ভালোবাসা অবিরাম পর্ব-২১

0
676

#ভালোবাসা_অবিরাম
#পর্বঃ২১
#আইরাত_বিনতে_হিমি

বেলকনিতে দাড়িয়ে কুয়াশায় মৌড়ানো সকাল দেখতে ব‍্যস্ত আখি পাশে ধোয়া উরানো কফিতে মুখ দিচ্ছে বার বার। গভীর চিন্তায় মগ্ন সে। কি করে একটা অচেনা মেয়েকে সুস্থ করা যায় কি করে তাকে তার প্রিয়জনের কাছে ভিরিয়ে দেওয়া যায়। এতটাই চিন্তায় বিভোর যে সে তার পাশে যে অনেকক্ষণ কেউ দাড়িয়ে আছে সেদিকে কোনো খেয়ালই নেয়। তাই পাশে থাকা ব‍্যক্তি ধোয়া উরানো কফিতে আখির আঙুল ডুবিয়ে দিলো। আখি ব‍্যধায় চোখমুখ খিচে আহ বলে উঠলো। আর পাশে তাকিয়ে দেখে তার আহামক ফ্রেন্ড আরিয়ান এই কাজ করেছে তাই রাগে নাক ফুলিয়ে বলে উঠলো

হোয়াট রাবিস আরিয়ান। এইসব কি কাজ। তোর কি কোনো সেন্স নেই যে আমি ব‍্যাথা পেতে পারি। হাউ কুড ইউ। কি করে পারলি এটা। সুটিপ একটা। শুধু দাত বের করে হাসতে যানে। জাস্ট রেডিকিউলাস

এই কথা বলে আখি রুমে এসে ওয়াশরুমে চলে যায়। বেসিং এ যেয়ে কলের ট‍্যাপ ছেড়ে দেয়। আঙুল টা লাল হয়ে গেছে। আঙ্গুলে ফু দিতে দিতে রুমে আসছিলো এমন সময় আরিয়ান তাকে টেনে নিজের কোলে বসিয়ে নেয় এবং স্বযত্নে হাতে মলম লাগিয়ে দিতে থাকে। আখি তা দেখে বলতে থাকে।

পিরিতির আর জায়গা পাছ না। ফাজিল ছার আমাকে।
মেরে এখন আবার আদর করতে আসছো ছার বলছি।

এই কথা বলে আখি ছোটাছুটি শুরু করলো। আখিকে এমন করতে দেখে আরিয়ান শাষিত কন্ঠে বলল

একদম ছোটফট করবি না আখি চুপ করে বস। নাহলে কিন্তু খারাপ হয়ে যাবে। ঔষধ টা লাগাতে দেহ

কি করবি তুই কর তো দেখি কত শাহস তোর

এই কথা বলতে দেরি আরিয়ান নিজের কাজ করতে দেরি নেয়। সে আখির দুহাত পিছনে নিয়ে,আখির ওষ্ঠদ্বয়ে নিজের ওষ্ঠদ্বয় মিশিয়ে দেয় সর্বশেষ একটা কামড় বসিয়ে ছেড়ে দেয়।

আহহ এইটা কি হলো কামড় দিলি কেন হারামি। আর তুই আমায় কিস করলি কেন। আমাদের এখনো বিয়ে হয়েছে।

আরিয়ান ভাবলেস এর মতো বললো

হয়েছে তো কিন্তু কেউ জানে না। তুই আমার অফিসিয়ালি ওয়াইফ কিন্তু পারিবারিক ভাবে না। তবে সেটাও শীঘ্রই হয়ে যাবে

স্টুপিট একটা

এই কথা বলে আখি আরিয়ানকে ছাড়িয়ে গেলো

আসলে তাদের বিয়ে হয়েছে ২ মাস কিন্তু কেউ জানে না। পরিবার মেনে নিবে না বলে তারা Personally বিয়ে সেরে ফেলে। কিন্তু আখির শর্ত ছিলো যতদিন বাসায় থেকে না মানছে ততদিন আমরা এক বাসায় থাকবো না। ইভেন কোনো রকমের ফিজিক্যাল সম্পর্কে জাবো না। কিন্তু আজ সব শর্তই ভেঙ্গে দিলো আরিয়ান।তাই আখির বেস রাগ হয়েছে। তবে আরিয়ানও জানে আখির রাগ কি করে ভাঙ্গাতে হয়। তাই আরিয়ান হাতে করে আগে থেকেই চকলেট আর বকুল ফুলের মালা সাথে করে নিয়ে এসেছিলো। আখি যখন ড্রেসিংটেবিলের সামনে দাড়িয়ে রেডি হচ্ছিলো তখন আরিয়ান পেছন থেকে আখি খোপায় বকুলের মালা গেথে দেয় আর কানের কাছে যেয়ে বলে

Sorry my princes

আখির রাগ যেনো গলে পানি হয়ে যায় সে সামনের দিকে ঘুরে আরিয়ানের হাত ধরে বলে

its okk

তারপর আরিয়ান পকেট থেকে চকলেট বাহির করে আখির হাতে দেয়। আখি খুশিতে আরিয়ানকে জড়িয়ে ধরে। আরিয়ান বলে

its okk my babs এতো খুশি হওয়ার মতো কিছু হয় নাই।

আখি আরিয়ানকে জড়িয়ে ধরে রেখেই বলে।

আরিয়ান তুমিই আমার জীবনের শ্রেষ্ট পুরুষ একমাত্র পুরুষ যে কিনা আমার মনের সব ভাষা বুঝে। আমি বলার আগেই সব করে দেয়। তাহলে এইবার কেনো সে সব বুঝেও চুপ আছে।

আরিয়ান যেনো বুঝতে পারে আখি কি বলতে চায়ছে। তাই আখি কে নিজের থেকে ছাড়িয়ে বলে।

আখি আমি জানি তুমি কি বলতে চায়ছো কিন্তু এই কন্ডিশনে ঐ মেয়েকে এইখান থেকে ঢাকায় নিয়ে যায় কি করে বলো তো। তাছাড়া ওর কোনো পরিচয়ও আমরা জানি না যে হসপিটালে বলবো ওর বাড়িতে ওকে দিয়ে আসছি।

বুঝলাম তোমার কথা। কিন্তু আমি কিছু জানি না ওকে সুস্থ করে তুলতেই হবে। ওন্তত চেষ্টা তো করি।

ওকে ফাইন। কিন্তু ওর আগে একটা নাম রাখো এই বার বার ঐ মেয়ে এই মেয়ে এইসব বলতে ভালো লাগে না

হা হা হাহা হা আচ্ছা বাবা ঠিক আছে ওর নাম রাখলাম অরুনীমা ছোট করে অরু ঠিকআছে জনাব

ঠিকআছে। এইটাতো পুলিশ কেস তো আমরা না হয় পুলিশকে বলবো অরুকে নিয়ে আমরা ঢাকা বড় ডাক্তার দেখাতে যেতে চায়। she is my responsibility.

okk চলো এখন হসপিটাল যায়

চলো

আজ এক সপ্তাহ পর রিসাদ চৌধুরীকে বাসায় নিয়ে আসা হয়েছে তাকে নিয়মিত ঔষধ দিচ্ছে আসফি। কিন্তু এতে তার কোনো ইমর্পোফ হচ্ছে না। সে কমায় চলে গেছে। বাড়ির সবাই এইসব নিয়ে খুবই চিন্তিত কিন্তু একজন খুবই শান্তিতে আছে আর সে হচ্ছে আসফি। আজ আসফির একটা মিশন আছে আর মিশনটা হচ্ছে রিমিকে ধরা কারণ সে জানতে পেরেছে রিমি কোথায় আছে তাই আজ তাকে ধরতেই ভিক্ষুকের ছদ্মবেশ ধারন করেছে।

ঢাকায় এসে পৌছেছে আখি আর আরিয়ান সাথে অরুকে নিয়ে। তারা একটা নতুন বাসা বাড়িতে উঠেছে

#চলবে