#ভালোবাসি_বুঝে_নাও🍁🍁
#পর্ব_৩০
#সুমাইয়া_সুলতানা _সুমী(writer)
.
কিরে মুখটা ওমন করে রেখেছিস কেনো?? আর ঠোঁট গুলো ওমন মুখের ভিতর রেখেছিস কেনো??(ভ্রু কুঁচকে জিগাস করলো মেঘলা)
উমম (মাহি মুখ না খুলেই বলল)
আরে ওভাবে ঠোঁট মুখের ভিতর রাখলে কথা বলবি কি করে ভালো করে কথা বল।
ক,,কি হয়েছে এই যে আমি কথা বলছি(মাহি হাত দিয়ে ঠোঁট ঢাকার চেষ্টা করে বলল)
সেকিরে তোর ঠোঁট (কিছু একটা ভেবে মেঘলা বলল) আরে লজ্জা পাচ্ছিস কেনো বিয়ে তো আমাদের ও হয়েছে নাকি,,, তবে ঠোঁটেরই যদি এ অবস্থা হয় না জানি (দুষ্ট হেসে বলল মেঘলা)
ছি ছি এসব কি বলছো তুমি আপু?? আর তাছাড়া তুমি আমার আপু হও সে কথা মাথায় আছে তো?? (বেটা বদ আজকে আপনার জন্য এমন বাজে পরিস্থিতিতে পড়তে হলো মনে মনে বলল মাহি)
আরে সাথে তো ননদ ও হয় নাকি,,, তা মেহরাব কই এখনো উঠেনি??
নাহ।
তারপর আরো কিছুক্ষণ ওরা কথা বলল মেঘলা আরো অনেক ভাবে মাহিকে পচালো আর মাহি তো মনে মনে মেহরাব কে ইচ্ছে মতো ধুয়ে দিলো।
(গল্পের লেখিকাঃসুমাইয়া_সুলতানা_সুমী) তারপর মাহি রুপালির সাথে রান্নায় হাত লাগালো যদিও রুপালি নিষেধ করেছে তবুও মাহি শুনেনি,, যতই হোক নতুন বউ হয়ে তো আর এভাবে আর বসে থাকা যাই না।
আজকে বউ ভাতের অনুষ্ঠানের পর মেঘলারা চলে যাবে। মাহি রুপালি আর কাজের লোক রান্না করছিলো আর মেঘলা সোফায় বসে ছিলো মেঘলা প্রায় সাত মাস চলছে পেটটাও একটু বড় হয়েছে তাই চলা ফিরা করতে সম্যসা হয়।
আসতে পারি??
কারো কথা শুনে মাহি মেঘলা আর রুপালী দরজার দিকে তাকিয়ে দেখলো যে মীরা দাঁড়িয়ে আছে।
আরে মীরা যে আয় ভিতরে আয়, শরীল কেমন এখন (মেঘলা)
হুম এখন একটু ভালো, তা মাহি রান্না করছে বুঝি পুরো গিন্নি লাগছে, (রান্না ঘরে মাহির কাছে গিয়ে বলল মীরা)
তুমি রিয়েতে আসোনি কেনো আপু??
এসেছিলাম তো একটু খানি থেকেই চলে গেছি, আসোলে একটু অসুস্থ ছিলাম তো তাই,, একমাত্র খালাত ভাইয়ের বিয়েতেও মজা করতে পারলাম না হাই আফসোস,, তা মাহি শুনলাম তুই নাকি বিয়েতে নাচ করেছিস।
মীরার কথা শুনে মাহি লজ্জায় মাথা নিচু করে নিলো।
সামনে তো তোরও বিয়ে হবে, তুই ও নাচিস (রুপালি)
যাকে ভালোবাসি যাকে চাই তার সাথে যদি বিয়ে হয় তাহলে অবশ্যই নাচবো (মনে মনে বলল মীরা)
কিরে কি হলো কথা বলছিস না কেনো??
ও কিছু না খালা,,তোমরা রান্না করো আমি মাহিকে নিয়ে একটু বাইরে যাই??
যা আমি কত করে বললাম যে রান্নাঘরে আসা লাগবে না কিন্তু কে শোনে কার কথা জোর করে চলে আসলো যা তো ওকে নিয়ে যা।
তারপর মীরা মাহিকে নিয়ে ডয়িং রুমে চলে আসলো তারপর মাহির হাত ধরে বলল।
জানি তোর সাথে অনেক খারাপ ব্যবহার করেছি, মাফ করে দিস আমায়?? জানিনা তখন কি হয়েছিলো, কোনটা আসল ভালোবাসা কোনটা আবেগ বোঝতামি না, কিন্তু আমার থেকে বয়সে ছোট হয়েও তুই আমাকে বুঝিয়েছিস যে কোনটা ভালোবাসা আর কোনটা আবেগ (মীরা)
এভাবে বলো না আপু তুমি যে তোমার ভুল বুঝতে পেরেছো এটাই অনেক।
হ্যাঁ মীরা তুই যে তোর ভুল টা বুঝতে পেরেছিস এটাই অনেক (মেঘলা)
ভুল বুঝেও লাভ নেই আপু তোমার দেবর টা বড্ড নিষ্ঠুর একটুও বুঝে না আমায় শুধু কষ্ট দেয় আমায় (সোফায় বসতে বসতে বলল মীরা)
ভালোবাসায় তো একটু কষ্ট থাকবেই বোন কিন্তু তোর ভালোবাসা দিয়ে সেই কষ্ট কে ভালোবাসায় রুপান্তর করতে হবে কি রে পারবি না??
হুম পারবো তো চেষ্টা করছি।
তা আমাদের বর মশাই কোথায়(মীরা)
জি আপু ওনি ঘুমাচ্ছে।
এখনো ঘুমাচ্ছে?? হুম ঘুমাবেই তো রাতে কত খাটনি হয়েছে এখন না ঘুমালে শরীল চলবে কি করে(দুষ্ট হেসে বলল মীরা)
মাহি তো লজ্জায় মাথা নিচু করে বসে থাকলো, এতোক্ষণ মেঘলা আপু পচালো এখন আবার মীরা আপু আল্লাহ আমি তো দেখছি বিয়ে করে ফাইসা গেছি (মনে মনে বলল মাহি)
তারপর ওরা তিনজনে মিলে অনেক গল্প করলো। রান্না শেষে খাবার টেবিলে।
কিরে কাল তোর বাসর ছিলো নাকি তুই যুদ্ধ করতে গিছিলি কোনটা??(মেঘ ফিসফিস করে মেহরাব কে বলল)
কেনো??
না মানে তোদেরকে দেখে তো এমনি মনে হচ্ছে,, সারারাত কি দুজন মিলে খামছা খামছি করেছিস নাকি??
সেটাপ মেঘ, এত বকবক না করে চুপচাপ বসে খা (কথাটা বলে সামনে থাকা মাহির দিকে তাকালো মেহরাব, মেয়েটা তো লজ্জায় ওর দিকে তাকাচ্ছেই না,, নিচের দিকে তাকিয়ে চুপচাপ খেয়ে যাচ্ছে)
খাওয়ার পর দুপুরের দিকে বাড়িতে মেহমান আসতে শুরু করলো,, নতুন বউ দেখতে, মেহরাব এর তো ভীষণ রাগ লাগছে এতো কষ্ট করে বিয়ে করে এখন বউকে কাছেই পাচ্ছে না,, আরে বউ টাতো আমার মানুষ এতো দেখবে কেনো??
অনেকক্ষণ পর মাহি নিচে থেকে উপরে আসলো ফ্রেশ হতে ও অনেকক্ষণ ধরে একটানা নিচে সোফার উপর বসে ছিলো, এখন একটু রেস্ট নিতে হবে নয়ত আর সময় পাবে না, একটু পরেই আবার পার্লারের মেয়েরা এসে ওকে সাজাতে শুরু করবে।
মাহি রুমে আসতেই কেউ ওর হাত ধরে টেনে দেওয়ালের সাথে লাগিয়ে নিজের সাথে মিশিয়ে ধরল।মাহিতো প্রথমে ভয়ই পেয়ে গিছিলো কিন্তু পরে মেহরাব কে দেখে স্তুতির শ্বাস নিলো।
কি হলো এভাবে টেনে আনলেন কেনো??
কেনো বুঝিস না?? কাল রাতের পর থেকে তো তোকে পাওয়াই যাচ্ছে না,, এতো বাইরে কি জানিস না বিয়ের পর সব সময় বরের কাছে থাকতে হয় (মাহির কমরে হাত রেখে বলল মেহরাব)
তাই,, নতুন বউ বিয়ের পরের দিন বাইরে না গিয়ে বরের কোলের মধ্যে বসে থাকবে লোকে কি বলবে??.
লোকে যা খুশি বলুন আই ডোন্ট কেয়ার,, আমার এখন আমার বউকে লাগবে ব্যাস।
মোটেও না, আমি এখন ফ্রেস হবো তারপর একটু রেস্ট নিতে হবে।
বললাম তো আমার এখন তোকে চাই মানে চাই। এরপর মেহরাব আর মাহিকে কিছু বলতে দিলো না তার আগেই মাহির ঠোঁটে নিজের ঠোঁট মিলিয়ে দিলো।
সন্ধ্যাের দিকে খুব সুন্দর ভাবেই অনুষ্ঠান শেষ হয়ে গেলো,, মাহি আর মেহরাব কে মাহিদের বাসায় নিয়ে যাওয়া হলো।
মা আমাদের ও এখন যেতে হবে (মেঘ রুপালি কে বলল)
সেকি এখনি?? কাল সকালে যেও।
না মা এখনি যেতে হবে, আর এখন তো বেশি রাত ও হয়নি, আমরা ঠিক চলে যেতে পারবো, আর আব্বু আম্মু ও এতোক্ষণে বাড়ি পৌঁছে গেছে। আর মা আমাকে বার বার বলেছে আমি যেনো মেঘলা কে নিয়ে চলে যাই।
হ্যাঁ মা আমরা যায় কদিন পর না হয় আবার আসবো (মেঘলা)
না না তোর এসময় এতো জার্নি করলে সম্যসা হবে আমরাই বরং গিয়ে দেখে আসবো,, আচ্ছা তোরা যখন চলেই যাবি তো এখনি বেরিয়ে পর নইলে আবার রাত বেরে যাবে।
আচ্ছা তাহলে আসছি।
মেঘ আর মেঘলা সবার থেকে বিদায় নিয়ে মেঘের বাড়ি চলে আসলো,,, মেঘ আর মেঘলা দরজা দিয়ে বাড়িতেই ঢুকতেই অবাক হয়ে গেলো,, কেননা ডয়িং রুমে সব কিছু ভেঙে পড়ে আছে মা একটু দূরে সোফায় বসে কাঁদছে আর বাবা গম্ভীর মুখে বসে আছে।
মা বাবা এসব কি?? কি হয়েছে এখানে ??কে করেছে এসব?? (উত্তেজিত হয়ে প্রশ্ন করলো মেঘ)
আমি করেছি (নেহাল)
কারো কথা শুনে মেঘ পিছনে তাকিয়ে দেখলো নেহাল সোফায় বসে চোখ মুখ শক্ত করে মেঘের দিকে তাকিয়ে আছে।
চলবে,,,,,,?
#ভালোবাসি_বুঝে_নাও🍁🍁
#পর্ব_৩১
#সুমাইয়া_সুলতানা _সুমী(writer)
.
কারো কথা শুনে মেঘ পিছনে তাকিয়ে দেখলো নেহাল সোফায় বসে চোখ মুখ শক্ত করে মেঘের দিকে তাকিয়ে আছে।
এসব কি নেহাল?? (মেঘ)
কেনো বুঝতেছে পারছিস না এসব কি?? আমি ভাবতেও পারছি না তুই আমার নিজের ভাই হয়ে এমন টা কী করে করতে পারলি (সোফা থেকে উঠে মেঘের সামনে গিয়ে বলল নেহাল)
কি বলতে চাইছিস তুই??
তুই তো জানতিস ভাইয়া যে আমি মাহি কে কতটা ভালোবাসি তারপরেও তুই কি করে পারলি নিজের ভাইয়ের ভালোবাসা অন্য কারো হাতে তুলে দিতে?? ভাইয়ের থেকে বন্ধু বেশি বড় হয়ে গেলো তোর কাছে??একবার আমাকে জানানোর প্রয়োজন ও মনে করলি না তুই??
প্রথমত আমি কোনো ভুল করেনি আর তোর ভালোবাসা এক পক্ষ মাহি তোকে কখনোই ভালোবাসিনী ও মেহরাব কে ভালোবেসেছে, যদি মাহিও তোকে ভালোবাসতো তাহলে আমি অবশ্যই চেষ্টা করতাম,, আর আমার কাছে ভাই আর বন্ধু দুজনই সমান।
আমি কিছু বুঝতে চাই না আমি মাহিকে চাই মানে চাই (চিৎকার করে বলল নেহাল)
ভাইয়া তুমি ভুল করছো মাহি আমার মেহরাব ভাই কে অনেক ভালোবাসে আর তু,,,
প্লিজ ভাবি আমি আপনাকে হাত জোর করে বলছি আমাদের দু ভাইয়ের মাঝে আপনি কথা বলবেন না,, আমি আপনাকে অনেক সম্মান করি রাগের বশে হয়ত খারাপ কথা বলে ফেলতে পারি তাই বলছি প্লিজ আমাদের মাঝে কথা বলবেন না (মেঘলা কে বলতে না দিয়ে নেহাল বলল)
মেঘলা তুমি রুমে যাও তোমার এখন রেস্ট এর প্রয়োজন (মেঘ)
কিন্তু মেঘ,
আমি তোমাকে রুমে যেতে বলছি মেঘলা সো রুমে যাও (একটু জোরে বলল মেঘ)
মেঘের কথা শুনে মেঘলা উপরে চলে গেলো আর মেঘ নেহাল কে বলল।
কি বলছিলি তোর মাহিকে চাই?? হুম?? সেটা আর কখনোই সম্ভব নয় কেননা ওরা দুজন দুজনকে অনেক বেশি ভালোবাসে তুই কখনোই ওদেরকে আলাদা করতে পারবি না,,ভেবেছিলাম তোকে বুঝিয়ে বলবো কিন্তু তুই সে কথার মানুষ নয়।
আচ্ছা?? ওকে ফাইন আমিও দেখি মাহি ওই মেহরাব এর সাথে কীভাবে সংসার করে,,, আর তুই নিজের আপন ভাই হয়েও আমার সাথে এমন করলি তো আজ থেকে আমি ভাববো আমার কোনো ভাই নেই (এটা বলে নেহাল রেগে ফুলদানি তে একটা লাত্থি মেরে উপরে চলে গেলো।)
মেঘ নিজের চোখ মুছে, ওর বাবা মা কে বলল।
তোমরা রুমে যাও রেস্ট করো, আমি ওকে দেখবো এখন ও অনেক রেগে আছে তাই এমন করছে ওর রাগ কমলে কাল সকালে ওকে বুঝিয়ে বলবো,, চিন্তা করো না, (এই বলে মেঘ ও উপরে চলে গেলো)
,,,,ওদিকে,,,,,
আচ্ছা একটা কথা বলবো??(মাহি মেহরাব এর বুকের উপর শুয়ে মেহরাব এর বুকে নিজের আঙুল দিয়ে আঁকিবুঁকি দাগ কাটতে কাটতে বলল)
হুম বল (মাহিকে এক হাত দিয়ে বুকের সাথে চেপে ধরে অন্য হাত মাথার পিছে রেখে চোখ বন্ধ করে বলল)
আচ্ছা আপনি কি আমাকে সব সময়ই তুই করেই বলবেন??
মানে??
মানে হলো আমাদের বেবির সামনেও কি আমাকে তুই বলবেন??
কেনো বলবো না??
না বলবেন না, ওরা কি মনে করবে৷
তাহলে ওদের সামনে কি বলে ডাকবো??
তুমি করে ডাকবেন,,
তাই??(মাহিকে দু হাত দিয়ে জরিয়ে ধরে)
হুম তাই, আচ্ছা বাদ দেন আরে আমি তো ভুলেই গিছিলাম , আমার সেই প্রশ্নের উত্তর টা তো দিলেন না??
দেবো সময় হোক।
আর কবে সময় হবে প্রায় দু বছর তো হতে চলল,, একটা প্রশ্নের উত্তর দিতে এতো দিন লাগে??
তোর সময় দেওয়ার আগে হুস ছিলো না?? তুই তো আমাকে আমার ইচ্ছে মতো সময় দিয়েছিলি তাই আমিও আমার মন মতো উওর দেবো।
ওহ আল্লাহ আপনি আমায় তুলে নেন,, কি খেয়ে যে ওনাকে এত সময় দিছিলাম কে জানে।
ওমম চুপ অনেক রাত হয়েছে ঘুমিয়ে পর।
ঘুমিয়ে পড়বো সত্যি??
তো কি করবি??
কিছু না, হুট ছাড়েন তো আমায় (মেহরাব এর থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে পাশ ফিরে শুয়ে পড়ল)
মেহরাব মুচকি হেসে মাহিকে পিছন থেকে জরিয়ে ধরে বলল,, উমম মুখে বললেই হয় যে আপনাকে এখন ভালোবাসতে হবে এতো লজ্জা পাওয়ার কি আছে,, কাল রাতের পরেও লজ্জা ভাঙেনি??
হুট বদ একটা,, মাহি কিছু না বলে মেহরাব কে শক্ত করে জরিয়ে ধরলো।
৩ দিন পর,,,
কি হয়েছে মেঘ তোকে এমন লাগছে কেনো?? কিছু কি হয়েছে?? মেঘলা ঠিক আছে তো??(মেহরাব)
হুম ও ঠিক আছে,, মেহরাব আমি কি করবো বুঝতেছি না প্লিজ আমায় হেল্প কর (মেঘ মেহরাব এর হাত ধরে বলল)
কি হয়েছে বল আমায়??
নেহাল এসেছে(তারপর বাড়িতে নেহাল এর করা সব কিছু বলল) আজ তিন ধরে ও রুমের দরজা বন্ধ করে রেখে কারো সাথে কথা বলছে না,, কিছু খাচ্ছেও না সব কিছু ভাঙচুর করছে,, মা অল্প কিছু খাওয়াতে পারলেও তার বেশি না, ওর শুধু একি কথা মাহিকে এনে দিতে হবে আমি কি করবো মেহরাব (মেঘ)
সব শুনে মেহরাব কিছু বলতে যাবে তখনি পিছন থেকে মাহি বলল।
আমি যাবো ভাইয়া ওনার কাছে।
মাহির কথা শুনে মেহরাব আর মেঘ দুজনি মাহির দিকে তাকালো।
হুয়াট তুই পাগল হয়ে গিয়েছিস?? এসব কি বলছিস মাথা ঠিক আছে তোর??(মেহরাব উঠে এসে মাহির সামনে দাড়িয়ে বলল)
আমি ঠিক আছি,, আপনি একটু মাথা ঠান্ডা করে আমার কথাটা শোনেন, আমি ওনার কাছে যাবো তারপর ওনাকে বোঝাবো, আর আমরা সবাই মিলে বোঝালে ওনি নিশ্চয়ই বুঝবে।
না তুই কোথাও যাবি না চুপ চাপ এখান থেকে যা, সব খানে সব বিষয়ে তোর কথা বলতেই হবে?? আমরা আছি বিষয় টা আমরা দেখে নেবো তোর কথা না বললেও চলবে (রেগে বলল মেহরাব)
প্লিজ ভাইয়া আপনি ওনাকে(মেহরাব কে উদ্দেশ্য করে) বোঝান একটু চেষ্টা করলে ক্ষতি কি।
না মাহি তুমি নেহাল কে চেনো না ও ভীষণ জেদি ওহ বোঝার অবস্থায় নেই,, (মেঘলা)
কি হলো এখনো এখানে দাঁড়িয়ে আছিস কেনো যেতে বলেছি তোকে আমি রুমে যা (জোরে চিৎকার করে বলল মেহরাব)
মাহি মেহরাব এর চিৎকারে মাথা নিচু করে ওখান থেকে চলে গেলো।
মেহরাব মাহির বলা কথা গুলো একবার ভেবে দেখলে হয় নাহ?? আমরা সবাই মিলে একবার শেষ চেষ্টা করি।
না মেঘ আমি মাহি কে কোনো রিস্ক নিতে চাই না,, নেহাল কে অন্যভাবেও সামলানো যাবে,,
হয়ত তুই ঠিকি বলেছিস,, আচ্ছা আমি তাহলে আসি এখন,,
হুম ভালো থাকিস আর মেঘলার খেয়াল রাখিস।
তারপর মেঘ চলে গেলো।
ওদিকে,,,,
নেহাল রুমের ভিতর সব কিছু ভাঙচুর করে রুমটা পুরো অন্ধকার করে মেঝেতে বসে আছে,,, তখনি দরজা খুলে কেউ ভিতরে প্রবেশ করলো।
কে কে ওখানে আর দরজা খুলেছো কেনো?? (নেহাল ঝাপসা চোখে দরজার দিকে তাকিয়ে দেখলো নীল স্যালোয়ার কামিজ পরা একটা মেয়ে ওর দিকে এগিয়ে আসছে,, কিন্তু মুখটা ঠিক মতো দেখতে পাচ্ছে না অন্ধকার তো তাই,, তবুও নেহাল অস্পষ্ট সরে বলল,,, মাহি??)
মাহি তুমি এসেছো আমি জানতাম তুমি আসবে,,, তুমি ওই মেহরাব এর সাথে একদম ভালো নেই তাই না?? আমি আর কোথাও তোমাকে যেতে দেবো না এখন থেকে তুমি আমার কাছেই থাকবে( নেহাল মাথা তুলে মেয়েটির দিকে ভালোভাবে তাকিয়ে বলল)
চলবে,,,,,??