ভালোবেসে ফেলেছি পর্ব-১৮+১৯

0
2137

#ভালোবেসে_ফেলেছি
part : 18
writer : Mohona

.

বহ্নি : বাসি…🙊🙉🙈
দহন : 😒।
বহ্নি : …
দহন : আমাদের বিয়ে হয়েছে কতোদিন হলো?
বহ্নি : …
দহন : বলো…
বহ্নি : ৯দিন…
দহন : এই ৯দিনে আমাকে কিভাবে আর কেন ভালোবেসে ফেললে বলো তো? তুমি কি পাগল? জাস্ট ৯দিনে কাউকে ভালোবাসা যায়? লাইক সিরিয়াসলি?
বহ্নি বোকার মতো তাকিয়ে রইলো। এমনসব অদ্ভুদ কথা কেন আর কিভাবে বলতে পারে কেউ? রাগ উঠতেছে দহনের ওপর।
দহন : এইযে মিসেস ভীতুর ডিম এই ৯দিনে আমার রাগ ছারা আমার মধ্যে কি এমন দেখলে যে আমাকে ভালোবেসে ফেললে???
এর জবাব বহ্নির কাছে নেই।
দহন : বলো।
বহ্নি : কি বলবো শুনি? এমন ভিত্তিহীন প্রশ্নের কি কোন উত্তর হয়? তুমি রাগী বলে রেগে রেগে যা নয় তাই প্রশ্ন করবা? দ্যাটস নট ডান।
দহন : ১মিনিট ১মিনিট ১মিনিট… আমি রেগে কখন প্রশ্ন করলাম। যদিও কেন যেন রাগ উঠেছে তবুও নিজের রাগটাকে কনট্রোল করে বহুকষ্টে ঠান্ডা মাথায় তোমাকে প্রশ্নটা করলাম। মোটেও রাগ করিনি আর ঝারিও মারিনি। তাহলে এই কথা বললা কেন?
বহ্নি কিসব বলছে ও নিজেই বুঝতে পারছেনা। ও কেবল এটা বুঝতে পারছে যে ওর ভীষন লজ্জা করছে।
বহ্নি : আআমি তোমার ভেতরের রাগটা বুঝতে পেরেছি তাই বললাম।
দহন : ভালোবাসা তাও যেমন তেমন বাট ৯দিনে আমার ভেতরের রাগটাও বুঝে গেলে… ইমপ্রেসিভ।
বহ্নি : …
তখন ওয়েটার এসে খাবার দিয়ে গেলো।

.

দহন : খাচ্ছোনা কেন?
বহ্নি : আমি খাবোনা ।
দহন : কেন খাবেনা কেন?
বহ্নি : ক্ষুধা লাগেনি তাই।
দহন : দেখো আমি আমার রাগটাকে বহু কষ্টে চেপে রেখেছি এখন আমার রাগ খাবারের ওপর দেখালে কিন্তু খবর আছে…
বহ্নি : …
দহন : দেখো আমার যদি তোমাকে খাইয়ে দিতে হয় তাহলে কি হতে পারে তা হয়তো তুমি আন্দাজ করতে পারবেনা…
বলেই দহন চামচ ভরে খাবার নিজের মুখে ঢোকালো। বহ্নি দহনের মুখে দেয়ার ভাব দেখে বুঝলো ভুলেও যদি দহন ওকে খাওয়াতে আসে তবে এতোগুলো করেই খাবার ওর মুখে ঢুকাবে। বহ্নি গাল ফুলিয়ে খাবার খেতে লাগলো। আজকে সারাদিনে বহ্নির যা রাগ উঠেছে তা মনে হয় সারাবছরেও ওঠেনি আগে কখনো। এদিকে বহ্নির অবস্থা দেখে দহনের ভীষন হাসি পাচ্ছে। ও মুখ টিপে টিপে হাসছে আর বহ্নিকে দেখছে। আর খাচ্ছে।
তখন ওখানে কাকন আর ওর মা হাজির হলো। কাকনের মা মেয়ের মন ভালো করার জন্য এখানে নিয়ে এসেছে। কিন্তু এসে দেখে দহন-বহ্নি পাশের টেবিলে। দহনকে বহ্নির দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখে কাকনের মাথা খারাপ হয়ে গেলো ।

বহ্নির চোখ গেলো দহনের দিকে। দেখলো দহন ওর দিকে তাকিয়ে আছে। আর হাসছে।
বহ্নি : এভাবে তাকিয়ে আছো কেন ? আর হাসছোই বা কেন?
দহন ভাবলো বহ্নিকে আরেকটু লজ্জা পাওয়াবে। কারন বহ্নিই একমাত্র প্রাণী যে কিনা লজ্জা পেলে রেগে যায়।
দহন বহ্নির হাতের ওপর হাত রাখলো।
বহ্নি : 😱।
দহন : কি করবো বলো? চোখের সামনে এমন সুন্দর ১টা বউ থাকলে কি না তাকিয়ে উপায় আছে?

কাকন : দহন… 📢📢📢…
কাকনের চেচানো শুনে ওরা জন সহ বাকীরাও কাকনের দিকে তাকালো। কাকনকে দেখে দহনের ভালো মুডটা খারাপ হয়ে গেলো । বহ্নি অবাক হলো। ও মনে করলো দহনকে এখান থেকে নিয়ে গেলে ভালো হবে। কারন দহন ক্ষেপে যাবে। বহ্নি দারালো দহনও। দহন এখনও বহ্নির হাত ধরে আছে।
দহন : দারালে কেন? বসো ফিনিশ করে ওঠো।
কাকন : ছারো ওর হাত দহন…
কাকন ওদের সামনে এসে বহ্নির হাত থেকে দহনের হাত সরাতে নিলে দহন
বলল : ডোন্ট ইউ ডেয়ার টু টাচ মাই হ্যান্ড।
কাকন দহনকে জরিয়ে ধরলো। বহ্নি চোখ নিচে নামিয়ে নিয়ে নিজের হাত ছারিয়ে নিতে চাইলে দহন আরো শক্ত করে বহ্নির হাত ধরলো। আর রেগে বহ্নির দিকে তাকালো। বহ্নি চোখ তুলে দেখে দহন আগুনের গোলার মতো চোখ করে ওর দিকে তাকিয়ে আছে। বহ্নি আতকে উঠে চোখ নামিয়ে ফেলল।
দহন অন্যহাত দিয়ে ১ ঝটকায় কাকনকে নিজের থেকে সরিয়ে ঠাস করে থাপ্পর মারলো।
দহন : পরের স্বামীর দিকে যে বা যারা নজর দেয় তাদেরকে কি বলে সেটা তুমি ভালো করেই জানো। সেটা আমি নিজের মুখে উচ্চারনও করতে চাইনা।
বলেই দহন পে করে বহ্নির হাত ধরে বেরিয়ে গিয়ে গাড়িতে বসলো।

.

গাড়ি চলছে…
বহ্নি মনে মনে : আচ্ছা দহন কি জানতো যে কাকন এখানে আসবে? আর একারনেই কি ও আমাকে এখানে নিয়ে এসেছে? ও কাকনকে জেলাস ফিল করানোর জন্য বা কাকনকে দেখানোর জন্যই আমাকে এখানে নিয়ে এসেছিলো? তাই হয়তো হবে। কারন সেদিনও দেখেছিলাম কাকনকে দেখানোর জন্যই ও আমাকে আর মনিকে নিয়ে বেরিয়েছিলো । হয়তো আজকেও তাইজন্য এসব করলো। যেহেতু ও কাকনকে নিজের মন থেকে সরিয়েই দিয়েছে তবে এসবের মানে কি? ও ওর মতো থাকুক আর আমরা আমাদের মতো থাকি…
তখন গাড়ি থেমে গেলো। বহ্নি মনে করলো ওরা বাসায় ফিরে এসেছে। কিন্তু দেখলো না…
দহন : নামো…
বলেই দহন নেমে গেলো। সবসময়ের মতো দহন দরজা খুলে দিলোনা। বহ্নি নামলো। বহ্নি দহনের কাছে গেলো।
দহন : তুমি আমার বিয়ে করা বউ কিনা বলে? বলো…. 😡
বহ্নি দহনের ধমকে চমকে উঠলো।
দহন : বলছোনা কেন? তুমি আমার স্ত্রী কি না?😤
বহ্নি : হামম।
দহন : তাহলে তোমার সামনে অন্য কোনো মেয়ে আমাকে জরিয়ে ধরে তখন তুমি কিভাবে চুপ থাকো হ্যা? আবার নিজের হাতও আমার হাত থেকে সরিয়ে নিতে চাও…. বলো কেন? বলো… 📢😡…
বহ্নি : …
দহন : দেখো ভীতু ছিলে… দ্যাটস ইউর পাস্ট। বাট এখন তুমি আমার বউ। দহন আহমেদের বউ। ইউ হ্যাভ টু চেঞ্জ ইউরসেল্ফ। ইউ হ্যাভ টু স্ট্রং ইয়ার। আরে ভাই যতো ভীতুই হোক এমন আচরন তো কেউ করেনা তাইনা… আজকে কেন আমি কাকনকে থাপ্পর মারবো? এটাতো তুমি মারবে আজকে তাইনা? কেন মারব আমি থাপ্পর ? হুয়াই?
বহ্নি : তোমার কথায় স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে যে আমার প্রতিবাদ না করার থেকে কাকনকে থাপ্পর মারার কষ্টটা তোমার বেশি…
দহন : হুয়াট?
বহ্নি : হ্যা দহন। শুধু আমিনা। তুমি অন্য যে কাউকে জিজ্ঞেস করো সেও বলে দিবে।
কাকনকে থাপ্পর মেরে সত্যিই কেমন যেন লাগছে দহনের। তবে বহ্নি প্রতিবাদ না করার জন্যও দহন ক্ষেপেছে। কারন ২টাই।
বহ্নি : দহন আজকে যা হলো তাতে তোমার দোষ। কেন তুমি কাকনকে দেখানোর জন্য ওকে জেলাস ফিল করানোর জন্য আমাকে নিয়ে ডিনার করতে গেলে? আবার আমার হাত ধরে ওই কথাগুলো বললে… দোষটা তো তোমারই বলো…
দহন আকাশ থেকে পরলো। মেয়েটা বলছে কি? ও তো বহ্নিকে নিয়ে এসেছিলো এটা জানতে যে গাড়িতে বহ্নি যে ভালোবেসে ফেলেছি কথাটা বলেছিলো তা সত্যি নাকি মিথ্যা। কাকন যে আসবে তাতো ও জানতোই না। আর এই মেয়েটা কি কি ভেবে নিয়েছে।
দহন : হ্যাভ ইউ লস্ট ইট? তুমি জানো তুমি কি বলছো? আমি কাকনকে দেখানোর জন্য এসব কেন করবো?
বহ্নি : সেটা তুমিই ভালো জানো। সেদিনও করেছিলে। কাকনকে দেখানোর জন্যই বের হয়েছিলে আমাকে আর মনিকে নিয়ে। আজও তাই করেছো । ঠিক করোনি কাজটা। খারাপ লেগেছে আমার কাছে । প্লিজ আর কখনো এমনটা কোরোনা । আর যদি তুমি কাকনকে ফেরাতে চা তবে ফেরাতে পারো। আমি চলে যাবো । এখনও খুব বেশি দেরি হয়নি। অনেকেরই ডিভোর্স হয় ।ইটস ভেরি কমন।

দহনের রাগ একেবারে আউট অফ কনট্রোল হয়ে গেলো। ঠাস করে ১টা থাপ্পর মারলো।
দহন গিয়ে গাড়িতে বসলো। গুটিগুটি পায়ে বহ্নিও গিয়ে বসলো । বহ্নি কখনো থাপ্পর খায়নি । এই প্রথম থাপ্পর খেলো। ব্যাথা যেমন তেমন কষ্ট পেয়েছে অনেক বেশি । চোখের কোনের ১ফোটা পানি মুছে নিলো। অঝোরে চোখের পানি ঝরানোর অভ্যাস বহ্নির নেই । ও ভাবছে যে গালে থাপ্পরের দাগ দেখলে সবাই কি ভাববে? তাই চুলগুলো একপাশে করে রাখলো। গালটা ঢেকে রাখলো।

কাকনকে থাপ্পর মেরে একটু খারাপ লাগছিলো। কিন্তু বহ্নিকে থাপ্পর মেরে ভীষন কষ্ট লাগছে।

.

দীপন : আহ নিশা দরজার কাছে বারবার গিয়ে উকি মারছো কেন বলোতো…
নিশা : ওরা এখনও আসছেনা কেন বলো তো?
দীপন : আশ্চর্য তো… আসেনি এসে যাবে। দহন-কাকন তো কতো বের হতো… তখন তো এতো চিন্তা করতেনা ছেলের জন্য।
নিশা : ছেলের জন্য তো এখনও চিন্তা করছিনা। চিন্তা তো হচ্ছে বহ্নির জন্য। তোমার ছেলের সাথে একা বেরিয়েছে।
দীপন : নিশা আমার ছেলেটা অতোটাও খারাপ না। আর ও তো সম্পর্কটা স্বাভাবিক করার জন্যই বহ্নিকে সময় দিচ্ছে তাইনা?
নিশা : রাগ উঠলে ও কোনো হোশ থাকেনারে ভাই। এটাই তো সমস্যা …
দীপন : ওইতো বহ্নি মামনি…
নিশা : দহন কোথায়?
বহ্নি : আসছে। তোমরা খেয়েছো?
নিশা : আর আমাদের খাওয়া। আমার বরটাতো আজকাল ডিনারে বাহিরেই নিয়ে যায়না । 😁।
দীপন : নিশা… তুমি কি দিনে দিনে ছোট হচ্ছো?
নিশা : তাতে তোমার সমস্যা কি? এই তোরা কোথায় কোথায় গিয়েছিলিরে?
দীপন : নিশা বেশি হচ্ছে কিন্তু…
নিশা মনে মনে : উফফ এই লোকটানা বোঝেনা। আমি জানতে চাইছি কোনো ঝামেলা হয়নি তো… আমার দহনের যা মেজাজ।। আর এই বুড্ঢা নিশা নিশা ।।। হুহ…
দীপন : মামনি… যাও গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নাও… অনেক রাত হয়ে গিয়েছে।
বহ্নি : জী বাপী।
বহ্নি রুমে চলে গেলো। হাফ ছেরে বাচলো।
দহন রুমে এসে দেখে বহ্নি ঘুমিয়ে আছে। কেন যেন ওর মনে হচ্ছে যে বহ্নি জেগে আছে। ফ্রেশ না হয়েই রোজকার মতো বহ্নির পাশে শুয়ে পরলো। কিন্তু ঘুম আসছেনা। খুব গিল্ট ফিল হচ্ছে । কিছুক্ষন শুয়ে থেকে উঠে গেলো সোজা স্টাডিতে। ড্রিংকস করতে লাগলো। বাট ড্রিংকস করেও শান্তি লাগলোনা । রেখে দিলো।

.

সকালে…
দহন একবারে রেডি হয়ে নিচে নামলো। ব্রেকফাস্ট করেও বসে রইলো। আসলে ও বহ্নির রেডি হওয়ার জন্য বসে আছে ।
মনি : কি ব্যাপার ভাইয়া বসে আছো যে? রোজ তো খেয়েই দৌড়ে গিয়ে গাড়িতে বসো। যেন কেউ তোমার গাড়ি নিয়ে ভাগবে।
এই প্রথম মনির কথায় দহনের কেন যেন রাগ উঠছে । এমন করে বলার কি আছে। এখন যদি সবাই বুঝে যায় যে ও বহ্নির জন্য ওয়েট করছে বাট রেগে থাকার কারনে মুখে বলছেনা। ১টা লজ্জা পাবে।
মনি : কি হলো?
দহন : আসলে আজকে তেমন তারা নেই। তাই ভাবলাম একটু আস্তে ধীরে যাই।
দীপন : তোমার তারা নাই থাকতে পারে বাট মামনির ক্লাস তো স্টার্ট হয়ে যাবে। তাইনা?
নিশা : না আজকে বহ্নির ক্লাস ১২টা থেকে।
দীপন : ওহ। তাহলে দহন তুমি একবারে মামনিকে ড্রপ করেই অফিস যেও।
দহন : বলো কি বাপী? কতো কাজ অফিসে… ৩-৪ঘন্টা বাসায় বসে কি করবো বলো তো? বাই।
বলেই দহন চলে গেলো । দীপনও বেরিয়ে গেলো ।

বহ্নি মনে মনে : ভালো হয়েছে আজকে ওই ডাকাতটা যাবেনা ভার্সিটিতে…

দহন মনে মনে : আমার মনে হয় থাপ্পর মারায় বহ্নি অনেক কষ্ট পেয়েছে। কষ্ট পেলে কান্না করলোনা কেন? আজব প্রাণী… ঠিক হয়েছে থাপ্পর মেরেছি। আরো কয়েকটা লাগালে ভালো হতো । বলে কিনা বেশি দেরি হয়নি। জানে তো না আমার জল্লাদ বাপ কি জিনিস… ডিভোর্সের কথা বললে আমার জল্লাদ বাপ আমাকে টুকরো টুকরো করে পানিতে ফেলে দিবে। আর যেদিকে আমি বলেছি যে আমি কাকনকে আর ভালোবাসিনে সেখানে আমাকে ওই ভিত্তিহীন কথাগুলো বলার কি দরকার ছিলো? আমি কি কাকনকে ইনভাইট করে এনেছি…!! দারাও মিসেস ভীতুর ডিম… দেখো আজকে মিস্টার ইউনিভার্স সেজে তোমার ভার্সিটিতে যাবো। না না না না… ড্রপ করতে যাবোনা। পিক করতে যাবো। তাও অনেকক্ষন আগে।
দহন বহ্নিকে ড্রপ করতে গেলোনা।

.

ক্লাসশেষে…
বহ্নি ভবন থেকে বের হচ্ছে।
বহ্নি : ভালো হয়েছে ডাকাতটা আজকে আসেনি। না হলে আজকেও সবাই ওর দ…
তখন ও সামনে তাকিয়ে দেখে মেয়েদের ভীর জমে আছে।
বহ্নি : ওখানে এতো ভীর কেন ? নোটিশ দিলে তো ওখানে দেয়না…
ও কিছুটা এগিয়ে গেলো । দহনের হাসি শুনতে পেলো । দেখে দহন হেসে মেয়েদের সাথে কথা বলছে আর ১হাত দিয়ে বারবার নিজের চুল ঠিক করছে। সব কালো পরেছে। সানগ্লাসটা অন্যহাতে ঘুরাচ্ছে । অস্বাভাবিক সুন্দর লাগছে ।
কেউ ১জন জিজ্ঞেস করলো দহনকে যে ও কেন এসেছে। দহন দেখেছে যে বহ্নি এসেছে।
দহন : আমাক এক কাজিনকে পিক করতে… 😜…

.

চলবে…

#ভালোবেসে_ফেলেছি
part : 19
writer : Mohona

.

দহন : আমার এক কাজিনকে পিক করতে এসেছি… 😜
বহ্নি কথাটা স্পষ্ট শুনলো। দহন তো ইচ্ছা করেই শোনালো । বহ্নির ভীষন রাগ হচ্ছে মেয়েগুলোর ওপর। আর তার থেকেও অনেকগুন বেশি দহনের ওপর। বউ থেকে কাজিন বানিয়ে দিলো। কিছু দিয়ে পিটাতে পারতো এখন দহনকে… বেশ ভালো হতো। এখন লাঠির তো আর পা নেই যে হেটে হেটে বহ্নির হাতে আসবে। ইচ্ছা তো করছে দহনকে অনেক বকতে। কিন্তু কালকে রাত থেকে তো ও দহনের সাথে কথা বলেনা।
বহ্নি মনে মনে : বহ্নি … তুই তোর বরের সাথে রাগ করেছিস… বন্ধুর সাথে তো না… এখনই গিয়ে ইচ্ছা মতো ধোলাই দে…
বহ্নি এগিয়ে যেতে নিলে ১টা বাইক ওর সামনে এসে থামলো। এমন করে অর্নব ওর সামনে বাইক থামাতো । বাইকওয়ালা ছেলেটার নাম রাকিব।
রাকিব : হাই…
বহ্নি : …
রাকিব : তুমি নিশ্চয়ই ক্লাস টপার বহ্নি। মিস বহ্নি রহমান…
দহন : মিসেসে বহ্নি আহমেদ…
রাকিব দহনের দিকে তাকালো ।
রাকিব : সরি… !!
দহন : ডোন্ট বি…
রাকিব : আপনি কি বললেন আমি বুঝতে পারলামনা।
দহন : আমি জাস্ট ওর নামটা বললাম। ওর নাম মিসেস বহ্নি আহমেদ। আসলে মিসেস বহ্নি দহন আহমেদ।
রাকিব : ওহ। আসলে বোর্ডে তো ওর নাম মিস বহ্নি রহমান দেখেছিলাম তাই।
দহন : তখন ও আনম্যারিড ছিলো। এখন না।
রাকিব : ওহ সরি।
দহন : লেটস গো বহ্নি…
বলেই দহনের হাত ধরলো। হাত ধরে কিছুদূর গিয়ে আবার পিছে ঘুরে জোরে
বলল : বাই দ্যা ওয়ে আম হার হাজবেন্ড …
কথাটা রাকিবও শুনলো আর যে মেয়েগুলো ওকে ঘিরে ছিলো ওরাও শুনলো। দহন বহ্নির কানের কাছে মুখটা নিয়ে আস্তে করে
বলল : এটা কিন্তু আমি দেখানোর জন্যই করলাম।
বলেই চোখ মারলো। বহ্নি হেসে দিলো। আসলেই দহন একদম অদ্ভুদ।

.

দহন গাড়ি চালাচ্ছে। আর বহ্নি দহনের দিকে তাকিয়ে আছে ।
দহন : এমন করে তাকিয়ে আছো কেন?
বহ্নি : তোমরা ছেলেরা খুব অদ্ভুদ ।
দহন : থ্যাংক ইউ । বাট এতো বড় কমপ্লিমেন্ট দেয়ার কারন?
বহ্নি : ভেরি সিম্পল । নিজের হাজারটা মেয়ের সাথে ফ্লার্ট করো নো প্রবলেম। বউকে কাজিন বলাতেও কোনো দ্বিধা নেই । বাট… বউ অন্য কারো কথা বলুক না বলুক… বউয়ের সাথেও যদি কেউ কথা বলতে আসে তবুও মানতে পারোনা তাইনা।
দহন : ওহ হ্যালো। আমি কারো সাথে ফ্লার্ট করিনি। কাউকে বলিনি যে তোমার চোখ সুন্দর , তোমার ঠোট সুন্দর , তোমার চুল সুন্দর । বরং মেয়েরাই আমার সাথে ফ্লার্ট করতে এসেছিলো।
বহ্নি : এতো সেজেগুজে আসলে তো মেয়েরা ফ্লার্ট করতেই চাইবে। হুহ। তো কাজিনকে পিক করার কথা বললা কেন?
দহন : সেটা কেন বলেছি তা তোমার গোবর ভরা মাথায় ঢুকবেনা।
বহ্নি : আমি খুব জানি। তুমি জানাতে চাওনি যে তুমি ম্যারিড …
দহন : কোথায় থেকে এলোরে জেমস বন্ড … আমি তোমার মুখের সেই অদ্ভুদ রিঅ্যাকশন দেখার জন্য ওসব করছিলাম।
বহ্নি : লায়ার।
দহন : ওই সত্যি কথা বলেছি। বিশ্বাস করা না করা তোমার ব্যাপার । আর তখন কাজিন বললেও পরে তো সবাইকে দেখিয়ে এন্ড শুনিয়েদিলাম যে তুমি আমার বউ… তাহলে?
বহ্নি : না বললে না আমি তোমাকে…
দহন : তুমি আমাকে হুয়াট?
বহ্নি : উচিত শিক্ষা দিতাম।
দহন : কিভাবে ?
বহ্নি : আই ডোন্ট নো… 😅…
দহন : 😂📢😂📢😂📢😂 ….
দহন হাসলে অনেক সুন্দর লাগে। তাই বহ্নি মুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে আছে।
দহন : তুমি ১টা জিনিস ব…
দহন বহ্নির চোখের সামনে তুরি বাজালো। বহ্নি ধ্যান ভেঙে গেলো।
বহ্নি : কিছু বললে।
দহন : বলেছিলাম। 😒। যাকগে।
বলেই দহন গাড়ি থামালো । এরপর সাদা আর হলুদ গোলাপের ১টা তোরা বের করে বহ্নির হাতে দিলো।
দহন : আম রিয়েলি ভেরি ভেরি সরি ফর লাস্ট নাইট । কিন্তু বিশ্বাস করো আমি জানতাম না যে কাকন ওখানে আসবে । সত্যি বলছি ।
বহ্নি : ইটস ওকে। আই অ্যাম সরি। আসলে আমি না বুঝে অনেক উল্টা পাল্টা কথা বলে ফেলেছি।
দহন : তোমার ভাবনাটা স্বাভাবিক ছিলো। আচ্ছা ১টা কথা বলি?
বহ্নি : হামমম।
দহন : তোমার ক্লাসমেট সেই সাথে ভার্সিটির অন্য মেয়েদের যার কথা বলার জন্য ক্ষেপে গেলে। বাট কাকনকে কেন কিছু বলোনি…
বহ্নি : ….
দহন : প্লিজ বলো।
বহ্নি : ….
দহন : উইই আর ফ্রেন্ড রাইট? বলো।
বহ্নি : আসলে ভরসা পাইনি ।
দহন : ভরসা?
বহ্নি : হামমম ভরসা। আসলে … আমি মনে করেছিলাম যদি আমি কিছু বলি তবে হয়তো তুম…
দহন : আমি রাগ করবো। তাইতো?
বহ্নি : …
দহন : কি তাইতো?
বহ্নি : হামমম।
দহন : আরো ১টা থাপ্পর খাওয়া উচিত তোমার ।
বলেই দহন গাড়ি স্টার্ট দিলো । ফুল স্পিডে চালাতে লাগলো। আবারও বহ্নির আত্মা যায়যায় । ভয়ের চোটে মুখ দিয়ে কথাই বের হচ্ছেনা ।

.

গাড়ি ১টা অফিসের নিচে থামলো । অফিসটা কাকনদের । বহ্নি তখনও কাপছে ।
দহন : ১মিনিট সময় দিলাম। নিজেকে নরমাল করো…
বহ্নির কানে যেন কথা যায়ইনি । বহ্নি কেপেই যাচ্ছে । দহন বহ্নির হাত ধরে টানতে টানতে পৌছালো কাকনের কেবিনে।
কাকন : জান…
দহনের দিকে ছুটে আসতে নিলে
দহন বলল : স্টে দেয়ার । আমি তোমার সাথে প্রেম করতে আসিনি। আমার বউ তোমাকে থাপ্পর মারবে তাই এসেছি ।
কথাটা শুনে বহ্নি আর কাকন ২জনই মহা অবাক। বলে কি ছেলেটা?
বহ্নি-কাকন : হুয়াট?
দহন : ইয়াহ । বহ্নি যাও গিয়ে থাপ্পর মারো ওই অসভ্য মেয়েটার গালে।
বহ্নি : দহন কি পাগলামো করছো? চলো।
দহন : হ্যা যাবো তো। কিন্তু থাপ্পর মারো ।
বহ্নি : আহ দহন চলো।
দহন : কিছু বলেছি কিন্তু আমি।
কাকন : দহন তুম…
দহন : জাস্ট শাট আপ। বহ্নি থাপ্পর মারো।
বহ্নি হাজারবার না করলেও লাভ হলোনা। শেষ পর্যন্ত থাপ্পর মারলো।
দহন : গুড। এই যে মিস কাকন নেক্সট টাইম আমার ৩ফুটের মধ্যে আসার আগে আমার বউ এন্ড এন্ড এন্ড উড বি পুলিশ অফিসারের এই থাপ্পরটা মাথায় রাখবেন।
বলেই আবার বহ্নির হাত ধরে চলো গেলো।

.

দেখতে দেখতে ওদের বিয়ের ১মাস হয়ে গেলো ।

রাত ১২টার বেশি । দহন এখনও বাসায় ফিরেনি । বহ্নির বেশ চিন্তা হচ্ছে। ফোনটাও তুলছেনা ।
দহন গাড়ি থামিয়ে ১টা ফাকা মাঠে বসে আছে । দহন বিয়ের শুরুর দিকে সবার সামনে এমনকি বহ্নির সামনেও নিজেকে স্বাবাভিক দেখানোর চেষ্টা করতো। বহ্নির সাথেও স্বাভাবিক থাকার নাটক করতো । কিন্তু ও বুঝতেই পারেনি যে নাটক করতে করতে ও সত্যি সত্যিই বহ্নির সাথে স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে । কাকনের সাথে সম্পর্ক থাকতে যেমন ছিলো তেমন হয়ে গিয়েছে । স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে ।
সেটাই বসে বসে আজকে দহন ভাবছে। এক অদ্ভুদ মায়ায় জরিয়ে গিয়েছে ।

দহন : না … আমি কিছুতেই ভালোবাসতে পারিনা বহ্নিকে… ভালোবাসতে পারিনা কাউকে … ঘৃণা করি ভালোবাসাকে। ভীষন ঘৃণা করি ভালোবাসাকে। নাটক করতে করতে আমি নিজেকে হারিয়ে ফেলেছি । বহ্নির মধ্যে হারিয়ে গিয়েছি। সব দোষ বহ্নির । সব দোষ সব দোষ সব দোষ … না আর নরম হওয়া যাবেনা। আই হ্যাভ টু বি স্ট্রং । আরো ১বার কষ্ট পাওয়ার ক্ষমতা আমার নেই … একদম নেই ।

.

দহন বাসায় পৌছালো। গাড়ির শব্দ পেয়ে বহ্নি ছুটে গিয়ে দরজা খুলে দিলো । দহন বহ্নিকে ইগনোর করে ভরভর করে ভেতরে ঢুকে গেলো।
বহ্নি : কোথায় ছিলে? এতো দেরি হলো কেন? ফোন ধরছিলে না কেন ? কতো টেনশন হচ্ছিলো জানো?
দহন কোনো জবাব না দিয়ে ওপরে উঠে গেলো । বহ্নিও দরজা লাগিয়ে ওপরে গেলো । গিয়ে দেখলো দহন শুয়ে আছে । পায়ের জুতোটাও খুলেনি। এই ১মাসে বহ্নি বুঝে গিয়েছে যে দহন মেন্টালি ডিস্টার্বড হলে এমনই করেই পাগলের মতো শুয়ে পরে । তাই বহ্নি কোনো কথা না বলে দহনের পা থেকে জুতু খুলতে নিলে দহন উঠে বসলো।
দহন : পা ছারো। ছারো।
বহ্নি : তুম…
দহন : পা ছারো।
বহ্নি ছেরে দিলো। দহন আবার শুয়ে পরলো।
বহ্নি : দহন … বলছিলামকি খেয়ে ঘুমাও।
দহন : …
বহ্নি : দহন। শুনছো…
দহন উঠে গিয়ে হনহন করে স্টাডিতে গিয়ে দরজা লাগিয়ে দিলো । বহ্নি কিছুই বুঝতে পারলোনা । ও জাস্ট থ মেরে দারিয়ে রইলো।

.

রাত ৩টা…
বহ্নির ঘুম আসেনি। দহনের আচরনে একটু কষ্ট পেলেও দহনের জন্য ভীষন চিন্তা হচ্ছে। দহন হুটহাট করে যে রাগ করে সে রাগ ভিন্ন। কিন্তু যখন এমন কিছু করে তখন বহ্নি বেশ বুঝতে পারে যে দহন ঠিক নেই…
বহ্নি এসবই ভাবছিলো। তখন হাতে খুব জোরে টান অনুভব করলো। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ও নিজেকে দহনের বুকের মধ্যে পেলো। দহন খুব শক্ত করে বহ্নিকে জরিয়ে ধরলো। আর বহ্নির মাথাটা এমনভাবে ধরলো যেন বহ্নি মাথা তুলে ওর মুখ দেখতে না পারে। ও চায়না যে বহ্নি ওর চোখের পানি দেখুক। বহ্নিও চুপটি করে রইলো। ওর মনে হলো এখন চুপ করে থাকাটাই ঠিক হবে।
বেশ কিছুক্ষন একইভাবে থাকার পর বহ্নির মনে হলো যে এখন কিছু বলা দরকার।
বহ্নি : দহন… কি হয়েছে? কোনো সমস্যা …?
দহন কিছু না বলে গাড়ির চাবি বেরিয়ে গেলো। দহনের এমন আচরনে বহ্নি আরো চিন্তায় পরে গেলো।
দহন বেশ বুঝতে পারছে যে ও বহ্নির মায়ায় পরে গিয়েছে। মোহে পরে গিয়েছে। ও চায়না বহ্নির মোহো-মায়ায় পরে ওকে ভালোবেসে ফেলতে। ও চায়না ভালোবাসতে।

পরদিন থেকে দহন পুরোপুরি ভাবে বহ্নিকে ইগনোর করতে লাগলো। খুব বেশি প্রয়োজন ছারা বহ্নির সাথে কথা বলেনা। রাতেও কাজের বাহানা দিয়ে স্টাডিতে থাকে। অফিস থেকেও লেট করে আসে।

.

৭দিনপর…
মনি : ভাইয়া ভাইয়া।
দহন : বলো।
মনি : চলোনা আমরা সবাই মিলে কোথাও পিকনিকে যাই।
দহন : ওকে নয়নমনি আমি এখনই কোনো স্পট বুক করে দিচ্ছি । কালই সবাই গিয়ে ঘুরে আসো।
দীপন : ঘুরে আসো মানে? তুমি যাবেনা?
মনি : হ্যা ভাইয়া তুমি যাবেনা ?
দহন : না গো নয়নমনি আমি যেতে পারবোনা গো…
মনি : না ভাইয়া চলোনা প্লিজ প্লিজ প্লিজ ।
দহন : না গো মনি।
মনি : না তুমি যাবে। ভাবি তুমি বলোনা।
বহ্নি তো জানে যে দহন ওকে ইগনোর করছে। তবুও সবার সামনে
বলল : হ্যা দহন চলোনা।
দহন : বহ্নি… তুমি তো জানো কাজের চাপ কতোটা বেশি… আমার খাওয়া শেষ । গুড নাইট।
বলেই দহন চলে গেলো। মনির মনটা খারাপ হয়ে গেলো। কখনো দহনের কাছ থেকে না শব্দটা শোনেনি। তাই খুব কষ্ট পেয়েছে ।
মনি : যাবোই না কোথাও।
বলেই মনি খাবার না খেয়েই চলে গেলো ।

.

দহন আজকেও স্টাডিতে যাচ্ছে। তখন বহ্নি এসে সামনে দারালো। দরজা লাগিয়ে দিলো।
দহন : দরজা লাগালে যে?
বহ্নি : কথা আছে তাই।
দহন : কথা?
বহ্নি : হ্যা কথা। নাকি বলা যাবেনা?
দহন বহ্নির থেকে ঘুরে গিয়ে
বলল : বলো কি বলবা…
বহ্নি : তোমার সমস্যা আমি রাইট? মনি তো নয়। তাইনা? আমি যাবোনা তোমাদের সাথে পিকনিকে। তুমি , মনি , বাপী , মামনি… ৪জন কালকে বা পরশু কোথাও ঘুরতে যাও । আমি লাস্ট মোমেন্টে যেভাবেই হোক বাহানা করে রয়ে যাবো। আমি যাবোনা । আমাকে সহ্যও করতে হবেনা । তাই কোনো সমস্যাও হবেনা। তবুও যাও।
দহন : কি অদ্ভুদ কথা বলছো? তুমি আমার সমস্যা কেন হবা?
বহ্নি : বিকজ ইটস ক্লিয়ার দহন। আমি ভীতু হতে পারি বোকা হতে পারি বাট এতোটাও অবুঝ না যে এই সিম্পল বিষয়টা বুঝবোনা । আর তোমাকে রোজরোজ কষ্ট করে স্টাডিতে গিয়ে থাকতে হবেনা। আমি কয়েকটাদিন ভাবির ওখানেই গিয়েই থাকবো…

বলেই বহ্নি চলে যেতে নিলে দহন ডাক দিলো।
দহন : কোথাও যাওয়ার দরকার নেই । ভাবির সাথে দেখা করতে মন চাইলে দেখা করে চলে আসবা। আর কালকে সবাই মিলেই পিকনিকে যাবো।
বহ্নি : কিন্তু আমি তো তোমার সাথে যাবোনা। যাবোনা আমি তোমার সাথে। বুঝেছো? আর আমি কয়েকটা দিন ভাবির কাছেই থাকবো।
দহন : তুমি কি আমাকে রাগ দেখাচ্ছো?
বহ্নি : দেখালেই সমস্যা কি? রাগ কি তোমার একারই আছে? নাকি রাগে কেবল তোমার অধিকার?
দহন : আমাকে রাগ দেখিয়ে কি আদৌ কোনো লাভ আছে? আমি দহন…
বহ্নি : আর আমি বহ্নি।
দহন : দেখো এই মুহুর্তে কোনো স্টুপিড কাপলের মতো ঝগড়া করার ইচ্ছা আমার নেই।
বহ্নি : আমরা কখনোই সেসব সো কলড স্টুপিড কাপল হতে পারবোনা। আর শোনো তোমাকে আজকে রাতে স্টাডিতে যেতে হবেনা। আমি বারান্দাতেই ঘুমাবো।
বলেই বহ্নি ১টা বালিশ আর ১টা ব্ল্যাংকেট নিয়ে গিয়ে বারান্দায় শুয়ে পরলো। দহন রেগে বেডে ১টা লাথি মারলো। এরপর বারান্দায় গিয়ে বহ্নিকে কোলে তুলে নিলো।
বহ্নি : নামাও আমাকে… দহন… নামাও…

দহন কিছু না বলে ওকে কোলে তুলে নিয়ে বেডে শুইয়ে দিয়ে নিজেও শুয়ে পরলো। বহ্নি উঠে যেতে নিলে দহন ওকে বুকে জরিয়ে ধরে ঘুমিয়ে পরলো।

.

সকালে…
মনি : না আমি যাবোনা যাবোনা যাবোনা। হুহ।
দহন : ওরে বাবা… আমার নয়নমনিটা দেখি রাগ করেছে…
মনি : হুহ…
দহন : সরি তো নয়নমনি… আমি তো মজা করেছিলাম। না হলে আমার নয়নমনি কিছু বললে বা চাইলে আমি কখনো না বলি হামমম?
মনি : আমি যাবোনা…

.

চলবে…