোনট রিসিভ করে বাহিরের দিকে চলে যায়। ওপাস থেকে ভেসে আসে

স‍্যার রিশাদ চৌধুরীকে ট্রেক করা গিয়েছে। আমরা ওনাকে নিয়ে আসছি

good very good. আমার ভাইয়ের গায়ে কেউ হাত দিবে না। ওকে আমি আপ্পায়ন করবো।

ওকে স‍্যার

রাজশাহী হাসপাতালে আরিয়ানের কেবিনে বসে আছে আরিয়ান আর আখি দুজোনের মধ‍্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা হচ্ছে তাদের মধ‍্যে আখি বলে উঠলো

তোর কি মনে হয় আরিয়ান মেয়েটারকি জ্ঞান ভিরবে

Confused আছি

সম্ভাবনা কতটু

20%

যদি জ্ঞান না ফিরে তাহলে

তুই নিশ্চয় বুঝতে পারছিস কি হবে

ওহ মাই গড এইটা হলে তো সমস্যা

হুম

তাদের কথার মাঝেই একজন নার্স কেবিনে ডুকলো আর বললো

স‍্যার ১৩ নাম্বার কেবিনের রুগি চোখ মেলে তাকিয়েছে

What আখি চলতো গিয়ে দেখি

তারপর তারা দুজনে তাড়াতাড়ি ১৩ নাম্বার কেবিনে পৌছালো এবং সাথে সাথে মেয়েটার conditions চেক করলো পাশ থেকে আখি তাকে ডাক দিলো

হ‍্যালো মিস শুনতে পাচ্ছেন এইদিকে তাকান হ‍্যালো

কিন্তু নো response

আরিয়ান মেয়েটার হাত উপরে উঠিয়ে ছেড়ে দিলো। কিন্তু সে তার হাত উঠিয়ে রাখতে পারলো না পরে গেলো। মেয়েটা এক ধ‍্যানে তাকিয়ে আছে চোখে কোনো পলক পরছে না। আরিয়ান মেয়েটার condition check করে বললো

আখি she is coma

what

হুম

ওকি আর কোনোদিন কথা বলতে পারবে না। কোনোদিন হাটতে পারবে না। কোনোদিন response করবে না।

আল্লাহ্ চাইলে পারবে। আর পারলেও সেটা হবে মিরাক্কেল।

কেনো দোস আমরা সবাই মিলে ওর ট্রিটমেন্ট করবো। ওকে আমাদের ফ্রেন্ড সারকেলে নিয়ে যাবো।

চেষ্টা আমরা করতেই পারি

তাহলে আবার কি আমি ওকে আসফির কাছে নিয়ে যাবো আমার বিশ্বাস আসফি ওকে ঠিকই সুস্থ করে তুলতে পারবে

হয়তো পারবে। কারণ আসফি অনেক বড় একজন ডাক্তার ওর অনেক নাম ডাক। দেশে বাহিরে এমন অনেক রুগি ও সারিয়ে তুলেছে

তাহলে আর কোনো কথা নয় এইটাই ফাইনাল ডিসিশন ওকে ঢাকায় আসফিদের হসপিটালে Admit করাবো

ওকে

রিশাদ চৌধুরীকে চোখ বেধে আসফির ডেরায় নিয়ে আসা হয়। আসফির সামনে এনে তার চোখ খুলে দেওয়া হয়। আসফি রিশাদের দিকে তাকিয়ে বলে

welcome brother welcome. Welcome to my Mafia world

আসফি তুই বেচে গেলি কি করে

ঐ যে তোদেরই তো কথা কই মাছ সহজে মরে না। তাই আমি ও মরি নাই

আমাকে এখানে কেনো আনা হয়েছে

ওরে আমার ভোলাভালা ভাই তোমাকে এখানে স্পেসাল আপ্পায়নের জন‍্য আনা হয়েছে

দেখ আসফি আমি তোর বড় ভাই সম্মান দিয়ে কথা বল

শালা হার**মি তোকে দিবো সম্মান।

রিশাদ আসফির কলার চেপে ধরে

একদম খুন করে দিবো আমাকে রাগাবি না

cool cool বড় ভাই এতো রাগ ভালো না। তুমি ভুলে যেও না তুমি এখন আমার ডেরায়

এই হকি স্টিক টা নিয়ে আয়

আসফির হাতে কৈলেশ হকি স্টিক এনে দেয়। আসফি হকি স্টিক দিয়ে রিসাদের মাথায় বাড়ি মারে। রিসাদ চিৎকার দিয়ে মাটিতে পরে যায়। আসফি রিশাদের সামনে বসে পরে আর বলে

ভাই এই স্টিক দিয়ে তুই আমার মাথায় বাড়ি মারছিলি তবে পেছন থেকে। কিন্তু আমি তো তোর মতো কাপুরুষ না তাই সামনে থেকে মারলাম।

এরপর আসফি আরো কয়েকটা বারি রিশাদের হাত পা সারা শরীরে দেয়। রিশাদ গলা কাটা মুরগির মতো ছটফট করছে কিন্তু আসফি যেনো এক অমায়িক শান্তি অনুভব করছে। আসফি তার পায়ের মোজার কাছ থেকে একটা ছুরি বাহির করে আর রিসাদের হাতের উপর একের পর এক আঘাত হানছে। রিসাদ অসহ‍্য যন্ত্রণায় মরে যাচ্ছে। কিন্তু আসফি পৈশাচিক আনন্দ অনুভব করছে। আসফি রিসাদের কানের কাছে গিয়ে বলে

বড় ভাই তোমায় আমি একেবারে মারবো না। তিলে তিলে মারবো।

এই কথা বলে আসফি তার লোকেদের ইশারা করে। তার ইশারা পেয়ে তার লোকেরা রিসাদের উপর ঝাপিয়ে পরে। রিশাদ ঘণ ঘণ শ্বাস নিচ্ছে। তার কপাল মুখশ্রী বেয়ে রক্ত পরছে।

আসফি তাদের থেমে যেতে বলে সাথে আরও বলে বড় রাস্তার মুরে একে ফেলে আসতে। আর চৌধুরী বাড়িতে কল করে জানাতে। চৌধুরী বাড়ির বড় ছেলে গাড়ি এক্সিডেন্ট করেছে

#চলবে