ভালোবেসে ফেলেছি পর্ব-০৪

0
1917

#ভালোবেসে_ফেলেছি
part : 4
writer : Mohona

.

মনি : আমাকে সারা ক্লাসের সামনে অপমান করেছে…
দহন : হুয়াট? এতোবড় সাহস আমার নয়নমনিকে অপমান করেছে…? এতো সাহস… জাস্ট টেল মি হার নেইম … তোমাকে সারা ক্লাসের সামনে অপমান করেছে তো … আমি ওকে ওর সারা এলাকার সামনে অপমান করবো।
মনি : হ্যা ভাইয়া… তোমাকে করতেই হবে ভাইয়া…
দহন : নামটা কি বলো তো…
মনি : বহ্নি… বহ্নি রহমান। জিগাতলায় থাকে…
দহন : ওকে নয়ন মনি… তুমি জাস্ট চিল করো। তোমার ভাইয়া তখনই তোমার সামনে আসবে , তখনই কথা বলবে যখন ওই মেয়েটা চরমভাবে অপমানিত হবে। ওকে?
মনি : ওকে…
দহন : এই চম্পা … চম্পা …
চম্পা : জী ভাইজান…
দহন : এই রুমটা ক্লিন করানোর ব্যাবস্থা করো। তারাতারি…
চম্পা : আচ্ছা ভাইজান..

রুম পরিষ্কার করিয়ে মনিকে কিছু খাইয়ে দহন বেরিয়ে গেলো।

.

দহন : রবিকে ফোন করলে ঠিক হবে।।।
দহন ওর বন্ধু রবিকে ফোন করতে নিলো তখন কাকন ফোন করলো।
কাকন : হ্যালো জান…
দহন : জান আমি পরে কথা বলছি প্লিজ…
কাকন : আজকে সারাদিনেও তুমি আমার সাথে কথা বলোনি জান। তাই এখন বলতেই হবে। নো এক্সকিউজড প্লিজ …
দহন : আমি পরে কথা বলছি তো জান…
কাকন : এখন এখন এখন …
দহন : ১টা থাপ্পর দিবো স্টুপিড…. বললাম না পরে ফোন করছি। বলার কারন আছে বলেই তো বলছি। ১টা কথা ১বারে বোঝোনা কেন…
দহন রেগে মেগে ফোন কেটে দিলো। এরপর রবিকে ফোন করলো।

দহন : হ্যালো রবি…
রবি : হ্যা বল…
দহন : তোকে ১টা কাজ করতে হবে। করতেঅ হবে।
রবি : কি কাজ ?
দহন : ১টা মেয়ে আমার নয়ন মনিকে সারা ক্লাসের সামনে অপমান করেছে। তার নাম বহ্নি রহমান। মনির পিয়ানো স্কুলের চন্দনা ম্যামের স্টুডেন্ট। চন্দনা ম্যাম কোনো ১টা কাজে গিয়েছে তাই কয়েকটা দিন ওই মেয়েটা ক্লাস নিবে। বাসা জিগাতলা। এছারা অন্য কোনো তথ্য আমি জানিনা… তুই খুজে বের কর ওর ঠিকুজি গুষ্ঠি। এরপর আজই ওকে ওরই এলাকা ভর্তি লোকের সামনে অপমান কর। চরম অপমান … সেই সিনের ভিডিও বানাবি । দেন ওটা আমাকে সেন্ড করবি। আর হ্যা চরম অপমান করানোর ব্যাবস্থা করবি ভালোকথা কিন্তু মেয়েটার গায়ে হাতাহাতি যেন না হয়। ওর জাস্ট অপমান করবি মান-সম্মানহানী না। গট ইট…
রবির হা করে আছে। ছেলেটা বলছে কি।
দহন : কথা বলছিস না কেন?
রবি : কি বলবো ভাই? কোনটার জবাব দিবো কিভাবে দিবো? ১৯/২০ হলেই তো তোর ক্যালানি খেতে হবে।
দহন : হ্যা তা তো হবেই।
রবি : ক্যামনে করবো আমি!!! 😕।
দহন : আই ডোন্ট নো। ইটস ইউর হেডেক। যতো টাকা লাগে দিবো। বাট তোকে কাজটা করতেই হবে। দেখ আমি ভালোমতোই জানি যে তুই এই কাজের জন্য পারফেক্ট । সো ….
রবি : ওহ। লেট মি ট্রাই…
দহন ফোন রেখে দিলো।

২০মিনিটপর রবি ফোন করলো। ১বার রিং হতে না হতেই দহন ধরে ফেলল।
দহন : কাজ শেষ?
রবি : আমাকে কি তোর আলাদিনের জ্বীন মনে হয় যে সব কাজ করে ফেলবো এই ২০ মিনিটে… 😒…
দহন : তাহলে ফোন করেছিস কেন?
রবি : ২টা কথা জানাতে। আসলে ৩টা।
দহন : বল…
রবি : বহ্নির বাবা পুলিশ কমিশনার , বড়ভাই ওসি…
দহন : সো হুয়াট…
রবি : ওরে বীরপুরুষ … বহ্নিকে অকারনে হারাস করলে কিন্তু বিপদে পরবো। তুইও আর আমিও। ১৪গুষ্ঠিকে জেলে যেতে হবে। গট ইট…
দহন : নট অ্যাট অল। ডু ইউ নো আমার মামা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের সচিব….( জাস্ট ফর গল্প)
রবি : হুয়াট?
দহন : ইয়াহ … এন্ড … টাকা কথা বলে। পুলিশ কমিশনার কেন ডিআইজিও কিচ্ছু করতে পারবেনা। লাগবে টাকা দিবো আমি। তোর যদি ফেসে যাওয়ার ভয় থাকে দেন আমার নাম , ফোন ইউজ করতে পারিস।
রবি : তাহলে তুই কর…
দহন : এটাই তো প্রবলেম যে আমি আমার স্টুপিড সেন্টিমেন্টের জন্য এগুলো কিছু করতে পারবোনা। বন্ধ করে দিবো অপমান…
রবি : কোন কুক্ষনে যে তোর বন্ধু হয়েছিলাম… 😭😭😭

.

নিশা : তোমরা ?
বহ্নি : আসসালামু আলাইকুম ম্যাম।
নিশা : ওয়ালাইকুম আসসালাম। তোমরা সবাই ভেতরে আসো।
বহ্নি পুরো ক্লাসকে নিয়ে এসেছে।
নিশা : তোমাকে তো ঠিক চিনলাম না মা। কে তুমি ?
বহ্নি : আন্টি আমি বহ্নি। বহ্নি রহমান। চন্দনা ম্যামের স্টুডেন্ট । ম্যাম জানেনই তো চন্দনা ম্যাম কিছু দিনের জন্য বাহিরে গিয়েছেন।
নিশা : হ্যা হ্যা।
বহ্নি : চন্দনা ম্যাম যাবার আগে মনিদের ক্লাসের দায়িত্ব আমাকে দিয়ে গিয়েছেন…
নিশা : ওহ। তবে তুমি সেই মিস?
বহ্নি : জী ম্যাম।
নিশা : তোমরা সবাই এখানে? মনি কি কিছু করেছে?
বহ্নি : নো ম্যাম। আসলে আমিই ভুল করেছি। আসলে ভুল বুঝেছি … একটু রুড বিহেভ করে ফেলেছি। তাই সরি বলতে এসেছি। আসলে আমি তো প্রথমবার ক্লাস নিচ্ছি তাই কোনো অভিজ্ঞতা নেই। তাই এমনটা করে ফেলেছি। মনিকে একটু ডেকে দিবেন প্লিজ…
নিশা : পাগলি… টিচাররা তো কতো রকমের আচরনই করে। এতে সরি বলার কি আছে?
বহ্নি : না আন্টি তবুও যদি একটু মনিকে ডেকে দিতেন।
নিশা : আচ্ছা দারাও… মনি … এই মনি… মনি…
মনি ওপর থেকেই চেচিয়ে
বলল : বলো…
নিশা : নিচে আসো তো একটু…
মনি : কেন?
নিশা : আসতে বলেছি আসো।

মনি বিরক্তি নিয়ে নিচে নেমে এলো। আর নেমেই বহ্নিকে দেখে আরো ক্ষেপে গেলো। ওপরে চলে যেতে নিলো।
বহ্নি : মনি মনি মনি… যাবার আগে ১টা বার আমার কথা শোনো…
মনি : ….
বহ্নি : আমাকে প্লিজ ক্ষমা করে দাও… প্লিজ প্লিজ প্লিজ…
মনি : হুহ…
বহ্নি : এই যে দেখো কানে ধরে সরি…
মনি একটু চোখ বাকিয়ে দেখলো।
মনি : হুহ…

বহ্নি : বাচ্চা পার্টি লেটস ডু দ্যাট…
বহ্নি বলতেই সবাই যার যার পকেটে রাখা ছোট ছোট মিউজিক ইন্সট্রুমেন্ট বের করে বাজাতে লাগলো। যে মাউথ অর্গান বাজাতে পারে সে মাউথ অর্গান বাজাতে লাগলো। যে সিন্থেসাইজার বাজাতে পারে সে সিন্থেসাইজার বাজাতে লাগলো। যে বাশি বাজাতে পারে সে বাশি বাজাতে লাগলো। যারা যারা কিছু না কিছু বাজাতে পারে তারা বাজাতে লাগলো। বহ্নি গিটার বাজাতে লাগলো… ইমা-পিউ-তাসু গিয়ে মনিকে টেনে নিচে নিয়ে এলো…

বহ্নি :
🎤🎵🎶

আই অ্যাম সরি মেরি পেয়ারি
জানে দো…
হোতা হ্যা অ্যাসা ভি জানে দো….

আই অ্যাম সরি ও সরি
জানে দো
হোতা হ্যা অ্যাসা ভি
জানে দো …

হো গেয়ি গালতি
ছোরো ভী ইয়ারো
জিভ নিকালো পেয়ারো
নিম্বু নামাক ছাটকারো …

🎤🎵🎶

বহ্নির সাথে বাকিরাও গাইতে লাগলো। আর মজার মজার কাজ করতে লাগলো। মনি হা হা করে হেসে উঠলো।
বহ্নি মনির দিকে ১টা টেডি এগিয়ে দিয়ে
বলল : আমার সরি কি এক্সেপ্টেড? নাকি রিজেক্টেড?
মনি টেডিটা কোলে নিয়ে
বলল : এক্সেপ্টেড… 💕..
বহ্নি : থ্যাংক ইউ গো।
মনি : আসলে মিস …
বহ্নি : এখনও মিস বলবে তোমরা আমাকে!!!
মনি : সরি আপু। হ্যাপী?
বহ্নি : হামমম।
মনি : যেটা বলছিলাম। আসলে আপু সরি তো আমার বলা উচিত । আমার ওভাবে ক্লাসরুম থেকে বেরিয়ে আসা উচিত হয়নি। আসলে কেউ কখনো কিছু বলেনি তো… তাই কারো কোনো কথাই গায়ে সয়না। আমি না অনেকগুলো সরি…
বহ্নি : ইটস ওকে কিউটিপাই। ভুল তো আমারও ছিলো। উই আর ইকুয়াল ইকুয়াল। সো ডোন্ট বি আপসেট …
মনি : ওকে মাই সুইটি…
বহ্নি : নেক্সট ক্লাসে দেখা হবে। বাই। বাই ম্যাম..
নিশা : হুয়াট বাই হামম ? কিছু না খেয়ে এমনি চলে যাবে? না তা হবেনা। কিছু খেয়ে যেতে হবে।

নিশার অনেক জোরাজোরিতে বহ্নি আর বাকীরা খেলো। এরপর বাচ্চাদের নিয়ে চলে গেলো।

.

মনি বহ্নির দেয়া টেডিটা নিয়ে লাফাতে লাফাতে রুমে গেলো।
মনি : টেডিটা কি কিউট… বহ্নি আপুও কি কিউট… আচ্ছা আমার এমন কেন মনে হচ্ছে যে আমি কিছু ভুলে যাচ্ছি। কিন্তু কি….? মনে পরেছে।। প্রতিশোধ… ভাইয়াকে বলতে হবে যেন কিছু না করে…

মনি দহনকে ফোন করলো কিন্তু দহন ধরলো না। মনির মনে পরলো যে দহন বলে গিয়েছিলো যে প্রতিশোধ না নিয়ে ওর সামনে আসবেনা।
মনি : ওহ নো। এখন…. ম্যাসেজ দিয়ে রাখি….
মনি ম্যাসেজ দিলো। কিন্তু দহন সিন করলোনা।

বহ্নি সব বাচ্চাদেরকে বাসায় পৌছে রিকশা করে বাসায় যাচ্ছে। জাস্ট মোড়টা ঘুরলেই ওদের বাসা। তখন হুট করে ১টা বয়স্ক মানুষ রিকশার সামনে এসে পরলো। ছোয়া লেগেছে কি লাগেনি বয়স্ক লোকটা চিতপটাং হয়ে গেলো। বহ্নি নেমে ছুটে লোকটার কাছে গেলো। তার কি অবস্থা দেখার জন্য।
বহ্নি : আপনি ঠিক আছেন? কোথায় লেগেছে ? চলুন আপনাকে হসপিটালে নিয়ে যাই…
আর তখনই কোথায় থেকে হুট করে অনেকগুলো লোক এসে বহ্নিকে বাজে বাজে কথা শোনাতে লাগলো। বহ্নি এর আগা মাথা কিছুই বুঝতে পারছেনা। এলাকার মানুষের ভীর জ্বমে গেলো। ভীরের মধ্যে থেকেই কে যেন বহ্নির দিকে পচা টমেটো ছুরে মারলো , এরপর ডিম, এরপর ময়দা। বহ্নি বের হওয়ার পথ খুজে পাচ্ছেনা। আর এলাকার মানুষগুলোও কিছু বলছেনা। অনেকে তো ভিডিও বানাচ্ছে। বহ্নি কান্না করছে। ওখান দিয়ে অর্নব যাচ্ছিলো বাইকে করে। ভীর দেখে থামলো। কি হয়েছে জানার জন্য ভীর ঠেলে সামনে গেলো।

অর্নব : বহ্নি …?
অর্নব ছুটে বহ্নির কাছে গেলো। ওকে জরিয়ে ধরলো। গায়ের কোটটা ওর গায়ে জরিয়ে দিলো।
অর্নব : আর কেউ কিছু ছুরে দেখো জানে মেরে দিবো একেকজনকে।
যারা যারা ভিডিও করছিলো। তাদের মধ্যে থেকে অনেকের মোবাইল অর্নব ভেঙে ফেলল। এরপর বহ্নিকে কোলে তুলে বাসায় গেলো। রবি তো সব ভিডিও করে নিয়েছে ।

.

রবি : হ্যালো দহন… কাজ হয়ে গিয়েছে। ভিডিও ক্লিপটা পাঠাচ্ছি … দেখে চেক করে নিস।
দহন : না না চেক টেক করতে পারবোনা। ওকে বাই দোস্ত …

দহন ছুটে বাসায় গেলো।

দহন : মনি নয়ন মনি …
মনি : ভাইয়া ফোন ধরোনি কেন ? তুমি জানো কতো জরুরি ক…
দহন : সব শুনবো। আগে তুমি দেখো।
বলেই মোবাইল বের করলো।
দহন : টা ডা …
মনি : কি এটা ?
দহন : প্লে করে দেখো …
মনি দেখলো। মনির ভীষন খারাপ লাগলো। কান্নাই করে দিলো।
দহন : একি কাদছো কেন মনি…? কি হয়েছে?
মনি : ভাইয়া তুমি কেন আমার ফোনটা ধরলেনা … 😭…
দহন : কি হয়েছে বলবে তো …
মনি ক্লাসে যা হয়েছে তাও বললআর বহ্নি যে এসে কিভাবে সরি বলেছে তাও বলল। সব শুনে দহনের ভীষন খারাপ লাগলো।

দহন : নয়ন মনি… ক্লাসে তোমার সাথে যা হয়েছে তা অপমানমূলক কিছুই ছিলোনা।

দহন বেরিয়ে এলো মনির রুম থেকে। গাড়ির সামনে এসে দারালো। ১টা লাথি মারলো গাড়িতে।
দহন : ড্যাম ইট… খামোখা… মেয়েটার সাথে কি কি করলাম…

দহন ভিডিওটা প্লে করলো। বহ্নিকে দেখে অবাক হলো।
দহন : এটাতো সেই মেয়েটা… ওহ নো… ড্যাম ড্যাম ড্যাম ইট… শুধু শুধ মেয়েটার সাথে কতো বাজে আচরন করে ফেললাম । ১কাজ করি এখনই গিয়ে বহ্নিকে সরি বলে আসি…
দহন গাড়িতে বসে কেবল স্টার্ট দিবে তখন রিমা ফোন করলো।
দহন : আসসালামু আলাইকুম আন্টি…
রিমা : দহন… কাকন সুসাইড এটেম্ট করেছে…
দহন : হুয়াট? আন্টি আমি এখনই আসছি…
দহন পাগলের মতো ড্রাইভ করতে লাগলো। ওর মনে পরলো যে তখন ও কাকনকে ঝাড়ি মেরেছিলো।

দহন : আজকে দিনটাই খারাপ।। শীট।।

.

৩ঘন্টাপর…
হসপিটালে…
কাকনের জ্ঞান ফিরলো।
রিমা : বেবি এখন কেমন লাগছে ?
কাকন দেখলো একপাশে ওর মাম্মি-পাপা আর অন্য পাশে দহন…
কাকন : মাম্মি-পাপা ওকে এখান থেকে চলে যেতে বলো… এখনই…
রিমা : উত্তেজিত হয়না বেবি…
দহন : আন্টি একটু বাহিরে যাওনা প্লিজ…
কাকন : না মাম্মি তোমরা কোথাও যাবেনা… ওকে যেতে বলো।
দহন : প্লিজ আন্টি…

তারা ২জন বের হয়ে গেলো। তারা বের হতেই দহন বেডের মধ্যে উঠে কাকনকে শক্ত করে জরিয়ে ধরলো। ওর গলায় মুখ রেখে ১টা কিস করে কাদতে লাগলো।
দহন : এমন কেউ করে? বলো… আমার কথা ১টা বারও ভাবলেনা… তোমার কিছু হয়ে গেলে আমি কি করতাম জান… হামম…আম সরি…. রিয়েলি ভেরি সরি জান…..
কাকনও দহনকে জরিয়ে ধরলো।
কাকন : ইটস ওকে জান। এন্ড আই অ্যাম অলসো সরি…

.

ওদিকে…
বহ্নি রুমে বসে চুপচাপ কান্না করছে। আরফান আর বিষয় ছুটে বাসায় চলে এলো।
আরফান : মেয়ে কোথায়?
বিনা : রুমে…
আরফান ছুটে মেয়ের কাছে গেলো। গিয়ে বহ্নির পাশে বসলো।
আরফান : মামনি…
বহ্নি মাথা তুলল। আরফান বহ্নির চোখের পানি মুছে দিলো।
আরফান : কাদেনা মামনি… মা না ভালো আমার কাদেনা…
আরফান মেয়েকে বুকে জরিয়ে নিলো।
বিষয় : বাবা… আই থিংক এই ঘটনা কয়েকজন ইচ্ছা করেই ঘটিয়েছে। জাস্ট ওকে হারাস করার জন্য।
আরফান : আই অলসো থিংক সো… মামনি…

.

চলবে…