ভালোবেসে ফেলেছি পর্ব-৩২+৩৩

0
2111

#ভালোবেসে_ফেলেছি
part : 32
writer : Mohona

.

বহ্নি : ইটস ওকে…
দহন : না এটা তো আমার বহ্নির ওকে না … রেগে আছো?
বহ্নি : …
দহন : সরি বললাম তো…
বহ্নি : …
দহন : তুমি তো জানো আমি কেমন? কোনোক্রমেই আমি রাগ নিয়ন্ত্রন করতে পারিনা…
বহ্নি : …
দহন : ইশ আমার বউটার গাল ২টা দেখি লাল হয়ে আছে … দেখি দেখি আদর করে দেই…
বলেই দহন বহ্নির ২গালে ২টা চুমু দিলো। এরপর বহ্নির নাকে নাক ঘষলো…. এই বউটা… সরি তো… এই দেখো কানে ধরে সরি…
বহ্নি : আমাকে কখনো এমন টাইপের কথা বলোনা প্লিজ… সন্দেহও কখনো কোরোনা প্লিজ… অর্নবকে কোনোদিনও আমি বন্ধু ভিন্ন কিছু ভাবিনি। যেদিন বিয়ে হচ্ছিলো সেদিন বিয়ের আসরে বসেও আমি ভাবছিলাম যে আমি কি করে অর্নবকে বিয়ে করতে পারি… ও তো আমার বেস্টফ্রেন্ড … কিন্তু বাবা বলেছিলো মানে অর্নব বাবাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলো। বাবা রাজী হয়েছিলো… হ্যা আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলো আমি কাউকে ভালোবাসি কিনা? আর আমি কাউকে ভালোবাসতামনা… তাই বাবাকে বলে দিয়েছিলাম। অর্নব কেন? বাবা যার সাথেই বিয়ে দিতে চাইতো আমি রাজী হতাম। কারন আমি জানি যে আমার বাবা কখনো আমার খারাপ চাইবেনা। আর তাই বাবার কথার অবাধ্য কখনো হতাম না… তাই প্লিজ কখনো এমন কিছু বোলোনা যেটা আমার মেনে নিতে কষ্ট হয়…
দহন বহ্নির কপালে চুমু একে দিলো।
দহন : বলবোনা। দেখো রাগ করবোনা সেটা তো বলতে পারবোনা। কারন সেটা হয়তো সম্ভব না। 😅। বাট হাজার রাগ করলেও এমন ধরনের কথা কখনো বলবোনা সেটার ভরসা দিতে পারি। তুমি রাগ করে থেকোনা প্লিজ…
বহ্নি : হামমম।
দহন: এখন কিছু খেতে দাওনা। সেই সকাল থেকে যে কিছুই খাইনি।
বহ্নি : সেকি… তুমি বসো আমি এখনই খাবার নিয়ে আসছি ।
দহন : তারাতারি..

বহ্নি খাবার নিয়ে এলো।
দহন : এখন আমাকে খাইয়ে দাও।। হা..
বহ্নি মিষ্টি ১টা হাসি দিয়ে দহনকে খাইয়ে দিতে লাগলো।

.

৬মাসপর…
দেখতে দেখতে ৬মাস কেটে গেলো। হেসে খেলেই কেটেছে দহন-বহ্নির। দহনের অবদানে বহ্নি যথেষ্ট সাহসী হয়ে গিয়েছে। আগের তুলনায় ভয় খুব কম পায় । আর ওদিকে কাকনও রকির সাথে যথেষ্ট হ্যাপী আছে।
দহন অফিস থেকে এসেই বহ্নিকে ডাকতে লাগলো।
বহ্নি কিচেন থেকে বলল আসছি…
দহন : এই বহ্নি…
বহ্নি : আসছি তো বাবা দারাও।
বহ্নি গেলো।
বহ্নি : কি হয়েছে চেচাচ্ছো কেন?
দহন : অফিস থেকে ফিরে এতোগুলো ডাক দিতে হলো কেন হামম?
বহ্নি : হাতে তো কাজ ছিলো। আর তুমি তো আজকে অসময়ে এসেছো।
দহন : হামম এসেছি। পরে কথা বলবো বা ঝগড়া করবো। এখন প্যাকিং করে নাও।
বহ্নি : প্যাকিং?
দহন : হ্যা প্যাকিং। তুমি আমার সাথে এখনই যশোর যাচ্ছো। ২দিনের জন্য ।
বহ্নি : যশোর? কিন্তু কেন?
দহন : আর বলোনা। হুট করে ১টা আর্জেন্ট মিটিং এসে পরেছে । তো আজই যেতে হবে। ফ্লাইটের টিকিট বুক করা শেষ। সো তারাতারি…
বহ্নি : তোমার মিটিংএ আমার কি কাজ বলো তো…
দহন : আরে ২দিন থাকতে হবে ওখানে আমার। কিভাব থাকবো তোমাকে ছারা? অসম্ভব ।
বহ্নি : থাকতে হবে আপনাকে জনাব। আজকে এখন আমার যাওয়া সম্ভব না।
দহন : কেন যাওয়া সম্ভব না কেন হামম? যেতেই হবে।
বহ্নি : পাগলের মতো কথা বলোনা তো। লাস্ট এক্সাম টা বাকি… দিলেই আপাদত বলতে পারি যে স্টুডেন্ট লাইফ শেষ। কিভাবে যাই?
দহন : ওহ ভুলেই গিয়েছিলাম। ১কাজ করছি… মিটিং ক্যানসিল করে দিচ্ছি ।
বহ্নি : সে কি কেন?
দহন : কেন মানে কি? তোমাকে ছারা আমি যাবো কেন আর কিভাবে বলো তো? থাকবো কি করে? ৪৮ঘন্টা। ক্যান ইউ ইমেজিন…
বহ্নি : একদম ক্যানসিল করবেনা। বাপী কি ভাববে বলোতো। মানুষ কি বলবে? আর যদি জানতে পারে যে আমার জন্য যাওনি তখন সবাই বলবে যে দ্যা দহন আহমেদ বউ পাগল।
দহন : হ্যা তো বলুক… আমার কি? তাদের কথার থেকে আমার বউ বেশি জরুরী।
বহ্নি : বাপীকে কি বলবে?
দহন : বাপীকে বলবো যে বাপী আমি…
বহ্নি : বাপী আমি হুয়াট?
দহন : জল্লাদ বাপটাও না। ভয়ংকর।
বহ্নি : খবরদার বাপীকে ভয়ংকর বলবেনা। আর জল্লাদও বলবেনা। বুঝেছো?
দহন : 😒।
বহ্নি : তুমি ফ্রেশ হয়ে নাও। ততোক্ষনে আমি তোমার প্যাকিং করে দিচ্ছি ।
দহন : ও কলিজাপাখি… বাপীকে ম্যানেজ করোনা… আমি যাবোনা।
বহ্নি : দহন কাজটা জরুরী… আর কাজে ফাকি মারা তো ঠিক না। জাস্ট ২দিন।
দহন : তোমার কাছে জাস্ট ২দিন। বাট আমার কাছে দু…….ই দিন।
বহ্নি : টিনেজারদের মতো আচরন করবেনা বলে দিচ্ছি। বলেছিনা যাবে তো যাবে।
দহন : ওরে বাবা… আমার বউটা দেখি খুব সাহসী হয়ে গিয়েছে।
বহ্নি : হ্যা হয়েছি।
দহন : আই উইল মিস ইউ ইয়ার।
বহ্নি : আই অলসো আমার জামাইটা।

দহন ২দিনের জন্য যশোর চলে গেলো।

.

২দিনপর…
ভোরে…
বহ্নির ঘুম ভেঙে গেলো। তাও ১টা বাজে স্বপ্ন দেখে।
বহ্নি : দহন…
বহ্নি উঠে বসে পরলো। একদম ঘেমে ভিজে গিয়েছে।
বহ্নি : এটা কেমন স্বপ্ন ছিলো? দহন… দহন ঠিক আছে তো?
বহ্নি আর কিছু না ভেবে দহনকে ফোন করলো। এতো ভোরে ফোন পেয়ে ঘুম ভেঙে যাওয়ায় দহন বিরক্ত হলো। মোবাইল ছুরে মারবে তখন স্ক্রিনে দেখলো কলিজাপাখি লেখা । এতো ভোরে বহ্নির নামটা দেখে দহন হরবরিয়ে উঠে বসলো। ভয় পেয়ে গেলো। কিছু হয়নি তো?
দহন : হ্যালো… বহ্নি… ইজ এভরিথিং ওকে ?
বহ্নি : তুমি ঠিক আছো?
দহন : হ্যা আমি ঠিক আছি। আমার কি হবে? তুমি এতো ভোরে? কোনো সমস্যা ? তুমি ঠিক আছো? বাসার সবাই ঠিক আছে?
বহ্নি : হ্যা ভালো আছি ।
দহন : কি হয়েছে বলো তো…
বহ্নি : কিছুনা। তুমি কবে ফিরবে?
দহন : কালই গো আমার বউটা । কিছু হলে বলো… আমি এখনই রওনা দিবো।
বহ্নি : না না । কাজ শেষ করেই আসো।
দহন : আচ্ছা কি হয়েছে সেটা বলো তো কলিজাপাখি…
বহ্নি : আসলে বাজে স্বপ্ন দেখেছি … দেখলাম তুমি আমার থেকে হারিয়ে যাচ্ছো…
দহন : পাগলিটা… দহন কখনো বহ্নির থেকে হারিয়ে যাবেনা… আই লাভ ইউ… আমি যতো তারাতারি সম্ভব কাজ শেষ করে আসছি তোমার কাছে… যদি কাজ সন্ধ্যার মধ্যেই হয়ে যায় আর ফ্লাইট থাকে তো ফিরে আসবো। এখন চিন্তা করা বাদ দাও তো…
বহ্নি : হামমম ।

.

সন্ধ্যার পর…
দহন ১টা ফাইভ স্টার হোটেলে গিয়েছে মিটিং করতে। মিটিংটা শেষ করে করে দহন কাকনকে দেখতে পেলো। তবে অবাক হলো কাকনের টলমল-বেসামাল অবস্থা দেখে। তবে তারথেকেও অবাক হলো কাকনের কোমড়ে ১টা অচেনা ছেলের হাত দেখে। দেখেই বুঝতে পারলো যে সেই স্পর্শের মধ্যে যথেষ্ট বাজে উদ্দেশ্য আছে। দহন কাকনকেই খারাপ ভাবলো।
দহন : ছিঃ… এই মেয়েটা এতো খারাপ? ভেবেছিলাম যে মেয়েটা আমাকে ভুলে রকির সাথে নিজেকে মানিয়ে নিয়েছে। ভালো হয়ে গিয়েছে । কিন্তু এতো দেখি আরো খারাপ হয়ে গিয়েছে…
দহন কাকনকে ক্রস করে যাওয়ার সময় শুনতে পেলো কাকনের সাথের ছেলেটা
বলল : অবশেষে এই পটাকাটা কে হাতে পেলাম। থ্যাংকস রে ড্যানি আইডিয়াটা দেয়ার জন্য… আজকে এর সাথে বাসর করবো… অথচ এ কিছুই করতে পারবেনা।

কথাটা শুনে দহন ভীষন অবাক হলো। আর রাগও উঠলো। কারন ওভারঅল কাকন ১টা মেয়ে…
দহন ওই ছেলেদের চরম শিক্ষা দিলো। তবে কাকনকে স্বাভাবিক করতে পারলোনা। কারন কাকনকে হেভী ডোজের ড্রাগস দিয়েছে। তাই কি করবে করবে দহন ভেবে না পেয়ে কাকনকে নিয়ে নিজের কটেজে নিয়ে গেলো। যেটাতে ও উঠেছে। কাকন মাতাল হয়ে আছে। বড্ড বেসামাল হয়ে আছে কাকন। দহন বারবার নিজেকে ছারিয়ে নিচ্ছে। কাকন বমি করে দিলো। যার জন্য ওর জামা কাপড় খারাপ হয়ে গেলো। দহন কি করবে ভেবে না পেয়ে ছুটে গিয়ে ১জন মহিলাকে ধরে এনে কাকনের শাড়িটা পাল্টানোর ব্যাবস্থা করলো। মেয়েলি পোশাক ছিলোনা বলে মহিলাটা কাকনকে দহনের শার্ট পরিয়ে দিলো। এরপর কাকনের ওপর ব্ল্যাংকেট দিয়ে চলে গেলো । দহন কাকনের রুমের দরজা লাগিয়ে দিয়ে অন্যরুমে চলে গেলো। কেন যেন ওর বুকটা ধুকধুক করতে লাগলো। ওর মনে হচ্ছে কিছু খারাপ হতে চলেছে… বহ্নি যদি ভুল বোঝে?
দহন : বহ্নি ভুল বুঝবে না তো? ওকে বিষয়টা জানালে ভালো হয়… ১কাজ করি। বহ্নিকে ১টা ফোন করি…
দহন ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে রাত দেড়টা বাজে।
দহন : নাহ… এখন বললে যদি বহ্নি ভুল বোঝে… ঢাকা পৌছে ওকে বুঝিয়ে বলতে পারবো। তবে কাকন এখানে কেন আর কি করে এলো? মে বি কোনো বিজনেস মিটিং এ…

সারারাত দহনের ঘুম হলোনা।

.

সকালে…
কাকনের ঘুম ভাঙলো। প্রচন্ড মাথা ব্যাথা করছে।
কাকন : আহ… আমি কোথায়…?
কাকন ধীরে ধীরে উঠে বসলো। দেখলো ওর শাড়িটা নিচে পরে আছে । কাকন অবাক হয়ে গেলো। নিজের দিকে তাকালো । দেখলো ছেলেদের শার্ট পরে আছে ও। চমকে উঠলো। চারদিকে দেখতে লাগলো।
কাকন : আমি এখানে কি করে এলাম? আমার ড্রেস পাল্টালো কে??? কককেউ কি আছে রুমে… কেউ কি আছো…
কাকন কোনো সারা পেলোনা। ও তারাতারি বেড থেকে নেমে শাড়িটা পরে নিলো। এরপর রুম থেকে বের হলো।
কাকন : কোথাও থেকে আওয়াজ আসছে মনে হয়…
কাকন শব্দর পথ ধরে এগিয়ে গেলো। গিয়ে দহনকে দেখতে পেলো। চা বানাচ্ছে।
কাকন : দহন…
দহন মাথা তুলল।
দহন : তোমার ঘুম ভেঙে গিয়েছে দেখি… গুড মর্নিং। নিশ্চয়ই মাথা ব্যাথা করছে… চা-নাস্তা করে নিয়ে আমাদের বের হতে হবে।
কাকন : তুমি এখানে?
দহন : হ্যা এটা আমাদের। আসলে যশোরে ১টা কাজে এসেছিলাম।
কাকন : আমি এখানে কককি করে এলাম?
দহন : তোমার রাতের কথা কিছুই মনে নেই…
দহনের কথায় কাকন আরো ঘাবরে গেলো।
কাকন : রররাতে কককি হয়েছিলো…

দহন সবটা বলল।
কাকন : হুয়াট? ড্যানিরা এতো খারাপ?
দহন : তুমি ওদের চেনো?
কাকন : চিনি বলতে কি… আমি ওদের সাইন নিতে এসেছিলাম। কারন ওরা আমাদের কোম্পানির মডেল হিসেবে আগামী ১বছর কাজ করবে। মানে আমাদের মডেল হবে। আমার প্রথম প্রজেক্ট ছিলো। তাই ভাবলাম নিজেই হ্যান্ডেল করি। বাট ওরা যে এতো খারাপ…
দহন : তুমি একা কেন এলে এতোদূর? রকিকে নিয়ে আসতে…
কাকন : ও অন্য ১টা কাজে দেশের বাহিরে গিয়েছে। তাই।
দহন : ওহ। আচ্ছা ব্রেকফাস্ট করে নাও। আজই আমার ঢাকা ফিরতে হবে।
কাকন : ওহ… আ দহন আমার শাড়ি প…
দহন : ১টা মহিলা এসে পাল্টে দিয়ে গিয়েছে।
কাকন : ওহ…
দহন : হামমম।
কাকন : থ্যাংকস ফর দ্যা লাস্ট।
দহন : ইটস ওকে। তোমার জায়গায় অন্যকোনো মেয়ে থাকলেও আমি এটাই করতাম।
কাকন : আই নো… আর আমাকেও আজই ঢাকা ফিরতে হবে।

ব্রেকফাস্ট করে ২জন আলাদা আলাদাভাবে বের হলো।

.

দহন বাসায় পৌছালো। সারাক্ষন ও ভাবতে ভাবতে এসেছে যে কোনোরকমে ফ্রেশ হয়েই বহ্নিকে সবটা বলে দিবে। তবে গাড়ি থেকে নেমে ওদের ফ্যামিলি ডক্টর আরমানের গাড়ি দেখে দহন ঘাবরে গেলো। ছুটে ভেতরে ঢুকলো। গিয়ে দেখে দীপন আর আরমান ২জন ২জনকে মিষ্টি খাওয়াচ্ছে। আর বহ্নি নিশার কাধে মাথা রেখে বসে আছে…
দহন : বহ্নি আর ইউ ওকে?
সবাই দহনের দিকে তাকালো…
আরমান : আরে মিস্টার ব্র্যান্ড নিউ ড্যাড । কাম কাম কাম…
দহন অবাক হয়ে এগিয়ে গেলো। আরমান ১টা পেপার এগিয়ে দিলো।
আরমান : বাবাজী… পরে দেখো তো রিপোর্টে কি আছে…
দহন পরলো। আর পড়ে আনন্দে খুশিতে পানি চলে এলো। কারন ও বাবা আর বহ্নি মা হতে চলেছে…

.

চলবে…

#ভালোবেসে_ফেলেছি
part : 33
writer : Mohona

.

দহন বাবা আর বহ্নি মা হতে চলেছে। দহন বহ্নির দিকে তাকালো। বহ্নি লজ্জা পেয়ে মাথাটা নিচু করে মিষ্টি ১টা হাসি দিলো।
দীপন : কংগ্রেচ্যুলেশন মাই সন…
দহন : থ্যাংক ইউ বাবা…
আরমান : শোনে বউয়ের খেয়াল রাখবেন। বুঝেছেন আব্বাজান…
নিশা : তোমার আব্বাজানকে বলো যেন রাগটা একটু কমায়…
দহন : কমাবো রাগ…
আরমান : এই তো আমার আব্বাজান তো বলেই দিলো যে রাগ কমাবে… তাহলে তো আর কোনো কথাই নেই। আসছি তবে…
তিনি চলে গেলেন। মনি খুশিতে লাফাতে লাগলো।
মনি : ইয়ে… কি মজা… আমি ফুপ্পি হবো… কি মজা কি মজা… থ্যাংক ইউ ভাবি।
নিশা : আর শোন…ভাবিকে বেশি জ্বালাবিনা এখন খবরদার।
মনি : ওকে ওকে ওকে…
দীপন : এই নিশা দিনাকে জানিয়ে দাও।
নিশা : দিয়েওছি…

দহন কিছু না বলে বহ্নিকে কোলে তুলে নিয়ে ওপরে দিকে হাটা ধরলো। নিশা সিটি বাজালো।
দীপন : 😒

.

দহন বহ্নিকে নিয়ে বেডে বসালো।
বহ্নি : তুমি খুশি হওনি?
দহন কিছু না বলে বহ্নির ঠোটজোরা দখল করে নিলো। এরপর বহ্নির কপালে কপাল ঠেকিয়ে
বলল : থ্যাংক ইউ … থ্যাংক ইউ থ্যাংক ইউ থ্যাংক ইউ থ্যাংক ইউ থ্যাংক ইউ সো মাচ… এটা আমার লাইফের সেরা উপহার … সেরা…
বহ্নি : তোমার চোখে পানি কেন তবে?
দহন ১টা হাসি দিয়ে
বলল : আনন্দের… আমি জাস্ট বলে বোঝাতে পারবোনা যে আমি ঠিক কতোটা আনন্দিত… আর আমার নিজেরই বিশ্বাস হচ্ছেনা যে খুশিতে আমার চোখে পানি আসতে পারে… এন্ড অল থ্যাংকস টু মাই কলিজাপাখি… আজকে তোমাকে প্রমিস করছি… আমি আমার রাগ কন্ট্রোল করার চেষ্টা করবো… অনেক অনেক অনেক কম রাগ করবো আমার কলিজা পাখিটা… আই লাভ ইউ…
বলেই দহন আবারও বহ্নির ঠোটজোরা দখল করে নিলো…

তখন দিনা-নিশা এসে দরজায় নক করলো। দহন তো নিজের কাজেই ব্যাস্ত… 😒। বহ্নি দহনের কাছ থেকে উঠে এলো।
দহন : হুয়াট…
বহ্নি : কেউ এসেছে…

সারাবাড়ি উৎসবমুখর হয়ে উঠলো। দীপন দিনাকে আর বাচ্চাদের বাসায়ই রেখে দিলো।

.

বহ্নি : আরে আরে আরে… এতো খাবার আমি কি ভাবে খাবো?
দহন : কেমন আজব কথা এগুলো শুনি? খাবার আবার মানুষ কিভাবে খায় হামম? চুপচাপ খাও…
বহ্নি : আরে আমি কি রাক্ষস নাকি?
দহন : আহারে আবার কথা বলে… তোমার তো অবজেকশন দেয়ার কোনো কারন দেখছিনা ইয়ার… আমিই তো খাইয়ে দিচ্ছি নাকি?
বহ্নি : তুমি খাইয়ে দিলে কি হবেরে ভাই? খাচ্ছি তো আমিই নাকি?
দহন : তাতে কি? হা করো…
বহ্নি : এবারই লাস্ট।
দহন : দেখা যাবে। আর শোনো এখন থেকে আর শাড়ি টারি পরতে হবেনা। হোচট খেয়ে পরে গেলে… আমি কিছু স্পেশাল ড্রেস অর্ডার করেছি। ওগুলোই পরবে…
বহ্নি : 😒।
দহন : ওভাবে তাকালে কি হবে শুনি?
বহ্নি : তুমি জানো তুমি ১টা পাগল?
দহন : হ্যা জানি। তোমার সমস্যা ?
বহ্নি ১টা মিষ্টি হাসি দিলো।
দহন : একদম এমন করে হাসবেনা বুঝেছো? এমন করে হাসলে তোমাকে খুব করে ভালোবাসতে ইচ্ছা করে… আদর করতে ইচ্ছা করে… যেটা আপাদত চাইছিনা…😒
বহ্নি : 😂😁।
দহন : হাসির কি হলো ?
বহ্নি : কিছুনা মিস্টার দহন… যাক কেউ তো আসছে যার জন্য তুমি একেবারে সোজা হয়ে যাবে…
দহন : জাস্ট শাট আপ ওকে…
বহ্নি : ওহ মাই গড… এটা দহন আহমেদের শাট আপ ছিলো!!! ভাবা যায়… 😂…
দহন : এই মেয়ে একদম হাসবেনা বুঝেছো? হুহ…
বহ্নি : হাসলে কি করবে? এখন তো তুমি আমাকে প্রমিস করেছো যে রাগ কন্ট্রোল করবে…
দহন : সো হুয়াট? ভুলে যেওনা আমি কিন্তু তোমার দানব আহমেদ…
বহ্নি : না না সেটা কি ভুলতে পারি..
দহন : গুড ফর ইউ মাই কলিজাপাখি… ইশ আমাদের যদি টুইন বেবি হতো… ১টা ছেলে আর ১টা মেয়ে। জাস্ট ফাটাফাটি হতো… ২জন দেখতে তোমার মতো মাশাল্লাহ হবে আর স্বভাবে আমার মতো হবে…
বহ্নি : নো নেভার। আমি চাই ওরা দেখতে তোমার মতো মাশাল্লাহ হোক। ওই দেখো আমি অলরেডি তোমার ছবিও টাঙিয়ে ফেলেছি…
দহন ঘাড় ঘুরিয়ে দেখলো।
বহ্নি : আমি চাই আমাদের বেবি তোমার মতো মাশাল্লাহ তোমার মতো সুন্দর হোক আর স্বভাব আমার মতো হোক। তোমার যা মেজাজ… ওরে বাবারে বাবারে… ওরকম যদি বাচ্চারাও হয়… তাহলে কি হবে ভেবে দেখেছো?
দহন : দারুন হবে… আর তুমি কি ভেবেছো আমি ওদের ভীতু থাকতে দিবো? নো নেবার… ওদের মাথায় প্রথম কথা এটা থাকবে যে কেই ওদের ১টা দিলে তোমরা তাদের ১০টা দিবে। কেউ জাস্ট উচ্চস্বরে কথা বললেও ঘুষি মেরে তার দাঁত ফেলে দিবে। আর বাকী সবকিছুর জন্য বাবা আছে। সো নো চিন্তা ডু ফূর্তি।
বহ্নি : 😱। বলো কি?
দহন : হামমম।
বহ্নি : একদম না। এতে ওরা কোনোকিছুতেই ভয় পাবেনা।
দহন : পাবে কেন ভয়? ওরা দহন আহমেদের সন্তান হবে।
বহ্নি : আল্লাহ.. এই লোকটা তো দেখি নিজের সন্তানদের গুন্ডা এন্ড গুন্ডি বানাবে…
দহন : আবার জিগায়…

শুরু হয়ে গেলো দহনের এক্সট্রা এক্সট্রা এন্ড এক্সট্রা কেয়ার। বহ্নি সিড়ি দিয়ে ওঠা নামা করে দহনের কোলে চরে। সকাল-বিকাল দহন বহ্নিকে নিয়ে বাগানে ২০-২৫মিনিট করে হাটে। ইচ্ছামতো খাওয়ায়। দহন বাসার মধ্যেই ১প্রকার অফিস বানিয়ে নিয়েছে । অফিসের কাজ সব বাসায়ই করে। খুব বেশি দরকার হলে কিছুক্ষনের জন্য অফিস যায়। ওর ১মাত্র ডিউটি বহ্নি আর বেবির খেয়াল রাখা। দহনের রাগও বেশি , ভালোবাসাও বেশি , কেয়ারও বেশি…

.

দেড় মাসপর…
কাকন বসে আছে । কদিন ধরে কিছুই ভালো লাগছেনা ওর। তাই রকি জোর করে গিয়ে ডক্টরের কাছে নিয়ে যায়। ডক্টর কিছু টেস্ট দিয়েছে । সেগুলোর রিপোর্ট এখনও আসেনি। দোলনায় বসে আছে চুপটি করে। কিছুক্ষনপর রকি এসে ওর পাশে বসলো।
কাকন : এতো দেরি করলে যে?
রকি : হয়ে গেলো।
কাকন : তোমার মুখটা এমন লাগছে যে…
রকি : আসলে তোমাকে কিছু বলার ছিলো…
কাকন : সিরিয়াস কিছু?
রকি : হামমম।
কাকন : বলো…
রকি : আমাদের মাঝে কেউ চলে এসেছে… আর তাকে ত্যাগ করা আমার পক্ষে কোনোভাবেই সম্ভব না। তুমি চাও আর না চাও তার জায়গা প্রতিরাতে আমার বুকেই হবে…
কাকনের চোখের কোনে পানি চলে এলো। রকির শার্টের কলার ধরে
বলল : কি? কি বললা তুমি? তুমি অন্যকাউকে ভালোবাসো? হ্যা… তোমার সাহস কি করে হয় হ্যা? বলো… বলছোনা কেন… তুমি না আমাকে ভালোবাসো… তবে কিভাবে নতুন করে কাউকে ভালোবাসতে পারো বলো… ও বুঝেছি… বদলা নিচ্ছো… তাইনা… আমি তোমাকে কষ্ট দিয়েছিলাম আর তাই এখন তুমি প্রতিশোধ নিচ্ছো। তাইনা… বলো… চুপ কেন… কথা বলছোনা কেন?
রকি : কি বলবো । সবতো তুমিই বলতেছো… পড়ে দেখো পেপারটা। তাহলেই বুঝতে পারবে।
কাকন পড়লো। দেখলো যে ও মা হতে চলেছে।
রকি : ইয়েস… আমরা আবারও মা-বাবা হতে চলেছি…
কাকন রকিকে জরিয়ে ধরলো।
কাকন : আমি ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম…
রকি : রকির জীবনে কাকন ছারা কেউ কখনো আসবেনা… আর শোনো থ্যাংক ইউ… নিউজটার জন্য।
কাকন : মোস্ট ওয়েলকাম।
রকি : হেই ভেবে দেখেছো… বহ্নিও মা হতে চলেছে আর তুমিও। দারুন তো। যদি ওদের ছেলে হয় আর আমাদের মেয়ে হয় তবে ২জনের বিয়ে দেয়া যাবে । কি বলো?
কাকন হেসে দিলো।
রকি: হাসো আর যাই করো আইডিয়াটা কিন্তু চমৎকার । তখন আমি আমার বেয়ান বহ্নির সাথে আর তুমি তোমার বেয়াই দহনের সাথে চুটিয়ে প্রেম করতে পারবে।

বলেই ২জন হা হা করে হাসতে লাগলো। হাসতে হাসতে রকি
বলল : ভাবা যায় … দহন-কাকন আলাদা আলাদাভাবে স্যাটেল… কাকন যদি দহনের বাচ্চার মা হতো তবে হয়তো বিষয়টা সেই হতো । আর হ্যা স্বাভাবিক হতো… কি বলো… হাহাহা…
কাকন : …
রকি : কি হলো?
কাকন : কিছুনা। তুমি কি আমাকে সন্দেহ করছো?
রকি : আরে আই ওয়াস জাস্ট কিডিং বাবা…
কাকন : না … তুমি তো এমন মজা কখনো করোনা। তুমি নিশ্চয়ই মজা করছো…
রকি : না রে বাবা… আর কি নিয়ে সন্দেহ করবো… তুমিই বলো…
কাকন : এই যে এই বেবি দহনের… 😥
রকি : ধ্যাত… কি আবোল তাবোল বকছো। পাগলি ১টা।
রকির এই মজা কাকনের মনে ১টা চিন্তা ঢুকিয়ে দিলো।

.

২দিনপর…
কাকন বসে আছে।
কাকন : আচ্ছা সেদিন রাতে কি হয়েছিলো আমার তো কিছুই মনে নেই। হুয়াট ওয়াস হ্যাপেনড… কি হয়েছিলো সেদিন… দহন কি সত্যিই বলছে যে কিছু হয়নি… হ্যা সত্যিই বলছে। কারন দহন তো অমন নয়। আমি চিনি দহনকে । ও কখনো বাজে কিছু করতে পারেনা। কিন্তু ড্যানি যে বলছিলো যে দহন ওর মতলবে আমাকে বাচিয়েছিলো। আর তাই আমাকে নিয়েগিয়েছিলো । আর দহনও কিছুটা ড্রাংকড ছিলো। ওহ গড।।। আমি জাস্ট ভাবতে পারছিনা। ডিএনও টেস্ট করিয়ে দেখবো যে বেবিটা… না যদি তেমন কিছু না হয়ে থাকে আর বাই চান্স খবরটা মিডিয়ার সামনে এলে অনেক ঝামেলা হবে… ১কাজ করি আগে দহনের সাথেই কথা বলি… হ্যা সেটাই ভালো হবে।

.

দহন বহ্নির পেটে মাথা রেখে বেবির সাথে কথা বলছে। আর সেই সমস্ত কথা গুলো শুনে বহ্নির ভীষন হাসি পাচ্ছে।
দহন : এই মেয়ে হাসছো কেন? 😒।
বহ্নি : তো কি করবো? এমনসব কথা শুনলে কার না হাসি আসবে?
দহন : এখানে হাসির কি আছে…
বহ্নি : কি নেই… তুমিই বলো… কেউ কি এই সময়ে ক্যারাটের ট্রেনিং দেওয়ায় বাচ্চাদের…
দহন : দেওয়াবো না কেন? ওরা আমার বাচ্চা। সব জানবে ওরা আমার মতো…
বহ্নি : 😂।
দহন : হুহ… এইযে বাবারা… তোমরা কি গান শুনবে? দারাও বাপী তোমাদের এখনই গান শোনাচ্ছি…
বহ্নি : 😂।
দহন : এই একদম হাসবেনা বলছি… হুহ…

বলেই দহন গিটারটা হাতে নিলো।

দহন :
🎤🎶🎵

অ্যা দিল লায়া হ্যা বাহার
আপনোকা পেয়ার কেয়া ক্যাহনা
মিলে হাম ছালাক উঠা
খুশিকা খুমার
কেয়া ক্যাহনা
খিলে খিলে চ্যাহরো আজ
ঘার হ্যা মেরা
গুলেগুলজার কেয়া ক্যাহনা

🎤🎶🎵

বহ্নি : আমাকে তো জনমেও গান শোনাও না… বিয়ের পর তো জাস্ট ২বার শুনেয়েছো। তাও ১বার রবি ভাইয়ার বিয়েতে… আর এই এখন …
দহন : এই তুমি আমার বাচ্চার সাথে হিংসা করছো ?
বহ্নি : হ্যা তো…
দহন : দেখো সোনামনিরা… তোমাদের মামনি কতো হিংসুটে… তোমাদের সাথে হিংসা করছে…
বহ্নি : এই নারে… তোদের বাবা মিথ্যা কথা বলছেরে… এই লোকটা আমাকে আমাকে মোটেও ভালোবাসেনা। এখন কেবল তোদের জন্য আমার কদর… 😜..
দহন : এই এই এই কি বললা তুমি?
বহ্নি : ওই দেখ … আবার দহন থেকে দানব হয়ে গিয়েছে।
দহন : হবোনা। তুমি আমার নামে বাচ্চাদের মিথ্যা বলছো…
বহ্নি : মিথ্যা কি বললাম? এখন তো ওদের জন্যই তুমি রাগারাগি করোনা।
দহন : 😒।
বহ্নি : ভয় পাই না..
দহন : ১টা বার ডেলিভারি টা হতে দাও। তোমার কতো সাহস আছে আমি দেখবো।
বহ্নি : ওকে।

তখন দহনের ফোনটা বেজে উঠলো ।
দহন : বহ্নি মোবাইলটা …
বহ্নি মোবাইলটা দিলো। দেখলোনা কে দিয়েছে। কাকনের নামটা দেখে দহন অবাক হলো। ধরবে কি ধরবেনা ভাবতে ভাবতে কেটে গেলো। আর ওরও সেই রাতের কথা মনে পরে গেলো।
বহ্নি : কার ফোন ছিলো যে ধরলে না?
দহন : জানোনা লাগে…
বহ্নি : আশ্চর্য আমি কি দেখেছি নাকি? ফোন ঘাটার ওসব স্বভাব আমার নেই। আর সেটা তুমি জানো।
দহন : কাকনের কল ছিলো।
বহ্নি : ও তো ধরলেনা কেন…
দহন : ধরতে ধরতে কেটে গেলো।
আবার বেজে উঠলো।
দহন : হ্যালো…
কাকন : হ্যালো দহন।
দহন : হামমম।
কাকন : বহ্নি ভালো আছে?
দহন : হ্যা বহ্নি ভালো আছে। তোমরা ভালো আছো?
কাকন : হামমম । দহন তোমার সাথে আমার কিছু কথা ছিলো। ভেরি আর্জেন্ট.. কাল-পরশু দেখা করতে পারবে প্লিজ… সেদিন রাতের বিষয়ে…
কথাটা শুনে দহন অবাক হলো যে সেদিন রাত নিয়ে কাকনের কি কথা হতে পারে।
কাকন : প্লিজ না কোরোনা…
দহন : আচ্ছা দেখি…
কাকন : দেখি বললে হবেনা। ইউ হ্যাভ টু…
দহন : ওকে। বাই।
রেখে দিলো।
বহ্নি : কোনো জরুরী কিছু?
দহন : না তেমন কিছুনা। ঘুমাও। আমি মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছি।

.

পরদিন…
দহন : বহ্নি…
বহ্নি : হ্যা বলো…
দহন : আমি আজকে একটু বের হবো।
বহ্নি : ওহ। বলছি শোনোনা… আমি , মামনি , ভাবি , মনি , রিদি… আমরা একটু বের হবো। প্লিজ পারমিশন দাওনা।
দহন : বের হবে মানে? বের হবে কেন?
বহ্নি : গাড়ি নিয়েই বের হবো। প্লিজ না কোরোনা।
দহন : আরে ঝাকি লাগবেতো। ঝাকি লাগার ভয়ে বাসাটাকে হসপিটাল করে ফেলেছি… রেগুলার চেক আপ করানোর জন্য অতো ভারী ভারী মেশিন আনিয়েছি… ডক্টরকে আউটহাউজের পার্মানেন্ট গেস্ট করে রেখেছি… কোথাও যেতে হবেনা।
বহ্নি : প্লিজ না দহন… বাসায় বসে বসে বোর হয়ে গিয়েছি।
দহন : আচ্ছা আমার সাথে যাবে।
বহ্নি : আরে বুঝতে পারছোনা.. ভাবির জন্যই যেতে চাই। এখন তুমি বুঝে নাও । ভাবির মনটাকে ভালো করার জন্য।
দহন : ওকে।। বাট ড্রাইভারকে স্লোলি চালাতে বলবে। আমিও বলে যাবো।
বহ্নি : ওকে। থ্যাংক ইউ।
দহন : ওয়েলকাম।

দহন বেরিয়ে গেলো। তার ২-৩ঘন্টা পর বহ্নিরাও বের হলো। কিন্তু ড্রাইভার এতো ধীরে চালাচ্ছে যে হুইল চেয়ারও মনে হয় গাড়ির আগে চলে যাবে। আর ড্রাইভার কিছুতেই স্পিড বারাবেনা। কারন তাহলে দহন হয়তো জানেই মেরে ফেলবে…

.

চলবে…